সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

west-indies-bangladesh-cric
নলতা প্রতিনিধি : বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ১মহিলার করুন মৃত্যু ও ২মহিলা গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার কাশিবাটি গ্রামে। স্থানীয়রা জানায়,কাশিবাটি গ্রামের মাওঃ মনিরুদ্দিনের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনে লুসকানেকশন হয়ে বারান্দার লোহার গ্রীলে বিদ্যুৎ হয়। বিষয়টি বুঝে ওঠার আগে শুক্রবার ভোরে মাওঃ মনিরুদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৫৫) ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ওজু করতে বাহিরে আসার পথে বারান্দার গ্রীলে হাত দিলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা যান। এসময় তার বড় ছেলের বউ নার্গিস পারভীর (৩৫) ও সেজ ছেলের বউ খাদিজা (২৪) গুরুতর আহত হয়। সাথে সাথে বাড়ির অন্যরা মেন সুইজ বন্ধ করে দিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন। বর্তমানে আহতরা সুস্থ্য আছেন বলে নলতা হাসপাতালের ল্যাব-ইন-চার্জ আব্দুস সবুর জানান। এদিকে তাসলিমা খাতুনের মৃত্যুতে তার পরিবারসহ এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bublyবিনোদন ডেস্ক: বসগিরি সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউড আঙিনায় যাত্রা শুরু নবাগত নায়িকা বুবলির। প্রথম ছবিতেই প্রচুর সাড়া পেয়েছেন এ নায়িকা। তাই তার ব্যস্ততার তালিকাও বেশ লম্বা। ফটোসেশন থেকে শুরু করে শুটিং- নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। কাজের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে ভালোবাসেন এ অভিনেত্রী। অল্প সময়ের মাঝেই লম্বা তালিকার ভক্ত হয়ে গেছে তার। ভক্তদের জানার আগ্রহও রয়েছে নায়িকা সম্পর্কে।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন বুবলি। এরপরেই তার সবচেয়ে পছন্দের কাজ ঘুম। অবসর সময়ে তার প্রথম এবং প্রধান কাজ হয়ে থাকে এটি।সচারচর রাত ১ টা থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চোখ বোলান সারাদিনের কাজের তালিকায়। সময়ের কাজ সময়ে করতেইপছন্দ করেন। তাই সিডিউলে থাকা কাজগুলোকে তিনি আগের থেকেই তালিকাবদ্ধ করে নেন। অন্যদিকে রুপচর্চার বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন। খুব বেশি হলে বাসায়বসে ভ্রু প্লাক আর আপার লিপ করে থাকেন। কিন্তু তিনি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। বাইরের খাবার এবং ভাজাপোড়া বুবলি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। আর সারাদিনে প্রচুর পানিপান করেন।

বুবলির পছন্দের খাবার ভাজা মাছ আর মায়ের হাতের রান্না করা যেকোনো খাবার। আর দিনের শুরুতে তিনি খালি পেটে লেবুপানি খেয়ে থাকেন। এরপর সকালের নাস্তায় খান রুটি তার সঙ্গে বিভিন্ন সবজি আর ডিম। তবে এ তালিকায় থেকে কিছু বাদ পরলেও ডিম থাকবেই। দুপুরের খাবারে থাকে মাছ, মাংস, ডাল, ভাত, ভাজি কিংবা ভর্তা। দুপুরের খাবারে কিছুটা বেশি খাওয়া হয়ে থাকে মাছ আর মাংস। রাতের খাবারের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। রাতের মেনুতে থাকে ভাত সাথে মাছ নয়তো মাংস।

বুবলির পছন্দের অভিনেতা আফজাল হোসেন, শাকিব খান, টুম ক্রুজ। অভিনেত্রী শাবানা, ববিতা, শাবনূর আর মৌসুমী। প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর প্রিয় গায়ক সুবীর নন্দী, ইমরান, শ্রীকান্ত, মিতালী মুখার্জি, এবং মিমি। প্রিয় জায়গা তার নিজের বাসা। তিনি নিজেকে ঘরকুনো বলে আখ্যা দেন। অবসর সময় পেলেই তিনি ঘুমান। তার সর্বোচ্চ ঘুমের রেকর্ড ১৫ ঘণ্টা। পছন্দের সিনেমা আগুনের পরশ মণি, জার্মান বিভিন্ন ফিল্ম, এবং সুইট নভেম্বর।

জুয়েলারির মধ্য বুবলির পছন্দ ঘড়ি। বিভিন্ন নামী দামী ব্যান্ডের ঘড়ি এবং সুগন্ধি ব্যবহার করেন বুবলি। ঘড়ির ক্ষেত্রে তার পছন্দের ব্যান্ড রেডো, টাইটানিক, রোলেক্স। আর সুগন্ধির ক্ষেত্রে লাবাম্বা, শ্যালিমার গার্লিয়ান এবং বিভিন্ন নামিদামী ব্যান্ডের ডিও ড্রেন। কাজল, মেকাপ, আইলাইনারের ক্ষেত্রে তার সারা জীবনের সঙ্গী ম্যাকের পন্য। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে থিসিমি, লরিয়াল এবং ডাভ ব্রান্ডের পণ্য ব্যবহার করেন তিনি। তবে পোশাক এবং জামার ক্ষেত্রে তিনি ব্যান্ডকে সেভাবে মাথায় রাখেন না। সেক্ষেত্রে তার মাথায় থাকে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দ সেই জামা কিংবা জুতো জোড়ার সাথে।

বুবলির কাছে ফ্যাশন মানে কী জানতে চাইলে তিনি বলেন ফ্যাশন মানেই স্বাচ্ছন্দ্য। আপনি কতটা তা ধারণ করতে পারছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে তা মানাচ্ছে কী না। নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করতে জানাটাই বুবলির কাছে ফ্যাশন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1562901125_1478350008অনলাইন ডেস্ক: নিম্নচাপ ‘নাডা’র প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়া চলছে। আর এ কারণে গতকাল শুরু হওয়া বিপিএলের কোনো ম্যাচই মাঠে গড়াইনি।

গতকালের দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর আজ বিকেলের ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়। এদিকে আবহাওয়ার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় এবং রাজধানীতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পরবর্তী ম্যাচও মাঠে গড়াবে না।

আবহাওয়ার এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আপাতত স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে আবার শুরু হবে বিপিএলের চতুর্থ আসর।

৪, ৫ ও ৬ নভেম্বরের ম্যাচগুলো পরে অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানোর কথা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

c7836703039b8cc3328d1cd2af706576-581d93d372e44অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে সরে এসেছে। তবে এটি এখনো ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ জন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে যদি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে এটি খুলনা ও বরিশালে আঘাত হানতে পারে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নিম্নচাপটি সাগরেই দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নিম্নচাপটি অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। লঘুচাপের কারণে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ শনিবারও বৃষ্টি হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc06560-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: কবিতা পরিষদ সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দ্বাদশ কবিতা উৎসব ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় মোবাইলের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অনুষ্ঠানের আহবায়ক মন্ময় মনিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারত থেকে আগত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, কাজী ওলিউল্লাহ, কবি পিয়াস মজিদ। পরিষদের সভাপতি কবি আমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার গিয়াসউদ্দিন। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন কবি দিলরুবা রোজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সিদ্দিকুর রহমান। সেমিনার পর্বে শুভ্র আহমেদের সভাপতিত্বে কবিতা জীবনের জন্য মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি সিরাজুল ইসলাম। এ পর্বে আলোচনা করেন গাজী আজিজুর রহমান, বিশ্বজিৎ সাধু ও কবি স ম তুহিন। এরপর শাহানা মহিদের সভাপতিত্বে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। কবিতা পরিষদ’র আয়োজনে দেশের ও বিদেশের কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, পৃষ্ঠপোষক, গুণাগ্রাহী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। উৎসবের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের এবং সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাকসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া উদ্বোধনের পূর্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবারের উৎসবে কবিতা পরিষদ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যথাক্রমে কবিতায় কবি সালেহা আকতার, প্রবন্ধ সাহিত্যে শুভ্র আহমেদ, সাহিত্যে শামসুজ্জামান খান, সংগীতে তৃপ্তিমোহন মল্লিক, শিক্ষায় অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, গবেষনায় ড. মিজানুর রহমান এবং নাট্য সাহিত্যে জি. এম. সৈকত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

m-r-khanডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা জেলার কৃতি সন্তান স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক ডা: এম আর খান আর নেই(ইন্নালিল্লাহে ……..রাজেউন)। আজ বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে তার মৃত্যু হয়। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।

এম আর খান (জন্ম: ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট) বাংলাদেশের প্রকজন প্রথিতযশা অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিশুবিশেষজ্ঞ। এম আর খান নামে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম মো. রফি খান। বাবা মা, প্রতিবেশী সকলের কাছে খোকা নামে বেশী পরিচিত ছিলেন তিনি। তিনি সরকার কর্তৃক দেশের জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন: এম আর খানের জন্ম ১৯২৮ সালের ১ আগস্টে সাতক্ষীরায়। বাবা আলহাজ্ব আব্দুল বারী খান, মা জায়েরা খানম। তাঁদের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ। মায়ের হাতে পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। এরপর রসুলপুর প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন। সাতক্ষীরা সদরের প্রাণনাথ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় (পিএন স্কুল)-এ ভর্তি হন তিনি। পড়াশুনায় মেধাবী ছিলেন খুব। ছেলেবেলায় খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। রসুলপুর স্কুল টিম লিডার হিসেবে তিনি ১৩টি ট্রফি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে এ স্কুল থেকেই কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মেট্রিক পাস করার পর তিনি কলকাতায় যান। ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৯৪৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর ১৯৫৬ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান এবং বৃটেনের এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন-এ ভর্তি হন। সেখান থেকে একই সালে ডিপ্লোমা ইন ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (ডিটিএমএন্ডএইচ) ডিগ্রী লাভ করেন। স্কুল অব মেডিসিন লন্ডন থেকে তিনি ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড হেলথ (ডিসিএইচ) ডিগ্রিও লাভ করেন। ১৯৬২ সালে ‘এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান’ থেকে তিনি এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ফেলো অব কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (এফসিপিএস) এবং ১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ থেকে ফেলো অব রয়েল কলেজ অ্যান্ড ফিজিশিয়ানস (এফআরসিপি) ডিগ্রি লাভ করেন।

পরিবার: রসুলপুর গ্রামের মেয়ে এম আর খানের দূর সম্পর্কের আত্মীয় আনোয়ারা বেগম আনুর সাথে ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আনোয়ারা বেগম ও ডা. এম আর খান দম্পতির একমাত্র মেয়ের নাম দৌলতুন্নেসা (ম্যান্ডি)।

কর্মজীবন: ১৯৫২ সালে কলিকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন এম আর খান। উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৬ সালে তিনি সস্ত্রীক বিদেশে পাড়ি জমান। বিদেশে পড়াশুনা শেষ করে তিনি ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার কেন্ট এবং এডিনবার্গ গ্রুপ হাসপাতালে যথাক্রমে সহকারী রেজিস্টার ও রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর অব মেডিসিন পদে যোগ দেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিশুস্বাস্থ্য) পদে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে যোগ দেন এবং এক বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ১৯৭০ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে তিনি ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর)-এর অধ্যাপক ও ১৯৭৩ সালে এই ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের নভেম্বরে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে অধ্যাপক ও পরিচালকের পদে যোগদান করেন। একই বছরে পুনরায় তিনি আইপিজিএমআর-এর শিশু বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে অধ্যাপক ডা. এম আর খান তাঁর সুদীর্ঘ চাকুরী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

পুরস্কার প্রদান: পেনশনের টাকা দিয়ে মা ও শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট থেকে শিশু স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অনুদান, হাসপাতাল ও স্কুল প্রতিষ্ঠা, মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে ভালো অবদানের জন্য দেয়া হয় ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক। ২০১১ সালে এ স্বর্ণপদক পেয়েছেন কমিউনিটি মাদার এ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এখলাসুর রহমান।

পুরস্কার: শিক্ষা, চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দুর্গত অসহায় মানুষের সেবাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ডা. এম আর খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী স্বর্ণপদক দেয়। এর পর তিনি স্বাধীনতা পদকও লাভ করেন।

তার মৃত্যুতে ডেইলি সাতক্ষীলা পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

prothom-alo-1-largeনিজস্ব প্রতিবেদক : শুধু একটি পত্রিকা নয়, প্রথমআলো একটি আন্দোলনের নাম। এই আন্দোলন মাদকের বিরুদ্ধে, এই আন্দোলন এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, এই আন্দোলন সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশের মধ্যদিয়ে প্রথমআলো ৫৫ লক্ষ পাঠকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। শনিবার সকাল দশটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র জগতে প্রথম আলো সকলের অনুসরণীয় উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের প ্রতিটি মানুষের জীবনে ১৮ নেমে আসুক। আঠারো হলো প্রতিটি ক্ষেত্রে তারুণ্য ও উদ্দীপনার জম্ম দেয়। ‘প্রথম আলো’ পাঠকদের হৃদয়ে বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।  বস্তুনিষ্ঠতার কারণেই প্রথমআলো সকলের কাছে প্রিয়। যেকোন সংবাদ যাচাইয়ে প্রথম আলো না দেখলে আশ্বস্ত হওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে প্রথমআলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরদ্ধেও প্রথম আলোর অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ  লিয়াকত পারভেজ, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, সাতক্ষীরা ঘাতক দালার নিমূল কমিটি সভাপতি হাফিজুর রহমান, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক-ই-এলাহি, বেসরকারি সংস্থা স্বদেশের পরিচালক মাধব দত্ত, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি ও সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি রাশিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের গান পরিবেশন করেন, ইন্দ্রজিৎ সাধু, জেসমিন নাহার  ও অতীশ দাশ। প্রতিকুল আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সুশলী সমাজ, সাংবাদিক, শিক্ষক, অ্যাডভোকেট, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, পাঠক ও শুভনাধ্যায়ীদের   সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। পরে সকালের উপস্থিতিতে অতিথিবৃন্দ ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন। উল্লেখ্য, সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। ১১টা ১৮মিনিটে ১৮ পাউন্ড কেক কাটা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অনলাইন ডেস্ক: জানুয়ারিতে নাসিরনগরে দুটি কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে এবং ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্0e0c44b7f1a75e24ad789d5924891368-581c99d0a54a6থীদের বিরুদ্ধে কাজ করে সমালোচিত হওয়ার পর, এবার হিন্দু সম্প্রদায়কে গালি দিয়ে নিন্দিত হলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক। হিন্দু সম্প্রদায়দের উদ্দেশে ‘মালাউন’ বলার প্রতিবাদে মুখর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় সমাজের নানা স্তরের মানুষ মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি বলে মনে করছেন। তারা জানতে চেয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়কে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে এখনও পর্যন্ত ছায়েদুলের মন্ত্রীত্ব কিভাবে টিকে আছে। ফেসবুকে বিশিষ্টজনেরা অবিলম্বে মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে নাসিরনগরের ডাকবাংলোতে স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতাদের উদ্দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক ‘‘মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। আর এ ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে অতিরঞ্জিত করেছেন সাংবাদিকরা। অথচ ঘটনা কিছুই নয়’’-এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে ঢাকার কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। গত ৩ নভেম্বর ঢাকার দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় থাকতে একজন মন্ত্রী হিন্দুদের নিয়ে এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য কিভাবে করলেন? এতে জাতি বিস্মিত।’

গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘গণমাধ্যমে সরাসরি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ‘মালাউনের বাচ্চা’ বলার পরও কিভাবে ছায়েদুল হক মন্ত্রী থাকেন, এটা আমার বোধগম্য নয়। অবিলম্বে এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আজ আওয়ামী লীগের জায়গায় যদি বিএনপি-জামাতের কোনও নেতা প্রকাশ্যে এভাবে ‘মালাউন’ শব্দটি ব্যবহার করতো, তাহলে সারাদেশে তোলপাড় হয়ে যেতো। গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীরা তুলকালাম কাণ্ড করে ফেলতেন! অথচ এই ঘৃণ্য অপরাধের পরও সবাই একদম চুপ। কারণ, তিনি আওয়ামী লীগ, কী বললে আবার কী হয়ে যায়! এক দেশে দুই নিয়ম চলবে না। এই জঘন্য সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীকে মন্ত্রিসভায় রাখলে আওয়ামী লীগকে স্বীকার করে নিতে হবে, তারা একটা সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। আর তা না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কথা পরিষ্কার।’

সিনিয়র সাংবাদিক বুলবুল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মেঘ সাদা, আকাশ ঝরছে, গুমরে কাঁদছে বাংলাদেশ; অশ্রু-জলে ভিজছে নাসিরনগর, পোড়া বসতভিটের অনল থামে কী তাতে…।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest