সর্বশেষ সংবাদ-
ইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণ

ফিচার: বিয়ে হয়েছে তার মানে এই নয় যে, কোনো বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে মতের অমিল হতে পারবে না। দুজন মানুষের ভালোলাগা-মন্দলাগা হুট করেই তো আর বদলে ফেলা যায় না। তাই সব জায়গাতেই যে দুজনের মতের মিল থাকতে হবে, এটা ভাবা ঠিক না। তবে এটাও ঠিক যে, মতের মিলের অভাবের কারণেই সম্পর্কের ওপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই আগে বুঝতে হবে কোন বিষয়গুলোতে অসম্মতি জানালে সম্পর্কের কোনো অবনতি হবে না। এ ক্ষেত্রে আইডিভা ওয়েবসাইটের এই তালিকা আপনাকে সাহায্য করবে। ১. হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আপনারা যদি একই ধরনের বই পড়তে পছন্দ করেন, তাহলে এ বিষয়ে কথা বলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন। তাই বলে সঙ্গীর পছন্দ, এ কারণে তার বাছাইকৃত বই আপনাকে বাধ্য হয়ে পড়তে হবে এমনটা ভাবা ঠিক না। আপনি আপনার ইচ্ছামতো পছন্দের লেখকের বই পড়ুন। এ বিষয়ে আপনার অসম্মতি খুবই স্বাভাবিক। ২. টিভিতে কোনো রিয়েলিটি শো বা সিনেমা বাধ্য হয়ে সঙ্গীর পছন্দের কারণে আপনাকেও দেখতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার সেই অনুষ্ঠান ভালো নাও লাগতে পারে। এখানে অসম্মতি জানালে আপনাদের সম্পর্কের খুব একটা অবনতি হবে না। ৩. সঙ্গী যদি আপনার বন্ধুদের বদলে ফেলতে বলে, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনি অসম্মতি জানাবেন। কারণ, আপনার বন্ধুরা বহুদিন ধরে আপনার জীবনে রয়েছে। নতুন একজন মানুষের জন্য পুরোনো সবাইকে ভুলে যাবেন, এটা কি হয়? ৪. একজন আরেকজনের পরিবার সম্বন্ধে কী ধারণা রাখেন, এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সঙ্গীর পরিবারের মানুষকে সম্মান দেন, তাহলে সঙ্গীরও উচিত আপনার পরিবারের মানুষকে সম্মান করা। সে যদি আপনার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর কোনো কথা বলে, তাহলে এ বিষয়ে অবশ্যই তার সঙ্গে অসম্মতি জানাবেন। ৫. অবসরে আপনি কী করবেন, এটা নিশ্চয়ই সঙ্গী ঠিক করে দেবে না। এ বিষয়ে সঙ্গী যদি কোনোরকম নিজের পছন্দ আপনার ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে অবশ্যই অসম্মতি জানাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনেদন ডেস্ক: আত্মজীবনীতে কাজল ও শাহরুখের সঙ্গে বন্ধুত্বে ফাটল কিংবা নিজের যৌনজীবন নিয়ে কথা বলতে বলিউডের পরিচালক করণ জোহর একবিন্দুও দ্বিধায় ভোগেননি। অপ্রকাশিত আত্মজীবনী বইতে তাঁর বর্তমানের বন্ধু কারিনা কাপুরের সঙ্গে ২০০২ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন অকপটে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে। করণ জোহর তাঁর আত্মজীবনী ‘অ্যান আনস্যুটেবল বয়’-এ প্রকাশ করেছেন যে, কারিনা ও তিনি একে অন্যের সঙ্গে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কথা বলেননি।  ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর এই পরিচালক তাঁর বইতে আরো লিখেছেন, ‘আমার প্রথম সমস্যা হয় কারিনার সঙ্গে। সে কাজ করার জন্য আমার কাছে অনেক বেশি টাকা চায় এবং এ কারণে সে সময় আমাদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। কুনাল কোহলি পরিচালিত ‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ তখন সবেমাত্র মুক্তি পেয়েছিল। কারিনা তখন বলেছিল, আদিত্য চোপড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট কুনাল কোহলির কারণে ছবিটা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। তাই করণ জোহরের অ্যাসিস্ট্যান্ট নিখিল আদভিসকেও বিশ্বাস করতে পারছি না।’৪৪ বছরের এই পরিচালক ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে লেখেন, “‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ ছবিটি মুক্তির পর আমি কারিনাকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে কাজ করার জন্য বলেছিলাম এবং সে সময় শাহরুখকে যত টাকা দিই, ঠিক সেই পরিমাণ টাকাই সে চেয়েছিল। আমি তখন তাঁকে দুঃখিত বলেছিলাম।” কারিনার এই অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে করণ জোহর খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। আর এ কারণেই তাঁরা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কেন করণ জোহর প্রীতি জিনতাকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে নিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আমি খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন আমি আলোচনার রুম থেকে বের হয়ে এসেছিলাম এবং কারিনাকে ফোন করেছিলাম। সে আমার ফোন ধরেনি। আমি বাবাকে বললাম, আমরা কারিনাকে নিচ্ছি না। আর ওর পরিবর্তে প্রীতি জিনতাকে নিয়েছি। কারিনা ও আমি প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় কথা বলিনি। এই সময়টাতে আমাদের শুধু পার্টিতেই দেখা হতো। এটা খুবই বোকার মতো আচরণ ছিল। সে একটা বাচ্চা মেয়ে, সে আমার চেয়ে ১০ বছরেরও বেশি ছোট।’ করণ আরো লেখেন, “আমরা নভেম্বরে ‘কাল হো না হো’ মুক্তি দিয়েছিলাম। জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আমরা শুটিং করেছিলাম এবং আমাকে গানের শুটিং করতে হয়েছিল, প্রোমো তৈরি করতে হয়েছিল এবং আরো অনেক কিছু। …তখন আমার বাবা নিউইয়র্কে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। ওই সময় কারিনা আমাকে ফোন করেছিল। তখন আগস্ট মাস। নয় মাস ধরে আমাদের মধ্যে কথা হয়নি। সে আমাকে ফোন দিয়ে বলল, আমি ইয়াশ আঙ্কেলের কথা শুনলাম। সে ফোনে খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল এবং বলল—আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং আমি খুবই দুঃখিত যে আমি দূরে ছিলাম, চিন্তা করো না।’ বলিউডে সদ্য মা হওয়া এই অভিনেত্রী এবং এই পরিচালক একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে, যার মধ্যে ‘গোরি তেরে পেয়ার মেয়’, ‘বোম্বে টকিজ’, ‘উই আর ফ্যামিলি’, ‘এক ম্যায় অর এক তু’ ও ‘কুরবান’ উল্লেখযোগ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rrrrrrrrrrrrপ্রেস বিজ্ঞপ্তি: আমার স্বামীর দোকানসহ পাশাপাশি দুটি দোকানে চুরি হয়েছে। চোরচক্র বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। আমি মামলার এজাহার দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি। অথচ আমাদের প্রতিবেশি নিউ আধুনিক জুয়েলার্সে চুরির মামলাটি নিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের তুফান মোড় রাধানগরের অদ্রি জুয়েলার্সের মালিক গ্রেফতারকৃত গোপী শংকর দের স্ত্রী লীনা বিশ্বাস দে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বজন মাখন লাল দে, সমীর কুমার দে, আনন্দ বর্মন, রাকেশ দে, শিক্ষক মো. আসাদুজ্জান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লীনা বিশ্বাস দে বলেন, গত ১২ জানুয়ারি রাতে আমার স্বামী গোপী শংকর দে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে আসেন। পরদিন শুক্রবার থাকায় আমার স্বামী দোকানে যান নি। শনিবার সকালে জানতে পারেন রাতের কোনো এক সময়ে আমার স্বামীর দোকান অদ্রি জুয়েলার্স ও পার্শ্ববর্তী নিউ আধুনিক জুয়েলার্সে চুরি হয়েছে। খবর পেয়ে আমার স্বামীসহ আমরা দোকানে যেয়ে দেখতে পাই  চোরচক্র আমাদের দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে সিন্ধুকের তালা ভেঙ্গে খরিদ্দারের  জন্য প্রস্তুত সাত ভরি ওজনের স্বর্নালংকার ও নগদ ১৪ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া পাশের দোকান নিউ জুয়েলার্সে ঢুকে চোরেরা বিভিন্ন ধরনের অলংকার চুরি করেছে বলে জানতে পারি।
সংবাদ সম্মেলনে লীনা বিশ্বাস দে জানান পুলিশ নৈশ প্রহরী ওলিকে আটক করে । আমার স্বামী গোপী শংকর দেকেও পুলিশ তুলে নেয়। এ সময় পুলিশ বলে গোপীকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান আজ রোববার আমার  নিরপরাধ স্বামীকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। লীনা বিশ্বাস দে আরও বলেন আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমি বাদী হয়ে আজ রোববার থানায় আমাদের দোকানে চুরির বিষয়ে একটি এজাহার দেই। কিন্তু  সদর থানার অফিসার ইন চার্জ আমার দেওয়া এজাহারটি গ্রহন করেনি নি। একই সাথে একই রাতে পাশাপাশি দুটি জুয়েলারি দোকানে চুরি হলো, পুলিশ একটির মামলা নিলো অথচ আমারটির মামলা নিলো না কেনো, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ন্যায় বিচার পাবার লক্ষ্যে লীনা বিশ্বাস দে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

03-1অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন র‍্যাবের সদস্য। মামলার শুরু থেকেই র‍্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক।

সাত খুনের মামলায় মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁরা হলেন চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর। কারাগারে থাকা বাকি আসামিরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তাঁর সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার ও মোর্তুজা জামান (চার্চিল)।

পলাতক আসামিরা হলেন করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান এবং নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের এক সভা রোববার বেলা ৩ টায় কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় । সভায় সভাপতিত্ব করেন,প্রধান র্নিবাচন কমিশনার এ্যাড.মো: সহিদুল ইসলাম (১) । এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. রঘুনাথ মন্ডল, এ্যাড.খায়রুল বদিউজ্জামান, এ্যাড. মো: আকবর আলি ও এ্যাড. কামরুন নাহার (ছবি)। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে নিম্মবর্ণিত তফসীল ঘোষনা করা হয় । ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী ২২ জানুয়ারী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৩ , ২৪ ও ২৫ জানুয়ারী খসড়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল, ২৯ জানুয়ারী ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কার্যকরি পরিষদের নিকট আপত্তি দাখিল ও নিষ্পত্তি, ৩০ জানুয়ারি চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র সরবরাহ, ২ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র দাখিল ও একই দিন মনোনয়নপত্র  যাচাই-বাছাই ও প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ,৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র গৃহীত না হলে তার বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল,৭ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বাতিল করলে কার্যকরি পরিষদের নিকট আপত্তি দাখিল ও নিষত্তি,৮ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার, ৯ ফেব্রুয়ারী চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরোতিহীনভাবে  ভোট গ্রহন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: দায়সারা পরিষেবা দিয়ে লোকসানে জর্জরিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কৌশলে পিডিবি’র ভৌগলিক অঞ্চল দখল করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্য তারা সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার তাদের পরিকল্পনা সফল করতে পেরেছে। অবশেষে বর্তমান সরকারের একটি আমলা চক্রকে ব্যবহার করে তারা পিডিবি’র অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলেছে। এমতাবস্থায় পিডিবি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কর্মহীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে সিবিএ। ওই ষড়যন্ত্রকারিদের হাত থেকে বাঁচতে হলে আন্দোলন অব্যহত রাখার পাশাপাশি গ্রাহকদের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পিডিবি কার্যালয়ের সামনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্যায় দাবির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন,পিডিবি’র পরিষেবার এলাকা কমিয়ে দিলে কর্মচারি ও কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বেকারত্ব বরণ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তারা। বক্তারা সরকারের কাছে এ সিদ্ধান্ত  প্রত্যাহারের দাবি জানান।  একইসাথে পল্লী বিদ্যুতের দাবি মানা হলে পিডিবি’র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে সরকারি পূর্ণ বেতনে কাজ দিতে হবে বলে দাবি করেন তারা। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে প্রতিদিন দু’ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।ওজোপাডিকো (রেজি ঃ ২১৩৮) সাতক্ষীরা শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠণের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস। বক্তব্য রাখেন সিবিএ সাতক্ষীরা শাখার কার্যকরি সভাপতি রুহুল আমিন মৃধা, পিডিবি’র সাতক্ষীরা অঞ্চলের উপসহকারি প্রকৌশলী জিএম লুৎফর রহমান, পিডিবি কর্মী মোস্তফা কামাল, গণেশ চন্দ্র হরি, ইয়াছিন আলী, মিজানুর রহমান, আব্দুল্লাহ, জাহিদুর রহমান, আবীদ হোসেন, আব্বাস আলী, নজরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম. এামুন আর রশীদ প্রমুখ। বিক্ষোভ শুরুর আগেই রোববার সকাল ৯টায় ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত পিডিবি কর্মচারি গোলাম মাওলার মৃত্যুতে শোক জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালায় ১৫ জানুয়ারি রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ফাজিল আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগ কমিটির সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তালা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোপীনাথ কুমার শীল’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পার্থ দে, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শিমুল মোড়ল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন, দফতর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,তালা আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু রায়হান, ইব্রাহিম, সাঈদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, তালা ফাজিল আলিয়া মাদ্রাসা একসময় শিবিরের ঘাঁটি ছিল। পরে ছাত্রলীগ সেখানে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। এরপর যদি আর কোনো অপশক্তি সেখানে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে ছাত্রলীগ তা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে। এ সময় তিনি আগামী ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর প্রতিনিধি: পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম বহির্ভুত বিদ্যুতের তার টানার কারণে হুমকির মুখে পরিবেশ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র সুরক্ষায় এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ ও বনাঞ্চলের অবদান অপরিসীম। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য দেশের আয়তনের এক – চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৫% বনভুমি থাকার কথা থাকলেও সরকারি মতে ১৭.৬২ ভাগ বনভুমি। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের নিয়মিত গাছ ছাটার কারনে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসছে বনায়নের শতাংশ। সরকার সহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভাবে  বনায়নের উদ্যোগ ও প্রকল্প গ্রহণ করছে অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ বনায়ন ধ্বংস করছে।একটি গাছ পাঁচ বছরে হিসাব মতে বায়ু দূষন থেকে রক্ষা করে ১০ লক্ষ টাকা, জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন দেয় যার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা, বৃষ্টির অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে বাঁচায় পাঁচ লক্ষ টাকা, মাটি ক্ষয়রোধ ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে যার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা, পাখি কাঠবিড়ালী এসব গাছ নির্ভর প্রাণীর খাদ্য আশ্রয় মূল্য প্রদান করে পাঁচ লক্ষ টাকা আসবাব পত্র, জ্বালানী কাঠ সহ ফল সরবরাহ করে পাঁচ লক্ষ টাকা, জীব জন্তুর খাদ্য যোগান দেয় ০.৪০ লক্ষ টাকা অর্থাৎ পাঁচ বছরে ৪০.৪০ লক্ষ টাকার উপকার করে একটি গাছ। কিন্ত প্রতিনিয়ত হাজার হাজার গাছ ধ্বংস করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিভিন্ন এলাকায় দেখলে দেখা যায় গাছ ছাটার নামে যেন গাছ নিধনের হলি খেলায় নেমেছেন তারা। শ্যামনগর সদরের প্রধান সড়কের পার্শ্বে ও গ্রামের মধ্যে দেখা যায় কিছু দিন পর পর পল্লী বিদ্যুতের গাছ ছাটার নামে চলছে গাছ নিধনের পায়তারা। শ্যামনগর সদরের বিভিন্ন মানষ অভিযোগ করে বলেন “আমরা অনেক কষ্ট করে গাছ রোপন করি কিন্তু গাছ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ছেটে দিয়ে যায়”। মুন্সিগঞ্জের আনিছুর রহমান জানান “আমাদের এখানে গাছ কেটে নেড়া করে দেওয়া হচ্ছে, কিন্ত  প্রতিবাদ করেও কাজ হচ্ছেনা” তাছাড়া মুন্সিগঞ্জ ট্রাস্ট ব্যাংকের সামনে একটি তাল গাছের দিকে দেখলে দেখা যায় গাছটি চেনার মত নেই ।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্যামনগর অফিস ইনচার্জ এর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন“নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তার জন্য আমরা গাছ কেটে থাকি”। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এখনি যদি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে অতি অচিরেই পরিবেশ ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়বে, সুতরাং প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র সুরক্ষায় এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে বিষয়টি সরকার এবং পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest