সর্বশেষ সংবাদ-
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনায় সরগরম দেবহাটাতালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন

42fc2da6e40ae068d7e63641cd4963cc-581ded3c5ec12অনলাইন ডেস্ক: পুষ্টিতে ভরপুর পালং শাক নিয়মিত রাখা চাই খাদ্য তালিকায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ভিটামিন এ, বি২, সি, ই, কে, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার ও প্রোটিন পাবেন এই একটি শাক থেকেই।

পালং শাক খেতে পারেন রান্না করে। আবার সালাদ, স্যুপ অথবা জুস করেও খাওয়া যায় মজাদার এই শাক। জেনে নিন সুস্থতার জন্য পালং শাক কেন জরুরি-

  • ফ্যাট ও কোলেস্টেরল মুক্ত পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি চুল, নখ ও ত্বকও ভালো রাখে।
  • পালং শাকে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা ব্রেনের সুস্থতায় কাজ করে।
  • পালং শাকে থাকা ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও বেটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রকে রোগমুক্ত রাখে।
  • পালং শাকে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান লিভার সুস্থ রাখে।
  • পালং শাক ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ভিটামিন কে হাড়ে শক্তিশালী রাখে।
  • চোখের সুস্থতায়ও পালং শাক অতুলনীয়।
  • পালং শাকে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

তথ্য: বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesঅনলাইন ডেস্ক: ৪ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বরের ম্যাচগুলোকে আগের সূচির ফাঁকা স্থানে বিন্যাস করা হয়েছে।

নতুন সূচি অনুযায়ী ৮ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডের ১৭ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর দলগুলো চট্টগ্রামে চলে যাবে। সেখানে ১৭ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে বাকি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকায় ফিরে আসবে দলগুলো। মিরপুরে হবে কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর ও ফাইনাল ম্যাচ।

৬ ডিসেম্বর হবে এলিমিনেটর। একইদিন সন্ধ্যায় হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। ৭ই নভেম্বর হবে ২য় কোয়ালিফায়ার। দুই কোয়ালিফায়ারের দুই বিজয়ী দল ৯ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে ফাইনালে। এবার ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।

বিপিএল চতুর্থ আসরের নতুন সূচি:

ঢাকা পর্ব-১

৮-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- চিটাগং ভাইকিংস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

সন্ধ্যা ৭ টা- ঢাকা ডাইনামাইটস ও বরিশাল বুলস

৯-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- খুলনা টাইটানস ও রাজশাহী কিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংস

১০-১১-২০১৬

সন্ধ্যা ৭ টা- রংপুর রাইডার্স  ও খুলনা টাইটানস

১১-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বরিশাল বুলস

সন্ধ্যা ৭ টা- ঢাকা ডাইনামাইটস ও রাজশাহী কিংস

১২-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- খুলনা টাইটানস ও চিটাগং ভাইকিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডাইনামাইটস

১৩-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইটানস

১৪-১১-২১৬

দুপুর ২ টা- বরিশাল বুলস ও চিটাগং ভাইকিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস

চট্টগ্রাম পর্ব:-

১৭-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডাইনামাইটস

সন্ধ্যা ৭ টা- বরিশাল বুলস ও রংপুর রাইডার্স

১৮-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- চিটাগং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স

১৯-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- ঢাকা ডাইনামাইটস ও খুলনা টাইটানস

সন্ধ্যা ৭ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংস

২০-১১-২০১৬

সন্ধ্যা ৭ টা-বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটানস

২১-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- ঢাকা ডাইনামাইটস ও রাজশাহী কিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চিটাগং ভাইকিংস

২২-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- খুলনা টাইটানস ও রংপুর রাইডার্স

সন্ধ্যা ৭ টা- বরিশাল বুলস ও চিটাগং ভাইকিংস

ঢাকা: পর্ব ২:-

২৫-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস

সন্ধ্যা ৭ টা- বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটানস

২৬-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা-  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডাইনামাইটস

সন্ধ্যা ৭ টা- খুলনা টাইটানস ও রাজশাহী কিংস

২৭-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা-  বরিশাল বুলস ও ঢাকা ডাইনামাইটস

সন্ধ্যা ৭ টা- রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংস

২৮-১১-২০১৬

সন্ধ্যা ৭ টা- রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস

২৯-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা-  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বরিশাল বুলস

সন্ধ্যা ৭ টা- খুলনা টাইটানস ও চিটাগং ভাইকিংস

৩০-১১-২০১৬

দুপুর ২ টা- রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডাইনামাইটস

সন্ধ্যা ৭ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংস

০১-১১-২০১৬

সন্ধ্যা ৭ টা- বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংস

২-১২-২০১৬

দুপুর ২ টা- খুলনা টাইটানস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

সন্ধ্যা ৭ টা- ঢাকা ডাইনামাইটস ও চিটাগং ভাইকিংস

৩-১২-২০১৬

দুপুর ২ টা- রংপুর রাইডার্স ও বরিশাল বুলস

সন্ধ্যা ৭ টা- রাজশাহী কিংস ও চিটাগং ভাইকিংস

৪-১২-২০১৬

দুপুর ২ টা- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স

সন্ধ্যা ৭ টা- ঢাকা ডাইনামাইটস ও খুলনা টাইটানস

৬-১২-২০১৬

দুপুর ২ টা-  এলিমিনেটর

সন্ধ্যা ৭ টা- প্রথম কোয়ালিফায়ার

৭-১২-২০১৬

সন্ধ্যা ৭ টা-  দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার

৯-১২-২০১৬

সন্ধ্যা ৭ টা- ফাইনাল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dfb5873e956e277e2f67b67623d8e494-581f32c1d62f1স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ধাপের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে মুস্তাফিজুরের। গত ১ নভেম্বর থেকে তিনি বোলিং শুরু করেছেন। রোববার তৃতীয় দিনের মতো বোলিং করেছেন এই কাটার মাস্টার।
শিষ্যের উন্নতি দেখে সন্তুষ্টি ঝরেছে কোর্টনি ওয়ালশের কণ্ঠে, ‘আজসহ তিনদিন হলো বোলিং করল মুস্তাফিজ। আবহাওয়ার কারণে আগের দিন তাকে বিশ্রাম নিতে হয়েছে। আজ আবার সে বোলিং করেছে। আমার কাছে মনে হয়ছে ওর কোনও সমস্যা নেই। কাঁধে কিছুটা অসাড়তা ছিল, তবে এটা তেমন কিছুই না। প্রতিদিনই সে এখন উন্নতি করার মধ্যে থাকবে। এই পর্যায়ে মুস্তাফিজ ৫০ ভাগ সামর্থ্য দিয়ে বোলিং করছে।’

রোববারই প্রথমবারের মতো মুস্তাফিজের সঙ্গে কাজ করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওয়ালশ, ‘আজ প্রথম তার সঙ্গে কাজ করেছি। আরও কয়েকটা দিন বোলিং দেখলে তার পুরো বিষয়টা আমি বুঝতে পারব। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে সে বেশ ভালো।’

আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর দুই ভাগে সিডনির উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বে ২২ জনের বাংলাদেশ দল। ওখানে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বিমান ধরবে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুস্তাফিজ খেলতে পারবে কিনা-বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান ওয়ালশ, ‘এতো আগেভাগে কিছুই বলা যাবে না। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার জন্য সবচেয়ে ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। আরও দুই দিন দেখার পর এ ব্যাপারে ভালো ধারণা দেওয়া সম্ভব হবে। আমি তার বর্তমান উন্নতি দেখে খুশি।’

মুস্তাফিজের অভিষেক হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজে তিনি না থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফিকে। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ফিরে আশাটা খুবই প্রয়োজন। ওয়ালশ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘সে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। পুরোপুরি ফিট হয়ে যেন খেলায় দ্রুত ফিরতে পারে সেদিকেই আমাদের নজর।’

আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেসারদের ভূমিকা তেমন দেখা না গেলেও নিউজিল্যান্ডে পেসারদের ভূমিকা দেখা যাবে মনে করেন ওয়ালশ, ‘ইংল্যান্ড সিরিজে আমাদের পেস বোলারদের তেমন কোনও সুযোগ ছিল না। এখানে আমাদের দলের মেধাবী পেসারদের নিয়ে আমি অনুপ্রাণিত। নিউজিল্যান্ডে হয়তো আমরা ভালো কিছু দেখতে পারব।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

57bb33f71dad65c5880fc897c1cd815e-581c49cdc2f5fঅনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। রবিবার এক টুইট বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ উদ্বেগের কথা জানান।

ওই টুইট বার্তায় সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, ‘আমি ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে হিন্দুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের বিষয়ে আমাদের (ভারতের) উদ্বেগের কথা জানাতে বলেছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের এক যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয় যা মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কলেজ মোড় এবং খেলার মাঠে একাধিক ইসলামি দলের নেতারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ তিন থেকে ৪শ’ লোক সংঘবদ্ধ হয়ে এ ঘটনার জন্য হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর চড়াও হয়। এসময় পুরো উপজেলা সদরের হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক পরিবার এবং তাদের মন্দিরের ওপর হামলা চালায় তারা।

অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীদের থামাতে পুলিশ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। পরে রাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কাজল দত্ত এবং নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় অজ্ঞাত ১২শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8fb407f889f83626f6446e58c0fdbbc3-clickডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান, দেশবরেণ্য শিশু চিকিৎসক ও সমাজসেবক জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের মরদেহ ঢাকা থেকে যশোর হয়ে সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছেছে। আর কিছুক্ষণ পর সকাল ১০টায় তার নামাযে জানাযা রসুলপুর ফুটবল মাঠ তথা রসুলপুর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাযা শেষে তাকে রসুলপুরস্থ পারিবারিক গোরস্থানে  পিতা-মাতার কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হবে।
গতকাল রবিবার রাতে তার মরদেহ ঢাকা থেকে যশোর এসে পৌছলে যশোর শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রবিবার সকাল থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিশু চিকিৎসক ও জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান গত শনিবার বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটেরোজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি শিশু চিকিৎসক হিসেবে তিনি নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
নিজ জন্মস্থান সাতক্ষীরার প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন, শিশু হসপিটালসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478486692অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল তদন্তে কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)।

এফবিআইয়ের পরিচালক জেমন কোমি মার্কিন কংগ্রেসকে বলেছেন, তাঁর সংস্থা নতুন কিছু খুঁজে পায়নি হিলারির ইমেইলে।

গত জুলাইয়ে কোমি জানিয়েছিলেন, হিলারি তাঁর ই-মেইল ব্যবহারের ব্যাপারে যত্নবান ছিলেন না। ব্যক্তিগত ইমেইলে তিনি সরকারি কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত মাসে কোমি কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে হিলারির বিরুদ্ধে নতুন করে ই-মেইল তদন্তের ব্যাপারে জানান। এর ফলে রিপাবলিকান দল মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ সুবিধা পান নির্বাচনী প্রচারণায়।

এদিকে, নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি। স্থানীয় সময় ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে ভোটগ্রহণ চলবে।

রোববার কংগ্রেসকে চিঠিতে কোমি বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমরা তাঁর কাছে আসা ও তাঁর কাছ থেকে যাওয়া সব যোগাযোগ নিরীক্ষা করেছি।’ এর ভিত্তিতে গত জুলাইয়ে আমরা যে উপসংহার টেনেছিলাম, সেটা থেকে আলাদা কোনো তথ্য পাইনি।’

এদিকে, উড়োজাহাজে থাকা অবস্থায় হিলারির প্রচার দল জানিয়েছে, তদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে তারা নিশ্চিত ছিলেন।

হিলারির যোগাযোগ পরিচালক জেনিফার পালমিয়েরি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে, ব্যাপারটির সমাধান হয়েছে।’

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা টুইটে বলেছেন, ‘কোমি হয়তো ব্যাপক রাজনৈতিক চাপের মুখে এ রকম কথা বলেছেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

khan‘বিশ্রাম কাজের অঙ্গ একসাথে গাঁথা, নয়নের অঙ্গ যেমন নয়নের পাতা’। মাত্র কিছুদিন আগে নিজের জীবন চরিতে একথা লিখবার পর তিনিই বলেছেন ‘ কানাডা থেকে মেয়ে ডাকে , ডাকে নাতি নাতনিরা । সে সময় কই যে বিশ্রাম নেবো। বিশ্রাম নেবো একবারই। শেষ বিশ্রামের জায়গাটিও যে তৈরি হয়ে আছে’। একজন সফল মানুষের এই অভিব্যক্তি আমাদের কর্তব্য কাজের শিক্ষা দেয়। শিক্ষক হিসাবে তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসার।  ‘আজকের দিনের শিক্ষকরা যেমন ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের একগাদা বই চাপিয়ে দিয়ে বাড়িতে পড়ে সব লেখা ও পড়ার কাজ শেষ করে আসার  তাগিদ দেন। আমাদের সময়ে বই ছিল কম। সন্ধ্যায় পড়ালেখা।  সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে পড়ালেখা। এরপর দিবাভাগে স্কুলে শিক্ষকদের সান্নিধ্যে,  বাকি সময় কেটেছে খেলাধুলা আনন্দ ফুর্তি করে। এতেই আমাদের লেখাপড়া হয়ে যেতো। এখন তার উপদেশ ‘ শিশুদের  পিঠের ভারি ব্যাগ নামিয়ে নিন। অল্প সংখ্যক বই দিন , ওদের রিক্রিয়েশনের সুযোগ দিন । ওরা সুস্থ থাকবে’। বইয়ের ভারে ওদের কুঁজো করে ফেলবেন না।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এমআর খানের এই অভিব্যক্তি আমাদের সমাজকে নতুন করে গড়ে দিতে পারে। যেখানে শিশুরা হয়ে উঠবে  সুস্বাস্থ্যের অধিকারী । যেখানে শিশুরা তাদের সাধ্যমতো মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে। উপমহাদেশের কীর্তিমান পুর”ষ , আমাদের পরম শ্রদ্ধার পাত্র ডা. এমআর খান শিশু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের বেড়ে ওঠার পথ সৃষ্টি করেছেন। গ্রামের নাম রসুলপুর । এই রসুলপুর অগ্নিগর্ভ। ডা. এমআর খানের নানা উপমহাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিক , শিক্ষাবিদ, লেখক , সাংবাদিক  ও দৈনিক আজাদ এর সম্পাদক মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁর সান্নিধ্যের কারণে এই রসুলপুরে  এসেছেন বিদ্রোহী কাজী নজর”ল ইসলাম , সঙ্গীত স¤্রাট আব্বাসউদ্দিন আহমদসহ অনেকেই।
শিশুদের তিনি হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছেন। তাদের শারীরিক যন্ত্রণাকে নিজের যন্ত্রণা হিসাবে গ্রহন করেছেন। শিশু চিকিৎসায় পথিকৃৎ হয়ে আছেন তিনি। ১৯৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করে নিজ গ্রাম রসুলপুরে আসার পর মেডিকেল প্রাকটিস শুর” করেন তিনি। তার প্রতিবারের কনসালটেন্সি ফি ছিল চার টাকা। দরিদ্র হলে দুই টাকা অথবা ফ্রি। ডাক্তারি বিদ্যাকে তিনি মানব সেবার কমিটমেন্ট বা অঙ্গিকার হিসাবে দেখেছেন। গ্রামে তখন ডাক্তার মিলতো না।  শহরেও প্রায় একই অবস্থা। তার সময়ে কেবলমাত্র ফিজিশিয়ান নয় , একই সাথে সার্জন,আই স্পেশালিস্ট, অর্থোপেডিক সার্জন সবার কাজ করতে হয়েছে। তিনি রোগীর দাঁত তুলেছেন। দাঁত ও মাড়ির চিকিৎসা দিয়েছেন। হাড়ভাঙ্গা এমনকি গাইনোকোলজিস্ট/ অবস্ট্রাকটিশিয়ান এর ভূমিকায় ডেলিভারিও করাতে হয়েছে তাকে। ডা. এমআর খান চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিতদের এবাবেই নানামুখী  শিক্ষা দিয়েছেন। রোগীর কল পেয়ে গ্রাম গ্রামান্তরে যেতে হতো তাকে।  ১৯৫৪ সালে আট মাইল দুরের এক রোগীর কল পেয়ে তার কম্পাউন্ডারের মাধ্যমে আট টাকা ফি রফা করেন।  বাই সাইকেলে চেপে ১৬ মাইল রাস্তা যাতায়াত করে রোগী দেখে তার বাড়িতে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে রোগীকে শেষ পর্যবেক্ষন করে ফিরে আসছিলেন তিনি। এসময় তার দেয় ফি আট টাকার স্থলে রোগীর স্বজনরা কমপাউন্ডারের হাতে দুই টাকা দেন। কমপাউন্ডার তা নিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। ডা. খান তাকে নিবৃত্ত করে বলেন তারা গরিব মানুষ। বরং ওই দুই টাকা ফিরিয়ে দিন। ডা.  খান এর মধ্য দিয়ে তার মহানুভবতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে ডা. এমআর খান আইপিজিএমআর ( বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে অবসর গ্রহন শেষে তাকে দেওয়া বিদায় সংবর্ধনার জবাবে বলেন ‘ তোমাদের প্রতি আমার দুটি কথা। তোমরা  রোগীর কি রোগ, কতোদিনে সারতে পারে , আদৌ সারবে কিনা, চিকিৎসায় কি কি সমস্যা এসব কোনো কিছু না জানিয়ে রোগী ও স্বজনদের অন্ধকরে  রেখে থাকো।  এতে চিকিৎসা কার্যক্রম সংকটময় হয়। তাদের ভালোভাবে জানতে না দিয়ে ডাক্তার নিজেকে বিশেষজ্ঞ ভাবেন । মনে করেন তাদেরকে বলে কি লাভ । তারা তো বুঝবে না। এই মানসিকতা ত্যাগ করো। রোগীর শারীরিক প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরো। তাদের সাথে খোলামেলা হও। চিকিৎসা সহজ হবে। রোগী সুস্থ হলে তো কথাই নেই । না হলেও স্বজনরা তোর প্রতি রাগান্বিত হবে না’।
শিশু চিকিৎসায় পথিকৃৎ  ডা. এমআর খান তার ‘জীবনের জলছবি’ তে লিখেছেন  ‘১৯৭১ এ অবর”দ্ধ বাংলাদেশে পাকহানাদার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন ও গনহত্যাযজ্ঞের  ভয়ংকর দিনগুলির মধ্যে  গৃহবন্দী থাকা  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে চিকিৎসা দিয়েছিলেন ডা.এমআর খান’। সেদিনের সেই স্মৃতি  তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ ও শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উদ্বোধন করতে এসে বলেন ‘ ৭১ এর সেই বিপজ্জনক দিনে আপনি আমার ছেলে জয়এর চিকিৎসা করার সাহস দেখিয়ে চিকিৎসক হিসাবে মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সেই দিনটাকে কিন্তু আমি ভুলিনি’। পাকিস্তানিদের কড়া সামরিক বেষ্টনীতে থাকা অবস্থায় জয়কে চিকিৎসা দিয়ে তিন প্রমান করেছেন রোগীর চিকিৎসাই প্রথম। তিনি সব ভয়কে তুচ্ছ জ্ঞান করে প্রমান করেছেন চিকিৎসা মানব সেবার জন্য। এ ঘটনা থেকে ডাক্তাররা শিক্ষা নিতে পারেন যে সেবাই ধর্ম। ডা. এমআর খান শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন গড়ে ভেবে নেন মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রামের কথা। ১৯৯৩ সালে কেবলমাত্র মহিলা সদস্যদের নিয়ে তিনি শুর” করেন এই প্রোগ্রাম। মহিলারা ধান থেকে চাল বানিয়ে বিক্রি, সবজি ব্যবসা, মুড়ি বানিয়ে বিক্রি, মুদি দোকান, মাছের ব্যবসা, সেলাই মেশিন, গাভীর দুধ, হাঁস মুরগি পালন, বাঁশ বেত দিয়ে কুটির শিল্প , তাঁত শিল্প, কার”শিল্প, চুন বানানো , মিষ্টির দোকানসহ নানা ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে সক্ষম হন। কয়েক হাজার নারী সদস্য এভাবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন ডা. এমআর খানের বদৌলতে। নিজ গ্রাম রসুলপুরে ভোকেশনাল ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট গড়ে তুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষায় অগনিত বেকার ও সামান্য লেখাপড়া জানা যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। সেখানে লেদ মেশিন, কার্পেটির্ং,লাইট ইঞ্জিন, টেইলারিং,ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স,কমপিউটার, রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। বাড়ির লাগোয়া রসুলপুর হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করে তিনি শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে তুলে নিয়েছেন। ঘরে ঘরে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। যারা চিকিৎসার জন্য বেশি টাকা দিতে পারেন না, যারা ঠিক মতো চিকিৎসা পান না, যারা হাসপাতালে সিট পান না তাদের নিয়ে ভেবেছিলেন তিনি।  ১৯৮৮ সালে তিনি তাদের জন্যই গড়ে তালেন সেন্ট্রাল হাসপাতাল। তিনিই গড়েছেন বাংলাদেশে প্রথম মহিলা মেডিকেল কলেজ ও  হাসপাতাল।  মহিলাদের চিকিৎসা যারা মহিলাদের দিয়েই করাতে চান তাদের জন্য এই কলেজ ও হাসপাতাল একটি বড় প্রাপ্তি। শিশু স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে ডা. এমআর খান ও আনোয়ারা খান ট্রাস্ট গঠন করেন তিনি। শিশুদের কল্যাণে নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় গড়ে তোলা এই ট্রাস্টের  বৃত্তি নিয়ে গরিব ও মেধাবীরা লেখাপড়া করছে। মায়ের স্বাস্থ্য , শিক্ষা ও আত্মকর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
ডা. এমএর খানের দিনের শুর” হয়  ভোর ৫টায়। ফজরের নামাজ পড়া। বাড়ির ছাদে উঠে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করা। এরপর  কাক শালিক চড়–ই দোয়েল পাখিদের জন্য পানি ঢেলে রাখা। তিনি ও তার স্ত্রী নিয়মিত খাবার দিতেন তাদের। নিয়মিত রোগী দেখা তার র”টিন ওয়ার্ক। মাঝে মাঝে সমাজসেবামূলক কাজ করা।  ১৯৮৪ সালে ঢাকায় কারফিউ চলছে। সেই কারফিউয়ের মধ্যে রাত ২ টায় কলিং বেল বাজিয়ে ডা. এমআর খানের বাড়িতে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী। গুর”তর অসুস্থ তার শিশুটিকে দেখে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন তিন্ ি।  ডা. এম আর খান  এতোটুকু বিরক্ত হননি। ভীষন শ্বসকষ্টে শিশুটি কষ্ট পাচ্ছিল। ডা. খান প্রেসক্রিপসন লিখে দিয়ে তাকে বলেন ‘ আমি না হয় দেখলাম । কিন্তু এতো রাতে কারফিউয়ের মধ্যে ওষুধ পাবেন কোথায়’। উত্তরে তিনি বলেন আপনার মতো একইভাবে কোনো ফার্মেসীওয়ালাকে জাগিয়ে তুলবো’। ডা. এমআর খান এ নিয়ে ভাবনায় পড়লেন। বললেন যারা গরিব তারা কি পারবেন এভাবে একজন ডাক্তারের সহায়তা নিতে। এই প্রশ্নের মধ্য দিয়ে তিনি গড়ে তোলেন বেগম সুফিয়া কামালের দেওয়া নাম ‘ নিবেদিতা হাসপাতাল’। যেখানে থাকবেন নিবেদিত প্রাণ ডাক্তার ও নিবেদিত প্রাণ নার্সরা। সাতক্ষীরায় শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তিনি সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। কারণ তিনি শিশু চিকিৎসার পথ উন্¥োচন করে গেছেন। সাতক্ষীরায় এলে  শিশু হাসপাতালে একবার যেতেই হাজারো রোগীর ভিড় হতো।সবাই জানেন ডা. অএমআর খান শিশুটিকে স্পর্শ করলেই সে সুস্থ হয়ে যাবে।  সেই দিনগুলি আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না কোনোদিন।
ডা.এমআর খান একটি জীবন্ত কিংবদন্তী। একটি ইতিহাস। জীবনের ৮৮ টি বছর যিনি পার করেছেন  শিক্ষা গ্রহন এবং  শিক্ষা ও সেবা দিয়েই। সহৃদয় ,মিষ্টভাষী, সদালাপী, সমাজহিতৈষী, শিশুবান্ধব এই মানুষটি তার সততা, একনিষ্ঠতা, উদারতা, আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও নিরন্তর সাধনা দিয়ে মানব সেবায় ব্রতী ছিলেন জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত। তিনি আজ লোকান্তরিত। তার বিকল্প কেবল তিনিই , এই বিশ্বাস নিয়েই তার স্মৃতি ও তার শিক্ষা গ্রহনই আমাদের পাথেয়। ২০১৫ সালের আগস্টে তিনি সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী এক মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন মাদক শিশুদের  শত্র”। সবার শত্র”। আপনার শিশু রক্ষায় মাদককে চিরতরে নির্বাসন দিন।
আর ১৯৮৮ সালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শুনিয়েছিলেন আরেক পরামর্শ। খাবার মেন্যুতে কমন থাকবে শাক, সবজি ,  ডাল, আর  ছোট মাছ । ডা. এমআর খানের মতো বিজ্ঞজনের এই পারামর্শ আমাদের জীবনকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে। আর শিশুদের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের সুরক্ষার পরামর্শ দিয়ে  এই শিশু বান্ধব  বুঝিয়েছেন সুস্থ শিশু , সুস্থ জাতি আমাদের সুখ শান্তি আর প্রগতির প্রধান দিক নির্দেশক।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কবিতার কয়েকটি লাইন দিয়ে তিনি শেষ করেছেন তার ‘জীবনের জলছবি’। ‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ণ এই বাটে, আমি বাইবোনা, আমি বাইবোনা মোর খেয়া তরী এই ঘাটে। ——-  তখন আমায় নাই বা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে, নাই বা আমায় ডাকলে’ ।
লেখক: সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

images
এমপি রবি’র শোক: আন্তর্জতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেজ্ঞ ডা. এম আর খনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি বলেন, বিশ্ববরেণ্য প্রথিতযশা মহনুভব সৃষ্টিশীল কর্মবীর ব্যক্তিত্বকে হারাল এই মহা চিকিৎসা বিজ্ঞানীকে। তাকে হারানোর বেদনায় আমরা মর্মাহত, বেদনাহত দেশের কোটি কোটি মানুষ। এই বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে হারানোর শুন্যতা কখনও পূরন হওয়ার নয়। ইউনানী মেডিক্যাল : বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. এম আর খান এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ ইউনানী মেডিক্যাল এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে, মহান আল্লাহর দরবারে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতিসমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মেডিকেল এসোসিয়েশনের বিইউএমএর প্রধান উপদেষ্টা সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, উপদেষ্টা ডাঃ আলহাজ্ব আবুল কালাম বাবলা, উপদেষ্টা হাকীম রাজু আহমেদ, শফিক উদ দৌলা সাগর, এড. আকবর আলী, সভাপতি হাকীম এম এ কাশেম শিকদার, সহ: সভাপতি হাকীম প্রভাষক মো: আজাদ মাহমুদ,  সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোঃ আমিরুল ইসলাম, সহ: সাধারণ সম্পাদক হাকীম মো: আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাকীম এম. এ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ হাকীম মো: আবুল কাশেম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাকীম জি এম মফিজুর রহমান সিদ্দিকি, দপ্তর সম্পাদক হাকীম জি এম জাহাঙ্গীর আলম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাকীম মোছা: সামছুন্নাহর, কার্যকরী সদস্য হাকীম মো: অব্দুল জলিল (লিটন), হাকীম রবিউল ইসলাম (ডালিম), হাকীম অধ্যাপক মো: গোলাম হাসান, হাকীম আলী হোসেন, হাকীম এরফান আলী মোড়ল, হাকীম কামরুল ইমলাম প্রমুখ। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। জেলা জাপা :  জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যানের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেন, সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদুর রহমান খালিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মঈনুর রশিদ, সহ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, আশিকুর রহমান বাপ্পি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ তপন, পৌর সভাপতি কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সাদেক, জেলা যুব সংহতির সভাপতি শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক কাইসারুজ্জামান হিমেল, নজরুল ইসলাম রাজু, বদরুজ্জামান বদু, শাহিনুর রহমান, সদস্য সচিব আকরামুল ইসলাম, ছাত্র সমাজ নেতা রাজ, সুমন, পাভেল, আকাশ, রুমি, বাবু, রিমনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ। তালা উপজেলা আ’লীগ : চলে গেলেন সাতক্ষীরা তথা বাংলাদশের খ্যাতিমান শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক ডা: এম আর খান শনিবার বিকালে ঢাকার সেন্টাল হাসপাতলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন, তার আত্মার শান্তি কামনা করে শোক জানিয়েছেন সাবেক এমপি আলহাজ্ব ইজ্ঞিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. মতিউর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলা,তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাতক্ষীরা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার, পাটকেলঘাটা কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খান, অধ্যাপক আব্দুল গফ্ফার, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক নাজমুল হক, অধ্যাপক সরদার নুরুল ইসলাম, কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ  লুৎফুন আরা জামান, উপাধ্যক্ষ শেখ সহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সরকারি কলেজ: বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। শোক বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ, উপাধ্যক্ষ দীনবন্ধু দেবনাথ, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। জেলা ছাত্র মৈত্রীর: সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন, জেলা শাখার সভাপতি প্রণয় সরকার, সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, সাংগঠনিক দেবাশীষ সরকারসহ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা বলেন, চলে গেলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান। যিনি রাসুলপুর তথা সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে এঁকে দিয়েছেন পরম কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, মহনুভবতা চিকিৎসার যাদুকরি ছোওয়ায়। তাকে হারিয়ে সাতক্ষীরাবাসী এক মহান ব্যক্তিকে হারিয়েছেন। জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি: সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোঃ মহিবুল্লাহ মোড়ল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড সাবীর হোসেন, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড সরদার রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মোড়ল, আব্দুর রউফ, স্বপন কুমার শীল, সুভাশিষ পাল, নাসরীন খান লিপি, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল সরকার প্রমুখ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest