সর্বশেষ সংবাদ-
খাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলী

বিনেদন ডেস্ক: পপতারকা জ্যানেট জ্যাকসন ৫০ বছর বয়সে প্রথমবার মা হলেন। মঙ্গলবার ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। এদিন সুখবরটি দিয়েছেন তার মুখপাত্র। অবশ্য তার জন্মস্থান জানানো হয়নি। জ্যানেট জ্যাকসন ও তার স্বামী উইস্যাম অ্যাল মানা তাদের ছেলের নাম রেখেছেন এইসা অ্যাল মানা। জ্যানেটের মুখপাত্র পিপল ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ‘পুত্রকে পৃথিবীতে স্বাগত জানিয়ে মা-বাবা উচ্ছ্বসিত। চাপমুক্ত আর সুস্থভাবে প্রসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছেন জ্যানেট। তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন।’ কাতারের ব্যবসায়ী উইস্যাম অ্যাল মানাকে ২০১২ সালে বিয়ে করেন জ্যানেট জ্যাকসন। পরিবারের স্বার্থে গত বছরের এপ্রিলে ‘আনব্রেকেবল’ শীর্ষক সংগীত সফর স্থগিত করেন তিনি। এরপর অক্টোবরে পিপল ম্যাগাজিনে তার গর্ভাবস্থার ছবি প্রকাশিত হয়।প্রয়াত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের ছোট বোন জ্যানেট এর আগে আরও দু’বার বিয়ে করেছিলেন। আশির দশকের মাঝামাঝি সৌল গায়ক জেমস ডিবার্জের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবন টিকেছিলো এক বছর। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ঘর করেছেন নৃত্যশিল্পী রেনে এলিজান্ডোর সঙ্গে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্রীড়া ডেস্ক: নেপিয়ারের এক রেস্তোরাঁয় বসে কথা হচ্ছিল তাসকিন আহমেদের সঙ্গে। মুখে সব সময় লেগে থাকা হাসিটা বাড়তি ঝিলিক দিচ্ছে যেন। ব্যাপারটা রহস্যময় নয়? পরদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেই দলে তাঁর না থাকার কথাই শোনা যাচ্ছিল তখন। তবু তাসকিন কেন এত হাসিখুশি!মনের মধ্যে যখন এই প্রশ্নের দৌড়ঝাঁপ, তাসকিন এই প্রতিবেদককে ফেলে দিলেন আরও বিস্ময়ের মধ্যে, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো ম্যাচেই খেলা হবে না…।’ অদ্ভুত ব্যাপার! দল হারছে বলে মানুষের কটু কথা শোনার ভয়ে ফেসবুকে দৃশ্যমান আনাগোনা কমিয়ে দিয়েছেন। এখন টি-টোয়েন্টিও না খেললে নিউজিল্যান্ডে তাসকিনের কাজটা কী? হতে পারেন একজন হাসিখুশি-উচ্ছল তরুণ, কিন্তু একটি সিরিজে কোনো ম্যাচই খেলা হবে না বুঝে যাওয়ার পরও ভেতরে ফুর্তির ভাবটা কীভাবে থাকে? খেলতে না হওয়ায় মানুষের এত আনন্দ!আসল কথা হলো, টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলার মধ্যেই লুকিয়ে তাসকিনের টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা। দলসূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হবে তাসকিনের। সেটা হতে পারে প্রথম অথবা দ্বিতীয় টেস্টে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে তাঁকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত সে কারণেই। অভিষেক টেস্টে যতটা সম্ভব তরতাজা তাসকিনকে চাইছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।তাসকিনের মধ্যেও নেই টি-টোয়েন্টি না খেলার হতাশা। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচেও যদি সত্যি সত্যিই দলে রাখা না হয়, তবু তাঁর মন খারাপ হবে বলে মনে হয় না। কিছু পেতে হলে কিছু ছাড়তে হয়, জীবনের এই থিওরি এরই মধ্যে বোঝা হয়ে গেছে। শারীরিক গড়ন, বলের গতি ও ধরন—সব মিলিয়ে একটা সময় পেসার তাসকিনের মধ্যে টেস্টে ভালো করার সম্ভাবনাই বেশি দেখেছে সবাই। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতে পাওয়া হাঁটুর চোটে সেটা দীর্ঘায়িত হলো অনেক। ২০১৪ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, এরপর দুটি বছর শুধু সতর্কতার কারণে তাঁকে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে দূরে রাখা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৩ সালের বিসিএলে। মাঝে হোম সিরিজের আগে বিদেশি দলগুলোর বিপক্ষে দু-একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের চাপ সে অর্থে দেওয়া হয়নি।তবে এখন নিজেকে টেস্ট খেলার মতো ফিট মনে করছেন তাসকিন। হাঁটুর পুরোনো চোট দীর্ঘদিন মাথা চাড়া না দেওয়ায় ফিজিও-চিকিত্সকদের দিক থেকেও বাধা নেই। সেই দুপুরে আড্ডার মধ্যেই বলছিলেন, ‘আমি তো চাই সব ধরনের ক্রিকেটে খেলতে। ইনশা আল্লাহ, অনেক ফিট এখন। খেলতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’ কিন্তু টেস্ট খেলার তো একটা আলাদা প্রস্তুতি লাগে। নিউজিল্যান্ডে এই কদিন সেটা নিলেও এমনিতে যে লাল বল থেকে দূরে দূরেই ছিলেন বরাবর! দেশের বাইরে টেস্ট অভিষেক হলে সবকিছুর সঙ্গে ঠিকভাবে মানিয়ে নিতে পারবেন তো?তাসকিনের কথা ভুল ভাঙাল। লাল বল হাতে কম নিলেও ওই জিনিসের ওপর তাঁর চোখ সব সময়ই ছিল, ‘সময় পেলেই ইউটিউবে স্টুয়ার্ট ব্রড, ডেল স্টেইনদের বোলিং দেখি। তাদের আট-দশ ওভারের স্পেলগুলো, বিধ্বংসী ডেলিভারি…এই সব। তাদের দেখে কিছু জিনিস বোঝার চেষ্টা করি।’ টেস্ট না খেললেও ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে খেলা হয়ে গেছে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সঙ্গে ইউটিউবের ফুটেজ আর টেলিভিশনে খেলা দেখে টেস্টের বোলিংটাও মোটামুটি বুঝে নিয়েছেন তাসকিন, ‘আমি যেটা বুঝি, টেস্টে একটানা ভালো বোলিং করে যাওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই স্ট্যামিনা এখন আমার আছে। সঙ্গে ভালো জায়গায় বল ফেলা, ভেরিয়েশন, সুইং করানো…এসবও লাগবে।’কথা বলার সময় হাত দিয়ে বল গ্রিপের শ্যাডো দেখাচ্ছিলেন। চোখ জোড়াও যেন রেস্তোরাঁর পাথরের মেঝেতে খুঁজে বেড়াচ্ছিল উইকেট। টেস্ট খেলার রোমাঞ্চের অপেক্ষা হয়তো এমনই। এ সময়টার অপেক্ষায় কত রাত-দিন কেটেছে, সেটা তাসকিনের চেয়ে ভালো আর কে জানেন? টেস্ট নিয়ে কথা এগোয়, আর কণ্ঠে আবেগ বাড়ে, ‘ছোটবেলায় সারা দিন মাঠে পড়ে থাকতাম। বাসা থেকে আব্বা-আম্মা গিয়ে আমাকে মাঠ থেকে তুলে আনতেন। আমার সেই প্রিয় সময়টা আবার আসছে…এখন আমি টানা পাঁচ দিন মাঠে থাকব। কেউ আমাকে নিতে আসবে না…।’অপেক্ষার ফল মধুর হয়। তাসকিনের জন্যও কথাটা সত্যি। তাঁর টেস্ট অভিষেকের সময় বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ শ উইকেট নেওয়া ক্যারিবীয় কিংবদন্তি খেলোয়াড়ি জীবনে কখনো চোট-আঘাতের সঙ্গে আপস করেননি। ওয়ালশকে যত দেখেন, ততই মুগ্ধ হন তাসকিন, ‘নেটে হেলে-দুলে এসে এখনো যে রকম বোলিং করেন, অবিশ্বাস্য! কী মারাত্মক সুইং, বল এখানে পড়ে ওখানে যায়। খেলা ছাড়ার এত দিন পর এই বয়সে কীভাবে পারেন বুঝি না।’ভয় নেই। ওয়ালশ যখন সঙ্গে আছেন, টেস্ট বোলিংয়ের সবই বুঝে যাবেন একটা সময়ে। তাসকিনকে লাল বলের আগাম অভিনন্দন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ppp-largeনিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়করণের আওতাভুক্ত কলেজের শিক্ষক হবেন শিক্ষা ক্যাডার বর্হিভুত এবং বেসরকারি কলেজ জাতীয় করণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী বিধিমালা প্রনয়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সরকারি  কলেজ  ইউনিটের আয়োজনে সরকারি কলেজের মূল ফলকের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লিয়াকত পারভেজ, কলেজ শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাহী সদস্য কাজী আসাদুল ইসলাম, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নাছরিন আক্তার লিপিসহ সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sam_4409-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ ও এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মশিউর রহমান বাবু’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার বছরের শুরুতে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অগামী প্রজন্মকে যুগপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার দেশকে নিরক্ষর মুক্ত করতে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে প্রায় ৩৪ কেটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। যা বিশ্বের কোথাও এমন নজির নেই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জি.এম নুর ইসলাম, ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডাঃ একরামুল ইসলাম, সীমান্ত কলেজের প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য গণেশ সরকার ও ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহসহ শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে। মোট ১শ’ ৬ জন শিক্ষার্থী জে.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯ জন এ প্লাস, ৬৩ জন এ গ্রেডসহ শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাহমুদুল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3333মীর খায়রুল আলম: দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে শীতকালীন অতিথি পাখি শিকারের উৎসব। শীতের তীব্রতায় ও খাদ্যের অভাবে বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উপজেলার বিভিন্ন বিল এলাকায় আসতে শুরু করেছে। আর সেই সুযোগে ঘিরে পাখি শিকারীরা সরকারি আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে পাখি শিকার করছে। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দ-ের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না। পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না, বরং ভারসাম্যও রক্ষা করে। পোকামাকড় খেয়ে এরা কৃষকের উপকার করে। কিন্তু আইন থাকলেও পাখি নিধন বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে দেশ থেকে নানা প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে। এতে একদিকে জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। এসব অতিথি পাখিগুলো ইয়ারগান, কাটিজ বন্দুক, ফাঁদ ও কিটনাশক দিয়ে নির্দিধায় শিকার চলছে যা প্রশাসন দেখেও যেনো দেখছে না। পাঁচপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতের সময়ে হরেক রকমের পাখিদেখে সকলের মন ভরে যায়। বিরল প্রজাতির এসব পাখি গুলো শিকার করেছে একশ্রেণির কুচক্রিমহল। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন পেশাদার পাখিশিকারি জানান, বাজারে পাখির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই কোনোমতে ধরতে পারলেই বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। প্রতি জোড়া সাদা বক ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কাইয়ুম পাখি ৩৫০ থেকে ৪০০ ও বালিহাঁস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া মাংশ ভেদে পাখির দাম নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে, উপজেলার ঘলঘলিয়া, ভাতশালা, সখিপুর, সুবর্ণবাদ, চারকুনি, নোঁড়া, খলিসাখালি, চালতেতলাসহ বিভিন্ন বিল এলাকাগুলোতে প্রতিদিন এসব অতিথি পাখিগুলো শিকারীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে। এসকল পাখির মধ্যে বকধনু, সাইবেরিয়ান হাঁস, মানিকজোড়, শারোস, আয়ালান্ডের পাখি, বিলপেঁচাসহ দেশি ও বিদেশী পাখি বিল এলাকায় খাদ্য সংগ্রহের জন্য বিচরণ করে থাকে। ঠিক তখনি পাখি শিকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাখি শিকার করে। পরে অনেকেই বাজারে বিক্রি ও পরিবারের মাংস হিসাবে রান্না করে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এসব বিদেশী পাখি গোপনে বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উপজেলার ঘলঘলিয়া, দেবহাটা, সখিপুর, পারুলিয়া এলাকায় পাখি শিকারের প্রকোপ বেশি। শিকারিরা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছে এবং ক্রেতা পেলেই বিক্রয় করে দিচ্ছে। এসব পাখি শিকার রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন সচেতনমহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি(কালিগঞ্জ) : কালিগঞ্জে এক মাছ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে টাকা ছিনতাইকালে জনতা দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের উজায়মারী গ্রামের মৃত বাবর আলী কারিকরের ছেলে। ছিনতাইকারীর হামলায় গুরুতর আহত ওই মাছ ব্যবসায়ী  আব্দুল্লাহ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী ও থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিগঞ্জের খাঁনবাহাদুর আহছান উল্লা (রহঃ) সেতুর নিচে অবস্থিত ‘সাথী ফিস’ এর মালিক পিয়ার আলীর ছোট ভাই বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ কারিকর প্রতিদিনের ন্যায় সাথী ফিস্ থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দুদলী চরের বিল তৈয়েবের বাড়ির ভাগাড় নামক স্থানে পৌছালে মৌতলা ইউনিয়নের নরহরকাটি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ও মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ মাহমুদুল হাসান মুন্না (১৬) ও মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের হযরত আলী গাজীর ছেলে ট্রাকের হেলপার হাবিব গাজী (১৬) মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ কারিকরের পথরোধ করে। এসময় ওই দুই ছিনতাইকারী আব্দুল্যাহ কারিকরের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা ৫২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে এবং ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করে। তারা আহত অবস্থায় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ কারিকরকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উত্তেজিত জনতা ওই দুই ছিনতাইকারীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনুরুজ্জামান মনোয়ারের মাধ্যমে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কার জায়াদুল হক বলেন এ ঘটনায় আব্দুল্লার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a_002আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে বুধবার ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। ৭.৩০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। ১০.৩০ টায় আওয়ামলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক চত্বরে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির সুমনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান বিপুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, ঢালী সামছুল আলম, আছাদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মন্টু, আক্তারুজ্জমান, সৈনিকলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির রাসেল, রাকীব, আজম, বাবু, তোফায়েল, মিঠুন, রেজাউল, খায়রুল, প্রকাশ, বিদ্যুৎ, নাইম, লাবণ্য, মলয়, শামীম, আশীক, পাপ্পা, সৈয়দ, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসান, তরুনলীগ সভাপতি রবি, মোতাহার, কাজল, উপজেলা ছাত্রলীগের আমিরুল, শংকর, নিশান, রাজু, আনারুল, জহুরুল, শাহীন প্রমুখ। সবশেষে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kaligonj-ews-picকালিগঞ্জ ব্যুরো: প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কালিগঞ্জে কককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম কুমার লস্কারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি আদর্শের সংগঠণ, এই সংগঠণ ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ‘৫২ ভাষা আনন্দোলন, ‘৫৪ যুক্তফ্রন্ট, ‘৬৬ দফা, ‘৬৯ গনঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর শৈরাচার বিরোধী আনন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে অগ্রণি ভূমিকা পালন করে।  উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগে‘র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র মেহেদী হাসান সুমন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, তারালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবু, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত কুমার ঘোষ, মৌতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম শাহারিয়ার, নলতা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে কেককেটে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতা কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest