স্ব্যাস্থ্য ও জীবন : আঙুর খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছোট্ট এ ফল কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য। আঙুরে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, আয়রন সহ সুস্থতার জন্য জরুরি অনেক খাদ্য উপাদান। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, নিয়মিত আঙুর খেলে ছোট অসুখের পাশাপাশি ক্যানসারের মতো রোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব।
জেনে নিন আঙুর খাওয়া কেন জরুরি- আঙুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেলন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে আঙুর। আঙুরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যালার্জি জনিত কারণে সর্দি বা ঠা-া লাগা দেখা দিলে আঙুর খান। উপকার পাবেন।
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক সুন্দর রাখে আঙুর। নিয়মিত লাল আঙুর খেলে দূরে থাকতে পারবেন ব্রণ থেকেও।
হঠাৎ ক্ষুধা লাগলে জাঙ্ক ফুডের বদলে আঙুর খান। পুষ্টিকর আঙুর যেমন দ্রুত পেট ভরাতে সাহায্য করবে, তেমনি জাঙ্ক ফুডের আসক্তিও কমাবে।

স্বাস্থ্য ও জীবন : সুন্দর ঝলমলে চুল কার না পছন্দ! লম্বা, ঘন, সিল্কি চুল সবারই কাঙ্খিত থাকে। এর জন্য মাথার ত্বক ঠিক রাখার পাশাপাশি খাদ্য তালিকার প্রতি নজর দিতে হবে। সঠিক খাদ্যাভাস শরীরের ভেতর থেকে আপনাকে পুষ্টি যোগাবে। তাই সুন্দর চুল বা ত্বক যা-ই পেতে চান না কেন, এরজন্য খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত আমিষ, ভিটামিন এবং মিনারেলের যোগান থাকতে হবে। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে আমরা চুল বড় করার জন্য কী খাব? এই প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্য নিচের খাবারগুলোকে ফলো করুন।
কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্র্ণ গ্রামীণ পাকা সড়ক গুলোর মধ্যে কলারোয়া-টু-সরসকাটি এই সড়কটির বেহাল দশা চরমে উঠেছে। এই সড়কটি দেখার যেন কেউ নেই। কলারোয়া বাজার থেকে পশ্চিম দিকে বেত্রাবতী নদী পার হয়ে বামনখালী বাজার হয়ে সরসকাটি বাজার পর্যন্ত মোট ৯ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এই রাস্তার পার্শ্বে দুইটি ইট ভাটা থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ছে সাধারণ মানুষ। স্তপকৃত ইটভাটার মাটি রাস্তার উপর পড়ে হাটু কাদায় পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং-এর পাকা রাস্তা হলেও পিচের নমুনা ৯কিলোমিটরের মধ্যে প্রায় ৮কিলোমিটার নেই। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা বড় বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুই একটি নছিমন, ইজিবাইক ও ভ্যান উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ছোট খাটো সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্য নৈতিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি ও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। বেহাল দশা জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখনই সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগীতো বটেই জনদুর্ভোগের আর সীমা থাকবেনা। জরুরি এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ব্রিগ্রেডের গাড়ি যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছেনা। এদিকে কপোতাক্ষ নদের উপর সরসকাটি ব্রিজ হওয়ায় সড়কটি যশোর জেলার কেশেবপুর উপজেলার সাথে সংযুক্ত রয়েছে। বিধায় দুই উপজেলার প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ মানুষের কলারোয়া ও কেশবপুর যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সড়কটি। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনি শত শত ট্রাক, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল সহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এ মনকি কলারোয়া থেকে সরসকাটি পর্যন্ত রাস্তাটির দু’পাশে দুটি কলেজসহ কয়েকটি হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কয়েক’শ শিক্ষকসহ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর চলাচলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অল্প সময়ের পথ পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লাগছে। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে যান চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। তাই সড়কটি সংস্কার করা ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষসহ বিভিন্নœ এলাকার মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। একান্ত বাধ্য হয়ে যাতায়াত করলেও তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। রাস্তাটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়, কলারোয়া-টু-সরসকাটি সড়কে কলারোয়া পৌর সদরের বেত্রাবতী নদী পার হয়ে কলাগাছি মোড় হয়ে জালালাবাদ মোড় পর্যন্ত, হামিদপুর মোড় এলাকা, ভাই ভাই ইট ভাটা থেকে বামনখালী বাজার হয়ে বৈদ্যপুর মোড় পর্যন্ত এবং ওফাপুর মোড় থেকে সরসকাটি বাজারের ব্রীজের মাথা পর্যন্ত সড়কে খানা-খন্দক, গর্ত, ভাঙন এত বেশী পরিমান যে, যান চলাচল তো দুরের কথা হাঁটা চলাও ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, এই সড়কটিতে কয়েক বছরে সংস্কারের ছোয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ব্যস্ততম এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভীষণ কষ্টভোগ করতে হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা যখন কলারোয়া হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসে তখন রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের আকুতি মিনতি দেখে মনে হয় এ যেন দেখার কেউ নেই। ফলে জরুরিভিত্তিতে যাতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সাতক্ষীর-১ আসনের (তালা-কলারোয়া) এমপি এ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কলারোয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জানান, কলারোয়া-টু-সরসকাটি সড়কটি সড়ক বিভাগের আওতাধীন থাকায় সংস্কারের বিষয়টি এলজিইডির আওতায় আসে না। বিধায় সংস্কার করতে পারছেন না। তবে কলারোয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যাতে জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা হয় এমনটি আশা ভুক্তভোগী জনগনের সাথে তিনিও ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসীর কয়েকজন আক্ষেপ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, নদীর পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করলেও তারা যেন এ দৃশ্য দেখেও দেখেন না। তারা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : শ্যামনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমসহ ১৫ জনকে আটক করেছে। রোববার বিকাল ৪ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
হাসান হাদী : সাতক্ষীরায় মানবতাবিরোধী মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল্লাহহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা জনতা।
হাসান হাদী : মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে কয়েকজন সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) সহযোগিতা করছেন না। এ নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ করেছে তদন্ত সংস্থা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল(আইসিটি)’র তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মন্ত্রিপরিষদকে ডিসিদের অসহযোগিতার কথা বারবার অবগত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রাদেশিক নির্বাচনে ভারতের উত্তর প্রদেশে বিশাল জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। প্রদেশের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩২০টিরও বেশি দখল করে নিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় পুলিশের সাথে ’বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা বিদ্যুৎ বাছাড় ও তার সহযোগী তালহা নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ দুটি ওয়ান স্যুটারগান, চারটি ককটেল ও একটি রাম দা উদ্ধার করেছে।