সর্বশেষ সংবাদ-
খাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলী

3অনলাইন ডেস্ক: বিখ্যাত চকোলেট নির্মাতা সংস্থা ক্যাডবেরি তাদের সংস্থার চকোলেট সায়েন্টিস্ট হেইলি কার্টিসের জিভের ১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিমা করিয়েছে। সেই বিমার অর্থ টাকার হিসেবে প্রায় ৮ কোটি।

আসলে হেইলির টেস্ট বাডসের বিমা করিয়েছে সংস্থা। একটি বিখ্যাত বিমা সংস্থার থেকে এই বিমা করানো হয়েছে। বোর্নভিলে ক্যাডবেরির সদর দফতরে যে তিনশ জনের ইনোভেশন টিম রয়েছে, ওই তরুণী বিজ্ঞানী তারই অংশ।

ক্যাডবেরি বাজারে যে নতুন চকোলেট নিয়ে আসে, তার মধ্যে কী কী উপাদান কোন অনুপাতে থাকবে এবং ফাইনাল টেস্ট বা স্বাদ কেমন হবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব থাকে ওই ইনোভেশন টিমের ওপরে।

যেহেতু হেইলি সেসব নতুন চকোলেটের স্বাদ পরীক্ষা করে দেখেন, তাই তার জিভের টেস্ট বাডের বিমা করিয়ে রাখল ক্যাডবেরি। টাকার অংকে যে বিমার পরিমাণ ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার কিছু বেশি।

এই বিমার শর্ত অনুযায়ী, নিজের জিভের টেস্ট বাডের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ ওই বিজ্ঞানী করতে পারবেন না।

হেইলি নিজে বলেছেন, চকোলেট তৈরির পুরো পদ্ধতিই অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজের জিভের বিমা হয়ে যাওয়ার পরে আগামী দিনে আমি আর নতুন স্বাদের চকোলেট সৃষ্টির ওপরে মনোনিবেশ করতে পারব।

বিমা কর্তারা বলছেন, বিখ্যাত ফুটবলারদের কাছে তাদের পা যতটা দামি, ক্যাডবেরি সংস্থার কাছে টেস্ট বাড ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর বিমার মূল্য থেকেই বোঝা যায়, নিজের সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে নতুন স্বাদ সৃষ্টি করতে হেইলি কতটা ভালো কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

8স্পোর্টস ডেস্ক: বছরের শুরুটাই হলো হার দিয়ে। আসলে ওয়ানডে খারাপ করার কারণে এই দলটার ওপর একটা প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের ওপর। কিছু ব্যাটসম্যান রান পাচ্ছেন সত্য; কিন্তু ধারাবাহিকতা নেই তাদের। শুরুতে দ্রুত তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়াতে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাই। যদি আরও ১৫-২০ রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে অবশ্যই ভালো একটা পর্যায়ে যেতে পারতাম। কথাগুলো দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমের খোলা কলামে লিখেছেন আকরাম খান।

নিউজিল্যান্ডের বোলিংটাও বেশ ভালো হয়েছে। যেহেতু ওরা সেন্সর বোলিং করেছে সেহেতু ওরা জানে যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা কোথায়। এ কারণে দেখেছি তারা অধিকাংশ বলই শর্ট বল করেছে। কারণ তারা জানে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এতটা স্বাচ্ছন্দ্য না শর্ট বলে। এগুলো দিয়েই তারা আমাদের ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে দিয়েছে।

ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাগুলো খুঁজে খুঁজেই তারা প্ল্যান করে খেলতে নেমেছে। আমাদের চেয়ে তাদের প্ল্যানিং নিঃসন্দেহে অনেক ভালো। প্রশ্ন উঠেছে, আমরা কেন পারছি না এই দুর্বলতাগুলো ঢাকতে। এ ক্ষেত্রে আমি বলবো, নিউজিল্যান্ডে অনেক কিছুই আমাদের প্রতিপক্ষ। কন্ডিশন, উইকেটেও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যে ধরনের উইকেটে সাধারণত খেলে থাকি, সে উইকেটের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে। ওদের ফিল্ডিং দুর্দান্ত। যার কারণে আমাদের রানও অনেক কম হচ্ছে। এরপর ওরা বোলিংটাও করছে পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমাদের প্রতি ওভারে হয়তো দু’তিনটা বল ভালো হচ্ছে। আবার একটা দুইটা লেগ স্ট্যাম্পে পড়ছে। কিংবা হাফভলি দিয়ে দিচ্ছে।

আর ১৪১ রান কিন্তু এই উইকেট কিংবা এই মাঠে এতবড় স্কোর না। এই মাঠে এর চেয়েও অনেক বেশি রান ওঠে। টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে এসব মাঠে আগে ব্যাটিং করে অনেক বেশি রান তুলতে হবে। আমাদের টপ অর্ডার রান তুলতে পারেনি। এখানে বিশেষ করে আমি সৌম্যর কথা বলবো। টিম ম্যানেজমেন্ট তার প্রতি অনেক বেশি আস্থা দেখিয়ে ফেলেছে; কিন্তু সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারছে না সে।

এর কারণ আমার মনে হয়, সৌম্য নিজেই ভেঙে পড়েছে। তার এখন উচিৎ হবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে রানে ফেরা। এখন তাকে তার নিজের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ। তাকে পাঠিয়ে দেয়া প্রয়োজন ঘরোয়া ক্রিকেটে। এখানে খেলে খেলে রান করতে পারলেই কেবল তার আত্মবিশ্বাস ফিরবে। আমি নিজে মনে করি, সে ঘরোয়া ক্রিকেটটা খেললে খুব ভালো করবে। জাতীয় লিগ খেললে, হয়তো বা সেখানে রান করে, নাসিরের মত ফর্মে ফিরতে পারবে। সে যে লেভেলেই রান করুক না কেন, ব্যাটসম্যানরা রান পেলেই তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ooooooooooooooনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় গ্রাহকের বিনিয়োগকৃত অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল স্মরনীর হাসিনা ভিলায় তাদের ভাড়াকৃত অফিসে যেয়েকোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে না পেয়ে গ্রাহকরা সর্বশান্ত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের ডিভিশনাল কোঅর্ডিনেটর রেহেনা পারভীন জানান, মাসিক ২০ হাজার চার’শ বেতন দেয়ার কথা বলে আমাকে এখানে চাকুরি দেন এই কোম্পানীর এমডি আব্দুল ওহাব দুলাল। একইসাথে আমাকে দিয়ে নগদ ২৪ হাজার টাকার একটি পলিসিও খুলে নেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জীবনের বেকারত্ব ঘোচাতে অনেক কষ্ট করে সেখানে টাকা ইনভেষ্ট করি। একমাস চাকুরীও করেছি। কিন্তু কোন বেতনও পাই নাই। সকালে এসে দেখি এমডি আব্দুল ওহাব দুলাল, এএমডি রিতা আক্তারসহ এই জেলার বাইরে থেকে যারা এখানে চাকুরী করতেন তারা সবাই পালিয়ে গেছেন। গ্রাহকরা কাউকে না পেয়ে এ সময় বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় অনেক গ্রাহকরা অফিসের চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন ফার্নিচার নিয়ে চলে যান। গ্রাহকরা এ সময়  এমডি আব্দুল ওহাব দুলাল, এএমডি রিতা আক্তারসহ এই অর্থ আতœসাতের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে জানার জন্য ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের এমডি আব্দুল ওহাব দুলালের কাছে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। সাতক্ষীরার সদর থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

wwwwwwwসেলিম হায়দার, তালা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় জেঠুয়ায় কপোতাক্ষ নদী কাটা মেশিনবহনকারী একটি ট্রাক উল্টে পুকুরের পানিতে পড়ে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। বুধবার ভোর চারটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা  হলেন ট্রাক চালক রওশন আলি (৩৫) ও শ্রমিক আবদুল আজিজ (৩০)। রওশনের বাড়ি পাবনা জেলার আমিনপুরের মহেশখোলায়। আজিজের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান,ট্রাকটি একটি এসক্যাভেটর (নদী খনন মেশিন) মেশিন নিয়ে তালা থেকে জেঠুয়া অভিমুখে কপোতাক্ষ তীরে যাচ্ছিল। এসময় ট্রাকটি (ঝালকাঠি স ১১-০০৪৩) উল্টে  পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও  সাতক্ষীরা থেকে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের  লোকজন ট্রাকটি তুলে দুটি লাশ উদ্ধার করে।
ট্রাকে থাকা অপর তিন শ্রমিক শাহীন,ফাহাদ ও জসিম এ সময় আহত হয়েছে। নিহত রওশন ও আজিজের লাশ তালা থানায় আনা হয়েছে।
তালা জেঠুয়ায় ট্রাক উল্টে পুকুরের পানিতে পড়ে নিহত ২, আহত ৩
সেলিম হায়দার, তালা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় জেঠুয়ায় কপোতাক্ষ নদী কাটা মেশিনবহনকারী একটি ট্রাক উল্টে পুকুরের পানিতে পড়ে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। বুধবার ভোর চারটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা  হলেন ট্রাক চালক রওশন আলি (৩৫) ও শ্রমিক আবদুল আজিজ (৩০)। রওশনের বাড়ি পাবনা জেলার আমিনপুরের মহেশখোলায়। আজিজের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান,ট্রাকটি একটি এসক্যাভেটর (নদী খনন মেশিন) মেশিন নিয়ে তালা থেকে জেঠুয়া অভিমুখে কপোতাক্ষ তীরে যাচ্ছিল। এসময় ট্রাকটি (ঝালকাঠি স ১১-০০৪৩) উল্টে  পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও  সাতক্ষীরা থেকে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের  লোকজন ট্রাকটি তুলে দুটি লাশ উদ্ধার করে।
ট্রাকে থাকা অপর তিন শ্রমিক শাহীন,ফাহাদ ও জসিম এ সময় আহত হয়েছে। নিহত রওশন ও আজিজের লাশ তালা থানায় আনা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fdgfgনিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় আহত সাংবাদিক জুলফিকার((২৪)এর বাবা রাহাতুল্ল সরদার বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে গত  সোমবার সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করেছে। মামলা নং ০৪। মামলা সত্বেও প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসী মোশাররফ বাহিনী। বিভিন্ন নম্বর থেকে বাদিকে হুমকি-ধামকিও দিয়ে যাচ্ছে তার লোকজন।
আসামিরা হল ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন(৪০), তার ভাই এস এম মোকাররম হোসেন(৩০), সুলতান আহম্মেদের ছেলে নাদিম হোসেন ফয়সাল(২২), আরিজুল সরদারের ছেলে তারিকুর রহমান(২৪),মৃত উজির আলীর ছেলে মিঠু(৩০),মৃত রহমান মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম(৫০),শফিউর রহমানের ছেলে শহিদ হোসেন(২৩), রফিকের ছেলে রিংকু(২০),পাঁচরখী গ্রামের আমের আলীর ছেলে খোকা(৪০), রেউই গ্রামের খোকনের ছেলে সাজু(২৮)। ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন নির্বাচনে জয়লাভ করেই শুরু করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। তার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা সহ একাধিক পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। মাস দুয়েক আগেও হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম করেন ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মোশাররফ হোসেন। সেই অনিয়মের সচিত্র সংবাদ আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকায় প্রকাশ করেন সাংবাদিক জুলফিকার আলী। সেই থেকে চেয়ারম্যানের টার্গেটে ছিল সাংবাদিক জুলফিকার আলী। গত রবিবার রাত ৯ টার সময় গোপনে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ ও ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলাম গোপনে উপজেলা থেকে প্রাপ্ত কম্বল অসহায় ও দুস্থদের না দিয়ে গোপনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করছিলেন। এটি জানতে পেরে ওই সাংবাদিক শহিদুলের কাছে ফোন দিয়ে কম্বলের বিষয়ে জানতে চান। তখন ইউপি চেয়ারম্যান তার মেম্বরের কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে সাংবাদিক জুলফিকার কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জুলফিকার কোথায় আছে জানতে চাইলে জুলফিকার রেউইবাজারে কাপড়ের দোকানে থাকার কথা বলে। দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাবার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফসহ আসামীরা লোহার রড, ক্রেস, বাঁশের লাঠি নিয়ে মটরসাইকেল যোগে সাংবাদিক জুলফিকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা জুলফিকারের হাতের নখ প্লাস দিয়ে তুলে নেয়। সাংবাদিক জুলফিকারের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১২ টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনও তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই শরিফ এনামুল বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আসামিদের বাড়িঘর তল্লাশী চালিয়েছি। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। যদিও ইউনিয়নবাসী বলছেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এ চেয়ারম্যান নিজেই নারী-শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় ১৪ বছরের কারাদ- প্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আছেন। তার রয়েছে একটি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। সে সব সময় বেআইনি অস্ত্র বহন করে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার ২নং আসামি মোকাররম রেউই বাজারের লাল গোলাপ একতা সংঘ নামক একটি ক্লাবের পিছনে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইয়াবা সেবন ও বেচা-কেনার হাঁট বসায় আর প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আসছে দিনের পর দিন। যা বেপরোয়া করে তুলেছে মোশারফ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীকে। মামলার ৩ নং আসামি(চেয়ারম্যানের আপন ভাগ্নে) নাদিম কয়েকমাস আগে ৮ম শ্রেণি পড়–য়া শিশু বিপ্লবের মুখে লাথি মেরে তার ৫টি দাঁত ভেঙে দেয়। বিপ্লব ৮/১০ দিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এখনও তাকে চিকিৎসকের কাছে আসতে হয় নিয়মিত। অথচ শিশু নির্যাতনের এ ঘটনায় বিপ্লবের বাবা সদর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন মামলা নেয়নি বরং মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে দরিদ্র পিতার উপর। এক দরিদ্র ভ্যানওয়ালার ছাগল ক্ষেতে ঢুকেছিল বলে তার স্ত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করে ও কাপড় ছিঁড়ে দেয় এই নাদিম। এ ঘটনায়ও কোন ন্যায়বিচার পায়নি ওই দরিদ্র নারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক: চেয়ারম্যানের নির্যাতনে হাতের নখ উপড়ে যাওয়া সাংবাদিক জুলফিকার আলীকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন জেলা তথ্য অফিসার শেখ শাহানওয়াজ করিম। মঙ্গলবার দুপুরের পর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তিনি। এসময় তিনি আহত সাংবাদিক জুলফিকারের সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং তার সঠিক সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বিশেষ প্রতিনিধি শেখ শরিফুল ইসলামসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত রোববার রাতে বাঁশদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক জুলফিকার আলীর উপর হামলা করে। এসময় তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় সোমবার সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

picture-tala-satkhira-03-01-17সেলিম হায়দার: রেশমা বেগম (১৫)। দুই বছরের ছেলে জিসানকে নিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করছে সে। ছেলেকে কখনো কোলে, কখন কাঁধে নিয়ে চলছে তার কাজ। সাথে আছে ছোট ভাই মালেক (৬)। সেও ইট ভাটার শ্রমিক। ভাই-বোনে ১০ টাকা হাজার চুক্তিতে ইট উল্টানোর কাজ করছে ইটের ভাটায়। খেয়ে না খেয়ে দিন চলে রেশমা-মালেকের। যে বয়সে রেশমা ও মালেকের বিদ্যালয়ে থাকার কথা ছিল, তাদের কাঁধে এখন সংসারের বোঝা। যে হাতে রঙ-পেন্সিলে ছবি আঁকার কথা ছিল, সে হাতে উল্টাতে হচ্ছে ভাটার ইট। যে চোখ স্বপ্ন দেখতো এক সোনালী আগামীর, সে চোখ শুধুই রোজগারের পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে। শৈশব-কৈশোরের উল্লাস-উচ্ছাসের আনন্দ ওদের কাছে মলিন হয়ে গেছে। এ বয়সেই তাদের সংসারের ঘানি টানতে হচ্ছে। রেশমা ও মালেক সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের কুদ্দুস শেখের মেয়ে ও ছেলে। হত দরিদ্র পরিবারে জম্ম তাদের। বাড়ির পাশর্^বর্তী গোনালী এলাকার আরবিএস ইটের ভাটায় ভাই-বোন মিলে এখন কাজ করছে। ঢাকার এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতো রেশমা। সেখানে কুমিল্লার ছেলে সবুজ ভুইয়ার সাথে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের পর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তিন বছর আগে সবুজের সাথে বিয়ে হয় রেশমার। তাদের সাংসারিক জীবনে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নাম তার জিসান (২)। কিন্তু পাঁচ মাস আগে রেশমার স্বামী ফেলে রেখে চলে যায় তার নিজ বাড়ি কুমিল্লায়। এখন কাজ না করলে কে দিবে তার ছেলে জিসানের মুখে ভাত এমন প্রশ্ন রেশমার। সোমবার (২ জানুয়ারী) বিকালে তালা উপজেলার গোনালী আরবিএস ইটের ভাটায় গিয়ে দেখা হয় রেশমার সাথে। ছেলে জিসান কখনও কোলে, কখন কাঁধে। কখনও পিঠে। আর ইট উল্টানোর কাজ তার। এক হাজার ইট উল্টালে পাবে ১০ টাকা। ছোট ছেলেকে নিয়ে কি করবে রেশমা। ভেবেই পারছে না সে। ছোট ভাই মালেক আর রেশমা মিলে ইট উল্টানো কাজ করছে। সাথে সহযোগীতা করছে তার বৃদ্ধ মা আনোয়ারা বেগম। রেশমা জানান, কাজ না করলে কে ক্ষেতে দিবে তাদের। স্বামী চলে গেছে প্রায় পাঁচ মাস। দরিদ্র বাবার সংসারে কত সময় বসে খাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে ইটের ভাটায় কাজ নিয়েছি। ছোট ভাইকেও সাথে নিয়ে এসেছি। ও আমার সাথে যা সহযোগিতা করে তা অনেক। ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করতে আজ কাজ বেছে নিয়েছি। কাজ করে ছেলেকে মানুষ করবো। ওর বাপ এখন আর কোন খোজ নেয় না। ছোট মালেকের কাছে প্রশ্ন তুমি স্কুলে যাও না ? উত্তরে মালেক বলে,‘আমি কাজ করছি দেখেন না। আপার সাথে কাজ করছি। কখন যাবো স্কুলে।’ রেশমার মা আনোয়ারা বেগম জানান, তার পাঁচ ছেলে মেয়ে। বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। মেজো মেয়ে তার কাছে। ছোট মেয়ে ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। দুই ছেলে আর মেজো মেয়ে আমার কাছে থাকে। ওর বাবা এখন আর কাজ করতে পারে না। অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হয় তাদের। কখনও খাওয়া হয়, কখনও খাওয়া হয় না। শ্রমিক সর্দ্দার ছাত্তার হোসেন জানান, ১০ টাকা হাজারে তারা ইট উল্টানোর কাজ করছে। সপ্তাহে তারা ৬০০/৭০০ টাকা পাবে। ওরা নতুন কাজ শুরু করেছে। সপ্তাহে ওদের টাকা পরিশোধ করা হবে। আরবিএস ভাটার মালিক মুন্না হোসেন জানান, তারা শ্রমিক সর্দার সাত্তারের সাথে চুক্তি করে কাজে এসেছে। কম-পেল কী বেশি পেল সেটা আমাদের বিষয় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার অনেক কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. কমল কলি হোসেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর এমডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিায়াতে মেডিসিন বিভাগে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন।প্রশ্ন : অনেক দিন ধরে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছে তাদের কিন্তু সুগার কমে যাওয়ার একটি বিষয় থাকে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এই জিনিসটি কতখানি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেই ক্ষেত্রে করণীয় কী? উত্তর : এটা একদম সত্যি কথা। অনেক সময় হয়তো রোগী ওষুধটা খেল, হয়তো দৌড়াতে গেল, কিংবা কিছু খেল না, তখন অবশ্যই সুগার কমে যেতে পারে। সুগার কমে যাওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো খারাপ লাগতে শুরু করবে। হয়তো অলসবোধ হবে একটু ঘাম হবে। আর সুগার যদি বেশি কমতে থাকে, তখন ঘাম হবে। ত্বকটা একটু সাদা হয়ে যাবে। অনেক সময় সুগার এত কমে যায় যে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। তবে তার আগে হয়তো কথা বলতে একটু জড়তা আসবে। সেটা  বুঝতে হবে। যখনই একটু অস্থিরতা দেখা দেবে, কপাল একটু ঘা্মছে কিংবা তার মাথাব্যথা হচ্ছে, তাকে একটু অন্য রকম লাগছে, কিংবা একটু ঝিমিয়ে পড়ছে, তখনই সবাইকে জানতে হবে যে সুগারটা কমে গেলে কী করতে হবে। বেশি হলে কী করতে হবে? কী কী জটিলতা হবে? এটা কিন্তু একটি শিক্ষার বিষয়। ডায়াবেটিসের শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা চিকিৎসার মধ্যেই পড়ে। কী কী খাবে সেটিও কিন্তু শিক্ষার আওতায় পড়ে। প্রশ্ন : তাৎক্ষণিকভাবে কী করতে হবে? উত্তর : যদি সম্ভব হয় সঙ্গে সঙ্গে একটু কমলার রস খাইয়ে দেবেন। আরেকটি হলো যারা ইনসুলিন নেয় তাদের কাছে একটি গ্লুকাগন ট্যাবলেট থাকতে পারে। ট্যাবেলটাও যদি মুখের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়,তখন সুগারটা বাড়ে। তখন রোগী একটু কথা বলতে শুরু করে, সুগারটা বাড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest