সর্বশেষ সংবাদ-

ঝাউডাঙ্গা ব্যুরো : সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের শীর্ষ শিবির ক্যাডার সবুজ হোসেন (২০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজ বাড়ি থেকে এসআই আসাদের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে বলাডাঙ্গা গ্রামের মো. মাহবুর রহমানের বড় ছেলে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সে জামায়াত শিবিরের হামলায় নিহত বলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদ হত্যা মামলার আসামি। তার নামে ২০১৩ সালে ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান সানা, ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাধকাটি বাজার কমিটির সভাপতি মো. আবুল খায়ের বিশ্বাস, বাজার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. অছিকুর রহমান, ব্যাংক ককর্মকর্তা আবুল হোসেনসহ অনেকের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুনে পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার নেতৃত্বে এলাকায় সরকার বিরোধী আন্দোলন, গাছকাটা, রাস্তা কাটা, বাড়িঘর ও গাড়িতে অগ্নি সংযোগসহ নানা কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mk-3
শ্যামনগর প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালে ১৯ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর সর্ব প্রথম পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকে ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়। দিবসটি যথাযথ ভাবে পালন করতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নানান কর্মসূচী গ্রহণ করেন। সকাল ৯টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম জাতীয় পতাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা সদরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ চত্তরে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলন সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড, সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী অংশ গ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মো: আরাফাত আলী কালিগঞ্জ: মথুশেপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের প্রতিবন্ধি শাহিনের ভরণ পোষণ দায়িত্ব নিজের কাধে উঠিয়ে নিলেন কালিগঞ্জ থানার ওসি জায়েদুল হক। ছনকা গ্রামের ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম এর তিন ছেলে তার মধ্য বড় ছেলে এবং ছোট ছেলে দুইজন প্রতিবন্ধি। বাবার বড় ছেলে শাহিন (২৮) ও ছোট ছেলে সাকির (২০) বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। ভ্যান চালিয়ে পরিবারের ৬ জন সদ্যসের মুখে দুই বেলা দুই মুঠো অন্ন যোগাতে কষ্টসাধ্য হয়েযায় শাহিনের বাবার এপরও আছে দুই সন্তানের চিকিৎসা খরচ। তারপরও আট বছর আগে প্রতিবন্ধি দুই ছেলেকে রেখে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন শাহিনের মা। প্রতিবন্ধি শাহিন এবং তার ছোট ভাই মায়ের মৃত্যুও কিছু না বুঝতে পারলেও মায়ের মত পৃথিবীতে তাদের দুই ভাইয়ের যে দেখাশুনার জন্য আর কেউ নেই এটা ঠিকই বুঝতে পারে দুই ভাই। শাহিনের মায়ের মৃত্যুর পর শাহিনের বাবা কাজের ব্যাস্ততায় ঠিকমত খেয়াল করেতে পারত না প্রতিবন্ধি দুই সন্তানের প্রতি কোন দিন খেয়ে কোনদিন না খেয়ে অনাহারে নোংরা অবস্থায় তাদের কাটাতে হয় দীর্ঘ দিন। প্রতিবন্ধি দুই সন্তানদের কথা চিন্তা করে শাহিনের মায়ের মৃত্যুর এক বছর পরে ২য় বিয়ে করেন শাহিনের বাবা। অভাবের সংসারে বিয়ের ১ বছর পরে একটি মেয়ে সন্তানয়ের মা হন শাহিন এর সৎমা। তারপর থেকে তেমন ভাবে দেখাশুনা করতেন না প্রতিবন্ধি শাহিন ও তার ছোট ভাই সাকির কে। ক্ষুধার জালায় প্রতিদিন শাহিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেরাত কিন্তু কারও কাছে হাত পেতে কোন টাকা পয়সা চায়ত না। কোন ব্যাক্তি যদি প্রতিবন্ধি শাহিন কে দয়া করে কিছু ক্ষেতে দিতো তাহলে তার কপালে মিলত সেদিনের মত খাবার। সারাদিন বাইরে বাইরে ময়লা মাখা কাপরে ঘোরাফেরা আর রাতে বাড়ি ফিরে ঘুমানো কোনদিন খেয়ে কোনদিন না খেয়ে তার মধ্য সৎমার অনাদর এই ভাবে চলছিল শাহিনের জীবন। কালিগঞ্জ থানার ওসি হিসাবে লসকার জায়েদুল হক ১১ মে ২০১৬ ইং তারিখে যোগদান করার ১৫ দিনের মধ্য চোখে পরে প্রতিবন্ধি শাহিনকে। সারাদিন থানার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখে খোঁজ খবর নিয়ে ওসি সাহেব জানতে পারেন শাহিনের জীবন সম্পর্কে। শাহিনের অসহায়ত্তের কথা শুনে মায়ায় জড়িয়ে পরেন ওসি জায়েদুল হক। তিনি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে বানিয়ে দেন শাহিনের জামা ও প্যান্ট, এর পর কালিগঞ্জ পুলিশের ম্যাচে তিন বেলা খাওয়ার ব্যাবস্থা করেদিয়েছেন। পোশাক  এবং ঔষধ থেকে শাহিনের সবকিছুর দায়দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন ওসি জায়েদুল হক। শাহিনের বাবা আবেগপ্লাত হয়ে বলেন আমি অভাবের জন্য আমার ছেলেকে তিন বেলা তিন মুঠো খাওয়াতে পারিনি আর ওসি সাহেব আমার শাহিনকে সব কিছুই দিচ্ছে আল্লাহ ওনার ভাল করুক। আমার ছেলে ওসি সাহেব কে খুব ভালবাসে সারাদিন থানায় থাকে রাতে খেয়ে বাড়ি ফেরে,বাড়ি এসে রাতে দুই তিন বার নষ্ট একটি ফোন কানে দিয়ে বলে স্যার আমি আসতেছি বলে উঠে বসে বলে ওসি ভাই আমার কাছে ফোন করেছে আমি থানায় যাচ্ছি এক্ষণ এভাবে আনন্দের সাথে কাটছে শাহিনের প্রতিটি দিন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mk-1
শ্যামনগর ব্যুরো : শনিবার সকাল ১০টায় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আকাশলীনা ইকো টুরিজম সেন্টারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে উপজেলার ৯নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়িতে পশ্চিম সুন্দরবনের কোল ঘেষে নির্মাণাধীন আকাশলীনা ইকো টুরিজম সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আলহাজ্জ আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন বেষ্টিত এ নয়ানাভিরাম পরিবেশে অবস্থিত এ ইকো টুরিজম সেন্টারটি দেশি বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন, আসুন আমরা সবায় মিলে একটি সুন্দর দেশ গড়ি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত জোলা প্রশাসক আলহাজ্জ সৈয়দ ফারুখ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান উল্লাহ শরিফী, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি,এম আকবর কবীর, সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আ‘লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্য, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic
তালা প্রতিনিধি : রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সুকান্ত ঘোষ (২২)  বাঁচতে চায় ! সে সাতক্ষীরা তালা উপাজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হরিচন্দ্রকাটী গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক ভবতোষ ঘোষের একমাত্র পুত্র। সুকান্ত ঘোষ তালা বি,দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে গোল্ডেন এ+ এবং তালা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে এ+ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়াশুনা করছে। বর্তমান সে মারাত্মক মস্তিষ্ক সংক্রমণে (বহপবঢ়যধষরঃরং) আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে (যার সিট নং আইসিইউ ওয়ার্ড নং: ৩)। মেধাবী মুখ সুকান্ত ঘোষের চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। যা তার পরিবারের পক্ষে যোগানো সম্ভব নয়। এ সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁর পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। একটু সাহায্যই কৃষক পরিবারের মেধাবী সুকান্তকে আবার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় দেখা যেতে পারে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- সুকান্ত’র  বন্ধু আব্দুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিকাশ নম্বর-০১৯২৫৬৭৪৪৬১ এবং অনুপম, বুয়েট, ০১৯৮৮৮৩১৩৪১৬ ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এস,এম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু : ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহস ও মনোবলের কারণে পাক সেনারা সে দিন হটে যেতে বাধ্য হয়েছিল। একাত্তরের ২০ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৮ মাস যুদ্ধ করে কালিগঞ্জ অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন। এযুদ্ধে কালিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা তেমন বেশী হতাহত না হলে ও পাক বাহিনীর অনেক সদস্যরা মুক্তিসেনাদের হাতে প্রাণ হারায় এই মাটিতে। ক্যাপ্টটেন নূরুলহুদার নেতৃতে কালিগঞ্জে ২০ নভেম্বরের দুপুরে প্রথমে ওয়াপদা ডাকবাংলাস্ত পাকসেনা ঘাটি দখল করে জাতীয় পতাকা উত্তলন করার পর সোহরাওয়ার্দ্দী পার্ক প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধারা সমবেত হয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। বাঙালীর জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষনে সরাসরি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে সারা বাংলা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শ্যামলীঘেরা শান্ত সুশীতল কালিগঞ্জ ও সেই বিপ্লবে উত্তাল হয়ে ওঠে। সে সময় মুক্তি সংগ্রামকে সংগঠিত করতে তৈরি হয়েছিল ২৩ সদস্যের “কালিগঞ্জ সংগ্রাম পরিষদ”। সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা রাত দিনের কর্ম-তৎপরতায় মাঝে কালিগঞ্জের রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে দিল। একাত্তরের ৮ মার্চ কালিগঞ্জের ডাকবাংলা চত্বরে শত শত মানুষ সমবেত হয়ে উন্মত্ত আক্রোশে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে পুড়িয়ে ফেলা হয় পাকিস্থানের পতাকা। এ সময় লাঠি মিছিলও হয়েছিল কালিগঞ্জ থানা সদরে। ফেটে পড়েছিল কালিগঞ্জের ছাত্র ও সকল তৌহিদী জনতা। সেদিন ঠিক করা হয়েছিল যশোরের এ পাশে পাক হানাদার আর্মিকে আসতে দেয়া হবে না। ১০ ও ১১ এপ্রিলের দিকে রটে যায় পাক আর্মি কালিগঞ্জের দিকে আসছে। এখবর শুনে ক্রোধে ও উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে সংগ্রাম পরিষদ। দ্রুত এলাকার সমস্ত বন্দুকধারীদের সংঘবন্ধ করে কালিগঞ্জ বাজার থেকে থানা পর্যন্ত নদীর তীরে গেওয়া বাগানের ঝোঁপের মধ্যে পজিসন নিয়েছিল বন্দুকধারীরা। হঠাৎ রটে গেল সংগ্রাম পরিষদের একটা নামের লিস্ট পাক আর্মির কাছে পৌছে গেছে। সে মোতাবেক জন্মভূমি ত্যাগ করে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সংগ্রাম পরিষদের সদস্যবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায়। এদিকে সকল বাধা বিপত্তি মায়া মমতা কাটিয়ে মে মাসের মধ্যে শত শত দামাল ছেলেরা দেশমুক্তির শপথ নিয়ে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য চলে যায়। এদিকে পাক আর্মি ঘাঁটি গাড়লো ওয়াপদা ডাক বাংলা ভবন, বসন্তপুর চন্দ্রদেবের পরিত্যাক্ত বাড়ি, কালিগঞ্জ হাসপাতালের সংলগ্ন এলাকা, দমদম ফেরি ঘাটের বরফকল এবং খানজিয়া ই.পি.আর ক্যাম্প। দ্রুত তাদের পরিধি আরো সম্প্রসারিত করে সাদপুর ব্রীজ, ভাড়াশিমলা, সুইলপুর, খানজিয়া, নাজিমগঞ্জ, বসন্তপুর, উকস্ াপিরোজপুরসহ গোটা সীমান্ত এলাকা ঘিরে ফেলে হায়না বাহিনী নিরিহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় তারা সারা দেশের ন্যায় কালিগঞ্জেও গঠণ করে পিস কমিটি ও রাজাকার বাহিনী। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিশোধ স্পৃহায় দ্রুত আর্মস ট্রেনিং নেয় ভারতের হিঙ্গলগঞ্জসহ বিভিন্ন শিবিরে। মে মাসের মধ্যে ট্রেনিং শেষে তারা ফিরে আসেন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে। ৯নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর জলিল ও তার সহযোগি ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা, লে. বেগ, লে. আরেফিন ও লে. শচীন এদের নেতৃত্বে জুন থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সময়ে নিজ বাসভূমির উপর কৌশলে হায়না বাহিনীর উপর অসংখ্য আক্রমন পরিচালনা করে। এসময় পাক সেনারা কালিগঞ্জ দখলে রাখতে বিভিন্ন ক্যাম্পে ভারী অস্ত্র মেশিনগ্যান, কামান, মটার ইত্যাদি মজুদ করে। এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খোজ খবর পেতে তারা গোয়েন্দা নিয়োগ করে। তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্রের বিরুদ্ধে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা দেশীয় নিম্ন মানের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মনোবল কে সম্বল করে অসম যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। প্রথমে তারা বসন্তপুর বিওপি, খানজিয়া ক্যাম্প ও কালিগঞ্জ থানা সদরের বিওপি ক্যাম্পের উপর আক্রমণ শুরু করে। পরে বাগবাটি, পিরোজপুর, ভাড়াশিমলা, রতনপুর, নজিমগঞ্জ, উকস্,া দুদ্লীসহ বিভিন্ন পাক ঘাঁটিতে বারবার চোরাগুপ্তা আক্রমণ করে পাক বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে ফেলে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে অক্টোবর ও নভেম্বরে কালিগঞ্জ একটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আক্রমন পাল্টা আক্রমন আর রাইফেল, মেশিনগান, গ্রেনেড, রকেট লাঞ্চারের শব্দে ও আগুনে কালিগঞ্জের আকাশ, বাতাস, মাটি, প্রকম্পিত হতে থাকে। উকসা বিওপি ক্যাম্প আক্রমন পিরোজপুর ও খানজিয়ার সম্মুখ সমরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে কালিগঞ্জের আপামর জনসাধারণ পাকিস্তানী নরপশুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সে সময় সকল স্থরের জনতা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে থাকে। এযুদ্ধে কালিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা খুব বেশী হতাহত না হলে ও পাক বাহিনীর অনেক সৈন্যদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল সেদিন। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে হানাদার বাহিনী ২০ নভেম্বর ভোরে কালিগঞ্জ ছেড়ে সাতক্ষীরার পুস্পকাটি নামক স্থানে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এখবরে উল্লাসিত হয়ে ২০ নভেম্বর কালিগঞ্জের ডাকবাংলা চত্বরের বকুল তলায় মুক্তিযোদ্ধারা সমবেত হয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কালিগঞ্জের স্বাধীনতার শুভ সুচনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_20161118_095525
পাইকগাছা ব্যুরো: পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতভাবে। মাংস বাজার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সিন্ডিকেটের দখলে, দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। জানাযায়, পাইকগাছা পৌর সদরে মাংস ও মুরগী মার্কেট নামে দুটি মার্কেট রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তারা স্বেচ্ছাচারিতা ও সিন্ডিকেট করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। যেখানে পূর্বের খাসী মাংস বাজারে ৮/১০ জনের নামে লাইসেন্স ছিল। সেখানে তারা কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলা দিয়ে হাসান ও কালাম নামের দুই ব্যক্তির নামে মাত্র দুটি লাইসেন্স করে সকলেই এক সাথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসা করছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অপর দিকে ক্রেতারা যাচাই বাচাই করে মাংস খরিদ করতে ব্যর্থ হয়ে চড়াদামে খরিদ করছে। কারণ একাধিক ব্যক্তির লাইসেন্স না থাকায় সম্মিলিতভাবে এক টেবিলে একই দোকানে প্রতিদিন ৩০/৪০ টি খাসী জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে রুগ্ন বা ভেড়া বিক্রি হচ্ছে কিনা যাচাই করার কোন উপায় নাই। ঠিক গরুর মাংস মার্কেটের চিত্র একই। আগে যারা গরু জবাই করতো এমন একাধিক ব্যক্তি একই সাথে জাকিরের নামের একটি মাত্র লাইসেন্সে গরুর মাংস বিক্রয় করে চলেছে। মাংস বিক্রি করা এই সিন্ডিকেটের কারণে ক্রেতারা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। কয়েকবার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ ব্যাপারে বক্তব্য থাকলেও কার্যত: কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। যেকারণে তাদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে। আবার গরু বা ছাগল জবাই করার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ধর্মীয় বিধান না মেনে যেখানে সেখানে নোংরা পরিবেশে গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে। আর মলমূত্র ফেলানো হচ্ছে পাশেই। যেকারণে দূর্গন্ধে সামান্য বাতাস হলেই বাজারে থাকা কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া রয়েছে, মুরগী বাজার যেখানে প্রতিদিন শত শত মুরগী বিক্রয় হয়। উক্ত মুরগী জবাই পূর্বক পরিস্কারের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে দুটি অবৈধ স্থাপনা। যেখানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মুরগী জবাই করে পরিস্কার পূর্বক প্যাক করা হয়। আবার পৌর কর্তৃপক্ষ বাজারের মাংস মার্কেট ইজারা দিলেও নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থানে মুরগী জবাই করে খোলা আকাশের নিচে বিক্রয় করছে। এতে এক দিকে যেমন মাংসে ধুলা বালি যুক্ত হচ্ছে তেমনি ইজারাদাররাও বঞ্চিত হচ্ছে ইজারা থেকে। শিবসা ট্রলার ঘাটের প্রবেশ দ্বার, তেল পাম্পের পাশে, সিনেমা হলের সামনে, বাসষ্ট্যান্ড সহ কয়েকটি স্থানে আইন বহির্ভূত ছাগল ও মুরগী জবাই করে বিক্রয় করায় তাদের নিকট থেকে ইজারা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্যানিট্যারী ইন্সেপেক্টর উদয় মন্ডল জানান, আমি স্বচ্ছ পরিবেশের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পৌরবাসী সরকারি বিধি মোতাবেক মাংস মার্কেটের সিন্ডিকেট ছাড়াই স্বচ্ছ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fb_img_1479536864550
পাইকগাছা ব্যুরো: পাইকগাছায় মদের সাথে এ্যালকোহাল জাতীয় তরল পদার্থ পান করে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার মেলেক পুরাইকাটী গ্রামে। মৃত্যু যুবক সাধন দাসের পুত্র শুভ। জানাযায়, পাইকগাছা উপজেলার মেলেক পুরাইকাটী গ্রামে সাধুঁখা পাড়াস্থ শ্রীশ্রী জগধাত্রী পূজা মন্দিরে পূজার শেষ দিনে গত ১২ নভেম্বর রাতে উক্ত গ্রামের লহ্মীকান্ত সাধুর পুত্র বিশ্বনাথ সাধু একই গ্রামের সাধন দাসের পুত্র শুভ দাসকে রাতে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। বাড়িতে রেখে বিশ্বনাথ সাধু শুভকে বিদেশী মদের সহিত তরল এ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে পান করায়। রাত ৩ টায় শুভ’র পেট ব্যাথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন স্থানীয় ডাক্তার গোবিন্দ কে বাড়িতে আনে। অবস্থার বেগতিক দেখলে ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরের দিন সকালে শুভকে পরিবারের লোকজন পাইকগাছা হাসাপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার শুভকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার গভীর রাতে শুভ’র মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্যদিকে বিশ্বনাথ সাধু শুভ’র মৃত্যু সংবাদ শুনে গা ঢাকা দিয়েছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উক্ত বিশ্বনাথ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভারত থেকে মাদক সহ বিভিন্ন মালামাল চোরাকারবারি করে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest