সর্বশেষ সংবাদ-

নিজস্ব প্রতিবেদক :

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে নবান্ন উৎসব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পিঠা উৎসবে অংশ নেয়। কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন, আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়/হয়তো মানুষ নয় হয়তো শঙ্খচিল শালিখের বেশে;/হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে। কবির এই বাংলায় আজ সেই দিন। অগ্রহায়ণ, নবান্ন উৎসব। শস্যভিত্তিক এই লোক উৎসবে আজ মেতে উঠবে পুরো বাংলা। নতুন ফসল ঘরে তোলা উপলক্ষে বাংলার কৃষকরা এই উৎসবটি পালন করে থাকে। বাড়ির আঙিনাগুলো আজ নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠবে। নতুন ধানের চাল দিয়ে তেরি হবে পিঠা, পায়েস, ক্ষীরসহ হরেক ধরনের খাবার। নবান্ন উৎসবের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন (সজল), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের মাঝে পিঠা প্রদান করা হয়। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক পত্মী সেলিনা আফরোজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক পত্মী সেলিনা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্মী শাহনাজ বুলবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পত্মী রঞ্জনা মন্ডল, এমপি পত্মী নাসরিন খান লিপি, শিক্ষক মঞ্জুরুল হক,তৃপ্তি মোহন মল্লিক, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মনিরুজ্জামান মুন্নাসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

moniruzzaman
প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সব্যসাচী আবৃত্তি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা, আবৃত্তি শিল্পী, বিশিষ্ট ছোট গল্পকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মনিরুজ্জামান ছট্রু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন কবি শ্রভ্র আহমেদ, স.ম তুহিন, মন্ময় মনির, তুপ্তি মোহন মল্লিক, ছড়াকার নাজমুল হাসান, সরদার গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রশীদ, এম এ জলিল, হাফিজুর রহমান মাসুম, আব্দুর রহমান, দিলরোবা রোজ, মাহমুদ ইসলাম ও মর্নিং সান প্রি- ক্যডেট স্কুলের অধ্যক্ষ এবং সব্যসাচী আবৃত্তি সংসদের দপ্তর সম্পাদক শেখ আমিনুর রহমান কাজলসহ সহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

15-11-16-1
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা: পাইকগাছার বেহাল ও জরাজীর্ণ রাস্তাটির নাম কেকচিবুনিয়া কেয়ারের রাস্তা। প্রভাবশালী ঘের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তাটি লীজ ঘেরের ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। জন দূর্ভোগ চরম সীমার নিচে। চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচনপূর্ব প্রতিশ্র“তি উপেক্ষিত। জনপ্রতি সহ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি গ্রামের হাজারও জনগণ। সরজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী ওয়াপদা রাস্তা হতে হোগলারচক গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার কেকচিবুনিয়া কেয়ারের রাস্তা। ৮০ দশকের দিকে উপরে ১২ ফুট এবং তলদেশ ২৪ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট রাস্তাটি তৈরি হয়। তৈরির পর থেকে বাসাখালীর হোগলারচক, আমিরপুর, বাইনবাড়িয়া, কুমখালী সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন চলাচল করত। কিন্তু ৯০ দশকের দিকে রাস্তাটির দু’পাশে গড়ে ওঠে প্রভাবশালীদের মৎস্য লীজ ঘের। বেহাল ও জরাজীর্ণ হয় রাস্তাটি। লীজ ঘেরের পানির তুফানে কেয়ারের রাস্তা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তলনিতে ঠেকেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তাটি এখন লীজ ঘেরের ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। ফলে জন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় অত্র এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরম সীমার নিচে পৌছে গেছে। প্রতিনিয়ত মৎস্য লীজ ঘেরের উপচে পড়া পানির আঘাতে কেয়ারের রাস্তাটি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারী না থাকায় যেমনি রাস্তাটির অস্তিত্ব সংকটে তেমন এলাকাবাসী সহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে অত্র এলাকার জনগণকে পাইকগাছা সদরে প্রায় ১০ কিলোমিটার বেশি গড়ইখালী নতুবা শুড়িখালী ঘুরে আসতে হচ্ছে। এতে যাতায়াত খরচও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কেয়ারের রাস্তার পাশে মফিজুল ইসলাম টাকু, গণি সানা, বিজন বাইন, প্রদীপ বাইন, জাকির সানা, নান্টু সরদার সহ একাধিক মৎস্য লীজ ঘের রয়েছে। ইউপি নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনে প্রার্থীরা জয়ী হয়ে উক্ত রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্র“তি দিলেও নির্বাচন পরবর্তী আর ফিরে তাকায় না বলে অভিমত দিয়েছেন জনদূর্ভোগ কবলিত এলাকাবাসী। উক্ত ওয়ার্ডের সদস্য হান্নান গাজী বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল রাস্তা সংস্কারের। সে মোতাবেক আমি আন্দোলন করে যাচ্ছি। চেয়ারম্যানকে বারংবার বলছি। দেখা যাক কতদুর করতে পারি। ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান, কয়েকবার কেয়ারের রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী ঘের মালিকরা লীজ ঘের থেকে পানি না সরানোর কারণে মাটি পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে বারংবার আলোচনা হলেও সাড়া মেলেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

news2
মোঃ আরাফাত আলী কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরিব বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরিব দুঃখী ও অসহায় মানুষের ক্ষুধা নিবরণের জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণের ব্যাবস্থা চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী হতদরিদ্রদের মাঝে চাউল বিতরণের ব্যাবস্থা করলেও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্ররা রেশন কার্ড না পেয়ে পেয়েছে বিত্তবানরা। সরেজমিনে দেখাযায় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক খান সরকারের মহান কর্মসুচি হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাউল বিতরণের রেশন কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে। তালিকায় যাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তাদের অনেকেই হতদরিদ্র নয় বা তারা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আদৌ এই চাউল পাওয়ার যোগ্য নয়। তাছাড়া এই কার্ডগুলি বিতরণের সময় ইউপি সদস্য অসৎপন্থা অবলম্বন কেেরছে। যে সকল বিত্তবানদের মধ্য ইউপি সদস্য রেশন কার্ড বিতরণ করেছে তারা হলেন কামদেবপুর গ্রামের জনাব আলীর পুত্র মোঃ নুর ইসলামের একটি শিশু কার্ড আছে তারপরও স্ত্রী বিদেশ থাকে এবং পাকা বাড়ি আছে (কার্ড নংÑ৭০৯)। একই গ্রামের খোরশেদ আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের শিশু কার্ড থাকা সত্বেও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নংÑ৭৩৩)। একই গ্রামের নূর আব্দুল গাজীর পুত্র ফিরোজ হোসেনের পাকা বাড়ি, মাছের আড়ৎ,চাউলের বড় ব্যবসা এবং মাছের ঘের আছে তারপরও রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে (কার্ড নং-৭৩৫)। একই গ্রামের আরশাদ আলী সরদারের কন্যা আমিরন বেগমের শিশু কার্ড ও পাকা বাড়ি আছে(কার্ড নং-৭৫২)। একই গ্রামের মৃত বাহা আলী গাজীর পুত্র মোঃ আবু মুছা যার পুত্রের প্রতিবন্ধী কার্ড ও পাকা বাড়ি আছে(কার্ড নং-৮২০)। একই গ্রামের মৃত গৌরপদ সাহার পুত্র শংকার সাহার পাকা বাড়ি ও ৩ বিঘা জমি আছে(কার্ড নং-৭২২)। একই গ্রামের লক্ষীপদ সাহার পুত্র সুকুমার সাহার পাকা বাড়ি ও এলাকায় বিভিন্ন ব্যাবসা আছে (কার্ড নং-৭২৪)। একই গ্রামের গোপিনাথ সাহার কন্যা মিনা সাহার পাকা বাড়ি ও ৩ বিঘা জমি আছে (কার্ড নং-৭২৬)। একই গ্রামের মৃত ঈমান জোয়াদ্দারের পুত্র এসহাক জোয়াদ্দারের শিশু কার্ড আছে তারপরও রেশন কার্ড পেয়েছে। খাঁরহাট গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র উজ্জ¦ল ঘোষ যার মায়ের ভাতাকার্ড আছে এবং চাষের ৩ বিঘা জমি রয়েছে তবুও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৭৯৯)। একই গ্রামের আরশাদ আলীর কন্যা মনোয়ারার পাকা বাড়ি আছে এবং তার মেয়ের শিশু কার্ড আছে। তারপরও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৮০১)। একই গ্রামের বরদা ঘোষের পুত্র মন্টু ঘোষের একটি শিশু কার্ড ও পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৭৭৮)। একই গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র লংকেশ ঘোষের টাইস বসানো পাকা বাড়ি রয়েছে এবং ৫ বিঘা জমি রয়েছে এরপরও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৭৮৩)। একই গ্রামের মৃত জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র বাদল চন্দ্র ঘোষ যার ১০ বিঘা জমি থাকা সতে¦ও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৮১৮)। একই গ্রামের কোমল চন্দ্র ঘোষের কন্যা রাধা রানী ঘোষের ৪ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ি আছে তবুও সে রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৮১৩)। একই গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ ঘোষের পুত্র জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের ১০ বিঘা জমি আছে যার (কার্ড নং-৮০৭)। একই গ্রামের শেখ ওমর আলীর পুত্র শেখ রফিকুল ইসলামের ৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও রেশন কার্ড পেয়েছে(কার্ড নং ৮০৫)। একই গ্রামের। কৃষ্ণপদ ঘোষের পুত্র সুজিত কুমার ঘোষের ৪ বিঘা জমি, পাকা বাড়ি ও ডিসকভার একটি মটর সাইকেল আছে (কার্ড নং-৭৯৬)। একই গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র স্বপণ কুমার ঘোষের ১০ বিঘা জমি আছে (কার্ড নং-৭৭২) একই গ্রামের ননী গোপাল ঘোষের পুত্র নারান চন্দ্র ঘোষের ৩ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ি আছে (কার্ড নং-৭৭৩)। একই গ্রামের গোপাল চন্দ্র দাশের পুত্র মুরালী মোহন দাসের শিশু আছে (কার্ড নং-৭৭৫)।রেশন কার্ড বিতরণে বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক খান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি কার্ড সঠিক ভাবে বিতরণ করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। আমি আমার ওয়ার্ডে মোট হতদরিদ্র চাউলের কার্ড ১৯৩ টি পেয়েছি কিন্তু দলীয় ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কিছু কার্ড দেয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। এবিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ এর সভাপতি দেবপ্রসাদ ঘোষ এর কাছে দুর্নীতির বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যারা কার্ড পেয়েছে পাকা ঘর থাকলেও তারা দরিদ্র আর দুই এক জন এ মধ্যে বিত্তবান থাকলেও এটা ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিয়েছে এ বিষয় আমি কিছু যানিনা। রেশন কার্ড বিতরণে অনিয়ম এর বিষয় ৮নং ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনিয়ম হয়েছে এটা আমি শুনেছি তবে এটা দলীয় ভাবে হয়েছে। এটা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা একটি দরখাস্ত দিয়েছিল এর প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার বসন্তপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন বাসির এর উপর দায়িত্ব দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় তদন্তের জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। রেশন কার্ড অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে খাদ্য পদির্শক ও বসন্তপুর খাদ্যগুদাম এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন বাসির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তে যেয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের অনেকের পাকা বাড়ি আছে,আবার কারও শিশু কার্ড ও ভাতা কার্ড আছে এটা সত্য কিšু‘ যাদের জমি আছে এটা বোঝার তো কোন উপায় নেই। রেশন কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম আমার চোখে ধরা পড়েছে, তদন্ত শেষ হয়েছে আমার তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার  কাছে পাঠিয়ে দিব এখন ব্যবস্থা যেটা নেওয়ার নির্বাহী অফিসার নিবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলরা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ বলেন, সাতক্ষীরা এক নান্দনিক জনপদের জেলা। এ জেলায় শুধু সম্পদে পরিপুর্ণ নয় জেলা খেলোয়াড়ের এক উজ্জল চারুন ভূমি। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়াঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ মাদকে পরিপুর্ন হয়ে গেছে। আমরা মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও ভিক্ষুকমুক্ত দেশ গড়তে চাই। আমরা এ দেশ থেকে যেমন জঙ্গিবাদকে নির্মুল করতে সক্ষম হয়েছি সেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে যাতে যুব সমাজ মাদকের করাল গেরাস থেকে ফিরে এসে খেলাধুলায় মনোযোগ দিতে পারে। বাংলাদেশ মৎস্য, কৃষি, গার্মেন্টস, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র ফুটবলে আমরা পিছিয়ে আছি। তার প্রমাণ মাত্র ৩০ লক্ষ জনগনের দেশ ভুটান তাদের সাথে ফুটবল খেলা করে ১৬ কোটি জনগনের দেশ বাংলাদেশ হেরে গেছে। সাতক্ষীরায় জন্ম নিয়েছে অনেক খেলোয়াড়ের। ক্রিকেট অঙ্গনে সাতক্ষীরা জেলাকে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছে  ক্রিকেটার সৌম্য, মুস্তাফিজুরসহ আরো অনেক খেলোয়াড়। আর সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল অঙ্গনকে কে পরিচিত করেছে সাবিনা। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রীড়াঙ্গনে যেন সাতক্ষীরার খেলোয়াড় থাকে সে লক্ষে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। বের করে আনতে হবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের। তিনি আরোও বলেন, এ স্টেডিয়ামে এক সময় গুরু ঘাস খেত। সেই স্টেডিয়ামে  জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল খেলা শুরু হয়। এখনও সেই খেলা চলমান থাকায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান অতিথি। এ খেলার মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা থেকে আরো অনেক গুনি খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে বলে অনুষ্ঠানে অতিথিরা আশা প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ডিসপ্লে, থিমসংসহ বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টূর্ণামেন্ট-১৬। মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও  এনডিসি আবু  সাঈদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক একেএম আনিসুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিসট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএফএম এহতেশামুল হক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী শেখ নুরুল হক, জেলা ফুটবল ফেডারশনের সভাপতি ইঞ্জি: সিরাজুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দ্দৌলা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মোঃ আহম্মাদ আলী সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় দেবহাটা উপজেলা দলকে ১/০ গোলে পরাজিত করে জয়লাভ করেছে কালিগঞ্জ উপজেলা দল। খেলায় কালিগঞ্জ উপজেলা দলের খেলা শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় একমাত্র গোলটি করেন ১৫নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রাসেল। খেলায় দেবহাটা উপজেলা ফুটবল একাদশে কাবিজের নেতৃত্বে অংশ গ্রহন করে মামুন, তোতন, দীপক, সোহাগ, সাদ্দাম, মহানন্দা, এমরান, ফারুক, সাব্বির, সাইফুল প্রমুখ এবং কালিগঞ্জ উপজেলা ফুটবল একাদশে রবিউলের নেতৃত্বে খেলায় অংশ গ্রহন করেন শামীম, জাহিদুর, সুমন, কামরুল, লিটন, জাহিদ, রাসেল,  সাহাবুদ্দিন, সাইদুর, আলম প্রমুখ। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল গফ্ফার,  নাসির, আবু হায়াত বাবলু, কাকন। বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সাতক্ষীরা সদর বনাম কালিগঞ্জ উপজেলা দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনের গহিনে হরিণের মাংস সহ ৪ চোরা শিকারিকে আটক করেছেন সুন্দরবন ওয়াইল্ড টীমের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সুন্দরবনে দোবেকী বন টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন ভাটিয়াপাড়া খাল হতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনিমুখা গ্রামের সহিলুদ্দিন শেখের ছেলে মিজানুর রহমান(৩৭) ও আমজাদ শেখের ছেলে মাহমুদ আলী(৩৫) এবং কয়রা উপজেলা মাটিয়াভাঙ্গা গ্রামে মুনসুর গাজীর ছেলে হাফিজুল গাজী(৩৯) ও আনছার গাজীর ছেলে রুহুল আমিন গাজী(৩৮)। বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় গোপনে জানতে পেরে দোবেকী বন অফিস ও সুন্দরবন ওয়াইল্ড টিমের যৌথ অভিযানে ১ কেজি হরিণের মাংস, ২টি নৌকা ও দা সহ হরিণ শিকারের জন্য ব্যবহৃত আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরবনে দুবলার চরে রাশ মেলা শেষ হয়েছে। প্রতিবছর বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা নয়নাভিরাম দুবলার চরে রাশমেলা উপলক্ষে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের মিলন মেলায় পরিনত হয়। ৩ দিন ব্যাপী রাশ মেলাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক দর্শনার্থী ও পূর্ণার্থী দুবলার চলে প্রবেশ করে এবং আশানুরুপ রাজস্ব আদায় হয়েছে তথ্য সংশ্লিষ্ঠ বন বিভাগের। সাতক্ষীরা সহকারী বনরক্ষক (এসিএফ) মাকসুদুল আলম জানান, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নিদ্ধারিত ৪টি রুট দিয়ে ৪ হাজার ৩০৯ জন দর্শনার্থী ও পূর্ণার্থী দুবলার চরে প্রবেশ করে। তন্মধ্যে কদমতলা ষ্টেশন অফিস হতে ২১টি ট্রলারে ৬০৫ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, কোবাতক ষ্টেশন অফিস থেকে ২২ টি ট্রলারে ৮৬৫ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৭ হজার ৭৩০ টাকা, বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশন অফিস হতে ২০ টি ট্রলারে ৯৩৬ জনের কাছ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং কৈখালী ষ্টেশন অফিস হতে ৪৮টি ট্রলারে ১হাজার ৯০৩ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২ শত টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। অপর দিকে খুলনা রেঞ্জের আওতায় ৩টি রুট দিয়ে ৪ হাজার ৩ জন দর্শনার্থী ও পূর্ণার্থী দুবলার চরে রাশমেলায় প্রবেশ করে। এ সময়ে ১৭৬টি ট্রলারে ৮ লাখ ৪হাজার ৫৯২ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। সার্বিক বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বনরক্ষক (ডিএফও) সাঈদ আলী জানান, ৬ বাহীনির সমন্বয়ে দুবলার চরে রাশমেলায় দর্শনার্থী ও পূর্ণার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা সহ চোরা শিকারিদের অপতৎপরতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478830065স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ বাছাই ও আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইতালি এবং স্পেন। প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টায় জার্মানি-ইতালি’র, ২টায় ইংল্যান্ড স্পেনের এবং রাশিয়া রুমানিয়ার মুখোমুখি হবে। ওদিকে, বিশ্বকাপে লাতিন অঞ্চলের বাছাই পর্বে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া এবং সকাল সোয়া ৮টায় শুরু হবে ব্রাজিল ও পেরু’র ম্যাচ।
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল টানা পাঁচ জয়ে শুধু টেবিলের শীর্ষস্থানেই নয়, দাঁড়িয়ে আছে ৪৭ বছরের পুরোনো রেকর্ড স্পর্শের দোড়গোড়ায়। পেরু’র সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচটি জিতলে বাছাই পর্বে তাদেরই গড়া টানা ছয় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করবে তারা।
১৯৬৯ সালে একই রেকর্ড গড়েছিলো পেলে’র ব্রাজিল। পরে সেই দলটিই ১৯৭০’এ তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চিরদিনের জন্য জিতে নেয় জুলে রিমে ট্রফি।
কোচ টিটে’র রোটেশন থিউরি অনুযায়ী নেইমার নন, এ ম্যাচে ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দেবেন মিডফিল্ডার ফার্নানদিনিয়ো।
আর, নিজেদের মাঠ সান জুয়ানে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ তাদের কোচ পেক্যারম্যানের কলম্বিয়া। জিতলে আর্জেন্টিরা ষষ্ঠ থেকে পঞ্চম এমনকি চতুর্থ স্থানেও চলে যেতে পারে। আর তা হলে সমর্থকরাও হতে পারে টেনশনমুক্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest