সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন

227223019649e82d316d3a9ab939ec86-58306be8a6572বিনোদন ডেস্ক : শাকিব খান ও বুবলী মাত্র ছ’মাস বয়স গানটির। এর মধ্যেই রেকর্ড গড়ে বসে আছে। গানটির নাম ‘দিল দিল দিল’। জানা গেছে, ঢাকাই সিনেমার অন্তর্জাল ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনও গান, যেটি কোটি ভিউয়ের ঘর পেরিয়েছে ইউটিউবে।
গেল বছর ৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্জালে মুক্ত হয় পরীক্ষিত সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমনের এই গানটি। কবির বকুলের কথায় যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী ইমরান; সহশিল্পী কণা। আর সেই গানটি সোমবার বিকাল ৫টা ১১ মিনিট নাগাদ পৌঁছে গেছে কোটি ভিউয়ের ঘরে।
গান সংশ্লিষ্টদের উচ্ছ্বাসের খবর জানার আগে বলে রাখা উত্তম, এটি শামিম আহমেদ রনী পরিচালিত ‘বসগিরি’ ছবির গান। গেল কোরবানির ঈদে মুক্তি পেয়েছে এটি। আর এতে জুটি বেঁধেছেন ঢালিপাড়ার প্রধান মুখ শাকিব খান এবং নবাগতা বুবলী।
ধারণা করা হচ্ছে, সময়ের সফল সুরকার-গীতিকার-শিল্পী-নায়কের সম্মিলনের কারণেই ‘দিল দিল দিল’ গানটিকে এভাবে লুফে নেয় অন্তর্জাল দর্শকরা।
শওকত আলী ইমন বলেন, ‘‘আমি আসলে ‘ভিউ জেনারেশনের’ মানুষ নই। বরাবরই চেষ্টা করি, সিনেমার গল্প ধরে ভালো গান তৈরি করতে। তবে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। তাই সেটাকেও মূল্যায়ন করতে হয়। ভাবতে ভালো লাগছে, সিনেমার প্রথম কোটি ভিউ পেরুনো গানটির সংগীত পরিচালক আমি। আমার ক্যারিয়ারে এটাও একটা অ্যাওয়ার্ডের মতো। ধন্যবাদ জানাই গানটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে।’
এদিকে গানটির অন্যতম কণ্ঠশিল্পী ইমরান বলেন, ‘শ্রোতাদের ভালোবাসায় দ্রুততম সময়ে আমার আরও একটি গান কোটির কোঠা পেরিয়েছে। এটা অনেক উচ্ছ্বাসের বিষয়। ধন্যবাদ জানাই দর্শক-ভক্তদের। কৃতজ্ঞতা গান সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।’
ইমরান আরও বলেন, ‘‘ভালো লাগার আরেকটি ব্যাপার হলো বাংলাদেশের প্রথম অডিও গান হিসেবে আমার গাওয়া ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ গানটি কোটির ঘরে পা রাখার পর এবার বাংলাদেশের প্রথম সিনেমার গান হিসেবে ‘দিল দিল দিল’ একই রেকর্ড গড়ে। এটিও আমার গাওয়া। সবার অকৃত্রিম ভালোবাসা ছাড়া যা কখনোই সম্ভব হওয়ার ছিল না।’
এদিকে জানা গেছে, অডিও এবং চলচ্চিত্রের গান মিলিয়ে সবচেয়ে কম সময়ের (৬ মাস) মধ্যে কোটি ভিউয়ের ঘর পেরিয়েছে ‘দিল দিল দিল’ গানটি। এর আগে আট মাসের মাথায় মিনারের ‘ঝুম’ গানটি এই রেকর্ড গড়ে।
অন্যদিকে, চলচ্চিত্রের গানের মধ্যে ‘দিল দিল দিল’ এর পরেই কোটি ভিউর ওয়েটিং লিস্টে আছে প্রায় দুই বছর বয়সী ‘অগ্নি-টু’ ছবির ‘ম্যাজিক মামনি’ (৯৬ লাখ) গানটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

456285bb6b30603bb7d729fdec0f67cb-58c528e04b05dস্ব্যাস্থ্য ও জীবন : লেবুর রয়েছে অনেক উপকার। লেবুতে থাকা পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে লেবু। আমরা বেশিরভাগ সময়ই লেবু খেয়ে খোসা ফেলে দিই। তবে জানেন কি লেবুর মতো এর খোসাও শরীরের জন্য উপকারি ?
জেনে নিন লেবুর খোসা সম্পর্কে কিছু তথ্য- গবেষণা মতে, লেবুর রস অত্যন্ত উপকারি। তবে লেবু খোসাসহ খেলে উপকার হয় দ্বিগুণ। লেবুর খোসা থেকে ভিটামিন এ, ই, সি, বি৬, রিবোফাভিন, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। লেবুর খোসা পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। স্যুপ, সালাদ অথবা পাস্তার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন লেবুর খোসা। ফ্রিজে রাখা লেবুর খোসা কুচি করে চা, জুস অথবা স্মুদির সঙ্গে মিসিয়েও পান করা যায়। লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে ব্যবহার করা যায় রূপচর্চায়ও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rainbow-grapeস্ব্যাস্থ্য ও জীবন : আঙুর খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছোট্ট এ ফল কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য। আঙুরে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, আয়রন সহ সুস্থতার জন্য জরুরি অনেক খাদ্য উপাদান। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, নিয়মিত আঙুর খেলে ছোট অসুখের পাশাপাশি ক্যানসারের মতো রোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব।
জেনে নিন আঙুর খাওয়া কেন জরুরি- আঙুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেলন বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে আঙুর। আঙুরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যালার্জি জনিত কারণে সর্দি বা ঠা-া লাগা দেখা দিলে আঙুর খান। উপকার পাবেন।
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক সুন্দর রাখে আঙুর। নিয়মিত লাল আঙুর খেলে দূরে থাকতে পারবেন ব্রণ থেকেও।
হঠাৎ ক্ষুধা লাগলে জাঙ্ক ফুডের বদলে আঙুর খান। পুষ্টিকর আঙুর যেমন দ্রুত পেট ভরাতে সাহায্য করবে, তেমনি জাঙ্ক ফুডের আসক্তিও কমাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexস্বাস্থ্য ও জীবন : সুন্দর ঝলমলে চুল কার না পছন্দ! লম্বা, ঘন, সিল্কি চুল সবারই কাঙ্খিত থাকে। এর জন্য মাথার ত্বক ঠিক রাখার পাশাপাশি খাদ্য তালিকার প্রতি নজর দিতে হবে। সঠিক খাদ্যাভাস শরীরের ভেতর থেকে আপনাকে পুষ্টি যোগাবে। তাই সুন্দর চুল বা ত্বক যা-ই পেতে চান না কেন, এরজন্য খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত আমিষ, ভিটামিন এবং মিনারেলের যোগান থাকতে হবে। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে আমরা চুল বড় করার জন্য কী খাব? এই প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্য নিচের খাবারগুলোকে ফলো করুন।
প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিম – প্রোটিন দিয়েই চুল তৈরি হয়। তাই আপনার খাবার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করছে কিনা, সেটা আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে। আর ডিম হলো প্রোটিনের একটা বড় উৎস।
আয়রণের চাহিদা পূরণে সবুজ শাক-সবজি – চুল গঠনে আয়রণের বিকল্প নেই। এর অভাবে চুল পড়ে যায়। যখন শরীরে আয়রণ, অক্সিজেন এবং পুষ্টির অভাব হবে এবং তা চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছাবে না, তখনই চুল দূর্বল হতে শুরু করবে এবং একসময় তা ঝরে যাবে। তাই সবুজ শাকসবজি খেতে হবে পর্যাপ্ত।
ভিটামিন ‘এ’র চাহিদা পূরণে গাজর – দ্রুত চুল গজাতে প্রতিদিন গাজরের জ্যুস খান। শরীরের অন্য অংশের চেয়ে চুলের টিস্যুর বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হয়। আর প্রতিটি সেল গঠনেই ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মাথার ত্বককে প্রাকৃতিক সেবলাম অয়েল তৈরিতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়।
ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণে লেবু – শরীরে প্রতিদিন ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণে লেবু, কমলালেবু বা এই জাতীয় ফল খেতে হবে। লেবু ভাতের সাথে অথবা লেবু–পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। দ্রুত চুল গজাতে এটি অনেক কার্যকর।
বায়োটিনের চাহিদা পূরণে শস্যদানা – বায়োটিনে থাকে আয়রণ, জিংক এবং ভিটামিন। বায়োটিন সেল গঠনে এবং অ্যামাইনো এসিড তৈরিতে ভূমিকা রাখে। যা সুন্দর চুলের জন্য আবশ্যক। তাই শস্যদানা খেয়ে বায়োটিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব।
ওমেগা এর চাহিদা পূরণে বাদাম – চুলে পুষ্টি যোগাতে এবং ঘন করতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এসিডের প্রয়োজন, যাদেরকে একত্রে বলে ওমেগা ৩। এটির চাহিদা পূরণ করা যাবে বাদাম খাবার মাধ্যমে।
ভিটামিন ‘ই’র চাহিদা পূরণে নাশপাতি – সুন্দর চুল, শরীরে রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখা, রক্তে পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রাখা, এসবে নাশপাতির জুড়ি নেই। তাই  সকালের খাদ্য তালিকায় অথবা দিনের যে কোনো সময় এটা খেতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-12কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্র্ণ গ্রামীণ পাকা সড়ক গুলোর মধ্যে কলারোয়া-টু-সরসকাটি এই সড়কটির বেহাল দশা চরমে উঠেছে। এই সড়কটি দেখার যেন কেউ নেই। কলারোয়া বাজার থেকে পশ্চিম দিকে বেত্রাবতী নদী পার হয়ে বামনখালী বাজার হয়ে সরসকাটি বাজার পর্যন্ত মোট ৯ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এই রাস্তার পার্শ্বে দুইটি ইট ভাটা থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ছে সাধারণ মানুষ। স্তপকৃত ইটভাটার মাটি রাস্তার উপর পড়ে হাটু কাদায় পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং-এর পাকা রাস্তা হলেও পিচের নমুনা ৯কিলোমিটরের মধ্যে প্রায় ৮কিলোমিটার নেই। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা বড় বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুই একটি নছিমন, ইজিবাইক ও ভ্যান উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ছোট খাটো সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্য নৈতিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি ও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। বেহাল দশা জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখনই সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগীতো বটেই জনদুর্ভোগের আর সীমা থাকবেনা। জরুরি এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ব্রিগ্রেডের গাড়ি যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছেনা। এদিকে কপোতাক্ষ নদের উপর সরসকাটি ব্রিজ হওয়ায় সড়কটি যশোর জেলার কেশেবপুর উপজেলার সাথে সংযুক্ত  রয়েছে। বিধায় দুই উপজেলার প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ মানুষের কলারোয়া ও কেশবপুর যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সড়কটি। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনি শত শত ট্রাক, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল সহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এ মনকি কলারোয়া থেকে সরসকাটি পর্যন্ত রাস্তাটির দু’পাশে দুটি কলেজসহ কয়েকটি হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কয়েক’শ শিক্ষকসহ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর চলাচলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অল্প সময়ের পথ পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লাগছে। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে যান চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। তাই সড়কটি সংস্কার করা ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষসহ বিভিন্নœ এলাকার মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। একান্ত বাধ্য হয়ে যাতায়াত করলেও তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। রাস্তাটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়, কলারোয়া-টু-সরসকাটি সড়কে কলারোয়া পৌর সদরের বেত্রাবতী নদী পার হয়ে কলাগাছি মোড় হয়ে জালালাবাদ মোড় পর্যন্ত, হামিদপুর মোড় এলাকা, ভাই ভাই ইট ভাটা থেকে বামনখালী বাজার হয়ে বৈদ্যপুর মোড় পর্যন্ত এবং ওফাপুর মোড় থেকে সরসকাটি বাজারের ব্রীজের মাথা পর্যন্ত সড়কে খানা-খন্দক, গর্ত, ভাঙন এত বেশী পরিমান যে, যান চলাচল তো দুরের কথা হাঁটা চলাও ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, এই সড়কটিতে কয়েক বছরে সংস্কারের ছোয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ব্যস্ততম এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভীষণ কষ্টভোগ করতে হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা যখন কলারোয়া হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসে তখন রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের আকুতি মিনতি দেখে মনে হয় এ যেন দেখার কেউ নেই।  ফলে জরুরিভিত্তিতে যাতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সাতক্ষীর-১ আসনের (তালা-কলারোয়া) এমপি এ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কলারোয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জানান, কলারোয়া-টু-সরসকাটি সড়কটি সড়ক বিভাগের আওতাধীন থাকায় সংস্কারের বিষয়টি এলজিইডির আওতায় আসে না। বিধায় সংস্কার করতে পারছেন না। তবে কলারোয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যাতে জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা হয় এমনটি আশা ভুক্তভোগী জনগনের সাথে তিনিও ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসীর কয়েকজন আক্ষেপ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, নদীর পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করলেও তারা যেন এ দৃশ্য দেখেও দেখেন না। তারা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

faightসাতক্ষীরা প্রতিনিধি : শ্যামনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমসহ ১৫ জনকে আটক করেছে। রোববার বিকাল ৪ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ানম্যান আব্দুর রহিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেনসহ ১৫ জনকে আটক করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

444হাসান হাদী : সাতক্ষীরায় মানবতাবিরোধী মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল্লাহহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা জনতা।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড় (শহিদ আলাউদ্দীন চত্বর) এ সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দীক, সদর উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসানুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, ওয়ার্কাস পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদকম-লীর সদস্য অতিরিক্ত পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাতক্ষীরা গণ-জাগারণ মঞ্চের নেত্রী নাসরিন খান লিপি প্রমুখ। মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী মানবতা বিরোধী অপরাধী কুখ্যাত রাজাকাররা আজো তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি কুখ্যাত রাজাকার মানবতা বিরোধী আব্দুল্লাহহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলামকে অবিলম্বে আটক করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আমরা হতাশ। এছাড়া রোকনুজ্জামান খান ও তার পরিবারের প্রতিষ্ঠান শহরের নবজীবন নামক স্থানে এখনও জামাত শিবিরের কারখানা। এখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির চেয়ার অলংকৃত করেন। এভাবেই পার পেয়ে যাচ্ছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত-শিবিরের প্রেতাত্বারা। মানবতাবিরোধী অপরাধী মামলার সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্টদের ভয়-ভীতি ও বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। অবিলম্বে সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহবান জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম,জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক নেতা শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা ও সাংবাদিক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান হাদী, মকবুল হোসেন, সদর উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ হোসেন আমির হোসেন খান চৌধুরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, বাংলাদেশ পুস্তক ও প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির জেলা সভাপতি প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য মো. আব্দুর রহিম, যুব মৈত্রীর ফিরোজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি প্রণয় সরকার, সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি পলাশ, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মমতাজ খাতুন মিরা, প্রাপ্তি ও প্রান্তিসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনতা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

b2bb941984a1265807aa340249bec0ca-58c452d15516fহাসান হাদী : মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে কয়েকজন সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) সহযোগিতা করছেন না। এ নিয়ে দফায় দফায় অভিযোগ করেছে তদন্ত সংস্থা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল(আইসিটি)’র তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মন্ত্রিপরিষদকে ডিসিদের অসহযোগিতার কথা  বারবার অবগত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

যেসকল জেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে বা মামলা চলমান সেকল জেলার ডিসিদের সভাপতি করে একটি করে সাক্ষী সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরার ৪ জন শীর্ষ মানবতাবিরোধীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আইসিটি’র তদন্ত সংস্থা। বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও এই জেলায় সাক্ষী সুরক্ষা কমিটির কোন মিটিংও অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাতক্ষীরা কারাগারে অন্তরীণ জামাত-শিবিরের একটি অংশ তাদের আত্মগোপনে থাকা ক্যাডারদের সহযোগিতায় জেলা জামাতের আমির মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলের মামলার সাক্ষীদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের হত্যা পর্যন্ত করতে পারে বলে আশংকা করে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারকে একটি চিঠিও দেয়া হয়েছে গত ডিসেম্বর মাসে। চিঠিটির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, র্যাবের ডিজি এবং সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককেও প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ের অগ্রগতি জানতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, চিঠি পাওয়ার পর সদর থানাকে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠির একটি কপি সদর সার্কেল অফিসকেও ফরওয়ার্ড করা হয়েছে।
এদিকে যাদেরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলে তদন্ত সংস্থা আশংকা করা হয়েছে তারা এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোয় জানিয়ে বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগই করেনি। পুলিশের নির্লিপ্ততার তারা হতাশা ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় জানানো হয়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিত করা, ঘর-বাড়ি লুণ্ঠন অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত কাজে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক বারবার তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং মাঠ প্রশাসনকে। তাগাদা সত্ত্বেও অনেক জেলা প্রশাসক এখনও এ সম্পর্কিত তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠায়নি। এ জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত কাজে সহায়তা প্রদানের জন্য বিভাগীয় কমিশনাররা সহায়তা প্রদান করবেন।’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, সকল বিভাগীয় কমিশনার এই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট থাকার কথা জানিয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং ডিসিদের সহযোগিতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জিয়াদ-আল-মালুম বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সহযোগিতা পাই না। জেলা প্রশাসকদের চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সহযোগিতাই বেশি প্রয়োজন হয়। অনেকেই সহযোগিতা করেন না। কেউ কেউ অসহযোগিতাও করেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংস্থার অপর এক সদস্য জানান, ‘অনেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহযোগিতা করেন না। কারণ তারা নিজেরাই জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখেন। তাহলে সহযোগিতা পাবো কিভাবে? সাতক্ষীরায় সহযোগিতা তো পাইনি। উল্টো অসহযোগিতা পাওয়া গেছে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কারও কারও কাছ থেকে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান  বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিদল আসলে বিশেষ নিরাপত্তাসহ নিরাপদে থাকা এবং নিরাপদে চলার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাসহ আনুসঙ্গিক সহযোগিতা করছি। এ বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বর্তমানে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী জেলাসহ বেশ কিছু জেলায় তদন্ত সংস্থা মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে নেমেছে।

সাতক্ষীরা জেলার ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল কারাগারে থাকলেও অপর তিন আসামি আব্দুল্লাহিল বাকী, খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা বর্তমানে পালিয়ে আছে। তাদের বিরুদ্ধে গত বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ০১।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest