সর্বশেষ সংবাদ-

3
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভায় চলছে যত্রতভাবে একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে জেলাসহ পৌরসভার জায়গা। দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। তথ্যে প্রকাশ, জেলা সদর হতে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে খুলনার প্রথম পৌরসভা পাইকগাছা। যার আয়তন ২.৫২ বর্গকিলোমিটার। প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। পৌর সীমানার মধ্যে সদর সহ ৭টি হাট বাজার, ২৫টি মসজিদ, ৭টি মন্দির সহ সংখ্যা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি শিবসা ও কপোতাক্ষ নদীর অববাহিকতায় গড়ে ওঠে এই পৌরসভা। যা ধীরে ধীরে আলোকিত পৌরসভায় রূপ নেয়। সন্ধ্যার পর বৈদ্যুতিক সংকট দেখা গেলেও পৌর কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় সমস্ত শহরে সৌর বাতি জ্বলে ওঠে। যার দাবি রাখে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর সহ তার পরিষদ। কিন্তু পৌরসভা আলোকিত করলেও জেলা পরিষদসহ পৌরসভার জায়গা দখল করে চলেছে ভূমিদস্যুরা। পৌর সদর সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যবসায়ী চলছে খেয়াল খুশি মত। রাস্তা দখল করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছে শতশত প্রতিষ্ঠান। মাংস বাজার চলছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। চাঁদনী না থাকায় কাঁচা বাজার চলছে এলোমেলোভাবে। রয়েছে যানজটের বড় সমস্যা। ট্রাফিক না থাকায় বাজার হতে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত যান চলাচল ঝুকিপূর্ণ থাকতে দেখা যায়, রাস্তার উপর বাস-মিনিবাস সহ মালবাহী ট্রাক। দখল হয়ে যাচ্ছে পৌর সদর সংলগ্ন শিবসা নদীর চর ভরাটি জায়গা। বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাজার সংলগ্ন নদীর পাশে ফেলে গন্ধে পরিবেশ দূষিত করছে। রয়েছে মাছ, কাঁকড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জুয়ারে নদীর দূষিত পানিতে পৌর সদরের বিভিন্ন রাস্তা তলিয়ে যায়। নেই শহর রক্ষা বাঁধ। সমস্যা রয়েছে পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত আদর্শ শিশু বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, লাইব্রেরির পাশে জীম ঘরের ব্যবস্থা। সবকিছু মিলিয়ে যেন পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা চলছে যত্রতত্রভাবে। অত্র এলাকার স্থায়ী বাসিন্ধা সরকারি চাকুরীজীবি সহ ব্যবসায়ীরা স্বচ্ছ পৌরসভা গড়ে তোলার জন্য কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ১১টি পদে ২টি প্যানেলে ২২জন প্রার্থী বুধবার সকালে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী প্যানেলে সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মোজাফফর হাসান, আককাছ আলি, সম্পাদক পদে দিপঙ্কর কুমার সাহা, যুগ্ম সম্পাদক অনাদি কুমার মন্ডল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম. মুহতাছিম বিল্লাহ, লাইব্রেরিয়ান সম্পাদক বেলাল আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদস্য আব্দুল মালেক, আব্দুল মজিদ ও আমিনুল ইসলাম এবং আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, পংকোজ কুমার ধর, সহ-সভাপতি অজিত কুমার মন্ডল, আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তৈয়েব হোসেন নূর, যুগ্ম সম্পাদক সেলিনা আক্তার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইদুর রহমান মিঠু, লাইব্রেরী সম্পাদক শিবু প্রসাদ সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক অজিত কুমার সরকার, সদস্য পদে পরিমল কুমার মন্ডল, সমরেশ মন্ডল ও সঞ্জয় কুমার মন্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭২জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনের প্রতিষ্ঠাতার নামানুসারে সাতক্ষীরায় ই,এফ, সুমেখার টেকনোলজি জাসটিস কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা পৌরসভা চত্বরে এ ভবনের উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। পরে সাতক্ষীরা পৌরসভা হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনের ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্টর মিস এমি মিনার সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টর মিস হাসিন জাহান, পৌর কাউন্সিলর শফিক-উ-দ্দৌলা সাগর, মহিলা কাউন্সিলর জোছনা আরা প্রমুখ। আলোচনা সভায় জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন প্রতিষ্ঠানটি পৌরসভায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে তারা উন্নত উপায়ে বাসাবাড়ির আবর্জনা ও বর্জ্য সংগ্রহ করে তা থেকে উন্নত মানের সার ও গ্যাস উৎপাদনের কাজ করছে। আলোচনা সভায় আরো জানানো হয়, ই,এফ, সুমেখার টেকনোলজি জাসটিস কর্নার থেকেই প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন ও সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক তৈরিকৃত বিভিন্ন টেকনোলজি প্রদর্শন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অনলাইন ডেস্ক: অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে পাঠানো ত্রাণ গ্রহণ করেছেন গাইবান্ধায় হামলার শিকার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এ ত্রাণ পৌঁছে দেয়।

গত সোমবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হান্নান ত্রাণ দিতে গেলে তাঁরা নেননি। কারণ, তাঁদের অভিযোগ, ইউএনওর নির্দেশে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে, সেই ইউএনওর হাত দিয়ে ত্রাণ বিতরণ মশকরা ছাড়া আর কিছুই না।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের বড়জয়পুর গ্রামে পরিত্যক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের সামনে পরিবারপ্রতি ২০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলু, এক কেজি লবণ ও দুটি করে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ১৫০টি পরিবার এই ত্রাণ পাবে। সেখানে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহম্মদ আলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল হক।

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ইক্ষু খামার ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটির সহসভাপতি ফিলিমিন বাস্কে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সরকারের কথা হয়েছে। সেখানে সরকারের লোকজন আমাদের পুনর্বাসনের ও হয়রানি না করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর ত্রাণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাঁওতালদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন এবং গুলিবিদ্ধ হন চারজন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন। এ ঘটনায় শুধু পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় ওই রাতে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করা হয়। গত সোমবার বিকেল পর্যন্ত চারজন সাঁওতালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

432e669d4f9ccf599254c29f8e0b4240-untitled-4বিনোদন ডেস্ক : আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুরঅনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটার ও পতৌদির প্রয়াত নবাব মনসুর আলী খানের জীবন নিয়ে বলিউডে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানানো হবে। কিন্তু ছবির প্রধান চরিত্রে কারা অভিনয় করবেন, তা এখনো ঠিক হয়নি। মনসুর আলীর স্ত্রী বলিউডের গুণী অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর চাইছেন এই ছবিতে তাঁর চরিত্রে আলিয়া ভাট অভিনয় করুন। আর টাইগার পতৌদির চরিত্রে তিনি রণবীরকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মনসুর আলী খানের (যাঁকে অনেকে আবার টাইগার পতৌদি নামেও চেনেন) ‘বায়োপিক’ প্রসঙ্গে শর্মিলার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল পর্দায় নিজেদের বেশে কাকে দেখতে চান তিনি? তখন তিনি বলেন, ‘মনসুর আলীর জীবনের ওপর কোনো ছবি তৈরি হলে আমার নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। তবে ছবি তৈরির আগে পরিচালককে তাঁর জীবন ও তাঁকে নিয়ে অবশ্যই অনেক গবেষণা করতে হবে।’
শর্মিলা ঠাকুর আরও মনে করেন, পতৌদির বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে কোনো ছবি তৈরি হলে রণবীর কাপুর বা ছেলে সাইফ আলী খান নাম–ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন। কারণ, এই দুজনের সঙ্গে টাইগারের চেহারার বেশ মিল আছে। আর শর্মিলা নিজের চরিত্রে দেখতে চান আলিয়া ভাটকে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই সাবেক অধিনায়ক ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে মারা যান। ১৯৬১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হিন্দুস্তান টাইমস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

russian-ministerআন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী আলেক্সেই উলিইউকায়েভকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি তেল কোম্পানির কাছে থেকে ২০ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠে এই রুশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

রাশিয়ার প্রধান দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি (এসকে) জানায়, উলিইউকায়েভ সরকারি মালিকানাধীন তেল কোম্পানি থেকে এই বিপুল অর্থ ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসকে’র মুখপাত্র সভেতলানা পেত্রেনকো বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে বলেন, উলিইউকায়েভ হুমকি দিয়ে একটি তেল কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন। ১৪ নভেম্বর ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ঘুষের অর্থ নেয়ার সময় ওই মন্ত্রী হাতেনাতে ধরা পড়ায় তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হবে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে উলিইউকায়েভের ৮ থেকে ১৫ বছরের সাজা হতে পারে।

উলিইউকায়েভকে গ্রেফতারের বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানোর তাগিদ দিয়েছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী। তদন্তের বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত আছেন পুতিন।

উলিইউকায়েভের মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামতের পর গত অক্টোবরে সরকার নিয়ন্ত্রিত রোসনেফট নামের তেল কোম্পানি আরেকটি তেল কোম্পানি বাশনেফটের ৫০ শতাংশ কিনে নেয়। পরে রোসনেফটের কাছ থেকে উলিইউতকায়েভের ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

trump2-2-300x184আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিংশ শতাব্দীর মার্কিন কূটনীতিক দ্বিতীয় অ্যাডলাই ই. স্টিভেনসন। বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ ও কথার জন্য সুপরিচিত এই প্রাক্তন ইলিনয় গভর্নরের একটি উক্তি বেশ বিখ্যাত: “আমেরিকায় যে কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারে। এই ঝুঁকিটা তোমাকে নিতেই হবে” (In America, anybody can be president. That’s one of the risks you take.)। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই উক্তিটি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বারবার ঘুরে ফিরছে।

৮ নভেম্বরের নির্বাচনে মার্কিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনগণের ভোটে হিলারি এগিয়ে থাকলেও ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ট্রাম্পের পক্ষে বেশি পড়ায় তিনি জিতে যান। কিন্তু গণতন্ত্রের নামে হওয়া নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতে কোন ‘তন্ত্র’টি আসতে যাচ্ছে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

একনায়কত্ব প্রিয়তা

গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত এই রাষ্ট্রপ্রধান স্বৈরতন্ত্র ও একনায়ক হিসেবে পরিচিতদের খুব পছন্দ করেন এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশ্যে তাদের প্রশংসাও করেছেন। পাশাপাশি নিজ দেশের নেতাদের নিয়ে উপহাসও করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে বলেছেন, “তিনি নিজের দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি একজন নেতা, অন্তত আমাদের দেশে যেমন আছে তেমন না। নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে নিয়ে বলেছেন, “তাকে কৃতিত্বটুকু দিতেই হবে। তিনি যান, দখল করেন, নেতা হয়ে যান। অসাধারণ একটা ব্যাপার।” আর ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের প্রশংসা করে বলেন, “তিনি সন্ত্রাসীদের মেরেছেন কাজটা তিনি কত ভালোভাবে করেছেন। তার সরকার সন্ত্রাসীদের তাদের অধিকার পড়ে শোনায়নি!”

একনায়কদের ভালো লাগাটা এখানে মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হলো, ট্রাম্পের ভালো লাগে ‘একনায়কত্ব’। সবকিছুর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিতে আগ্রহী ব্যক্তি এবার হলেন গণতন্ত্রের কথা বলা একটি দেশের গণতান্ত্রিক নেতা।

সহিংসতায় ও বৈষম্যে আগ্রহী

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী র‌্যালিতে, বিতর্কে, ভাষণে বারবার মার্কিন সরকার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করার কথা বলেছেন। টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে জেলে পুরবেন তিনি। মানহানি আইন কঠোর করা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমানো ছাড়াও নির্বাচনের আগে গেটিসবার্গে দেয়া এক বক্তৃতায় ট্রাম্প জানান, তার বিরুদ্ধে যারা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১শ’ দিনের মধ্যেই সেই সব নারীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন।

প্রচারণা র‌্যালিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য ট্রাম্প তার সমর্থকদের উৎসাহ দিয়েছেন। এমনকি বলেছেন এ কারণে সমর্থকরা গ্রেফতার হলেও ট্রাম্প তাদের বের করে আনবেন। সেই ট্রাম্প জয়ের পর তার বিরুদ্ধে হওয়া আন্দোলনকে ‘অন্যায়’ বলেছেন। নির্বাচনে নিজে জয়ী না হলে ফলাফল মানবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এবং বিশ্বশান্তির কথা বলে আসা যুক্তরাষ্ট্র এমন এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে যিনি আমেরিকান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও একজন বিচারককে তার মেক্সিকান ঐতিহ্যের জন্য তিরস্কার করেছেন। প্রকাশ্যে বলেছেন, সেলিব্রেটি হলে নারীকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায়। এমনকি ন্যাটো ভাঙ্গার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সৌদি আরব ও জাপানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও উৎসাহ দিয়েছেন। আর এ সবই তিনি করেছেন নির্বাচনের আগে।

তারপরও ট্রাম্প

অথচ সবকিছুর পরও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প। অবশ্য সংবিধান অনুসারে, জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যদের সিদ্ধান্ত বদলানোর সুযোগ রয়েছে। সেজন্য ৩৪ লাখেরও বেশি মানুষের সইসহ কলেজ বরাবর একটি পিটিশন করা হয়েছে, যেন ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’র ফলাফল বদলানো হয়। তবে এখন আর সেই আশা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভালো দিক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাজারো দোষ ও নেতিবাচক দিক থাকলেও তার একটি ভালো দিক আছে বলে মনে করেন মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ভক্স’-এর প্রধান সম্পাদক এজরা ক্লেইন। আর সেটি হলো: ট্রাম্প কখনোই নিজের চরিত্র বা মনোভাব লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেননি। তিনি যা, তা-ই হয়ে সবার সামনে এসেছেন। যা মনে হয়েছে সেটাই বলেছেন। মুখে মেকি হাসি লাগিয়ে রাখেননি। যখন যেমন লেগেছে, তেমন উদ্ভট মুখভঙ্গি করে কখনো হাস্যকর, কখনো আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ভেতরে অভদ্র হয়ে ভদ্রতার মুখোশ পরেননি ট্রাম্প। এটাও তার পক্ষে ভোট এনে দেয়ার অনেক বড় একটা কারণ বলে মনে করেন ক্লেইনের মতোই আরও অনেক বিশ্লেষক।

রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড়?

ট্রাম্প বারবার বলেছেন অন্যান্য দেশ থেকে কোম্পানি গুটিয়ে দেশে ব্যবসা বাড়াবেন, দেশের বেকার মানুষগুলোর চাকরির ব্যবস্থা করবেন। প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথম ভাষণেও এ কথা বলেন ট্রাম্প। প্রচারণার সময় আরও বলেন, অভিবাসীদের, বিশেষ করে মুসলিম অধিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা বন্ধ করে দেবেন। রোববার এক ঘোষণায় তিনি জানান, ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে তাৎক্ষণিকভাবে দেশ থেকে তাড়াবেন।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার ট্রাম্পকে বেছে নেয়ার পেছনে কারণ হলো লম্বা একটি সময় ধরে চলে আসা অর্থনৈতিক যন্ত্রণা, জনগণের মাঝে অস্থিরতা ও এলিটগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ। অন্তত ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিষয়গুলো প্রবলভাবে কাজ করেছে। এসব জটিলতার ফল হিসেবেই প্রেসিডেন্টের গদিতে চড়তে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই ব্যাখ্যাকে মেনে নিলে বলা যায়, ট্রাম্প হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের মতোই একটি ‘রাজনৈতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ’-এর নাম। একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে যেমন সঠিক পরিমাণ বায়ুপ্রবাহ, তাপমাত্রা আর আর্দ্রতা দরকার, ট্রাম্প নামের একজন মানুষ প্রেসিডেন্ট হতেও তেমনি দরকার হয় ওপরের ব্যাখ্যাটির মতো পরিস্থিতি।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যেসব বিতর্কিত বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হয়ে সেগুলোর সব বাস্তবায়ন শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে, অর্থাৎ ‘ট্রাম্প ঘূর্ণিঝড়’-এ ক্ষতি বেড়ে গেলে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে (অভিসংশন করে) তাকে রিপাবলিকানরাই সরিয়ে দেবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মার্কিন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অ্যালান লিটম্যান।‌

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের অর্থ দাবি ভিত্তিহীন, উল্টো বাংলাদেশই তাদের কাছে টাকা পায় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সচিবালয়ে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যেহেতু বাংলাদেশই তাদের কাছে টাকা পায়। সেই দাবিতে বাংলাদেশ যেন সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য এমন কথা বলছে তারা।

মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ টেনে তিনি আরো বলেন, ৭১ সালে তারা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। এদেশের অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি সাধন করেছে। পাশাপাশি ৭১ সালের আগে যেসব মিল কারখানা তারা চালাতো সেসব থেকে যতো আয় হতো, তার কোনো কিছুই বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যয় না করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিত। তাই এখন বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের এমন অর্থ দাবি মিথ্যা।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা (৯.২১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রূপি) টাকা পাওনা আছে দাবি করে তা ফেরত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে তারা।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ৭১ পূর্ববর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের কাছে পশ্চিম পাকিস্তানের যে অর্থ পাওনা ছিল তা বর্তমানে ৭০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত পাওনা নিরুপণ করা হয়েছে।

স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) দেশটির সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে তাদের বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে পাওনা নির্ধারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসবিপির হিসাবে, বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে মোট ১ হাজার ৫২৫ কোটি রুপি পাবে পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে ৭০০ কোটি আর ভারতের কাছে পাবে ৬০০ কোটি রুপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest