সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

full_638619357_1482730545অনলাইন ডেস্ক: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে নয় ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় বন্ধ হওয়ার পর সোমবার সকাল ১০টায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, রোববার রাত ৯টার পর কুয়াশা বাড়তে শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টায় ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

“সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরি চলাচল শুরু করে।” ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে শতাধিক কোচসহ তিন শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছিল বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

00000অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন খান আরেফিনের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

গতকাল এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নৃবিজ্ঞান চর্চা ও শিক্ষায় ড. আরেফিনের অবদান স্মরণ করে বলেন, তার ইন্তেকালে নৃবিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অবদানের কথা দৃঢ়তার সাথে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অধ্যাপক আরেফিন শনিবার বিকেলে ঢাকার লালমাটিয়ার বাসায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।

ড. আরেফিন ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণের পরে তিনি ‘ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ এ প্রো-ভিসি হিসেবে যোগ দেন।

নৃবিজ্ঞানী অধ্যাপক আরেফিন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার ও শিক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক বোরহানুদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এবং অপর এক ভাই ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।-বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1482665053অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা দিয়েছেন খুব বেশি সময় হয়নি। এর মধ্যে অর্ধেকই কাটিয়েছেন ইনজুরির সঙ্গে লড়তে লড়তে। কিন্তু এর মধ্যেই ‘মুস্তাফিজুর রহমান’ নামটি যেন শিহরণ জাগায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। সদ্যই শুরু হওয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যেখানেই গেছেন, সেখানেই সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরেও আলোচনার কেন্দ্রে আছেন ‘ফিজ’। বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো তারকারা থাকলেও ঘুরেফিরে বারবারই সবার নজর চলে যাচ্ছে ‘ফিজের’ দিকে। তাঁকে নিয়েই সরগরম হয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম।

গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সাসেক্সের হয়ে খেলতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তারপর থেকে মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে। খেলতে পারেননি আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। কিছু সময়ের জন্য সবার দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলেও আবার দাপুটে ভঙ্গিতেই ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন মুস্তাফিজ। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরূপে ফেরার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তিনিই যে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই এখন বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে। ‘স্টাফ’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘উপমহাদেশের পেসারদের সাধারণত বেশ কষ্টই করতে হয় নিজের প্রতিভার প্রমাণ করতে। কিন্তু বাংলাদেশের এই পেস সেনসেশন এখন পর্যন্ত নিজেকে ব্যতিক্রমী হিসেবেই প্রমাণ করেছেন।’

চোট কাটিয়ে মুস্তাফিজের ফিরে আসাটা বাংলাদেশকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে এমন মন্তব্য করা হয়েছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের একটি প্রতিবেদনে। নিউজিল্যান্ডের কোচ মাইক হেসোন তো মুস্তাফিজকে এ সময়ের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে খুবই ভালো করেছিল। এই মুহূর্তে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। কাজেই তাকে খুব সাবধানে খেলতে হবে।’

নিউজিল্যান্ডকে এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজের মুখোমুখি হতে হয়েছে মাত্র একবারই। সেই ম্যাচে কিউই ব্যাটসম্যানদের বেশ ভালোই নাকাল করেছিলেন ফিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ওভার বল করে মাত্র ২২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন পাঁচটি উইকেট। এবারের সফরেও তিনি এ ধরনের নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখাতে পারবেন কি না, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1482664846ফিচার ডেস্ক: আদিকাল থেকেই রূপচর্চায় ফুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কোনো ফুল ত্বক উজ্জ্বল করে, কোনোটা শুষ্কতা দূর করে আবার কোনোটা ব্রণ দূর করতে কার্যকর। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে তিনটি ফুলের প্যাক তৈরির পদ্ধতি ও ব্যবহারের উপায় দেওয়া হয়েছে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।

গোলাপ ফুল
ত্বকের কালচে দাগ দূর করে উজ্জ্বল করতে গোলাপ ফুল খুবই উপকারী। কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বেলি ফুল
যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তারা মুখে বেলি ফুল লাগাতে পারেন। কয়েকটি বেলি ফুল সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার আপনার ক্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে মুখে লাগান। এই ফুল আপনার ত্বককে নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে।

জবা ফুল
ব্রণের সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে চাইলে জবা ফুল মুখে লাগাতে পারেন। জবা ফুলের পাপড়ি বেটে চালের পানি ও সামান্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, পরদিন সকালে আপনার ব্রণ পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1482655694অনলাইন ডেস্ক: বলিউডে আমির খানের ছবি মানেই বক্স অফিসের নড়েচড়ে বসা। আর এই নড়েচড়ে বসার একমাত্র কারণ নতুন নতুন রেকর্ডের জন্য অপেক্ষা। অতীতে আমিরের মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর পরিসংখ্যান তাই বলে। গত ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে আমির খানের বহুল আলোচিত ‘দঙ্গল’ ছবিটি। মহাবীর ফোগতের জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে আমির খান অভিনয় করেছেন একজন কুস্তিগীরের চরিত্রে।

১২৫ কোটি রুপি  ব্যয়ে নির্মিত ‘দঙ্গল’ প্রথম দিনে সমগ্র ভারতে ৪৩০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। বলিউড বক্স অফিস এর তথ্য মতে, দ্বিতীয় দিনে ছবিটি প্রায় ৬৪ কোটি রুপি আয় করেছে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়া এক হাজার প্রেক্ষাগৃহ থেকে আয় করেছে চার দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার।

ভারতে ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিলের প্রভাব ছবিটির ওপর পড়বে বলে অনেকে আশঙ্কা করলেও প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সাধারণ দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করেছে।

এদিকে বলিউড ছবির সব থেকে বড় অনলাইন বুকিং সংস্থা বুক মাই শো দাবি করেছে, ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া অন্য ছবির তুলনায় ৪০ শতাংশ আগাম টিকিট বিক্রি হয়েছে দঙ্গলের। সেই সঙ্গে সব থেকে দ্রুত ১০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে।

বলিউড চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা থেকে আরম্ভ করে সাধারণ দর্শক মনে করছেন, আমির খানের দঙ্গল বক্স অফিস রিপোর্টে বড় চমক আনবে। এটি আগের সব ছবিকে পেছনে ফেলে দেবে। এখন দেখার বিষয় তাঁদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারে ‘দঙ্গল’। তবে আগামী কিছুদিন যে ভারত দঙ্গলময় থাকবে সেটা বলে দেওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_93123652_777b1298-2d9e-4f57-ab21-68b3f990a2a5অনলাইন ডেস্ক: ভারতে গত মাসে রাতারাতি ৫০০ ও হাজার রুপির নোট বাতিলের পেছনে সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী, সেই বিতর্ক ক্রমেই নাটকীয় মোড় নিচ্ছে।

বিরোধীরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন, এই পদক্ষেপে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই আদৌ সফল হয়নি – তাই সরকার এখন ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ বা নগদহীন লেনদেনের কথা বলে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মাসিক রেডিও ভাষণে ক্যাশলেস সোসাইটির জন্য নানা পুরস্কার ঘোষণা করে সেই বিতর্ককেই আরও উসকে দিয়েছেন।

কিন্তু ভারত কি সত্যিই এমন লেনদেনের জন্য প্রস্তুত – না কি সরকারের আসল উদ্দেশ্যটাই সম্পূর্ণ আলাদা?

ভারতে কালো টাকার খুব কম অংশই নগদে রাখা হয় – ফলে বড় অঙ্কের নোট বাজার থেকে তুলে নিয়ে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই আদৌ লড়া সম্ভব নয়, এ নিয়ে গত মাসেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন দেশের বহু অর্থনীতিবিদ।
এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষের কষ্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির বেঁধে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা যখন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে – তখন তার নিজের মুখেও কালো টাকার বদলে বেশি শোনা যাচ্ছে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার কথা।
রোববার তার ‘মন কি বাত’ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো দেশ জুড়ে এখন লোকের মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন, একটাই চর্চা – ক্যাশলেস কী জিনিস, কীভাবে ক্যাশ বা নগদ ছাড়াও বেচাকেনা সম্ভব সবাই তা এখন শিখতে উৎসুক!”

“আজ বড়দিনের উপহার হিসেবে সরকারও এই ক্যাশলেসে উৎসাহ দিতে দুটো প্রকল্প ঘোষণা করছে, যে ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল বা মোবাইল পেমেন্ট করবেন তারা আয়করে ছাড় পাবেন, একইভাবে রোজ লটারির মাধ্যমে পনেরো হাজার ক্রেতার অ্যাকাউন্টেও জমা পড়বে হাজার রুপির ইনাম,” জানান তিনি।
ভারতের বিরোধী দলগুলো মনে করছে, এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যত মেনে নিচ্ছেন যে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই মোটেও সফল হয়নি – তার বদলে সরকার এখন নগদবর্জিত লেনদেনের ওপরেই গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছে।
কংগ্রেস ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী তো সরাসরি অভিযোগ করেছেন, এই ধরনের পেমেন্টকে উৎসাহ দিয়ে সরকার কিছু কর্পোরেট সংস্থাকে সুবিধে পাইয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলছেন, “ক্যাশলেস করার মানে হল প্রতিটা লেনদেনে বিশেষ কয়েকটা লোককে ফায়দা লোটার ব্যবস্থা করে দেওয়া। যেমন, মোবাইল ওয়ালেট পেটিএম তো আমি বলব পে টু মোদি। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতিকে তিনি ধ্বংস করে ফেলছেন – বিশেষ করে গরিব মানুষ, চাষী, দিনমজুর বা মেহনতি জনতাকে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে।”
Iক্যাশলেসে কার ফায়দা, সেটা অন্য প্রশ্ন – কিন্তু অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশ মনে করেন কালো টাকা নয়, একেবারে প্রথম থেকেই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতে হাজার হাজার কোটি টাকার নগদ লেনদেনের অধিকাংশকে ট্যাক্স স্ক্রটিনির আওতায় নিয়ে আসা – এবং সেই সঙ্গে রুগ্ন ব্যাঙ্কগুলোতে মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো।
কিন্তু সেটা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কালো টাকার বিরুদ্ধে জেহাদকেই সামনে তুলে ধরতে হয়েছে বলে অধ্যাপক খাসনবিশের ধারণা।
তিনি বলছেন, “যেটা খুব সচেতনভাবে করা হয় তা হল প্রথমে এমন একটা ন্যারেটিভ রাখা হয়েছিল যেটা মানুষ খাবে। খেয়াল করে দেখুন আপনি যদি বাজারে কারেন্সির জোগান কমাতে চান তাহলে আগে কোনওভাবে আগের কারেন্সি তুলে নিতে হবে। ভারতে ষোলো লক্ষ কোটি টাকার নগদ লেনদেন বন্ধ করতে গিয়ে আপনি যদি ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের বলেন টাকা দেওয়া সম্ভব নয় কারণ টাকা আসছে না – সেই গল্প মানুষ খাবে না, ব্যাঙ্কে ভাঙচুর হয়ে যাবে!”
“ফলে এর জন্য মানুষকে আগে প্রস্তুত করতে হবে। আর তার শ্রেষ্ঠ উপায় হল লোককে বোঝানো সীমান্তে দাঁড়িয়ে সেনারা দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছে, তুমি না-হয় কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়তে কদিন লাইনে দাঁড়িয়ে একটু কষ্ট করলে!” বলেন তিনি।
“এর সঙ্গে একটা ন্যাশনাল হইচই ও দেশাত্মবোধক সুড়সুড়ি সবই জুড়ে দেওয়া হল – যাতে মানুষ এই জিনিসটা ধরে নেন এই টাকাগুলো এখন হাত থেকে চলে যাচ্ছে ঠিকই – কিন্তু শিগগিরি নতুন টাকা আবার হাতে চলে আসবে!” বলছিলেন রতন খাসনবীশ।
সেই নতুন টাকা আজও আসেনি – এবং ভারতে অনেক বিশেষজ্ঞই এখন মনে করছেন নতুন নগদের জোগান সীমিত রাখা হচ্ছে ইচ্ছে করেই, কারণ সেটা সরকারের এক বৃহত্তর পরিকল্পনা বা গেমপ্ল্যানের অংশ।
তবে যে দেশে এখনও প্রায় চল্লিশ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, সেখানে এভাবে কড়া দাওয়াই দিয়ে সমাজকে ক্যাশলেস করার এক্সপেরিমেন্ট আদৌ সফল হবে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

cঅনলাইন ডেস্ক: অপরূপ সব জায়গা সেগুলো। সেখানে প্রকৃতির সঙ্গে জীবনের মেলবন্ধনে নেয়া হয়েছে নানান পন্থা। জায়গাগুলোতে প্রকৃতি সত্যিই কথা বলে। এমন সব জায়গায় থাকার বাসনা তো সকলের মনের কোনে থাকতেই পারে। ধরুন এমন একটা জায়গায় থাকার সুযোগ মিলে তো গেলই, আর সঙ্গে যদি পেয়ে যান উপরি হিসেবে কিছু টাকা, অথবা ফ্রি থাকার জায়গা? অবাক হলেও এটা সত্যি। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গাতেই থাকার সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যেতে পারেন চমকপ্রদ সব সুবিধে। দেখে নিন কোন কোন জায়গায় এমন সুবিধে পেয়ে যেতে পারেন।

ডেট্রয়েট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল রাজধানী এই শহর। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে শহরটি জৌলুস হারাতে শুরু করে। দিনে দিনে জনমানবহীন হয়ে যায়। কিন্তু ফের সেখানে জীবন ফিরিয়ে আনতে নেওয়া হয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ ডেট্রয়েট’। এই প্রোজেক্টে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে বিনামূল্যে থাকার সুযোগ তো দেওয়াই হবে, তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থাও করা হবে।

নায়াগ্রা ফলস: পৃথিবীর সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের কাছে থাকার সুযোগ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সরকার গ্রাজুয়েটদের সাত হাজার ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। শর্ত একটাই ফলসের কাছাকাছি গড়ে ওঠা কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হবে।

আলাস্কা: আপনি কি শীত ভালবাসেন? শ্বেত তুষারাবৃত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আলাস্কা। এখানে সরকারের একটি আলাদা ফান্ড রয়েছে। পেশাদার লোকেরা আলাস্কায় বাস করতে চাইলে সরকার তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আপনাকে একটি শর্ত পালন করতেই হবে। তা হল, অন্তত এক বছর থাকতে হবে ওখানে।

পনগা: উত্তর-পূর্ব স্পেনের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে থাকা এই গ্রামটিতে জনবসতি খুবই কম। অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি যুগলকে এখানে এসে থাকার জন্য তিন হাজার ইউরো দেওয়া হয়।

উট্রেচট: নেদারল্যান্ডসের এই শহরে প্রতিটি নাগরিককে এক হাজার ডলার করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সাস্কাটচেয়ান: কানাডার এই প্রদেশ সুযোগটি দিচ্ছে শুধুমাত্র যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েট ছেলে-মেয়েদের জন্য। যারা এখনও তাদের কেরিয়ার কী ভাবে গড়বেন ঠিক করেননি তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুযোগ। তারা সাত বছর পর্যন্ত ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাবেন এখানে থাকা এবং কাজ করার জন্য।

নেবরাস্কা: মার্কিন মুলুকের এই জায়গায় ঘটেছে মজার একটা বিষয়। প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সুযোগ দিয়েছে, তারা জমি বিনামূল্যে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিনিময়ে সেখানকার উন্নতির জন্য কী কী গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1310033423_1482670601অনলাইন ডেস্ক: রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, খ্রিস্টীয় ‘বড়দিনের’ প্রকৃত তাৎপর্য বস্তুগত ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
শনিবার ভ্যাটিকানে বড়দিনের আগের দিন সন্ধ্যার প্রার্থনা সভায় এ কথা বলেন ফ্রান্সিস।

যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে শুরু হওয়া ‘বড়দিন’ উপলক্ষে পোপ বলেন, বস্তুগত বিষয়গুলো ক্রিসমাস পরবকে ‘জিম্মি’ করে ফেলেছে, তাই এবারের পরবে আরো ‘নম্রতা’ আসা দরকার।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন বাণিজ্যের আলো খোদার আলোকে ছায়া বানিয়ে ফেলেছে, আমরা গিফটের জন্য অধীর থাকলেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে শীতল ব্যবহার করি’।

এসময় আলেপ্পোসহ সিরিয়ার শহরগুলোতে বোমাবর্ষণের শিকার হওয়া মানুষের কথাও স্মরণ করেন তিনি। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত প্রত্যেকটি বছরে শরণার্থীদের প্রতি সহানুভুতি দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন পোপ, এবারও একই আহ্বান জানিয়ে যিশু একজন অভিবাসী ছিলেন বলে খ্রিস্টানদের স্মরণ রাখতে বলেছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest