সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

mustafizurস্পোর্টস ডেস্ক: অসাধারণ একটি বছর কাটানোর জন্য ২০১৬ সালের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করে আইসিসি। তবে মোস্তাফিজ এ পুরস্কারের যোগ্য নন বলে মনে করছে ভারতের ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট স্পোর্টস কিডা।
গত বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের সেরা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখানে উদীয়মান সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের নাম ঘোষণা করা হয়।
তবে স্পোর্টস কিডার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোস্তাফিজ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলেননি। পাশাপাশি তার পারফরম্যান্স তেমন ভালো ছিলো না। সেই একই সময়ে ভারতের কেএল রাহুল, জাস্প্রিত বুমরাহ ও শ্রীলঙ্কান কুশাল মেন্ডিস বেশি ভালো করেছেন!
‘সর্বশেষ ১২ মাসে মুস্তাফিজ মাত্র ১৩ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন (৩ টি একদিনের ম্যাচ এবং ১০ টি টি-টোয়েন্টি)। সেই ১৩ ম্যাচে ১১.৭৪ গড়ে নিয়েছেন ২৭ উইকেট। অন্যদিকে জাস্প্রিত বুমরাহ ২৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৭ টি উইকেট। এছাড়া কেএল রাহুল তিন ফরমেটেই শতক হাঁকিয়েছেন।’ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আইসিসির সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে এরপরেও যদি কেউ যোগ্য হোন সেটা মোস্তাফিজুর রহমান নন, সেই পুরস্কারের যোগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা।
মোস্তাফিজ ও রাবাদা একই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব হোন এবং একই সময়ে দু’জনেই অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। তবে মোস্তাফিজের থেকে রাবাদার পারফরমেন্স বেশি উজ্জ্বল। রাবাদা তিন ফরমেটে ৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৩ এর উপর গড়ে নিয়েছেন ৬৭ উইকেট।
উল্লেখ্য এর আগেও সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান এবং দেশের গর্ব মোস্তাফিজকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল ভারতীয় গণমাধ্যম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

muncur-ahamed-copyএম. বেলাল হোসাইন: আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মটর সাইকেল নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের বারবার নির্বাচিত সদালাপী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। এদিকে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে মুনসুর আহম্মেদকে দলীয় প্রার্থী করায় যার পর নেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই। সংশ্লি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় দু’টি পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও সদস্যরা এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সে অনুযায়ী ভোটার তালিকায় এক হাজার ৫১ জন ভোটারের নাম রয়েছে। তবে শ্যামনগরের কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে ভোটার তালিকা নিয়ে হাইকোর্টের একটি স্থগিতাদেশ শেষ পর্যন্ত এ নির্বাচনে কি প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি জেলা নির্বাচন কমিশনার এইচএম কামরুল হাসান। তবে এ দু’টি ইউনিয়নে ভোট না হলে ২৬জন ভোটার কমে যাবে। পুরুষ সদস্য পদে ১৫টি পদের বিপরীতে ৭৫জন ও পাঁচজন নারী সদস্যের বিপরীতে ১৯জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। সকল মানুষের সঙ্গে সমান ব্যবহারকারি হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। দলীয় রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত সৎ লোক হিসেবে তিনি স্বীকৃত। তাছাড়া তার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পাঁচ বছর কাজ করার সুবাদে অনিয়ম ও দুর্নীতির ইতিহাস কম। অপরদিকে বিগত পাঁচ বছর জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে জেলা পরিষদের গাছ কেটে বিক্রি করে লুটপাট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দুর্নীতিবাজ মাহাবুবর রহমানকে প্রাধান্য দিয়ে জলবায়ু ট্রাস্ট্রের গৃহনির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতিÑ এ নিয়ে হাইকোর্টে  রিটকারিদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-লের বাড়িতে হামলা চালানো, মাহাবুবর রহমানের বদলি বন্ধ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা, জেলা পরিষদের জায়গা ইজারা দেওয়ার দুর্নীতি, পুকুর, খেয়াঘাট, এডিবি’র অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে সিডিউল বিক্রিতে অনিয়মসহ মন্দির, মসজিদ, ঈদগাহ ও শ্মশান সংস্কারের টাকা বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যার দায় এড়ানোর সূযোগ নেই মুনসুর আহমেদের। এ ছাড়া গত ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ খ-ন করে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাময়াতী কানেকশনের অপপ্রচার চালিয়ে পার পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা কর্মী।
তবে মুনসুর আহম্মেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পারভেজ, সার্ভেয়র মিঠু, আবু তালেব, ছিদ্দিকুর রহমানসহ একটি মহল যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা মুনসুর আহেম্মেদের জয় পরাজয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক সরদার, ভোমরা ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম আমীর হামজা, বিষ্ণুপুর ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, নিরঞ্জন কুমার পাল, শংকর কুমার দত্ত জানান, নজরুল ইসলামের মত ব্যক্তিত্বকে জেলা পরিষদে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় যাঁচাই-বাছাই কমিটি বিগত পৌরসভা নির্বাচনে নজরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কেন্দ্র শাহাদাৎ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ায় তারা যার পরনাই ক্ষুব্ধ হন। তারা মনে করেনÑএরপরও আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে যেভাবে নজুেল ইসলামকে বারবার মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল স্তর থেকে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে বলা হলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের কোন মতামতের মূল্য না দেয়াটা  যে কোন গণতান্ত্রিক সংগঠনের জন্য বিপদজনক।
তারা আরো জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বড় উন্নয়নের জায়গা জেলা পরিষদ। এ জেলা পরিষদের আওতায় যে কাজ হয় তার স্বচ্ছতা না থাকলে উন্নয়ন কর্মকা- মুখ থুবড়ে পড়বে। তবে সাতক্ষীরার উন্নয়নে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবর রহমানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী নির্বাচনে নজরুল ইসলামের বিজয় হলে আলোচিত মাহবুবের পূর্বের সকল দুর্নীতির তদন্ত হবে বলে মনে করেন তারা। এ নির্বাচনে ভোটারদের নিয়ন্ত্রণ করতে অবৈধ লেনদেন না হলে ও প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকলে বিপুল ভোটে নজরুল ইসলাম জয়ী হবেন বলে দাবি করেন তারা।
এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাথে আছেন। দলের কাছে তিনি পরীক্ষিত নেতা। এজন্য নেত্রী তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন। যারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালো বাসেন, নৌকা প্রতীক ভালো বাসেন তারা সবাই নির্বাচনে তার সাথে আছেন। আর যিনি জননেত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা তার জবাব দেবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটাররা যাকে ভালো মনে করবেন তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন এটাই নিয়ম। মানুষ জেলা পরিষদের সেবার মান দেখেছে। ভোটাররা সবসময় ভালো কিছু আশা করে। নতুন কিছুর প্রত্যাশায় ভোটাররা নির্বাচনে তাকে জয়ী করে নানা অনিয়ম ও অপ্রাপ্তি আর অপমানের জবাব দেবেন বলে তিনি মনে করেন।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম কামরুল ইসলাম জানান, কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে ভোট বন্ধ সংক্রান্ত হাইকের্টের আদেশ তারা পেয়েছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে করণীয় জানতে তিনি ইতিমধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যহত রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোটারদের মতামতই প্রাধান্য পাবে। কোন অনিয়ম ও ত্রুটি চোখে পড়লে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: তৃণমূল পর্যায়ের প্রশিক্ষণে অ- ১৫ প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বাছাই সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে  এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায়ের প্রশিক্ষণে অ- ১৫ প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় বাছাই ও প্রশিক্ষণ কর্মসুচি ২০১৬ সম্পন্ন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার ২৫ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ নিতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রশিক্ষক মো. মাহবুব আলম পলো, সহকারি প্রশিক্ষক এ.এফসি’র সার্টিফিকেট প্রাপ্ত কোচ ইকবাল কবির খান বাপ্পি ও ইমাদুল হক খান। বাছাইকৃত খেলোয়াড়রা হল-কলারোয়া উপজেলা সোহান বাবু, ডালিম হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. সেলিম হোসেন, মো. সোহানুজ্জামান সোহন, মো. মারুফ হাসান, আশাশুনি উপজেলা সজীব সরকার, মো. আব্দুল্লাহ, মো. হাবিবুল্লাহ বাসার, সবুজ সরকার, মো. নাজমুল হোসেন, মৃণ¥য় সরকার, শ্যামনগর উপজেলা মো. মনিরুল ইসলাম, মো. হানিফ সরদার, মনিরুল ইসলাম, মো. আরিফুল ইসলাম বাবু, শেখ তামিম হাসান দিপু, মো. মোশারফ হোসেন, মো. সুজন ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা Ñমো. শামীম হোসেন, অন্তিম কুমার মন্ডল, শেখ ইখতিয়ার উদ্দিন ইমন, বিশ্বনাথ মন্ডল, মো. জাহিদ হাসান, নূর মোহাম্মদ,  খায়রুল আলম, দেবহাটা উপজেলা- মো. মামুন রহমান, তালা উপজেলা রবিউল শেখ, তুহিন শেখ আলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা -মো. জাকির হোসেন, মো. হাসানুর ইসলাম, মো. জামাল হোসেন নয়ন, মো. মহাসীন হোসেন, মো. নাঈম হোসেন। এই সকল খেলোয়াড়দের  আজ রোববার সকাল ৯টার মধ্যে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পির নিকট রিপোর্ট করার আহবান জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

audience-1
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : দেশের শীষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের ‘বছরজুড়ে দেশঘুরে: সুন্দরবনে পর্যটন’ বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুন্দরবনকে তুলে ধরার ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে যত প্রচারণা দরকার তা করতে হবে। একইসঙ্গে পর্যটনের উপকারিতা বিষয়ে স্থানীয় জনগণকে বুঝিয়ে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সর্বস্তরের সচেতনতা বাড়াতে হবে। শনিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে সুশীলনের টাইগার পয়েন্ট গেস্ট হাউসের রাজা প্রতাপাদিত্য কনফারেন্স হলে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার পর্যটন নিয়ে এ বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ এনামুল কবীর, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজ, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহিম, শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নূরুজ্জামান, সিকান্দার আবু জাফর ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার (এডমিন অ্যান্ড স্টেট) মোসলেহ উদ্দীন তুহিন, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, বরসা রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজমের ম্যানেজার আমানউল্লাহ আমান, সুন্দরবন মালঞ্চ ট্যুর গাইডের সভাপতি ফারুক হোসেন, নীলডুমুর ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, সুন্দরবন আদিবাসী সংস্থার প্রধান নির্বাহী কৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা। সভায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী বন বিভাগের পাস সহজ করতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা যায় কি-না সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আলোচনা করবেন উল্লেখ করে বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশ করতে গেলে পাস কার্ডের প্রয়োজন হয়। এটি কীভাবে সহজ করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন বলেন,  এতো দুর্গম এলাকায় পর্যটন নিয়ে কাজ করা কঠিন। আলমগীর হোসেন পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা স্পটগুলোতে এমন কিছু নির্দেশনা লিখে রাখা দরকার, যে কোথায় কী করবেন, কী করবেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও বোঝাতে হবে, যারা ঘুরতে যাচ্ছেন, তারা যেন সুন্দরবন বিপন্ন হয় এমন কিছু না করেন। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষকে সুন্দরবনে ঘোরার জন্য খুলনা থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হয়। এটা খুবই কষ্টজনক। এ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুই-তিন দিন ঘুরে পর্যটক হিসেবে অনুমতি পাই। অনুমতি পেলেও বলা হলো, গার্ড প্রস্তুত নেই। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ এনামুল কবীর বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প পর্যটন। এ শিল্পকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের চিন্তা-ভাবনা কাজে লাগানো দরকার। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজ বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে পর্যটনের প্রসার করতে গিয়ে যেন প্রকৃতির ক্ষতি না হয়। বিশেষ করে যারা সুন্দরবনে বেড়াতে যান, তাদের অনেকই ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ মানেন না। এতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এজন্য কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলতে ট্যুরিস্টদের সচেতন করা জরুরি। একইসঙ্গে ন্যাচারকে আনডিস্টার্বড রেখে পর্যটন কেন্দ্র করা দরকার। পর্যটন শিল্প নিয়ে প্রচার-প্রকাশনা নেই মন্তব্য করে সাতক্ষীরার (কালিগঞ্জ) সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন বলেছেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইনের মাধ্যমে পর্যটন সম্ভাবনাকে দারুণভাবে প্রচার করা যায়। সেই ভূমিকা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম রাখছে। আমার বিশ্বাস বাংলানিউজ পর্যটন বিকাশে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, সাতক্ষীরা অঞ্চলের পর্যটনে বড় বাধা যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য হোটেল নেই বললেই চলে। এ অঞ্চলে মাত্র দু’টি হোটেল রয়েছে। এটাও পর্যটনে বাধা। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ বলে দাবি জানান। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন করার দাবি জানান জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান। আতরজান মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী বলেন, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবিকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। জেলে, মৌলেরা বনের ভেতরে প্রবেশ করে বা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়। মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফিরে আসার পরেও অনেকে পেশা পরিবর্তন করতে পারে না। এ অবস্থায় পর্যটকদের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। কেবল দেশি পর্যটক নয়, বিদেশিদের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সুন্দরবন মালঞ্চ ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় শিক্ষিত তরুণদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইকোট্যুর গাইড হিসেবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। সড়ক পথে সাতক্ষীরা থেকে খুলনা প্রায় ৬ ঘণ্টার রাস্তা। খুলনা থেকে সুন্দরবনে যাওয়ার পাস আনা-ই সাতক্ষীরার পর্যটনে বড় বাধা বলে মনে করেন বরসা রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আমান উল্লাহ আমান। নীলডুমুর ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, বিশেষত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত রেঞ্জ অফিস বন্ধ থাকে। ফলে বনে প্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পর্যটকদের। বিকল্প ব্যবস্থায় রেঞ্জ অফিস যদি সব সময় খোলা রাখা যায়, তাহলে এই অঞ্চলে পর‌্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে। পর্যটন বিকাশে মুন্ডা সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়ে সুন্দরবন আদিবাসী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা বলেন, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ-গান আছে। এসব নাচ-গানের মাধ্যমে আমরাও ট্যুরিস্টদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন কাজ করতে পারি। মুন্ডা সংস্কৃতির জন্য একটু প্রশিক্ষণ দিলেই এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বাগত বক্তব্যে বাংলানিউজের চিফ অব করেসপন্ডেন্টস সেরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, নিউজ করতে গিয়ে ১৪ দিন ঘুরেও স্পট শেষ করতে পারিনি। কিন্তু এর আগে লোকজন গিয়ে স্পট খুঁজে পেতেন না। মূল আলোচনা পর্ব শুরুর আগে বাংলানিউজ টিম গত ১০ দিন সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের জেলাগুলোর যেসব স্পট ঘুরে রিপোর্ট করেছে, প্রজেক্টরের মাধ্যমে তার একটি প্রেজেন্টশন তুলে ধরেন সিনিয়র আউটপুট এডিটর জাকারিয়া মন্ডল, চিফ অব করেসপন্ডেন্টস সেরাজুল ইসলাম সিরাজ ও অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর আসিফ আজিজ। বাংলানিউজের এ আয়োজনের সহযোগিতা করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, সুশীলন, বরসা রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম, এএফসি হেলথ লিমিটেড, ফরটিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনা, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক সফল জেলা পরিষদ প্রশাসক এম মুনসুর আহমেদ শনিবার দিনব্যাপী জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়দল, আনুলিয়া, খাজরা, প্রতাপনগর, আশাশুনিসদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সকল চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বরদের সাথে তার আনারশ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় করেন। নির্বাচনী প্রচারনায় সফর সঙ্গী হিসাবে ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদস্য আব্দুল হামিদ, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদ মেহেদী, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। আ’লীগ নেতা ডা. মুনসুর, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, সাতক্ষীরা পৌর ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, পৌর আ’লীগ নেতা খন্দকার আরিফ হোসেন প্রিন্স, সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা জি এম অহিদ পারভেজ, সাতক্ষীরা শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক শফিকুজ্জামান পারভেজ, জেলা তরুণলীগের সভাপতি কর্ণেল বাবু, তৌহিদ, আজিম, প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শাহীন, চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ, এনামুল হোসেন, প্রশান্ত সরকারসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় কালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম মুনসুর আহমেদ বলেন, উন্নয়নের যাত্রাকে অব্যহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত আনারস প্রতীকধারী প্রার্থীকে ভোট দিন। বক্তারা আরোও বলেন, মুনসুর আহমেদের বিকল্প কোন পথ নেই। তিনি বার বার নির্বাচিত সংসদ এবং জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। অতএব আমাদের কর্তব্য হবে দলের স্বার্থে মুনসুর আহমেদকে সমর্থন করা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

m
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ১৯৯৫ সালে জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হই। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আপনাদের কল্যাণে কাজ করেছি। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উন্নয়ন সম্প্রসারণে কাজ করবো। ২০০৪ থেকে এখন পর্যন্ত পরপর দুবার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সংগঠিত করার সুযোগ পেয়েছি। আপনারা যদি আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে সবাইকে সাথে নিয়ে নিরাপদ, আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সাতক্ষীরা নির্মাণ করতে চাই। আপনাদের দোয়া ও সমর্থন পেলে আমি নিরপেক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আপনাদের সেবা করবো।’ শনিবার সকাল থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম তার নির্বাচনী প্রতিক মটরসাইকেল নিয়ে চম্পাফুল, তারালী, দক্ষিণ শ্রীপুর, বিষ্ণপুর ও রতনপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ভোটারদের সাথে মতবিনিময়সভা, গণসংযোগ ও পথসভায় এসব কথা বলেন। নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওহেদুজ্জামান, কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান সুমন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মো. আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবীব অয়ন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ আবদুর রশিদ, শিবপুর ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান, যুবলীগ নেতা ছিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য যে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মো. নজরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, নির্বাচকমন্ডলী সচেতন লোক। আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে অত্র এলাকার উন্নয়নের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নজরুল ইসলামকে ভোটাররা নির্বাচিত করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ittfak
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় কেক কাটা ও সূধী সমাবেশের মধ্য দিয়ে পালিত হল দৈনিক ইত্তেফাকের এগিয়ে চলার ৬৪তম বর্ষ পালন। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইত্তেফাকের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জি এম মনিরুল ইসলাম মিনির স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষ পালন অনুষ্ঠানটি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু আহমেদের সভাপতিত্বে অড়ম্বরপুর্ন এই কেক কাটা ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ে উপ-সচিব এ,এন, এম মইনুল হোসেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল প্রমুখ। এ সময় সেখানে বিভিন্নœ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামসহ এদেশের সকল আন্দোলনে দৈনিক ইত্তেফাকের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তারা বলেন, ইত্তেফাক এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। পত্রিকাটি এখনও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং গণমানুষের কথা তুলে ধরেন। বক্তারা এ সময় পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

police-lg20161224133151রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার আশকোনা হাজি ক্যাম্পসংলগ্ন জঙ্গি আস্তানার অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযান শেষে ২ জনের লাশ পড়ে থাকার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের দাবি, এদের মধ্যে একজন জঙ্গি সুমনের স্ত্রী, অন্যজন জঙ্গি তানভিরের ছেলে।

এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের প্রধান সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গি সুমনের স্ত্রী ও জঙ্গি তানভীর কাদেরের ছেলেকে বারবার আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়েছিল। তাঁরা রাজি হননি। পরে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। ওই দুজন গ্রেনেড দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালান। এতে তাঁরা আহত হয়েছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বাড়িটিতে থাকা জঙ্গি ইকবালের শিশুসন্তানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল দিবাগত রাত থেকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি) সদস্যরা। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সকালে ওই বাড়ি থেকে দুই মেয়েশিশুকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন দুই নারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest