কমিউনিটি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর উদ্বোধন

এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত এসএফবিডিআরআর প্রকল্পের কার্যক্রম সেফ দ্যা চিলড্রেন, স্টাট ফান্ড বাংলাদেশ এবং ক্রিশ্চিয়ান এইড এর সহযোগিতায় সহযোগী সংস্থা নওয়াবেঁকী গণমুখী ফাউন্ডেশন এবং প্রেরণা সংস্থা’র বাস্তবায়নে প্রকল্পটি ১ জুন ২০২৪ থেকে ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ৪৫ দিনের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো হতে অনুমোদিত হয়েছে যা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি,

কুশলিয়া, মথুরেশপুর ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে এবং শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। অত্র প্রকল্পের অধীনে সাইক্লোন রেমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ অতি দরিদ্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিটস বিতরণ, নগদ অর্থ বিতরণ, কমিউনিটি কিচেন পরিচালনা, কমিউনিটি কনসালটেশনে উঠে আসা নতুন ধারনাসহ সেফগার্ডিং বিষয় নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।

প্রকল্প কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩ জুন ২০২৪ তারিখ রোজ সোমবার কৈখালী ইউনিয়নে কমিউনিটি কিচেন পরিচালনা করা হয় যেখানে কমিউনিটির মানুষের মাঝে রান্না খাবারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম, ক্রিশ্চিয়ান এইড প্রতিনিধি বিজয় বিশ্বাস ও প্রেরণা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী। উল্লেখ্য দাতা সংস্থার প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকা অনুযায়ি বাস্তবায়িত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরের দালালমুক্ত করতে ইউএনও’র নানা উদ্যোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যোগদান করার পর থেকেই দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম যোগদানের পর থেকে ছয় মাসের মধ্যে তার দূরদর্শী চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে উপজেলার উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কাছে আসা সকল সেবা প্রার্থীকে তিনি হাসিমুখে কাঙ্খিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি তার দপ্তরকে সম্পূর্ণরূপে দালালমুক্ত করণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন,যার কারণে দালালদের দৌরাত্ম কমেছে উপজেলা চত্বরে।
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল সুরক্ষিত করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ও উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরীন রাস্তা নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন তিনি। পর্যটন শিল্পের বিকাশে আকাশলীনা ইকো-পার্কে আগত দর্শণার্থীদের সুবিধার্থে শৌচাগার চালুকরণ ও সম্পূর্ণ পার্কে ট্রেইল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

উপজেলার সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদার ভিত্তিতে নদী-খালের স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষার্থে উপজেলার সকল খাল জলমহালের আওতা থেকে অবমুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন।যা বাস্তবায়ন হলে মিষ্টি পানি আধার তৈরির পাশাপাশি কৃষি কাজে ব্যাপকভাবে ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ মানুষেরা।উপজেলার হাট বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেসহ প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান বিষয়টি নিজ দায়িত্বে তদারকির মাধ্যমে চলমান রেখেছেন।যার কারণে এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের মানুষেরা উপকৃত হচ্ছেন।এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুমিহীন বলেন,বিগত দিনে বিভিন্ন দালালচক্র খাসজমি দেওয়ার নামে আমাদের নিকট থেকে অর্থ নিতেন,কিন্তু আমরা জমি পাইনি।বর্তমান ইউএনও স্যার আমাদের জমির ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ব্যাংক এশিয়া সোশাল সেফটি নেট এর আওতায় থাকা ভাতাভোগীদের টাকা বিতরণে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম চলমান রাখার বিষয়ে কঠোর হস্তে দমন করেছেন তিনি।যার কারণে নির্বিঘ্নে সকল ভাতা ভোগী তাদের প্রাপ্ত টাকা পাচ্ছেন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” উপলক্ষে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, প্রচার প্রচারণা, প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো নিশ্চিতকরণ, বেড়িবাঁধ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষাসহ সরকারি সম্পদের সুষ্ঠু ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করণসহ সার্বিক পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে প্রতিটি ইউনিয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সার্বিক ত্রাণ কার্যক্রম সফলতার সাথে সমন্বয় করেছেন।

উপজেলার সোনার মোড় নামক স্থানে মৃত গরুর মাংস বিক্রির মূল হোতাকে উপজেলা থেকে বিতাড়িত করণসহ মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা চলমান রেখেছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কল্যাণে আগত সরকারি সাহায্যসমূহ সকলকে সাথে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বন্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণসহ ক্রীড়া ও শিল্পের উন্নয়নে উপজেলা ক্রীড়া কমিটি ও উপজেলা শিল্পকলা কমিটি পূর্ণগঠন ও কার্যকারীকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় সামাজিক বনায়ন ধ্বংসের প্রচেষ্টা কার্যকরভাবে প্রতিহত করেন এবং সকল কাজে আইন, বিধি-বিধান প্রতিপালনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।

শ্যামনগর উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম বলেন,ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- সুপেয় পানির সংকট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন ইউনিয়নে মিষ্টি পানি সংরক্ষণের জন্য পুকুর খননের ব্যবস্থা গ্রহণ, বেকার সমস্যার সমাধানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ফ্রিলান্সার তৈরি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সোলার ভিলেজ তৈরির পরিকল্পনার কথা তিনি ব্যক্ত করেন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার পল্লীতে পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের রডের আঘাতে যুবক আহত, গ্রেফতার ১

তালা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালায় প্রতিপক্ষের হামলায় আতিয়ার রহমান (৪৫) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোমিন আলী সরদার কে তালা থানা পুলিশ আটক করেছেন।

রবিবার (২ জুন)তালা উপজেলার শিরাশুনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তালা থানা মামলা সূত্র ও এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, উপজেলার শিরাশুনী গ্রামের আব্দুল মজিদ মোড়লের ছেলে সেতু বাজারের পোল্ট্রী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের কাছ থেকে বাকিতে একই এলাকার মৃত্যু জনাব আলী সরদারের ছেলে মোমিন সরদার পোল্ট্রীর খাদ্য ক্রয় করেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ তাগাদা দিলেও পাওনা টাকা দেয় না। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে সেতু বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই সূত্র ধরে তার ভাই কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দ্যোশ্যে মাথায় আঘাত করে এবং কাছে থাকা ১৪৫২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। মুমুর্শ অবস্থায় এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন।
এই ঘটনায় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে শিরাশুনি গ্রামের মৃত্যু জনাব আলী সরদারের ছেলে মোমিন সরদার, মোমিন সরদারের ছেলে আজিজুর রহমান সরদার (২৮) ও হামিদুল রহমান সরদার (২২) কে আসামী করে তালা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪/৭৮।
আহত আতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল বিকাল বেলায় আমি বাড়ি থেকে বাজারে আসার পথে মোমিন সরদারের বাড়ির সামনে পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে বসে থাকা মোমিন সরদার, তার ছেলে আজিজুর ও হামিদুল আমার পথ রোধ করে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে লোহার রড দিয়ে পিছন দিক থেকে আঘাত করে। আঘাতে আমার মাথা ফেঁটে রক্ত ঝরতে থাকলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এসময় হামিদুল আমার পকেটে থাকা ১৪৫২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আজিজুলের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক পিটাতে থাকে এবং গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। আমার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি এসে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তী করেন।
তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। বাদির আবেদনের পেক্ষিতে তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ১ নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা : বৃদ্ধ গ্রেফতার

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ফজলুল হক গাজী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে সোমবার (৩ জুন) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর গ্রামের বকুল সরদারের মেয়ে (১১) পার্শ্ববর্তী আমিনুল ইসলামের টিউবওয়েল থেকে খাওয়ার পানি নিয়ে ফেরার পথে একই গ্রামের মৃত গোলাপ গাজীর ছেলে ফজলুল হক গাজী (৫৮) ভিকটিমকে ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আমিনুলের বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে যায়।

সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের পাশে যাওয়ার আগেই ফজলুল হক পালিয়ে যায়। ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেন।

আশাশুনি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় ০২(০৬)২০২৪ নং মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক সোমবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও মশারী জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে বিভিন্ন নদ-নদীতে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল নির্মূলে (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই) পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

সোমবার দিনভর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীতে “বিশেষ কম্বিং অপারেশন” পরিচালনা করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার। এ সময় নদী হতে অবৈধ ০৩ টি বেহুন্দি জাল এবং ০৪ টি মশারী জাল আটক করা হয় যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আটককৃত জাল মানিকখালী ব্রিজ লগ্ন নদীর চরে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে এসআই মহিতুর রহমান সহ পুলিশ সদস্য ও মৎস্য দপ্তরের ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট উজ্জ্বল অধিকারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ নীল নেট ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন করে চলেছে। তাই মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল নির্মূলে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ বিতরণ

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

রোববার (২ জুন) বিকালে উপজেলার নওয়াবেকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ও পদ্মাপুকুরে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ- জামান সাঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নাজমুল হুদা রিপন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি।

আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ইউনিট লেভেল কর্মকতা (ইউএলও) হাসিবুল ইসলাম সোহান, যুব প্রধান মোঃ ইলিয়াস হোসেন ও শ্যামনগর উপজেলা যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির টিম লিডার আনিছুর রহমান মিলনসহ জেলা, উপজেলা পর্যায়ে যুব সদস্যরা।

এসময় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হাইজিন পার্সেল, তারপলিন, জেরিকেন ও স্লিপিং ম্যাট বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা : ভূমিহীন নেতা মোকছেদ আটক

শ্যামনগর প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতারণার অভিযোগে স্বঘোষিত ভূমিহীন নেতাকে আটক করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি হলেন, শ্যামনগর পৌরসভার নকিপুর গ্রামের ছকিমুদ্দীন গাজীর ছেলে মোকছেদ আলী গাজী (৫৫)। এজেহার সূত্রে জানাজায়, মোকছেদ আলী নিজেকে ভূমিহীন নেতা ও শ্যামনগর উপজেলা কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পরিচয় দিয়ে এবং বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত এই মর্মে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে খাস জমি পাওয়ে দেওয়া নাম করে টাকা তোলেন। কিন্তু মাসের পরে মাস, বছরের পর বছর হয়ে গেলেও তারা জমি না পেয়ে টাকা ফেরত চেয়েও টাকা ফেরত না পেয়ে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন।

মোকছেদ ও পাতাড়াখোলা গ্রামের আব্দুল করিম এর স্ত্রী জাহানারা খাতুন সহ ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করেন শ্যামনগর উপজেলা ডুমুরিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুম (৪৩)। ভুক্তভোগীরা থানায় হাজির হয়ে ভূমিহীন নেতা মোকছেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং -৪। মোকছেদ শ্যামনগর সদরে ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে ‘ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থা” নামীয় অফিস স্থাপন করে বিগত ইং-২০২০ সাল হতে জাহানারা সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের সাথে পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্যামনগর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে যেয়ে, বিশেষ করে সহজ সরল নিরীহ মহিলাদের সরকারী খাস জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সহ দলিল করে দিবে বলে মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে জন প্রতি ৬০ হাজার টাকা করে দাবী করে। এবং বলে যে, প্রথমে জন প্রতি ১০ টাকা দিলে তাদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এর প্রপোজাল হবে। পরবর্তীতে বাঁকী টাকা প্রাপ্তির পর স্ব-স্ব নামে ১০ কাঠা থেকে দেড় বিঘা জমির দলিল করে দিবে এবং সরকারী ঘর পাইয়ে দিবে।

গত ইং-০৩/০৩/২০২০ তারিখ হতে ইং-০৭/০৭/২০২০ তারিখের মধ্যে মোকছেদ এর অফিস, ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থায় এসে আনোয়ারা ২৬ হাজার, ছফুরা ২১ হাজার, নাছিরুন ৩৫ হাজার, জেসমিন ৩৭ হাজার, রাবেয়া ২১ হাজার, ফিরোজা ২১ হাজার, পূর্নিমা ২১ হাজার, প্রভাষ ২১ হাজার, শাফিরুন ২১ হাজার, ইসমাইল ২১ হাজার, জাহানারা ১১ হাজার, জয়নাব ২১ হাজার, হালিমা ২১ হাজার, ফতেমা ১১ হাজার, আম্বিয়া ১১ হাজার , হালিমা ১১ হাজার , সুফিয়া ১২ হাজার, শাজিদা ১১ হাজার, জবেদা ২১ হাজার, মিনা ১১ হাজার, ২০। আছমা ২১ হাজার টাকা। সর্বমোট ৪ লক্ষ ৭ হাজার টাকা।

আরও জানাজায়, শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মহিলাদের সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত দলিল করে দিবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারনামূলক ভাবে আত্মসাৎ করেছে। মোকছেদ সহ তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা অফিসের ঝামেলা আছে, খুব তাড়াতাড়ি তোমরা আমাদের কথামত সরকারী খাস জমির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নাই। এভাবে তার সহযোগীরা একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলে তালবাহনা করতে থাকে। সর্ব শেষ ২ রা জুন ২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪ টার সময় ১নং মোকছেদ এর বাড়ীতে যেয়ে জাহানারা খাতুনকে পেয়ে উল্লেখিত সকলে তাদের টাকা ফেরৎ চাইলে তারা পূর্বের ন্যায় তালবাহনা করে তাড়িয়ে দেয় এবং বলে যে, এব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে তোদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করব। জেল হাজত খাটাবো, শ্যামনগর সদরে পেলে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দিবো ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ হুমকি ধামকি দেয়।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে প্রাইমারী স্কুলের টিনসেড ঝড়ে বিধ্বস্ত : মাঠে চলছে ক্লাস

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব্যুরো:
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে আশাশুনি উপজেলার ১০ নং বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরের টিনসেড তছনছ হয়েগেছে। কক্ষ সংকটে স্কুলের মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৫০ জন। পড়ালেখার মানও যথেষ্ট উন্নত। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে স্কুলের একটি ভবনের টিনসেড তছনছ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্লাস পরিচালনা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ভবনটিতে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস বসতো। টিনসেড তছনছের পর থেকে বাধ্য হয়ে ৩য় শ্রেণির ৬১ জন ছাত্রছাত্রী ও প্রাক-প্রাথমিকের ৩০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে হচ্ছে। যা অতীব অমানবিক এবং বর্ষা মৌসুম আসলে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা স্কুলের মাঠ বর্ষার সময় নিমজ্জিত হয়ে যায়। তখন বর্ষা হলে যেমন ক্লাস করানো সম্ভব নয়, তেমনি নিমজ্জিত মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাসও বন্ধ হয়ে যাবে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাকিলা খাতুন জানান, স্কুলের পুরাতন ভবনটি নিলামে বিক্রয়ের পর ২০২০ সালে সয়েল টেস্ট করা হয়েছিল। তখন একটি নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও নতুন ভবন নির্মানের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। কবে নাগাদ নতুন ভবন হবে সেটি বলাও মুসকিল। তাই বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়টির ক্লাস পরিচালনা ভেস্তে যেতে পারে। এনিয়ে শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি, অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের দাবী বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। সাথে সাথে দ্রুততার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের টিনসেড সংস্কারে জোর আবেদন জানানো হয়েছে।

এব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ক্লাস্টার অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী জানান, টিনসেড উড়ে যাওয়ায় মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে টিনসেড সংস্কার করে পাঠদানের উপযোগি করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest