শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা চেক প্রদান করলেন জেলা প্রশাসক

বিশেষ প্রতিনিধি

শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এক শত  পরিবারের মাঝে চেকের মাধ্যমে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন ফর সোসিও- ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (FSDI) এর আয়োজনে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের  পক্ষ থেকে গত ইং ২ জুন রবিবার বেলা ১১:০০ ঘটিকার সময় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে উক্ত চেক বিতরণ করা হয়।

উক চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে  নগদ অর্থ সহ চেক বিতরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির।

 উক্ত চেক বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাইদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজিবুল আলম , সহকারী কমিশনার ভুমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম, কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুজ্জামান আনিছ, সহ  সন্মানিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সুশীল সমাজের মানুষেরা। এসময় রিমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত  একশত পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

ছবি:শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত একশত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট অব্যহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৩ টি মামলার বিপরীতে ১ হাজার ২ শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার এস এম আকাশ, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান, অফিস সহকারী শেখ আশিকুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।

মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা, দূর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যে সকল মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদেরকে জরিমানা ব্যাতীত মূল কর ফিস দিয়ে কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য আগামী ৩০ জুন’২৪ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেছে। এ সময়ের পরে যেসকল যানবাহনের কাগজ পত্র খেলাপি এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন থাকবে না সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কৌশল বিষয়ক ৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), শিল্প মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা ও জাতীয় ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) সাতক্ষীরা এবং বিসিক, সাতক্ষীরা এর সহযোগীতায় ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী উৎপাদনশীলতা বিষয় অবহিতকরণ (১ম সংশোষিত) শীর্ষক প্রকল্পের
০৫ দিন ব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৯ মে বিনেরপোতায় কারিগরি প্রশিক্ষণ সেন্টার (টিটিসি) তে শুরু হওয়া কর্মশালাটি ০২ জুন শেষ হয়।

নাসিব, সাতক্ষীরার সভাপতি জিএম নাজমুস সাকিব এর সভাপতিত্বে রবিবার উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সরোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক শিল্প নগরী, সাতক্ষীরা এর ডি. এম গৌরব দাস এবং টিটিসির অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমান।

উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন(এনপিও) এর গবেষণা কর্মকর্তা রিপন সাহা এবং সৈয়দ জায়েদ উল ইসলাম, পরিসংখ্যান তথ্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এস এম নাইমুর রহমান।

উল্লেখ্য, উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে মোট ৯০(নব্বই) জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নিজের জীবন মানে উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রেখে ব্যাবসাকে লাভজনকভাবে দির্ঘস্থায়ী করার বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়।

এছাড়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরোয়ার হোসেন বলেন, প্রোডাক্টিভিটির প্রশিক্ষণ আমি নিজেও করেছি। এটা নিজ পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে উনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে কারণে আপনারা যারা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেন সবাই নিজ জায়গায় এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজের এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা রাখি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফেলোশিপ শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরছেন সামেকের ডা. পলাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে প্রায় মাসব্যাপী ফেলোশিপ শেষে দেশে ফিরছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদুল হাসান (পলাশ)।

রবিবার (২ জুন) দিবাগত রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে তিনি ঢাকায় ফিরছেন।

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক স্পাইন ও অর্থোপেডিক সার্জারির আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘এও স্পাইন’ এর এ ফেলোশিপ সফলভাবে সম্পন্ন করায় ডা. পলাশ সংস্থাটির অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হয়েছেন। একইসাথে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এর অ্যালামনাইয়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে স্পাইন সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে চান ডা. পলাশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীরাও যাতে স্পাইন সার্জারির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা পায়, সেজন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বতন্ত্র স্পাইন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরার সকল সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, পরিচালক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা এবং সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ডা. মো. মাহমুদুল হাসান (পলাশ) দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র স্পাইন সার্জন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক (স্পাইন সার্জারি) সংযুক্তিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করছেন।

এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই শিক্ষক ভারতের দিল্লিতে দশ দিনের একটি ফেলোশিপ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়াও, তিনি মেলবোর্ন, মুম্বাই, গুজরাট, চেন্নাই ও আসাম থেকেও মেরুদন্ডের চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি গবেষণা জার্নালে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা রয়েছে। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কনফারেন্সে বক্তৃতা ও অংশগ্রহণ করে আসছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অস্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই ও চানাচুর তৈরি: দুই ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা: ব্যবসায়ীর দণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় অস্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই ও চানাচুর তৈরি করার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে সেমাই ব্যবসায়ীকে ২ কারাদ- প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এন এস আইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার মেঝমিয়ার মোড় এবং পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এ দ- প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।

জানা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এন এস আইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহানের নেতৃত্বে দুপুর ১টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত সাতক্ষীরা সদরের চালতেতলা মেঝ মিয়ার মোড়ের মেসার্স মামুন এন্ড ব্রাদার্স নামক সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কারখানার মালিক মোঃ জিয়াউল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ০২ (দুই) মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়।

পরে দুপুর ২টার দিকে পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়ায় ইভা এন্টারপ্রাইজ নামক চানাচুর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কারখানার মালিক শেখ আব্দুস সামাদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

০২.০৬.২০২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ( ১ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আব্দুস সালাম, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আতিকুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফয়সাল আহমেদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার পুলক চক্রবর্তী, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক ( ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় অতিথিরা বলেন , ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে এ ভিটামিন কাজ করবে।

উল্লেখ্য এবার সাতক্ষীরা জেলায় ৭ টি উপজেলা, ২ টি পৌর সভায় ১৯৪১টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭৬৫৬ জন শিশুকে নীল রংয়ের ভিটামিন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জেলায় মোট ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫শত ৭১ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে সহায়তা করেছ ৪৮৮০ জন স্বাস্থ্য কর্মী। এর মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী ১০১৩ জন ও বেসরকারি ৩৮৬৭ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে রোগাক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু জবাই : ১৬০ কেজি মাংস ধ্বংস, দোকান সিলগালা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুটিবসন্তে আক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন কসাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের জিরণগাছা বাজারে গরু জবাই করা হয় ।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওই মাংস জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার আদেশ দেন।

জিরণগাছা এলাকার ইউপি সদস্য গাজী ফারুক হোসেন জানান, উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের মোজারুল ইসলাম (৩৬), গোবিন্দপুর গ্রামের মিলন হোসেন (৩৪) ও মুনসুর আলী (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত জিরণগাছা বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন।শনিবার সকালে তারা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেজুয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত একটা মৃতপ্রায় গরু ৯ হাজার টাকায় কিনে ওই গোয়ালে জবাই করে।পরে সেই মাংস জিরণগাছা বাজারে এনে দেশী এড়ে গরুর মাংস হিসেবে প্রচার দিয়ে বিক্রি করতে থাকে। এদিকে এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে মাংসের দোকান ঘেরাও করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এসময় সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় বিতর্কিত তিন মাংস ব্যবসায়ী।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী। তিনি প্রায় ১৬০ কেজি মাংস কেরোসিন মিশিয়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার আদেশ দেন। মাংসের দোকান সিলগালা করার পাশাপাশি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় মাংস বিক্রিতে ব্যবহৃত পাকা চাতাল।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী বলেন, রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে মাংস বিক্রির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই মাংস বিক্রেতারা পালিয়েছে। মাংসগুলো ধ্বংসের পাশাপাশি দোকান সিলগালা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ধান মিলছে না সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সাতক্ষীরার তিন জেলের

নিজস্ব প্রতিনিধি

সন্ধান মিলছে না সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরে তিন জেলের। ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়ে মাছ ধরার নৌকাসহ নিখোঁজ হয়েছেন ওই তিন জেলে। শুক্রবার (৩১ মে) নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি প্রকাশ করেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার বাবুর আলীর ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান (৪২), মোঃ হযরত আলীর ছেলে মোঃ হায়দার আলী (৩০) ও গোলাম রব্বানীর ছেলে লিফন (৩০)।

নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৫ মে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান তারা। তাদের সাথে আরও একটি নৌকাসহ মোট দুইটি নৌকায় ৬জন জেলে ছিলেন। বনে যাওয়ার দিন শনিবার (২৫ মে) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় পরিবারের সদস্যদের। ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর থেকে গত এক সপ্তাহ তাদের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ জেলেরা কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে? এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। তবে একই সাথে যাওয়া অন্য নৌকার জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যদের।

তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তিন জেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারাও তাদের খোঁজ করছেন।

অন্য নৌকার জেলে নিখোঁজ সাইদুর রহমানের বড় ভাই মাকসুদুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে তার ভাই আবু সালেহ জানান, শনিবার (২৫ মে) কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি পত্র) নিয়ে দুইটা নৌকায় ছয়জন ওই দিনই সুন্দরবনের মিশিনখালি এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা দুইটি নৌকা দুই দিকে ভাগ হয়ে মাছ ধরতে থাকেন। এরপর রোববার থেকে ওই তিন জেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়েছে বলে জানান তিনি।

আবু সালেহ আরও জানান, তাদের নিখোঁজের খবর সুন্দরবনের কোবাদক স্টেশনে জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার আমরা খুলনার নলিয়ান স্টেশন অফিসে যাচ্ছি।

এদিকে, কোবাদক স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোবারক হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা এমন কোনো খবর পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান জানান, সুন্দরবনের মাছ ধরতে যাওয়া তিন জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। আমরা যাচাই-বাছাই করছি কতজন গিয়েছিল এবং কতজন ফিরেছে। তথ্য পেলে দ্রুত নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কাজ করবে বন বিভাগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest