আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তাণ্ডবে নদী ভাঙনের হাত থেকে আশাশুনি উপজেলা বাসী রক্ষা পেলেও প্রচণ্ড ঝড়ে উড়ে গেছে উপজেলায় ২৫৩ টি পরিবারের বসতঘর। ২৪ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষতি হয়েছে বেশি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঝড়ের তাণ্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙেছে ১১টি, বেঁকে গেছে ২৭টি, তার ছিঁড়ে গেছে ৮১ টি স্পটে, ক্রস ওয়ান ভেঙেছে ১৫টি, ট্রান্সফার্মা নষ্ট হয়েছে ১৩টি ও ভেঙে পড়েছে ২০৩ টি মিটার। আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম লিটন মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় প্রত্যেক অঞ্চলে লাইন চালু করতে ঠিকাদার ও অফিসের প্রায় শতাধিক শ্রমিক রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে। তবে এর পরেও আরও দুই দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।

এই প্রথম ১০ নম্বর সতর্কতা সংকেত এর প্রভাবে উপজেলার কোন নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সুমন আলীর দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডবে উপজেলার প্রায় ২০ কি.মি. বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন বর্মন জানান, ঝড়ে কালকি, খাজরা সহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, ঝড়ে ৯ টি মাদ্রাসা ও ৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয়এর টিনের চাল উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান জানান, ঝড়ে ৪০টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে ও ২১৩ টি ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট বেড়িবাঁধ, শ্রীকলস, তুয়ারডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প, প্রতাপনগরের চাকলা বেড়িবাঁধ সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। চাকলায় ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৭ টন চাল ও ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

পৃথকভাবে পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূর, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনর্চাজ বিশ্বজিৎ কুমার, এসডিই রাশিদুল ইসলাম, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুস, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু দাউদ, পিআইও মোঃ সোহাগ খান, এসও মমিনুল হক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গরুর দুধে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় গরুর দুধে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার সদরের ফিংড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম।
জেলা ক্যাব ও পুলিশ ফোর্সেস’এর সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ফিংড়ীর কার্তিক চন্দ্র ঘোষের ছেলে পলাশ চন্দ্র ঘোষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই দুধ ব্যবসায়ী ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪১ ধারা লংঘন করায় এ জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিক তার কাছে পাওয়া ২২ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ ও বিনষ্ট করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মাটির পুকুরে গলদা (চিংড়ি) পিএল উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মাটির পুকুরে লাখ লাখ গলদা (চিংড়ি) পিএল উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে। আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাপড়ায় ৭০ শতকের একটি পুকুরে ৩২৬ টি গলদা চিংড়ির মাদার থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে। এতে খামারিদের পাশাপাশি চাষিরাও দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে ধারণা করছেন মৎস্য অধিদপ্তর।

দেশে যে পরিমাণ গলদা চিংড়ি চাষ হয় তার শতকরা ৯৫ শতাংশ পিএল চোরা চালানোর মাধ্যমে ভারত থেকে আনা অথবা অবৈধভাবে নদী থেকে রেণু সংগ্রহ করা। হ্যাচারীগুলোতে উৎপাদিত পিএল চাহিদার পাঁচ শতাংশ পূরণ করতে পারে না। যে কারণে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের মতো বাংলাদেশেও উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির পুকুরে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর সেই সাফল্য ধরা দিয়েছে সাতক্ষীরায়।

কালীগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদার সরাসরি তত্ত্বাবধানে আশাশুনি উপজেলার চাপড়ার এইচ এম জামানের পুকুরে সফলভাবে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে।
মৎস্য অফিস জানায়, পিরোজপুরের কচা নদী থেকে মাদার সংগ্রহ করে ৩২৬ টি বাছাই করা মাদার এইচ এম জামান এর মৎস্য খামারের ৭০ শতক জমির একটি পুকুরে ছাড়া হয়। গলদা চিংড়ির মাদারগুলোর ওজন ছিল ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম। সেমিইনটেনসিভ বাগদা চিংড়ি চাষের পুকুরের মতো করে বায়োসিকিউরিটি ও পুকুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পানির স্যালাইনিটি ১২ থেকে ৮ পিপিটি পর্যন্ত ওঠানামা করানো হয়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, এই পুকুরে ১০ লক্ষাধিক পিএল উৎপাদিত হয়েছে যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকার মত। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রেনু বিক্রি করা হয়েছে।

যশোর জেলার কেশবপুর থানার নওয়াপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে আমরা নদীর এবং ভারত থেকে আসা পিএল উচ্চ মূল্যে সংগ্রহ করতাম। হঠাৎ খবর পেলাম আশাশুনি উপজেলার জামান এর খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে মাটির পুকুরে গলদা পিএল উৎপাদন হয়েছে। তাই এখানে এসেছি পিএল নেওয়ার জন্য। পিএল (পোনা) দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো অনেক ভালো হবে। পিএল’র গ্রোথ অনেক ভালো। দামও কম।
পিএল ক্রয় করতে আসা কবির হোসেন জানান, হ্যাচারীর পিএল ঘেরে ছাড়লে অনেক সময় মাটির স্পর্শ পেলেই মারা যায়। এছাড়া ভারত থেকে আসা পিএলও ভালো হয় না। এখানের পিএলগুলোর গ্রোথ দেখেই মনে হচ্ছে অনেক ভালো হবে। তাই আমরা নিজেরাও নিয়েছি। আবার অন্যত্র বিক্রয়ের চিন্তাও করছি।
বুধহাটা ইউনিয়নের খামারী গোলাম মোস্তফা বলেন, এতদিন আমরা নদী থেকে সংগৃহিত গলদা রেনু ক্রয় করে খামারে ছাড়তাম। অনেক সময় ভারতে চোরাই পথে আসা রেনুও ছেড়েছি। এতে আমাদের লস হতো। তবে আশাশুনিতে প্রাকৃতিক পরিবেশে গলদার পিএল উৎপাদনের খবর পেয়ে এখানে এসেছি। পিএল দেখে মনে হচ্ছে চাষীদের লাভ হবে।
খামারের সত্বাধিকারী এইচ এম জামান বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদার পরামর্শে এখানে ৭০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে মাদার ছেড়েছি। পরীক্ষায় আমরা সফল হয়েছি। যে পরিমাণ পিএল (পোনা) উৎপাদন হয়েছে। তা আশে পাশের এলাকার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে।
কালিগঞ্জ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, গলদা রেনুর চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় ঘাটতি থেকেই যায়। ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছি। এর প্রেক্ষিতে খামারী জামানের ৭০ শতক পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে ফিরোজ পুরের কচা নদী থেকে মাদার সংগ্রহ করে পিএল উৎপাদনের চেষ্টা করি। অনেক কম খরচে আমাদের চেষ্টাটি সফল হয়েছে। আমরা মনে করি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন এসব পিএল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে দিতে পারলে চাষিরা লাভবান হবে খামারীরাও আশার আলো দেখবেন। উভয়ের খরচ কমবে। পাশাপাশি চাহিদাও পূরণ হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনেরপোতা এলাকায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট অব্যহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বিনেরপোতা এলাকাতে সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ২ টি মামলার বিপরীতে ৫শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার পলাশ আহমেদ, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান জিএম শাখার বেঞ্চ সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান, অফিস সহকারী সহকারী শেখ আশিকুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।

মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যে সকল মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদেরকে জরিমানা ব্যাতীত মূল কর ফিস দিয়ে কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য আগামী ৩০ জুন’২৪ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেছে। এ সময়ের পরে যেসকল যানবাহনের কাগজ পত্র খেলাপি এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন থাকবে না সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর থেকে ৬ লাখ টাকা ভারতীয় ওষুধসহ এক চোরাকারবারী আটক

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা ১০ প্রকারের ওষুধসহ নয়ন বিশ্বাস (৩০) নামের এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে আটক করা হয়। জব্দকৃত ওষুধের বাজার মূল্য ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকা।

আটক নয়ন বিশ্বাস সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান পূর্ব পাড়া (সাধুডাঙ্গা) এলাকার জয়দেব বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ভারত থেকে অবৈধ পথে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা এলাকায় ওষুধের একটি বড় চালান আনা হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করার জন্য এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ভারতীয় ১০ প্রকারের ওষুধসহ নয়ন বিশ্বাসকে আটক করা হয়। জব্দকৃত ওষুধের বাজার মূল্য ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকা।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক চোরাকারবারী নয়নের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু করে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ও কলারোয়ায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও একজন। শনিবার (২৫ মে) শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট এলাকার মেসার্স জামান ব্রিকসের সামনে ও কলারোয়া উপজেলা সদরে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি এলাকার ভোলানাথ আউলিয়ার ছেলে নওয়াবেকী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র পলাশ আউলিয়া (৩২) এবং যশোর জেলার বাগআঁচড়া বাগুড়ি গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে ট্রলি চালক শাওন হোসেন (১৮)। এছাড়া আহত হেলপার রাজু পশ্চিম কোটা গ্রামের হবিবর রহমান হবির ছেলে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, পলাশ আটুলিয়া ইউনিডনের বয়ারশিং গ্রামে তার দাদু শচীন মন্ডলের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা শেষে সকালে সেখান থেকে সহপাঠী সাদিকের মোটরসাইকেল যোগে কলেজে আসার পথে মেসার্স জামান ব্রিকসের সামনে পৌঁছালে একটি অবৈধ ডাম্পার ট্রাক্টর তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এসময় পলাশ ছিটকে ডাম্পারের তলায় পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে পলাশের মৃত্যু হয়।

তবে তার সাথে থাকা সহপাঠী সাদিক প্রাণে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, ঘাতক ডাম্পার ট্রাক্টরটি জব্দ করা গেলেও এর চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভাব হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক ডাম্পারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও জামানের ইট ভাটা (মেসার্স জামান ব্রিকস) ভাঙচুর শুরু করে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অপরদিকে, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে বাগআঁচড়া থেকে শাওন নতুন ট্রলি নিয়ে সাতক্ষীরার দিকে যাওর পথে পথিমধ্যে কলারোয়া উপজেলা সদরে পৌছালে পিছন দিক থেকে দ্রæত গতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে বিলের মধ্য ফেলে দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রæত উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ট্রলি চালক শাওন হোসেন মারা যায়। এ সময় আহত হয় হেলপার রাজু। তিনি আরো জানান, ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও এর চালক এ সময় পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ডাম্পার ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

মেহেদী হাসান আটুলিয় (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ডাম্পার ট্রাকের চাপায় এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার নওয়াবেকী টু বুড়িগোয়ালিনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পলাশ(১৮) আউলিয়া মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোলা আউলিয়ার পুত্র। সে নওয়াবেকী কলেজে এইচ এস এস সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলিয়াখালি গ্রামের ভোলানাথ আউলিয়ার একমাত্র ছেলে পলাশ আউলিয়া, সে ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়নের হেঞ্চি মামার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে, প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়ার জন্য কলেজে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় জামান ব্রিকসের অবৈধ ডাম্পার তার যে ড্রাইভার সেও অদক্ষ এই সকল অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে জামান ব্রিকস এর মালিক গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে
এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছে, অদক্ষ এই সকল ড্রাইভার যাতে আর ডাম্পার চালাতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে। ঠিক এমনই এক অঘটন ঘটে গেল গত বৃহস্পতিবার নওয়াবেকী টু শ্যামনগর রোডের হায়বাতপুর নামক স্থানে। তাৎক্ষণিকভাবে জামান ব্রিকসের মালিকের মুটো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য কমিউনিটি সার্পোট গ্রæপ এর সাথে এক আলোচনা সভা

আশাশুনিতে পরিসেবা সংযোগের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য কমিউনিটি সার্পোট গ্রæপ এর সাথে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায়, গেøাবাল এ্যাফেয়ার্স কানাডা এর অর্থায়নে উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আঙ্গুর হোসেন, ইউপি সদস্য আরতী রানী, মাদারবাড়ীয়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।, অত্র কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি এস.এম ছাইদুল বাসার।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সূচনা প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন। উক্ত সভাটি পরিচালনা করেন সূচনা প্রোগ্রাম অফিসার ট্রেনিং শিউলী সরকার, উক্ত প্রোগ্রামে উপস্থিত কমিউনিটি সদস্যরা বলেন যে,কমিউনিটি ক্লিনিকের সব ধরনের সেবা যেন এই সমাজের সকল মানুষ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করবেন, উপস্থিত কমিউনিটি সদস্যরা আরও বলেন যে, এই কমিউনিটির সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যেন তাদের ন্যার্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন এবং গ্রাম পর্যায় নারী ও কিশোরিদের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত বিষয় এ আরও বেশি বেশি সচেতনতা গড়ে তুলবেন।

উপস্থিত কমিউনিটি সদস্যরা উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান যে, উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা সাধারণ মানুষের সাথে কমিউনিটি ক্লিনিকের যোগসূুত্র তৈরি করার মহান কাজে নিযুক্ত। উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সূচনা প্রোগ্রামের ফিল্ড অর্গানাইজার অজয় কুমার রায় ও কমিউনিটি মবিলাইজার তানজিলা খাতুন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest