মণিরামপুরে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শুদ্ধাচার বিষয়ক সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
যশোরের মণিরামপুরে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহনে সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ মে ২০২৪ সকাল সাড়ে ১০ টায় ব্যাংকের শাখায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আইয়ুব হোসেন।

সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোছাঃ ফিরোজা রুহানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট গাইনী চিকিৎসক মোঃ আব্দুল বারী, ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন। এসময় বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের গ্রাহক সাহিদুজ্জামান, হাফিজুর রহমান,

আশফাকুর রহমান, আকবর আলী, হুমায়ুন কবীর, কামরুজ্জামান, আবুল কালাম, কার্তিক চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম, আবুল বাশার প্রমুখ। বক্তারা ব্যাংকের বিভিন্ন দিক প্রশাংসা করে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া সকল ঋণ ও আমানতের কাজ করতে পারেন বলে জানান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা নাজমুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রকল্প অবহিতকরন সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রকল্প অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে ডিজএ্যাবিলিটি ইনক্লুসিন স্ট্রেনদেনিং এ্যাসোবিলিটি (ডিআইএসএ) প্রকল্পের প্রকল্প অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক সভারঞ্জন শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) মাসরুবা ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (এনডিসি) প্রণয় বিশ্বাস ও সহকারী কমিশনার এস.এম আকাশ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিকবৃন্দ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিগন, বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় নেতা এবং প্রতিবন্ধী (বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন) ব্যক্তিবর্গ।

শুরুতে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উওঝঅ প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সভারঞ্জন শিকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসরুবা ফেরদৌস বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিবছর সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলকে সহযোগিতা করার আহŸান জানান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা ও মতামত প্রদান করেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (অব:) আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা খ্রিস্টান এসাসিয়েশনের সভাপতি স্বপন বৈরাগী, সাতক্ষীরা ক্যাথলিক চার্চের পালক পুরোহিত রে: ফাদার নরেন বৈদ্য, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান,

জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবুল খায়ের, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, ঋষি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ হাসান মাহমুদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় নেতা, এনজিও প্রতিনিধি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। ২ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে আর্থিক অনুদান প্রদান করবেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। সভা সঞ্চলনার দায়িত্ব পালন করেন সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য লুইস রানা গাইন। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোনো ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না–সামেকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ডা: রুহুল হক

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ডা: রুহুল হক বলেছেন, সকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। নানা সীমাবন্ধতার মধ্যেও চিকিৎসকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মূলত গরীব মানুষ সেবা নিতে আসে। এজন্য সকলকে আরও আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করতে হবে।

গতকার সকাল ১০টায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা: রুহুল হকের সভাপতিত্বে ও আবাসিক সার্জন ডা: মো: রাশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো: আশরাফুজ্জামান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: রুহুল কদ্দস, হাসপাতালের পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরী, উপ পরিচালক ডা: মেজবাহ, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা: কাজী আরিফ আহমেদ, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা: সুমন দাস, শিশু বিভাগের প্রধান ডা: শামছুজ্জামান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক।

বক্তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯টি ডায়ালিসিস মেশিন মধ্যে ১৩টি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট কারণে রোগিরা বিশেষ করে গরীব রোগিরা যারপরনেই কষ্টের পাশাপাশি সমস্যার মধ্যে রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকসহ লোকবল সঙ্কটের চিত্রও তুলে ধরেন। লোডশেডিঙের কারণে হাসপাতাল অন্দকার করা হয়ে যায়সহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ডা: রুহুল হক বলেন স্থানীয় সাংসদ সদস্য মো: আশরাফুজ্জামান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ লায়লা পারভীনকে সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে গড়ে তোলা হবে দেশের চিকিৎসা সেবার মডেল হিসেবে।
#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট অব্যহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ২ টি মামলার বিপরীতে ৩ হাজর ২ শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান অনন্যা, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।

মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও দূর্ঘটনা হ্রাসকল্পে এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যে সকল মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদেরকে জরিমানা ব্যাতীত মূল কর ফিস দিয়ে কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য আগামী ৩০ জুন’২৪ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেছে। এ সময়ের পরে যেসকল যানবাহনের কাগজ পত্র খেলাপি এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন থাকবে না সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদের বিপরীতে ১৩ প্রার্থীর শেষ মুহুর্তের বিরামহীন প্রচার প্রচারণা শেষ হল

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যরো:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ডে ৮৭ ভোটকেন্দ্রের ৬০৪টি ভোটকক্ষে সর্বমোট ২,৩৯,২১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ উপজেলায় মোট ভোটারের ১,২১,৯৭৯ জন পুরুষ, ১,১৭,২৩০ জন নারী ও ১ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।

এবারের নির্বাচনে এ উপজেলা থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ ৩টি পদের বিপরীতে সর্বমোট ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম চিংড়ী মাছ প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু আনারস প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীক এবং শিল্পপতি আলহাজ্ব গাউসুল হোসেন রাজ দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মাঠের লড়াইয়ে রয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী টিউবওয়েল প্রতীক, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক টিয়া পাখি প্রতীক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি এনএমবি রাশেদ সারোয়ার শেলী চশমা প্রতীক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসমাউল হোসাইন মাইক প্রতীক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি সাহেব আলী তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি কলস প্রতীক, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা পারভীন হাঁস প্রতীক, জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মেহেরুন্নেছা ফুটবল প্রতীক ও সদ্য সাবেক আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য মারুফা খাতুন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এসব প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোট এবং দোয়া চেয়ে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ পথসভা উঠান বৈঠক এবং নির্বাচনী সভা করে চলেছেন। আজ (রবিবার) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ২১মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। কখনো কখনো আবার চায়ের আড্ডায় বা রাজনৈতিক পরিচয় এর সূত্র ধরে প্রার্থীদের ভালো-মন্দ দিক, জনসেবা, যোগ্যতার মাপকাঠি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এদিকে, এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের আশঙ্কা বিরাজ করছে স্বয়ং প্রার্থীদের মাঝে। এছাড়াও প্রার্থী থেকে কর্মী সমর্থকদের মাঝে বাক যুদ্ধ যেন কোনভাবেই থামছেনা।

চলমান এ বাকযুদ্ধ যে কোনো সময় রূপ নিতে পারে সংঘর্ষে। যতই সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ততই উৎতপ্ত হচ্ছে ভোটের মাঠ। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা তিনজন ও স্বতন্ত্র এক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তবে বিএনপি ও জামায়াত অংশগ্রহণ না করায় যেমন কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি তেমনি সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া প্রার্থীরা। এ উপজেলায় বিগত ৩টি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম। প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও সর্বশেষ নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। মোস্তাকিমের দুর্গে হানা দিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে মাঠে নেমেছেন আলহাজ্ব এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম। আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম ছিলেন খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবারের চেয়ারম্যান। প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও পরবর্তী দুবার তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন মাঠে। অ্যাড. শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাতক্ষীরায় গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আইনজীবী। অপরদিকে, এবারের উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ শিল্পপতি আলহাজ্ব গাউসুল হোসেন রাজ। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চমক দেখানোর প্রত্যাশা তার নেতাকর্মীদের। দলীয় কোনো ব্যানার, পদপদবি বা প্রতীকের ব্যবহার না থাকলেও সরকার দলীয় দুজন হেভিওয়েট প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম এ দুই প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চলছে একধরনের স্নায়ু যুদ্ধ। যে কোনো সময় এই টানটান স্নায়ু যুদ্ধ রূপ নিতে পারে সংঘর্ষে। এদিকে, আনারস প্রতীকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু ২৪টি কেন্দ্র খুবই ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়াও প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা, কাদাকাটি, কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নে অনেক কেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে নেওয়ার আশঙ্কা করছেন সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম। এদিকে, পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা নিরবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। তবে সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এখন দেখার বিষয় আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন শেষে তিন পদের বিপরীতে কোন তিন প্রার্থী বিজয়ের শেষ হাসিটা হাসতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের উদ্বোধন

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি ব‍্যুরো:
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ-২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে আশাশুনি সরকারি খাদ্য গুদামে শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূর। উদ্বোধন কালে তিনি বলেন, উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষক সরাসরি তাদের ধান বিক্রয় করতে পারবেন।

এ বছর আশাশুনি কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার এর নিকট আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র রয়েছে। তারা মাঠ পর্যায়ে ধানের আদ্রর্তা পরিমাপ করে দিচ্ছেন।খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক অভ্যন্তরিণ বোরো সংগ্রহ- ২০২৪ মৌসুমে আশাশুনিতে সিদ্ধ চাল কেজি প্রতি ৪৫ টাকা দরে ১৫৪ মেট্রিক টন, আতপ চাল কেজি প্রতি ৪৪ টাকা দরে ৬৯ মেট্রিক টন এবং ধান কেজি প্রতি ৩২ টাকা দরে ৮৭৬ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। উদ্বোধন কালে আশাশুনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সঞ্জয় কুমার রায়, আশাশুনি উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার ভক্ত, বড়দল খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মেসার্স মা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ আসাদুল্লাহ, মেসার্স রেবেকা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ আকবর আলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে প্রধান শিক্ষক মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগ

শ্যামনগর প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে গ্যাসট্যাবলেট ব্যাবহারের কারনে দুর্গন্ধে পরিণত হয়েছে পানি। ব্যাবহারেও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।

শনিবার (১৮ মে) সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একক মতামতের ভিত্তিতে গ্যাসট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়েছেপুকুরের মাছ ধরে নিয়েছে বলে জানাযায়।

দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাউন্সিলের ম্যাধমে পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া ও ধরার কাজ করতেন। কিন্ত হটাৎ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড.আব্দুল মান্নান পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার জন্য বলেন, একই দিনে জালদিয়ে মাছ ধরেন ও গ্যাসট্যাবলেট ব্যাবহার করেন এবং পুকুর লিজ দেওয়া হবে মাইকিং মাধ্যমে জন সম্মুখে প্রচার করে।

বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষকের দাবি পুকুর লিজ দিলে পুকুর পানি ব্যাবহারের অনুউপযোগী হয়ে পড়বে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু এলাকার মানুষ রীতিমতো দুর্ভোগে পড়বে।ঐ পুকুরের পানি দিয়ে এলাকাবাসী রান্নার কাজ ও করেন।

এ বিষয় প্রধান শিক্ষক ড.আব্দুল মান্নান বলেন, মাছ ধরছে সকল শিক্ষকরা মিলে আমি সেখানে যাইনি। সরকারের কোষাগারে টাকা দেওয়ার জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে এবং সেটা কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। পুকুর লিজ দিলে পানি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চায়লে বলেন পানি আমার শিক্ষার্থীদের কোন কাজে লাগে না কালিগন্জ থেকে পানি নিয়ে এসে তাদের দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
আশাশুনিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশাশুনির দেয়াবর্ষিয়া গ্রামের মৃত প্রফুল্ল্যের পুত্র নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আশাশুনি থানাধীন ৫নং বড়দল ইউনিয়ন ও ৮০৭২ খাজরা ইউনিয়নের নদী ও খাল সুরক্ষা নাগরিক কমিটির আহবায়ক হিসাবে নদী সুরক্ষা আইনে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দায়িত্বে আছি। আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমসহ তার সঙ্গীরা। নির্বাচন আসলেই বরাবরই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়।

রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিমের নির্দেশে তার ভাই মোঃ জুলফিকার আলী (জুলি) (৫০) পিং-মৃত মোজাহার উদ্দীন, মোঃ সাকিল মোড়ল (২৬) মোঃ ভুলু মোড়ল (২৩) উভয় পিং-মোঃ সৈয়দ আলী মোড়ল, উভয় সাং-কাপসন্ডা, সর্ব থানা-আশাশুনি, জেলা-সাতক্ষীরা সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন এলাকার চিহ্নিত হত্যা, নাশকতা, ডাকাতি, বোমাবাজি সহ একাধিক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী কাপসন্ডা বাজারে আমাকে পেয়ে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি তখন মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করা সহ এখানে কোন রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে না বলিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অতর্কিত ভাবে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুসি মারা সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দেয়। এসময় তারা বলতে থাকে নির্বাচনের পরে এলাকায় কি ভাবে থাকিস আমাকে দেখে নিবে বলিয়া ভয়ভীতি দেখায় চলে যায়।

তিনি আরো বলেন, খাজরার কোথায় একটি রাস্তা ঘাট নেই। সাধারণ মানুষ আজ নির্যাতিত, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই, এমনকি পানি নিষ্কাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ১০ হাজারের অধিক জমিতে এবছর কেহই ধান চাষ করতে পারেনি। খাজরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ডালিম ও তার বাহিনী সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন। তারা একাধিক হত্যা, ডাকাতি, বোমাবাজী ও নাশকতা মালার আসামী। ইতোমধ্যে ন্যায় বিচার চেয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ভোটের পূর্ব মুহুর্তে এধরনের হামলার ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest