সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপিকালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশ

এবার দুর্নীতির অভিযোগে থানার ওসিকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ কবিরকে জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে আজ তাকে গৌরনদী থানা থেকে জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মো. আজাদ হোসেন গৌরনদী থানার ওসি ফিরোজ কবিরকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার কথা স্বীকার করেছেন।

এর আগে গত পহেলা এপ্রিল ঢাকা রেঞ্জ থেকে বদলী হয়ে গৌরনদী থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন পুলিশ পরিদর্শক মো. ফিরোজ কবির। তার অন্যায় কর্মকাণ্ডের সরাসরি প্রচ্ছয়দাতা ছিলেন বরিশালের সদ্য বিদায়ী রেঞ্জ ডিআইডি শেখ মারুফ হাসান।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানান, স্থানীয় ভুক্তভোগীদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ফিরোজ কবিরকে আজ জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ কবির বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে বরিশাল পুলিশ অফিসে সংযুক্ত করেছে, তবে কোন অভিযোগের ভিত্তিতে নয়।

পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রশাসনিক কারণে পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ কবিরকে গৌরনদী থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডে সিসি ঢালাই রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের দক্ষিণ পলাশপোল এলাকার সবুজবাগ গ্রামে এ সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল আলম বাবু ও কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথি। সাতক্ষীরা পৌরসভার অর্থায়নে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি ফরি’র বাড়ি হইতে ইদ্রিসের বাড়ি পর্যন্ত ১শ’ ৩০ মিটার সিসি ঢালাই করা হবে। উদ্বোধনকালে ঐ এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের উচ্ছাস লক্ষ্য করা যায়। ঐ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল রাস্তাটি পাকাকরণের। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আখতার, উপসহকারী প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, এড. এস.এম সোহরাব হোসেন, আব্দুল আজিজসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তোষিকে কাইফু : সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জি.এম তারিকুল ইসলাম সম্পাদিত “বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বাংলাদেশ” নামক বইটি লেখক নিজে হাতে উপহার হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক এমপিকে প্রদান করেন।
এ সময় ডা. রুহুল হক বলেন, ‍বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা নিয়ে লেখা বইটি দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে সাহায্য করবে। আমি নিজে বইটি পরবো এবং অন্যকে পড়তে উউৎসাহিত করবো। তিনি আরো বলেন লেখকের কাছ থেকে আরো ভালো গবেষণাধর্মী লেখা প্রত্যাশা করে তার সাফল্য কামনা করেন।
এ সময় বইটির লেখক জি এম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবসময় মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে সকলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সঠিক ইতিহাস সকলে জানতে পারে। তিনি আরো বলেন,বর্তমানে তিনি জাতীয় চার নেতা নিয়ে একাটি গবেষণাধর্মী বই লিখছেন খুব শীঘ্রই বইটি পাঠকরা হাতে পাবে। সেই সাথে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, সাংবাদিক তোষিকে কাইফু ও দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নওয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : অপকিল্পিত বেঁড়িবাধ দিয়ে মৎস্য ঘের নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের জনজীবন এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে জেলার সাতটি উপজেলার ৩ হাজার ৪’শ ২৮ হেক্টর মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। যা ঘেরের পরিমাণ ৩ হাজার ১’শ ৫০ টি। এতে ৩৬২ মেট্রিকটন মাছ ও ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আশাশুনি উপজেলার মৎস্য ঘেরগুলোয়।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে জেলার সাতটি উপজেলার ১২’শ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে, আউশ ও আমন ধানের বীজতলা, পাটক্ষেত ও বিভিন্ন প্রকার সবজির ক্ষেত।
পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরা শহররে বদ্দীপুর কলোনী, পুরতান সাতক্ষীরা সরদার পাড়া, ডেইয়ের বিল, কামালনগর, মধুমোল্যারডাঙ্গী, মেহেদেীবাগ, মাছখোলা, বিনেরপোতা ও লাবসা এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে রাস্তাঘাট, বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি।
অপরদিকে, গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে তালা উপজেলার শত শত হেক্টর মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। রোপা আমন, ধান, পাট, সিম, সহ বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো শবজি ক্ষেত ও ফসলি জমি পানিতে থৈ থৈ করছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তালা উপজেলা সদর ইউনিয়ন, খেসরা, ইসলামকাটি, খলিলনগর, খলিশখালী ও জালালপুর ইউনিয়নের ১০/১২ টি গ্রাম। এসব অঞ্চলের বসতবাড়িতে এখনও হাটু, কোথাও কোমর পানি। আর জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে সেখানকার মানুষের মাঝে পানিবাহিত চুলকানী রোগ।
সংশি¬ষ্টরা বলছেন, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও জেলার কয়েকটি নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে এ জেলার নিম্নঞ্চল প্লাাবিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলী নুর খান বাবুলসহ একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, অপকিল্পিত বেড়িবাধ দিয়ে মৎস্য ঘের তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করায় প্রত্যেক বছরই বর্ষা মৌসুমে জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নি¤œাঞ্চলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তারা জানান, শহরের কামাননগর, পলাশপোল ও মাছখোলা এলাকায় কয়েক জন প্রভাবশালী ঘের মালিক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে চিংড়ি ঘের করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘের মালিকরা পানি নিষ্কাশনের কোন পথ রাখেননি। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই এসব এলাকার বাড়ি,ঘর ও রাস্তায় পানি উঠছে। তাই মাছের ঘের কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা অতীব জরুর। আর তা না হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়বে। তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা শহরের বড় একটি অংশের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের খড়িবিলা খাল। অথচ সে খালে নেটপাটা দিয়ে স্থানীয় কয়েজন ব্যক্তি ঘের ব্যবসা শুরুকরায় কয়েক হাজার মানুষ আজ পানিবন্দী। ভেলায় করে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা পৌর মেয়র ও জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষনে জেলার সাতটি উপজেলার ৩ হাজার ৪’শ ২৮ হেক্টর মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশাশাশুনি উপজেলায়।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নাণ জানান, গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে জেলার সাতটি উপজেলার ১২’শ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া বর্তমানে ভাল থাকায় নিমজ্জিত অঞ্চলের পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শীঘ্রই নিয়োগ দেয়া হবে বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ। অনেকের নাম শোনা গেলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগ্রহের তালিকার শীর্ষে আছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মনে করেন, ম্যাকগিলকে প্রস্তাব দিলে তিনি সাদরেই গ্রহণ করবেন।

রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পাপন বলেন, ‘আমরা ১০-১২ জনের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। এরমধ্যে প্রায় সবাই ইতিবাচক ছিল। আমাদের জানা মতে, এরা প্রত্যেকেই আগ্রহী। যাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে শর্ট লিস্ট করেছিলাম, তার মধ্যে প্রথম পছন্দ হিসেবে রেখেছি স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে। কিন্তু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন, কবে থেকে কী সেটি এখনও ফাইনাল হয়নি।’

প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য ম্যাকগিলকে আনতে চায় বিসিবি। উল্লেখ করেন পাপন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলেছিল রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। সেবার অসি দলে ছিলেন ম্যাকগিল। ফতুল্লা ও চট্টগ্রামে দুই টেস্টেই শেন ওয়ার্নের সঙ্গে হাত ঘুরিয়েছিলেন ম্যাকগিল। উইকেট পেয়েছিলেন ৮টি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশে থেকে আমেরিকার ৭৫৫ জন কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। মস্কোর বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাশিয়ায় মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলোতে নিযুক্ত এই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হবে। বিশ্বের আধুনিক ইতিহাসে এত বিপুল সংখ্যক কূটনীতিক বহিষ্কার করার নজির নেই।

রাশিয়া থেকে মার্কিন কূটনীতিক বহিষ্কারের মূল নির্দেশটি দেয়া হয় গত শুক্রবার। ওইদিন মস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকের সংখ্যা ৪৫৫ জনে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু সেদিন বহিষ্কারের নির্দেশ পাওয়া মার্কিন কূটনীতিকের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে রাশিয়ার ৪৫৫ জন কূটনীতিক কর্মরত রয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনকে বলেছেন, “রাশিয়ার মাটিতে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে এক হাজারের বেশি ব্যক্তি কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৫৫ জনকে তাদের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।”

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে এর চেয়েও কঠিন ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি ‘আপাতত এতটুকুতেই সন্তুষ্ট’ থাকছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ব্যাপারে পুতিন বলেন, “এই সম্পর্ক ভালো হবে বলে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে সেরকম কোনো সম্ভাবনা নেই।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস করে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করা এবং গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপের অভিযোগে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিল পাস হয়।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসন আমেরিকা থেকে ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের ইমেইল হ্যাক করার অভিযোগে ওই ব্যবস্থা নেয়া হয়। তখন রাশিয়া পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশের জাল অনুমতিপত্র ও আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্সের (এএসএফ) জ্যাকেটসহ এক ভুয়া সিনিয়র সচিব ও তার ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-পূর্ব)। শনিবার বিকালে সবুজবাগের তরিক হাকিম টাওয়ারের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুছ ফকির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই চক্রটি প্রভাব খাটিয়ে নানা অপরাধ করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ওসি আবদুল কুদ্দুছ ফকির বলেন, ‘এই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় আমাদের থানায় একটি মামলা (মামলা নং-৩৪) রুজু হয়েছে। মামলার বাদি ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) আনছার আলী, ডিবি মামলাটি তদন্ত করছে।’

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ পূর্বটিম সবুজবাগ থানার একটি জিডির সূত্র ধরে শনিবার বিকালে অভিযানে যায়। এরপর গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, সামনের গ্লাসের ড্যাস বোর্ডে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোগো লাগানো একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-৩১-৫৪৬৫) সবুজবাগ থানার ২১৩, তরিক হাকিম টাওয়ারের সামনে রাস্তায় আছে। দ্রুত ডিবি টিম অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বিকাল ৬টার দিকে সেখানে যায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে গাড়ির ভেতরের দুই ব্যক্তির কাছে গিয়ে পুলিশ পরিচয় জানতে চাইলে একজন নিজেকে খন্দকার সাকিব আহম্মেদ (১৮) বলে পরিচয় দিয়ে জানায় তার বাবা খন্দকার দিলদার আহমেদ। তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সিনিয়র সচিব। বর্তমানে তিনমাস ধরে তিনি এলপিআর-এ আছেন। সাকিবের সঙ্গে ইসমাইল হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি ছিলেন যার গায়ে এএসএফ ব্যবহৃত জ্যাকেটের অনুরূপ জ্যাকেট ছিল। সে নিজেকে খন্দকার দিলদারের দেহরক্ষী হিসাবে পরিচয় দেয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এসময় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে যে, তারা নিজেদের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এরপর পুলিশ প্রাইভেটকারটিতে তল্লাশি করে মটোরলা এমটিপি-৮৫০ মডেলে একটি অ্যান্টেনা ভাঙা সরকারি ওয়ারলেস, চালু অবস্থায় দু’টি ওয়ারলেস, সাকিব ও ইসমাইলের নামে তাদের ছবি সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতিপত্র, স্টিল বডি একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে। এছাড়াও প্রাইভেটকারটির সামনে বামপাশে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একনম্বর গেটের স্টিকার, ড্যাশবোর্ডে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গণপ্রজাতন্ত্রীর বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম স্ট্যান্ড উদ্ধার করে।

ডিবি পুলিশ জানায়, এরপর বিষয়টি উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হলে আসামিদের দেওয়া উত্তর বাসাবোর তাদের বর্তমান ঠিকানায় পুলিশ রওয়ানা দেয়। এসময় পথের মধ্যে উত্তর বাসাবোর ছায়াবিথীর গলির মুখে সাকিবের বাবা খন্দকার দিলদার আহম্মেদ পুলিশের সামনে পড়ে যায়। তখন তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে সচিব পরিচয় দেন। তবে তাদের দেওয়া পরিচয়ের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃত খন্দকার সাকিব আহম্মেদ ও তার বাবা খন্দকার দিলদার আহম্মেদ সবুজবাগের মধ্যবাসাবোর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ছায়াবিথী ৪৭/বি নম্বর ভবনে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের যাত্রাপুর।

অপরদিকে, গ্রেফতারকৃত মো. ইসমাইল হোসেন রাজধানীর মুগদায় থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ধর্ষণ অভিযোগে গ্রেফতার তুফান সরকার বগুড়া শহরে দীর্ঘদিন থেকেই আলোচিত হুট করে কোটিপতি হওয়ার কারণে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথমদিকেও তেমন আলোচনায় ছিল না সে। তবে মাদক ব্যবসায় তার পরিবার জড়িত কয়েক দশক ধরেই। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে ২০১৫ সালে শহর শ্রমিক লীগে যোগ দেয় সে। এরপর সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে প্রশাসনের নাকের ডগায় মাত্র দুই বছরেই কোটিপতি হয়ে যায় তুফান ও তার পরিবার। গড়ে তোলে ‘তুফান বাহিনী’। এলাকাবাসী ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সে এমনই কোনঠাসা করে রেখেছে যে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথাও বলে না। প্রশাসনও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না।

বগুড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (২৮ জুলাই) গ্রেফতার হওয়ার আগে বগুড়া শহরের মানুষ তুফান সরকারকে চিনতো ‘শহরের ত্রাস’ হিসেবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে দুই বস্তা ফেনসিডিল ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল তুফান। সে ঘটনায় কিছুদিন পর ছাড়া পেয়ে আপন বড়ভাই যুবলীগ নেতা মতিন সরকারের সহায়তায় শ্রমিক লীগে যোগ দেয় সে। যোগ দিয়েই হয়ে যায় দলটির বড় নেতা। কিছুদিনের মধ্যেই শহর শ্রমিক লীগের সভাপতি হয়ে মাদক ব্যবসাসহ পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে তুফান। গড়ে তোলে ‘তুফান বাহিনী’। এরপর কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি এবং টানা দেড় বছর ধরে শহরে জুয়ার আসর পরিচালনা করলেও অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। তবে কয়েকটি মামলা বিচারাধীন আছে। প্রশাসন ও দলীয় পর্যায়েও তুফানের বিরুদ্ধে ওঠেনি তেমন কোনও অভিযোগ। ফলে এলাকায় ত্রাস হিসেবে দিন দিন তার পরিচিতি বাড়তেই থাকে, পাশাপাশি ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে তাদের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ।

রবিবার তুফান সরকারের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে চাইলে তার প্রতিবেশীরা সরাসরি তার বিরুদ্ধে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, এর আগেও মামলা খেয়ে সে জেলে গিয়েও বের হয়েছে। এবারও যদি বের হয় তাহলে প্রতিশোধ নিতে যা খুশি তাই করতে পারে। তাছাড়া তার বাহিনীর লোকেরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই ভয় আছে।

তবে তুফান ও তার পরিবার সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন তারা। এলাকাবাসীর বর্ণনা অনুযায়ী, তুফানের বাবার নাম মজিবর রহমান। তার ৭ ছেলের মধ্যে তুফান সরকার সবার ছোট। মজিবর রহমান আগে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বগুড়া শহরের রাস্তায় চামড়া কেনাবেচা শুরু করেন মজিবর রহমান। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তার পরিবারের সদস্যরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। সেই শুরু। এরপর প্রতিটি সরকারকে ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেছে পরিবারটি। বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকায় তাদের বাসা।

এলাকাবাসী জানান, তুফান ও তার ভাই রাজনীতিতে আসে মূলত নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য। অপরাধের জন্য তুফান নিজস্ব একটি বাহিনী গড়ে তোলে। যাকে এলাকার মানুষ ‘তুফান বাহিনী’ বলেই জানেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই। এরপর পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও চোলাচালানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয় তুফান। অবস্থা এমন দাঁড়ায়, শহরে কোনও জায়গা দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তুফানকে প্রয়োজন হয়।

তারা আরও জানান, তুফান মাত্র ২-৩ বছরে এসব অবৈধ ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছে। তাদের একাধিক প্রাইভেট কারও রয়েছে। অধিকাংশ সময় পরিবার নিয়ে ঢাকায় পরিবারিক ফ্লাটে থাকে তুফান। এছাড়াও বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকায় অত্যাধুনিক ৫ তলা ভবন বানাচ্ছে সে। সম্প্রতি শহরের চকযাদু লেনে কোটি টাকা ব্যয়ে ছেলে তুর্যের নামে অত্যাধুনিক ‘তুর্য সেনেটারি স্টোর’ উদ্বোধন করেছে তুফান।

বগুড়া পুলিশের সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১২ সালে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়। ২০১৫ সালে র‌্যাব সদস্যরা তাকে ২ বস্তা ফেনসিডিল ও বিপুল অংকের টাকাসহ গ্রেফতার করে। এরপর ছাড়া পেয়ে শ্রমিক লীগে যোগ দেয় সে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় সবাই তাকে ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য। এর সুযোগ নিয়ে শহর শ্রমিক লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নেয় তুফান। তার বড় ভাই জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শ্রমিক লীগের একজন নেতা জানান, তুফান সরকার ২০১৫ সালে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় বাণিজ্য মেলায় নামে প্রায় দেড় বছর জুয়ার আসর পরিচালনা করে। এখানে কয়েক কোটি টাকা আদায় করে সে। তার বিরুদ্ধে চোরাই গাড়ি কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। দলের নাম ও পদ ভাঙিয়ে প্রায় দু’বছর বগুড়া শহরে অন্তত ১০ হাজার ব্যাটারিচালিত ইজি বাইকে চাঁদাবাজি করেছে তুফান। তার স্টিকার ছাড়া বগুড়া শহরে কোনও রিকশা চলতো না। প্রতিটি রিকশায় এককালীন দেড় হাজার টাকা ও দৈনিক ২০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। শুধু ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন প্রশাসন ম্যানেজসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের পরও অন্তত ১০ হাজার টাকা পকেটে তুলেছে তুফান। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশের পর তুফান বাহিনী বগুড়ার চার্জার ব্যাটারি রিকশায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে। তবে এর আগেই ইজিবাইকগুলো থেকে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে তুফান। দলের শীর্ষ নেতাদের সমর্থন ও যোগসাজস থাকায় তুফানের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিতে কোনও সমস্যা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, তুফান ও তার পরিবারের অনেক সদস্যের মাদক ব্যবসা সম্পর্কে সবাই জানেন। তারা মাদক ব্যবসায়ী পরিবার ছাড়া সন্তানদের বিয়ে দেন না বগুড়ায় এটাও সবার মুখে মুখে প্রচারিত। এমন দেখা গেছে, কিছুদিন আগে যারা মানুষের কাছে হাত পেতে চেয়ে খেতেন, তুফানদের সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাধে তারা এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘুমান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে তুফান, তার ভাই যুবলীগ নেতা মতিন সরকার ও অন্যরা ভোট কারচুপি করে ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনে তুফানের শ্যালিকা মারজিয়া হাসান রুমকি ও ১ নম্বর আসনে বিয়ান নিলুফা কুদ্দুসকে বিজয়ী করেছেন।

উল্লেখ্য, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে গত ১৭ জুলাই তাকে নিজ বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। তুফানের স্ত্রী এ ঘটনা জানতে পেরে স্বামীকে দায়ী না করে কিশোরীটিকেই ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মর্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে শুক্রবার (২৮ জুলাই) শালিস সভা বসিয়ে নির্যাতিতা ও তার মায়ের চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সে রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই শনিবার তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা কিশোরী। এ ঘটনার পর রবিবার তাকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তুফানকে বহিষ্কারের ঘটনার পর তার প্রভাব ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল বলেন, ‘ গুরুতর অসদাচরণ ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তুফান সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তার সম্পদের বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।’

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, ‘তুফান সরকারের আগের মামলা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে গত ২০১৫ সালের একটি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।’ তুফানের সম্পত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিলেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest