সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমানশ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

photo-1490000675আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারী নাদিয়া মুরাদ। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধারা তাঁকে অপহরণ করে। এরপর তাঁকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়ে ইরাকি সরকার ও জাতিসংঘের কাছে আইএস যোদ্ধাদের বিচারের দাবি করেছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন নাদিয়া। এ সময় সেখানে ছিলেন তাঁর আইনজীবী আমাল কুনি। নাদিয়া বলেন, ২০১৪ সালে ৩ আগস্ট আইএস যোদ্ধারা ইরাকের কুর্দিস্তানে অবস্থিত সিনজার গ্রামে হামলা করে। ওই দিন প্রায় ছয় হাজার ৫০০ ইয়াজিদি নারী ও শিশুকে অপহরণ করা হয়। একদিনেই প্রায় পাঁচ হাজার জনকে হত্যা করে তারা। আইএস সদস্যরা অপহরণ করা নারীদের পরিবার থেকে আলাদা রাখে। এ সময় তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকেই হত্যা করা হয়। নিখোঁজ হয় অনেকেই।
মাসহ নাদিয়ার ছয় ভাইকেও আইএস যোদ্ধারা হত্যা করে। এরপর অন্য অবিবাহিত নারীদের সঙ্গে তাঁকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে সাক্ষাৎকারে জানান নাদিয়া। আইএস সদস্যদের বিচার চেয়ে নাদিয়া বলেন, ‘এখন সময় হয়েছে আমাদের প্রজন্মের ওপর এই জঘন্য অপরাধের জন্য আইএস সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা।’ এর আগে ২০১৫ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে নাদিয়া জানান, পালানোর চেষ্টার কারণে তাঁকে গণধর্ষণ করে আইএস সদস্যরা। তিনি জানান, ইসলাম ধর্মের অনুসারী না বলেই ইয়াজিদি নারীদের ধর্ষণ করা যাবে বলে মনে করেন আইএস সদস্যরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

47e21e88548a675009f2dedc8f518ad0-58184e7bdd771ন্যাশনাল ডেস্ক : আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে  বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেওয়া আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি। তবে বিশ্বের প্রায় সবদেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখলেও কয়েকটি দেশকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যে তিনটি দেশের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে বাংলাদেশ, সেই তিনটি দেশ হলো রাশিয়া, ভারত ও চীন।
ভারত ও চীনকে বরাবরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হতো। সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক-উন্নয়নের জন্য জোর দিচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে কোন দেশের সঙ্গে কী সম্পর্ক হবে, তা নির্ধারিত হয়ে থাকে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের জাতীয় স্বার্থে যেভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটি চীনের পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে একেক দেশের সঙ্গে একেক ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ দিক থেকে ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে বিস্তৃত ও গভীর।’
মুনশি ফায়েজ আহমেদ আরও বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্র, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার চীনের কাছ থেকে আমরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাই। বাংলাদেশকে সহায়তা করার ক্ষমতা ও মানসিকতাও দেশটির আছে।’ রাশিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্পে তারা সহায়তা করছে। দেশটির কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনে থাকি। সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক-উন্নয়নের প্রয়াস নিচ্ছে সরকার।’
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জমির বলেন, ‘ভারত ও চীন এশিয়া মহাদেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি। চীনের ক্ষেত্রে দমননীতি গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত ও চীনÑ উভয় দেশই বাংলাদেশের বন্ধু। আমাদের জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উভয় দেশ।’
দুই দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর উল্লেখ করে মোহাম্মদ জমির বলেন, ‘এশিয়ায় চীন  ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর বাংলাদেশ এর অংশ। আবার রাজনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি নিবিড়।’
ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন, এমন একজন সাবেক কূটনীতিক বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত, নদী ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, মানুষে-মানুষে যোগাযোগ অনেক বেশি। চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক ও সামরিক।’ রাশিয়ার সঙ্গে নতুন মেরুকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত এটি রাজনৈতিক ছিল। বর্তমানে এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও যুক্ত হয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘১৯৭৫-এর পট-পরিবর্তনের পরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ভাটা পড়ে। এভাবে ১৯৯০ পর্যন্ত চলার পর রাশিয়া নিজেই সংকটে পড়ে, যা প্রায় ১৫ বছর স্থায়ী হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়া আবারও পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। তাও ২০১০ সালের দিকে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয় সরকার । ২০০৯ সাল থেকে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একাধিক রাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করলেও সরকার রাশিয়ার সঙ্গেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া রাশিয়া থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জামও কিনেছে বাংলাদেশ।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও বাড়বে।  এবারই  প্রথমবারের মতো রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গে ল্যাভরভের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী মস্কো যাচ্ছেন। সেখানে তিনি শীর্ষ পর্যায়ের সফরের বিষয়ে আলাপ করবেন। রাশিয়ার সঙ্গে আমরা ২০টি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা এই সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে চাই।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

18923589_303ভিন্ন স্বাদের সংবাদ : উত্তর সুইডেনের ইয়ুকাসিয়ার্ভি গ্রামে বিশ্বের প্রথম ও সবচেয়ে বড় আইস হোটেল অবস্থিত৷ আবাসিক এই হোটেলটি বরফ আর তুষার দিয়ে তৈরি৷ রুমের তাপমাত্রা থাকে মাইনাস পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

হোটেলের ৬৫টি ঘরের প্রতিটি প্রতিবছর আলাদাভাবে ডিজাইন করা হয়৷ বিছানার জাজিম আর বলগা হরিণের চামড়া ছাড়া অন্য সব বরফ কিংবা তুষারের তৈরি৷

ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই হোটেলে রাতে থাকা যায়৷ বাকি সময় অবশ্য একটি অংশ খোলা থাকে৷ সেই সময় সৌরশক্তি দিয়ে রুম ঠান্ডা রাখা হয়৷

প্রতিবছর নভেম্বরের শুরুতে প্রায় একশ’জনের একটি দল হোটেলের অস্থায়ী ঘরগুলো তৈরির কাজ শুরু করে৷ এতে ব্যবহৃত হয় প্রায় ৩৫ হাজার টন বরফ ও তুষার৷ প্রতি মৌসুমে প্রায় ১০০ জন ডিজাইনার ঘরগুলোর জন্য নকশার প্রস্তাব করেন৷

আইসহোটেল তৈরির পরিকল্পনা শুরু ১৯৮৯ সালে৷ বরফশিল্পীরা সেই সময় একটি ‘ইগলু’ অর্থাৎ এস্কিমোদের ঘর তৈরি করেছিলেন, যা পরে বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল৷ পার্টি শেষ করার পর অনেকে ঐ ইগলুতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন৷ সেই থেকে শুরু৷

এই হোটেলে এক রাত থাকার খরচ ২৩০ ইউরো৷ অতিথিরা সাধারণত একটি রাতই ঐ হোটেলে থাকেন৷ ডিজাইনার আনা ওলুন্ডের নকশায় ঐ হোটেলে একটি ঘর সাজানো হয়েছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যখন সুইডেনের কথা ভাবে তখন স্টকহোম আর আইসহোটেলের কথা মনে করে৷ এখন অনেক পর্যটক এখানে আসছেন, থাকছেন, কাজও করছেন৷ আমার মনে হয়, এটিই আসলে গুরুত্বপূর্ণ৷”

বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও হোটেল রুমের তাপমাত্রা রাখা হয় মাইনাস পাঁচ ডিগ্রি৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

police-arrested-bcl-leader-with-yaba-in-gazipurনিস্বজ প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটায় কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন শেখ (২০) দুই পিচ ইয়াবাসহ ওভারব্রিজের উপর থেকে গ্রেফতার হয়েছে। থানা হাজত থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য জোর তদবির চলছিল।

থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ওভার ব্রিজের উপর থেকে রাঢ়ীপাড়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল শেখের পুত্র ইমন শেখকে ২ পিচ ইয়াবাসহ থানা পুলিশ আটক করে। এ বিষয়ে কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটক ইমন দোষী সাব্যস্ত হলে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।

পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) উজ্জল কুমার মৈত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

0000000শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : সাতক্ষীরার কুলিয়া এলাকা ট্রাক ভর্তি ৫১ লাখ ৯২ হাজার ৬’শ টাকার ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিচসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। সোমবার দুপুরে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া পাকা রাস্তার উপর থেকে উক্ত মালামাল গুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ভারতীয় উন্নত মানের ২০০ পিচ শাড়ী, ৮২৩ পিচ থ্রি পিচ, ১৭০ বোতল ফেন্সিডিল, ১৪৪ কেজি চা পাতা, ২৫০ কেজি সুপারী ও একটি বাংলাদেশী ট্রাক। তবে, এ ঘটনায় বিজিবি কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
বিজিবি জানায়, দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩৮ বিজিবির আওতাধীন বাঁকাল চেক পোষ্টের হাবিলদার মোঃ হাবিবুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে একটি টহল দল দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্রাকভর্তি ৫১ লাখ ৯২ হাজার ৬’ শ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। উক্ত মালামাল গুলো সাতক্ষীরাস্থ শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে।
বিজিবি ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরমান হোসেন পিএসসি এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভক্ত শীর্ষ চোরাকারবারী আলফেরদাউস ওরফে আলফা ও কুলিয়ার মাদক ব্যবসায়ী তুহিন ট্রাক ভর্তি এই ভারতীয় মালামালের মূল পাচারকারী। তাদের ব্যবস্থাপনায় ভারত থেকে অবৈধ পথে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানী ঢাকার দিকে এই মালামালগুলো পাচার করার সময় পথিমধ্যে কুলিয়া এলাকা থেকে বিজিবি সেগুলো জব্দ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

211122212নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সৃজনশীল মেধা অন্বেষন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে কলারোয়া গালর্স পাইলট হাইস্কুলের হলরুমে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘দৈনন্দিন বিজ্ঞান’, ‘গণিত ও কম্পিউটার’ এবং ‘বাংলাদেশ স্টাডিজ’ বিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫জন ছাত্র ও ছাত্রী ওই সকল ইভেন্টের মেধা অন্বেষনে অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ গাজী রবিউল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার তাপস কুমার দাস, কলারোয়া গালর্স হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব, প্রভাষক ডা.আব্দুল মাজেদ, কলারোয়া আলিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক শেখ শাহজাহান আলী শাহীন, সাংবাদিক শিক্ষক শামছুর রহমান লাল্টু প্রমুখ।
বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বিকেলে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আবদুল হামিদ জানান, শহর ও গ্রামের শিক্ষা বৈষম্য নিরসনে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অনুসন্ধানের লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

88888প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টি ও টাউন স্পোটিং কাবের সভাপতি শেখ আজহার হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার শ্যামলী সি.কে.টি হাসপাতালে ডা. কামরুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার কিডনিতে টিউমার অপারেশন করা হবে। তার আশু রোগমুক্তি কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

রোগমুক্তি কামনা
সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাতক্ষীরা শিল্প ও বণিক সমিতির বার বার নির্বাচিত প্রাক্তন সভাপতি, সাতক্ষীরা টাউন স্পোটিং কাবের সভাপতি, সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান, পুরাতন সাতক্ষীরা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতিসহ বহু সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাতক্ষীরার সর্ব পেশার মানুষের প্রিয় মানুষ আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেন সেন্ট্রাল কিডনি হাসপাতাল শ্যামলী ঢাকায় কিডনি অপারেশনের জন্য ভর্তি আছেন। আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টায় ডাঃ কামরুজ্জামান তার অস্ত্রপচার করবেন। তিনি সাতক্ষীরার সর্বস্তরের মানুষের দোয়া কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

baki rokon-1অপ্রতিম : মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডলসহ চারজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগটি আমলে নিতে আগামী ২০ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।
আদালতে অভিযোগ দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল মালুম, প্রসিকিউটর শাহীদুর রহমান, প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা,  প্রসিকিউটর জাহিদ হোসেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এ মামলার চার আসামির মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর গ্রামের খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেক (৭২) গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক দুই আসামি হলেন একই উপজেলার দক্ষিণ পলাশপোল গ্রামের খান রোকনুজ্জামান (৬৫) ও বৈকাবি গ্রামের জহিরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা খান (৬৬)।
অন্যদিকে গত শনিবার গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে আছেন বুলারটি গ্রামের এম আবদুল্লাহ আল বাকি (১০৩)।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করে এর নেতৃত্ব দেন খালেক মণ্ডল। এরপর অন্য আসামিদের নিয়ে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর মহকুমা এলাকায় এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আবদুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট আবদুল খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখান ট্রাইব্যুনাল। শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest