সর্বশেষ সংবাদ-
বিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমানশ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণপ্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টজনগণ যাকে চাইবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন-সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার হাবিব খানসাতক্ষীরায় হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু : সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রিসাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টশ্যামনগরে শরীরে পেট্টোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

keshabpur-19-03-17-2
অসীম কুমার ঘোষ, কেশবপুর : কেশবপুরে জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সিসিডিবি-এর সহযোগিতায় হতদরিদ্র ফুলমতি দাস আজ স্বাবলম্বি। সরেজমিন জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের ঋষি পল্লীতে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা ছিল। জলাবদ্ধার করণে জমিতে ফসল হত না। ঋষি পল্লীতে যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিল না। ঐ গ্রামের হতদরিদ্র ফুলমতি দাসের স্বামী শিবপদ দাস ভ্যান চালিয়ে সামান্য রোজগার দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করত। গত বছর দাতা সংস্থা ইকো ও খ্রীষ্টিয়ান এইড-এর সহযোগিতায় সিসিডিবি-এর বাস্তবায়নে বিদ্যানন্দকাটি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বি করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। তারই অংশ হিসাবে তারা বাউশলা গ্রামের ঋষি পল্লীতে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি বালিমাটি দিয়ে উঁচু করে এবং প্রতিটি বসত ভিটাও বালি-মাটি দ্বারা উঁচু করে। এসময় উক্ত সংস্থা ফুলমতি দাসকে ১৮ হাজার টাকা প্রদান করলে সে তাঁর স্বামী শিবপদ দাসের ভ্যানটিকে মোটর ভ্যানে উন্নীত করে। সিসিডিবি-এর কর্মকর্তাদের পরামর্শে ফুলমতি দাস তার ৫ শতকের বসতভিটার আঙ্গিনায় বেগুন, টমোটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজীর চাঁষ করেছে। ৩ শতকের পুকুরটি সংস্কার করে মাছ চাষ করেছে এবং বাড়ির সামনে ৫ শতক জমিতে ধান চাষ করেছে। বর্তমানে মোটর ভ্যান চালিয়ে ফুলমতির স্বামী শিবপদ দাস সংসারের ব্যায়ভার বহন করেও প্রতিদিন কিছু টাকা সঞ্চয় করছেন। ফুলমতিও বাড়ির আঙ্গিনায় উৎপাদিত সবজী পরিবারের চাহদা মিটিও বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। বর্তমানে ফুলমতি দাসের ৪ সন্তান স্কুলে লেখা-পড়া করছে। ফুলমতি দাসের ন্যায় দাতা সংস্থা ইকো ও খ্রীষ্টিয়ান এইড-এর সহযোগিতায় সিসিডিবি-এর বাস্তবায়নে বিদ্যানন্দকাটি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০১ টি হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বি হয়েছে। প্রকল্পটি ঐ ২ ইউনিয়ন ছাড়াও বাকি ৯ টি ইউনিয়ন ও কেশবপুর পৌরসভায় জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারকেও সাবলম্বি করার জন্য প্রকল্প গ্রহণে দাতা সংস্থাদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

keshabpur-19-03-17
কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে রবিবার সকালে ইউনিয়ন অধিকার সুরক্ষা দলের এক সমন্বয় সভা পরিত্রাণের প্রদীপ প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। তাপস দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান গৌতম রায়, ইউপি সচিব হুমায়ুন কবির, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান কামাল, নিমাই চন্দ্র দাস, সিরাজুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি দাস, আব্দুর রহিম, কামাল হোসেন, ওলিয়ার রহমান, রেহেনা খাতুন, দলিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস, সুরক্ষা দলের সদস্য দুলাল দাস, পরিত্রাণের এ্যাডভোকেসি অর্গানাইজার রতিকান্ত মুন্ডা, কাজল মজুমদার প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sam_6415-copy-large
মাহাফিজুল ইসলাম আক্কাজ : ‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এবং শিক্ষার আলো জ্বালবো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তা ও শিক্ষকগণের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ সাতক্ষীরা’র আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের আরো বেশি মনোযোগি হতে হবে। সেবার মান বাড়ান সরকার ও আপনাদের নায্য দাবি মানবে। যে দেশের কল্যাণে এত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন সে দেশের জন্য ভালো কিছু উপহার দিন। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসি তবেই অল্প দিনে বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করা সম্ভব। ভাল শিক্ষাদান করলে ভাল শিক্ষিত জাতি তৈরি হবে। নিজের সংসারের জন্য যেমন দরদী তেমনি শিক্ষার মানোন্নয়নে দরদী ও মনোযোগী হবেন। তাহলে দেশ ও জাতি উন্নত হবে’। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া-০১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, দিনাজপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পঞ্জগড়-০১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, যুগ্ম সচিব শেখ আজহার হোসেন, সাবেক সাংসদ ডাঃ মোখলেছুর রহমান, সাতক্ষীরা পিটিআইয়ের সুপার সরোওয়ান জাহান, জেলা সরকারি সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী ও খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

12বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের বাবা কৃষ্ণরাজ রায় মুম্বাইয়ে পরলোক গমন করেছেন। লিম্ফোমা আক্রান্ত ঐশ্বরিয়ার বাবাকে মাসখানেক আগে মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। অবশেষে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণরাজ রাই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার কথাও ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হলো না কৃষ্ণরাজের। তার আগেই পরপারে চলে গেছেন তিনি।

বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে ছুটি বাতিল করে দুবাই থেকে মুম্বাই ফিরে আসছেন ঐশ্বরিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন তার স্বামী অভিষেক বচ্চনও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ukআন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়েকশ অত্যাধুনিক ট্যাংক এবং সেনাকে রাশিয়ার একেবারে সীমান্তে মোতায়েন করতে চলেছে ব্রিটেন। ইতিমধ্যে বিশাল এই রণসজ্জা পৌঁছে গিয়েছে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ এস্তোনিয়ায়। কোল্ড ওয়্যারের পর এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে এতো ব্যাপক সেনা আর মোতায়েন করলো ব্রিটেন।

এই ঘটনার পর এই সিদ্ধান্তকে একেবারে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করছে অনেক সামরিক মহল। শুধু সামরিক মহলই নয়, ইতোমধ্যে ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তকে কড়া চোখে দেখছে রাশিয়া। যার পালটা হিসাবে ইতিমধ্যে রাশিয়ান সীমান্তে নিজেদের সেনার সরঞ্জাম আরও বাড়াচ্ছে রাশিয়া।

সেনা প্রেরণের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ১২০ সেনা গঠিত স্পেশাল ফোর্স পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ব্রিটেনের এই দলটি এস্তোনিয়া পৌঁছে গেছে। আর আগামী সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটিশ তিনশ’ সামরিক যান দেশটিতে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। । এছাড়া, দেশটিতে আটশ’ ব্রিটিশ সেনাও পাঠানো হবে। আগামী মাসের মধ্যে বিশাল এই পরিমাণ সেনা পাঠানো হবে এস্তোনিয়াতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14অপ্রতিম : নিজেদের শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। কলম্বোর পি সারা ওভালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত এ জয় তুলে নেয় টাইগাররা। সে সাথে এক-এক সমতায় শেষ হয়েছে টেস্ট সিরিজ।

জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৯১ রান। ইতিহাস গড়তে নেমেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দারুণ ব্যাটও করছিলেন দুই জনে। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। সৌম্যের বিদায়, কিছুটা হোছট খেতে হয় টাইগারদের। আবারও ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে নেমেছিলেন ইনজুরি থেকে দলে ফেরা ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস কিন্তু টাইগার ভক্তদের হতাশ করলেন ইমরুলও।

মাথার উপর তখন বিশাল চাপ! কিন্তু সে চাপকে স্বাভাবিক ভাবেই সামলার তামিম-সাব্বির। গড়ের ১০৯ রানের জুটি। তবে শততম টেস্টে মাত্র ১৮ রানের জন্য শতক করতে পারেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম।
চমৎকার এ ইনিংসে ৭ চার ও ১ ছয়ে ১২৫ বলে ৮২ রান করে দিলরুয়ান পেরেরার বলে দিনেশ চান্ডিমালের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি। তামিমের মতই মাত্র ৯ রানের জন্য অর্ধশত তুলতে পারেননি সাব্বির। ব্যাক্তিগত ৪১ রানে বিদায় নেন সাব্বির।
শেষ পর্যন্ত ২২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জয় উপহার দিয়েছেন টাইগার ‌‌‌‌‌‌দলপতি মুশফিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

received_18583084777915251নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস খুনী এম আব্দুল্লাহিল বাকী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বুলারাটী গ্রামে ১৯১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র হিসেবে প্রচণ্ড মেধাবী হলেও তরুণ বয়স থেকেই হিংস্রতার জন্য কুখ্যাতি ছিল বাকীর।

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি বাকি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন সাতক্ষীরা মহকুমার আলিপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
মুসলিম লীগ নেতা হিসেবে দাপট ছিল বাকির। এভাবে টানা ২৪ বছর একই ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট অথবা চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭৮ সালে সাতক্ষীরা মহকুমার ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে গঠিত চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন আবদুল্লাহেল বাকি।

আবদুল্লাহেল বাকির বাবা হাজি জমিরুদ্দিন। তাঁরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাঁরা হলেন আবদুল্লাহেল বাকি, আহলে হাদীস নেতা ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, জামিলা খাতুন ও হালিমা খাতুন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল্লাহেল বাকির দুই স্ত্রীর প্রথম জন টরি বেগম মারা গেছেন। এখন বেঁচে আছেন ছোট স্ত্রী সাজেদা খাতুন। তাঁর নয় মেয়ে ও তিন ছেলে এবং ৬৪ নাতি-নাতনি রয়েছেন। মেয়েরা হলেন লতিফা খাতুন, তৈয়বা খাতুন, হেনা খাতুন, মিনা খাতুন, আছিয়া খাতুন, সালমা খাতুন, তাহমিনা খাতুন ও মৌহসেনা খাতুন। অপর মেয়ে নাজমা খাতুন মারা গেছেন। বাকির তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বেসিক ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মেজ ছেলে মোস্তাজারুর রহমান বাবুল সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যাপক এবং ছোট ছেলে মোস্তাফিরুর রহমান হাবুল একজন মুদি ব্যবসায়ী। আবদুল্লাহেল বাকি খুলনায় তাঁর বড় ছেলের বাসায় থাকতেন। পাঁচ দিন আগে তাঁকে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটিতে নিয়ে আসা হয়।

একাত্তরে আবদুল্লাহেল বাকির নাম শুনলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠত। সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে সুলতানপুর বড়বাজারমুখী সড়কের পূর্ব পাশ ঘেঁষে ছিল রাজাকার বাকির টর্চারিং সেন্টার। বর্তমানে সেটি অগ্রণী ব্যাংক। এভারগ্রিন ট্রেডের দোতলায় এ ভবনটি ছিল ডায়মন্ড কোম্পানির স্টার হোটেল হিসেবে পরিচিত। এর পরিচালক ছিলেন অবাঙালি মুসা খান।

সাতক্ষীরার বিশিষ্ট কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরার ত্রাস আবদুল্লাহেল বাকি তাঁর দোসরদের নিয়ে ‘পাকিস্তানের শত্রু নিধন’-এর লক্ষ্যে গড়ে তোলেন এ টর্চার সেল। এখানে ধরে আনা কথিত কাফেরদের বেতলাঠি ও মুগুর দিয়ে আঘাত করা ছাড়াও ছুরি ও ব্লেড দিয়ে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চিরে লবণ দেওয়া হতো। গরম পানিতে চুবিয়ে ধরা হতো। ঝুলিয়ে মারা হতো বেত। কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে মজা দেখতেন বাকিসহ তাঁর সহযোগীরা। কয়েক দিনের নির্যাতনের পর কোনো স্বীকারোক্তি না পাওয়া গেলে বাঙালি সন্তানদের নিয়ে যাওয়া হতো পাকিস্তানি সেনাদের কাছে। এরপর মাহমুদপুর অথবা বিনেরপোতায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো তাদের। টর্চার সেলে নেওয়া পুষ্পকাটী গ্রামের তরুণ ছাত্র আনসার আলীকে হত্যা করেন বাকী। আনসার হত্যার অভিযোগেও বাকীর বিচার চলছে।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বাকির টর্চার সেলের দুই ঘাতক কসাই ছিলেন শহরের নবজীবন এনজিওর খান রোকনুজ্জামান ও পলাশপোল হাইস্কুলের প্রয়াত শিক্ষক কবির আহমেদ। তাঁরা আনসারের লাশ নিয়ে পরিবারের হাতে পৌঁছে দিয়ে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান সরকারের বিরোধিতার এটাই ফল। দেবহাটার ঘলঘলিয়ার তরুণ ছাত্র খলিলুর রহমানকে ডায়মন্ড টর্চার সেলে এক সপ্তাহ নির্যাতন চালিয়ে যশোর সেনাক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে খলিলুর রহমান পালিয়ে বাাঁচেন।
সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলামকে গাড়ির চাকায় বেঁধে টেনে আনা হয় বাকির টর্চার সেলে। কয়েক দিনের নিপীড়নের পর ঘাতকরা নজরুলকে বাঁকাল খালের ধারে ছুড়ে ফেলে দেয়। দুদিন পর সাতক্ষীরা থানার ওসি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেও তিনি একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একজন পাকিস্তানি সৈনিককে দেখে আতঙ্কে সরে পড়েন। বাকির নেতৃত্বে আলিপুরের মাহমুদপুরে ছিল আরো একটি কিলিং সেন্টার (হত্যার জায়গা)। শহরের স্টার ডায়মন্ড হোটেলে নির্যাতন করে কিছু উদ্ধারে ব্যর্থ হলে কথিত কাফেরদের পাঠানো হতো মাহমুদপুরে। সাড়ে চার দশক পর আজও এ অঞ্চলে কথিত আছে ‘কী ছিল কপালের ফের, যাব টাকি সোদপুর, গেলাম কিনা মাহমুদপুর’। মুক্তিযুদ্ধকালে সেখানে রোজ ২০ থেকে ৫০টি পর্যন্ত লাশ ফেলা হতো বলে এলাকাবাসী জানায়। ১৯৭১-এর ৩০ নভেম্বর আলিপুর পুষ্পকাটী এলাকায় কয়েকশ’মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নেন। এ খবর পেয়ে পাকিস্তানি বাহিনী খুলনা অভিমুখে পলায়ন শুরু করতেই আতঙ্কিত বাকি, খালেক, খান রোকনুজ্জামান, কবির আহমেদ ও জহুরুল ইসলামসহ অন্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে পলায়ন করেন। তাঁদের মধ্যে রাজাকার খালেক ওরফে মওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আছেন। রাজাকার কবির আহমেদ মারা গেছেন। এ ছাড়া খান রোকনুজ্জামান ও জহুরুল ইসলামসহ অন্যরা এই মুহূর্তে পালিয়ে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রক্তে চর্বির মাত্রা কমাবেন কীভাবে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক: রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে তা ধমনিতে জমা হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। আর এ থেকেই হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ইত্যাদির উৎপত্তি হয়। তাই রক্তে চর্বি বা কোলেস্টেরল যাতে বেড়ে না যায়, সে বিষয়ে আজকাল অনেকেই সচেতন। তাহলে চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাবেন? কেউ বলেন রসুন চিবিয়ে খাও, কেউ বলেন অলিভ তেলে রান্না করো। আসল কথা হলো, চর্বি যাতে না বাড়ে সে জন্য কিছু খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে, কিছু খাবার খেতে হবে কম। জেনে নিন কয়েকটি তথ্য:
১. সম্পৃক্ত চর্বি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। গরু বা খাসির মাংস এবং ঘি-মাখনে যে চর্বি থাকে, সেটাই সম্পৃক্ত চর্বি। এগুলো বর্জন করুন। আর উপকারী অসম্পৃক্ত চর্বি আছে মাছের তেল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে। ট্রান্সফ্যাটও কম খেতে হবে। বেকারির খাবার ও ফাস্ট ফুডে তেল উচ্চতাপে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড হয়ে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটে পরিণত হয়।
২. আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খাবেন। যেমন: যব, ভুট্টা, লাল আটার রুটি, ফলমূল, শাকসবজি। এগুলো আপনার রক্তে চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
৩. উদ্ভিজ্জ স্টেরল ও স্টেনল উপাদান রক্তে চর্বি শোষণে বাধা দেয় ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ফলের রস, টক দই, তাজা শাকসবজিতে পাওয়া যাবে এই উপাদান।
৪. নিজের জন্য জুতসই খাদ্যতালিকা নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। অন্যের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে অনেক সময় লাভ হয় না। কঠোর খাদ্যতালিকার চেয়ে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে ওপরের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন আনলেই উপকার মেলে।
৫. তারপরও রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে এবং আপনার হৃদ্রোগের অন্যান্য ঝুঁকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে চর্বি কমানোর ওষুধ সেবন করাই ভালো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest