দেবহাটায় শীত আসলেই  ভাপাপিঠা বিক্রির ধুম

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা :
দেবহাটায় শীত পড়তে না পড়তেই জমে ভাপাপিঠা বিক্রি ধুম পড়েছে। পিঠা নিয়ে বাঙালির আবেগ চিরকালের। নানা রকমের পিঠার আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হলো ভাপাপিঠা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা বয়সি মানুষ পিঠা খেতে আসছেন দোকানে।

আগের মতো এখন আর বাড়িতে ভাপা পিঠা তৈরির উৎসাহ দেখা যায় না। বর্তমানে রাস্তার পাশে, অলিতে-গলিতে ও মোড়ে মোড়ে ভাপা পিঠা বিক্রি হতে দেখা যায়। পিঠাপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে এসব দোকান। শীতের মৌসুমে মুখে জল আনা ভাপা পিঠার দোকানে ভিড় করছেন শিশু-কিশোর, বৃদ্ধসহ সব বয়সি মানুষ। কেউ কেউ আবার পিঠা খেতে খেতে মজার গল্পে মেতে উঠছেন ঐসব দোকানে। উপজেলার ঈদগাহ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ভাপা পিঠা বিক্রির দৃশ্য দেখা গেছে। চিনেডাঙ্গা এলাকার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রায়ই ঈদগাহ বাজার থেকে থেকে পিঠা খাই খুবই সুস্বাদু । চাল ভেঙে আটা করে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয় না। ঝামেলা ছাড়া স্বল্প দামে হাতের নাগালে এখন পিঠা পাই।’ পিঠা খেতে আসা আনোয়ার হোসেন বাপ্পি (চা বিক্রেতা) বলেন, ‘ঈদগাহ বাজরে ১০ টাকায় নারিকেল-গুড় দিয়ে সুস্বাদু ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। ভালো লাগে, তাই নিয়মিত বন্ধুবান্ধব নিয়ে খেতে আসি।’ পিঠা দোকানি শহিদুল বলেন, ‘শীতকাল এলেই ভ্যানে করে বিভিন্ন বাজার ও মোড়ে পিঠা বিক্রি করি। অন্য সময় ঝালমুড়ি, ফুচকা ও চটপটি বিক্রির করি । শীতে পিঠা বিক্রি করে যা। আয়, হয় তাই দিয়ে সংসার ভালোভাবে চলে। শীত বাড়লে পিঠা বিক্রি আরো বেড়ে যাবে। চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। প্রতি পিস পিঠা বিক্রি করছি ১০ টাকা। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা তৈরি ও বিক্রির কাজ। দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ পিস বিক্রি করলে খরচ বাদ দিয়ে ৭০০-৮০০ টাকা আয় হয়।’

ঈদগাহ বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম (বাপ্পা) জানান, ‘ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণবাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্যদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে ভালো লাভ হওয়ায় উপজেলার অনেক নারী-পুরুষ এখন পিঠা ব্যবসায় ঝুঁকছেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় দুই লাখ টাকার মেগা ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল খেলায় ভাদড়া বাউখোলা স্পোর্টিং বিজয়ী

তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালায় সাংবাদিক ফোরামের উদ্দ্যোগে ও চরগ্রাম আদর্শ যুব সংঘের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চরগ্রামে কপোতাক্ষ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে “দুই লাখ টাকার আট দলীয় মেগা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪” ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশকে আমরা বৈষম্যমুক্ত দেখতে চাই। আগামীর তরুণ ও যুবসমাজ মাদক থেকে দূরে থেকে খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম।

আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাস্টার এম এ হাকিম। টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহযোগিতা করে চরগ্রাম আদর্শ যুব সংঘ।

সাতক্ষীরা ভাদড়া বাউখোলা স্পোর্টিং ক্লাব এবং ডুমুরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেশি বিদেশি খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এ ফাইনাল খেলায় ভাদড়া বাউখোলা স্পোর্টিং ২ ডুমুরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দলকে ১পরাজিত করে বিজয়ের গৌরব অর্জন করে।
ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় সাতক্ষীরা ভাদড়া বাউখোলা স্পোর্টিং ক্লাব এবং ডুমুরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার। উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলাটি দর্শকদের মুগ্ধ করে। মাঠভর্তি দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও করতালিতে পুরো পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে।

এই টুর্নামেন্টটি তরুণ ও যুবসমাজকে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ক্রীড়ার প্রতি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি একটি সুন্দর, শক্তিশালী সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় উগ্রবাদী সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে তৌহিদি জনতার মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা উলামা পরিষদ এবং সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার উদ্যোগে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

উলামা পরিষদ সাতক্ষীরা সদর থানা শাখার সভাপতি মুফতি সাইফুল্লাহ রহমানির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক, তাবলীগের শুরায়ী নিজামের সাথী ও মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মহসিন, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আসলাম হুসাইন, সাতক্ষীরা জজকোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ, তাবলীগের শুরায়ী নিজামের সাথী মুস্তাকুর রহমান দারা, শুরায়ী নিজামের সাথী মাওলানা মোখলেসুর রহমান, শিক্ষক মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম হাবিবী, সাতক্ষীরা মারকাজের সাবেক জেলা আমির ও বর্তমান ফয়সাল প্রফেসর হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা থানা মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ, শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ও তাবলীগ জামাতের শুরায়ী নিজামের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, যেখানে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। কিন্তু সাদপন্থীরা ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ধর্মের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করছে। স¤প্রতি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় সাদপন্থীদের নৃশংস হামলায় চারজন নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আমরা এই বর্বরতার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। ২০১৮ সালেও সাদপন্থীরা ইজতেমার ময়দানে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছিল। হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, বয়োবৃদ্ধ মুরুব্বি এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর নির্মম আক্রমণ চালিয়ে তারা ইজতেমা ময়দানকে রক্তাক্ত করেছিল। এসব কর্মকান্ড ইসলাম এবং তাবলীগের প্রকৃত বার্তার সম্পূর্ণ বিপরীত।

মানববন্ধনে দাবি করা হয়, সাবেক সরকারের মদদপুষ্ট এই গোষ্ঠী এখনো বিচারের বাইরে। তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড দেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং তাবলীগের সুনামকে ক্ষুন্ন করছে। বক্তারা সরকারের কাছে সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের বিচারের আওতায় আনার আহŸান জানান।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বাংলার মাটিতে সাদপন্থীদের উগ্রপন্থী কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহŸান জানানো হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টঙ্গী ইজতেমায় হত্যা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আশাশুনি মানববন্ধন

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আশাশুনিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা উলামা পরিষদ আশাশুনি থানা শাখা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আশাশুনি উলামা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওঃ মুনছুর আহমেদ।

হাফেজ জায়েদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওঃ মুফতি জায়েদ আব্দুল্লাহ, আঃ আজীজ, ক্বারী মোঃ কাইকাউস, মানছুরুল হক, মুফতি শাহ জালাল, মাওঃ মারুফ বিল্লাহ, মাওঃ মাহদী হাসান, নাজমুল আহসান প্রমুখ। আশাশুনি থানা জিম্মাদার সাজ্জাদুল হক লাভলুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, টুঙ্গী ইজতেমা মাঠে আমাদের সামান্য সংখ্যক কর্মীরা যখন ঘুমের মধ্যে ছিল, তখন নোয়াখালী, সিলেটসহ কিছু এলাকার টোকাই সন্ত্রাসী নিয়ে হাজাররহাজার উগ্রবাদী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করা হয়।

বহুজনকে আহত করা হয়। জঘন্যভাবে হামলাকারী ও হত্যাকারীরা ইসলামে দাঈ হতে পারেনা। আমাদের এক দফা এক দাবী সাদ গ্রুপ দাওয়াতী তাবলীগের নাম নিয়ে দেশের কোন মসজিদে করতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সকল তৌহিদী জনতার সহযোগিতা ও সজাগ থাকার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শান্তি সম্প্রীতি ও আমরা বিষয়ক আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শান্তি, সম্প্রীতি ও আমরা” শিরোনামে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ ডিসেম্বর বিকালে আস্থা প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য ও স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।

জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের আহবায়ক শেখ সিদ্দিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ আকতার উজ্জামান, এটিএন বাংলার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, রাজনীতিবিদ কামরুল ইসলাম ফারুক, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক শেখ আজাদ হোসেন বেলাল,

সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীল, সময় টিভি স্টাফ রিপোর্টার মমতাজ আহমেদ বাপী, সহকারী অধ্যাপক ভারতেশ্বরী বিশ্বাস, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি, আর টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দুদক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, কবি শাহিদুর রহমান, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, সদর উপজেলা যুব ফোরামের যুগ্ম-আহবায়ক কর্ণ বিশ্বাস। বক্তারা সাতক্ষীরাকে শান্তি, সম্প্রীতির মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এজন্য নাগরিক ঐক্যের প্রতি গুরুত্ব দেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলীপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সদরের আলীপুরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯ ডিসেম্বর রিইব হোপ প্রকল্পের আয়োজনে পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও রিইব হোপ প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ কুমার দাসের সঞ্চালনায় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে সামাজিক সমস্যা সমুহ তুলে ধরেন বক্তারা। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, মাদকদ্রব্যের দৌরাত্ম, উচ্ছেদ ঝুকি, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, কমিউনিটি ক্লিনিকে অপর্যাপ্ত ঔষধ প্রভৃতি সমস্যাসমূহ তুলে ধরেন।

উল্লেখিত চিহ্নিত সমস্যা নিরসন কল্পে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন সুজন দাস, অধীর দাস প্রমূখ। চিহ্নিত এ সকল সামাজিক সমস্যা নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, সমস্যাসমূহ তুলে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ কতিপয় উদ্যোগ উল্লেখপূর্বক সিএসও ও ইউনিয়ন পরিষদ এর যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রউফ। মানব সেবায় সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান চান্দু, ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান টুটুল, এবাইদুল্লাহ আল ফারুক, মোছা; মনোয়ারা খাতুন প্রমূখ। সভায় আলীপুর ইউনিয়ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ও সিএসও প্রতিনিধিবৃন্দসহ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, শিক্ষা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটি ও অন্যান্য স্টান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৌরসভা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
নেটজ্ বাংলাদেশ ও বিএমজেড এর সহযোগীতায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর আয়োজনে পৌরসভা মানবাধিকার সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
১৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপ-পরিচালক ডিডিএলজি, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ লিয়াকাত আলী পিএনও সুন্দরবন পলিটেকনিক কলেজের কনফারন্স রুমে গণতান্ত্রিক সংলাপে রিইব হোপ প্রকল্পের এরিয়া সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এবং যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণে সকলকে আহবান জানান।

সাতক্ষীরা জেলায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহবান রেখে উপজেলা গণতান্ত্রিক সংলাপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক ডিডিএলজি,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ লিয়াকাত আলী পিএনও,পৌরসভা, সাতক্ষীরা ।

ফিল্ড ফেসিলেটর সোনিয়া পারভীন এর সঞ্চালনায় পৌরসভার কমিটির অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিহ্নিত সামাজিক সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করেন উপস্থিত সদস্যরা সমস্যা ও ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতাসমুহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সিএসও সদস্যরা আলোচনার ভিত্তিতে পৌরসভার প্রান্তিক গজনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের সামাজিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গণতান্ত্রিক সংলাপে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মানবধিকার সুরক্ষা কমিটির যৌথ পরিকল্পনা গৃহীত হয়। বিশেষ করে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রতিরোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচীতে অনগ্রসর জনগোষ্টীর প্রবেশদম্যতা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেনতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা নিরসনপুর্বক চলতি মৌসুমে চাষ নিশ্চিত করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে স্কুল ক্যাম্পেইন, কম্যুনিটির পুন:বাসন প্রভৃতি বিষয়ে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনপ্রতিনিধি অনিমা রানী মন্ডল, নূরজাহান বেগম,রাবেয়া পারভীন, ইয়াসিন আরাফাত,নাজমুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর করুন মৃত্যু

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :

মৃগী রোগী পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফসানা পারভিন (১০) ছোট বোনকে সাথে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যেয়ে ছোট বোন গোসল করে ফিরে আসলেও শিক্ষার্থী আফসানাকে ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের রানিতলা গ্রামে। নিহত আফসানা পারভিন রানিতলা গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের মেয়ে।

গোসল করে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুরে জেলে এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যদের জালে ধরা পড়ে আফসানার লাশ।

মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোড়ল জানান, আফসানা প্রতিদিনের ন্যায় ছোট বোনকে সাথে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে যায়। শীতের কারণে ছোট বোন গোসল করে দ্রুত ফিরে আসলেও আফসানা একা একা পুকুরে নেমে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে ডুবে করুন মৃত্যু হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্য ও জেলেদের খবর দেওয়া হয়। জেলেদের জাল টানায় আফসানার লাশ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থী আফসানার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন মেয়েটি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। এ বিষয়ে তার পরিবারের কোন সন্দেহ না থাকায় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest