সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

000007777তরিকুল ইসলাম লাভলু : কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত-প্রখ্যাত এই খনার বচনটি মানুষের অন্তরে গেঁথে আছে বহু কাল ধরে। বচনটি পরিবর্তন না হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তাঁতে। উৎপাদনেও এসেছে পরিবর্তন। তাই তাঁতেই কাপড়, তাঁতেই ভাতের স্থলে এখন তাঁতেই গজ-ব্যান্ডেজ,তাঁতেই ভাত বললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পশ্চিম নলতা, মাঘুরালী, মধ্য নলতা, পূর্ব নলতা, ইন্দ্রনগর ও সোনাটিকারী গ্রামের নারী-পুরুষ এখন ব্যস্ত গজ-ব্যান্ডেজ তৈরি কাজে। তাতে উৎপাদিত হচ্ছে উন্নতমানের  সার্জিক্যাল গজ-ব্যান্ডেজ। এ কাজ করে উপজেলার প্রায় আট হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। আর এসব উৎপাদিত গজ-ব্যান্ডেজ যাচ্ছে ঢাকা, খুলনা, চট্রগ্রামসহ সারাদেশে।
নলতা ইউনিয়নের নলতা শরীফ এলাকায় ঢুকতেই কানে শব্দ আসে খট খট খট…। এক বাড়ি নয়, দুই বাড়ি নয়,পাশাপাশি প্রায় সব বাড়িতেই একই শব্দ। প্রতিটি বাড়িতে চলছে আধুনিক বিদ্যুৎচালিত তাঁত পাওয়ার লুম। পাশাপাশি দুই/তিনটা পাওয়ার লুম পরিচালনা করছেন একেকজন আবার কেউ বা বাঁধছেন সুতা।
২০ বছর আগেও এখানকার কারিগররা হস্ত পরিচালিত তাতে বুনতেন শাড়ি,গামছা ও লুঙ্গি। কিন্তু এখন সবাই বোনেন গজ-ব্যান্ডেজ। আর এর উপরেই নির্ভর করে তাদের জীবন-জীবিকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দীর্ঘ ২৫/২৬ বছর ধরে নিজের বাড়িতেই আপন মনে তাঁত বুনছেন মিজান কারিগর। পারিবারিকভাবে তাঁতের সঙ্গেই তার পরিচয়।বাপ-দাদা সবাই তাঁত বুনতেন। তখন শাড়ি, গামছা, লুঙ্গি তৈরি হতো। তখন পুরো জেলায় নলতার গামছার নাম ছিল। আমিও কাজ শিখে প্রায় প্রায় ১২ বছর শাড়ি,লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করেছি। কিন্তু ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। এলাকার সবাই চলে আসি গজ-ব্যান্ডেজে।
শাড়ি, লুঙ্গি বা গামছা তৈরি ছাড়ার কারণ হিসাবে ফয়সাল কারিগর বলেন, এখন আর সেই সুতা, রং আসেনা। রং করলে স্থায়ী হয়না। তাই সবাই গজ-ব্যান্ডেজ তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এখন মহাজনেরা নারায়নগঞ্জ থেকে সুতা এনে আমাদের কাছে দেয়। আমরা সেই সুতা দিয়ে শুধু গজ-ব্যান্ডেজ তৈরি করি এবং সে অনুযায়ী মজুরি পায়।
মধ্য নলতা গ্রামের তাঁতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সুতা মহাজন দেয় আর আমরা শুধু কাজ কারি। মেশিন আমদের। ৩৬ হাত গজ-ব্যান্ডেজে এক একটি রোল তৈরি হয়। এক রোল তৈরি করলে ২০ টাকা পায়।একা তিনটা মেশিন চালানো যায়। প্রতিটি মেশিনে দিনে ছয়/সাতটি রোল গজ-ব্যান্ডেজ তৈরি করা যায়।
তাঁতি শুশিল দাস বলেন, এখন তো আর হাতের তাঁত নেই। এক একটা পাওয়ার লুম মেশিনের ২৪ থেকে ২৬ হাজার টাকা দাম পড়ে। নিজস্ব তিনটা মেশিনে আমি প্রতিদিন কাজ করে গড়ে আমি চারশ টাকা পাই।
তিনি আরোও বলেন, আগে আয় বেশি হতো আর এখন ৩৬ হাত লম্বা গজ-ব্যান্ডেজ তৈরি করে মাত্র ২০ টাকা পায়। কিন্তু তাতে উৎপাদিত শাড়ির দাম বেশি ছিলে। যদিও উৎপাদন বেশি,কস্ট কম। মেশিন অন করে চালিয়ে রেখে মাঝে মধ্যে একটু দেখাশোনা করলেই হয়।
মাঘুরালী গ্রামের তাঁতি লতিফার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি মেশিনে সুতা বাধছিলেন। সুতা বাধার জন্য তিনি পান একশ টাকা। এই কাজে কষ্ট কম বলে লতিফার মতো কয়েকশ গৃহিণী নারীসহ পরিবারের সবাই মিলে পাওয়ার লুম মেশিনে গজ-ব্যান্ডেজ তৈরি করে।
ইয়াসিন নামে অপর এক তাঁতি বলেন, এলাকার বেকার ছেলে-মেয়েরা ডিজিটাল এই পাওয়ার লুম মেশিনে কাজ করে এবং এতে আয়ও বেশ ভাল হয়। তবে এই আধুনিক পাওয়ার লুম মেশিনে যে কোনো সমস্যা নেই তা কিন্তু নয়! একদিন বিদ্যুৎ না থাকলে বন্ধ হয়ে যায় নলতা এলাকার গজ-ব্যান্ডেজ তৈরির কর্মযজ্ঞ। আর রয়েছে মধ্যসত্ত্বভোগীদের থাবাও।
তাঁতশিল্পের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহকারী নলতার ওমর আলী, মাসুল, ফারুক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, গোপাল, দীপঙ্কার ও নাসিমা খাতুন বলেন, গজ-ব্যান্ডেজ তৈরির কাজে আসার পর থেকে এখন আর তাদের সংসারে অভাব নেই।
এলাকায় তাঁত ব্যাবসার মহাজন বলে পরিচিত শ্যামল চন্দ্র পাল বলেন,তার কারখানায় ২৫টি পাওয়ার লুম মেশিন রয়েছে। এখানে আট/নয়জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে। নারায়নগঞ্জ থেকে সুতা এনে প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই সরবারহ করেন তিনি। একই সাথে তার কারখানায়ও গজ-ব্যান্ডেজের কাজ চলে।
তিনি আরও বলেন, সুতা এনে গজ-ব্যান্ডেজ তৈরি করতে প্রত্যেক পিসে (রাল) ২০ টাকা দিতে হয়। তারপার ব্যান্ডেজগুলো ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে পাঠানো হয় ঢাকা, খুলনা, চট্রগ্রামসহ সারাদেশে। আমরা সুতার দাম দুই/তিন টাকা লাভে বিক্রয় করি। সরকার যদি সরাসরি আমাদের কাছ থেকে পণ্য নিতো তাহলে আমরাও বাঁচবো আর ক্ষুদ্র কারিগররাও বেশি মজুরি পাবে। বড় বড় কোম্পানীগুলো আমাদের কাছ থেকে গজ-ব্যান্ডেজ নিয়ে সরকারের কাছে সরবারহ করে সে কারণে আমরা অধিক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

77777আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুর রহিমসহ ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আশাশুনি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি ককটেল ও কলারোয়া থেকে ১০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৮ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানায় ৪ জন, আশাশুনি থানা ২ জন, দেবহাটা থানায় ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশর বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7bchkw_mahmuপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী একথা জানান।

তিনি বলেন, এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের সবই জনগণের সামনে প্রকাশ করবে সরকার। তবে এই ৩৫টির মধ্যে কতটি চুক্তি আর কতটি সমঝোতা স্মারক সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

প্রতিরক্ষা বিষয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন হবে তখন দেখতে পাবেন, আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব। এখানে গোপন-টোপন করার কিছু নেই। যেগুলো বলা হচ্ছে, আমাদের নিন্দুকরা যেগুলো বলছেন, এগুলোর মধ্যে কিচ্ছু নেই, দেখতেই পাবেন যথাসময়ে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সফরে মোদির সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491289619হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের টাকা চুরি করে পরমাণু বোমা কার্যক্রম চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ক্যাস্পারস্কি ও কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে তথ্যটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

স্থানীয় সময় সোমবার ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এ তথ্য দেয় ক্যাস্পারস্কি।
ক্যাস্পারস্কির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮টি দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে সাইবার আক্রমণ চালিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ওই অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নে।

বিভিন্ন ব্যাংক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা দাবি করেন, এর আগে বাংলাদেশসহ ইকুয়েডর, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তবে ক্যাস্পারস্কির দাবি, লাজারুস নামে ওই হ্যাকার দলের সাইবার আক্রমণের শিকার শুধু এই চারটি দেশ নয়। এ ছাড়া কোস্টারিকা, ইথিওপিয়া, গেবন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পোল্যান্ড, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও উরুগুয়ের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানও উত্তর কোরিয়ার করা এই সাইবার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়।

প্রতিবেদনে ক্যাস্পারস্কি জানায়, নিজেদের অবস্থান লুকাতে হ্যাকাররা ভিন্ন ভিন্ন আইপি (নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা কম্পিউটারের স্বতন্ত্র নম্বর) ও ঠিকানা ব্যবহার করেছে। এই হ্যাকার দল ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের বিভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে হামলা চালায়। তবে ছোট্ট একটা ভুল করে ফেলে হ্যাকাররা। হ্যাকিংয়ের সময় একবার উত্তর কোরিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছিল। আর ওই সূত্র ধরে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের জালে ধরা পড়ে ওই হ্যাকার দলটি।

ক্যাস্পারস্কির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গবেষণা দলের প্রধান ভিতালি কামলুক বলেন, এই সমীকরণে উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক ও সম্প্রচার মাধ্যমে সাইবার হামলা চালানো হয়। সে সময় প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়াকে হামলার জন্য অভিযুক্ত করে দেশটি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান সনি পিকচার্সে সাইবার হামলার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। এ দুটি হামলার সঙ্গে হ্যাকার দল ‘লাজারুস’কে যুক্ত করা হয়।

২০১৫ সালে উত্তর কোরিয়া তাদের হ্যাকিংয়ের লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করে। আক্রমণ করা শুরু করে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। এ তথ্য জানিয়েছে নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা বিএই সিস্টেম, ফায়ারআই ও সিমেনটেক।

গত মার্চে ক্যাস্পারস্কির করা এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সর্বশেষ ভিয়েতনামের একটি ব্যাংকে সাইবার হামলা চালায় উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া গেবন ও নাইজেরিয়ায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো হয়।
সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিমেনটেক জানিয়েছে, বেশিরভাগ হামলায় সফল হয়নি উত্তর কোরিয়া।

বিভিন্ন সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কয়েকজন গবেষক জানিয়েছেন, হামলার শিকার ব্যাংকগুলো থেকে চুরির অর্থ সরিয়ে নেওয়ার জন্য সেগুলোর মধ্যে একটি সংযোগ তৈরির চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া।

এর উদাহরণ দিতে গবেষকরা বলেন, এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বাংলাদেশের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরে সেগুলো শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের একটি ক্যাসিনোতে সরিয়ে ফেলা হয়।

ওই অর্থ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নে খাটানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনার তদন্তকারী যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা।

সাইবার নিরাপত্তা ও অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্যাস্পারস্কি বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন হ্যাকিংয়ের তথ্য ফাঁস করে আলোচনায় আসেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা।

ক্যাস্পারস্কির ওপরে  রাশিয়া সরকারের প্রভাব আছে বলে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের দাবি সরাসরি উড়িয়ে দেয় ক্রেমলিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1491314705-mymen-jmb-pic photo-1491314620ময়মনসিংহ শহরে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে ছাত্রলীগের এক নেতাও রয়েছেন। তিনি হলেন জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন (২৫)।

সোমবার দুপুরে আল আমিনসহ সাতজনকে ময়মনসিংহ শহরের কালীবাড়ী সড়কে আওয়ামী লীগের নেতা মরহুম অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল কাদিরের ছেলে অ্যাডভোকেট আসিফ আনোয়ার মুরাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ধোবাউড়া ছাত্রলীগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মতে, গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন ধোবাউড়ার বাঘবেড় ইউনিয়নের মুন্সিরহাট দিঘিরপাড় গ্রামের কৃষক ইকবাল হোসেনের ছেলে। আল আমিন একসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনির সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পরে মুন্সীরহাটে সারের ব্যবসা শুরু করেন। ছয়-সাত মাস আগে তিনি ওই ব্যবসা ছেড়ে দেন। ওই সময়ে হঠাৎ তাঁর মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষণ করা যায়। আল আমিন দাড়ি রাখেন এবং নিয়মিত নামাজ পড়েন। গত ২৪ মার্চের পর তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। তাঁর বাবার তেমন জমিজমা নেই। তবে দু-তিন মাস ধরে মাছের হ্যাচারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার পুঁজি কীভাবে সংগ্রহ করেছেন তা কারো জানা নেই। জমিজমা বিক্রি করার খবরও কেউ জানেন না।

আল আমিনের চাচাতো ভাই বাঘবেড় ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জানান, জঙ্গি সন্দেহে আটক সাতজনের মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলার দরিয়াকান্দা গ্রামের মারফত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামের (২৮) সঙ্গে দুই বছর আগে আল আমিনের পরিচয় ঘটে। আল আমিন ব্যবসা ছেড়ে দিলে তাঁকে নিজের ব্যবসায় পার্টনার করে মাছের খাবারের ব্যবসা শুরু করেন।

বাঘবেড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হোসেন মিলন জানান, আল আমিন একজন আওয়ামী পরিবারের ছেলে। তাঁর চাচাতো ভাই জাকির হোসেন ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। চাচা মোফাখখারুল ইসলাম ছাত্রলীগের ইউনিয়ন শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আল আমিন সামনের সারিতে থাকতেন। এই হিসেবে তাঁকে ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ দেওয়া হয়ছে। তিনি জঙ্গি প্রমাণিত হলে অথবা কোনো খারাপ কাজে জড়িত থাকলে অবশ্যই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ধোবাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘আল আমিন একসময় ছাত্রলীগ করতেন। ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগদান করতেন। তাঁর বর্তমান পরিচয় ছাত্রলীগের আদর্শ পরিপন্থী।’ মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে তাঁর কঠোর শাস্তি ও বিচার দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলম বলেন, ‘আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি, আল আমিন ছাত্রলীগ করতেন। বাবা মাছের হ্যাচারির ব্যবসা করেন। দুই ভাই-বোন রেখে মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। বাবা পরে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আরো দুই সন্তান হয়। আল আমিন সৎমায়ের ঘরেই বড় হয়েছেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে আল আমিন ছোট, সহোদর বড় বোন বিবাহিত, একজন স্কুলশিক্ষক।’

এদিকে ঢাকা থেকে পুলিশের এসবির বিশেষ দল ও ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে আটক সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে এখনো মামলা হয়নি।

গত সোমবার জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য সন্দেহে সাতজনকে কালিবাড়ী সড়কের একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। বাড়িটি থেকে একটি কম্পিউটার, একটি মোটরসাইকেল, একটি ব্যাংকের চেকবই ও বেশ কিছু বইও জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন—জেলার ধোবাউড়া উপজেলার আল আমিন (২৫), হালুয়াঘাট উপজেলার শহীদুল ইসলাম (২৮) ও আশিকুর রহমান (২৮), নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শাহ আল রোমান শামীম (২৭), মাসুম আহমেদ (৩০) ও রুমান মিয়া (২৭) এবং জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নাসির উদ্দিন (২৭)। তাঁদের মধ্যে মাসুম তিনটি ভোগ্যপণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলার। নাসির উদ্দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটকদের কাছ থেকে টাকা-পয়সার একটা হিসাব পাওয়া গেছে। তাঁদের কাছে ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের একটি চেক পাওয়া গেছে। টাকা এখান থেকে অন্য কোথাও পাচার করেছে। বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত করে দেখতে একটু সময় লাগবে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে পুলিশ ওই বাড়ির বাসিন্দাদের ওপর নজর রাখছিল। তাঁদের গতিবিধি, আচরণ জেএমবির মতোই। সোমবার বেলা আড়াইটায় সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্যদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় একটি কম্পিউটার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের একটি চেকবই, একটি মোটরসাইকেল, কিছু উগ্রপন্থী বই, কিছু তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম।

এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটিতে পুলিশ প্রহরা চলবে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

cnebcf_prv_স্পোর্টস ডেস্ক: শুরুতে ধাক্কা, এরপর সৌম্য-সাব্বিরের পাল্টা আক্রমণ; তারপর আবারও ছন্দপতন। বল হাতে শুরুতে উইকেট নেওয়ায় ব্যর্থতা। তারপর অবসর ঘোষণা দেওয়া অধিনায়ক মাশরাফির জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরা। ম্যাচের শেষ দিকে বলের বিপরীতে রানের লড়াই চলেছে।  গোটা ম্যাচে এভাবেই উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার দিয়েই শুরু হলো টাইগারদের। ১৫৬ রানের টার্গেটে ৬ উইকেট  হাতে রেখেই পৌঁছে গেল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার কাপ্তান মাশরাফি বিন মতুর্জা।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি থামার পর ৮টার দিকে খেলা শুরু । কিন্তু শুরুতেই লাসিথ মালিঙ্গা ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন মালিঙ্গা।

প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ইয়র্কার লেন্থের বলটি বুঝে উঠতে পারেননি তামিম। সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে বাংলাদেশ ওপেনার ফিরে যান সাজঘরে।

ভালোই ব্যাটিং করছিলেন সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্য তার। প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট খ্যাত এই ক্রিকেটার। বিদায়ের আগের ১৪ বলে দুটি চারের সাহায্যে করেছেন ১৬ রান।

সাব্বির রহমানের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না সৌম্য সরকারও। ২০ বল খেলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৯ রান করেন। ষষ্ঠ ওভারে ভিকুম সঞ্জয়ার বলে মিড অফে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান রুম্মন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ywcaxc_hotবৈশাখ আসতে এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি কিন্তু এখনই ঠিক যেন বৈশাখেরই দাবদাহতা। চারপাশের ভ্যাপসা গরমে টিকে থাকা দায়। তাই বলে কি থেমে থাকবে জীবন পরিক্রমা? চেষ্টা করতে হবে নিজেকে ভালো রাখার। আসুন জেনে নিই এই গরমে কী খাবেন আর কী খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।

প্রচুর পানি খান
গরমকালে সুস্থ্য থাকার অপরিহার্য উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। সারা দিনই বারবার পানি পান করতে হবে। গরমে প্রচুর ঘাম হয়, কিছুক্ষণ কাজ করলেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে শরীর যেন কোনভাবেই পানিশূন্য না হয়ে পড়ে।

জাঙ্কফুড একদম নয়
ভাজাপোড়া, তেল-চর্বিজাতীয় খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত গরমে তৈলাক্ত খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

গরমে ফল খান
গ্রীষ্মকালে ফলের প্রাচুর্য থাকে। পাওয়া যায় প্রচুর পাকা ফল। শরীর ভালো রাখতে হলে বেশি করে মৌসুমী ফলমূল খেতে পারেন। বিশেষ করে তরমুজ তো গরমকালের খাবার হিসেবে অসাধারণ। একটি দারুণ তথ্যও জেনে নিন, যদি সারাদিন আর কিছু না খেয়ে কেবল তরমুজ খেয়েই কাটান তাহলে ওজন এক দিনেই কমে যাবে অনেকটা!

কোমল পানীয় বর্জন করুন
আমরা গরমকালে সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করি তা হলো বেশি বেশি কোমল পানীয় খাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এগুলো আসলে পেটকে ঠাণ্ডা করার পরিবর্তে শরীর গরম করে দেয়। এর ফলে এগুলো খেয়ে গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। কোমল পানীয় সাময়িক তৃপ্তি দিলেও তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন কোমল পানীয়র বদলে কেবল পানি পান করার। এছাড়াও লেবুর শরবত ও অন্যান্য টাটকা

দুগ্ধজাতীয় খাবার কম খাবেন
গরমকালে ভালো থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন দুধ, পনির, দই ইত্যাদি। কারণ এসব খাবার শরীরে তাপ উৎপাদক। তাই গরমের সময় এই জাতীয় খাবার যত কম খাবেন ততই ভালো।

সুযোগ পেলেই সালাদ খান
যারা দুপুরে ভারী খাবার গ্রহণ করেন, তাদের জন্য ভাত, প্রচুর শাকসবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না, ডালসহ গোশত, ডিম অভ্যাস মতো পরিমাণে খেতে পারেন। যা-ই খান না কেন সালাদ কিন্তু খেতেই হবে। শুধু দুপুরের খাবারে নয়, রাতের খাবারের সাথেও সালাদ খেতে পারেন কিংবা শুধু সালাদও খেতে পারেন।

আমিষ কম খেলে ভালো
মাংস, তা সে যতই স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হোক না কেন; গরমকালের জন্য সঠিক খাবার নয়। বিশেষ করে তন্দুরি, মশলাদার মাংস তো এ সময়ে স্বাস্থ্যকর নয়ই। এমনকি মাছ, তা সে পুষ্টিতে ভরপুর সামুদ্রিক মাছ হলেও যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ আমিষ জাতীয় এই খাবার দেহকে উত্তপ্ত করে, ফলে ঘাম বেশি হয় এবং খাবার হজমে সমস্যা হয়।

খেতে হবে শাক-সবজি 
গরমকালে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে। এখন লাউ পাওয়া যায়। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে, সবজি হিসেবে লাউ বা এ জাতীয় শাক-সবজি খেতে পারেন। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণ আমিষের উপস্থিতিও নিশ্চিত করুন। না হলে আপনি কাজে-কর্মে শক্তি পাবেন না।

সস ও পনিরকে না বলুন
যেকোনো ধরনের সস দিয়ে তৈরি খাবার কিংবা শুধু সসও এ সময়ে খাদ্যতালিকায় রাখা উচিৎ নয়। বিশেষ করে, পনিরের সস পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সসের সাথে দেহে প্রবেশ করে প্রায় সাড়ে ৩০০ ক্যালরি এবং এর ফলে আপনার দেহে ক্লান্তি আসবে, শরীর ভার ভার মনে হবে। কিছু সসে অতিরিক্ত মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট এবং লবণ থাকে। তাই সস না খাওয়াই ভালো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_2030445159_1491284402-png-pagespeed-ic-9_bpl-epqgব্লেডগুলো ধারাল হওয়ার কারণে সাধারণত টেবিল ফ্যানের সামনে এক ধরনের ঢাকনা থাকে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। কারণ দ্রুত বেগে ঘুরতে থাকা ওই ফ্যানের ব্লেডের সামনে কোনো কিছু পড়লে সাথে সাথে কেটে যায়।

তবে ইতালির একটি গেম শো’তে জিহ্বা দিয়ে ধারাল ফ্যানের ব্লেড থামিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এক নারী। তিনি পেশায় একজন সার্কাস কর্মী। তার নাম জো ইলিস।

নারী সার্কাস কর্মী জো এক মিনিটে ৩২ বার বন্ধ করেছেন খুব দ্রুতবেগে চলা ৩৫ ওয়াটের দুটি ফ্যান। ফ্যানটিকে একবার বন্ধ করতে তার সময় লেগেছে দুই সেকেন্ডেরও কম সময়। হাত দিয়ে ফ্যানের ব্লেড থামাতে গেলেই যেখানে দুর্ঘটনার ভয় থাকে সেখানে তিনি তা বন্ধ করেছেন জিহ্বা দিয়ে। জিহ্বা দিয়ে ফ্যান বন্ধ করে জো ইলিস নাম লিখিয়েছেন গিনেস বুকে।

ওই গেম শো’তে উপস্থিত লোকজন জো ইলিসের এই কাণ্ড দেখে চমকে যান। জিহ্বা দিয়ে ফ্যান বন্ধ করার ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশের পর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest