স্বাস্থ্য ডেস্ক: নানা কারণেই দাঁত হলুদ হতে পারে। দাঁতের রং হলুদ হলে অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। ভাঁটা পড়ে তাদের আত্মবিশ্বাসেও। কিন্তু কীভাবে সাদা করে তোলা যায় হলুদ দাঁতকে? আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়াই যায়। কিন্তু সেই পথে দাঁতের হলুদ ভাব দূর হতে যেমন সময় লাগে, তেমনই সম্ভাবনা থাকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচেরও। অ্যাকাডেমি অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ, টরোন্টো-র গবেষকরা জানাচ্ছেন এমন এক ঘরোয়া কৌশল যার মাধ্যমে সহজেই সাদা করে তোলা যাবে হলুদ দাঁতকে। জেনে নিন কী করতে হবে। একটি গ্লাসের এক চতুর্থাংশ ভর্তি করুন ভিনিগার দিয়ে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। বাকিটুকু ভরে নিন পানি দিয়ে। এবার ওই মিশ্রণ দিয়ে মিনিটখানেক কুলকুচি করুন। তারপর স্বাভাবিক ভাবে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। দেখবেন দাঁতের হলুদ ভাব দূর হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। পরপর কয়েকদিন এই কৌশলের প্রয়োগে অবিশ্বাস্য ফল পাবেন। কিন্তু এই মিশ্রণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে- প্রথমত, কোনওভাবেই পানি না মিশিয়ে সরাসরি ভিনিগার মুখে দেবেন না। দ্বিতীয়ত, ব্যবহারের আগে ভিনিগারের বোতলটি অবশ্যই ঝাঁকিয়ে নেবেন। তৃতীয়ত, দিনে একবারের বেশি এই মিশ্রণ প্রয়োগ না করাই ভালো। কারণ ভিনিগারের অতিরিক্ত প্রয়োগ আপনার দাঁতের এনামেলের ক্ষতিসাধন করে।

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় ‘পিতা দিয়েছে স্বাধীনতা, কন্য দিয়েছে দেশ, শেখ হাসিনার হাতে যদি থাকে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ’। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে বীর মুুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্র্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে পবিত্র কুরআন তেলয়াতের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নিবার্হী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুখী, সমৃৃদ্ধি বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার ও মুুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাস এবং মুুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আতœত্যাগের কথা স্মরণ করে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এড মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি। এ সময় তিনি বলেন, এ দেশের মাটিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোন ঠাঁই হবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতাকে আমরা কোন অপশক্তির কাছে নত হতে দেব না। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়না, নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন, যুুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন, আব্দুল গফ্ফার, মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, ডেপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন গাজী, সাংগঠনিক কমান্ডার সৈয়দ আলি গাজী, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রউফ, এড আলি আহম্মদ, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান,থানার এস আই রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্র্মকর্তা ডাক্তার এএসএম আতিকুজ্জামান, কৃষি কর্র্মকর্র্তা মহাসীন আলি, বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুল গফুর, আরডিও কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার মন্ডল, মৎস্য কর্মকর্তা নিপেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা তাহের মাহমুদ সোহাগ, ডাক্তার মেহের উল্লাহসহ সকল দফতরের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা এবং তার পরিবারের সদস্যবৃৃন্দ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রীক বিতরন করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেনের গত রবিবার ঢাকাস্থ ধানমন্ডি কিডনী হাসপাতালে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টাব্যাপী নিরাপদে তার সফল কিডনি অপারেশন সমাপ্ত হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন এবং সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। একই দিনে সাতক্ষীরা কাছাড়ী পাড়াস্থ টাউন স্পোটিং কাবের চত্বরে বাদ এশা সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে আজহার এর রোগমুক্তি কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু। তিনি তার বক্তব্যে মহান আল্লাহর দরবারে আশু তার রোগমুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রফিকুজ্জামান খোকন। মোনাজাত পরিচালনা করেন, পুরাতন কোর্ট মসজিদের ঈমাম ফিরোজ আহমেদ। দোয়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার জাহিদ তপন, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদ পাপা, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সাদেক, জেলা জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক কাজী তাহের হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমামুল মোসলেমিন দাদু, জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু, প্রচার সম্পাদক কমল বিশ্বাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আশিকুর রহমান বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ময়নুর রশিদ, শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, অর্থ সম্পাদক স্বপন কুমার সরকার, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মহসীন আলী, কৃষি সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান, এনজিও সম্পাদক শেখ ইয়াছিন আলী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম, মোঃ রাজিব উল্লাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শেখ নাঈম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. রওশন আরা, যুগ্ম-যুব বিষয়ক সম্পাদক কানাইলাল কানু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মিজানুর রহমান, জেলা সদস্য নূরুল ইসলাম কাজী, এড. আবুল খায়ে, জেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাহের, জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকরামুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক কাইসারুজ্জামান হিমেল, বিধান চন্দ্র সরকার, শ্রমিকনেতা জাকাত উল্লাহ রনি প্রমুখ।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে রঙ্গিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটি জিততেই হবে স্বাগতিকদের। অন্যদিকে বাংলাদেশ জিতে গেলে পঞ্চমবারের মতো বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে।
আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কুখ্যাত রাজাকার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি বৈকারীর জহিরুল ইসলাম (টিক্কা খান) ও সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল নবজীবনের খান রোকনুজ্জামানকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ৭১ এর ঘৃণিত খুনি কসাই খালেক মন্ডল ও জল্লাদ বাকির ফাঁসির দাবিতে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ব্যানারে সোমবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা বাজারে উক্ত গণবিক্ষোভ ও সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা এ সময় বলেন, পাকিস্থানী পাক হানাদার বাহিনী দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বাঙালি জাতিকে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। এ দেশের সোনার ছেলেরা (বীর মুক্তিযোদ্ধারা) জীবনকে বাজি রেখে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আর সে সময় পাকিস্থানী পাক হানাদার বাহিনীর সাথে আমাদের দেশের কিছু রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, আলবদর সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। আজ সময় এসেছে তাদের বিচারের। আর এ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তাদের ফাঁসির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধারা এখন সমবেত হয়েছেন। তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়, আর তাই এখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উপযুক্ত সময়। শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রমাণ করেছেন বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের সরকার। স্বাধীনতাবিরোধী কাউকেই এই সরকার ছাড় দেবে না। বৈকারীর দুই কুলাঙ্গার আব্দুল খালেক ও জহুরুল ইসলাম(টিক্কা খান) এর প্রতি ইঙ্গিত করে বক্তারা আরো বলেন, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, লুটপাট, বাড়িঘর ভাংচুর করে এই এলাকাকে তারা জাহান্নামে পরিণত করেছিল। তাদের নৃশংসতায় অবুঝ দুধের বাচ্চাও মায়ের দুধ হতে বঞ্চিত হয়েছিল সে দিন।
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক তৎপরতা ও আত্মঘাতী হামলা নিয়ে চিন্তিত সরকার। দলীয় কর্মসূচিতে হামলা হতে পারে—এমন আশঙ্কায় সরকারি দলের জেলা পর্যায়ের নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।