সর্বশেষ সংবাদ-
প্রথম আলো বন্ধুসভার ইফতার মাহফিলতালার আলোচিত দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ আবারো ভোক্তা অধিদপ্তরের জালেসাতক্ষীরায় ১৯৯ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ : ২০ হাজার টাকা জরিমানাসরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পেশকারের বিরুদ্ধেদেবহাটায় পানিতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া ধারাভাষ্যকর ফোরামের পক্ষ থেকে প্রান্তিকে সম্মাননাথানাঘাটায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বদরুজ্জামান বদুর গণসংযোগসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদু’র গণসংযোগশ্যামনগরে কথিত সীমানা পিলারসহ পিলার চক্রের ৫ সদস্য আটকসাতক্ষীরায় স্বপ্ন সার্থক মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হুইল চেয়ার, ইফতার ও কোরআন বিতরণ

sam_2791-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : “ সুখী স্বদেশ গড়তে ভাই আয়করের বিকল্প নাই, সমৃদ্ধির সোনালী দিন আনতে হলে আয়কর দিন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৪দিন ব্যাপি আয়কর মেলা ২০১৬ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জনসাধারণের মধ্যে আয়কর বার্তা পৌছে দেওয়া, কর বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা, সর্বোপরি করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রদান কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে কর অঞ্চল খুলনার উদ্যোগে কর অঞ্চল খুলনা’র অতিরিক্ত কর কমিশনার মো রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু, আয়কর আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি এড. মো. সামছুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্কেল-১৩ সাতক্ষীরা সহকারি কর কমিশনার উজ্জল কুমার সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার মোশারেফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব ডাঃ মো. আবুল কালাম বাবলা, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেন মোল্যা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি অধ্যাপক শরীফ আহমদ।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সাংসদ বলেন, আয়কর হচ্ছে দেশের উন্নয়নের সোপান। যোগ্য ব্যক্তিদের সঠিক সময়ে কর প্রদান করতে হবে। নিয়মিত কর প্রদান করে দেশের উন্নয়নে শরীক হতে আহবান জানান। দেশের উন্নয়ন হয় জনগণের আয়কর ও ট্র্যাক্সের আদায়কৃত অর্থ থেকে। বর্তমান সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত কোন সরকারের আমলে হয় নাই। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01নিজস্ব সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় চার দিনব্যাপী আয়কর মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কর অঞ্চল, সাতক্ষীরা সার্কেল আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর অঞ্চল খুলনার অতিরিক্ত কমিশনার রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু, সাতক্ষীরা আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, কর উন্নয়নের হাতিয়ার। দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রয়োজনীয় কর না দেওয়ায় এ অঞ্চল আজও উন্নয়ন বঞ্চিত।
অনুষ্ঠানে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি ও কর দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার আহবান জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sam_2805-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের লক্ষ্যে দেশ ব্যাপী মাদক ও জঙ্গী বিরোধী র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কাদা মাটি ইভেন্ট ও নারকোটিক বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের নিউ মার্কেট মোড় (শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে) সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে র‌্যালি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় সাংসদ তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মানে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। দেশের যারা উন্নয়ন চাইনা তারাই উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করতে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোন সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের স্থান নেই। তিনি আরো বলেন, মাদক পরিহার করতে যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে। মাদক দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. হাশেম আলী, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোদাচ্ছের আলী, কাদা মাটি ইভেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.ডি জুয়েলস্, প্রধান সমন্বয়কারি ডাঃ মাহবুবুর রহমান, তদন্ত ওসি আলমগীর কবীর, জেলা মোবাইল ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির সভাপতি মীর তাজুল ইসলাম রিপন, বর্ণমালা একাডেমী’র পরিচালক শামীমা পারভীন রতœা, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

caca7e77e1772e633edf7203323d4e54-58193702a74d3অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বদিকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন।

এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কমমূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখিয়েছেন। এসব অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মামলা করেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোরশেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে, তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

মামলাটিতে বদি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।

পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এমপি বদিকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

aঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্র রাজনীতির সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগের খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে আধা ঘন্টা চায়ের আড্ডায় বসেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ ফয়সাল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় ওবায়দুল কাদের স্মৃতি বিজড়িত মধুর ক্যান্টিনের ‘চা’ পান করেছেন। খোঁজখবর নেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের। ছাত্রলীগ নেতাদের রাজনীতির আগে পড়ালেখায় মনেযোগ দেয়ার তাগিদ দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স জানান, ‘মাননীয় মন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়ালেখায় মনেযোগী হতে বলেছেন। তিনি বলেন, নেতা কর্মীদের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে, দিনের শুরুতেই কয়েক ঘন্টা পড়ালেখা করতে, এরপর মধুর ক্যান্টিনে সময় দিতে, পড়ালেখার পাশাপাশি রাজনীতি করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। পড়ালেখা বাদ দিয়ে রাজনীতি নয় বলেও নেতাদের বলেন ওবায়দুল কাদের।

এদিকে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এভাবে কাছে এসে খোঁজখবর নেয়া নেতাকর্মীদের রাজনীতিতে আরও আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে করছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৭ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই ছাত্র দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে অনেকবার কারাভোগও করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ দিনের যাতায়াতের রাস্তার উপরে মাটি খুড়ে রড ঢালাই দিয়ে বীম তৈরির পায়তারা চালাচ্ছে রাস্তার পাশ্ববর্তী জমির মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর বাজারে প্রধান সড়কের পার্শ্বে। এঘটনায় ভূক্তভোগী জমির মালিক শরিফুন্নেচ্ছা এহেন অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করায় এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করায় প্রতিপক্ষ অপর জমির মালিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর এলাকার মৃত দিলিপ কুমার মল্লিকের দুই ছেলে সন্দীপ কুমার মল্লিক ও অনুপ কুমার মল্লিক ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তারা প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। একাধিক স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর বাজারে এক দাগে মোট ২১ শতক জমি যা সাড়ে ১১ শতক করে সমান দুই মালিক যথাক্রমে ধুলিহর মাটিয়াডাঙ্গা এলাকার আব্দুল মালেকের স্ত্রী শরীফুন্নেছা ও ব্রহ্মরাজপুর এলাকার মৃত দীলিপ কুমার মল্লিকের পুত্র সন্দীপ কুমার মল্লিক ও অনুপ কুমার মল্লিক। এই জমিতে উভয় পক্ষের দলিলে লিখিত ভাবে ৫ লিংক  করে মোট ১০ লিংক যাতায়াতের রাস্তা উল্লেখ আছে। এর তুয়াক্কা না করে গত রবিবার সন্দীপ কুমার মল্লিক ও অনুপ কুমার মল্লিক অপর পক্ষের দলিলে উল্লেখিত রাস্তার উপর গভীর মাটি খুড়ে রড ঢালাইয়ের বীম প্রস্তু‘তের কাজ শুরু করলে শরিফুন্নেছা ও তার ভাই সালাউদ্দিন বাঁধা দিলে তা উপেক্ষা করে কাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে শরিফুন্নেছার ভাই সালাউদ্দিন ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে লিখিত ভাবে জানালে চেয়ারম্যান দুই বার গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করতে ব্যার্থ হয়ে নিজেই গিয়ে রাস্তার উপর স্থাপনার কাজ বন্ধ করতে বলে এবং পরদিন অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০ টায় ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর আরও ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে সন্দীপ ও অনুপ তারা প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার হুমকি দেয়। এদিকে গত কাল সকাল ১০ টায় জমির মালিক শরিফুন্নেচ্ছার ভাই ও তাদের লোকজন কাগজপত্র নিয়ে সময় মত ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলেও অপর পক্ষের সন্দীপ ও অনুপ আসেনি। এঘটনায় রীতিমত এলাকায় সাড়া পড়ে গেছে অপরাধ করে প্রতিপক্ষকে হুমকি দিচ্ছে পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14956023_1735328126790051_7292077847305137382_n-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুমতিবিহীন টিকিট বিক্রির সময় তিন বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে একটার মধ্যে তাদেরকে সাতক্ষীরা শহরের পাকাপোল ও শহরতলীর কদমতলা বাজার থেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের জমিরউদ্দিনের ছেলে তুহিন হোসেন (৩৫), জয়পুর জেলা সদরের কড়–ই গ্রামের একরামুল্লার ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাজু (৩০) ও সাতক্ষীরা সদরের বদ্দিপুর কলোনীর নবাব আলীর ছেলে মোঃ আমিরউদ্দিন (২৫)। সাতক্ষীরা শহরের সচেতন নাগরিকরা জানান, রাজারবাগান সরকারি কলেজ মাঠে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আবেদন ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রামীন হস্তশিল্প মেলা ও ঈদ আনন্দ মেলা পরিচালিত হয়। নামে মেলা হলেও দু’টি পোশাকের স্টল বসিয়ে তাতে বেআইনিভাবে সবুজ বাংলা লটারী ও হাউজি নামে জুয়া খেলা পরিচালিত হয়। সবুজ বাংলার র‌্যাফেল ড্রটি ফলাও করে স্যাটেলাইট টেলিভিশন সাতক্ষীরা ভিশনে দেখানো হয়। প্রতিদিন দেড় লাখেরও বেশি ২০ টাকা দামের টিকিট বিক্রি হতো। একপর্যায়ে নতুনভাবে কোন সময় না বাড়িয়ে ২৮ অক্টোবর মেলা শেষ করে দেওয়ার জন্য আয়োজক কমিটিকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। এরপরও ২৯ অক্টোবর লটারী টিকিট বিক্রি শেষে রাতে র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হলেও অধিকাংশ পুরষ্কার বিজয়ীদের বঞ্চিত করে গভীর রাতে সবুজ  বাংলা লটারী কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় শহরের পাকাপোলে মোটর চালিত ভ্যানের উপর ২০ টাকা করে সবুজ বাংলা টিকিট বিক্রির সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বেশ কিছু টিকিটসহ তুহিন নামের এক বিক্রেতাকে আটক করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করিয়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইভাবে দুপুর একটার দিকে শহরতলীর কদমতলা বাজারে লটারী টিকিট বিক্রির সময় রাজু ও অমিরউদ্দিন নামের দু’ বিক্রেতাকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিবি খাদিজা। তাদেরকে ভাম্যমান আদালতে হাজির করিয়ে প্রত্যেককে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  জেলা প্রশাসনের এ অভিযানের খবর পেয়ে অন্যান্য লটারী টিকিট বিত্রেতারা কৌশলে আত্মগোপন করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সবুজ বাংলা লটারীর পরিচালক আজিজ আহম্মেদ সোহেলের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসনকে চ্য্যালেঞ্জ করে সবুজ বাংলা লটারী টিকিট বিক্রি করছে মর্মে তিনি খবর পান। এরই ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদ্লত পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ি তিনজন লটারী টিকিট বিক্রেতাকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। জেলায় জুয়ার নামে সবুজ বাংলা লটারীসহ সকল লটারী বন্ধ করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের পাশে থাকার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_800015650_1477995839অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুব সমাজই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদ কাউকে বেহেশতে নিয়ে যাবে না। তিনি বলেন, ‘মাদকাসক্ত, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রপন্থা থেকে যুব সমাজকে বিরত থাকতে হবে। এসব কাউকে বেহেশতে নিয়ে যাবে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে মানুষ খুন করার কোনও অধিকার দেওয়া নাই।’তিনি বলেন, ‘যুব উন্নয়ন অধিদফতরকে যুব সংগঠন নিবন্ধনের ক্ষমতা প্রদান করে আইন প্রণয়নের কাজ আমরা শুরু করেছি। আমরা চাই না, আমাদের যুব সমাজ বিপথে চলে যাক। বাবা-মায়ের জন্য দুঃখের কারণ হোক।’যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ থেকে নিজেদের দূরে রেখে মেধা-শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবন এবং পরিবারকে উন্নত করা যাবে। ফলে আমাদের দেশটাও উন্নত হবে।’বিনা প্রশিক্ষণে কেউ বিদেশ যেতে পারবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে যুবকরা যাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’ অবৈধ পথে বিদেশগামীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজের জীবনকে কেউ যেন ঝুঁকিতে ফেলতে না পারে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বহুমুখী কর্মসংস্থান আমরা করছি। আমরা চাই না আমাদের যুবকরা বিপথে চলে যাক- মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুক।’ এ সময় তিনি আরও যোগ করেন, ‘তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে যেকোনও তরুণ বিনা শর্তে ঋণ নিতে পারবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে জামানত বিহীণ ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা আছে।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। কারো কাছে ভিক্ষার হাত পাততে হবে, আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই না। তাই আমাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আমাদের আছে শক্তিশালী যুব সমাজ। তারাই এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। তারাই গড়বে বাংলাদেশ। তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা আমাদের দেশকে স্বাবলম্বী করতে পারবো।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। আর এই কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের যুবকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। আর এটা সম্ভব, কারণ আমাদের আছে শক্তিশালী যুবসমাজ।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest