সর্বশেষ সংবাদ-
অপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশ

kaligonj-news-pictur-7
কালিগঞ্জ ব্যুরো: আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের বড়শিমলা কারাবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। সোমবার দুপুর তিন টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের নিজস্ব কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অভিভাবক প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, দাতা সদস্যসহ সকলের উপস্থিতিতে আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমানকে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনীত করা হয়। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

new-image
জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা, মাধবকাটি, তুজলপুর, ঝাউডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকা এক সময় শালিক পাখিতে ভরপুর ছিল। ভোর হলেই কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙতো গ্রামের মানুষের। আবার কখনো সন্ধ্যায় কিচিরমিচির আওয়াজ তুলে বসত পাখিদের আসর। কিন্তু আজ কালের গর্ভে এসব এলাকা থেকে বিলুপ্তির পথে শালিক পাখি। আগের মত আর চোখে পড়ে না। নেই বললেই চলে। আমাদের অতি পরিচিত ও চেনা জানা উপকারী প্রধান কয়েকটি পাখির মধ্যে অন্যতম হলো শালিক পাখি। ছোট আকৃতির এ পাখি গুলো অত্যন্ত নিরীহ ও শান্ত স্বভাবের। এরা আমাদের ফসলি জমির ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খেয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে সহায়তা করে। এক সময় সকাল সন্ধ্যায় কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত করে তুলতো পল্লী গাঁয়ের বাঁশ বাগান ও বিলের ধার। মনে হতো এ যেন শালিক পাখির হাট বসেছে। কিন্তু এখন বড়ই দুঃখের বিষয়, ফসলের জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে সেই কীটনাশক খেয়ে সবার পরিচিত এই পাখি অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। আবার অধিকাংশ বিলের কিছু পাখি খেকো মানুষদের শিকারের বলি হচ্ছে নিরীহ শালিক পাখি। আখড়াখোলা, ভাটপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ফাঁদ পেতে প্রতি রাতে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন পাখি। এছাড়া দিনের বেলায়ও থেমে নেই পাখি ধরার কার্যক্রম। পরিবেশ ও কৃষির বিশেষ উপকারী এসব পাখি গুলোই অবাধে নিধন করা হচ্ছে। পাখি শিকারীরা বিভিন্ন ফাঁদ পেতে কৌশলে শালিক পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নিধন ও প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি করছে।
পাখি রক্ষায় এগিয়ে আসছেনা সমাজের কোন সচেতন ব্যক্তি বা প্রশাসন। দেশে পাখি নিধন আইন থাকলেও নেই শুধু আইনের প্রয়োগ। আইনের প্রয়োগ না থাকায় এক শ্রেণির মানুষ পাখি শিকারকে এখন মূূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। মূলত পাখি শুধু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে না প্রকৃতির সৌন্দর্য্যও বাড়ায়। তাই শালিক পাখিসহ সব শ্রেনীর পাখি নিধন বন্ধের পাশা-পাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাম গুলোতে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিবেশ বান্ধব সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এগিয়ে আসলেই শালিক সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রক্ষা সম্ভব হবে। সেই সাথে দরকার গণসচেতনতা ও পাখি নিধন আইনের যথার্থ প্রয়োগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

untitled-1-copy
কুলিয়া প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুলিয়া পাগলা পুকুর ধার নামক স্থানে সোমবার বিকাল ৪টায় ০৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য পদে উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী আলহাজ্ব মোঃ আসাদুল ইসলাম কে গণ সংবর্ধনা দিয়েছেন এলাকার জনগণ। উক্ত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাষ্টার হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আসাদুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ১লাখ টাকার মালা দিয়ে বরণ করেন তুহিন, জাহাঙ্গীর, মজনু, মুকুল,ফারুক, শাহিন ও সর্বস্তরের জনগণ।  এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউপিএর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকার, ইউপি সদস্যা শিরিনা রসুল, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি হাফিজুর রহমান, জামাল গাজী, সামাদ গাজী, ওহাব গাজী, রেজাউল করিম, আঃ কাদির, ডাঃরবিউল ইসলাম, আরিফ বিল্লাহ  প্রমুখ। নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আসাদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এ কৃতিত্ব আমার একার নয়, আপনাদের সকলের সহযোগিতার কারনেই আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাই এলাকার উন্নয়নে সবাই আমাকে আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক ওমর ফারুক মুকুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী, শাররিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধের লক্ষ্যে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১২ টায় উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর আলিম মাদ্রাসায় বেসরকারি সংস্থা ভূমিজের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত থেকে আলোচনা রাখেন ভূমিজ ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার অক্ষয় সরকার ও ফিল্ড অফিসার মহিমা আক্তার। সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানী ও শাররিক-মানসিক শাস্তি বন্ধের করনীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি সকলকে সচেতন হয়ে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাবুল আক্তার পাইকগাছা: জেলা গঠনের সকল উপাদান ও অবকাঠামো থাকলেও প্রস্তাবিত সুন্দরবন জেলা ঘোষণার ৩৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে প্রস্তাবিত জেলাকে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে পাইকগাছাসহ দক্ষিণ জনপদ আবারো সোচ্ছার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে। খুলনা জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত উপজেলার নাম পাইকগাছা ও কয়রা। যা খুলনা থেকে দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। ১৭টি ইউনিয়ন বেষ্টিত প্রায় ৮ লাখ জনগোষ্ঠির বসবাস। এক সময় দুটি থানা পাইকগাছা থানা হিসেবে পরিগণিত হতো। যার আয়তন ছিল ৮৫০ বর্গ মাইল। খুলনা সদর থেকে যশোর জেলার দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার, বাগেরহাটের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার, সাতক্ষীরার দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। অথচ, খুলনা সদর থেকে পাইকগাছার দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার ও কয়রার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। যার সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন অঞ্চল। এ দূর্গম অঞ্চল থেকে খুলনা সদরে যাবতীয় কর্মকান্ড কষ্টসাধ্য হওয়ায় ১৯৮২ সালের প্রথম দিকে মহাকুমার জন্য দাবি তোলা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জায়গীরমহলের এক জনসভায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি আব্দুস সাত্তার মহাকুমার ঘোষণা দেন। সে সময় মহাকুমাগুলো জেলায় পরিণত হওয়ায় সংগতি কারণে পাইকগাছা আজ জেলার হওয়ার দাবী রাখে বলে সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এ্যাডঃ জি,এ, সবুর জানান। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ্যাডঃ জি,এ সবুরকে আহবায়ক ও মরহুম এ্যাডঃ স.ম. ইউসুফ আলীকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ক কমিটি গঠণ করা হয়। ২০০১ সালে সুন্দরবন জেলা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি গঠণ করা হয়। যার আহবায়ক জি,এম, মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক প্রশান্ত কুমার মন্ডল। সুন্দরবন জেলা গঠণে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন, দাকোপের ২/১ টি ইউনিয়ন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে জেলা গঠণে ম্যাপ তৈরি করা হয় বলে পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু জানান। এছাড়া পাইকগাছা উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ১টি মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, ৯টি কলেজ, ২টি সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। দু’উপজেলায় পৃথক সহকারী জজ আদালত ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত রয়েছে। জন্মগ্রহণ করেছেন বৈজ্ঞানিক, মনীষী ও পীর পয়গম। যার মধ্যে জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, বিনোদ বিহারী সাধু, পীর জাফর আউলিয়া, আলমশাহী, দানবীর মেহের মুছল্লী, সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক, সর্বশেষ বাংলাদেশের গর্বিত সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলীর মত কৃতি সন্তানরা। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, জেলা দাবি একটি বাস্তব সম্মত দাবি। যতদিন দাবি পূরণ না হবে আমরা আন্দোলন করবো। অচিরেই আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করব। জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক জি,এ, সবুর বলেন, এ দাবি আমাদের ন্যায্য দাবি। এটি যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে ব্যাপারে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_348410363_1478527296বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে নায়কদের মত নায়িকাদের মধ্যেও মনোমালিন্য চরম। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুবই কম। তবে অবাক করার মত হলেও একই ছবিতে এবার অভিনয় করবেন বলিউডের তিন কুইন আলিয়া ভাট, শ্রদ্ধা কাপুর এবং পরিনীতি চোপড়া।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী আলিয়া ভাট জানিয়েছিলেন যে, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ এর সিক্যুয়েলে শ্রদ্ধা কাপুর ও পরিনীতি চোপড়ার সঙ্গে অভিনয় করতে চান তিনি। একথা শুনে প্রাথমিকভাবে ফারহান আখতার বলেছিলেন বিষয়টা বেশ অভিনব। কিন্তু তার পরে আর কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি।

বর্তমানে তিনি ‘রক অন-২’ এর প্রমোশনে ব্যস্ত। তবে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই ‘দিল চাহতা হ্যায়’ এর সিক্যুয়েল নিয়ে আসবেন। এ ছবিটিতে এর আগে অভিনয় করেছিলেন আমির খান, সাইফ আলী খান ও অক্ষয় খান্ন্যা। তবে এবার তিন নায়ক নয়, এ ছবির সিকুয়্যালে থাকছেন তিন নায়িকা। ছবির মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট, শ্রদ্ধা কাপুর এবং পরিনীতি চোপড়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

arr
নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জনতা ৪জন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার ভোরে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৪), তার ভাই সিরাজুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) ও শেখ মিজানুর রহমানের ছেলে শহীদুজ্জামান রাজা (৩০)। বাঁশদহা গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে নাজমুল বাসার জানান, সোমবার ভোর চারটার দিকে বাড়ির গ্রীলের দরজার চারটি তালা ভেঙে ঘরের দরজা ভাঙার পর একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে ঢোকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার সাতক্ষীরা- ল-১১=২৯৭৯নং এপাচি মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে উঠে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর দুর্বত্তদের ফেলে যাওয়া একটি গামছা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে গামছাটি প্রতিবেশি আলমগীরের বলে সকলে সনাক্ত করে। এর সূত্র ধরে আলমগীরকে স্থানীয় বাড়ি থেকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আজিজুর, তার ভাই সিরাজুল, শহীদুজ্জামান রাজা ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেনসহ যশোরের অস্ত্রধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত জড়িত থাকার কথা বলে। সে অনুযায়ি আজিজুল, সিরাজুল ও শহীদুজ্জামানকে আটক করা গেলেও ফারুক পালিয়ে যায়। পরে চারজনকে গণধোলাই দিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। থানায় মামলা হচ্ছে জানতে পেরে ফারুক পলাতক অবস্থায় মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাজমুল। সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, আটকের পর জনতার গণধোলাইয়ের শিকার চার মোটর সাইকেল চোরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আটককৃতরা এলাকার আরো দু’টি মোটর সাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা নাজমুল বাসার বাদি হয়ে আটককৃত চারজন ও ফারুক হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1814332411_1478519954অনলাইন ডেস্ক: ভারতীয় সন্ত্রাসী দাউদ মার্চেন্টের মুক্তির খবর জানেন না ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। নিয়মানুযায়ী এ ধরনের কোন বড় ধরনের সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেয়া হলে তা প্রশাসনের গোয়েন্দা ও পুলিশকে জানাতে হয়। এছাড়াও কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও জানানো হয়নি তার মুক্তির খবর। তবে কারা প্রশাসন বলছে, এটা আমাদের দায়িত্ব আমরাই ভালো জানি, কাকে জানাবো আর কাকে জানাবো না।

গতকাল কঠোর গোপনীতার মধ্যে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় ভারতীয় সন্ত্রাসী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে। যা আজ সোমবার বিকালে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে কারা অধিদপ্তর।

ভারতের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি ছিলেন এই দাউদ মার্চেন্ট। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়। ২০০৯ সালের ২৭ মে তাকে এক সহযোগীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ।  জাল পাসপোর্ট তৈরি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। ভারতের অপরাধ জগতের আলোচিত ডন দাউদ ইব্রাহিম বাংলাদেশে নিজের কর্মকাণ্ড বিস্তারের জন্য দাউদ মার্চেন্টকে এদেশে পাঠিয়েছেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিন পেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তাকে আবার আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে দাউদকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হলেও বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে থাকে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে মুক্ত করা হয়েছে।  তার মুক্তির বিষয়টির প্রশাসনের কোনো গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কারা কর্মকর্তা বলেন, এটা আমার দায়িত্ব। কাকে জানাতে হবে আর কাকে জানাতে হবে না, সেটা আমি আপনার থেকে বেশি জানি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম একেএম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

দাউদ মার্চেন্টের মুক্তির ব্যাপারে কোনো তথ্যই নেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। আজ সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, দাউদের মুক্তির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, দাউদ মার্চেন্টের মুক্তির খবর আমি জানি না। আদালতের নির্দেশনানুযায়ী তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের জানানোটা মুখ্য বিষয় নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest