সর্বশেষ সংবাদ-

mlm
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৯ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় নাডার কবলে পড়ে মারা গেছে বাসুদেব অধিকারী (৩৫) নামের এক জেলে। সে উপজেলার বাউখোলা গ্রামের বিমল অধিকারীর ছেমেঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।  এদিকে উক্ত ঝড়ে ৩ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৫ জেলে। তারা হলো বাউখোলা গ্রামের সন্তোষ অধিকারীর পুত্র শ্রীপদ অধিকারী (৩৪), ষষ্ঠীধরের পুত্র পিন্টু অধিকারী (২৬),একই গ্রামের তমেজ উদ্দিনের পুত্র হাসান আলী (৩৭),শ্রীমন্তকাটি গ্রামের কুঞ্জ বিশ্বাসের পুত্র উত্তম বিশ্বাস (২৬) এবং খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাশিম নগর গ্রামের উত্তমের পুত্র কুমারেশ (২৮)। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এখনো তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ সময় ২টি ট্রলারের মধ্যে ১টি ট্রলার ভাংগাচোরা অবস্থায় পাওয়া গেলেও একটির কোন হদিস মেলেনি। নিহতের স্বজরা জানায়, উপজেলার পরানপুর, বাউখোলা, চাঁদকাটি, শ্রীমন্তকাটি, গোনালী নলতা ও পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর  গ্রামের ৯ জেলে প্রায় এক মাস পূর্বে ২টি ট্রলার যোগে সাগরের আলোরকোল নামক স্থানে মাছ ধরতে যায়। গত ৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)  ঘূর্ণিঝড় নাডার কবলে পড়ে ট্রলারগুলি সাগরে তলিয়ে যায়।  এ সময় ৯ জেলের মধ্যে ৪ জন জেলে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে থাকলেও সোমবার রাতে বাসুদেব অধিকারী (৩৫) নামের এক জেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিখোঁজ ৫ জনের এখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সন্তানের জনক বাসুদেব অধিকারীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তাঁর স্ত্রী ,শিশুপুত্র, মা, বাবার কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তালা থানার ওসি মোঃ ছগির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের স্বান্তনা দেন এবং  নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার বিখ্যাত জমিদার বাবু ফনিভূষন মন্ডল স্মৃতি ৪০ উদ্ধ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীয় খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে দেবহাটা মডেল হাই স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সম্পাদক আনারুল হকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২য় বছরের ন্যায় উক্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধনীয় খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী মাস্টার, প্রভাষক ইয়াসিন আলী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও খেলার আহাবায়ক আনারুল হক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ বাবু সরৎ কুমার ঘোষ, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন, মাহবুব রহমান বাবলু প্রমূখ। উদ্বোধনীয় খেলায় ভাতশালা ও টাউনশ্রীপুর ফুটবল একাদশ অংশ গ্রহণ করে। খেলার শেষ পর্যায়ে টাউনশ্রীপুর ফুটবল একাদশ ভাতশালাকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। খেলার রেফারির দায়িত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেফারি রফিক হোসেন, সহকারী রেফারি ছিলেন মিজানুর রহমান ও দিলিপ কুমার এবং ধারাভাষ্য প্রদান করেন শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1
দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় জেলা প্রশাসক ফুটবল কাপ টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উক্ত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় অতিরিক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী মাস্টার, যুগ্ম-সম্পাদক আনারুল হক, গোলাম ফারুক বাবু, কোষাধ্যক্ষ বাবু সরৎ কুমার ঘোষ, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, বিশিষ্ট খেলোয়ার কাবিজ হোসেন প্রমূখ। এসময় জেলা প্রশাসক ফুটবল কাপ টুর্নামেন্টকে সফল করতে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া ১৫/১১/২০১৬ তারিখের উদ্বোধনীয় খেলায় দেবহাটা বনাম কালিগঞ্জ অংশ গ্রহণ করতে খেলোয়ারদের বেশি বেশি অনুশিলনের পরামর্শ দেন অতিরিক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিন্নুর বিরুদ্ধে পারুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত আবু রায়হানের ভাই শহিদুল্লাহ গাজীকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি সদস্য শহিদুল্লাহ গাজী এই অভিযোগ করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার ভাই আবু রায়হানকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা নৃশংসভাবে হত্যা করে। সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থক ও তার ভাইয়ের খুনিদের সাথে নিয়ে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিন্নু তাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে রেশন কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ তোলেন যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিন্নু। যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপরও নব্য আওয়ামী লীগার খায়রুল, ইমরান, রায়হান হত্যা মামলার আসামি সাইফুল, সাবেক ছাত্রদল নেতা আফসার, রিংকু ও রায়হানকে দিয়ে মিজানুর রহমান মিন্নু তাকে হয়রানি করছেন। তিনি বলেন, রায়হান হত্যা মামলার আসামিদের সঙ্গে মিন্নুর ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

shibsha-rivers
পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় কপোতাক্ষের পর শিবসা নদী পলি জমে মৃত্যু প্রায়। পানি নিস্কাশনের কোন উপায় নাই। সামান্য জলোচ্ছাস বা জোয়ারের পানি বাড়লেই তলিয়ে যায় পৌর সদর। নদীটি খননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। পাইকগাছা পৌরসভা শিবসা নদীর উপকূলে অবস্থিত। যার ৩ দিকে রয়েছে শিবসা নদী আর ১দিকে স্থলভাগ। মাত্র কয়েক বছর পূর্বে নদী দিয়ে লঞ্চ, স্টীমারে করে দক্ষিণ এলাকার লোকজন খুলনা জেলা সদরে যাতায়াত করত। পাইকগাছা বাজারের পাশেই ছিল যাত্রী ছাউনী আইডব্লিউ ঘাট। প্রতিদিন কয়েকটি লঞ্চ ভিড়ত উক্ত ঘাটে। লোকজন উঠা-নামা সহ ব্যবসায়িক মালপত্র উঠানামা করত। পৌরসভার ৩ দিকে ছিল ৩টি খেয়াঘাট। হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হতো খেয়া নৌকায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীটি পলি জমে একেবারেই ভরাট হতে চলেছে। বর্তমানে লঞ্চ, স্টীমার দুরের কথা নৌকা চলতে দুরহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। নদীর তলদেশের তুলনায় পৌর সদর ও নদীর দক্ষিণ পাশের বিলের জমি অনেক উচু হয়ে গেছে। ফলে পৌর সদর সহ এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা হারিয়ে ফেলেছে। নদীতে সামান্য জলোচ্ছাস বা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হলে বাজার তলিয়ে যায়। আর বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। পৌর সদরসহ আশ-পাশের এলাকা অধিকাংশ সময় তলিয়ে থাকে। নদীতে পলি জমে দু’ধারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জন্মে বনাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শিববাটী ব্রীজ হতে পৌর সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শিবসা নদী হাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পলি জমে চরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। নেই কোন খেয়াঘাট, লোকজন হেটেই নদী পার হচ্ছে। এমনিভাবে চলতে থাকলে ১/২ বছরের মধ্যে পাইকগাছা পৌর সদরসহ আশপাশ এলাকা বছরের পর বছর তলিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির এই এলাকার নদীটি খনন করে পূর্বের ধারায় ফিরিয়ে নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

08-11-16
পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে ৫ দফা দাবি সম্বলিত মানববন্ধনে এ্যাডঃ শিবুপ্রসাদ সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, পাইকগাছা-কয়রার এমপি এ্যাডঃ শেখ নুরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, আ’লীগনেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, রমেন্দ্রনাথ সরকার, শেখ মনিরুল ইসলাম, রতন কুমার ভদ্র। প্রভাষক রবীন্দ্রনাথ ও মৃত্যুঞ্জয় সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, অধীর কৃষ্ণ মন্ডল, ডাঃ অমলেন্দু রায়, দুলাল সরকার, মিঠুন মধু, সন্তোষ সরকার, দ্বিজেন মন্ডল, বিজন বিহারী সরকার, পরেশ মন্ডল, শংকর মন্ডল, চিত্তরঞ্জন হাওলদার। বক্তারা মানববন্ধনে নাসিরনগরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও ঘর বাড়ি সরকারি খরচে নির্মাণ, মন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগ, নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের অপসারণ, হিন্দু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু কমিশনের দাবি জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : কাশিমাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই। ভাগ্যবান অধ্যক্ষ বটে। তাইতো সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকার চালের কার্ড পেয়েছেন তিনি। তার কার্ড নম্বর- ১২০৩। শুধু আব্দুল হাই নয়, এই কার্ড পেয়েছেন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফের ভাই ঘের ব্যবসায়ী হান্নান, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাজাহান ও ঘের ব্যবসায়ী হুমাউন। এছাড়া অসংখ্য নাশকতা মামলার আসামি, কোটিপতির ছেলে আক্তার ফারুকের স্ত্রী শামিমা আক্তার রানীকেও দেওয়া হয়েছে কার্ড। এভাবেই সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকার চাল নিয়ে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চালবাজি করেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারী পিচ কমিটির সদস্য মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে ও যুদ্ধাপরাধী মাওলানা দেলোওয়ার হুসাইন সাঈদীর পালিত ছেলে বলে পরিচয় দেওয়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফ।  মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কাশিমাড়ি ইউপির চারজন মেম্বর চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে উল্লিখিত তথ্যগুলো তুলে ধরে ১০ টাকার চালের কার্ডধারীদের তালিকা তৈরিতে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাশিমাড়ির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য শাহাবাজ আলী। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কাশিমাড়ি ইউনিয়নে দুস্থদের বাদ দিয়ে ধনী, সম্পদশালী, চাকরিজীবী ও চেয়ারম্যানের আত্মীয়স্বজনদের ১০ টাকার চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা যেমন অরসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তেমনি নাশকতা মামলার আসামি, বন্দুকযুদ্ধে নিহতের স্ত্রীকেও কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাদ যায়নি চেয়ারম্যানের ভাই, ভগ্নিপতিরাও। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, কাশিমাড়ি ইউনিয়নের ছয় থেকে সাতশ ধনী মানুষ ১০ টাকার চাউলের কার্ড পেয়েছেন। অসংখ্য ভুয়া কার্ডও রয়েছে। ওইসব ভুয়া কার্ডের চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের চারজন ইউপি সদস্যকেও পরিষদের সকল কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ গত ঈদ-উল-ফিতরে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ৬৬৮০ ইউনিট চাউলের মধ্যে চার হাজার ইউনিট বিতরণ করেছেন। একই সময় প্রতি ইউনিটে ২০ কেজির পরিবর্তে চাল দিয়েছেন ১২ থেকে ১৩ কেজি করে। বাকী চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঈদ-উল-আযহায় ৩৭০০ ইউনিটে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ৫ থেকে ৬ কেজি করে। এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে জামায়াতের রোকন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর রওশন আরা বিথি। সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন, কাশিমাড়ির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সবুর মোল্লা, মহিলা সদস্য পাপিয়া হক ও মহিলা সদস্য সীতা রানী বৈদ্য। এদিকে, এ ব্যাপারে কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুর রউফের সাথে মোবাইলে (০১৭১৫ ৮৩৩৩০৮) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pi-de

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আইডিইবি’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস  উপলক্ষ্যে র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ০৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ হতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালির উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। উক্ত র‌্যালিতে নেতৃত্ব প্রদান করেন জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি প্রকৌঃ মোঃ সেলিম সরোয়ার। র‌্যালি টি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে র‌্যালি এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌঃ মোঃ আবেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ মাসুদ ডাকুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ জায়েদ বিন গফুর, নবজীবন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌঃ মোঃ আব্দুর রশিদ, দফতর সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ মুছাব্বেরুজ্জামান, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ মতিয়ার রহমান, সাহিত্য সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ রাসেল কবির, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ এমদাদুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ রবিউল ইসলাম, গবেষণা ও আইসিটি সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ একরামুল হোসেন, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক  সম্পাদক প্রকৌঃ মোছাঃ নার্গিস খানম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ কামরুজ্জামান, কাউন্সিলর প্রকৌঃ মহঃ ছারোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর প্রকৌঃ প্রবীর কুমার মৃধা প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য প্রকৌশলীবৃন্দ, শহরের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest