সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯

photo-1488004255গরমের সময় রোদের কারণে ত্বক কালচে হয়ে যায়, বলিরেখা দেখা দেয় এবং ত্বক মলিন ও রুক্ষ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কমলালেবু আপনাকে সাহায্য করবে। এই মৌসুমে ত্বককে সতেজ রাখতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে কমলার বিকল্প নেই। তবে এই ফলটির সঙ্গে আরো দুটি প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অন্যান্য সমস্যারও দ্রুত সমাধান হবে। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে কমলা দিয়ে তৈরি এমনই একটি প্যাকের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যা যা লাগবে
কমলার কোয়া চার-পাঁচটি, বেসন দুই চা চামচ ও টক দই দুই চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে দুই চা চামচ বেসন নিন। এবার এর মধ্যে কমলার কোয়াগুলো দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এখন এর মধ্যে টক দই দিয়ে আবারও ব্লেন্ড করুন। আপনি চাইলে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও দিতে পারেন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকে কমলালেবুর উপকারিতা
১. কমলার রস ত্বককে দীর্ঘক্ষণ পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে।

২. কমলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস চেহারার বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করে।

৩. কমলার ভিটামিন ত্বকের মেছতা ও ব্রণের দাগ দূর করে।

৪. কমলার সাইট্রিক এসিড ত্বকের কালচে দাগ দূর করে ত্বক রাখে দাগমুক্ত।

৫. কমলার ভিটামিন সি ত্বকে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে।

ত্বকে বেসনের উপকারিতা
১. বেসন ত্বকের রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করে।

২. ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলেভাব দূর করে।

৩. ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

৪. ত্বক নরম ও মসৃণ করে।

৫. ত্বকের মরা কোষ দূর করে এই প্রাকৃতিক স্ক্রাব।

ত্বকে টক দইয়ের উপকারিতা
১. টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

২. ত্বকের কালচে দাগ দূর করে উজ্জ্বল করে।

৩. ত্বকের বলিরেখা দূর করে।

৪. টক দইয়ের ল্যাকটিক এসিড মরা কোষ দূর করে।

৫. ব্রণের দাগ ও মেছতা দূর করে।

৬. চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1488023239কলকাতার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার অভিনয় করতে যাচ্ছেন ঢাকার চলচ্চিত্রে। রফিক শিকদার পরিচালিত ‘হৃদয়জুড়ে’ ছবিটিতে প্রিয়াঙ্কার বিপরীতে অভিনয় করবেন বাংলাদেশের অভিনেতা ও মডেল নিরব। ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিএফডিসিতে।

পরিচালক রফিক শিকদার বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় এফডিসির ঝরনা স্পটে ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত থাকবেন। ছবিতে অভিনয় করবেন নায়ক নিরব এবং তাঁর বিপরীতে অভিনয় করবেন কলকাতার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার। আগামী ৫ তারিখ থেকে আমরা ছবির শুটিং শুরু করব। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ছবির শুটিং করব। বিশেষ কিছু কাজের জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে।’

ছবিতে কলকাতার নায়িকা কেন নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রফিক শিকদার বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা কেউই সিরিয়াস না। আমরা যেমন একটি চলচ্চিত্র বানানোর জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করি, কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলার পর আগ্রহটা কমে যায়। নিজেকে প্রচণ্ড কমার্শিয়াল মনে করে, আর সেটা লক্ষ করা যায় শুধু টাকা নেওয়ার সময়। কাজ ফাঁসিয়ে দিয়ে ইচ্ছে মতো সেট থেকে চলে আসবে। ভালো চলচ্চিত্রকে সহযোগিতা করা বা ছবির প্রতি ভালোবাসা নেই বললেই চলে। যে কারণে আমি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাইরের অভিনেত্রী নিয়ে কাজ করব। “চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবিতে প্রিয়াঙ্কার অভিনয় দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছে, যে কারণে তাকে নিয়ে কাজ করছি।’

কী ধরনের গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করা হবে জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘একেবারেই বর্তমান সময়ের গল্প নিয়ে এই ছবি বানাচ্ছি। ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া একজোড়া ছেলেমেয়ে যারা একে অপরকে ভালোবাসে। এরই মধ্যে ছবিতে যুক্ত হবে তাদের এক বন্ধু যে অনেক বড়লোক। সে-ও নায়িকার প্রেমে পড়ে যায়। বড়লোক বন্ধু বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করার। এভাবেই এগিয়েছে ছবির গল্প।’

পরিচালক রফিক শিকদার এর আগে ‘ভোলা তো যায় না তারে’শিরোনামে একটি ছবি নির্মাণ করেছিলেন। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নিরব ও তানহা তাসনিয়া। এবার দ্বিতীয় ছবির কাজে হাত দিচ্ছেন পরিচালক। ‘হৃদয়জুড়ে’ ছবিটি প্রযোজনা করছে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ওয়ার্ল্ড প্রোডাকশন। ছবিতে আরো অভিনয় করছেন কাজী হায়াৎ, সুচরিতা, সুব্রত, রোদেলা ও কলকাতার রজতাভ দত্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শুভ জন্মদিন সৌম্য সরকার

কর্তৃক Daily Satkhira

photo-1488025441নাম সৌম্য। সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান। সুঠাম দেহ আর মনভোলানো হাসিটাতেও তিনি সৌম্য। এই পর্যন্তই। ক্রিকেট মাঠে নামলেই অশান্ত আর কুৎসিত হয়ে ওঠেন। বোলারদের পিটিয়ে ছাতু বানাতেই সিদ্ধহস্ত। কারো প্রতি বিন্দুমাত্র দাক্ষিণ্য প্রদর্শন করেন না। ক্রিকেট ব্যাটটাকে তলোয়ার বানিয়ে বোলারদের ওপর শাসন চালান তিনি।

দুই বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম ভরসার নাম এই সৌম্য সরকার। আজকের দিনে ২৪ বছরে পা দিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৯৯৩ সালে আজকের দিনেই সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

স্কুলজীবন থেকেই তুখোড় ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। বয়সভিত্তিক ও স্কুল ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন তিনি। স্কুল ওয়ানডেতে ২৫০ রানের ইনিংস রয়েছে তাঁর। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে কাতারের বিপক্ষেও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ দলে লেখার মধ্য দিয়ে তারকা খ্যাতি পাওয়া শুরু করেন এই ব্যাটসম্যান। তবে ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপটা ছিল সৌম্যর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তুলোধুনা করে ৮০ বলে ৭৩ রান করেন সৌম্য। সেই ম্যাচে হারলেও অমূল্য এক রতনের সন্ধান পেয়ে যান বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর মিরপুর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হয় সৌম্য সরকারের। ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে জায়গা পেয়ে যায় বিশ্বকাপ দলেও। ক্রিকেটের মহারণে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে সবার  নজর কেড়ে নেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত এক ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চেনান আরেকবার। পুরস্কার হিসেবে টেস্ট দলেও জায়গা পেয়ে যান।

এখন পর্যন্ত ২০ ওয়ানডেতে ৪০.২২ গড়ে ৭২৪ রান করেছেন সৌম্য সরকার। ২২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৭.২৭ গড়ে সৌম্য রান ৩৮০। ৫ টেস্টে ৩১.৭৭ গড়ে ২৮৬ রান করেছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fazlu-webশেখ তহিদুর রহমান ডাবলু/শেখ শরিফুল ইসলাম: সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সেই শিক্ষক প্রভাষক ফজলুল হকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরায় জামাত নেতা ফজলুল হককে এমপিভুক্ত করার জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদ ও অধ্যক্ষের সুপারিশ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী পতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বিপুল অংকের অর্থ নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আবু সাঈদ  ৬টি নাশকতা মামলার আসামি কলারোয়া উপজেলা জামাতের সেক্রেটারি ও জেলা জামাতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফজলুল হকের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই উল্লেখ করে তাকে এমপিওভুক্ত করার সুপারিশ করে বলে প্রকাশ পায়। ফজলুল হকও খুলনা  মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারিও।

অন্যদিকে, সম্প্রতি দেশের একটি শীর্ষ ও প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক এ কে এম ফজলুল হকে বিরুদ্ধে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপসহ গুরুতর অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের কপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় ফজলুল হক ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।eeeee

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক আদেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফজলুল হকে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নিয়ে মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশ দেয়।

জানা যায়, ফজলুল হক খুলনায় থাকেন। মাঝেমধ্যে তিনি সাতক্ষীরা সিটি কলেজে যাতায়ত করেন। রাষ্ট্রবিরোধী কাজে যুক্ত রয়েছেন মর্মে ফজলুুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার কয়েকজন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছেন এবং শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc06176-copyসাতক্ষীরা সংবাদদাতা : ‘নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের প্রতিশ্রুতি- সুস্থ সবল মেধাবী জাতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, খামারী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের আয়োজনে অফিস কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অফিস কার্যালয়ে আলোচনা সভাস্থলে গিয়ে মিলিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা প্রাণিজ সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সমরেশ চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লবজিৎ কর্মকার, আঞ্চলিক প্রাণি রোগ অনুসন্ধান গবেষণা কেন্দ্র যশোরের সহকারী পরিচালক ডাঃ শশাংক কুমার মন্ডল, প্রাক্তন উপ-পরিচালক হাসান ইমাম, উপ-সহকারি কর্মকর্তা আবুল কালাম মোস্তফা প্রমুখ। খামারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রামপ্রসাদ, শেখ আশরাফুল ইসলামসহ বিভিন্ন খামারীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় ১০টি স্টলের খামারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

222222মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের দু’টি পরিবর্তন এসেছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলনের পরিবর্তে জাতীয় কাউন্সিল করার বিধান যোগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২৭ বছর পর পুনরায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ যুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত দলের গঠনতন্ত্রের ৬০তম সংস্করণে এই দু’টি পরিবর্তনা আনা হয়েছে। দলটির সংশোধিত গঠনতন্ত্র পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের পরে জামায়াতের কোনও সম্মেলন হয়নি।

২০১৫ সালের জুনে গঠনতন্ত্রের ৫৯তম মুদ্রণ ধারা-১৩-এ বাংলাদেশ জামায়াতের কেন্দ্রীয় সংগঠন হিসেবে ‘কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন’ ছিল। যদিও সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়েছে, জাতীয় কাউন্সিল। এরপর ধারা ১৪-এ বলা হয়েছে, ‘জাতীয় কাউন্সিল জামায়াতের সর্বোচ্চ ফোরাম হিসেবে গণ্য হবে। জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যদের সরাসরি গোপন ভোটে আমিরে জামায়াত নির্বাচিত হবেন।’ দলের গঠনতন্ত্রের ধারা-১৪-এর-৩-এ কে কে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হবেন, এ বিষয়ে বিবরণ রয়েছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ৭৩টি ধারা রয়েছে। এর আগে ধারার সংখ্যা ছিল ৭০টি।

সংশোধিত গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে—‘জাতীয় কাউন্সিলের সভাপতি হবেন আমিরে জামায়াত। এই কাউন্সিলের মেয়াদ তিন বছর।’ জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান জানান, ‘গত বছরের শেষদিকেই কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকনরা) ভোটে গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে মত দিয়েছেন। এরপর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ চূড়ান্ত করে।’

১৯৯০ সাল পর্যন্ত জামায়াতের গঠনতন্ত্রে সাংগঠনিক সম্পাদক পদটি ছিল বলে জানান নির্ভরযোগ্য এক নেতা। তিনি বলেন, ‘এ হিসেবে প্রায় ২৭ বছর পর সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ফিরিয়ে আনলো জামায়াত। নতুন গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি পদ তৈরি করা হয়েছে।’

২০১৫ সালের সর্বশেষ গঠনতন্ত্রের সংস্করণের ধরা-২৮-এ বলা ছিল, বিভাগীয় সেক্রেটারিগণ আমিরে জামায়াতের নির্দেশমতো নিজ নিজ বিভাগের কাজ পরিচালনা করবেন। এই কাজের ব্যাপারে আমিরকে পূর্ণ তথ্য দেবেন। নতুন গঠনতন্ত্রে এ বিষয়টি হুবহু থাকলেও নতুন ধারায় তৈরি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি হিসেবে।

ধারা-৩০-এ বলা হয়েছে, ‘জামায়াতের আমিরের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি নিয়োগ করতে পারবেন। আরও বলা হয়েছে, আমিরের দেওয়া দায়িত্ব পালন করাই হবে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারিদের কর্তব্য। আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারিরা যদি কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য না হন, তাহলে তিনি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য হবেন। এই ধারায় যুক্ত করা হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকের শপথের বিষয়টিও। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি নিযুক্তির পর তিনি আমিরে জামায়াত বা তাহার প্রতিনিধির কাছে শপথ গ্রহণ করবেন।’

এদিকে নতুন গঠনতন্ত্রের সঙ্গে পাল্টে গেছে জামায়াতের নতুন ওয়েবসাইটও। এই সাইটে দলটির সব ধরনের তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আঞ্চলিক পরিচালকের স্থলে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে কে হয়েছেন তা বলতে পারব না।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

eadcd9de68bddfea8b78972be133cd47-58b138c115e7fওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়যাত্রা থেমেছিল ক্রাইস্টচার্চে। ১২ ম্যাচ পর একদিনের ক্রিকেটে তারা ভুলে যাওয়া হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে ওই পরাজয়ের পাল্টা শোধ ভালোভাবে নিল প্রোটিয়ারা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫৯ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১১২ রানে নিউজিল্যান্ডকে গুটিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। আর এটিই দ্বিপাক্ষিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।

ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। শুরুটা হোঁচট দিয়ে হয়। দলীয় ৪১ রানে ওপেনার হাশিম আমলাকে (৭) হারায় তারা। এর পর ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে কুইন্টন ডি কক গড়েন ৭৩ রানের জুটি।

তবে দলের ২৩তম ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কলিন ডি গ্রান্ডহোমের এক ওভারেই ডু প্লেসিস ও ডি কক সাজঘরে ফেরেন। ৭০ বলে থামে ডি ককের ৬৮ রানের ইনিংস। ৩৬ রানে আউট ডু প্লেসিস।

ক্রিজে নেমেই দ্রুততম ৯ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানো ডি ভিলিয়ার্স উপযুক্ত সঙ্গ পাননি ডেভিড মিলার ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের কাছে থেকে। তবে নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ওয়েন পারনেলের সঙ্গে ৮৪ রানের শক্ত জুটি ছিল তার। ৮০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে সর্বাধিক ৮৫ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন ডি ভিলিয়ার্স। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২৭১ রান।

লক্ষ্যটা খুব কঠিন নয়। কিন্তু ধীরগতির পিচ ও আউটফিল্ডে প্রোটিয়া পেসারদের সামলাতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। কাগিসো রাবাদা, ওয়েন পারনেল, আনদিল ফেলুকবায়ো ও প্রিটোরিয়াসের বলে ব্যাটিং ধস নামে। চার পেসারের মধ্যে প্রিটোরিয়াস সবচেয়ে এগিয়ে, তার বোলিং ফিগার ৫.২-১-৫-৩। বাকিরা নেন ২টি করে উইকেট। পেসারদের উদযাপনের দিন খালি হাতে ফেরেননি ইমরান তাহির, একটি উইকেট নেন এ স্পিনার।

নিউজিল্যান্ড ১১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেন উইলিয়ামসন (২৩) ও রস টেলর (১৮)। তাদের ৩৭ রানের জুটিই ব্ল্যাক ক্যাপদের একমাত্র প্রতিরোধ।

আর পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। ১০০ না পেরোতেই ৯ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, আর গুটিয়ে যায় ১১২ রানে। গ্রান্ডহোম সর্বোচ্চ ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সূত্র- ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৭১/৮ (ডি ভিলিয়ার্স ৮৫, ডি কক ৬৮; গ্রান্ডহোম ২/৪০)

নিউজিল্যান্ড- ৩২.২ ওভারে ১১২ (গ্রান্ডহোম ৩৪, উইলিয়ামসন ২৩; প্রিটোরিয়াস ৩/৫)

ফল- দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ রানে জয়ী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

39de7581cf9df7b31f621a09ec8af853-58b0739d6d537আজ পিলখানা ট্র্যাজেডির আট বছর। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর-এর (বর্তমানে বিজিবি-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিপথগামী সদস্যরা কতিপয় দাবি-দাওয়ার নামে পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। এসময় তারা অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।  ওই দু’দিনে তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের হাতে বাহিনীর তখনকার  মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদও নিহত হন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বাহিনীর আইনে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়াও আরও ৪২৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। বিভাগীয় মামলায় চাকরিচ্যুতসহ সাজা দেওয়া হয় আরও অনেককে। ২০০৯ সালের নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের পর পুরো বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে বাহিনীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কলঙ্কিত সেই ইতিহাস ও ক্ষত ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এখনও।

কর্মসূচি: পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে বিজিবি। দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে, পিলখানাসহ বিজিবি’র সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর খতমে কোরআনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবির সব মসজিদ ও বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বাদ আসর পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্য পদবির সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা অংশ নেবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest