সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পুলিশের নিয়মিত অভিযানে ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার  রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা থানা ১৩ জন, কলারোয়ায় ৬ জন, তালায় ৩ জন, কালিগঞ্জে ৩ জন, শ্যামনগরে ১ জন, আশাশুনিতে ৩ জন, দেবহাটায় ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ  ২ জনকে আটক করেছে। এছাড়া, ৬৪ পিচ ইয়াবা বড়ি ও ১০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামালা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-bgb-picture-1
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে ৬৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। বুধবার ভোর রাতে সীমান্তের নটির জঙ্গল এলাকা থেকে তলুইগাছা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা এ ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের মুল্য ২লাখ ৫২ হাজার টাকা। সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির তলুই গাছা ক্যাম্পের সুবেদার হুমায়ূন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাবিলদার আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বিজিবি একটি টহল দল নটির জঙ্গল এলাকায় অভিযান চালায় । এসময় বিজিবি উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা ৬শ ৩০ বোতল ফেনসিডিল ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photos-1নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র কিছুদিন আগেই লক্ষ লক্ষ টাকার জাকমকপূর্ণ জেলা ক্রীড়া সংস্থা নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল সাতক্ষীরাবাসী। অন্যদিকে সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গন যখন মোস্তাফিজ, সৌম্য, সাবিনা, শিপলুদের সাফল্যে সারাদেশে ঈর্ষণীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে তখনই জানা গেল এক ভয়ংকর দুঃসংবাদ। টাকার অভাবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফুটবলে ওয়াকওভার দিয়ে ফিরে এসেছেন সাতক্ষীরা দল। আর এ জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান ও টিম লিডার আকবর আলী। প্রশ্ন উঠেছে, যে জেলার ক্রীড়া সংস্থা নির্বাচনে লক্ষ লক্ষ টাকা ছড়াছড়ি আর প্রদর্শনী দেখল সাতক্ষীরাবাসী সেই জেলার কিশোরীদের একটি ফুটবল দল জাতীয় পর্যায়ে খেলতে গিয়ে ফিরে আসল সামান্য ১০টি হাজার টাকার জন্যÑ কি হচ্ছে সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গনে!
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সাতক্ষীরা দলের। কিন্তু তার আগেই সেমিফাইনালে অয়াকওভার দিয়ে ফিরে আসার বিষয়টি সাতক্ষীরার ক্রীড়া অঙ্গনকে রীতিমত হতাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ঠরা।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যসোসিয়েশনের সভাপতির নির্দেশে অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফুটবলে সেমিফাইনালে যাতে না খেলতে হয় সে জন্য দলটি ইচ্ছে করেই গ্রুপ পর্বে হেরে গিয়েছিল খাগড়াছড়ি দলের কাছে। তারপরও তারা ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েও তাদের কাছে খরচের টাকা না থাকায় জেলা ফুটবল এ্যসোসিয়েশনের সভাপতির নির্দেশে একবুক ব্যাথা ও বেদনা নিয়ে তাদের মাতৃভূমি সাতক্ষীরায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের কোচ আকবর আলী জানান, তার প্রতিষ্ঠিত শহরের চালতে বাজার সংলগ্ন জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্টানে ১৩ জন নারী ফুটবলার বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ সহ বিভিন্ন খেলায় অংশ গ্রহন করেছেন। তিনি তাদের ভরন পোষনসহ তার বাড়িতে থাকার খাওয়ার ব্যবস্থাও করে তাদের রেখে দিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে সাবিনা, সুরাইয়া, রওশন ও মাছুরা জাতীয় ফুটবলে, পাখি ও দোলা জাতীয় কাবাডিতে, রিক্তা, মুক্তা, আরিফা ও সালমা খোখো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। শুধু তাই নয় ১০০ মিটার স্প্রিটএ বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী খেতাব প্রাপ্ত শিরিন আকতারও তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আবার তার প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে অনেক নারী বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করছেন।
তিনি আরো জানান, জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। এর মধ্যে ২৫ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি বাবদ দিয়েছিল ফুটবল ফেডারেশন (ঢাকা) থেকে। বাকি ১৫ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫ হাজার টাকা দেন সাতক্ষীরা জেলা ডিএফএর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাঁন। পরে বাকি টাকা চাইলে তিনি টাকা ম্যানেজ করা যাচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দেন এবং তাদের খারাপ খেলে হেরে বাড়ি ফিরে আসার পরামর্শ দেন। এতে মনের কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে ১০ ডিসেম্বর ফিরে আসেন কোচ আকবর আলীসহ তার নারী ফুটবলাররা। আর এ কারনে ১২ তারিখের খেলায় সাতক্ষীরার বিপক্ষে ওয়াকওভার পায় ময়মনসিংহ। সামান্য ১০ হাজার টাকার জন্য যাদের কারণে জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফুটবলে সাতক্ষীরা দল অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার ক্রীড়ামোদীরা।
নারী ফুটবলার ফারজানান সুলতানা, সারাবান জহুরা, তামান্না সুলতানা ও পারভিন সুলতানা জানান, আমরা এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবো এই মনোবল নিয়েই আমরা খেলা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের স্যার (কোচার আকবর আলী)) আমাদের জানান, আমার কাছে আর কোন খরচের টাকা নাই তাই বাধ্য হয়ে আমাদের সেমিফাইনালে অংশ গ্রহন না করেই চলে যেতে হবে। শুধু মাত্র খরচের টাকার অভাবে আমাদের বাধ্য হয়ে মনের কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসতে হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আরিফ হাসান প্রিন্স জানান, সামান্য টাকার জন্য আমাদের নারী ফুটবলাররা সেমিফাইনালে না খেলে চলে আসবেন এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখ জনক। তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা জেলা ডিএফএর নেতারা তাদের চেয়ার ঠিক রাখার জন্য একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করেই চলেছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা ডিএফএর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খাঁন তার বিরদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, টিম লিডার আকবর আলী আমাদেরকে জিম্মি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় আমরা তা দিতে না পারায় তিনি টিম নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এসেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মহিউদ্দীন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। টাকার অভাবে এভাবে ঢাকা থেকে না খেলে ফিরে আসার আগে আমাকে জানানো উচিত ছিল।এটি খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আজ খেলছেন মুস্তাফিজ!

কর্তৃক Daily Satkhira

3-1স্পোর্টস ডেস্ক: আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বর্তমানে অস্টেলিয়ায় ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর এই ক্যাম্প দেশটির জনপ্রিয় লিগ বিগ ব্যাশের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

অস্টেলিয়ার নর্থ সিডনি ওভালে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। আর এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোচ হাথুরুসিংহে।

আজকরে এই প্রস্তুতি ম্যাচ এগারো জনের অধিক ক্রিকেটারকে যাচাই করবেন কোচ। যেসব ক্রিকেটার এ ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবেন না, তারা যথারীতি অনুশীলন করবেন ব্ল্যাকটাউনের ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস পার্কে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92949717_kolkata_tipu_sultans_mosque3অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সম্বন্ধে কটূক্তি করার অভিযোগে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতিকে ঢিল মেরে বাংলা ছাড়া করার ফতোয়া দিয়েছেন কলকাতার এক ইমাম।
পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক এবং বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে যদি তারা চাইতেন, তাহলে মমতা ব্যানার্জীর ‘চুলের মুঠি ধরে’ দিল্লি থেকে বার করে দিতে পারতেন ।
নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিল ঘোষণার বিরুদ্ধে পর পর কয়েকবার দিল্লিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যক্রমে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা ঐ বক্তব্য দেন।
মি. ঘোষের ওই মন্তব্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে কলকাতার বহু পুরনো টিপু সুলতান মসজিদের শাহি ইমাম নুরুর রহমান বরকতি এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তার ঐ ফতোয়া ঘোষণা করেন।

পরে মি. বরকতিবলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী। তার সম্বন্ধে যে কথা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তার বিরুদ্ধেই আমি ফতোয়া জারি করেছি। উনাকে ছোট ছোট পাথর বা ঢিল ছুঁড়ে বাংলার বাইরে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি ওই ফতোয়ায়। নারীদের প্রতি অসম্মানের এটাই সাজা হওয়া উচিত।”

কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদ একটি প্রাচীন মসজিদ এবং সেখানকার শাহী ইমাম মি. বরকতির যথেষ্ট প্রভাব আছে মুসলমান সমাজের ওপরে। তবে তিনি মাঝে মধ্যেই রাজনৈতিক মন্তব্যও করে থাকেন। ঘটনাচক্রে মি. বরকতি যখন এই ফতোয়ার ঘোষণা দেন, সে সময়ে তার পাশে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ইদ্রিস আলি।

“মমতা ব্যানার্জীর মতো একজন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিবিদ, সৎ জীবনযাপন করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি, তার সম্বন্ধে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে তো প্রশ্ন ওঠে মি. ঘোষ রাজনৈতিক নেতা নাকি গুণ্ডা?” প্রশ্ন শাহী ইমামের।

এই ফতোয়া জারির বিষয়ে অনেকবার চেষ্টা করেও বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মি. দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। তবে রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মি. বরকতির জানা উচিত এখানে শরিয়তের আইন চলে না। পাথর ছুঁড়ে শাস্তি দেওয়ার রীতি পশ্চিমবঙ্গে নেই বা তাঁর অনুগামীদের ক্ষমতা থাকে, তাহলে একটা পাথরও ছুঁড়ে দেখুন না তাঁরা! বাংলার মানুষ ওই পাথরের পরিবর্তে কেউ রসগোল্লা ছুঁড়বে না।”

মি. ভট্টাচার্য বলেন, তার দলের রাজ্য সভাপতি মমতা ব্যানার্জীর সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন, তার রাজনৈতিক বিরোধিতা হতেই পারে, কিন্তু তার জন্য মানুষকে উস্কানি দেওয়া যায়না।
টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমামের গ্রেপ্তার দাবী করেছেন মি ভট্টাচার্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92952294_mikhail_gorbachevঅনলাইন ডেস্ক:অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচফ বলেছেন, রক্তাক্ত এক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর একটি দেশে বিপজ্জনক রক্তপাত এড়াতে ২৫ বছর আগে তিনি ক্ষমতা ছেড়েছিলেন।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার সময় তিনি ছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট।
২৫ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ সেই অধ্যায় সম্পর্কে মস্কোতে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিভেন রোজেনবার্গের সাথে কথা বলেন মি গর্বাচফ।
শীতল যুদ্ধ শেষ করার জন্য সে সময় পশ্চিমাদের বাহবা কুড়িয়েছিলেন এই নেতা। তাকে নোবেল শান্তি পুরকার দেওয়া হয়। স্ন্কিন্তু এখন তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার জন্য অনুশোচনা করেন।
“সেটি ছিল অভ্যুত্থান…বিশ্বাসঘাতকতা…অপরাধ। দেশকে গৃহযুদ্ধের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের মত একটি পারমানবিক অস্ত্রধারী দেশে ক্ষমতার লড়াই, বিভেদ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে আপনি তা কল্পনাও করতে পারবেন না…অমি রক্তপাত এড়াতেই পদত্যাগ করেছিলাম।”
৮৫ বছরের মি গার্বাচফ এখন পশ্চিমা বিশ্বের কড়া সমালোচক হয়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন, তিনি নিশ্চিত ভ্লাদিমির পুতিনকে দুর্বল করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো উঠেপড়ে লেগেছে।

“পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত বিবিসিকেও সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে .. তারা পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।”

মি গর্বাচফ বলেন, পশ্চিমাদের এই নীতির কারণেই পুতিন দিন দিন রাশিয়ানদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছেন। “৮৬ শতাংশ মানুষ পুতিনকে সমর্থন করেন।”

মি পুতিন কি কখনো কোনো পরামর্শের জন্য তার দ্বারস্থ হন? এই প্রশ্নে মি গার্বাচফ বলেন, “সে (পুতিন) সব কিছু জানে.. আসলে সব মানুষই তার মত করে কাজ করতে চায়।”

তার হাত দিয়েই সোভিয়েত ইউনিয়ন শেষ হয়েছিলো, কিন্তু এখনো ঘরে বসে সোভিয়েত আমলের পুরনো গান শোনেন মিখাইল গর্বাচফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1481608776অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে মজার মানুষটি কে? প্রশ্নটি করলে তালিকার প্রথমেই আসবে কৌতুক অভিনেতা হারিছ ইসকান্দারের নাম।

ফিনল্যান্ডের লেভিতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ‘বিশ্বের সবচেয়ে মজার মানুষ’ প্রতিযোগিতার এ বছরের জন্য সেরা তকমাটি গায়ে লাগিয়েছেন মালয়েশিয়ার হারিছ ইসকান্দার।

এ বিষয়ে ইসকান্দার বলেন, ‘এটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। আমার কাজ হলো জীবনের মজার দিকগুলোকে খুঁজে বের করা। আর তা কৌতুকের মাধ্যমে তুলে ধরা।’

‘আমি মনে করি পশ্চিমা বিশ্ব এখন একজন এশিয়ান কৌতুক অভিনেতার কণ্ঠ শুনতে প্রস্তুত আছে। আমার রয়েছে মালয়েশিয়ার কণ্ঠ ও কৌতুকের ভঙ্গি।’

বিশ্বের সেরা মজার ব্যক্তিত্ব খেতাবটি নিজের ঘরে তুলে নিতে ইসকান্দারকে টপকাতে হয়েছে সেরা চার প্রতিদ্বন্দ্বীকে। অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে সবেচেয়ে মজার মানুষকে। ইসকান্দারকে জয়ী করার জন্য তাঁর ভক্তরা সময় পেয়েছেন মাত্র ২৪ ঘণ্টা।

তবে বিশ্বকে হাসানোর পাশাপাশি নিজেও হাসছেন ইসকান্দার। কারণ প্রাইজ মানি হিসেবে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পুরো ১ লাখ ডলার যোগ করে নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া কৌতুক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমন্ত্রণও পেয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92949711__92945977_burma1216_mapb-01ডেস্ক: স্যাটেলাইট থেকে তোলা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়া পিক নামে একটি রোহিঙ্গা গ্রামের ছবি বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ (এইচআর ডব্লিউ) বলছে বার্মিজ সৈন্যরাই গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
ছবিতে দেখা গেছে গ্রামটি যখন জ্বলছিলো, তখন আশপাশে সেনাবাহিনীর ট্রাক যাতায়াত করছিলো।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ছবিতে প্রমাণিত হয়েছে যে আগুন দেয়ার সময় সেনাবাহিনী সেখানে ছিলো।
এইচআরডব্লিউ এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত থাকার প্রমাণ হাজির করলো।
কিন্তু মিয়ানমার সরকার সবসময় বলছে, সৈন্যরা নয় বরঞ্চ রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া বিভাগের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস্‌ বলছেন, “এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে সৈন্যদের চোখের সামনে ওয়া পিকের ৩০০ বাড়ি এক মাস ধরে জঙ্গিরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল, আর সৈন্যরা সেটা বসে বসে দেখলো।”
তিনি বলেন, “স্যাটেলাইটের এই ছবির পর বার্মিজ সরকারি কর্মকর্তারা ধরা পড়ে গেছেন, তাদের ক্রমাগত অস্বীকৃতি যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে, সেটা এখন তাদের স্বীকার করা উচিৎ।”
এইচআরডব্লিউ’র সর্বশেষ এই বক্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছে, মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র জ ঠেই বলেছেন রাখাইন রাজ্যের ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে, সুতরাং এখন তারা কোনো মন্তব্য করবেন না।
সরকারি একটি তদন্ত দল পাঁচদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা গ্রামগুলো সফর করেছে। জানুয়ারির শেষ দিকে তারা তাদের তদন্ত রিপোর্ট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অক্টোবর থেকে রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পর ২৭,০০০ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest