সর্বশেষ সংবাদ-

photo-1478682743মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উত্তেজনাটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। গুরুত্বের খাতিরেই এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজনীন হয়ে ওঠে। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের নিয়ে সেই শুরু থেকেই আলোচনা-সমালোচনা, জল্পনা-কল্পনা নিয়ে তাই মার্কিনদের পাশাপাশি মেতে ছিল সারা বিশ্ব। কে হচ্ছে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? এই প্রশ্ন ছিল সবার মুখে মুখে।

তবে সব জল্পনা-কল্পনা শেষ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই বেছে নিলেন মার্কিনিরা। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি।

তবে ট্রাম্পের এই জয় অনেকটা অপ্রত্যাশিত বলেই দাবি করছেন অনেকেই। নির্বাচনের আগে নারীদের নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য, অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত আলোচনাসহ বিভিন্ন কারণেই জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের থেকে বেশ পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনটি নির্বাচনী বিতর্কেও এগিয়ে ছিলেন হিলারি।

তবে সব জরিপকে ভুল প্রমাণ করেই হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ছিলেন আবাসন ব্যবসায়ী, হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

একজন ব্যবসায়ী থেকে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার গল্পটা বেশ দীর্ঘ।

১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছোটবেলা থেকে সব বিষয়ে অত্যুৎসাহী ছিলেন তিনি। ১৯৬৮ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ট্রাম্প।

পরে ১৯৭১ সালে দায়িত্ব নেন বাবার আবাসন ব্যবসার। একের পর এক গড়ে তোলেন আকাশচুম্বী ভবন। হয়ে ওঠেন যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল স্টেট মোগল। ২০১৬ সালে ফোর্বস পত্রিকা ট্রাম্পকে বিশ্বের ৩২৪তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।

তবে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না ট্রাম্পের মেধা। প্রায় এক দশক ধরে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিলেন। বিভিন্ন ইংরেজি ছবি ও ধারাবাহিকেও করেছেন অভিনয়। এ ছাড়া অ্যাপ্রেন্টিস নামের একটি রিয়েলিটি শোর উপস্থাপকও ছিলেন তিনি।

২০১৫ সালের জুন মাসে নিজেকে নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর পরই শুরু হয় তাঁর সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। তবে প্রচারের মাঠে মোটেও সুবিধা করে উঠতে পারেননি তিনি। নারী অবমাননা, অভিবাসী পরিকল্পনা, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলাসহ অসংখ্য অভিযোগে তাঁর জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নামে। বরাবরই তাঁর বিপক্ষে ছিল বিভিন্ন জরিপ।

কিন্তু সব শেষে আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ট্রাম্পই শেষ পর্যন্ত গেলেন হোয়াইট হাউসে। প্রমাণ করলেন কারো সহযোগিতা ছাড়াই তিনি এগিয়ে যেতে পারেন।

৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে ২৮৮টি গেছে ট্রাম্পের পক্ষে। প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি পেয়েছেন ২১৮টি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1210480144_1478682288ডেস্ক: বিভিন্ন সময় নারীদের নিয়ে অশ্লীল ও বিরূপ মন্তব্য করেছেন মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ট্রাম্প মার্কিন নারীদের ভোট একদমই পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে অন্যরকম, আশঙ্কা কাটিয়ে মার্কিন নারীদের ভোট পেয়েছেন। শ্বেতাঙ্গ নারীদের ভোট ঢালাওভাবে পড়েছে ট্রাম্পের ঘরে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির তথ্য অনুযায়ী, রক্ষণশীল মার্কিন নারীদের ৭৮ শতাংশই ভোট দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই দলের নারীদের মাত্র ১৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটনকে। আবার ৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী শ্বেতাঙ্গ নারীর ৫৮ শতাংশই ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পকে। তাদের মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট দিয়েছেন হিলারিকে। আবার প্রোটেস্ট্যান্ট শ্বেতাঙ্গ নারীদের ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে এই নারীদের মাত্র ৩২ শতাংশ হিলারিকে ভোট দিয়েছেন।

অবশ্য সব বয়সের শ্বেতাঙ্গ মার্কিন নারীদের ভোটে ট্রাম্প ও হিলারির পার্থক্য কম। এরপরও বেশি ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। সব বয়সের শ্বেতাঙ্গ নারীর ৫৩ শতাংশই ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। হিলারিকে ভোট দিয়েছেন ৪৩ শতাংশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে হিলারি ক্লিনটনকে নির্বাচনে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ৪৫তম নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, হিলারি ক্লিনটন পরাজয় মেনে নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপিও এমন খবর জানাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও ধারণা করা হচ্ছিল হিলারি ক্লিনটন হয়তো আগাম জয় পেয়ে যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে জয় পান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাউথ ক্যারোলাইনা, নর্থ ক্যারোলাইনা, ফ্লোরিডা,উটাহ, ওহাইও, অ্যালাবামা, ম্যাসাচুসেটস, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জয় পান ট্রাম্প।জিততে হলে হিলারির প্রয়োজন ছিল মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকিনসনে জয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর জয়ী হতে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেতে হয়। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কখনও হিলারি এগিয়ে ছিলেন আবার কখনও ট্রাম্প। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।image-6861

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2529230c62bba9d8e370ce4b7eb68e8d-5821f22f988abঅনলাইন ডেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডা, ওহাইয়ো এবং নর্থ ক্যারোলিনাতে হেরে যাওয়ার পর হিলারি শিবিরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। হিলারি প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ব্যক্ত করা প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে,  বিপাকে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

এবার সবার চোখ পেনসিলভ্যানিয়া (২০ ইলেক্টরাল ভোট), মিশিগান (১৬ ইলেক্টরাল ভোট) আর উইসকনসিনে (১০ ইলেক্টরাল ভোট)। গার্ডিয়ান এপির সরবরাহকৃত ফলাফল বিশ্লেষণ করে বলছে, এই গুরুত্বপূর্ণ তিন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের তিনটিতেই জিততে হবে হিলারিকে। নইলে ঘটে যেতে পারে ‘ট্রাম্প মিরাকল’। অবশ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী উইসকনসিনে হারার পরও ট্রাম্পের সঙ্গে ২৬৯-২৬৯ ইলেক্টরাল ভোট হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট হতে সেক্ষেত্রে হিলারিকে অবশ্যই নিউ হ্যাম্পশায়ারে জিততে হবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। কোন প্রার্থী কত বেশি ভোট পেলেন তার চেয়ে জরুরি হলো কে কতটা ইলেক্টোরাল ভোট পেলেন তা। ৫৩৮ জন ইলেক্টরের সমন্বয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এর মধ্যে অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়। এক এক স্টেটে ইলেক্টরের সংখ্যা এক এক রকম। নির্বাচনের দিন মার্কিনিরা যখন ভোট দেন তখন তারা মূলত প্রার্থীদের ইলেক্টরদেরকে বাছাই করেন। দুটি ছাড়া বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে ‘উইনার-টেক-অল’ সিস্টেম চালু রয়েছে। এর আওতায় জয়ী প্রার্থীকে ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেক্টর দিয়ে দেওয়া হয়। তবে নেবরাস্কা ও মেইন অঙ্গরাজ্য দুটি এক্ষেত্রে আলাদা। এ দুটি অঙ্গরাজ্যের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের পাওয়া ভোটের সংখ্যানুপাতে ইলেক্টোরাল ভোট ভাগ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এবং পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ঐতিহাসিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও ওভারসিজ ভোটারদের আগাম ভোট এবং ১শ ভোটারের কম জনসংখ্যার ৩টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সব অঙ্গরাজ্যে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ১০০ আসনবিশিষ্ট সিনেট ও ৪৩৫ আসনবিশিষ্ট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভেরও ভোটগ্রহণ হয়েছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভে রিপাবলিকানরা আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478666336অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে ভোটজ্বর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। হোয়াইট হাউসে কে যাচ্ছেন, তা নিয়ে দুই দলের নেতা-সমর্থকদের মধ্যেও চলছে তুমুল উত্তেজনা।

আর এ উত্তেজনার বাইরে নেই মার্কিন তারকাও। অনেকে আবার ট্রাম্প জয়ী হলে তাঁদের অবস্থা নিয়েও বেশ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভোটযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এসব মার্কিন তারকা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ছিলেন। এমনকি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তাঁদের অনেকেই দেশ ছাড়বেন বলে জানিয়েছিলেন। কেউ কেউ তো স্রেফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ট্রাম্প জিতলে মহাশূন্যেই পাড়ি দেবেন তাঁরা।

তারকা গায়ক শের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাঁর শঙ্কার কথা তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। তিনি লেখেন, ‘ট্রাম্প জিতলেই আমি বৃহস্পতি গ্রহের দিকে রওনা দেব।’

শের কথাটি মজা করে লিখলেও ‘ব্রেকিং ব্যাড’ খ্যাত তারকা ব্রায়ান ক্রানসটন আমেরিকা ছাড়ার ব্যাপারে একেবারে নিশ্চিত। তিনি মনেপ্রাণেই চান না যে ট্রাম্প জিতুক। ক্রানসটন বলেই রেখেছেন, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প গেলে তাঁর গতি হবে সোজা ভ্যানকুভারে।

এদিকে, জনপ্রিয় তারকা চেলসি হ্যান্ডলার কাজে বিশ্বাসী। তাই তিনি এরই মধ্যে আমেরিকার বাইরে একটি বাড়ি কিনে রেখেছেন। তবে কোন দেশে তিনি বাড়িটি কিনেছেন, তা উল্লেখ করেননি চেলসিয়া।

কমেডিয়ান এমি সুমার ট্রাম্পের জয়-পরবর্তী অবস্থা নিয়ে বেশ শঙ্কিত। তাই স্প্যানিশ ভাষা শেখার কথাও চিন্তা করছেন তিনি। এমি বলেই রেখেছেন, ট্রাম্প জয়ী হলে স্পেন পাড়ি দিচ্ছেন তিনি।

কৃষ্ণাঙ্গ তারকা গায়ক নি ইয়ো বলেছেন, ট্রাম্প জিতলেই প্রতিবেশী দেশ কানাডা যাচ্ছেন তিনি। তাঁর বন্ধু ড্রেককে কানাডায় বাড়ি দেখতেও বলেছেন তিনি।

এদিকে, ট্রাম্প সমর্থকরা দেশ ত্যাগের ব্যাপারে অতটাও আগ্রহী নন। তবে হিলারি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478659893অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের প্রাথমিক ফলে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এতে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, তিনেসি, আলাবামা, সাউথ ক্যারোলাইনা, মিসিসিপি আর ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছে রিপাবলিকানরা। এগুলোসহ আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন ১৪৯টি।

ইলিনয়, ভারমন্ট, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, ডেলাওয়ার ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যে ভোটের প্রাথমিক ফলে হিলারি শিবিরের জয়ের খবর দিয়েছে সিএনএন। এগুলোসহ আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জিতে ১০৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত করেছে ডেমোক্রেটরা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের ভোটের ফল জানা গিয়েছিল। সেখানে হিলারি ৭১ দশমিক ৬৩ শতাংশ পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। আর ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট। তবে গুয়ামে কোনো ইলেক্টোরাল ভোট না থাকায় এটি মূল নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

তবে শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অঙ্গরাজ্যে জিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে গেলেও হিলারি প্রবল পরাক্রমে এগিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পের জয়জয়কার দেখা যায়। হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় বসতে গেলে তাঁকে মোট ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। আর গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে সময়চক্রের ভিন্নতার কারণে ৫০ অঙ্গরাজ্যের একেকটিতে একেক সময় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গ্রিনিচ মান সময় বেলা ১১টা থেকে ভোট শুরু হয়। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এই ভোট চলে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত পর্যন্ত।

‌‌’ট্রাম্পের সম্ভাবনাই বেশি’: রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ট্রাম্পেরই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

পূর্বাভাসটি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এ পর্যন্ত ভোট যত পড়েছে, তা থেকে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব জায়গায় আগের নির্বাচনগুলোর ফলও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

তবে পপুলার ভোটে (জনগণের ভোটে) এগিয়ে আছেন হিলারি। এখানে ট্রাম্পের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন হিলারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাসিক সভা মঙ্গলবার কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাস চন্দ্র সরদারের সভাপতিত্বে সভায় সেনেটারী ইন্সপেক্টর জি এম গোলাম মোস্তফা, ইন্সপেক্টর সুকুমার কুমার, মেডিকেল টেকনোলস্টি দিলীপ কুমার ঘোষ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি ও  সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আশাশুনিতে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মটিভেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা। ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলনের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা ইউপি সদস্যবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহণ করেন। সভায় তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের সাথে মতবিনিমিয় করা হয় এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কি করলে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিবে তা প্রত্যেকের কাছ থেকে শুনে লিপিবদ্ধ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest