সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯

channel_i_okeefe-1ম্যাচের গতিপথ নির্ধারিত হয়ে গেছে দ্বিতীয় দিনেই। ভারত যখন একশর পর গুটিয়ে গেছে। পরে অস্ট্রেলিয়া লিডটা সাড়ে চারশর কাছে টেনে নিলে দেখার ছিল কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারেন বিরাট কোহলিরা। তাতে আরেকটি গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাই মিলেছে। অজি স্পিন-তোপের সামনে প্রথম ইনিংসের থেকে অবশ্য ২ রান বেশি করেছে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে সান্ত্বনা এই দুটি রানে বেশি করতে পারাই! জয়ে সিরিজ শুরু করা সফরকারীদের সাফল্যটি ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানের। ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের দিক থেকে দ্বিতীয়।

ম্যাচ জিততে ৪৪১ রানের পাহাড়সম বোঝার পেছনে ছুঁটতে হতো। গড়তে হতো রেকর্ড। ভারতের মাটিতে তো নয়ই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। চারশর ওপরে আর মাত্র চারটি রান তাড়ার ইতিহাস আছে। সেখানে পুনের খানাখন্দ পিচ। ভারতের ইনিংসটাও তাই অসহায় আত্মসমর্পণের বিষাদমাখা গল্পই হয়ে থাকল।

মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে অজিরা যখন বিজয় উল্লাসে মত্ত, তখনও প্রায় একটা সেশন বাকি। ভারতের ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭! তাতে মুল ভূমিকা থাকল সেই স্টিভ ও’কিফেরই। এবারও ৩৫ রানে ৬ উইকেট। বল করেছেন ১৫ ওভার। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ১৩.১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে ম্যাচে ১২ উইকেট ও’কিফের, ৭০ রানে। ভারতের মাটিতে যেটা দ্বিতীয় সেরার বোলিংয়ের রেকর্ড। ১৯৮০ সালে মুম্বাই টেস্টের দুই ইনিংসে ১০৬ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম।

ও’কিফের সঙ্গে জ্বলে উঠেছিলেন নাথান লায়নও। ৫৩ রানে ৪ উইকেট তার। দুই স্পিনারে সামনে ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন কেবল চারজন। সর্বোচ্চটি পূজারার ৩১! বাকিদের মধ্যে লোকেশ রাহুল ১০, আজিঙ্কা রাহানে ১৮ ও অধিনায়ক কোহলি ১৩ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা কোহলির ম্যাচে রান এই ১৩-ই। ঘরের মাঠে দুই ইনিংসে ব্যাট করা টেস্টে তার ব্যক্তিগত সর্বনিম্ন অবদান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Australia's captain Steve Smith celebrates after scoring a century (100 runs)on the third day of the first cricket Test match between India and Australia at The Maharashtra Cricket Association Stadium in Pune on February 25, 2017.  ----IMAGE RESTRICTED TO EDITORIAL USE - STRICTLY NO COMMERCIAL USE----- / GETTYOUT / AFP PHOTO / INDRANIL MUKHERJEE / ----IMAGE RESTRICTED TO EDITORIAL USE - STRICTLY NO COMMERCIAL USE----- / GETTYOUT

প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে একটু বেশিই পছন্দ স্টিভেন স্মিথের। টানা পাঁচ টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে। তাতে কোহলিদের বিপদ বাড়ল কয়েকগুণ। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যাওয়ার পথে ম্যাচ জিততে ৪৪১ রানের পাহাড়সম বোঝা ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতের সামনে।

যেটা টপকাতে রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের। ভারতের মাটিতে তো নয়ই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই কোনো দলের।

টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ার রেকর্ডটি ওয়েন্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে রেকর্ড জয়ের কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা। পরের রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৮ সালে পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ৪১৪ রান করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। এছাড়া ৪০০-এর ওপর রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে আর মাত্র দুটি। যার একটি ভারতের। সেটি অবশ্য ১৯৭৬ সালের ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০৬ রান করে জিতেছিল ভারত।

মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শনিবার সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে এসেছিলেন স্মিথ। অধিনায়ক ফিরেছেন ১০৯ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১৮তম শতক। আরেক অপরাজিত মিচেল মার্শ ৩১ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন।

সঙ্গে ম্যাথু ওয়েড ২০ ও প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা মিচেল স্টার্কের ৩০ রানে লিডটা সাড়ে চারশর কাছে টেনে নেয় অজিরা। সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ২৮৫ রানে।

অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস থেকে অশ্বিনের ঝুলিতে গেছে চারটি উইকেট। জাদেজার ৩টি, উমেশ যাদবের ২টি ও জয়ন্ত যাদবের দখলে ১টি করে উইকেট।

এর আগে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৬০ রানে গুটিয়ে যায়। পরে স্টিভ ও’কিফের তোপের মুখে পরে ভারত। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪০.১ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ও’কিফ ১৩.১ ওভারে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস থেকেই ১৫৫ রানের লিড পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষপর্যন্ত যেটি বোঝায় পরিণত হয়েছে। হাতে আড়াই দিন। সামনে ভাঙা পিচে অজিদের স্পিন-বিষ। কোহলি-রাহানেদের সামনে এখন তাই স্পিন-সম চ্যালেঞ্জ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dc-pictureনিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ও উদ্ভাবন উৎসবে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে সম্মাননা পেলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে ‘উদ্ভাবন উৎসব ও বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের হাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বর্ণ পদক ও ক্রেস্ট তুলে দেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এবং খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান প্রমুখ। সম্মাননা প্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘খুলনা বিভাগের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ও চর্চায় অনেক এগিয়ে আছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে এ জেলার সকল নাগরিকের সহযোগিতায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এলিট পার্সন ও সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে। যার ফলে, ২০১৭ তে শ্রেষ্ঠ জেলা টিম, শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক, শ্রেষ্ঠ অতিঃ জেলা প্রশাসক, শ্রেষ্ঠ ইউএনও, শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড, শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান, শ্রেষ্ঠ বেসরকারি উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ ইউডিসি উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন ওয়েব পোর্টাল, শ্রেষ্ঠ সিটিজেন জার্নালিস্ট সহ মোট ১০ টি ক্যাটাগরিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অর্জিত এ সাফল্যের জন্য তিনি সাতক্ষীরাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং অভিনন্দন জানান। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা খুলনা বিভাগীয় উদ্ভাবন সংকলন ২০১৭ ‘উদ্ভাবন নক্ষত্র’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সাতক্ষীরা জেলা। এ জেলার পর্যটন শিল্পসহ নানা বৈচিত্র্যতায় মুখরিত। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের একটি বড় অংশও রয়েছে এ জেলায়। এছাড়াও নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন শিল্পের প্রসারে এ জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারসহ নানাবিধ ইনোভেশন উদ্যোগ। ইতিহাস ঐতিহ্যের এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষ। আম ও চিংড়ী রপ্তানির ক্ষেত্রেও এ জেলা ইতিমধ্যে অনন্য স্বীকৃতি লাভ করেছে। ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায়ও রয়েছে সাফল্য। আগামী দিনে সাতক্ষীরা জেলাকে উন্নয়নমূলক ও ডিজিটাল সাতক্ষীরা হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলার মোট ৮টি থানা এবং ৭৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে সাধারণ নাগরিকরা ই-সেবা পাচ্ছেন। বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। এসব তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলো নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ওয়েব সাইটে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে ভূমি অফিসসহ অন্যান্য অফিসিয়াল কার্যক্রমেও। ওয়েব সাইট থেকেই জনগণ জেলার প্রয়োজনীয় সব তথ্য জানতে পারছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সবার সহযোগিতা পাচ্ছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
বাল্য বিবাহ রোধে’র ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এ প্রতিনিধিকে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সামাজিক সমস্যার নাম বাল্য বিয়ে। বাল্য বিবাহ বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোথাও বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। এ সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার সার্বিক শিক্ষার হার বেড়েছে। গ্রাম ও দুর্গম চরে স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের স্কুলমুখী করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে নারী শিক্ষার হারও। এছাড়া সাতক্ষীরা কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
খেলাধুলা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, খেলাধুলায় সাতক্ষীরা জেলার রয়েছে অনন্য অবদান। সম্প্রতি বিশ্ব ক্রিকেটে মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকারের অসাধারণ নৈপুণ্য সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে সুপরিচিত করেছে। ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল রেফারী হিসেবে তৈয়ব হাসান বাবু এবং প্রমীলা ফুটবলে সাবিনার রয়েছে অনন্য সাফল্য। ক্রীড়ার অন্যান্য ক্ষেত্রেও সাতক্ষীরার অবস্থান চোখের পড়ার মতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

SAMSUNG CAMERA PICTURES

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ৭০০ পিছ ইয়াবা সহ এক বৃদ্ধকে আটক করেছে কাটিয়া ফাঁড়ি পুলিশ। বৃদ্ধের নাম মমিনুল ইসলাম মনা(৫৬)। সে পাটকেলঘাটা থানাধীন বায়গুনী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শরফরাজ মোড়লের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাটিয়া ফাঁড়ির টি এস আই আবুল কালাম আজাদ, এ টি এস আই এনামুল হক, এ এস আই মুকাদ্দেস ও কনেস্টেবল আনিসুর রহমান শহরের কাটিয়া আমতলা মোড়স্থ সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সামনের পাকা  রাস্তা হতে আজ শুক্রবার সন্ধা ৭ টার দিকে ৭০০ পিছ ইয়াবাসহ মমিনুলকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে। এ দিকে বৃদ্ধ মমিনুল জানান, মাগুরার খলিলুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন আমতলার মোড় হতে পাটকেল ঘাটার পারকুমিরা গ্রামের মৃত ভূদেব নদীর ছেলে সঞ্জয় এর কাছে পৌছে দেবার জন্য প্যাকেট দুটো তাকে দিয়েছিল। বৃদ্ধ মমিনুল আরো জানান, এই মালের মালিক সে না, সে বাহক মাত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কবি সিকান্দার আবু জাফরের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও সিকান্দার মেলা উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উক্ত স্মরণিকায় গল্প, কবিতা, ছড়া ও প্রবন্ধ প্রকাশ করা হবে। আগ্রহীদের লেখা (সফট কপিসহ) আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এর মধ্যে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাতক্ষীরা বরাবর প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

sikandar_1856আবু সাঈদ
নেজারত ডেপুটি কালেক্টর
সাতক্ষীরা

সদস্য-সচিব
প্রকাশনা উপ-কমিটি
ফোন: ০১৭৩৩০৭৩৬০৪
ই-মেইল: ndcsatkhira87@gmail.com

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_94828342_hefajotislambangladesh5সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণের দাবি হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার সমর্থক শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে।

ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরে জুমার নামাজের পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজত নেতারা সমাবেশে হুমকি দিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা না হলে ‘শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে।

উল্লেখ্য এই কট্টর ইসলামপন্থী দলটি ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার শাপলা চত্বরে কয়েক লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী সেই সমাবেশে অভিযান চালিয়ে হেফাজত সমর্থকদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। হেফাজতে ইসলামের সেবারের বিক্ষোভটি ছিল বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন করার দাবিতে।

সেই অভিযানে বেশ কিছু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।

সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা এই ভাস্কর্য নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই হেফাজতে ইসলাম-সহ কয়েকটি দল আপত্তি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এই প্রথম ঢাকায় এরকম বড় কোন সমাবেশ থেকে দলটি গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের জন্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হলো।

শুক্রবার জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করেন। এদের বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র।

জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। সেখানে সংগঠনের নেতা নুর হোসেন কাশেমি সহ অনেকে বক্তৃতা দেন।

সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সবার প্রতিষ্ঠান। কাজেই সেখানে এরকম মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।

হেফাজত নেতারা বলেছেন, মূর্তি অপসারণের দাবিতে তাদের কর্মসূচি শুরু হলো মাত্র। সরকার যদি তাদের দাবি না মানে তাহলে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে হুমকি দেন সংগঠনের নীচের স্তরের কয়েক জন নেতা।

সমাবেশ শেষে কড়া পুলিশ পাহারায় হেফাজতে ইসলামের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_94830532_60f8afbb-f1ba-449b-b7c9-b887143d2975‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরকা’ বা বোরকার নিচে লিপস্টিক নামের এক হিন্দি ছবি নিয়ে ভারতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে সেন্সর বোর্ড এটিকে ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর।

ছবিটি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে এবং কয়েকটি পুরষ্কারও পেয়েছে।

ভারতের এক ছোট শহরে বসবাস করা চার নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছবির কাহিনি। এই চারজনের মনের ভেতরে লুকনো ইচ্ছেগুলি নিয়েই গল্প।

পরিচালককে পাঠানো একটি চিঠিতে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড জানিয়েছে যে ছবিটি ‘নারী-মুখী’ এবং সেখানে ‘অবিরত যৌন দৃশ্য এবং গালিগালাজ রয়েছে। ‘অডিও পর্নোগ্রাফি’ও রয়েছে ছবিটিতে – এটাও উল্লেখ করেছে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড।

ওই চিঠিটিতে যে পরিমাণ ভাষা এবং বানান ভুল রয়েছে, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।

‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরকা’ নামের ছবিটির এই ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে গতবছর অক্টোবরে।

আইএমডিবি ওয়েবসাইটে ছবিটির যে সারাংশ দেওয়া হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে যে ভারতের ছোট শহরের অলিগলিতে বাস করা চারজন নারীর গল্প এটি। তাদের গোপন করে রাখা ইচ্ছেগুলোর কাহিনী। এরা সকলেই নিজেদের জীবনে বাঁধা পড়ে গেছেন, কিন্তু মনের ইচ্ছেগুলো মরে নি।

ছোট ছোট ঘটনা আর কাজের মধ্যে দিয়ে এই চার নারী বেশ সাহসী হয়ে উঠেছেন আর কিছুটা বিদ্রোহও করছেন। ওই চার নারীর মধ্যে একটি চরিত্র এক মুসলমান যুবতীর।

ছবিটির পরিচালক অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব গ্লাসগোয় রয়েছেন একটি চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে স্কাইপের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় টি ভি চ্যানেলগুলিকে জানিয়েছেন, “ছবিটা যে ছাড়পত্র পাবে না, এটা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। সম্প্রতি পিঙ্ক-এর এমন কয়েকটি নারীদের গল্প নিয়ে তৈরি হওয়া ছবি মুক্তি পেয়েছে যার পরে আমার ছবিটি আটকে যাওয়া বেশ অবাক করার মতো ঘটনা।”

“প্রথমবার দেখার পরে বোর্ড সদস্যরা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেন নি, তারপরে দ্বিতীয়বার রিভিউ করা হয়। সেদিনই মৌখিকভাবে বোর্ডের প্রধান পহলাজ নিহালনী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। এরপরে ট্রাইবুনালের কাছে আপিল করা হবে বলে ছবিটির পরিচালক অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব।

ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের এক সদস্য মমতা কালে জানাচ্ছিলেন, “অনেকগুলি ধারা উপধারায় এই ছবিটা আটকে গেছে। আসলে সমাজের কোন অংশের গল্প এই ছবিতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটাই স্পষ্ট নয়। কখনই এটা বলা হয় নি যে নারীদের যে অধিকার রয়েছে, সেটা দেওয়ার বিরুদ্ধে বোর্ড। ছবিটার মধ্যে দিয়ে যে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, সেকারণেই আটকে গেছে। বারে বারে শুধু সার্টিফিকেশন বোর্ডকে দোষ দেওয়া অনুচিত।”

ছবিটি ছাড়পত্র না পাওয়ায় মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্রজগতের একটা বড় অংশ সমালোচনা শুরু করেছে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের।

পরিচালক অশোক পন্ডিত জানাচ্ছিলেন, “সরকার বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার বলছেন কোনও ছবির মুক্তি পাওয়া আটকানো উচিত নয়। বরং ছবিগুলোকে একেকটা শ্রেণীতে ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে। একজন গল্পকার বা পরিচালকের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। মি. পহলাজ নিহালনীর পছন্দমতো হতে হবে সব ছবি।এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।”

সাম্প্রতিক কালে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড এরকম একাধিক সিনেমাকে ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করে অথবা প্রচুর সংখ্যক দৃশ্য ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দিয়ে সমালোচিত হয়েছে।

বোর্ড প্রধান পহলাজ নিহালনী বেশ কিছু হিন্দি ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন। ঘোষিতভাবেই তিনি হিন্দুত্ববাদী বি জে পি-র ঘনিষ্ঠ। তাঁর সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে এই অভিযোগ বারে বারেই উঠেছে যে হিন্দুত্ববাদীদের যে বিশুদ্ধ ভারতীয় সংস্কৃতির ভাবধারা রয়েছে, তিনি চলচ্চিত্রে সেই ভাবধারাই প্রবর্তন করতে চাইছেন।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার শ্যাম বেনেগালের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া একটি সরকারি কমিটিও কীভাবে ছবির ছাড়পত্র দেওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কিন্তু সরকার তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয় নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imageঅনলাইন ডেস্ক: ঘটা করে বিয়ে করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি শহরের অরবিন্দ যাতাভ (নাম পরিবর্তিত) ও গুনা এলাকার দেবিকা (নাম পরিবর্তিত)। ২০১২ সালে বিবাহের পর দু’জনেই ঠিক করেন পুলিশে এসআই নিয়োগের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবেন। সেই অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী জোরদার পড়াশোনাও শুরু করেন। ২০১৩ সালে পুলিশে নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন দেবিকা। কিন্তু, অনুত্তীর্ণ হয়ে যান অরবিন্দ।

নিয়োগের পরপরই পুলিশ ট্রেনিং-এর জন্য বাড়ি ছাড়েন দেবিকা। স্বামী অরবিন্দের অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই যেন আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। যে দেবিকা সবসময়ে একসঙ্গে থাকার কথা বলত, এক সুন্দর সংসারের কথা বলত— এ সব কথা যেন রাতারাতি তাঁর মুখ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ অরবিন্দের।

এমনকী, দেবিকা স্বামীর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া স্ত্রী-র সঙ্গে কথা বলারই নাকি সুযোগ তিনি পান না বলে অভিযোগ অরবিন্দের। পুলিশে নিয়োগের জন্য দেবিকা সারাক্ষণ অরবিন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন। পুলিশে নিয়োগের প্রস্তুতিতে শ্বশুর-শাশুড়ি যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সে কথা সবাইকে বলে বেড়াতেন দেবিকা।

এহেন স্ত্রী-র মধ্যে আচমকা পরিবর্তনে খুবই অবাক হয়েছিলেন অরবিন্দ। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা নাকি ঘোষণা করেছেন দেবিকা। জানিয়ে দিয়েছেন, অরবিন্দকে যেনতেন ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে হবে। বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজপত্র নিয়ে এসে তাতে অরবিন্দকে সই করতেও নাকি চাপ দিয়েছেন দেবিকা। স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ না দিলে নিজেই এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও নাকি দেবিকা জানিয়েছে।

গোটা ঘটনায় হতাশ অরবিন্দ আপাতত স্ত্রীর কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশও জানিয়েছেন। একটা চাকরির জন্য স্ত্রীর এমন বদল মেনে নিতে পারছেন না অরবিন্দ। স্বামী তাঁর সঙ্গে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তার জন্য দাম্পত্যের সম্পর্কে এমন পরিণতিতে স্বাভাবিকভাবে হতাশাগ্রস্ত করে দিয়েছে অরবিন্দকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest