সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউডে তাঁরা নতুন নন, বেশ কিছু ছবিতে কাজ করে এরই মধ্যে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছেন। তবে একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। তবে এবারে সেই অপেক্ষা ফুরোচ্ছে। চলতি মাসেই বড়পর্দায় জুটি বেঁধে আসছেন শাহরিয়াজ ও জলি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিতে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তাঁরা।ছবিটি পরিচালনা করছেন নাদের চৌধুরী। ইমদাদুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্য করেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু। চলতি মাসের ২৩ তারিখ মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। নায়ক শাহরিয়াজ বলেন, ‘আমরা এই মধ্যে ছবির ডাবিং শেষ করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে সেন্সরে জমা দেওয়া হবে। এই মাসেই ছবিটি মুক্তি দেওয়ার লক্ষ নিয়ে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের ২৩ তারিখ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।’শাহরিয়াজ আরো বলেন, ‘আমরা ১২ আক্টোবর থেকে টানা শুটিং করেছি। চলতি মাসের ৬ তারিখ পযন্ত শুটিংয়ে ছিলাম। টানা কাজ করায় মনে হয়েছে আমি চরিত্রটা ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার মাথায় গল্পের চরিত্রটাই ছিল। এখন থেকে চেষ্টা করব টানা শিডিউল দিয়ে ছবির কাজ শেষ করতে।’এই কম সময় কীভাবে সেন্সরে জমা দেওয়া হবে জানতে ছবির সম্পাদক তৌহিদ হোসেন চৌধুরী বলেন ‘ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল অক্টোবরে। একদিকে শুটিং হয়েছে, আরেকদিকে আমরা এডিটিং করে ফেলেছি। ডাবিং করেছি ফাইনার এডিটিংয়ের পর। এখন মিউজিকগুলো সিংক করা হচ্ছে, সাথে কালারের কিছু কাজ। আমরা আগামী শুক্রবারের মধ্যে সব ধরনের সম্পাদনা শেষ করে ফেলব। শনিবার ছবিটি সেন্সরে বোর্ডে জন্য জমা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে চলতি মাসে ছবিটি মুক্তি দিতে কোনো সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না।’

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1250397005_1481625915ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার এ কথা জানান।

গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৬.৫ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। হাজার হাজার বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মাটির সাথে মিশে যায়।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পূর্ব নুগ্রহো বলেন, এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৮শ’ বেশি মানুষ ঘরছাড়া হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, বাসিন্দারা এখন আফটারশক হওয়ার ব্যাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন ও ভীত রয়েছে। তারা সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকতে বেশি আগ্রহ বোধ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_143935291_1481619012ডেস্ক: রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ তেল ব্যবসায়ী রেক্স ডব্লিউ টিলারসনকেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করলেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের বিভিন্ন সূত্রের কথা উল্লেখ করে খবরটি জানিয়েছে সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট।

জ্বালানি তেলবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অনত্যম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এক্সন মোবিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেক্স টিলারসন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশংসা করে তাকে ‘বিশ্বমানের খেলোয়াড়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের মতোই টিলারসন ৬৪ বছর বয়সী। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। তবে ইউরোপ-এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনয়নে টিলারসন ছিলেন কালো ঘোড়া। দলীয় সভায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও দীর্ঘ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তার নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই পদের মনোনয়নের জন্য আরো যারা ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন – নিউইয়র্কের মেয়র রুডি জিউলিয়ানি, ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি এবং সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান বব কোরকার।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা না হলেও হয়তো আগামী সপ্তাহেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রেক্স টিলারসনের নাম ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প। আর উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন বোল্টন।

৬৪ বছর বয়সী রেক্স টিলারসন কয়েক দশক ধরে এক্সন মোবিলের শীর্ষ পদে আছেন। এ সময়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করেছেন। আর রাশিয়ায় এক্সন মোবিলের বিস্তৃত ব্যবসার সুবাদে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো।

এর আগে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করাকে কেন্দ্র করে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেন রেক্স টিলারসন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2114933535_1481599884ডেস্ক: জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব হিসেবে শপথ নিয়েছেন অ্যান্টনিও গুটেরেস। সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন হলে এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

৬৬ বছর বয়সী পর্তুগালের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থায় ১০ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের মেয়াদ শেষ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1266194639_1481548952দূর থেকে মনে হয়, হলদে সোনালি রঙের আয়তাকার বড়সড় একটি বাক্স পড়ে আছে পদ্মা নদীর তীরে। কাছে গেলে বোঝা যায়, আসলে সেটি কত বিশাল। কাগজপত্রে এর নাম ‘স্টিল ট্রাস’। যা দৈর্ঘ্যে ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়, ১৫০ মিটার। আর উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এটি চারতলা ভবনের সমান। প্রস্থে তা আরও বেশি। আসলে এই ‘লোহার বাক্স’ই স্বপ্নের বাক্স! কারণ এটিই যে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান। নদীর বুকে পোঁতা পিলারগুলোর ওপর এমন ৪১টি স্প্যানকে ঘিরেই দেখা দেবে মূল সেতুটি। এসব ‘বাক্সের’ ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন আর ওপরে বসানো কংক্রিটের সড়কে চলবে গাড়ি। নির্মাণসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী মাস থেকে এসব স্প্যান স্থাপনের কাজ শুরু করা যাবে।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু তৈরির সম্ভাবনা বাস্তব হয়ে ওঠায় দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। গত এক বছরে সেতুর কাজ কতটা এগিয়েছে, তা দেখতেই গত শনিবার মাওয়া-জাজিরা যাওয়া।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ হয় প্রায় ২৭ শতাংশ। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। ৩৬৫ দিনে প্রকল্পের মোট কাজের ১৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে মূল সেতুর কাজে। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মূল সেতুর ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। চলতি বছরের একই দিন পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ শতাংশ।

গত শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করার পর জানান, সেতু প্রকল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। একটি স্প্যান পুরোপুরি তৈরি হয়েছে। আগামী মাসে তা স্থাপন করা হবে। আরও দুটি স্প্যান জোড়া দেওয়ার কাজ চলছে। একটি এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

যত কর্মযজ্ঞ ও কৌতূহল স্টিল ট্রাসকে ঘিরে:
নির্মাণাধীন সেতুর মাওয়া প্রান্তে আগের বছরের মতোই চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। দিন-রাত চলছে কাজ। নির্মাণসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানালেন, চীনের হোবেই প্রদেশের শিংহোয়াওদাও বন্দর সংলগ্ন কারখানায় তৈরি হয় স্প্যানের বিভিন্ন অংশ। এগুলো সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম আনা হয়। এরপর লাইটারেজ জাহাজে মাওয়া আনা হয়। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে (নির্মাণ ছাউনি) গ্রান্ডিং ও ওয়েল্ডিং করে জোড়া লাগানো হয়। প্রতিটি স্প্যান ৩৪টি অংশে বিভক্ত। এগুলোর একেকটির ওজন ৭-৮ টন! এ অংশগুলোই জোড়া দেওয়ার পর ‘স্টিল ট্রাসে’র অবয়ব পায়।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, ‘সেতুর জন্য মোট ৪১টি স্টিল ট্রাস তৈরি করতে হবে। দেখতে একই রকম হলেও এগুলোর একটি থেকে আরেকটি আকারে বা আয়তনে ভিন্ন। একটি ট্রাস সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়েছে। আরও দুটি জোড়া দেওয়ার কাজ চলছে। আরও একটি চট্টগ্রাম থেকে আজকালের মধ্যে রওনা হবে।’

তিনি জানান, চীনের শিংহোয়াওদাওয়ে আরও একটি ট্রাসের সব অংশ বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য ডাম্পিং করা হচ্ছে। আরও ছয়টি তৈরি হচ্ছে।

চীন থেকে আনা স্প্যানগুলো জোড়া লাগানো হচ্ছে মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (এমবিইসি) কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, তৈরি হওয়া স্প্যানটির ‘লোড টেস্টিং’ (ভারসহন পরীক্ষা) চলছে। মূল সেতু ও নদীশাসন কাজের পরামর্শক ‘কনসালটেশন সুপারভিশন কনসালট্যান্সি (সিএসসি) সার্ভিসের প্রকৌশলীরা সরেজমিনে দেখছেন, স্প্যানটি যানবাহন ও ট্রেনের ভার বহনে সক্ষম কি-না। তা দেখতেই স্প্যানের স্বাভাবিক ধারণ সক্ষমতার দেড়গুণ ওজন চাপানো হচ্ছে। যদি আকার-আকৃতির পরিবর্তন হয় কিংবা ভারে ভেঙে পড়ে তাহলে সেই স্প্যানকে বাতিল করা হবে। আশার কথা, সফলভাবেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে প্রথম স্প্যানটি। ‘পরীক্ষক’ সিএসসির সহ-আবাসিক প্রকৌলশী (সুপার স্ট্রাকচার) এস এম নাজমুল কবির জানান, আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। এর পরই নদীতে নামার জন্য প্রস্তুত হবে স্প্যানটি।

বিশাল আকারের কারণেই কৌতূহলের শেষ নেই স্প্যানকে নিয়ে। ঘুরেফিরে দেখা হয় সেটিকে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে নদীর তীর ঘেঁষে অস্থায়ী পিলারের ওপর বসানো স্প্যানের ইস্পাতের পুরুত্ব দেখে চমকে যেতে হয়। ৬০ মিলিমিটার! না হয়েই উপায় কী! এটিই সেতুর মূল কাঠামো। ৪২টি পিলারের ওপর থাকবে ৪১টি স্প্যান। একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত হবে শক্তিশালী তারের জোড়ার মাধ্যমে। এর ভেতর বসবে রেললাইন। ওপরে থাকবে ‘কংক্রিট সেগমেন্ট’। দুই মিটার প্রস্থের প্রায় তিন হাজার কংক্রিট সেগমেন্ট একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত করে তৈরি হবে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। যে দুটি স্প্যান জোড়া দেওয়ার কাজ চলছে সেগুলো বসবে ৩৭-৩৮ এবং ৩৮-৩৯ নম্বর পিলারে। বিশালাকারের এই স্প্যানগুলো তীর থেকে নদীতে নিয়ে যেতে ও পিলারের ওপর বসাতে চীন থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন আনা হয়েছে বলে জানালেন নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের।

স্প্যান তো তৈরি। কিন্তু যে পিলারের ওপর বসবে সেটার কী অবস্থা? তা দেখতেই নৌকা নিয়ে নদীতে নামা। মাওয়া প্রান্তে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো প্রথম স্প্যানটি এখনও কংক্রিটের আকার পায়নি। প্রতিটি পিলারের জায়গায় নদীর বুকে জেগে আছে তিনটি করে বিশালাকারের পাইপ। এগুলোই হলো পাইলিং। প্রতি পিলারে চারটি পাইলিং করা হয়েছে। একটি পানির নিচে, তাই দেখা যাচ্ছে না। পানির ওপর ভাসমান তিনটি পাইপের ভেতর কনক্রিট ঢালাইয়ে ঠাঁসা_ মাটির ১১৭ মিটার গভীরে পোঁতা। এসব পিলার আগামী এক মাসে চূড়ান্ত আকার পাবে বলে আশা করছেন প্রকৌশলীরা।

পাইলিং করতে কঠিন চ্যালেঞ্জ:
এদিকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সেতু নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে। নির্মাণসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, ২৬ ও ২৯ নম্বর পিলারের জন্য ১২৮ মিটার পাইলিং করতেই হবে। কিন্তু এই গভীরতায় শক্ত বালি বা পাথুরে স্তর নেই, ১২০ থেকে ১৮০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত কেবল নরম কাদার স্তর। এ স্তরে পিলারের নিচের অংশটি তাই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

প্রকৌশলীরা জানান, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সহায়তায় এ সমস্যা সমাধানের দুটি পথ পাওয়া গেছে। প্রথম সমাধান হলো, ১৮০ মিটারের বেশি পাইলিং করা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হলো, ১৩০ মিটারের বেশি পাইলিং পোঁতার মতো ‘হ্যামার’ পদ্মা সেতু প্রকল্পে নেই। দ্বিতীয় সমাধান হলো, কাদার স্তর শুরুর আগেই পাইলিং শেষ করে ফেলা। সেক্ষেত্রে পাইলিংয়ের পাশে গর্ত খুঁড়ে মাটিকে শক্ত করার জন্য কংক্রিটের ঢালাই ‘ইনজেক্ট’ করা হবে।

অন্য কাজও এগিয়ে চলেছে:
পদ্মা সেতুর প্রকল্পের কাজ হচ্ছে মোট পাঁচটি প্যাকেজে। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় সেতু এলাকায় নদীর দুই তীরে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। এ বাঁধই টিকিয়ে রাখবে সেতুটিকে। তবে নদীশাসনের কাজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ কাজ শেষ হয়েছে ২৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার ৭৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে মাওয়া-জাজিরা দুই প্রান্তে ১২ কিলোমিটার নদীশাসনের কাজ করছে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো। মাওয়া প্রান্তে নদীর তীর ঘেঁষে চলছে নদীশাসনের জন্য কংক্রিট ব্লক তৈরির কাজ। একই কাজ চলছে জাজিরা প্রান্তে প্রায় এক বর্গ কিলোমিটারজুড়ে। প্রকৌশলীরা জানালেন, সাড়ে সাত কোটি ব্লক তৈরি করা হবে। এগুলো দিয়ে নদীতীর বাঁধাই করা হবে।

মাওয়া প্রান্তে সংযোগ সড়ক (সংযোগ সড়ক-২) এবং সার্ভিস এরিয়ার কাজ প্রায় শতভাগ শেষ। জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮৫ ভাগ। সংযোগ সড়কের কাজ করছে আবদুল মোনেম ও মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান এইচসিএম কনস্ট্রাকশন। জাজিরা প্রান্তে ১২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাঙ্ক্ষিত গতিতেই এগোচ্ছে নির্মাণকাজ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মধ্যে কাজ শেষ হবে- এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

সেতু যেমন হবে, যা যা থাকবে:
প্রকৌশলীরা জানান, সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে পানিতে থাকবে ৪০টি। ডাঙায় সংযোগ সড়কের সঙ্গে সেতুকে যুক্ত করতে বাকি দুটি পিলার নির্মাণ হবে। একটি পিলার থেকে আরেকটির দূরত্ব হবে ১৫০ মিটার। ছয়টি মডিউলে বিভক্ত থাকবে সেতু। মাওয়া প্রান্তে এক হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট (ঝুলন্ত পথ) থাকবে। জাজিরা প্রান্তে ঝুলন্ত পথ থাকবে এক হাজার ৬৭০ মিটার। এই ঝুলন্ত পথগুলো সেতুকে অ্যাপ্রোচ রোডের (সংযোগ সড়ক) সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রায় তিন দশমিক ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভায়াডাক্টে থাকবে ৮১টি পিলার। রেললাইনের জন্য দুই প্রান্তে ৫৩২ মিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে ১৪টি পিলারের ওপর।

পদ্মা সেতুতে যান চলাচল ছাড়াও থাকবে আরও নানা সুবিধা। গ্যাস সরবরাহের জন্য থাকবে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ। ছয় ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসবে অপটিক্যাল ফাইবার ও টেলিযোগাযোগ লাইন স্থাপনের জন্য। উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও থাকবে এতে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। ২০০১ সালের ৪ জুলাই এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের আট বছরে সেতু নির্মাণে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ২০০৯ সালে আবারও সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে। ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয় সরকার। গত বছরের মার্চে শুরু হয় পাইলিং।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1481619090বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রাম দাঁড়িপাল্লা। তাই কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে এটি যেন ব্যবহৃত না হয়, সেই প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেবেন সর্বোচ্চ আদালত।

গতকাল সোমবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা ওই সভায় অংশ নেন।

হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, দাঁড়িপাল্লা যেন প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়টি জানিয়ে আগামীকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হবে।

দাঁড়িপাল্লা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রতীক। সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন করলে সেই প্রতীক হারাতে পারে দলটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1727493013_1481607381অনলাইন ডেস্ক: শীত এখনো পুরোপুরি জেঁকে বসেনি আমাদের এই রাজধানীতে। তবে বাতাস কিন্তু শীতের পরশ ঠিকই বুলিয়ে যেতে শুরু করেছে। আগুনমাখা সূর্যটাও আগের মতো আগুন ছড়ায় না। সেইসঙ্গে আরেকটি জিনিস কি খেয়াল করেছেন? আমাদের চারপাশে যে বাদামী-ধূসর প্রজাপতিগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে মনে সুখে।

বাসার সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়াশরুম; এমনকি শোবার ঘরে পর্যন্ত চলে এসেছে ওরা। এ ধরনের ধূসর-বাদামী প্রজাপতিগুলো শীতের মৌসুমে সব সময়ই আমাদের বাড়িঘরে এসে ভীড় করে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, হঠাৎ করে কোথা থেকে আসে ওরা? কেনইবা আসে? এই প্রজাতির প্রজাপতিগুলোর নাম ‘কমন ইভেনিং ব্রাউন’। শীতের শুরুতেই ওদের আনাগোনা শুরু। থাকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. মনোয়ারা হোসাইন জানান, প্রজাপতি হচ্ছে মূলত মৌসুমী প্রজাতির পতঙ্গ। যেসব প্রজাপতি শীতকালে দেখা যায়, সেগুলো গ্রীষ্মের সময় দেখা যায় না। কমন ইভেনিং ব্রাউন এমনই একটি। অধিক আলো, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত সহ্য করতে পারে না বলে গ্রীষ্মকালে ওদের উপস্থিতি কম থাকে বলেও জানান ড. মনোয়ারা।

কেন আসে ওরা আমাদের বাড়িতে?
বেশিরভাগ প্রজাপতির দেখার ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো কাজ করে দিনের বেলায়। কিন্তু কমন ইভেনিং ব্রাউনের ব্যাপারটা আলাদা। এদের ফোটন বা আলো ধারণের ক্ষমতা সবচেয়ে ভালো কাজ করে হালকা আলোতে। আমাদের বাড়িঘরের মধ্যে যে ধরনের আলো থাকে। আর এ কারণেই এই প্রজাপতিগুলো শীতের শুরুতে আমাদের ঘরে বেড়াতে আসে বলে জানান ড. মনোয়ারা।

অল্প তাপমাত্রায়, শীতে কেন আসে ওরা?
একটি প্রজাপতির জীবনচক্রের চারটি ধাপ থাকে: ডিম- শুয়োপোকা-গুটিপোকা এবং সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতি। বেশিরভাগ প্রজাতির ক্ষেত্রেই এই প্রতিটি ধাপের বিবর্তনে উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। তবে কমন ইভেনিং ব্রাউনিং কম তাপমাত্রায় বিবর্তিত হতে পারে। তাই শীতের মৌসুমে এই প্রজাপতি বেশি দেখা যায়।

ড. মনোয়ারা জানান, প্রজাপতিদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো প্রভাব আছে কি না- সেটা এখনো দীর্ঘ গবেষণার ব্যাপার। বাড়ির ছাদে ছোট ছোট বাগান, বাসার বারান্দার কিংবা ঘরের ভেতরে লাগানো গাছসহ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের ফলে প্রজাপতির ডিম দেয়ার জায়গা বাড়ছে এবং এতে শুয়োপোকাদেরও খাবার তৈরি হচ্ছে বলেও বিশ্বাস তার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_288205879_1481614900অনলাইন ডেস্ক: সব সেবা এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে একটি জাতীয় সাইট খুলেছে সরকার।  বাংলাদেশ সম্পর্কিত যত তথ্য, সরকারি ই সেবা, সেবা খাত, ব্যবসা বাণিজ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ, আইন-বিধি, অর্জন, জেলা বাতায়ন, সেবাকুঞ্জ বা যত ফরম-তার সবই এই সাইটেই পাওয়া যাবে। এই সাইটের ঠিকানা http://bangladesh.gov.bd।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একসেস টু ইনফরমেশন-এটুআই, বাংলাদেশ সফরওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন-বেসিস এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি-বিসিসি যৌথভাবে এই সাইটটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে।

বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, আলাদা আলাদা সেবার জন্য ওয়েবসাইটে ঢুকতে গেলে মানুষকে অনেক সাইটের ঠিকানা মনে রাখতে হয়। অনেকের জন্যই এটা মনে রাখা কঠিন। এই চিন্তা থেকে এক সাইটেই সব সেবা নিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই সাইটে ৬১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৩৫১টি অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংস্থা, আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা, ৪৮৯টি উপজেলা এবং ৪৫৫০ ইউনিয়নের সব তথ্য ও সেবাই পাওয়া যাবে।

এতে আছে সরকারি নিয়োগের সব বিজ্ঞপ্তি, সরকারি সব নীতিমালা, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, সরকারি কর্মকমিশন-পিএসসির সব পরীক্ষার ফলাফল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে ভর্তির তথ্যও আছে এই সাইটে।

সাইটটি দেখে জানা যায়, এখানে বাংলাদেশ সম্পর্কিত, বৈদেশিক বিনিয়োগ, আইন-বিধি, জেলা বাতায়ন, ই-সেবাসমূহ নামের স্লাইড রয়েছে। যেখানে ক্লিক করলেই বিস্তারিত সবই পাওয়া যাবে। এ সাইটি একদম আপডেটেড।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি প্রস্তুতি পরিকল্পনা, বাংলাদেশ সরকারের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। বাংলাদেশ সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা জন্য জাতীয় পরিকল্পনার কথাও বলা আছে সাইটটিতে।

সরকার কী কী ধরনের সেবা দেয় তাও জানা যাবে যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদকরন,  জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন,  এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল,  অনলাইন ভিসা যাচাই, অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, সরকারী চাকুরীর আবেদনের মডেল ফরম, নতুন ভোটার নিবন্ধন, এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল, শিক্ষক বাতায়নের সকল আপডেট ও সেবা পাওয়া যাবে এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ই ক্যাব) এর সভাপতি রাজিব আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। তবে সাইটটির মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল যাতে শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে দেখতে পারে এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেখা যায়, ফলাফল দিয়েছে সাইটে ঢোকা যায় না। এটি যেন না হয়। এছাড়া সব বিভাগগুলো যেন আপডেট থাকে এবং মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকে তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলে এর সুফল অনেক দিন পযন্ত পাবে দেশের জনগণ।’

এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রকল্প একসেস টু ইনফরমেশন-এ টু আই এর পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, ‘আমরা এ সাইটি প্রচার –প্রসারে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। আরো পর্যায়ক্রমে নিচ্ছি। প্রতিটি জেলায় জেলায় এ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তথ্য বাতায়ন যে অফিস আসে সেখানেও আমরা এই পোর্টালটি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করছি। ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে যখন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তখনো আমার এটির সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করছি।’

এ টু আই এর পরিচালক বলেন, ‘এটি জাতীয় সাইট। যা আপডেট রাখার বিষয়ে সরকার অনেক সচেতন। কারণ প্রতিমাসে মন্ত্রণালয়ে এ সম্পর্কে রিপোর্ট করতে হয়। কোন জেলার তথ্যের ঘাটতি আছে কি না তা তখন খুঁটিয়ে দেখা হয়। সুতরাং এটি নিয়ে আমরা সবাই সচেতন।’

সাইটটির জনপ্রিয়তা সর্ম্পকে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এরই মধ্যে সাইটটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। আর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইন ভিসা যাচাই, অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সরকারি চাকরিতে আবেদনের মডেল ফরম, নতুন ভোটার নিবন্ধন, শিক্ষক বাতায়নের তথ্য বা সেবা পেতে জনগণ সাইটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest