সর্বশেষ সংবাদ-

image-2বিনোদন ডেস্ক: প্রকাশ্যে অনুষ্কা শর্মার কাছে ক্ষমা চাইলেন আলিয়া ভট্ট। অবশ্য কোনো প্রফেশনাল সমস্যা নয়। বরং সহকর্মী হিসেবে একে অপরের প্রশংসাই করে থাকেন। এ নিতান্তই অনুষ্কার ব্যক্তিগত বিষয়। আসলে ক্ষমা চাওয়ার কারণ বিরাট কোহলি!

সম্প্রতি ‘ডিয়ার জিন্দেগি’র প্রচারে ‘কফি উইথ কর্ণ’-তে হাজির ছিলেন শাহরুখ-আলিয়া। সেখানে আলিয়াকে ক্রিকেটের কমেন্ট্রি করতে বলেন কর্ণ জোহর। সঙ্গে আবদার ‘সেনসেশনাল’ গলায় কমেন্ট্রি করতে হবে। এর পর আলিয়া সেনসেশনাল গলায় বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ের কমেন্ট্রি শুরু করেন। তার আগে অবশ্য অনুষ্কা শর্মার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তার পর থেকেই বিরাট-অনুষ্কার সম্পর্কে যেন নতুন করে সিলমোহর পড়ল।

এর আগে বহু বার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে বিরুষ্কা জুটিকে। দেশে হোক বা দেশের বাইরে একান্ত সময় কাটিয়েছেন। সম্প্রতি বিরাটের জন্মদিনেও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাজকোটেও গিয়েছিলেন অনুষ্কা। কিন্তু প্রকাশ্যে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খোলেননি কেউই। তবে আলিয়ার এই ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় তাঁদের সম্পর্কে আরও কোনও আড়াল থাকল না বলেই মনে করছে বলিউড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1290599726_1478410025অনলাইন ডেস্ক: এখনো কন্যা সন্তান জন্ম নেয়াকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয় ভারতীয় উপমহাদেশে। মেয়ে জন্ম দেয়ার ‘অপরাধে’ মায়েদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়শই ঘটে। পুত্রসন্তান না হওয়ায় মাকে হত্যা, কখনো আবার কন্যাসন্তানকেই হত্যা করার এমন নজির কিন্তু কম নয়।

এই বাস্তবতায় মেয়ে জন্ম দেয়ায় পুত্রবধূকে ‘হোন্ডা সিটি’ গাড়ি উপহার দিয়ে নজির গড়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা প্রেমা দেবী।

প্রেমা দেবী উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। অবসরের পর থেকে হামিরপুরে তার ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে থাকেন।  তিনি জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক ভালো। নাতনি হওয়াতে তাই খুবই আনন্দিত তিনি।

সূত্রের খবর, নাতনি হওয়ার খুশিতে পার্টিও দেন প্রেমা দেবী। পার্টিতেই তিনি ঘোষণা করেন যে, দীপাবলির আগে নাতনি হওয়ায় পুত্রবধূ খুশবুকে একটি ‘হোন্ডা সিটি’ গাড়ি উপহার দিতে চান।

শাশুড়ির এই আচরণে খুশিতে কেঁদে ফেলেন খুশবু। প্রেমা দেবী বলেন, “কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করে দেয়ার প্রবণতা তখনই কমতে পারে যখন পুত্রবধূদের মেয়ে হিসেবে দেখা হবে। তারাও কারোর সন্তান। এটা কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়।”

প্রেমা দেবীর বলেন, “যদি পুত্রবধূদের প্রথম দিন থেকেই আমরা মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করতে পারি তাহলে সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।”

খুশবু জানান, প্রেমা দেবীর মতো শাশুড়ি পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। সম্পর্ক দুজনের উপর নির্ভর করে। তাই সমস্ত পুত্রবধূদেরও দায়িত্ব শাশুড়ির সঙ্গে নিজের মায়ের মতো ব্যবহার করা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1456922339অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় সংসদের দুই নম্বর গেইটের মেডিসিন সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সাড়ে ৪ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার পরিদর্শক এনায়েত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মেডিসিন সেন্টারের এসি রুমে আগুন লেগেছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন তীব্র ছিল না।’ ক্ষয়ক্ষতির বিষয় ও আগুনের সূত্রপাত রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যাবে বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pm-bookঅনলাইন ডেস্ক: ২০১৭ সালে পাঠ্যপুস্তকের কভার পৃষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী‘র বই বিতরণের ছবিসহ শ্লোগান ‘মানসম্মত শিক্ষা, জাতির প্রতিজ্ঞা’ অন্তর্ভুক্ত করে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের নিকট বই পৌছানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমেটি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৩১তম বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন।

সাবেক এই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত ও জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে এবং সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে আরো গতি চায় সংসদীয় কমিটি। কারণ দশম জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১০৫টি সুপারিশের মধ্যে ৭৪টি সুপারিশ এখনো বাস্তয়ন হয়নি। এ পর্যন্ত মাত্র ২৭টি সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং ৪টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় আরো গতিশীল হলে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হত। আগামীতে যাতে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করব। মিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ে সবাই কথা বলতে চায়, কিন্তু কেউ শুনতে চায় না।

তিনি বলেন, কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা বোর্ড করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার বই ছাপানোর জন্য আলাদা প্রেস করারও সুপারিশ করেছে।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা হওয়ার কথা কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা বিনামূল্যে হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

আসন্ন বছরের বিনামূল্যের বই ছাপানো সম্পর্কে তিনি বলেন, এবার ভারতে মাত্র ১২ শতাংশ বই ছাপানো হচ্ছে। আন্তর্জতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের ২টি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। আর বাংলাদেশের ২৭টি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এবার প্রায় ৩৪ কোটি বই ছাপানো হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ হবে। আর ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলায় বই পাঠানো হবে। এবারই প্রথমবারের মত বইয়ে প্রধানমন্ত্রীর বই বিতরণের ছবি থাকবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখছি না। এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা, এসএসসি ও ডিগ্রি পরীক্ষা থাকবে না।

কমিটি সরকারিকরণ বিদ্যালয়ে ৩য় ধাপের শিক্ষকদের বেতন ভাতা আগামী ৭দিনের মধ্যে প্রদানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। তাছাড়া জাতীয় শিক্ষা নীতি ১০ অনুযায়ী ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করে।

বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ উজ জামানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1349122708_1478565129অনলাইন ডেস্ক: নাগরিক জীবনে নানাবিধ সমস্যার সাথে সাথে পেটে মেদ জমার সমস্যাও বেশ ভোগায়। অথচ পেটে মেদ জমার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে- অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম কম করা, রাতে ঠিকমতো না ঘুমানো ও অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া।

কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই পেটে আর জমবে না মেদ। চলুন দেখে নেয়া যাক সেগুলো-

# চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা। এমনকি চা ও ফলের রসেও চিনি মেশাবেন না। কারণ চিনি মেদ বাড়ায় দ্রুত। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে চিনি বাদ দিতে পারলে পেটের মেদ কমিয়ে ফেলা সহজ হবে অনেকটাই।

# প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এটি দীর্ঘসময় পেটে থাকবে। ফলে বারবার ক্ষুধা লাগবে না। পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্যালরি দূর করতেও সাহায্য করবে প্রোটিন।

# ফাস্টফুড ও কোল্ড ড্রিংক একদম নিষিদ্ধ।

# শাকসবজি ও ফল খান প্রতিদিন। ফাইবারজাতীয় এসব খাবার মেদের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী।

# দিনে কয়েকবার গ্রিন টি পান করুন। এটি মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

# প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করুন। ভোরে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

# রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত ঘুম সুস্থ ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1980832565_1478577566অনলাইন ডেস্ক: অনেক ফলের গায়েই স্টিকার লাগানো থাকে। বিশেষত আপেল বা মালটার গায়ে স্টিকার থাকেই। এই স্টিকার ছিড়তে গিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন, বিরক্ত হন। কিন্তু  ফলের গায়ে কেন এই স্টিকার থাকে থাকে?

এই স্টিকারটির সুন্দর একটা নাম আছে-প্রাইস লুকআপ কোড। সংক্ষেপে পিএলইউ কোড। এটা কিন্তু এমনি এমনি লাগানো হয়নি। স্টিকার লাগানোটা ফল বিক্রিতে নিয়মের অংশ। বিভিন্ন ফলের ওপর থাকা স্টিকারের ওপরের সংখ্যা ও বারকোড ফলের পরিচয়, ধরন ও উৎপাদন পদ্ধতিসহ নানা তথ্য বহন করে। যা দেখে সহজেই আপনি ফলের গুণাগুন বুঝতে পারবেন।

যদি আপেলের গায়ে বিভিন্ন কোড লেখা থাকে, যেমন ৪১৩১, ৪১৩৩, ৪০১৭ ইত্যাদি। প্রত্যেকটা সংখ্যার মানে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। এখানে ফুজি আপেল হলে ৪১৩১, গালা আপেল হলে ৪১৩৩, সবুজ রঙের আপেল হলে ৪০১৭ স্টিকার লাগানো হয়। চার সংখ্যার কোড মানে প্রচলিত পদ্ধতিতে আপেল চাষ হয়েছে। প্রথম সংখ্যাটি ৪ এর আগে যদি আরো একটি সংখ্যা ৮ থাকে তবে ভিন্ন পদ্ধতি বোঝায়। ৪১৩১ মানে ফুজি আপেল ঠিকই কিন্তু ৮৪১৩১ মানে প্রচলিত পদ্ধতিতে নয়, জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে এটি উৎপাদন করা হয়েছে। ৮ না হয়ে যদি ৯ লেখা হতো তবে সেটিও ফুজি আপেল। কিন্তু কোনো কিটনাশক ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদিত।

ক্রেতারা যাতে সহজেই বুঝতে পারেন, এজন্য এমন কোড লেখা হয়ে থাকে। এটাই আন্তর্জাতিক নিয়ম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার প্রাইস লুক কোড সম্পর্কে শিক্ষিত ক্রেতারাও জানেন না।

দেশে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন কোড লেখা থাকে না। দেশে ক্রেতাদের বোঝার স্বার্থে গুড, ওকে এ জাতীয় কথা লেখা থাকে। কোনো কোনো স্টিকারে অর্গানিক, জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড(জিএম), ন্যাচারাল ইত্যাদিও লেখা থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2094729905_1478589599স্বাস্থ্য ও জীবন: আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে চিরতা পরিচিত একটি নাম। ওষুধি গুণাগুণের জন্য অতি প্রাচীনকাল থেকেই এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিতা স্বাদের চিরতার পাতা, ডাল ও কাণ্ড সবই ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক- উভয় অংশের রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

চিরতার পানি ডায়াবেটিস রোগীদের শারিরীক দ‍ুর্বলতা কাটিয়ে তোলে ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে। অ্যাজমা রোগীদের জন্যও খুব উপকারী চিরতার পানি। ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও আরও অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয় চিরতা।

ব্যবহার:
সাধারণত চিরতা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে পানি পান করা হয়। প্রাচীন ভারতে এটি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নিয়মিত সকালে খালি পেটে চিরতার পানি পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।

কার্যকারিতা:
চিরতা শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া দূর করে। জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যানসার, পাইলস, চর্মরোগ ও অন্ত্রের কৃমি দূর করে। একইসঙ্গে চিরতা লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষুধা উদ্দীপক এবং হজমে সহায়তা করে।

ত্বকের যে কোনো সমস্যা যেমন- ব্রণ, ইনফেকশন, জ্বালাপোড়া, দাগ, চুলকানি, লালচে ভাব, পোড়াদাগ দূর করতে চিরতার পানি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বকে ফুসকুড়ি রয়েছে তারা গোসলের পানিতে চিরতার রস ব্যবহার করতে পারেন।

চিরতা রক্ত থেকে টক্সিন দূর করে ও রক্ত পরিষ্কার করে। ডায়রিয়া ও জন্ডিস নিরাময়ক এ ভেষজ উপাদানটি চোখ, হার্ট এবং অ্যাজমা রোগীদের জন্যও সমান উপকারী।

চিরতার তিক্ততা মুখের লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসরণ ও পাচক রস উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে অতিরিক্ত তেষ্টাবোধ ও মাংসপেশির স্ফীতি রোধ হয়। তবে মনে রাখা দরকার, দিনে একগ্লাসের বেশি চিরতার পানি খাওয়া ঠিক না।

0 মন্তব্য
1 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2093666808_1478587557অনলাইন ডেস্ক: পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। নির্দিষ্ট সময় পর কারো কারো লিঙ্গ পরিবর্তন হওয়ার কথা আমরা শুনেছি। তবে এর সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু ডমিনিকান রিপাব্লিকের সালিনাস নামের গ্রামে একটা বয়সের পরে অনেক নারীরা পুরুষে রূপান্তরিত হয়।

ওই গ্রামে মেয়ে হিসেবে জন্মগ্রহণ করার পরে তাদের ১২-১৩ বছর হলে পুরুষে রূপান্তরিত হয়। ব্যাপারটা শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, এমন ঘটনা সত্যিই ঘটে সালিনাস গ্রামে। মেয়ে হিসেবে জন্ম নেওয়া একটি বাচ্চা তার কৈশোরে পৌঁছে পরিণত হয় ছেলেতে। সালিনাসের অনেক মেয়েই একটা বয়সের পরে একেবারে শারীরিকভাবে পাল্টে যায় পুরুষে।

আসলে এটা এক ধরনের শারীরিক ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। বাচ্চারা যখন গর্ভে থাকে, তখনই এই ত্রুটির প্রভাব দেখা দেয় তাদের শরীরে। একটি বিশেষ এনজাইমের অভাবেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাধারণত বাচ্চার গর্ভবাসের অষ্টম সপ্তাহ নাগাদ তার শরীরে যৌন অঙ্গ বিকশিত হওয়া শুরু হয়। ডিহাইড্রো টেস্টোস্টেরন নামের একটি হরমোনের প্রভাবে গর্ভস্থ শিশুদের পুং জননাঙ্গ পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। এই হরমোনকে সক্রিয় করে তোলে একটি বিশেষ এনজাইম। কিন্তু সালিনাসের মায়েদের গর্ভকালীন পুষ্টির অভাবের কারণে এই এনজাইম তাদের গর্ভে যথেষ্ট বলবৎ হতে পারে না। ফলে যারা আসলে পুরুষ শিশু, জন্মের সময়ে তাদের পুরুষাঙ্গ ঠিকমতো গঠিতই হয়।

জন্মকালে এতটাই অপরিস্ফুট থাকে পুরুষ বাচ্চাদের জননাঙ্গ যে, বাবা-মায়েরা বুঝতেই পারেন না তাদের বাচ্চাটি আসলে ছেলে। মেয়ের মতো করেই বাবা-মা মানুষ করতে থাকেন তাকে। কিন্তু বছর বারো বয়সে যখন পুরুষ শরীরে দ্বিতীয় বারের জন্য টেস্টোস্টেরনের সময় আসে, তখন তাদের শরীরে ফুটে উঠতে থাকে পুরুষ লক্ষণ। তখন বোঝা যায়, বাচ্চাটি আসলে পুরুষ।

সালিনাস গ্রামের ২৫ বছরের পুরুষ জনি এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন শৈশবে। তিনি জানালেন, ‘আমি ছোটবেলায় স্কুলে যেতাম স্কার্ট পরে। মাথায় থাকত বিনুনি। কোনওদিনই অবশ্য একটা মেয়ের মতো মনে হয়নি নিজেকে। কিন্তু বছর বারো বয়স থেকে আমার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। আমি নিশ্চিত হয়ে যাই যে, আমি একজন পুরুষ।

জনির মতো মানুষ আরও অনেকেই রয়েছেন সালিনাসে। ১৯৭০ সালে এই গ্রামের এই অদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করেন ড. মাইকেল মোসলে নামের এক আবিষ্কারক। বিষয়টির নেপথ্যে রয়েছে এক নির্মম সত্য। সালিনাস দারিদ্র্যপীড়িত এবং মূল ভূখণ্ড থেকে দূরবর্তী একটি গ্রাম। সেই কারণেই পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে ভুগতে হয় গর্ভবতী মহিলাদের। আর তারই প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ শিশুদের শরীরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest