সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

manjurul-ahsan-khanবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান ওমরাহ পালন করায় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। কেউ কেউ একজন কমিউনিস্টের ওমরাহ পালনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মের বিরোধ নেই উল্লেখ করে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কী আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সিপিবির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ আছে এমন বামপন্থীরা আবার ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর হজব্রত পালনের সময় যে কথা উঠেছিল ওই প্রসঙ্গ টেনে এনে তখন কেন সমালোচনা হয়েছিল সে প্রশ্ন তুলেছেন।

চলতি সপ্তাহে মক্কায় ওমরাহ পালন করে এখন মদীনায় আছেন একসময়ের জনপ্রিয় শ্রমিকনেতা এবং সিপিবির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান।

তার ওমরাহ পালনের খবরে কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর ফেসবুকে পরিহাসের সুরে লিখেছেন: সিপিবি নাকি ‘ইসলামি সমাজতন্ত্র’নামে নতুন ধরনের সমাজতন্ত্রের কর্মসূচী ঘোষনা করতে যাচ্ছে?
menon-inu-300x187
সরাসরি না হলেও তার জবাব পাওয়া গেছে সাবেক ছাত্রনেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীনের ফেসবুক পোস্টে। নিজে সিপিবিপন্থী বাম ধারার না হলেও এক্ষেত্রে তিনি কোন সমস্যা দেখছেন না।

শাহীন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন: সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে যে সাম্যের কথা বলা আছে তার সাথে ধর্মের বিরোধ না করেও সেই সাম্য ব্যবস্থাকে সমর্থন করা যায়। উৎপাদনের উপায়ের ব্যাক্তি মালিকানা উচ্ছেদ করে সামজিক তথা রাষ্ট্রীয় মালিকানা আরোপ করাই হচ্ছে সমাজতন্ত্রের মুল ধারণা। এর সাথে ধর্মীয় বিরোধ তৈরি করা একটি অপরিপক্ক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই অপরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজে বদ্ধমুল ধারণা যে কমিউনিস্টরা নাস্তিক।

কিন্তু, সেটা যে ঠিক নয় তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলছেন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, মন্দিরে পূজা দিয়ে, গির্জায় উপাসনা করেও উৎপাদনের উপায়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানাকে সমর্থন করা যায়। এর সাথে ধর্ম পালন করা না করার কোন সম্পর্ক নেই।

‘সিপিবির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান ওমরাহ হজ্জ করাতে মনে হচ্ছে কমিউনিস্টদের জাত গেল। তাহলে কমিউনিস্টদেরও জাত ধর্ম আছে, সেই ধর্ম হচ্ছে ধর্ম পালন না করা, ’এরকম উল্লেখ করে তিনি জানাচ্ছেন: বিশ্বের একমাত্র মুসলিম কমিউনিস্ট দেশ ছিল ইউরোপের আলবেনিয়া । সেই দেশের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোজ্জা এক সময় বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রভাব বিস্তারকারী নেতা ছিলেন এবং তার দেয়া তত্ত্ব জনগণতন্ত্র স্তালিনের নেতৃত্বে কমিউনিস্টদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং সেই মোতাবেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব ইউরোপে জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল।

শাহীন মনে করেন: আলবেনিয়ার মতো সংখাগরিষ্ঠ একটি মুসলিম দেশে কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় যাওয়াতে ধর্মের সাথে কোন বিরোধ হয় নাই। উৎপাদনের উপায়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানার মাধ্যমে সাম্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার যে অর্থনৈতিক রূপরেখা তা নামাজ-কালাম পড়েও বাস্তবায়ন বা সমর্থন করা যায়।

‘এই সামান্য বুদ্ধিটা কমিউনিস্টদের নাই বলে সাবেক সিপিবি সভাপতি ওমরাহ হজ্জে মোনাজাত করে দোয়া করেছেন যেন “আল্লাহ কমিউনিস্টদের বুদ্ধি বাড়িয়ে দেন” ।

কমিউনিস্টদের এরকম ‘বুদ্ধি-শুদ্ধি’র কারণেই মঞ্জুরুল আহসান খান দোয়া করেছেন বলে শাহীন যে কথা বলছেন সেখানেই অবশ্য ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরে-খোদা-টরিক এর আপত্তি।

নিজের পোস্টে তিনি বলেছেন: কয়েকজন বন্ধু আমাকে একটা লিংক পাঠিয়েছেন এবং লিখেছেন, আপনার নেতা, কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান, হ্জ্ব পালন করছেন! সাথে মঞ্জু ভাইয়ের ছবি ও একটি জাতীয় দৈনিকের লিংক। তারা হয়তো আমাকে বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দেয়া, নয়তো অবগত করার জন্য ইনবক্স করেছেন। আমি বিব্রত!

‘তিনি হ্জ্ব করবেন, নামাজ পড়বেন, ধর্মকর্ম করবেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, সেটা নিয়ে আমার কোন কথা নেই। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে তিনি যে মন্তব্য করেছেন সেটা নিয়ে কয়েকটা কথা আছে,’ উল্লেখ করে তার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, সেখানে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার পুরোটাই রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক।

‘হ্জ্বরত অবস্থায় মক্কা থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, বামপন্থীদের সবার মাথায় যেন বুদ্ধি আসে সে জন্য দোয়া করেছেন!’ এটা উল্লেখ করে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন টরিক:
১. তিনি কি বিশ্বাস করেন যে, হজ্বে যে দোয়া করবেন, আল্লাহ তা কবুল করবেন! এবং সেই জন্যই তিনি সেখানে গেছেন! কারণ তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক চেষ্টা করেছেন, বামপন্থীদের মাথায় বুদ্ধি আনয়নের জন্য, তার কোন দাওয়াই কাজে না লাগায়- তিনি চুড়ান্ত গায়েবী দাওয়াইয়ের জন্য হজ্বে গেছেন!
২. তাহলে কি এবার নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওনার দেশে ফেরার মধ্যে দিয়ে দেশের সকল বামদের মাথায় বুদ্ধি কিলবিল করবে!
৩. তিনি কি মনে করেন তিনিই (তার দলের কারো কারো) বাংলাদেশের একমাত্র বামনেতা যার মাথায় অনেক বুদ্ধি, আর সবাই কাণ্ডজ্ঞানহীন বা কম বুদ্ধির মানুষ..?
৪. দোয়া দিয়েই যদি কাজ হয়, তাহলে এত লড়াই, সংগ্রাম, বিপ্লব, বিদ্রোহ, জেল-জুলুম, সংগঠনের দরকার কি..?
৫. তিনি যদি মনে করেন, না আসলে ঠিক তা না, হজ্ব করতে কিছু দোয়া করতে হয় তাই করেছি! তাহলে প্রশ্ন তিনি তা গোপন রাখতে পারতেন! সেটা না করে কেন সাংবাদিকদের ঘটা করে তা বলতে গেলেন?
৬. কমিউনিস্ট পার্টি কি এখন ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে..?
৭. কেউ যদি বলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত সফর, তাহলে প্রশ্ন: তিনি সাক্ষাতকারে তেমন ব্যক্তিগত কথা বলেননি (পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি), পুরোটাই রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বক্তব্য রেখেছেন!
৮. নাকি হজ্ব পালন একটি রাজনৈতিক কৌশল..? যেহেতু আমাদের দেশে একটি প্রচারণা আছে কমিউনিস্ট মানেই নাস্তিক, সেই অপবাদ ঘোঁচাতে ও প্রমাণ করতে যে, কমিউনিস্টরাও ধর্মকর্ম করে! কিন্তু এই কৌশল কি কাজে দেবে..?
৯. হজ্বের রাজনীতি-অর্থনীতি নিয়ে কমিউনিস্ট-বামপন্থীরা অনেক আলোচনা-সমালোচনা করত.. এখন নিজেরাই তার অন্তর্গত প্রায়.. কোন জবাব আছে কি..?
১০. কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে কি মঞ্জু ভাইয়ের এই বক্তব্যের কোন ব্যাখ্যা দেয়া হবে..?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7777777777জি এম আবুল হোসাইন: মঙ্গলবার রাতে আলোচনা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও লাকি কুপনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে ৪ দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী মহাশ্মশান কালি পূজা ও পৌষ সংক্রান্তি উৎসব। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা মহাশ্মশান মন্দির কমিটির আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বাবু গোষ্ঠ বিহারী মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন। তিনি বলেন, এ মেলা হিন্দু মুসলিম সবার মিলন মেলা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ এক অটুট বন্ধন। তিনি ৪দিন ব্যাপী এমন অনুষ্ঠান আয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাধুবাদ জানান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার এ. মজিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. খালিদুর রহমান, জেলা যুব জাতীয় পার্টির সভাপতি আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, ঝাউডাঙ্গা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইফতিয়ার উদ্দীন, উৎসব কমিটির সদস্য সচিব প্রভাষক তপন কুমার দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভুধাংশ শেখর সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

575ডেস্ক: পরিবারের অমতে বিয়ে করায় পাকিস্তানের লাহোরে এক তরুণীকে নির্যাতনের পর মা নিজেই তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণীর লাশ কবর দিয়েছে তার শ্বশুরপক্ষের লোকজন।

পুলিশ জানায়, নিহত অষ্টাদশী জিনাত রফিকের শরীরে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। মা পারভিনকে (৫০) জিনাতের লাশসহ বাড়ি থেকেই আটক করা হয়। পারভিন এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও পুলিশের ভাষ্য, ‘পরিবারের কারো সাহায্য ছাড়া ৫০ বছর বয়সী একজন নারীর পক্ষে একা এ ধরনের কাজ করা সম্ভব বলে আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। ’ পুলিশ জিনাতের পালিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজছে।

সপ্তাহখানেক আগে জিনাত বাড়ি থেকে পালিয়ে হাসান খানকে বিয়ে করে এবং শ্বশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে। পরে জিনাতের মা বিয়ের অনুষ্ঠান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। জিনাতের চিত্কার শুনে প্রতিবেশিরা বিষয়টি থানায় জানালেও পুলিশ পৌঁছার আগে তার মৃত্যু হয়।

ভালোবেসে বিয়ে করার ব্যাপারে রক্ষণশীল পাকিস্তানে প্রায়ই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে। পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনের তথ্য মতে, গত বছর প্রায় এক হাজার ১০০ নারীকে একই কারণে স্বজনদের হাতে জীবন দিতে হয়। অনেক ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xe703tm243qn67dead-body
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাটা বিল থেকে শান্তিরাম বিশ্বাস (৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পেশায় নরসুন্দর (নাপিত) শান্তিরাম বিশ্বাসের বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সোনাবাড়িয়া গ্রামে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার সোনাবাড়িয়া বাজারের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শান্তিরামের একটি সেলুন রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার সকালে ঝাপাঘাট বিলে তার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওসি আরও জানান, উদ্ধারকালে শান্তিরাম বিশ্বাসের মুখে বিষের গন্ধ ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে মরদেহ বিলে ফেলে রেখে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

10888851_884046451639423_7160748102016665934_nনিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রশংসা পেয়েছেন আগেই। এবার আনুষ্ঠানিক একটা স্বীকৃতিও তৈয়ব হাসানের জন্য বড় এক সুসংবাদ। বাংলাদেশের সদ্য সাবেক এই রেফারিকে বিশেষ সম্মাননা দিচ্ছে এএফসি। ১৯ জানুয়ারি কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে অন্য অনেকের সঙ্গে এই সম্মাননা নেবেন তৈয়ব। এ সম্মাননা নেয়ার উদ্দেশে আজ সাতক্ষীরা ত্যাগ করছেন তিনি।
দীর্ঘদিন রেফারিংয়ে অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা দিয়ে থাকে এএফসি। বাংলাদেশ থেকে প্রথম এটি পাচ্ছেন তৈয়ব। যিনি আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সব ধরনের রেফারিং থেকেই মাস কয়েক আগে অবসরে গেছেন। ১৯৯৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১৮ বছর ফিফা রেফারি ছিলেন, এলিট প্যানেলে থেকে এশিয়াজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন। এএফসির এলিট প্যানেলে রামকৃষ্ণের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি রেফারি তৈয়ব একসময় এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায়ও ছিলেন।
উল্লেখ্য, তৈয়ব হাসান বাবু সাতক্ষীরার পলাশপোল গ্রামের কৃতি সন্তান।
দেশে তিনি হয়তো হেনস্তা হয়েছেন অনেক সময়। মূল্যায়নও তেমন হয়নি। তবে দেশের বাইরে সম্মান ঠিকই পেলেন। আর তাই আপ্লুত তৈয়ব হাসান বলছেন, ‘এই অর্জন আমার একার নয়, গোটা দেশের, গোটা রেফারি সমাজের।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ddddddddddddএতদ্বারা সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে হেয় প্রতিপন্ন করা ও অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে স্বাক্ষর জালিয়াতি করছে একটি চক্র। তাই সংশ্লিষ্ট অফিস ও দপ্তর সমূহের ব্যক্তিদের সতর্ক থাকাসহ ঐ জালিয়াতি চক্রকে ধরার জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে। তাই এখন থেকে সংসদ সদস্যের যে কোন স্বাক্ষর করা ডকুমেন্ট গ্রহণ করার পূর্বে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে অবগত করতে বলা হয়েছে।

সংসদ সদস্যের বিশেষ সহকারী
(শেখ মাহফুজুর রহমান)
মোবাইল নং-০১৭১৩-৮৬৫৫৮৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ২০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন গত ১২ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কমিটি তড়িঘড়ি করে নির্বাচনী সিডিউল ঘোষনা করে তা নোটিশ বোর্ডে টানিয়েছেন। স্থানীয় পত্র পত্রিকায়ও তা প্রচার করা হয়েছে। এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) মজিদ গত ১৫ জানুয়ারি তোজাম্মেল হকের চিঠিতে উল্লেখিত পাঁচজন আইনজীবীকে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ও সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ধারা লংঘন করে সভাপতির সাথে কোনো প্রকার আলোচনা কিংবা পরামর্শ  না করে গত ১২ জানুয়ারি কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা দেখিয়েছেন।  সমিতির সভাপতিকে অনুপস্থিত উল্লেখ করে তিনি সহসভাপতি অ্যাড. গোলাম মোস্তফাকে সভাপতিত্ব দেখিয়ে গঠনতন্ত্র পরিপন্থি এই পাতানো সভা ডাকেন। বাস্তবে এমন কোনা বৈঠক না করেই তিনি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কথিত নির্বাচন কমিশন গঠন করেন’। সভাপতি তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন যে এভাবে সভা আহবান এবং কমিশন গঠন করায় সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির ১৪ (গ), ১৪ (ক) বা ১৪ (ক) (২) দফা ভঙ্গ হয়েছে। সমিতির সভাপতি হিসাবে তিনি নির্বাচন কমিশন সদস্যদের নির্বাচন পরিচালনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন ‘ সভাপতি  সভায় উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করায়  গঠনতান্ত্রিক শুন্যতা এড়াতে সহসভাপতি বৈঠকে সভাপত্ত্বি করেছেন। এ ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র লংঘনের কোনো সুযোগ নেই। এই কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে’। তবে সমিতির সভাপতি অ্যাড. মজিদ বলেন ‘আমি আইনজীবী সমিতিতে সেদিন উপস্থিত ছিলাম। আমাকে মিটিংয়ের কথা বলাই হয়নি। প্রকৃতপক্ষে কোনো মিটংও সেদিন অনুষ্ঠিত হয়নি। সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার আইনজীবী সমিতির কয়েকটি ধারা লংঘন করেছেন এবং ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরার আইনজীবী সমিতির প্রচলিত ধারাও মানেননি তিনি। গঠনতন্ত্রের আলোক এ কমিশন অবৈধ’। আব্দুল মজিদ আরও বলেন এর বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে চিঠি পাঠাবেন বলে উল্লেখ করেন। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫৩০ জন। আগামি ২০ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পূর্ব নির্ধারিত দিন। এ অবস্থায় সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যকার এই দ্বন্দ্বে নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির অন্যান্য সদস্যরা সহ নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারি অ্যাড. আকবর আলী ও অ্যাড. রঘুনাথ ম-ল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত থেকে তিন বাংলাদেশি চোরাচালানীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। তাদেরকে এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি  ভারতীয়রা।
সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গায় সোনাই নদী সীমান্তের মেইন পিলার ১৩ এর সাব পিলার ৩ এর কাছে।
বিজিবির কাকডাঙ্গা বিওপি কমান্ডার সুবেদার হায়দার আলি জানান বিএসএফএর হাতে আটক তিন চোরাচালানির দুইজনের নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে সদর উপজেলার রেউই গ্রামের তজিবর রহমান ও বাবু হাসান। অপরজন প্রতিবন্ধী।
তিনি জানান, সকালে তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে সুপারী পাচারের চেষ্টা করছিল। এ সময় বিজিবির টহল দল তাদের বাধা দিতে স্পিড বোট নিয়ে তাড়া করে। চেরাচালানিরা দ্রুত নদী সাঁতরে ভারতীয় এলাকার মধ্যে চলে যায়। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে।
বিজিবি সুবেদার বলেন এ বিষয়ে তার সাথে ভারতের তারালি বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার এসি মনোজ কুমারের আলোচনা হয়েছে। তিনি তাদেরকে ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। অথচ সকাল খেকে এখন পর্যন্ত তাদের ফেরত দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাত টায় বিএসএফ জানিয়েছে আটক তিন বাংলাদেশিকে সে দেশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বরুপনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest