সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ১৪৪ জন পেশাজীবী গাড়ি চালক পেল লাইসেন্স নবায়নসাতক্ষীরায় অশোক লেল্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধনসাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা: গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধদেবহাটায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিবন্ধীকে মারপিট-লক্ষ টাকার গাছ কেটে নষ্টসাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক পলাশ : সদস্য সচিব ডাবলুসাতক্ষীরায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরন-কমিটি গঠন-সম্মেলনের কার্যক্রম স্থগিতসাতক্ষীরায় দুই সন্তানকে হত্যার পর মায়ের করে আত্মহত্যার চেষ্টা: মায়ের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিশিশু ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেফতারইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠননিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ

5987_1বিশেষ ডেস্ক: পুরুষের শার্টের বোতাম খোলা-লাগানোর ব্যবস্থা থাকে ডানদিকে আর নারীর শার্টে থাকে ঠিক তার উল্টো অর্থ্যাৎ বাঁমে। কিন্তু কেন এমন থাকে? এ ব্যাপারে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে। আছে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। জেনে নিন এমন কিছু যুক্তি যা নিয়ে হয়ত কখনোই ভাবা হয়নি-

নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যে কোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো। এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন। তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তাঁরই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়।

পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরে এসেছেন। তা তিনি রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তাঁরাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখাই দস্তুর।

রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তলোয়ার। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে।

আর নারীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়।

পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয়। সেই তলোয়ার গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তলোয়ার যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে।

আরো একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিতভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন।

দর্জিকে একসঙ্গে নারী-পুরুষের জামা বানাতে হত। পুরুষ ও নারীদের জামা যাতে মিশে না যায়, চট করে আলাদা করে নেওয়ার সুবিধার জন্যই এ ব্যবস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একটি ম্যাচেও হারেনি ব্রাজিল। আটটি ম্যাচে মাঠে নেমে ২টিতে ড্র করেছে। আর জিতেছে ছয়টিতে। সর্বশেষ আজ সকালে পেরুর বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-০ গোলে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটা তাদের টানা ষষ্ঠ জয়। আর পেরুর বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়। প্রথম দেখায় পেরুকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল সেলেকাওরা।

এ জয়ের ফলে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল ব্রাজিল। ১২ ম্যাচের ৮টিতে জয়, ৩টিতে ড্র ও ১টিতে হার নিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উরুগুয়ের সংগ্রহ ২৩ পয়েন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

45-1স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসির জাদুকরী পারফরম্যান্সে কলম্বিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসি নিজে করেছেন একটি গোল। পরে লুকাস পাতো ও আনহেল দি মারিয়াকে দিয়ে করিয়েছেন আরো দুটি গোল। মেসির ছন্দে ফেরার দিনে আর্জেন্টিনাও লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিরল সঠিক পথে।

চার দিন আগে বেলো হরিজন্তে খেলতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচটিতে নেইমারের ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। এতে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। ব্রাজিলের ধাক্কা সামলে উঠতে মরিয়া মেসিরা আজ জয় পেয়েছে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কঠোর অনুশীলনও করেছিলেন মেসি-ডি মারিয়ারা। ফলও পেয়েছেন তাতে।

১৬ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেকটা বাঁচা-মরার ম্যাচ। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে হারলেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্ব থেকে একরকম ছিটকে যেতো মেসিরা! আগামী বিশ্বকাপের আসরে নিজেদের দেখতে কলিম্বয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এদগার্দো বাউজার দল।

এদিকে ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ফিরেছেন তিনি। আজ রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হলো মেসির!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

arrনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৬ জন, তালা থানা ০৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ০২ জন, শ্যামনগর থানা ০২ জন, আশাশুনি থানা ০২ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক :

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে নবান্ন উৎসব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পিঠা উৎসবে অংশ নেয়। কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন, আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়/হয়তো মানুষ নয় হয়তো শঙ্খচিল শালিখের বেশে;/হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে। কবির এই বাংলায় আজ সেই দিন। অগ্রহায়ণ, নবান্ন উৎসব। শস্যভিত্তিক এই লোক উৎসবে আজ মেতে উঠবে পুরো বাংলা। নতুন ফসল ঘরে তোলা উপলক্ষে বাংলার কৃষকরা এই উৎসবটি পালন করে থাকে। বাড়ির আঙিনাগুলো আজ নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠবে। নতুন ধানের চাল দিয়ে তেরি হবে পিঠা, পায়েস, ক্ষীরসহ হরেক ধরনের খাবার। নবান্ন উৎসবের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন (সজল), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের মাঝে পিঠা প্রদান করা হয়। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক পত্মী সেলিনা আফরোজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক পত্মী সেলিনা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্মী শাহনাজ বুলবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পত্মী রঞ্জনা মন্ডল, এমপি পত্মী নাসরিন খান লিপি, শিক্ষক মঞ্জুরুল হক,তৃপ্তি মোহন মল্লিক, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মনিরুজ্জামান মুন্নাসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

moniruzzaman
প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সব্যসাচী আবৃত্তি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা, আবৃত্তি শিল্পী, বিশিষ্ট ছোট গল্পকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মনিরুজ্জামান ছট্রু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন কবি শ্রভ্র আহমেদ, স.ম তুহিন, মন্ময় মনির, তুপ্তি মোহন মল্লিক, ছড়াকার নাজমুল হাসান, সরদার গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রশীদ, এম এ জলিল, হাফিজুর রহমান মাসুম, আব্দুর রহমান, দিলরোবা রোজ, মাহমুদ ইসলাম ও মর্নিং সান প্রি- ক্যডেট স্কুলের অধ্যক্ষ এবং সব্যসাচী আবৃত্তি সংসদের দপ্তর সম্পাদক শেখ আমিনুর রহমান কাজলসহ সহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

15-11-16-1
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা: পাইকগাছার বেহাল ও জরাজীর্ণ রাস্তাটির নাম কেকচিবুনিয়া কেয়ারের রাস্তা। প্রভাবশালী ঘের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তাটি লীজ ঘেরের ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। জন দূর্ভোগ চরম সীমার নিচে। চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচনপূর্ব প্রতিশ্র“তি উপেক্ষিত। জনপ্রতি সহ কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি গ্রামের হাজারও জনগণ। সরজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী ওয়াপদা রাস্তা হতে হোগলারচক গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার কেকচিবুনিয়া কেয়ারের রাস্তা। ৮০ দশকের দিকে উপরে ১২ ফুট এবং তলদেশ ২৪ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট রাস্তাটি তৈরি হয়। তৈরির পর থেকে বাসাখালীর হোগলারচক, আমিরপুর, বাইনবাড়িয়া, কুমখালী সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন চলাচল করত। কিন্তু ৯০ দশকের দিকে রাস্তাটির দু’পাশে গড়ে ওঠে প্রভাবশালীদের মৎস্য লীজ ঘের। বেহাল ও জরাজীর্ণ হয় রাস্তাটি। লীজ ঘেরের পানির তুফানে কেয়ারের রাস্তা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তলনিতে ঠেকেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তাটি এখন লীজ ঘেরের ফাঁড়িতে পরিণত হয়েছে। ফলে জন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় অত্র এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরম সীমার নিচে পৌছে গেছে। প্রতিনিয়ত মৎস্য লীজ ঘেরের উপচে পড়া পানির আঘাতে কেয়ারের রাস্তাটি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারী না থাকায় যেমনি রাস্তাটির অস্তিত্ব সংকটে তেমন এলাকাবাসী সহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে অত্র এলাকার জনগণকে পাইকগাছা সদরে প্রায় ১০ কিলোমিটার বেশি গড়ইখালী নতুবা শুড়িখালী ঘুরে আসতে হচ্ছে। এতে যাতায়াত খরচও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কেয়ারের রাস্তার পাশে মফিজুল ইসলাম টাকু, গণি সানা, বিজন বাইন, প্রদীপ বাইন, জাকির সানা, নান্টু সরদার সহ একাধিক মৎস্য লীজ ঘের রয়েছে। ইউপি নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনে প্রার্থীরা জয়ী হয়ে উক্ত রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্র“তি দিলেও নির্বাচন পরবর্তী আর ফিরে তাকায় না বলে অভিমত দিয়েছেন জনদূর্ভোগ কবলিত এলাকাবাসী। উক্ত ওয়ার্ডের সদস্য হান্নান গাজী বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল রাস্তা সংস্কারের। সে মোতাবেক আমি আন্দোলন করে যাচ্ছি। চেয়ারম্যানকে বারংবার বলছি। দেখা যাক কতদুর করতে পারি। ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান, কয়েকবার কেয়ারের রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালী ঘের মালিকরা লীজ ঘের থেকে পানি না সরানোর কারণে মাটি পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে বারংবার আলোচনা হলেও সাড়া মেলেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

news2
মোঃ আরাফাত আলী কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরিব বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরিব দুঃখী ও অসহায় মানুষের ক্ষুধা নিবরণের জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণের ব্যাবস্থা চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী হতদরিদ্রদের মাঝে চাউল বিতরণের ব্যাবস্থা করলেও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে হতদরিদ্ররা রেশন কার্ড না পেয়ে পেয়েছে বিত্তবানরা। সরেজমিনে দেখাযায় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক খান সরকারের মহান কর্মসুচি হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাউল বিতরণের রেশন কার্ড প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছে। তালিকায় যাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তাদের অনেকেই হতদরিদ্র নয় বা তারা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আদৌ এই চাউল পাওয়ার যোগ্য নয়। তাছাড়া এই কার্ডগুলি বিতরণের সময় ইউপি সদস্য অসৎপন্থা অবলম্বন কেেরছে। যে সকল বিত্তবানদের মধ্য ইউপি সদস্য রেশন কার্ড বিতরণ করেছে তারা হলেন কামদেবপুর গ্রামের জনাব আলীর পুত্র মোঃ নুর ইসলামের একটি শিশু কার্ড আছে তারপরও স্ত্রী বিদেশ থাকে এবং পাকা বাড়ি আছে (কার্ড নংÑ৭০৯)। একই গ্রামের খোরশেদ আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলমের শিশু কার্ড থাকা সত্বেও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নংÑ৭৩৩)। একই গ্রামের নূর আব্দুল গাজীর পুত্র ফিরোজ হোসেনের পাকা বাড়ি, মাছের আড়ৎ,চাউলের বড় ব্যবসা এবং মাছের ঘের আছে তারপরও রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে (কার্ড নং-৭৩৫)। একই গ্রামের আরশাদ আলী সরদারের কন্যা আমিরন বেগমের শিশু কার্ড ও পাকা বাড়ি আছে(কার্ড নং-৭৫২)। একই গ্রামের মৃত বাহা আলী গাজীর পুত্র মোঃ আবু মুছা যার পুত্রের প্রতিবন্ধী কার্ড ও পাকা বাড়ি আছে(কার্ড নং-৮২০)। একই গ্রামের মৃত গৌরপদ সাহার পুত্র শংকার সাহার পাকা বাড়ি ও ৩ বিঘা জমি আছে(কার্ড নং-৭২২)। একই গ্রামের লক্ষীপদ সাহার পুত্র সুকুমার সাহার পাকা বাড়ি ও এলাকায় বিভিন্ন ব্যাবসা আছে (কার্ড নং-৭২৪)। একই গ্রামের গোপিনাথ সাহার কন্যা মিনা সাহার পাকা বাড়ি ও ৩ বিঘা জমি আছে (কার্ড নং-৭২৬)। একই গ্রামের মৃত ঈমান জোয়াদ্দারের পুত্র এসহাক জোয়াদ্দারের শিশু কার্ড আছে তারপরও রেশন কার্ড পেয়েছে। খাঁরহাট গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র উজ্জ¦ল ঘোষ যার মায়ের ভাতাকার্ড আছে এবং চাষের ৩ বিঘা জমি রয়েছে তবুও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৭৯৯)। একই গ্রামের আরশাদ আলীর কন্যা মনোয়ারার পাকা বাড়ি আছে এবং তার মেয়ের শিশু কার্ড আছে। তারপরও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৮০১)। একই গ্রামের বরদা ঘোষের পুত্র মন্টু ঘোষের একটি শিশু কার্ড ও পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৭৭৮)। একই গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র লংকেশ ঘোষের টাইস বসানো পাকা বাড়ি রয়েছে এবং ৫ বিঘা জমি রয়েছে এরপরও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৭৮৩)। একই গ্রামের মৃত জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র বাদল চন্দ্র ঘোষ যার ১০ বিঘা জমি থাকা সতে¦ও রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৮১৮)। একই গ্রামের কোমল চন্দ্র ঘোষের কন্যা রাধা রানী ঘোষের ৪ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ি আছে তবুও সে রেশন কার্ড পেয়েছে (কার্ড নং-৮১৩)। একই গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ ঘোষের পুত্র জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের ১০ বিঘা জমি আছে যার (কার্ড নং-৮০৭)। একই গ্রামের শেখ ওমর আলীর পুত্র শেখ রফিকুল ইসলামের ৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও রেশন কার্ড পেয়েছে(কার্ড নং ৮০৫)। একই গ্রামের। কৃষ্ণপদ ঘোষের পুত্র সুজিত কুমার ঘোষের ৪ বিঘা জমি, পাকা বাড়ি ও ডিসকভার একটি মটর সাইকেল আছে (কার্ড নং-৭৯৬)। একই গ্রামের মনোরঞ্জন ঘোষের পুত্র স্বপণ কুমার ঘোষের ১০ বিঘা জমি আছে (কার্ড নং-৭৭২) একই গ্রামের ননী গোপাল ঘোষের পুত্র নারান চন্দ্র ঘোষের ৩ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ি আছে (কার্ড নং-৭৭৩)। একই গ্রামের গোপাল চন্দ্র দাশের পুত্র মুরালী মোহন দাসের শিশু আছে (কার্ড নং-৭৭৫)।রেশন কার্ড বিতরণে বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক খান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি কার্ড সঠিক ভাবে বিতরণ করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। আমি আমার ওয়ার্ডে মোট হতদরিদ্র চাউলের কার্ড ১৯৩ টি পেয়েছি কিন্তু দলীয় ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কিছু কার্ড দেয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। এবিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ এর সভাপতি দেবপ্রসাদ ঘোষ এর কাছে দুর্নীতির বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যারা কার্ড পেয়েছে পাকা ঘর থাকলেও তারা দরিদ্র আর দুই এক জন এ মধ্যে বিত্তবান থাকলেও এটা ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিয়েছে এ বিষয় আমি কিছু যানিনা। রেশন কার্ড বিতরণে অনিয়ম এর বিষয় ৮নং ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনিয়ম হয়েছে এটা আমি শুনেছি তবে এটা দলীয় ভাবে হয়েছে। এটা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা একটি দরখাস্ত দিয়েছিল এর প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার বসন্তপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন বাসির এর উপর দায়িত্ব দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় তদন্তের জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। রেশন কার্ড অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে খাদ্য পদির্শক ও বসন্তপুর খাদ্যগুদাম এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন বাসির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তে যেয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের অনেকের পাকা বাড়ি আছে,আবার কারও শিশু কার্ড ও ভাতা কার্ড আছে এটা সত্য কিšু‘ যাদের জমি আছে এটা বোঝার তো কোন উপায় নেই। রেশন কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম আমার চোখে ধরা পড়েছে, তদন্ত শেষ হয়েছে আমার তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার  কাছে পাঠিয়ে দিব এখন ব্যবস্থা যেটা নেওয়ার নির্বাহী অফিসার নিবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest