সর্বশেষ সংবাদ-
সাংবাদিক রাহাত রাজার সুস্থতা কামনায় দোয়া১৬ বছর পর সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন সম্মেলনকলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩ সেতুজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকি

2222222এ এস এম মাকছুদ খান: পবিত্র হজব্রত পালন ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর রওজা মুবারক জিয়ারত শেষে মোহাম্মাদ মফিজুল ইসলাম ফাহিম এর পিতা ঢাকার ফিরেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ধুলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের পাঁচ সন্তানের জনক হাজী মোহাম্মাদ এবাদুল সরদার। গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা২৪ মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তার ছোট ছেলে মোহাম্মাদ মফিজুল ইসলাম ফাহিম রিসিভ করে ঢাকার বাসায় নিয়ে আসেন। ঢাকার বাসা হইতে (৪ অক্টোবর)সকাল ৮টার দিকে হাজী মোহাম্মাদ এবাদুল সরদার সাতক্ষীরা জেলা শহরের সংগীতা মোড়ে পৌঁছালেত ার ছেলেরা (বড় ছেলে মোঃ খলিলুর রহমান, মেজ ছেলে মোঃ হবিবার রহমান, সেজি ছেলে মোঃ মুজিবর রহমান এবং নাতি-পুতি) এবং সাতক্ষীরা জেলা ভোমরা বন্দরে অর্থ সচিব ও সুমনা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারমান মোঃ মাকসুদ খান ও বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ীরা তাকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে গ্রামের বাড়ি কোমরপুরে নিয়ে যান। পরবতীতে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সাথে শুভেচ্ছা করেন। উল্লেখ্য, পবিত্র হজব্রত পালন ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরও জামুবারক জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গত ২১ আগস্টরাত ১১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন মোহাম্মাদ এবাদুল সরদারসহ সাতক্ষীরা অনন্য হাজীগণ। এরপর ২২আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি হজ্বফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে দুপুর ১টার দিকে জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। তিনি হজব্রত পালন শেষে সুস্থভাবে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন এবং তার জন্য ও তার পরিবারে এর জন্য আপনদের কাছে দুআ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এলাকার একটি রাস্তার পাশে ঝোঁপের মধ্যে কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশু কন্যাটির নাম রাখা হয়েছে অর্পিতা। নবজাত শিশু কন্যা অর্পিতার স্থান হয়েছে গোপালগঞ্জ সদরের মিয়া পাড়ার সৈয়দ পরিবারে। সে নতুন পরিচয়ে পরিচিতি লাভ করলো। সাংবাদিক ইয়াহিয়ানু তুহিন ও প্রভাষক মেরী খানম এখন কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটির পিতা-মাতা। ১৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় থানা অফিস রুমে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ্জোহরা আনুষ্ঠানিকভাবে দৈনিক খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ইয়াহিয়ানুর তুহিন এবং খুলনা মেট্রো পলিটন কলেজের প্রভাষক মেরী খানমের কাছে শিশু কন্যা অর্পিতা কে অর্পন করেন। বর্তমানে অর্পিতার নতুন ঠিকানা গোপালগঞ্জ জেলার মিয়াপাড়ার সৈয়দ বাড়ি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমানসহ অনেকেই। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কে বা কারা পলিথিনে ঢুকিয়ে মোড়ক করে বাচ্চাটি ফেলে রেখে চলে যায়। বাচ্চাটির কান্নার শব্দ শুনে পথচারীদের দৃষ্টিতে আসে শিশুটি। পথচারীরা থানায় খবর দিলে পাটকেলঘাটা থানার ওসি মহিবুল নিজেই বাচ্চাটি উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী লোকনাথ নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। শিশুটির সার্বিক দেখাশুনা করেন ওসি নিজেই। প্রতিদিন শত ব্যস্ততার মাঝে তিনি ক্লিনিকে গিয়ে খোঁজ খবর নেন বাচ্চাটির। পাটকেলঘাটা লোকনাথ নার্সিং হোমের পরিচালক পুলক কুমার পাল জানান, নবজাতকের সার্বিক তদারকিতে সিনিয়র নার্স মমতাজ ও সহকারী তৃষা সর্বদা নিয়োজিত ছিলেন। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিবুল ইসলাম জানান, অনেকেই বাচ্চাটিকে নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। আগ্রহীদের মধ্যে সাংবাদিক ইয়াহিয়ানু তুহিন ও প্রভাষক মেরী খানম দম্পতি ছিলেন নিঃসন্তান। সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে এবং অর্পিতার সুন্দর ভবিষ্যত বিবেচনা করে তাদের হাতেই অর্পিতাকে অর্পণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1
কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাক্সা গ্রামের সেলিনার বাড়িতে অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে কলারোয়া প্রেসক্লাবে উপজেলার ব্রজবক্সা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী দিগং ও রঘুনাথপুর গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসির পক্ষে ইউনিয়নের ৪,৫ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন লিখিত বক্তব্য বলেন, ব্রজবক্সা গ্রামের আব্দুস সোবহানের মেয়ে সেলিনা খাতুন বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের অন্ধগলি মুম্বাই শহরে অবস্থানকালে নারী ও শিশু পাচারকারীচক্রের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর সেলিনা খাতুন মাঝে মাঝে দেশে ফিরে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী ও শিশু ভারতে পাচার করতে থাকে। এ ঘটনায় ইতোপূর্বে থানা পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পিতার দেয়া জমিতে বাড়ি তৈরি করে নিজে দেহ ব্যবসা শুরু করে। এরপর কলারোয়া উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী শার্শা, ঝিকরগাছা, বাকড়া, রাজগঞ্জ, মনিরামপুর, কেশবপুর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, আশাশুনি, তালা ও শ্যামনগর উপজেলা থেকে স্বামী পরিত্যক্তসহ বিভিন্ন ধরণের মেয়ে নিয়ে ওই বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালায়। এক পর্যায়ে সেলিনা খাতুন বাড়িটি একটি মিনি পতিতলায় গড়ে তুলে নিজেকে পতিতার সর্দারানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এর ফলে এলাকার কিছু কলেজগামী ছেলে-মেয়েরা ওই অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়তে থাকে। ইতোমধ্যে স্থানীয় অভিভাবক, চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার সচেতনমহল ওই কাজে বাধাঁ দেয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে ধর্ষণ মামলা দেবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে সেলিনা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এরইমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন সেলিনাকে দুইবার অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতেনাতে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। জেল থেকে বাড়িতে এসে আবারও দেহ ব্যবসা শুরু করে। এভাবে সে রাতারাতি লাখপতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে তাদের নিকট থেকে ঘর ভাড়া, খাওয়া খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা তাদেরকে দেওয়া হয়। তবে প্রতিটা খরিদার নিকট থেকে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত টাকা নেয়া হয়। তাই এভাবে বছরের পর বছর যদি কাজটি চলতে থাকে যুবক ছেলে-মেয়েরা ওই কাজে আসক্তি হয়ে পড়বে এবং এলাকার পরিবেশ দারুণ ভাবে ব্যাহত হবে। তিনি আরো বলেন, ওই সেলিনার মাদকাসক্ত ছেলে আজিজুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার সাইকেল, মটরসাইকেল, মটরসহ পানির পাম্প, সোলারের ব্যাটারী, সিঙ্গার মেশিন চুরি করে আসছে। এরই জের ধরে গত ৭ অক্টোবর আজিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৮-১০ জন ডাকাত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ব্রজবাক্সা গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের বাড়িতে হানা দেয়। এসময়  বাড়ির লোকজন জাহিদ নামে একজনকে হাতে নাতে ধরে থানায় পুলিশে সোর্পদ করে। এরপর ৯ অক্টোবর এলাকার সচেতন নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে আজিজুলের মা দেহ ব্যবসায়ী সেলিনার নিকট ছেলে কোথায় আছে জানতে যায়। এসময় সেলিনাসহ তার ঘরে থাকা দুই দেহ ব্যবসায়ী ওই সচেতন নারী-পুরুষের উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে এলাকার নারী-পুরুষরা সেলিনাসহ ওই দেহব্যবসায়ীকে ধরে থানা পুলিশে সোর্পদ করে। থানা থেকে ‘অসামাজিক কাজ আর করবে না’ বলে মুচলিকা দিয়ে এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট ক্ষমা চেয়ে বাড়ি আসে। পরের দিন রাজগঞ্জ এলাকার রোজি ও ঝিকরগাছার নাইড়া এলাকার আরেকজন দেহব্যবসায়ীকে নিয়ে চিকিৎসার নামে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দেয়ার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।  এমতাবস্থায় এলাকার শতশত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই বাড়িতে যাতে অসামাজিক কাজ বন্ধ হয় তার দাবিতে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করেন। উল্লেখ্য, উক্ত ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জড়িয়ে সাতক্ষীরার একটি পত্রিকায় গত ১২/১০/২০১৬ইং তারিখে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, আব্দুল গফুর মাস্টার, অধ্যক্ষ আবির হোসেন বিল্লাল, ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তারসহ শতশত এলাকাবাসি। এদিকে মমতাজ আহম্মেদ কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ আবির হোসেন বিল্লাল জানান, অসৎ উদ্দেশ্য চিরতার্থ করার লক্ষ্যে কথিত পতিতারাণী সেলিনা খাতুন জনগণের হাতে ধৃত হয়ে পুলিশে সোপর্দের পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার দু’দিন পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অসুস্থতার ভান করছে। পাশাপাশি ধর্ষণ, নির্যাতনসহ অন্যান্য মামলা করার পায়তারা চালাচ্ছে। এর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করে অধ্যক্ষ আবির আরো বলেন, গুটি কয়েক কুচক্রি ব্যক্তির ইন্ধনে সেলিনা এরূপ অনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত করে যেতে পারছে, তবে মিথ্যা কখনো চিরস্থায়ী হয় না। এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠির দাবি- এহেন কুকর্ম এখনই বন্ধ করা না গেলে এলাকার সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়তে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-large
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার কলারোয়া ধানদিয়া খ্রিষ্টান মিশনে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কারিতাস আলোঘর প্রকল্পের এরিয়া কো অডিনেটর মি. তাপস হাজরা। প্রধান অতিথি ছিলেন, জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ছামছুদ্দিন বাবু। কারিতাস সাতক্ষীরা এরিয়ার আলোঘর (লাইট হাউজ) প্রকল্প প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সফর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সরসকাঠি ক্যাম্পের ইনচার্জ সৈয়দ শাহীন, মহিলা সদস্য কোহিনুর বেগম, এডুকেশন সুপার ভাইজার রিচার্ড বিশ্বাস। ১০টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে থেকে আগত ১৪ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ, সারাদিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণের পর কার্যক্রম শেষ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

shouck
ব্রহ্মরাজপুর প্রতিনিধি: জনতা ব্যাংক হতে মাত্র ১১দিন হলো তিনি অবসরে গেছেন। সারাটাজীবন কাজের মধ্যদিয়ে যে মানুষটি ব্যস্ত ছিলেন,আজ তাঁর সব ব্যস্ততা ফুরিয়ে গেছে। চেয়েছিলেন চাকুরিজীবন শেষে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনী নিয়ে জীবনের বাকি সময়টুকু আনন্দে কাটাবেন। অসমাপ্ত বাড়িটুকু চেয়েছিলেন নিজে বসে থেকে শেষ করবেন। কিন্তু মৃত্যু তাঁকে টেনে নিয়ে গেল অন্ধকার কবরে। বলছি কালেরডাঙ্গা গ্রামের মরহুম হায়দার আলী সরদারের কথা। জনতা ব্যাংকের এ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে চাকুরি করতেন। গত ১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ৯:২৫মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর প্রতিনিধির চাচা। ওইদিন বাদ আসর জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাসান হাদী, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু নিলীপ কুমার মল্লিক, ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতি’র সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ, শেখ আব্দুস সালাম, সদস্য মোঃ কুরমান আলী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04763
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে সন্ত্রাস, জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গাজী মোঃ উজ্জল হোসেন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবলুর পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলার ইউনিট কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু। সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম সোহাগের তত্ত্বাবধায়নের বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা শাখার ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, সংগঠনের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম খান। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, শুধু সভাসমাবেশে বক্তব্য দিয়ে জঙ্গি প্রতিরোধ করা যাবে না। জঙ্গি প্রতিরোধ করতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। সকলে একযোগে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। জঙ্গিরা দেশ ও জাতির শত্র“। তাদের খপ্পরে পড়ে আর যেন কোন জীবন ঝরে না যায় তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গি প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2-large
দেবহাটা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প স্বপ্ন’র সুফলভোগী নারীদের ডিজিটাল ব্যাংক কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ইউএনডিপির সহযোগিতায় ও বেসরকারি সংস্থা সুশীলনের বাস্তবায়নে জেলার ৫টি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে কর্মরত সকল স্বপ্ন কর্মীদের ডিজিটাল কার্ড ও অনলাইন পেমেন্ট করা হয়। একই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল ১১টায় দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে আলোচনা সভা ও ডিজিটাল কার্ড ও পেমেন্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের (ডিডিএলজি) এএনএম মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ম্যানেজার (এনপিএম) আমিনুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বপ্ন প্রকল্পের ডিএস খালেদ হোসেন, টিএস কাজল চ্যাটার্জি, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, ব্যাংক এশিয়ার এস.ই.ইউ.পি আদিল রায়হান, সুশীলনের উপ-পরিচালক মোস্তফা আক্তারুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্ন প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার রবিউল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরাফি, এশিয়া ব্যাংকের এ ইউ পি মরিুজ্জামান খান, এস.ই.ও চন্দন নাগ, ইউপি সচিব প্রবীর হাজারী ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য বানু আল কাদেরী, ৭, ৮ ও ৯ নং হামিদা পারভীন, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল্লাহ গাজী, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়ামিন মোড়ল, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ মোকারম, উপজেলা শ্রমীকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম। এসময় বক্তরা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং স্বপ্নকর্মীদের নিজেদের স্বপ্নের কথা জানান। অনুষ্ঠানের শেষে সুফলভোগীদের মাঝে ডিডিটাল কার্ড ও অনলাইনে পেমেন্ট প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুশীলনের প্রকল্প ম্যানেজার সৈয়দ মনিবুল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

new-image
আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোলায় প্রবল জোয়ারের চাপে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাধ ভেঙে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে এবং হাজার, হাজার বিঘা মৎস্যঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। রোববার ভোর রাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ৪ নং পোল্ডারের কাছে খোলপেটুয়া নদের প্রায় আড়াই’শ ফুট বেড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা,হাজরাখালী, কলিমাখালী ও লাঙ্গলদাড়ি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াজেদ গাজী, সঞ্জয় দাশ, জহুরুল ইসলাম ও ছাইফুল্লাহসহ একাধিক লোক জানান, বাধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ জোয়ারে বাধটি নদী গর্ভে ধসে পড়ে। এতে ছয়টি গ্রামের  প্রায় ১ হাজার পরিবার পানি বন্দী ও হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের এবং ফসলি জমি প্লাবিত হয়। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, কিছু দিন আগেও কোলার একটি জায়গায় বেড়িবাধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। তিনি আরো জানান, এবার তার পাশে আরও একটি অংশে বেড়িবাধ ভেঙ্গে তার ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া নামে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি কারনে এখানে বার বার বেড়িবাধ ভেঙ্গে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে তার ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালী, কলিমাখালী ও লাঙ্গলদাড়ি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা ঘটনা স্থল পরিদর্শনে যাননি বলে স্থানীয়রা জানান। তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আবুল হোসেন জানান, কোলায় বাধ ভাঙার বিষয়টি তারা শুনেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest