সর্বশেষ সংবাদ-
সাংবাদিক রাহাত রাজার সুস্থতা কামনায় দোয়া১৬ বছর পর সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন সম্মেলনকলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩ সেতুজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকি

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পানির অপর নাম জীবন। সেই পানিতে যদি থাকে পাট পঁচা দুর্গন্ধ, মরা কেঁচো, বিষাক্ত পোঁকা, অধিক আয়রনজনিত তাহলে সে পানিই হবে মরণ। পাটকেলঘাটার যমুনা সমাজ সেবা সংস্থার সাপ্লাই পানিতে এমন ধরনের গুরুতর অভিযোগ গ্রাহকদের। সরেজমিনে দেখাগেছে পাটকেলঘাটার পারকুমিরার গ্রামের সুবির মেম্বর, অমল ঘোষ, শিক্ষক রামপ্রসাদ, অধ্যাপক অলিক পাল, পাটকেলঘাটা গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ, প্রভাষক নাজমুল হক, নজিবুল হক প্রমুখ জানান, এই যমুনা সমাজ সেবা সংস্থার এ পানি পেতে আমরা পাঁচ হাজার টাকা জামানত এবং প্রতিমাসে দুইশত সত্তর টাকা পরিশোধ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতটাকা দিয়েও পানি খাওয়ার উপযোগী নয়। পানি খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাহির থেকে পানি আনতে হয়। বর্তমানে এ পানিতে কখনো বিভিন্ন ধরনের পোকা, কালো ময়লা অতিরিক্ত আয়রোন, পঁচা দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ পানি দিয়ে গরু গোসল করানো ছাড়া কোন কাজে লাগে না। এ ব্যাপারে সংস্থার সভাপতি সাজেদুন্নেছার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের রিপোর্ট পেয়েছি এমন কি আমি নিজেও এ পানি খেতে পারছি না, তবে আমাদের ফিল্টারটা নষ্ট হয়ে গেছে, ব্যাক ওয়ার্শ করলে ঠিক হয়ে যাবে। ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে আসছিলাম মেরামত করার জন্য কিন্তু তিনি বলেন, এটা ঠিক হতে তিন মাস সময় লাগবে। এ দূষিত নোংরা পানি গ্রাহকদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এ বিষয়ে পত্রিকায় ছাপানো  হতে পারে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পত্রিকায় ছাপালে আমি খুশি হব। কারণ বিষয়টি উপরিমহল থেকে তখন আমি সাহায্য পাব। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে হয়তো বা একটা প্রকল্প পেতেও পারি। এ ব্যাপারে সংস্থার পরিচালকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, উনার সাথে কথা বলে লাভ হবে না এখানে আমিই সব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মৃত্যুবরন করছেন (ইন্না লিল্লাহে…রাজিউন)। গতকাল ১৭ অক্টোবার সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সভা চলাকালে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী ১ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। এমন সৎ ও যোগ্য সরকারি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যুতে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের কর্তব্যরত গভীর শোকহত। সাথে সাথে তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন সহ সাংবাদিক বৃন্দ। আগামী শুক্রবার উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় সরকারি অডিটরিয়াম শহীদ এম,এ গফুর মিলনায়তন ভ্যান চার্জ, আবাসিক ও ক্লাবের দখলে। প্রশাসন নিরব। স্বাধীনতাকামী মানুষ মিলনায়তনের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা। জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর পাইকগাছায় সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের সভা, সমাবেশ, সেমিনার করার জন্য সরকার ১৯৮৭ সালে অডিটরিয়াম নির্মাণ করে। যার নাম করা হয় ১৯৭০ সালের নির্বাচিত এমএনএ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এম,এ গফুরের নামে। নির্মাণের পর থেকে উক্ত মিলনায়তনে পাইকগাছার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠণ সহ সর্বস্তরের জনগণ আবেদনের মাধ্যমে সরকারি ফি জমা দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে অডিটরিয়ামটি শহীদ এম,এ গফুরের পুত্র আনোয়ার ইকবাল মন্টু চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে আসছিল। তবে সকল সংগঠণ তাদের চাহিদা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সেখানে সভা-সমাবেশ বা সেমিনারের কাজ করে আসছিল। কিন্তু অবাস্তব হলেও সত্য বর্তমানে অডিটোরিয়ামটি সিনিয়র-জুনিয়র ক্লাব নামে একটি সংগঠন দখল করে রেখেছে। অডিটোরিয়ামের প্রবেশ পথে দু’পাশের দুটি ভিআইপি রুমের একটিতে বসতবাড়ি এবং অন্যটিতে চলে কেরাম খেলা চলে। এছাড়া রাত-দিন চলে ব্যাটারি ভ্যানের চার্জ। এ যেন ভ্যান চার্জের দোকান। মিলনায়তনের পাশেই রয়েছে অফিসার্স ক্লাব। সেখানে অফিসাররা যাওয়া আসা করলেও দেখেও না দেখার ভান করে। অনেকের বলতে শোনা যায়, ভাষা সৈনিক এমএ গফুরের নামে তৈরি করা অডিটরিয়ামে হচ্ছে টা কি? তার নামে কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে। সিনিয়র-জুনিয়র ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, আমরা অডিটোরিয়াম ভাড়া নিয়েছি। ভাড়ার টাকা দিতে হলে আমাদের আয় করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ-উল-মোস্তাক জানান, তাদের নিকট অফিসিয়াল ভাড়া দেয়া হয়নি। আমি আসার আগে তারা দখলে আছে শুনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1945213566_1476530628অনলাইন ডেস্ক: সত্যিই যেন নরকের দরজা! বিশাল বড় দরজার মুখে জ্বলছে গনগনে আগুন। কোনো বিরতি নেই। জ্বলছে তো জ্বলছে। আর ভয়ঙ্কর সেই আগুনের লেলিহান শিখাই যেন স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে নরকের কথা। সে কারণে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘Door to hell’ তথা নরকের দরজা।
নরকের দরজা (ইংরেজিতেঃ Door to hell) তুর্কমেনিস্তানের ড্রাভা শহরের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র। কারাকুম মরুভূমিতে অবস্থিত অগ্নিমুখটির ব্যাস ৭০ মিটার ও গভীরতা ২০ মিটার।
আসলে সেখানে এক বিশাল গোলাকার গর্তের ভেতরে এই আগুন জ্বলছে। নরকের দরজা নামের গর্তটির অবস্থান তুর্কমেনিস্থানের কারাকুম মরুভূমির দারওয়েজা নামের এক গ্রামের কাছে।
এই আগুনের উত্তাপ এত বেশি যে হাজার চেষ্টা করেও কেউ এর কাছাকাছি পাঁচ মিনিটের বেশি থাকতে পারে না। রাতে ভয়ংকর সুন্দর লাগে এ নরকের দরজাকে। অন্ধকারে অনেক দূর থেকেও জায়গাটা দেখা যায়। তখন এর শিখার উজ্জ্বলতাও বোঝা যায় ভালোমতো।
বিশাল আকারের এ গর্তটা কিভাবে তৈরি হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। কেউ বলেন, এটা একেবারেই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে। আবার কারো মতে, এটা তৈরির পেছনে রয়েছে মানুষের হাত।
তবে ইতিহাস থেকে জানা যায়, এটি কোন প্রাকৃতিক গর্ত নয়। ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ দারউয়িজি এলাকায় অনুসন্ধানের সময় ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। প্রথমে তারা মনে করেছিল এটি একটি তেল ক্ষেত্র তাই ড্রিলিং মেশিন দিয়ে তেল উত্তলনের জন্য সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে। কিন্তু পরে তারা সেখান থেকে বিষাক্ত গ্যাস বের হতে দেখে।
গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলে দুর্ঘটনাক্রমে মাটি ধসে পুরো ড্রিলিং রিগসহ পড়ে যায়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন।
পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস প্রতিরোধ করার জন্য ভূতত্ত্ববিদরা তখন গ্যাস উদ্গিরণ মুখটি জ্বালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের ধারণা ছিল এখানে সীমিত পরিমাণ গ্যাস থাকতে পারে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমান করে এটি ১৯৭১ সাল থেকে অনবরত জ্বলছে।
২০১০ সালের এপ্রিলে তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপতি গ্যাসক্ষেত্রটি পরিদর্শন করে এটি বন্ধের কথা বলেন। তিনি বলেন তা না হলে ওই এলাকার অন্যন্য প্রকৃতিক গ্যাস উত্তলনের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমানে তুর্কমেনিস্তান তার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তলন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2127363706_1476659306ডেস্ক রিপোর্ট: ঝালকাঠির দুই বিচারককে হত্যার দায়ে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা জেলা কারাগারে এ রায় কার্যকর করা হয়। এ সময় সেখানে খুলনা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মান্নান ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন।
২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ সাতজনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন। এরই মধ্যে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।
আসাদুলের বাড়ি বরগুনা জেলা সদরে। আসাদুল ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। ফাঁসির দণ্ড কার্যকরকে কেন্দ্র করে কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফকে কারাগারের ৩ নম্বর কনডেম সেলে ছিলেন। দুপুর ১টা দিকে খুলনা জেলার সিভিল সার্জন এস এম আব্দুর রাজ্জাক আরিফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
এর পর দুপুর ২টার দিকে স্ত্রী, তার দুই কন্যা, ছয় বোনসহ মোট ১২ জন আরিফের সঙ্গে কারাগারে দেখা করে। ঘণ্টাখানেক পর তারা করাগার থেকে বেরিয়ে আসে। পরে বিকেল ৫টার দিকে আরিফের স্ত্রী তার দুই কন্যাকে নিয়ে আবারো স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান।
আরিফের ভাইপো মো. জামাল জানান, আরিফ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, তাকে যেন অপরিচিত কোনো স্থানে দাফন করা হয়। সে কারণে আরিফকে নিজ এলাকায় দাফন না করে তার শ্বশুরবাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর তিনি আপিল করেন। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

018-2এম. বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরা সিটি কলেজ- এক অদ্ভুত প্রতিষ্ঠান। এখানে যিনিই ক্ষমতা পান, তিনিই নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে ওঠেন! আর এ কারণে ভবিষ্যতে কলেজটিতে শ্রেণিকক্ষে যতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবে তার চেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন অভিভাবকরা! সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ¯œাতক শ্রেণির বিভিন্ন বর্ষে শ্রেণিকক্ষে ৫/৭ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করেন। কিন্তু টিচার্স রুম গমগম করে শিক্ষকে। যেমন- গতকাল রবিবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তয় বর্ষের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী!
এদিকে, উচ্চ আদালতের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নিয়োগের নামে ঘুষ বাণিজ্য জায়েজ করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন সিটি কলেজ প্রশাসন। অভিযোগ, পূর্বে নিয়োগকৃত নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সাত মাস ধরে বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও আবারো গত ২৮ সেপ্টেম্বর নতুন আটজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত ও জাতীয় দৈনিক সমকালে ১৮জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ওইসব পদে পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজের ১৪ জন শিক্ষক গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মাহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন(৯০৮১/১৫) দাখিল করেন। মামলায় কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ সাতজনকে বিবাদি করা হয়। আদালত বিবাদিদের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের রুল জারি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলকারি কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, হাইকোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও গত বছরের ১৫ নভেম্বর সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, দর্শন ও ভুগোলসহ কয়েকটি বিষয়ে ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। গত বছেরর পহেলা ডিসেম্বর ওইসব শিক্ষক কলেজে যোগদান করেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি কলেজ অধ্যক্ষ রিট পিটিশনকারি শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশে কলেজ পরিচালনা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা কেন বেআইনি হবে না এবং চাকুরিবিধি অনুযায়ী কেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে না তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জবাব প্রদান করেন। বিচারাধীন বিষয়ের উপর এ ধরণের নোটিশ দেওয়া আদালত অবমামননার শামিল। শিক্ষকদের জবাব পেয়ে ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ ২০১৫ সালের মে মাস থেকে বকেয়া বেতনভাতাদিসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সুযোগ সুবিধা বর্তমান অক্টোবর মাস পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছেন, যা’ আইনের পরিপন্থী। বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষকরা চলতি বছরের ১০ জুলাই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে আজো তারা কোন প্রতিকার পাননি। অথচ নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জেল খাটা জামায়াতপন্থী শিক্ষক ও কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত না হয়ে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও কলেজের অভ্যন্তরীণ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। এদিকে রিটকারি শিক্ষকদের বেতনভাতা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আইন পরিপন্থি উল্লেখ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপনকারি ওইসব শিক্ষকদের বেতন ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা জানান, গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর হ্ইাকোর্টের রুলটি চলমান থাকা স্বত্বেও হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অধ্যক্ষ আবু সাঈদ। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে রিটকারি শিক্ষকরা নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেজিষ্ট্রি ডাকডোগে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদের ০১৭২০-৫০৬০৮৩ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ বলেন, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ১৮ জন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন। তিনি সম্প্রতি হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. ফরহাদ মাহমুদ উল্লাহের পাঠানো একটি উকিল নোটিশ পেয়েছেন। তাতে বিচারাধীন হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলাটি বিলম্বিত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামীরা একের পর এক মামলার বিরুদ্ধে রিভিশন করছে বলে জানা গেছে। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ওসমান গনি জানায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে জেলা বিএনপি’র তৎকালীন সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও বিএনপি নেতা রঞ্জুর নির্দেশে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলে নেতা কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তাঁর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। দীর্ঘ ১৩ বছর পর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় ২৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনে ৫০ জন বিএনপির নেতা কর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চাজর্শীট দাখিল করা হয়। যার আদালতের জিআর নং-২৫৯/১৪। এঘটনার পর আসামীরা নি¤œ আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে আসামীরা একে একে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলা মামলাটি বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে আসামী এড. আব্দুস সাত্তার চার্জের বিরুদ্ধে একটি রিভিশন দায়ের (যার নং-৪৩৬/১৫) করে। রিভিশন করার পর জেলা জজ আদালত রিভিশন শুনানীঅন্তে গত ২৪ মার্চ তা খারিজ করে দেয়। রিভিশন খারিজের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে এড. আব্দুস সাত্তার হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে গত ১২জুলাই তাও খারিজ হয়ে যায়। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তারা প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলা মামলাটি পুনরায় বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে মামলার সিএস ভূক্ত ২৩নং আসামী জহুরুল ইসলাম জেলা জজ আদালতে আরো একটি ক্রিমিনাল রিভিশন (যার নং-১৩৮/১৬) করে। যার শুনানী গতকাল রবিবার জেলা জজ আদালতে শুনানী হয়েছে। জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ওসমান গণি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলার মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে আসামী পক্ষরা একের পর এক মামলার বিরুদ্ধে রিভিশনর দায়ের করছে। গত রবিবার আরো একটি রিভিশনের শুনানী হয়েছে। আদালত যদি ওই শুনানী খারিজ করে দেয় তাহলে আগামীকাল মঙ্গলবার স্বাক্ষীর দিন ধার্য হবে। মামলাটি যাতে সুষ্ঠভাবে বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি এবং আসামীদের যাতে শাস্তি প্রদান করতে পারি এজন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : জালাল গাজী। অতি পরিচিত একটি নাম। কালিগঞ্জের ফতেপুরে জ্বালাও পোড়াও মামলার অন্যতম চার্জশিটভূক্ত আসামী জালাল উদ্দিন গাজী আ’লীগ নেতাদের অন্তরালে থেকে জামায়াতের কার্যক্রম ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময় কালিগঞ্জ আ’লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন জমির দখলবাজি ও জামায়াতের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সে ২০১২সালের কালিগঞ্জের ফতেপুরে নিরিহ মানুষের বাড়িতে আগুন দেয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি। জালাল উদ্দিন গাজী (৫০) কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুরের মৃত মান্দার গাজীর ছেলে। জালাল উদ্দিন গাজী  ২০১৩ সালের ২ ফেব্র“য়ারি দেলোয়ার হোসেনের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় দেয়ার পর দেশব্যাপি নাশকতা ও সহিংসতায় তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মত ছিল। স্থানীয়রা জানায়, জালাল গাজী ওই সময় এলাকার অন্যান্য জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সাথে রাস্তা কাটা, গাছ কাটা, ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াও থেকে শুরু করে সব ধরনের কার্যক্রম চালায়। এমনকি হরতালের নামে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন আরো দীর্ঘস্থায়ী করতে বিভিন্ন সময় অর্থ, খাওয়ার জন্য নইলে চাউল, পোল্ট্রি মুরগী ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রি দিয়ে সহযোগিতা করে। স্থানীয়রা আরো জানায়, পরবর্তীতে জালাল গাজী গা ঢাকা দিয়ে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও পুলিশ কে ম্যানেজ করে আবারও তার গতি ফিরে আনে। এত কিছু করার পরও তার বিরুদ্ধে একটাও সহিংসতা ও নাশকতার মামলা হয়নি। এখনও সে বুক ফুঁলিয়ে বিভিন্ন এলাকা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপর সে শুরু করে বিভিন্ন হিন্দু পরিবারসহ বিভিন্ন মানুষের জমি দখল। বর্তমানে তার কাজ অসহায় মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে জালজালিয়াতি করে জমি দখল করা। এর জন্য স্থানীয় কিছু আ’লীগ নেতাদের মাধ্যমে সে তার কাজ নির্বিঘেœ চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলতে চায় না। কারণ সে এখন আ’লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায়। তবে তাকে বিভিন্ন সময় উপজেলা সেটেলমেন্ট, ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেক চলাচল অনেক বেশী। স্থানীয়রা জানায়, জালাল গাজী কয়েক বছর পূর্বে কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত কার্তিক মূখার্জীর সম্পত্তি তার ভাই জলিল গাজী ও পিতা মৃত মাদার গাজীর নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার পর তার যে প্রাপ্য টাকা না দিয়ে তাকে হুমকির মূখে জোর পূর্বক ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে সেই জমি কৌশলে তাদের কাছ থেকে নিজ নামে করে নিয়ে সবাই কে ফাঁকি দেয়। যার ফলে তার ভাইদের সাথে তার দ্বন্দ্ব বাধে। এদিকে, জমি নেয়ার পর রেজিষ্ট্রিকৃত জমির ওপর বাড়িতে জালাল তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। কিন্তু অপর পুলিনের অপর ভাইরা জমি না দিলেও তাদের জমি দখল করার পায়তারা চালায়। পরবর্তীতে তা একটি শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে পুলিন ওরফে দারোগা মূখার্জীর অপর তিন ভাই পুনরায় বসবাস শুরু করে। জালাল আবারও দখলবাজিতে নেমেছে। পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে দখলের। স্থানীয়রা আরো জানায়, জালাল গাজী ২০১২সালের জ্বালাও পোড়াও মামলার চার্জশিট ভুক্ত ৬নং আসামী হয়ে ও দেশব্যাপি নাশকতা ও সহিংসতার সময় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ সে এখন নতুন করে তার ভোল পাল্টে হাইব্রীড আ’লীগ নেতা হবার স্বপ্ন দেখছে। স্থানীয়রা এব্যাপারে পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest