সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি সামগ্রী বিতরণআশাশুনিতে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময়দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রকল্পের নীতি সংলাপআশাশুনিতে ঝুঁকিহ্রাস কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদনকরণ কর্মশালাজলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যুব উদ্যোক্তা তৈরিতে সাতক্ষীরায় অবহিতকরণ সভাসাতক্ষীরায় জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক য²া পরিসেবা প্রদানে সামাজিক অর্ন্তভূক্তির জন্য সেমিনারএ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনআমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

sam_2851-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক :“ শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধু স্টাডি কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এম হাসান সরোওয়ার্দী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু স্টাডি কর্ণারের উদ্বোধন করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকীসহ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সরকারি মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধু স্টাডি কর্ণারে জাতির জনককে নিয়ে লেখা অসংখ্য বই সংগ্রহ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc05899-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩ নভেম্বর সাতক্ষীরায় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতা জেলা স্মৃতি সংসদের আয়োজনে এ দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সৈয়দ জয়নুল আবেদিন জসি। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন মুখার্জী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা: মুনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন আলম, উপস্থিত ছিলেন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ সাহিদ হাসান রেবু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জি এম নূরুল হক প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর চার নেতাকে সরকারে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দেয় সে সময়ের ক্ষমতা দখলকারী মুশতাক আহমেদ। কিন্তু চারজন সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর তাদেরকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করা হয়। ওই ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কয়েকজন সদস্য। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তারা নেতাদের হত্যা করেছিল। তাদের সে উদ্দেশ্যে সফল হয়নি। আর তা কখনো হবে না। পরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14958873_1813094985634224_521405675_n
নিজস্ব প্রতিবেদক: কালিগঞ্জ পূর্বনারায়নপুর গ্রামের চালতেতলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরে ৫দিন ব্যাপী শ্যামাকালী পূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নান্দনিক ডেকারেশন, সকল মানুষের অংশগ্রহণ, প্রতিমা শৈলী সব কিছু মিলিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ব্যাপক উৎসহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে চালতেতলা এলাকাবাসী শ্যামাকালী পূজা উৎযাপন করেছে বলে জানা যায়। পূজার প্রথম দিন তারা যথারীতি ধর্মীয়চেতনায় মাকে সারারাত্রব্যাপী পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেন। সকালে শত শত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপ কমিটি। রাত্রে সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংস্কৃতিপ্রেমি মানুষের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ার মতো। পরদিন রাত্রে “ড্যান্স বাংলা ড্যান্স” এর আয়োজন করা হয় সেটিও সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে তারা দিনটি উদ্যাপন করে। পূজার চতুর্থ দিনে ধর্মীয় যাত্রা “কালো মেয়ের রাঙা চরণ” যা সকল মানুষকে চোখের জলে সিক্ত করেছে। সবকিছু মিলিয়ে গতকাল শত শত ভক্তদের উপস্থিতিতে অত্র এলাকার সকল মানুষ সম্মিলিতভাবে শ্যামাকালী মাকে বিসার্জন দিয়েছে। পুলক কুমার ঘোষের নেতৃত্বে অত্র এলাকার যুবক সম্প্রদায়সহ চালতেতলার সকল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ধরনের অনুষ্ঠান করা সম্ভাব হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৭ নং আলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ছোট এর ছেলে শুভ (২৬) কে ৭০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার রাত ১১টার দিকে শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় আরো একজন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের এসআই লুৎফর রহমান জানান, তাদের কাছে পূর্ব থেকেই খবর ছিল শহরের মিল বাজার এলাকা থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই ব্যক্তি মোটর সাইকেল যোগে সীমান্ত এলাকার দিকে যাবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসআই লুৎফর রহমান স্টেডিয়ামের সামনে ব্রীজ এলাকায় নানাভঙ্গিতে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে একটি হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেলসহ দুই ব্যক্তি উক্ত স্থানে আসলে তাদেরকে দাড়ানোর সংকেত দিলে পরিস্থিতি বুঝে মোটরসাইকেল ফেলে একজন পালিয়ে যায়। এসময় অপর ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাসী শেষে ৭০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি চেয়ারম্যানের ছেলে শুভ বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এসআই লুৎফর রহমান আরও জানান, এব্যাপারে তিনি নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটক মোটর সাইকেলের মালিকানা যাচাইয়ের কাজ চলছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478088310স্পোর্টস ডেস্ক: কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিনা চৌহান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরে উপস্থাপনা করে আলোচনায় উঠে আসেন। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরেও শিনা চৌহান উপস্থাপনা করেছিলেন। তৃতীয় আসরে অনুপস্থিত থাকলেও এবারের চতুর্থ আসরে আবারও বিপিএল উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন শিনা চৌহান। এমনটিই জানিয়েছেন চ্যানেল নাইনের অনুষ্ঠান-প্রধান তানভীর খান।

আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিপিএলের চতুর্থ আসর শুরু হবে। শিনা চৌহান ছাড়াও এ আসরে উপস্থাপনা করবেন দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক আমব্রিন। বিপিএলের তৃতীয় আসরেও আমব্রিন উপস্থাপন করেছিলেন। তখন তাঁর সঙ্গে উপস্থাপনায় ছিলেন কলকাতার আরেক জনপ্রিয় উপস্থাপক পামেলা। এবার আর পামেলা থাকছেন না।

এদিকে শিনা চৌহানের টানা পাঁচ বছর বিপিএলে উপস্থাপনা করার কথা ছিল। চ্যানেল নাইনের সঙ্গে সেই চুক্তিও করেছিলেন তিনি। কিন্তু চুক্তির কিছু শর্ত পালন না করায় বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে বাদ পরেছিলেন শিনা। আবারও অনেক যাচাই-বাছাই করার পর শিনাকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চ্যানেল নাইন কর্তৃপক্ষ।

২০১৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন শিনা চৌহান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kaderন্যাশনাল ডেস্ক: বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার নারায়ণগঞ্জে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকারের প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। দুই বছর আগে মন্ত্রিপরিষদে পুনর্গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটি তাঁর এখতিয়ারভুক্ত।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এটা কখন হবে, কী করবেন- এটা চূড়ান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে হবে, সম্ভাবনা তো আছে।’
নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান ইউনিফায়েড ক্রিকেট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো জানান, সরকার থেকে দলকে আলাদা করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ পুনর্গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেখানে নারায়ণগঞ্জের কোনো প্রতিনিধি নেই- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি, নেতৃত্ব এগুলো অঞ্চল ভিত্তিতে বিবেচিত হয় না।
এ সময় সরকার থেকে দলকে আলাদা করার বিষয়টি তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একজনকে হয়তো কেন্দ্রীয় কমিটিতে দিচ্ছি, আরেকজনকে হয়তো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেব। এভাবে আমরা ভাগ করে ফেলছি। কারণ একজনে নানা দায়িত্ব যদি পালন করে, তাহলে কাজগুলো গুলিয়ে ফেলে। এতে করে কোনো কাজই ভালোভাবে হয় না। কাজেই সরকার থেকে দলীয় কর্মকা-কে বিচ্ছিন্ন করার একটি প্রয়াস আছে। এটি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন। সেই আলোকেই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়েছে।’
গত ২৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় পিস্তল হাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমানকে দেখা যায়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের পক্ষের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এরা দুজনই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ দুটি ঘটনার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। সরকার বসে নেই। ঢাকার ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। যারাই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
দুর্নীতির অভিযোগে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির কারাদ-, খুনের মামলায় টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা কারাগারে, অন্তত তিনজন মন্ত্রী দুদকের মামলায় বিচারের সম্মুখীন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখানে সরকারি দল, বিরোধী দল হিসেবে এটা দেখা হবে না। দেখা হবে অপরাধী, অপকর্মকারী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেবেন না।’
এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনের কোনো চাপ নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরো বলেন, সরকার ভালোভাবে দেশ চালাচ্ছে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92210138_hakimpuri-zarda-jpg_220x220ন্যাশনাল ডেস্ক: পঞ্চাশের দশকে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন হাকিমপুরী জর্দার মালিক মো. কাউছ মিয়া। তাঁর সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। আর কাউছ মিয়াই দেশের শীর্ষ করদাতা।
প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০০ জনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীকে পেছনে ফেলে সেখানে শীর্ষস্থান দখল করেছেন তামাকপণ্য ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া।
গত বছর যে শীর্ষ ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটির প্রথম স্থানেও ছিলেন তিনি। এর আগেও তিনি শীর্ষ করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন।
কাউছ মিয়া জানিয়েছেন, এখন তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা আর জায়গাজমি মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। কাউছ মিয়া ব্যবসা শুরু করেন চাঁদপুরে। স্টেশনারি দোকান দিয়ে শুরু করেন। পরের ২০ বছরে ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়তে থাকায় তিনি চলে আসেন নারায়ণগঞ্জে। শুরু করেন তামাকের ব্যবসা।
কাউছ মিয়া বলেন, তখন তামাক বাংলাদেশে চাষ হতো না। পাকিস্তানের মারদান থেকে আসত। তামাকের ব্যবসা থেকেই কাউছ মিয়ার মাথায় আসে জর্দা উৎপাদনের কথা।
প্রথমে একটা ছোট কারখানা দিয়ে বাজারে ছাড়লেন ‘শান্তিপুরী জর্দা’। পরে সেটা নকল হতে থাকায় নতুন করে চালু করেন ‘হাকিমপুরী জর্দা’। ১৯৯৬ সালে হাকিমপুরী জর্দার যাত্রা শুরু হয়।
কাউছ মিয়া জানান, ‘শান্তিপুর’ বা ‘হাকিমপুর’ এসব নামকরণের পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই। তবে হাকিমপুর নামটা লোকের মুখে সহজে আসে, সহজে বলতে পারে- এ জন্যই এই নাম রাখা।
ছেষট্টি বছর ধরে ব্যবসা করছেন কাউছ মিয়া। এর মধ্যে তামাক ও জর্দার ব্যবসা থেকেই তিনি লাভ করেছেন চার থেকে পাঁচশ কোটি টাকা। কাউছ মিয়া জানান, করদাতা হিসেবে তিনি পাকিস্তান আমল থেকেই পুরস্কৃত হচ্ছেন। এতবার সর্বোচ্চ করদাতা হতে পেরে তিনি খুশি।
কাউছ মিয়া জানান, অন্য ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেন। কিন্তু তিনি জীবনে ব্যাংকের টাকা নেননি। তিনি বলেন, ‘বরং ব্যাংকই আমার রাখা টাকা খাটিয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92225868_20161031_163304অনলইন ডেস্ক: রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের জীবনে এমন ভয়ানক দিন স্বাধীন বাংলাদেশে এর আগে কখনো আসেনি।

শতশত মানুষ যখন বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নাসিরনগরের হিন্দু বাড়ি এবং মন্দিরগুলোতে ভাংচুর এবং লুটপাট চালায়, তখন আতঙ্কিত হিন্দুদের অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে প্রাণ রক্ষার জন্য পালাতে শুরু করে।

কিন্তু এসময়ই হামলাকারীদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন মুসলমান যুবক।

হিন্দুবাড়ি এবং মন্দির বাঁচাতে তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছিলেন।

এদেরই একজন জামাল উদ্দিন – তিনি নাসিরনগর সদর হাসপাতালে স্টোরকিপারের চাকুরী করেন।

হিন্দুদের বাড়িগুলোতে যখন আক্রমণ শুরু হয়, জামালউদ্দিন তখন হাসপাতালে বসে থাকতে পারেননি।

তিনি দৌড়ে যান কিছুটা দূরে অবস্থিত দত্তবাড়িতে।

তার সাথে আরো কয়েকজন মুসলমান যুবক দত্তবাড়ির প্রধান গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হামলাকারীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। আট থেকে দশজন মুসলমান যুবক দত্তবাড়ির সামনে সারিবদ্ধ হয়ে আক্রমণকারীদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

কিন্তু আক্রমণকারীদের সংখ্যার তুলনায় জামালউদ্দিন ও সহযোগীদের শক্তি ছিল খুবই নগণ্য।

হামলাকারীদের কারো কারো হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি। তারা জামালউদ্দিনকে রড় দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।

শেষ পর্যন্ত দত্তবাড়ির পূজামণ্ডপ রক্ষা করতে পারেননি জামালউদ্দিন।

জামালউদ্দিন ও তার সহযোগীদের আঘাত করে হামলাকারীরা ভেতরে ঢুকে যায়। তারপর হামলাকারীরা সে পূজামণ্ডপ গুড়িয়ে দেয়।

শতশত আক্রমণকারীর সামনে নিজের জীবন বাজি রেখে জামালউদ্দিন কেন এগিয়ে গিয়েছিলেন?

জামালউদ্দিন  বলেন, “আমি তখন নিজের জীবনের চিন্তা করি নাই। ওরা আমার ভাই, এটা আমার গ্রাম। ওরা তো নিরপরাধ লোক। এ বর্বরোচিত হামলা কেন এদের উপর হবে?”

তিনি বলছিলেন হিন্দু গ্রামবাসীদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য তিনি মৃত্যুর জন্য তৈরি ছিলেন।

রবিবার সকালে হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে জামালউদ্দিনের শরীর এখনো শিউরে ওঠে।

ভয়ঙ্কর এক সাম্প্রদায়িক আক্রমণ দেখেছেন জামালউদ্দিন। এ ধরনের আক্রমণের কথা তিনি কখনো ভাবতেও পারেননি।

নাসিরনগর উপজেলার দত্তবাড়ি, নমশূদ্র পাড়া, কাশিপাড়া এবং ঘোষ পাড়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে উগ্র ইসলামপন্থীদের একটি গোষ্ঠী।

জামালউদ্দিন বলছিলেন, “ওইদিন আমার নিজের প্রতি একটুখানিও মায়া ছিল না। আমার এক ভাই অন্যায় হামলার শিকার হবে, আমাদের মা বোনদের ইজ্জত যাবে – তাহলে আমাদের থেকে লাভ কী?”

জামাল উদ্দিনের সাথে হিন্দুবাড়ি রক্ষা করতে আরো এগিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল মজিদ। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের লাইব্রেরিয়ান। মি: মজিদ জানালেন আক্রমণকারীদের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে বলে তাদের মনে হয়েছে।

মজিদ বলছিলেন, যে হিন্দু যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কাবাঘরকে অবমাননা করে ছবি দেয়া হয়েছে তার বিচার হোক। কিন্তু তারা কখনোই চাননি নির্বিচারে হিন্দু বাড়ি ও মন্দিরে হামলা হোক।

তিনি বলেন, “যারা হামলা করছিল, তারা মুসলমান নামের কলঙ্ক। এরা অন্য কোন হাসিল আদায় করার জন্য এ ঘটনা ঘটাইয়া গেছে। আমরা বলছি বাড়িতে ঢুকতে হইলে আমাদের মাইরা তারপরে ঢুকতে হইব”।

হামলাকারীরা  মজিদকে ইট এবং লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেছিল।

মজিদের বর্ণনায় নাসিরনগরে হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাইয়ের মতো বহু বছর ধরে একসাথে বাস করছে। উভয় ধর্মের উৎসবে গ্রামের সবাই যোগ দেয় এবং সহযোগিতা করে।

রবিবার সকালে শতশত আক্রমণকারীর মাঝে কয়েকজন মুসলমান যুবক যেভাবে হিন্দুদের রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, সেটিকে কৃতজ্ঞতার সাথে বর্ণনা করছেন স্থানীয় দত্তবাড়ির বাসিন্দারা।

দত্তবাড়ির বাসিন্দা নীলিমা দত্ত বলেন, “এক মুসলমান হামলা করেছে, আরেক মুসলমান বাঁচাইছে। ওরা যদি আমাদের রক্ষা না করতো, তাহলে এখানে লুটপাট হইতো”।

তিনি বলছিলেন যে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক আক্রমণ তিনি তার জীবনে কখনো দেখেননি। হামলাকারীরা পূজামণ্ডপ ভাংচুর করলেও মুসলমান যুবকদের বাধার কারণে বাসস্থানের ঘরে ঢুকতে পারেনি। তবে বাইরে থেকে ঢিল ছুঁড়েছে।

এমনকি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দত্তবাড়িতে এ ধরনের আক্রমণ হয়নি বলে নীলিমা দত্ত উল্লেখ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও মুসলমানদের সহযোগিতায় হিন্দুরা দত্তবাড়িতে পূজার আয়োজন করেছিল বলে এখানকার বাসিন্দারা জানালেন।

নীলিমা দত্ত বলেন, যে হিন্দু যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কাবাঘরকে অবমাননা করে ছবি দেয়া হয়েছিল, তার কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।

কিন্তু সে ছবির জের ধরে সব হিন্দুবাড়ি এবং মন্দিরে কেন হামলা চালানো হলো, সে প্রশ্নের উত্তরটাই খুঁজে পাচ্ছেন না নীলিমা দত্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest