সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

মানুষের উচ্চতার চেয়ে বড় মুদ্রা!

ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছয়শরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চল। এর পশ্চিমে ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পশ্চিমে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণে পাপুয়া নিউগিনি ও মেলানেশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বে পলিনেশিয়া।

মাইক্রোনেশিয়ার অন্যতম একটি দ্বীপ ইয়াপ। প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক ইয়াপে বেড়াতে যান। অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে ইয়াপে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা লাভ করেন পর্যটকরা। স্বতন্ত্র সেই অভিজ্ঞতা হল, বিশাল আকৃতির ‘পাথুরে শিলা মুদ্রা’।

প্রাচীনকাল থেকে ভারি ও বড় পাথুরে মুদ্রা দিয়ে এখানে বিনিময় প্রথা চালু রয়েছে। কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ মিটার ব্যাসের মুদ্রাও রয়েছে। কোনো কোনো শিলা মুদ্রার উচ্চতা মানুষের সমান। মূলত এখানকার গ্রামবাসীর সম্মান ও আভিজাত্যের প্রতীক এ দৈত্যাকার মুদ্রা। পাথুরে মুদ্রাগুলো ইয়াপ দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের দখলে রয়েছে।

যার বাড়িতে বা যে গ্রামে বেশি পাথুরে মুদ্রা রয়েছে, ধরে নেয়া হয়- কৃষ্টি-কালচার, আভিজাত্যে তারাই উৎকৃষ্ট। এই মুদ্রার বিনিময় প্রথা চালু রাখতে প্রতিটা গ্রামেই রয়েছে নিজস্ব পাথুরে শিলার মানি ব্যাংক।

জানা যায়, কয়েকশ’ বছর আগে ইয়াপের জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন। দুর্ঘটনাবশত তারা গিয়ে ওঠেন ৪০০ কিলোমিটার দূরের দেশ পালাউতে। সেখানে তারা গোলাকৃতির চুনাপাথর দেখতে পান। তারা একটি চুনাপাথর ঘষেমেজে ইয়াপে নিয়ে আসেন।

পাথরটি দেখতে গরুর গাড়ির চাকার মতো। ইয়াপবাসীর কাছে এর নাম ‘রাই’। জেলেরা যখন চুনাপাথর নিয়ে এলেন, তখন গ্রামবাসী এটাকে ‘টাকা’ বলতে শুরু করলেন। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পালাউ থেকে গোলাকৃতির চুনাপাথর আনা শুরু করেন। আনা-নেয়ার সুবিধার জন্য এর মাঝখানে একটি গোলাকৃতির ছিদ্র করা হয়।

পাথুরে মুদ্রার দখলে নিতে কম লড়াই হয়নি এখানে। এমনকি চুনাপাথর আনতে গিয়ে বহু জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কখনো কখনো একটি নৌকার কেউ ফিরে আসতে পারতেন না। ইয়াপের প্রধানদের পৃষ্ঠপোষকতায় এগুলো আনা হতো। তখন ইয়াপের প্রধানদের মধ্যে বেশ দ্বন্দ্ব ছিল। কার থেকে কে বেশি ধনী হবেন সেই প্রতিযোগিতা ছিল। ফলে তারা প্রচুর লোক নিয়োগ করে এসব পাথর নিয়ে আসতেন। অনেক সময় এক প্রধানের পাঠানো লোকদের গুম করে ফেলতেন অন্য প্রধানের লোকেরা। ফলে পাথুরে মুদ্রা আনতে গিয়ে অনেক প্রাণহানি ঘটত।

সচরাচর কেনাকাটার জন্য তারা এই মুদ্রা ব্যবহার করতেন না। মূলত বড় কোনো লেনদেন, বিয়ের উপহার, ক্ষতিপূরণ দিতে এ মুদ্রা ব্যবহার করা হতো। আর কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করতেন মুক্তার মুদ্রা। ১৮৯৮ সালের পর থেকে পাথুরে মুদ্রার ব্যবহার কমতে থাকে। সেসময় স্পেন-আমেরিকা যুদ্ধের পর ইয়াপে ডেভিড ডিন ও’কেফ নামে এক শাসক আসেন। তিনি পাথরের মুদ্রা তৈরির আধুনিক সরঞ্জামাদি এনে দেন।

আর পালাউ থেকে প্রচুর চুনাপাথর আনতে বড় একটি জাহাজ নিয়ে আসেন। এরপর ইয়াপের লোকজন প্রচুর পাথুরে মুদ্রা তৈরি করে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় ও মূল্য কমতে থাকে। একসময় পালাউ থেকে চুনাপাথর আনা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এই এলাকায় মুদ্রার জায়গা দখল করে নিয়েছে মার্কিন ডলার। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ডা. রুহুল হক এমপির বেয়াই নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পরীবাগে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির বেয়াই আব্দুস সালাম (৭০) এর মৃত্যু হয়েছে(ইন্নালিল্লাহে…………..রাজেউন)। সোমবার (৪ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু এমদাদুল হক। তারা দুই বন্ধু মিলে পরিবাগ টিএনটি অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় শাহবাগগামী ৮ নম্বর বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের মাথায় আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আবদুস সালাম সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ. ফ. ম. রুহুল হক এমপির কন্যার শ্বশুর। তিনি সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন আ. ফ. ম. রুহুল হক এমপিসহ স্বজনরা।

রমনা থানার এসআই মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাতক বাস ও চালককে আটক করা হয়েছে।

নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আবদুস সালাম মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার বাসায় থাকতেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোলে পৌর কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল পৌর সভায় অস্বাভাবিক হারে পৌর কর নিরুপণ করার প্রতিবাদে সোমবার সকালে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বেনাপোলের বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান, এসাসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন, কাস্টমস সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাস্টার শহিদুল্লাহ, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নুর আলম, রোকনউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম শাহিন, জুলফিকক্কার মন্টু, রহমত আলী, আকবার আলী, সাংবাদিক বকুল মাহবুব, আজিবর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, কোন ভাবেই পৌরকর বৃদ্ধি মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলন, পৌরসভা ঘেরাও করে দাঁদভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। পৌর মেয়র ও সচিব মিলে নানা দূর্নীতি করে টাকা লুটপাট করেছে। সেই টাকা তুলতে নতুন করে অস্বাভাবিক হারে নতুন করে পৌর কর নির্ধারন করেছে। যার ২ হাজার টাকা পৌরকর ছিল এখন তাকে ১২ হাজার , যার ৬ হাজার টাকা ছিল এখন তাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।

সভাশেষে আলহাজ্ব মাস্টার মোঃ শহিদুল্লাহকে আহবায়ক করে ৫৪ সদস্য বিশিস্ট বেনাপোল নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ জুন মঙ্গলবার এই কমিটির সভা এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিনটি রেকর্ডের মালিক ‘ভিড়ে ডি ওয়েডিং’

বিনোদন ডেস্ক: নারীভিত্তিক ছবির মন্দার বাজারে বেশ ভালোই ভেলকি দেখাচ্ছে কারিনা কাপুর খান, সোনম কাপুর আহুজা, সারা ভাস্কর, শিখা তালসানিয়া অভিনীত নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র ‘ভিড়ে ডি ওয়েডিং’। গত তিনদিনে বক্স অফিসে ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি রুপি। যদিও এই আয় বড় কোনো সংখ্যা নয় কিন্তু বলিউডের ইতিহাসে যখন মাত্র একটি ছবি (তানু ওয়েডস মানু রিটার্নস) ১০০ কোটির বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে তখন এই সংখ্যাটাকে বেশিই বলতে হয়।

শুধু তাই নয় বলিউড লাইফ ডটকম জানাচ্ছে ছবিটি তিনটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে এরই মধ্যে। চলুন একনজরে দেখে নিই কোন তিনটি রেকর্ড রয়েছে ভিড়ে ডি ওয়েডিংয়ের ঝুলিতে।

২০১৮ সালের প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা তৃতীয় ছবি :

অজয় দেবগণের ‘রেইড’ প্রথম দিনে আয় করে ১০ কোটি ৪ লাখ রুপি। অন্যদিকে, অক্ষয় কুমারের ‘প্যাডম্যান’ প্রথম দিনে আয় করে ১০ কোটি ২৬ লাখ রুপি। এই দুই ছবিকে পেছনে ফেলে কারিনা-সোনম অভিনীত ছবিটি প্রথম দিনে আয় করে ১০ কোটি ৭০ লাখ রুপি। ফলে ২০১৮ সালে প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করে ছবিটি।

২০১৮ সালের মুক্তির সপ্তাহের প্রথম ছুটির দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয় করা পঞ্চম ছবি :

মুক্তির প্রথম সপ্তাহের প্রথম ছুটির দিন পর্যন্ত ‘ভিড়ে ডি ওয়েডিং’য়ের আয় দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৫২ লাখ রুপিতে। অন্যদিকে, আলিয়া ভাটের ‘রাজি’র আয় ছিল ৩৪ কোটি ৯৪ লাখ রুপিতে। এর মাধ্যমে ছবিটি দখল করে পঞ্চম স্থান।

নারীভিত্তিক ছবির ক্ষেত্রে মুক্তির সপ্তাহের প্রথম ছুটির দিন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি :

বলিউড ইতিহাসে মুক্তি পাওয়া সব নারীভিত্তিক ছবিকে এই একটি দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেছে ‘ভিড়ে ডি ওয়েডিং’। ছবিটির মুক্তির প্রথম সপ্তাহে প্রথম ছুটির দিন পর্যন্ত বলিউডের উল্লেখযোগ্য নারীভিত্তিক ছবিগুলোর আয় ছিল, ‘আংরি ইন্ডিয়া গডেস’ (এক কোটি ২৫ লাখ রুপি), ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’ (৫ কোটি ৮০ লাখ রুপি), ‘বেগম জান’ (১১ কোটি ৪৮ লাখ রুপি)। আর এই সব ছবিকে ছাড়িয়ে প্রথম ছুটির দিন পর্যন্ত ‘ভিড়ে ডি ওয়েডিং’য়ের আয় দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৫২ লাখ রুপিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আফগানিস্তানে যৌথ অভিযানে ৮৭ সন্ত্রাসী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৮৭ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্তা বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। সোমবার সশস্ত্র বাহিনী ও বিমান বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।

নানগারহার, গজনি, উরুজগান, জাবুল, হেরাত, ফারিয়াব, বাগলান, তাখার, বাদাখশান এবং হেলমান্দে পরিচালিত ওই যৌথ অভিযানে অন্তত ৮৭ সন্ত্রাসী নিহত এবং আরও ২৩ সন্ত্রাসী আহত হয়েছে।

নানগারহারে নিহতদের মধ্যে তাকফিরি দায়েশ সন্ত্রাসীদের ১৯ সদস্য ছিল। ফারিয়াব প্রদেশে নিহতদের মধ্যে ছিল তালেবান কমান্ডারসহ তাদের বেশকজন সদস্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ অফিসার্স কল্যাণ ক্লাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ অফিসার্স কল্যাণ ক্লাবে ইফতার মাহফিল রবিবার ক্লাবের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী সিদ্দিকী, থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মনি, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত নন্দী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আকছেদুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী সাহাবুল আলম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহরিয়া মাহমুদ রনজু, নির্বাচন কর্মকর্তা হায়দার আলী, রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর মাহবুবুর রহমান, সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহরাব হোসেন, ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব গাজী শওকাত হোসেন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম, জনতা ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মাহাবুবর রহমান প্রমুখ।। ইফতার অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কোর্ট মসজিদের খতিব আলহাজ্জ্ব মাওলানা আকরাম হোসাইন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকবিরোধী অভিযানে প্রতিটি মৃত্যুর তদন্ত চায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন

ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলো।

সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সন্দেহভাজন অপরাধীদের ‍মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।

ঢাকায় ইইউ দেশগুলোর মিশনপ্রধানদের সম্মতিতে ইইউর স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৪ মে পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেইসঙ্গে তারা যাতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে না করে- তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় বিবৃতিতে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে অভিযান চালানোর সময় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে কিংবা মাদক বিক্রেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে।

তবে মানবাধিকারকর্মীরা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন। মাদকের উৎস বন্ধ না করে এভাবে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়ে অভিযানের সফলতা আসবে না বলেও দাবি তাদের।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি অনুযায়ী পরিচালনার কথা বলা হয়।  এছাড়াও বাহিনীর শক্তি প্রয়োগে যথাযথ সেফগার্ড রাখার কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে থেমে নেই বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ

আরাফাত আলী : কালিগঞ্জে অসাধু ব্যবসায়ীরা এখনও থেমে নেই বাগদা চিংড়িতে বিষাক্ত জেলী, সাবুর দানা, ভাতের মাড়সহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ থেকে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে অসাধু ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা সহ প্রকাশ করার পরও অজ্ঞাত কারনে আজও কোন প্রতিকার হয়নি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অসাধু চিংড়ি পুশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহনের কথা সাংবাদিকদের জানালেও আজও পর্যন্ত এই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি তিনি। উল্লেখ্য যে,অসাধু ব্যবসায়ী,ডিপোমালিকদের বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার ফলে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ির মান হ্রাস পেতে বসেছে। যার ফলে যথার্থ মুল্য না পাওয়ায় বাগদা চিংড়ি চাষীরা অনীহা প্রকাশ করছে। সরেজমিনে যেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রাম সহ কয়েকটি বাগদা ব্যবসায়ীদের বাড়ীতে গেলে ধরা পড়ে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার দৃশ্য। এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত বন্দকাটি গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে আক্তার আলী ও তার সহোদর মোক্তার আলী, গফ্ফার গাজীর ছেলে রাজু,কপিল গাজীর ছেলে মফিজুল,মান্নান গাজীর ছেলে মাছুম,আশরাফ মোড়লের ছেলে আলমগীর,বাঁশতলা বাজারের জহুর গাজী, নৌবাজপুর গ্রামের জয়নাল গাজীর ছেলে রবিউল,আব্দুর ছত্তার গাজীর ছেলে মোক্তার,একই এলাকার আয়তুল্ল্যাহ,মোবারক। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে মুনসুর,মনো মোড়লের ছেলে আনছার,আব্দুর রহিম,আহার গাজীর ছেলে রফি,আমিরুল,মুছা গাজী,সাঈদ গাজী,রবিউল সহ সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজার সহ বিভিন্ন এজেন্টদের নিকট পুশকৃত বাগদা চিংড়ি বিক্রয় করেন। এই অপদ্রব্য পুশ করার ফলে বাগদা চিংড়ি অল্প দিনের ভিতরে পোঁকা ধরে যায়। যার ফলে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির চাহিদা বিশ্ব বাজারে হ্রাস পেতে বসেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট পুশ করার কারন জানতে চাইলে বলেন অধিক মুনাফার জন্য তারা অপদ্রব্য পুশ করেন। তারা আরও বলেন মাছের ডিপো মালিকরা যদি পুশ মাছ নেওয়া বন্ধ করেন, তাহলে বাগদা চিংড়িতে পুশ করা বন্ধ করতে সব ব্যবসায়ীরা বাধ্য হবে। তাছাড়া থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে তাদের বাগদা পুশের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান বলেন উপজেলার সকল অবৈধ বাগদা পুশ ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে অতিদ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest