সর্বশেষ সংবাদ-

eb35cd428a0103eee8890c48837d4920-58f3c5a365d2eবাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। এদিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এর আগে ১০ এপ্রিল গঠন করা হয় অস্থায়ী সরকার। ১৭ এপ্রিল আম্রকাননে পাঠ করা হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। তখন থেকে এই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি পায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতিবর্হিভূত আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। এই অধিবেশনে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় তার অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় এবং দেশের সব জেলা কার্যালয়ে উত্তোলন করা হবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা। সকাল ৭টায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ।

মুজিবনগরে ভোর ৬টায় উত্তোলন করা হবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা। সকাল ১০টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল সোয়া ১০টায় থাকবে গার্ড অব অনার। সকাল সাড়ে ১০টায় রয়েছে মুজিবনগর দিবসের জনসভা। শেখ হাসিনা মঞ্চে এই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesনিজস্ব প্রতিবেদক : সরকরিভাবে বন্দোবস্তকৃত চিংড়ি ঘেরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও জখমের ঘটনায় মামলা না নিয়ে আটককৃত হামলাকারিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোঃ নাসিরউদ্দিন তাকে ছেড়ে দেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিরঞ্জন মিস্ত্রি জানান, ১৯৮১ সালে তার বাবা তারক চন্দ্র মিস্ত্রী ধুলিহর মৌজার যুগিপোতা গ্রামে এক একর ১৬ শতক জমি বন্দোবস্ত নেন। ১৯৯২ সালে সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকার আলিয়াতির মাধ্যমে ওই জমি থেকে তার বাবাকে উচ্ছেদ করেন। বাবার নেওয়া বন্দোবস্তের ৩৬ বছরের টাকা পরিশোধ করে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওই জমি তার নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়  বাংলা ১৩২৩ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। ১৪২৪ সালের বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য তিনি গত বৃহষ্পতিবার সদর সহকারি ভূমি কমিশানারের অফিসে আবেদন করেন। গত ৩০ চৈত্র তার বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি নব্য আওয়ামী লীগ নেতা ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সানা ওরফে বাবু সানার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য সানাপাড়ার এরফান, ইসমাইল, তুল্লুক, সাইফুলদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার মাছের ঘেরে হামলা চালায়। চিংড়ি ঘেরের বাসা ভাঙচুর ও মাছ ও মাছ ধরার সরঞ্জাম লুটপাটে বাধা দেওয়ায় তিনিসহ তার স্ত্রী অনিমা রানী মিস্ত্রী, অশ্বিনী কুমার মিস্ত্রী ও বউদি সন্ধ্যা রানী মিস্ত্রীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করায় ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদকে মারতে মারতে বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের উপরে নিয়ে যায় হামলাকারিরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শনিবার সকাল ১০টায় হামলাকারি দিবস সরকারকে আটক করে। ইউপি চেয়ারম্যান শনিবার বিকেলে হাসপাতালে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের হাতে তাকেসহ নিরঞ্জন মিস্ত্রী পরিবারের চারজন জখম হয়েছে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল চত্বরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের হাতাহাতি হয়। হামলার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রোববার তাদের বিরুদ্ধে সবিতা সরকারকে দিয়ে কাল্পনিক হামলা ও মারপিটের অভিযোগ করানো হয়। বয়ারবাতান গ্রামের কাঁকড়া ব্যবসায়ি ভৈরব সরকার জানান, অশ্বিনী মিস্ত্রী তার ভগ্নিপতি। তাদের উপর হামলার খবর পেয়ে তিনি শনিবার হাসপাতালে ও থানায় যান। সঞ্জয় মিস্ত্রীর অভিযোগটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ মত ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাসিরউদ্দিনের কাছে শনিবার রাত ১০ টার দিকে নিয়ে যান। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা আহসানডাঙার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তিনি ওই কাগজটি পিওন অশোক দাসের কাছে দিয়ে যান। যদিও রোববার সকাল ১০ টায় তাকে  ফাঁড়িতে ডেকে এনে গাজা ও ধর্ষণের মামলা দেওয়ার নামে তিন ঘণ্টা আটক রাখেন উপ-পরিদর্শক নাসিরউদ্দিন। পরে আটককৃত হামলাকারি দিবস সরকারকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ইউপি সদস্য তপন শীলের মধ্যস্ততায় দুপুর একটার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভৈরব সরকার অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে সবিতার মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে দিবস সরকারকে ছাড়ানোর জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করেই তাকে তিন ঘণ্টা আটক রাখা হয়। উপপরিদর্শক নাসিরউদ্দিন হামলাকারি সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের আথিক সুবিধা নিয়ে নির্যাতিতদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর সহকারি (ভূমি) কমিশনারের খাস জমি সংক্রান্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩০ চৈত্র বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিরঞ্জন মিস্ত্রী আবারো আবেদন করেছেন।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, সঞ্জয় সরকারের দায়ের করা একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শনিবার রাতে তার কাছে পাঠান। ওই অভিযোগপত্রটি কাঁকড়া ব্যবসায়ি ভৈরব সরকার ফাঁড়ির এক পিওন অশোক দাসের কাছে দিয়ে যান। এটা জানার পর তিনি ভৈরব সরকারকে অশোক দাসের মারফৎ ফাঁড়িতে ডেকে আনেন। সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকারের ভাবী সবিতা সরকার বাদি হয়ে একটি অভিযোগ করলে তাতে ভৈরব সরকার আসামী ছিল। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে গিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেটা আর প্রয়োজন হচ্ছে না। উভয়পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলায় দিবস ও ভৈরবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, এ ঘটনায় সঞ্জয় কুমার মিস্ত্রী বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আট জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে ও শৈলেন সরকারের স্ত্রী সবিতা বাদি হয়ে রোববার সকালে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ব্রহ্মরাজপুর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নাসিরউদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333 909098শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরের রমজান নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১টি স্থগিত কেন্দ্রের ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ইউপি মেম্বর পদে ৯ নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল নির্বাচনে রমজান নগর ইউপি চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের শেখ আল মামুন ৩৪ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আকবর আলী। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে নানান অভিযোগে এ ভোট কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়। এ দিকে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ইউপি মেম্বর পদে ৯ নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে স্বপন কুমার হালদার মোরগ প্রতীকে ৫৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সত্য ভূষণ বিশ্বাস ফুটবল প্রতীকে ৩৫১ ভোট পান। এ কেন্দ্রে মোট ১০৯৪ ভোটারের মধ্যে ৮৯৭ ভোট পোল হয় এবং ৭টি ভোট বাতিল হয়। নির্বাচন উৎসব মূখর পরিবেশে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

uuiii7নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় বৈশাখী মেলাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এ খেলার উদ্বোধন করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম আনিছুর রহমান। এসময় আখড়াখোলা ও আগরদাঁড়ীর লাঠিয়াল খেলোয়ারদের সমন্বয়ে এ খেলা প্রদর্শন করা হয়। খেলায় নেতৃত্ব দেন দলনেতা মো. আব্দুল বারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার ট্রেজারার শাহ্ আলম সানু, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, আ. ম আক্তারুজ্জামান মুকুল, জয়নাল আবদীন জোসি, কামরুজ্জামান কাজী, হাফিজুর রহমান বিটু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মোশফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

44455445নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ১১তম জেলা স্কাউট সমাবেশ ও মুহা. নওশের আলী স্কাউট মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা স্কাউটসের সহ সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক  আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘তোমরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তোমরাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারবে। তোমরা যারা এ স্কাউট সমাবেশে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছো তারা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। আশা করবো এখানে তোমরা অর্জিত অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে নিজেদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর সাহায্য নিয়ে দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত স্কাউটিং ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। আজকের এই সমাবেশের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে স্কাউটরা দক্ষ হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশ স্কাউট সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে ৫দিন ব্যাপি এ জেলা স্কাউট সমাবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক এম. ঈদুজ্জামান ইদ্রিস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউটের সহ সভাপতি অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, জাতীয় উপ কমিশনার  (প্রোগ্রাম) মো. আবু হান্নান, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার অলোক কুমার তরফদার, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ, টাউন গাল্স স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগীর কবির, সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, শিক্ষক জাহিদুর রহমান, মনোরঞ্জন, বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা অঞ্চলের উপ-কমিশনার আবুল বাশার পল্টু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

788887প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পূরবী চ্যাটার্জী নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালের শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সে কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের হিসাব রক্ষক আনন্দ চ্যাটার্জী ও মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শম্পা গোস্বামীর দ্বিতীয় কন্যা। পূরবী চ্যাটার্জী  ভবিষ্যতে একজন সফল ডিজাইনার হতে চায়। সে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedদেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট’র আয়োজনে সখিপুরস্থ খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ (পিপিএম)। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাদিপুর জগন্নাথপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট’র ফিল্ড কো-অডিনেটর আমিনা বিলকিস ময়না। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কেবিএ কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, মনিরুজ্জামান মহসিন, হাদিপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক ফজর আলী প্রমূখ। অন্যান্যদের মধ্যে প্রভাষক শেখ মিজানুর রহমান, স্বপন কুমার, আজহারুল ইসলাম, মইনুদ্দিন খান, শাহানুর রহমান, মিজানুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, জাফর হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পাঠ করেন কেবিএ কলেজের ছাত্রী আসমা খাতুন ও হাদিপুর মাদ্রাসার ছাত্র তাহসিনুর রহমান। এসময় খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ ও সখিপুর আলিম মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিল। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন প্রভাষক আবু তালেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
 53aa50f14e60c94f30778b5536b70ed6-58f38b755b837সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে না সরালে ২১ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, ‘কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে মূর্তি অপসারণ করা হবে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহারও অপসারণ হবে।’ রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে দলের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে আলেমদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সভায় দলের আমির মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি। মূর্তি ও ইসলাম সাংঘর্ষিক। মুসলমানের দেশে প্রধান বিচারপতি মূর্তি স্থাপন করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।’
‘মূর্তি’কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতীক উল্লেখ করে রেজাউল করীম বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় তাদের মন্দিরে মূর্তি স্থাপন করে পূজা করুক, তাতে কারও আপত্তি নেই। কেননা, সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু বা সংখ্যালঘুদের কোর্ট নয়। কাজেই প্রধান বিচারপতি মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিচারপতির চেয়ারে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।’
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টিও তিনি জানেন কিনা? আসলে দেশ এখন দিল্লির প্রেসক্রিপশনে চলছে। এজন্যই চারুকলায় গরুর মাংস রান্না করায় বাবুর্চিকে মারধার করা হয়েছে। এটা অশুভ ইঙ্গিত।’
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির মাওলানা ঈসা শাহেদী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest