সর্বশেষ সংবাদ-
বুধহাটায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মর্নিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পসাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ

mmmmমাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভিক্ষুকমুক্ত করণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা চত্বরে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপকরণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে ভিক্ষুকদের কর্মমুখী করতে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। সদর উপজেলার ৫ জন ভিক্ষুককে ৫টি ভ্যান, ৩ জনকে ছাগল ও ৩ জনকে মুরগী দেওয়া হয় ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে কর্মসংস্থানের জন্য। খুব শীঘ্রই সাতক্ষীরা সদর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নকিবুল হাসান, সদর উপজেলা প্রকৌশলী এম জাহাঙ্গীর আলম, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজীসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1111মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা  মেধা বিকাশের সহায়ক। শিক্ষর্থীদের শারীরিক, মানুষিক ও নান্দনিক বিকাশ ঘটাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা বিকাশ ঘটাতে সাতক্ষীরা দ্য পোল স্টার পৌর  হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সকালে সাতক্ষীরা পিএন স্কুল ও কলেজ মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র তাসকিন আহম্মেদ চিশতি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনকে বিকশিত করতে এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আগামী দিনে দেশের যোগ্য নেতৃত্ব বিকাশে আজকের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এসময় তিনি আরো বলেন, দ্য পোল স্টার পৌর  হাইস্কুল সাতক্ষীরার একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করণসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনামি কৃঞ্চ মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শেখ মারুফুল হক, মাধ্যমিক শাখার প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাকবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

33333মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশ এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সহিষ্ণুতা ও মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সাতক্ষীরায় আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা পিটিআই চত্বরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, ‘লেখা পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনকে বিকশিত করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। আগামী দিনে দেশের যোগ্য নেতৃত্ব বিকাশে শিশুরাই ভুমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান তিনি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. খালিদ জাহাঙ্গীর, পিটিআই ভারপ্রাপ্ত সুপার ত্রিদিপ কুমার ঘোষ, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুশতাক আহমদ, আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা স্কাউটসের সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, এটিও মাসুদুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা এটিও মাছরুরা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান মিল্টন, কণ্ঠশিল্পী আবু আফফান রোজ বাবু, চিত্রশিল্পী আব্দুল জলিল, দিলরোবা রোজ, সাংবাদিক আমিনুর রশিদ প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333333আশাশুনি ব্যুরো : সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের দৈ ক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলকে হত্যার প্রতিবাদে, দৈনিক খুলনার কন্ঠের সম্পাদক মন্ডলি ইশরাত ইভা ও শেখ রানার নামে মিথ্যা মামলা, শ্যামনগরের সাংবাদিক মিজানুর রহমান, কপিলমুনির আব্দুর রাজ্জাক, সাতক্ষীরার বাঁশদহের জুলফিকার সহ দেশের বিভিন্ন সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুষমা সুলতানার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। আশাশুনি প্রেসক্লাব ও রিপোটার্স ক্লাব সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রেস ক্লাব ও উপজেলায় কর্মরর্তা সাংবাদিকদের আয়োজনে বৃহসম্পতিবার বেলা ১১টায় আশাশুনি উপজেলা সড়কে প্রেসক্লাব সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা রিপোর্টর্সা ইউনিটির আহবায়ক আরটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলা ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম।
আশাশুনি প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মাসুদুর রহমান মাসুদের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমিতির যুগ্ম আহবায়ক মোল্যা রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উপজেলা সভাপতি স ম সেলিম রেজা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী আবুল কালাম আজাদ, আশাশুনি প্রেসক্লাব উপদেষ্টা একেএম এমদাদুল হক, সহসভাপতি আঃ আলিম, সাধারণ সম্পাদক জিএম আল ফারুক, আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা, সেক্রেটারী সোহরাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বাদশা। এসময় আশাশুনি প্রেসক্লাব উপদেষ্টা অধ্যাপক সুবোধ চক্রবর্তী, দপ্তর সম্পাদক আলী নেওয়াজ, অর্থ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক শাহাদাত হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক সচ্চিদানন্দদে সদয়, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ঢালী সামছুল আলম, ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান বিপুল, বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাব সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এসকে হাসান, শ্রীউলা আঞ্চলিক প্রেসক্লাব আহবায়ক ডাঃ শাহজাহান হাবিব, সদস্য সচিব হাসানুজ্জামান, চাম্পাফুল আঞ্চলিক প্রেসক্লাব সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, সেক্রেটারী আমিনুর রহমান, সদস্য মিতা রানী, দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাব যুগ্ম সম্পাদক শেখ আরাফাত হোসেন, হাবিবুর রহমান, বড়দল আঞ্চলিক প্রেসক্লাব পক্ষে প্রভাষক শিবপদ সরকার, আল আমিন হোসেন, আলাউদ্দীন হোসেন, দক্ষিণের মশালের খেশরা প্রতিনিধি মোমরেজ আলম, সাংবাদিক মহসীন আলী, স ম শাহিন রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতবৃন্দ উপস্থিত হয়ে কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেন। মানববন্ধন শেষে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুষমা সুলতানার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1486613686ভারতের বিপক্ষে ‘ঐতিহাসিক’ টেস্টের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ওভারে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন লোকেশ রাহুল। তাসকিনের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরে বল লেগে বোল্ড হন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ভারতের রান তখন মাত্র ২।

এর আগে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে টাইগাররা।

টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল ভারত আর বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে। তবে ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি মনে করেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইটা সহজ হবে না। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ভারতকে ছেড়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ একাদশ : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

ভারত একাদশ : লোকেশ রাহুল, মুরালি বিজয়, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), চেতেশ্বর পূজারা, আজিঙ্কা রাহানে, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kg2ডেস্ক:শীত মানেই কুয়াশা। কুয়াশামাখা ভোরে খেজুর রসের ঘ্রাণ। কাঁধে বয়ে আসা গন্ধ। সেই গন্ধ ঢুকে পড়ে গৃহস্থের অন্দরমহলে। এক ফোঁটা জিভে ঠেকালেই মন আনচান। গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে সুঘ্রাণ। ঝোলা গুড় হোক বা পাটালি, গুণ ষোলোআনা।

গুনে শেষ করাই মুশকিল খেজুর গুড়ের গুণ। তেলুগুতে বেল্লাম, তামিলে ভেল্লাম, মালয়ালিতে শারকারা, কন্নড়ে বেল্লা, মারাঠিতে গুল।এক এবং অদ্বিতীয় খেজুর গুড়।

নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে, দূষিত রক্তের কারণে যে সব রোগ হয়, সেগুলি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরমাণে রয়েছে আয়রন। যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে। পুষ্টিকর বিভিন্ন উপাদান থাকে খেজুর গুড়ে। বিভিন্ন স্ত্রী রোগের সমস্যা দূর করে।

নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে হজমের সমস্যা থাকে না। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশার মতো রোগ থেকে মুক্তি। লিভারকে রাখে সুস্থ। খেজুর গুড়ে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম ও সোডিয়াম। যা পেশিকে শক্তিশালী করে। অতিরিক্ত মেদ ঝরায়। ফলে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণ করে।

ত্বককে যদি রাখতে চান মসৃণ, বয়স যদি ধরে রাখতে চান, খেজুর গুড় খান। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকারি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। ত্বককে করে আরও উজ্জ্বল। ফুসকুড়ি, ব্রনতে ভরে যাচ্ছে মুখ? খেজুর গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

১০ গ্রাম গুড় থেকে পাওয়া যায় ১৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। প্রতিদিন শরীরে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, তার ৪ শতাংশই আসে গুড় থেকে। স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়া সচল রাখে। ফলে, নার্ভের নানা রোগ প্রতিরোধ করে।

হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগও প্রতিরোধ করে খেজুর গুড়। সাধারণ সর্দি-কাশিতেও অব্যর্থ ফল মেলে। ক্রনিক কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় খেজুর গুড়। গাঁটে গাঁটে ব্যথা উধাও। দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখে। নিয়মিত খেজুর গুড় খান। সব রোগ ভ্যানিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে। ইতোমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ আবেদনপত্র জমা দেয়া শুরু করেছেন, উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হবে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ উপজেলা কমান্ড সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী উপজেলায় ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সম্প্রতি বিভিন্ন উপজেলায় নতুন করে যাচাই বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সাবেক সংসদ সদস্য একে ফজলুল হককে সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানকে সদস্যসচিব করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির অন্যান্যরা হলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ উপজেলা কমান্ডের কমান্ডার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শেখ আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার। এই কমিটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চুড়ান্তকরণের লক্ষ্যে যাচাই বাছাই করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান :  সাতক্ষীরা জেলার একটি প্রসিদ্ধ ফলের নাম কুল। এ জেলার নাম করণে গানিতিক ভাবে যে সাতটি জিনিস প্রসিদ্ধ তার মধ্যে কুল একটি অন্যতম ফল। জেলার প্রসিদ্ধ সাতটি জিনিস হল, কুল, ওল, আম, ঘোল, সন্দেশ, মাদুর ও গাছের কলম। আর তাই সাতক্ষীরা জেলায় বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতের কুল। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা ও চট্রগামসহ বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করা হচ্ছে এই কুল। চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হারে কুল চাষ করা হয়েছে। এবার উৎপাদনও বাম্পার হয়েছে বলে জানান চাষীরা। সল্প সময়ের অধিক লাভজনক এ ফসলটি চাষে কৃষকদের মধ্যে খুবই আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। সাতক্ষীরার বাউ, নারিকেল,গাব, বিলেতি ও আপেলকুলসহ বিভিন্ন প্রকার কুলের সুনাম রয়েছে দেশে বিদেশে। বর্তমানে  হাইব্রীড এ সব কুল বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ শুরু হওয়ায় ও লাভজনক বেশী  হওয়ায় জেলায় এর চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বল্প খরচ ও ঝুকি কম থাকায়  জেলার বেকার যুবসমাজ ও চাষীদের একটি বিরাট অংশ এ কুল চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। কুল চাষ করে এ জেলার অনেকেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দুর করেছে বেকারত্ব ,সৃষ্টি করেছে নুতন কর্মসংস্থানের। সাতক্ষীরার বাউ, নারিকেল, বিলেতিসহ বিভিন্ন প্রজাতের কুল দির্ঘদিন ধরে তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। দেশে বিদেশে দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় এর চাষ ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবছর এ জেলায়  সর্বমোট ৪৯০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৪৩০ মে.টন বিভিন্ন প্রজাতের কুল উৎপাদন হয়েছে। কুল উৎপাদন হয়েছিল হেক্টর প্রতি ৭ টন। চলতি বছরে এ জেলায় ৫’ শ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে । এবারে  হেক্টর প্রতি সাড়ে সাত থেকে আট টন কুল উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কুল চাষ করে এ জেলার বহু বেকার যুবক ও চাষীরা তাদের বেকারত্ব দুর করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক পরিবার। কুল মৌসুমে এখান থেকে প্রতিদিন শতাধিক মন কুল ঢাকা বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। অত্যান্ত সু’স্বাদু এ মৌসুমী ফলটি দেশে বিদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। জেলায় সাধারণত: বাউ, নারিকেল,গাব, বিলেতি ও আপেল কুলের চাষ বেশী হয়। কুল চাষ করেই জেলার সহশ্রাধিক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই চাষীরা তাদের জামিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুল চাষ করে থাকে। তবে সুষ্ঠু বিপণন ব্যাবস্থা না থাকায় কুল চাষীরা তাদের উৎপদিত কুলের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। সরকারীভাবে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস থেকে তেমন কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় চাষীরা কুল চাষে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়ছে বলে কুল চাষীরা অভিযোগ করেছেন। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উজ্জল সম্ভাবনাময়ী মৌসুমী এ ফলের চাষ করে একদিকে যেমন এলাকায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে তেমনি দেশের আভ্যন্তরীন চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুল চাষী আইয়ুব হোসেন জানান, পরীক্ষামুল ভাবে প্রথমে এক বিঘা জমিতে বাউকুল চাষ করেন। পরিক্ষামুলক হলেও প্রথম বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে তার ৬৫ হাজার টাকা লাভ হয়। কৃষক আইয়ুব হোসেন আরো জানান, ফসলটি লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ৫ বিঘার একটি বাগান করে তাতে বাউকুল চাষ করছেন গত তিন বছর যাবত। এতে তার প্রতি মৌসুমে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাভ হয়। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান,  সাতক্ষীরার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক এ ফসলটি চাষে এ জেলার কৃষকদের মধ্যে খুবই আগ্রহ বাড়ছে।  তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৫’ শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতের কুল উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলায় সবচেয়ে বেশী কুল চাষ হয়েছে। আগামী বছর কুল চাষ এ জেলায় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest