সর্বশেষ সংবাদ-

9460ebef7008b1d362e2aac35025c3a3-58ee919ee25bcযখন দরকার, ঠিক তখনই দলের পাশে দাঁড়ানোর উদাহরণ তার অনেক আছে। বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আবারও দলকে উদ্ধার করলেন তিনিই। বলা হচ্ছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কথা। প্রায় ছয় মাস পর টুর্নামেন্টে গোলখরা কাটালেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। পিছিয়ে পড়েও তার জোড়া গোলে ১০ জনের বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ এ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় প্রথম ৪৫ মিনিট শাসন করেছে বায়ার্ন। বল দখল থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ভীতসন্ত্রস্ত করতে সফল হয়েছিল তারা। ২৪ মিনিটে ফ্রাঙ্ক রিবেরি গোলদাতা হতে পারতেন। ডিবক্সের মধ্যে তার শটটি রিয়াল ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেলের গায়ে লেগে কর্নার হয়। ওই আক্রমণ ঠেকিয়ে রিয়াল ঠেকিয়ে দিলেও ওই কর্নার ছিল বায়ার্নের গোলমুখ খোলার চাবি। থিয়াগো আলকান্তারার ভাসিয়ে দেওয়া বলটি হেড করেন আরতুরো ভিদাল। চিলিয়ান স্ট্রাইকারের মাথা ছুঁয়ে আসা বলটি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও রুখতে পারেননি রিয়ালের গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।

বিরতির ঠিক কয়েক মিনিট আগে রিবেরির একটি শট ঠেকান কারভাহাল। রেফারি দেখতে পান সেটা রিয়াল ডিফেন্ডারের হাতে লেগেছে, পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। দ্বিতীয় গোল করে নায়ক হতে পারতেন ভিদাল। ভাগ্য সহায় ছিল না তার। স্পটকিক থেকে নেওয়া শটটি গোলবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে একবারই রিয়াল লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছিল। পোস্ট বরাবার রোনালদোর নেওয়া শটটি ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন ন্যুয়ার।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। বিরতির পর দ্বিতীয় মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে কারভাহালের দারুণ ক্রস। প্রথম স্পর্শেই বায়ার্নের জালে বল পাঠান রোনালদো। ৬৬০ মিনিট পর চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের দেখা পান তিনি। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে স্পোর্তিং লিসবনের বিপক্ষে সর্বশেষ গোল করেন সিআরসেভেন। গোলখরা কাটিয়ে যেন নিজেকে ফিরে পেলেন রোনালদো। ৭৭ মিনিটে মার্কো আসেনসিওর বানিয়ে দেওয়া বলে আবারও গোল করেন তিনি। এ গোলে ইউরোপীয় ফুটবলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ গোলের মাইলফলকে নাম লিখলেন রোনালদো। এর আগে ৬১ মিনিটে মার্তিনেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয় বায়ার্ন। আরও দুটি গোল রিয়ালের স্কোরশিটে জায়গা করে নিতে পারত। করিম বেনজিমা ও সের্হিয়ো রামোসের গোলটি অফসাইডে বাতিল হয়।

আগামী ১৮ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। যেখানে আনচেলত্তির শিষ্যদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।

একই দিন রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ স্বাগত জানিয়েছিল লিস্টার সিটিকে। রূপকথা লিখতে পারেনি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানের ২৮ মিনিটের গোলে প্রথম লেগে ১-০ তে জয় পেয়েছে অ্যাতলেতিকো।

এর আগে মোনাকোর মুখোমুখি হয় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। মঙ্গলবার দলটির টিম বাসে বোমা বিস্ফোরণের পর ম্যাচ একদিন পেছানো হয়। আকস্মিক ওই ঘটনার প্রভাব পড়েছিল ম্যাচেও। যার পুরো সদ্ব্যবহার করতে সফল মোনাকো। ফরাসি ক্লাবটি ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। সিগন্যাল ইদুনা পার্কে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল মোনাকো।

১৯ মিনিটে এমবাপ্পে গোলমুখ খোলেন। আধা ঘণ্টা পার হওয়ার কিছুক্ষণ পরে সভেন বেন্ডার আত্মঘাতী গোলে মোনাকোকে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫৭ মিনিটে ডেম্বেলের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় জার্মান জায়ান্টরা। কিন্তু ৭৯ মিনিটে এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে ডর্টমুন্ডের সব আশা ভেস্তে যায়। দলটির জাপানি মিডফিল্ডার শিনজি কাগাওয়ার ৮৪ মিনিটের গোল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7294b7437b50eecdafc62ee1675597bc-58ee6c5c06e40মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ফিল্ডাররা মাঠে নামার পর ধারাভাষ্যকারের উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে শোনা গেল- ‘সে ফিরে এসেছে’। ক্যামেরা তখন মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে। আইপিএলের দশম আসরের দুই ম্যাচ পর গত মৌসুমের উদীয়মান খেলোয়াড়কে পেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু তার ফেরাটা হলো না মনের মতো। মুস্তাফিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে মৌসুমের প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ পেল হায়দরাবাদ। আর মুম্বাই পেল টানা দ্বিতীয় জয়। 

দলের ষষ্ঠ ওভারে বল করতে নামেন মুস্তাফিজ। শুরুতেই পার্থিব প্যাটেল ছয় মারেন। ওই ওভারে আরও ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান মুম্বাইয়ের এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। প্রথম ওভারে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার দেন ১৯ রান। গত মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজের জন্য এটাই ছিল আইপিএলে সবচেয়ে খরুচে ওভার। ১৩তম ওভারে দ্বিতীয়বার বল হাতে নিয়ে রানের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু আহামরি কিছু করতে পারেননি গত মৌসুমের পঞ্চম শীর্ষ বোলার, ১১ রান দেন ওই ওভারে। ১৯তম ওভারে তৃতীয় ওভার করেন মুস্তাফিজ। তার চতুর্থ বলে হরভজন সিং একটি রান নিয়ে মুম্বাইকে জেতান। ২.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি মুস্তাফিজ।

প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জয় পাওয়া হায়দরাবাদ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে। স্বাগতিক মুম্বাইয়ের বোলারদের বেশ ক্লান্ত করে তুলেছিলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ান। দুই ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়েছেন। ৮১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর সেই আক্ষেপের রেশ ছিল হায়দরাবাদের অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও।

ওয়ার্নার ৩৪ বলে ৭টি চার ২টি ছয়ে ৪৯ রানে হরভজন সিংয়ের শিকার হন পার্থিব প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে। ধাওয়ানের ৪৩ বলে ৪৮ রানের ইনিংস থামে মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানের কাছে বোল্ড হয়ে। হরভজনের জোড়া আঘাতের পর যশপ্রীত বুমরার বলে ভেঙে পড়ে হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইন আপ। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে অন্যজন হলেন বেন কাটিং (২০)। হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানে বেধে দিতে মূল অবদান বুমরা ও হরভজনের। প্রথমজন নিয়েছেন ৩ উইকেট, অন্যজন দুই উইকেটের মালিক।

প্যাটেলের ২৪ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পর নিতিশ রানা দলকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা এ ব্যাটসম্যান ৩৬ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৫ রান করেন। জয় থেকে ৪ রান দূরে থাকতে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হন তিনি। তার সঙ্গে ক্রুনাল পান্ডের ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৮.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে মুম্বাই।

ম্যাচটি হেরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠা হলো না হায়দরাবাদের। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের, অবস্থান দুই নম্বরে। আর সমান খেলে সমান পয়েন্টে তিনে উঠে এসেছে মুম্বাই। ২ ম্যাচে টানা জয়ে শীর্ষে আছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6zxnde_full_1684871546_1444572766প্রস্তুতি শেষ৷ শুধু রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের নির্দেশের অপেক্ষা৷ তারপরেই ষষ্ঠবার পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে উত্তর কোরিয়া৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী শনিবার ফের পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাবে এই দেশ৷ ঘটনাচক্রে শনিবার (১৫ এপ্রিল) কিম উনের পিতামহ অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার প্রথম একনায়ক শাসক কিম ইল সুং জন্মেছিলেন৷ তাঁর ১০৫ তম জন্মদিনটি সে দেশে ‘সূর্য দিবস’ হিসেবে পালিত হবে৷

কিম পরিবারের হাতের মুঠোয় থাকা উত্তর কোরিয়ায় এখন সাজো সাজো রব৷ উত্তর কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানাচ্ছে, সূর্য দিবস উপলক্ষে রাজধানী পিয়ং ইয়ং শহরে দুশো বিদেশি সাংবাদিক এসেছেন। সরকারের তরফে তাঁদের ‘বড় ধরণের ঘটনা’ ঘটবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে৷

এরপরই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন৷ যুদ্ধংদেহী শাসক কিম জং উনের কাছে থেকে বড় ধরণের বার্তা মানেই সামরিক হুমকি৷ ফলে পরমাণু বিস্ফোরণের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে৷ সম্প্রতি পরমাণু হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন একনায়ক কিম জং উন৷

কোরীয় উপসাগরে মার্কিন রণতরীর প্রবেশ করার খবর পেয়েই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক৷ বলেছিলেন, আমেরিকা যেমন চায় সেরকম যুদ্ধ করা হবে৷ সেই বার্তায় দুনিয়া জুড়ে হই হই পড়েছে ৷
রাষ্ট্র সংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আগে পাঁচ দফা পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

e77c34ce1720037f80464801e8a3c450-58ce2aaee6d94ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তার দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আজ (বুধবার) রাত ১০টায় মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলকে এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনকে একই সময়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন ফাঁসির খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাত ১০টায় কাশিমপুর ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একই সময়ে তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।’ পরে কাশিমপুর কারাফটকের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান।
সিলেটে রিপনের ফাঁসি কার্যকরের পর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ব্রিফিং করেন জেল সুপার মো. ছগির মিয়া। তিনি বলেন, ‘রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এরপরই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.)- এর মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে বাংলাদেশে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপরে গ্রেনেড হামলা করে হরকাতুল জিহাদের জঙ্গিরা।এ ঘটনায় আনোয়ার চৌধুরীসহ ৭৬ জন আহত হন। এবং ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন।পরে পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান।

পুলিশ ওইদিনই সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে।২০০৭ সালের ৭ জুন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, তার ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
যথাযথ ঠিকানা না থাকায় মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ওরফে খাজার নাম প্রথমে বাদ দেওয়া হলেও, পরে তাকে যুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলায় ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মো. আফজাল রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন হান্নান ও বিপুল। আর দেলোয়ারের পক্ষে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত রায়েও ওই তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ওই তিন জঙ্গির আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মুত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) শুনানি শেষে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। তাতে আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। ফলে মুফতি হান্নানসহ তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল থাকে।
এরপর রায় পুনর্বিবেচনার আপিলও খারিজ হয়ে গেলে গত ২১ মার্চ তাদের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষে ছিল কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা। সেটিও ১০ এপ্রিল প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1492005066গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগী বিপুলের ফাঁসির রায় আজ বুধবার রাতে যে কোনো সময় কার্যকর করা হতে পারে। তাঁদের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কারাগারে জল্লাদ রাজু, তাঁর সহযোগী ইকবাল ও শফিক এবং ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে। এরই মধ্যে ফাঁসির মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

জল্লাদ রাজু এর আগে গত বছরের ১১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালে  মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। এরপর ওই বছরের ১০ মে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর দিবাগত রাতে জল্লাদ শাহজাহানের সঙ্গে মিলে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ রাজু।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজু ১৬ বছর ধরে কারাগারে আছেন।

এদিকে কারাবিধি অনুসারে মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে আজ সকালে প্রথম দফায় শেষ দেখা করেন তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং বড় ভাই। পরে দুপুর ২টার দিকে একই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর দুই ভাইকে মুফতি হান্নানের সঙ্গে শেষ দেখা করার ব্যবস্থা করে কারা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি মহিবুলকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয় এবং কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২ তে বন্দি অপর ছোট ভাই আনিছকে হাইসিকিউরিটি কারাগারে নিয়ে দেখা করানো হয়।

ফাঁসির অপেক্ষায় থাকা এই জঙ্গি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি আছেন। রাষ্ট্রপতি মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর কারাবিধি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার শেষ দেখা করার জন্য স্বজনদের কাছে বার্তা পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ।

ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনার আলোকে বুধবার বিকেল থেকে কারাগার ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও তৎপর রয়েছে। কারাফটকের সামনের সড়কে যানবাহন ও জন সাধারণের চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব দোকানপাট।

এদিকে বেলা ৩টার দিকে ঢাকা থেকে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছান কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেছে।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল উদ্দিন। এ ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন।

এই মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি হান্নান, সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই রায় আপিলেও বহাল থাকে।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাঁদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া অপর দুই জঙ্গি হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগী সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এবং রিপন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুবলীগ নেতা রাসেল কবিরের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

dsc03667-copyনিজস্ব প্রতিবেদক : আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল কবিরকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে যুবলীগের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউমার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ শান্তি প্রিয়। আর কোন অশান্তি দেখতে চাইনা। জামাত-শিবির যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে। একটি পরিবারের উপরে বারবার হামলা হচ্ছে। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তার পিতাকে বোমা মেরে হত্যা করেছে। তাকেও গুলি করে হত্যা করেছে। এখন দলীয় নেতা কর্মীদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পুলিশ এখনও প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। পুলিশ ইচ্ছা করলে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে। অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি গ্রহন করা হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বন ও পরিবশে বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস. এম শওকাত হোসেন, সধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অব্দুর রশিদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাংঘঠনিক সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ,পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসনে অনু, যুগ্ম সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহন, সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাবু, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম মাসুম ও ইউসুফ সুলতান মিলন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক মইনুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

656567777মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেন মোল্যা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা প্রমুখ। এ ছাড়া সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভাসহ পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা হাসানুল ইসলাম,  সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. নকিবুল হাসান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার,  ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ, ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, আলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, কুশখালি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মোশারফ হোসেন, ১৩নং লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর সাতক্ষীরা ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, লাবসা ইউপি সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে সাব্বির হোসেন (৪) বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে আশাশুনি উপজেলার বড়দল বাজার সংলগ্ন  এলাকায়  এ ঘটনাটি ঘটে। শিশুটি আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মামুন হোসেনের ছেলে। শিশুটির পিতা জানান, সকালে সাবিক্ষর খাবার খেয়ে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় পার্শ্ববতী পুকুরে সে পড়ে যায়। অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে তার লাশ ভাশতে দেখা যায়। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest