সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

1
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভানেত্রী সাবেক এমপি বেগম আশরাফুর নেছা মোশারফ। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী সাবেক এমপি বেগম ফরিদা রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম প্রমুখ। এসময় মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার সাতক্ষীরা জেলা সংগঠনটির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং ব্যর্থতা দেখে বলেন, “১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে মহিলা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী করতে দেশে বিদেশে জোর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের যতগুলো শাখা আছে তার মধ্যে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কমিটি সবচেয়ে অকার্যকর কমিটি। সবচেয়ে দুর্বল কমিটি। অযোগ্য কমিটি। শুধুমাত্র মিটিং দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মতো এরকম একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল চলতে পারেনা।” তিনি উপস্থিত ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা যদি চান তাহলে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী কমিটি দেওয়া হবে। কারণ এখানে রাজনীতি করবেন আপনার, দল পরিচালনা করবেন আপনারা।” সম্মেলন শেষে জানানো হয়, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং দ্রুত জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে। এদিকে, অনুষ্ঠানে কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভা নেত্রী জেবুন্নাহার তার বক্তব্যের শেষে বলেন, জয় হোক বঙ্গবন্ধুর, জয় হোক জঙ্গিবাদের। এঘটনার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সকলে হাসা-হাসি শুরু করেন। যদিও তিনি কিছুই বুঝতে না পেরে বক্তৃতা শেষ করেন। এ ঘটনা নেতাকর্মীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। উল্লেখ্য সাতক্ষীরা জেলায় মহিলা আ.লীগের প্রথম কমিটি গঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। সেখানে মিসেস রিফাত আমিনকে সভানেত্রী করা হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় এবং ২০০৬ সালে তৃতীয় ও শেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবারই তিনি সভানেত্রী নির্বাচিত হন। গত ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হন। কিন্তু জেলার কোথাও মহিলা আ.লীগের কোন অফিস বা কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ict
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সারা দেশে আউট সোর্সিং এর আইকন আউট সোর্সিং লিমিটেড ঢাকার সার্বিক তত্বাবধায়নে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরায় ১৮ নভেম্বর থেকে ৩দিন ব্যাপি আউট সোর্সিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। শহরের পলাশপোল এলাকায় শনিবার সকালে প্রশিক্ষণের ২য় দিনে সভাপতিত্ব করেন, আইকন আউট সোর্সিং লিমিটেড ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল। প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রশিক্ষক এস. এম রিশাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আনোয়ারা মেমোরিয়াল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর আসাদুর রহমান আসাদ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মীর শরীফ হাসান নাসের। প্রশিক্ষণে ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুব সমাজ কর্মদক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবে। ঘরে বসেই তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে। এছাড়া সার্ভে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনসহ ১০ প্রকার কাজের সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণের জ্ঞান অর্জন করবে তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৭ জন, তালা থানা ০৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৩ জন, শ্যামনগর থানা ০২ জন, আশাশুনি থানা ০৩ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

manobhondohon-pic
নিজস্ব প্রতিবেদক: নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভাংচুর, বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী সাওতালদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ, হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ও যুবমৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। জেলা যুবমৈত্রীর সভাপতি শিবপদ গাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এড. ফাহিমুল হক কিসলু, যুবমৈত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি স্বপন কুমার শীল, জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, যুগ্ন-সম্পাদক  ধ্রুব সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ কয়াল, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি প্রণয় সরকার, সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃত্য সৃষ্টি,কেন্দ্রীয় ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সদস্য ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ মন্ডল  প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করতে সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ৭১’র সেই পরাজিত শক্তি আজও তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করেনি। একের পর এক বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা তার প্রমাণ। তাদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। এসময় বক্তারা নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভাংচুর, বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী সাওতালদের ভূমি থেকে উচ্ছেদসহ হত্যা-নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rover
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ‘শিশু শ্রম বন্ধ করুন-মাদককে না বলুন’ ও ‘ইভটিজিংকে না বলি” স্লে¬াগান নিয়ে পায়ে হেঁটে ৬৪ জেলা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে দিনাজপুরের রোভার স্কাউট নাসিম তালুকদার এখন সাতক্ষীরায়। ১৬টি জেলা অতিক্রম করে তিনি শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছান। দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার, রাজারামপুর গ্রামের হারুন রশিদ বাচ্চুর ছেলে নাসিম তালুকদার পথে পথে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরায় পৌছানের পরে জেলা স্কাউটস ও প্রাক্তণ রোভার স্কাউটসের পক্ষ থেকে রোভার নাসিম তালুকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্কাউটসের সম্পাদক ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাবেক সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা জেলা সিনিয়র রোভার মেট, খুলনা বিভাগীয় সিনিয়র রোভার মেট নাজমুল হক, সাবেক সরকারি কলেজ সিনিয়র রোভার মেট সেলিম হোসেন, নজিবুল্লাহ, রোভার আল মামুন প্রমুখ। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের রোভার স্কাউট নাসিম তালুকদার জানায়, গত ২২ অক্টোবর দিনাজপুর জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেটে যাত্রা শুরু করেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ১৬তম জেলা যশোর থেকে ১৭তম জেলা সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছান। এর আগে দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগা, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহা, মাগুরা, যশোর জেলা পেরিয়ে আসে। আগামী কাল সে খুলনা জেলার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করবে। শিশুরা যেন তাদের ন্যার্য অধিকার পায়। কোনো প্রকার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। শিশুদের মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের শিশুরা অবহেলিত, লাঞ্চিত, অপুষ্টির শিকার। বর্তমান সরকার শিশুদের অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ঝুকিপূর্ন শ্রমের সঙ্গে যে সব শিশু জড়িত তাদেরকে এসকল কাজ থেকে বিরত রেখে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। তার এই সুদৃঢ় ভ্রমনের জন্য সকলের সকলের মঙ্গল কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

151228121706_khaleda_zia_640x360_bbc_nocreditন্যাশনাল ডেস্ক: নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠনেরও কথা বলেছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সৎ, সাহসী, অবাধ ও সুষ্ঠু স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
একজন নারীসহ চারজন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করেন খালেদা জিয়া। এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের হতে হবে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দলনিরপেক্ষ। বাছাই কমিটির কাছে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো দুজন করে নাম প্রস্তাব করতে পারবে। সেখান থেকে বাছাই কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়নের পর কেউ যদি দায়িত্ব পালন করতে অসম্মতি বলেন, আঠারো বছর বয়সী সব নাগরিককে ভোটার তালিকায় প্রকাশ করেন, তবে একই প্রক্রিয়ায় আবারও বাছাই করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার দাবি জানান খালেদা জিয়া। তিনি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রবাসীদেরও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
নির্বাচনকালীন প্রশাসন যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে ছবিসহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করতে হবে। যাতে কেউ জাল ভোট দিতে না পারে। যাঁদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তাঁরা যেন কোনো বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর নিযুক্ত এজেন্টকে রেখে অবাধে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোট গণনা শুরু করতে হবে। কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে দলনিরপেক্ষ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষক রাখতে হবে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া এসব বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
এ ছাড়া নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকার গঠন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে পরবর্তীকালে বিস্তারিত প্রস্তাব তুলে ধরা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

566b5bd942e6d46f0effe73bce79578e-5823f2790ea55ডেস্ক: ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের (১৯৬৭-৬৮ সালের) ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সৈয়দ মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যায় জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের জড়িত থাকার প্রমাণ্য দলিল পাওয়া গেছে। ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট ছাত্রনেতা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যার জন্য তৎকালীন চট্টগ্রাম রেডিওতে কর্মরত ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে দলীয় প্যাডে ইংরেজিতে হাতের লেখা একটি চিঠি পাঠান মকবুল। এই চিঠি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন হত্যার দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এখনও রয়ে গেছে।

এরই মধ্যে ফেনীতে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে মকবুল আহমাদের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত শাখার কাছে জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা।

অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর ফেনী মহকুমা শাখার তৎকালীন আমির ও শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা মকবুল আহমাদ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন। একাত্তরের ১০ আগস্ট তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা গেছে, মকবুল উল্লেখ করেছেন তাদের কাছে খবর রয়েছে ফেনী তাকিয়া বাড়ির মাওলানা ওয়াজ উদ্দিন ওই সপ্তাহেই চট্টগ্রাম গিয়েছেন। চিঠি লেখার আগের সপ্তাহে ওয়াজ উদ্দিন ভারত থেকে দেশে ফেরেন বলে উল্লেখ করেন মকবুল। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ‘তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন চিঠিতে।

ddc087a4961dc56278aad4628af41eb3-582ec140d2669একই চিঠিতে ওয়াজ উদ্দিনকে ‘চীনপন্থী মেনন গ্রুপের নেতা’ ও ‘চট্টগ্রাম সেক্টরের মুক্তি বাহিনীর প্রধান সহকারী’ উল্লেখ করে তার সন্ধান বের করতে ফজলুল হককে অনুরোধ করেন। তিনি এ বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের স্পেশাল ক্যাডেট শাহ জালাল ও নশেরের সহযোগিতায় যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফেনী শহর কমান্ডার হানিফ ও উপদেষ্টা মাওলানা মোস্তফাকে ওই রাতে চট্টগ্রামে পাঠানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন।

চিঠিতে মকবুল লেখেন, ‘ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যা করতে ইলিয়াছ, খালেক, জালালসহ তিনি (মকবুল ) অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এই ব্যাপারে ‘আগের চুক্তি অনুসারে সাহায্য করতে’ ফজলুলকে অনুরোধ করেন মকবুল।

সূত্র জানায়, মকবুলের সেই চিঠি অনুযায়ীই ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হাত ও চোখ বেঁধে একাত্তরের ১৭ আগস্ট চট্টগ্রামে রিয়াজ উদ্দিন বাজার এলাকায় থেকে চট্টগ্রাম জিপে (ক ২৪৬৭) করে রাজাকারেরা তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের কোনও খোঁজ পাননি তার স্বজনেরা। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু এই অভিযোগ স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিনের রাজনৈতিক সহকর্মী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জামায়াত নেতা মকবুল ও তার ভাই খবির রাজাকারসহ বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর দোসররা গা ঢাকা দেয়। ‘৭৫ এর আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মকবুলদের অর্থ ও ক্ষমতার দাপট বেড়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ফেনী-২ আসনের সংসদ নির্বাচনে মকবুল আহমাদ জামায়াতে প্রার্থী হিসেবে মাঠে আসে। এই সময় স্বাধীনতার পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি মকবুলের যুদ্ধকালীন বিতর্কিত ভূমিকা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। এই সময় মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যায় মকুবলের জড়িত থাকার বিষয় আরও স্পষ্টভাবে সামনে আসে। একই সময় আলোচিত এই চিঠিটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। নতুন প্রজন্ম মকবুলের অতীতের কলঙ্কিত অধ্যায় জানতে পারে। ফলে এই নির্বাচনে বিএনপির দুর্বল প্রার্থী দিয়ে মকবুলকে জিতিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।’

অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, ‘১৯৯৩ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে মকবুলেরও বিচার দাবি করেন। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় এই আন্দোলন না থাকায় নতুন প্রজন্ম মকবুলের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে সোচ্চার হয়নি।’

জেলা ন্যাপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাধন সরকার মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুখান, ‘৭১ স্বাধীনতা সংগ্রামে মাওলানা ওয়াজ উদ্দিন ছিলেন একজন সক্রিয় নেতা। তাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আল-বদরের ও ফেনীর ঘাতক মকবুল আহমাদ দেশকে মেধাবী নেতাশূন্য করার চেষ্টা করেন। ফেনীর মুক্তিকামী মানুষকে ওই হত্যাযজ্ঞের নেতা মকবুলের বিচার দ্রুত করার চেষ্টায় নামতে হবে।’

এদিকে, জামায়াতে আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে গত ২৩ অক্টোবর ফেনীর দাগনভূঞার খুশিপুর গ্রামের ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আহছান উল্যাহের স্ত্রী ছালেহা বেগম লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি তার স্বামীকে অপহরণ, খুন ও লাশ গুম করার অভিযোগ এনে মকবুলের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

এছাড়া ৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত দল মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল দাগনভূঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউপির লালপুর গ্রামে গেলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন জানান, তাদের ওপর ১৯৭১ সালের ১১ জুন হামলার মূলহোতা ছিলেন মকবুল আহমাদ। লালপুর গ্রামে চন্দ্রনাথ পালের বাড়িতে ১০ হিন্দুসহ ১১ জনকে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, বাড়ির ৬৫ পরিবারের নারী, শিশু ও পুরুষদের ওপর নির্যাতনে নির্মম বর্ণনা দেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

মকবুল আহমাদের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান। তিনি বলেন, ‘মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। মকবুল যে রাজাকার ছিলেন সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে কিনা সে বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।’

উল্লেখ্য, মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। জামায়াতের নতুন আমির হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হলে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ পরিবার ও স্বাধীনতার পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল নেতারা তার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6ডেস্ক: মেয়ে আমান্ডা বলেন, “বাবার সঙ্গে যৌন দৃশ্য নিজে হাতে, দাঁড়িয়ে থেকে শুট করেছেন মা”, মাথা তুলে কথা বলতে পারেননি মা জাস্টিন। চোখের পাতা যেন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মৌনতায় জড়িয়েছে নিজেকে, শুধু জল পড়ছে বৃষ্টির মত। এ কেমন মা!

আমেরিকার এক জনপ্রিয় টেলিভিশন শো’তে মুখোমুখি হন মা ও মেয়ে। এরপর আর মেয়ের চোখে চোখ মেলাতে পাড়লেন না মা। ২০ বছর পর মেয়েকে দেখেই আত্মবিলাপে ভেঙে পড়লেন মা। তিনি বলেন, “আমার নিজেকে ঘৃণা হয়।”

টেলিভিশন শো’তে মেয়ে আমান্ডা বলছেন, “আমার নির্মলতা আমার থেকে চুরি করা হয়েছে। আমি সেই পরিবারের মেয়ে যার মা বাবা তাদের সঙ্গেই যৌন কাজ করতে বাধ্য করে। আমি তখন মাত্র ১৩। সেই ঘটনার পর কেটে গেছে ২০ বছর, এখনও এটা ভাবলেই দুঃস্বপ্ন ফিরে আসে, আমার মা বাবা দুজনেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, এখন তারা দুজনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার চোখের সামনে দিয়েই।”

মেয়ের কথার পর অনুতপ্ত মা বলেন, “আমি এই পৃথিবীর সেই হতভাগ্য মা, যে নিজের স্বামীকে নিজের সন্তানের সঙ্গে সেক্স করতে দেখছি। আমার যদি সে ক্ষমতা থাকত, আমি তাহলে সব ফিরিয়ে দিতাম”।

উল্লেখ্য আমেরিকার আদালত জিম ও জাস্টিনের এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি হিসেবে ২০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয়। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জেলে থাকার পর এখন তারা দুজনেই মুক্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest