আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পালিত হচ্ছে এবারের পয়লা বৈশাখ। পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেবায় খুশি সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আচরণ বন্ধুর মতো মনে হচ্ছে বলে জানান অনেকেই।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে রমনা, শাহবাগ ও টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নানা রকমের তৎপরতা। প্রতিবছরের মতো এবারও রমনা বটমূলে সকালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এ অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গল শোভাযাত্রা চলাকালেও পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল দেখার মতো।
রমনা এলাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আসিফ আকরাম নামের একজন বলেন, ‘দেশে কিছুদিন থেকে জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গি আস্তানার যেসব চিত্র আমরা দেখতে পেয়েছি, তাতে আজ বাসা থেকে বের হতে প্রথমে একটু ভয় হচ্ছিল। কিন্তু রাস্তায় নামার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখে সে ভয় সত্যি কেটে গেছে। পুলিশ নিজের হাতে খাবার পানি, বাতাসা বিতরণ করছে দেখে অনেক ভালো লাগল।’
তানিয়া নামের এক নারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার বিষয়ে বলেন, ‘এবার বৈশাখে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবলয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি। মনে হচ্ছে, তারা আজ পুলিশ বা র্যাব নয়, বরং আমাদের বন্ধু।’
রমনা পার্ক, শাহবাগ, টিএসসিসহ বেশ কিছু স্থানে র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রবেশপথে সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সবার চলাফেরায় নজর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রস্তুত আছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট ও পুলিশের বিশেষ দল।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. এহসানুল ফেরদাউস বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এবারও প্রতিবারের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বিশেষ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করছি, সুস্থ এবং সুশৃঙ্খলভাবেই এবারের বৈশাখ পালিত হবে।’

আসাদুজ্জামান/ মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নানা উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহননের পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালী জাতির জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এই দিনটি ঘিরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে তিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অংশ নেয়। মঙ্গল শোভা যাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে তিন দিন ব্যাপি এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম আরিফুল হক, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, জেলা তথ্য অফিসার শাহানওয়াজ করিম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল প্রমুখ। এছাড়া পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সাতক্ষীরার সকল গ্রাম গঞ্জে পহেলা বৈশাখের আয়োজন পালনের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। গ্রামের মানুষের ভাবনা ভোরে ঘুম থেকে উঠা, নতুন জামাকাপড় পড়া এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। বাড়িঘর গুলো সুন্দর করে সাজানো। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা এবং সবাই একটি নির্দিষ্ট স্থানে মিলিত হয়ে নানান রকম খেলার আয়োজনের মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল।
ডেস্ক রির্পোট : মানব সভ্যতায় দিন, মাস, বর্ষ গণনার ইতিহাস সুপ্রাচীন। সভ্যতার অগ্রযাত্রার সাথে সাথে এই গণনা প্রক্রিয়ায়ও এসেছে ভিন্নতা। আজ সারা বাংলা জুড়ে ঘটা করে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এই নববর্ষ উদযাপনে দিন দিন নিত্যনতুন অনুষঙ্গযুক্ত হচ্ছে এবং আমাদের সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতির সাথে যা মিশে যাচ্ছে। এটা দোষের কিছু নয়, সমস্যা হল কতিপয় অতিউৎসুক মানুষ ইতিহাস বিকৃত করে এগুলোকে আমাদের বাংলা’র ইতিহাস বলে চালিয়ে দিচ্ছে। চেষ্টা ইতিহাস এবং তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে উৎসমূলে যাওয়া।
ডেস্ক রিপোর্ট : আজ পহেলা বৈশাখ। শুভ নববর্ষ। পুরনো সব জীর্ণকে ফেলে নতুন দিন, নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন বাঙালির চোখে। আঁধার কেটে যাক, আসুক আলো, হিংসা-বিদ্বেষ শেষ হয়ে যাক বৈশাখের উৎসবের আনন্দে।
দু’দিন আগে বলিউডের বিদ্যা বালানের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিলেন কলকাতা শহরে। আর আজ দুপুর না গড়াতেই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের সঙ্গে জমিয়ে দিলেন ঢাকার জয়া! একা নন, এসময় জয়া-ক্লার্কের সঙ্গে ছিলেন পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলী আর অভিনেতা আবীর চ্যাটার্জিও।
ঢাকা আসছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। চার দিনের সফরে আগামী ২৫ এপ্রিল ঢাকা পৌঁছাবেন তিনি। বাংলাদেশে সফরকালে তিনি একটি এনজিও’র উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এছাড়া, ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
মোস্তফা কামাল, শ্যামনগর : ভারতের মুম্বাই শহরের সিরাজী নগর এলাকার মহসীন শেখের ষোড়ষী কন্যা সিমরান এখন পরিচয়হীন অবস্থায় শ্যামনগর থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। শ্যামনগর প্রশাসন চায় মেয়েটিকে তার আসল ঠিকানায় ফেরত দিতে। বুধবার সকালে সিমরানকে শ্যামনগর ভেটখালী ব্রীজ এলাকায় পাওয়া যায়। সে হিন্দিতে ও বাংলায় ভাংগা ভাংগা কথা বলতে পারে। এলাকাবাসী তাকে বুধবার সকালে ভেটখালী ব্রীজের পাশে ঘোরা ফেরা করতে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে, সিমরান কোন পরিচয় না বলতে পারলেও সে বাংলায় ভাংগা ভাংগা কন্ঠে আমি মুম্বাই যাব বলে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিকভাবে ফেসবুকে একটি পোষ্ট ছাড়ে। বিষয়টি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম এর নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে দির্দেশ দেন। সমাজ সেবা কর্মকর্তা শ্যামনগর থানা পুলিশের সহযোগতিায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে শ্যামনগর থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে মেয়েটি পুলিশের হেফাজতে আছে। এ বিষয়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটি গত ৮ মাস পূর্বে বেনাপোলের রঘুনাথপুর এলাকায় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। বোনের সাথে ঝগড়া করে সে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চলে যায়। কিন্তু কীভাবে কার সাথে শ্যামনগরে আসলো তা এখনও জানা যায় নি। তবে মেয়েটিকে আসল ঠিকানায় পৌছে দেওয়া হবে।
পর্দার আড়ালে দীর্ঘদিন ছিলেন ঢাকায় ছবির কুইন অপু বিশ্বাস। অপুর অন্তরালে চলে যাওয়ায় কারনে ঢালিউড কিং শাকিব খানের বিপরীতে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন শবনম বুবলী। খুব অল্প সময়ে সুপারস্টার শাকিবের বিপরীতে কাজ করে পরিচিতি পেয়েছেন বুবলি।