সর্বশেষ সংবাদ-
অপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশ

151228121706_khaleda_zia_640x360_bbc_nocreditন্যাশনাল ডেস্ক: নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠনেরও কথা বলেছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সৎ, সাহসী, অবাধ ও সুষ্ঠু স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
একজন নারীসহ চারজন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করেন খালেদা জিয়া। এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের হতে হবে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দলনিরপেক্ষ। বাছাই কমিটির কাছে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো দুজন করে নাম প্রস্তাব করতে পারবে। সেখান থেকে বাছাই কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়নের পর কেউ যদি দায়িত্ব পালন করতে অসম্মতি বলেন, আঠারো বছর বয়সী সব নাগরিককে ভোটার তালিকায় প্রকাশ করেন, তবে একই প্রক্রিয়ায় আবারও বাছাই করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার দাবি জানান খালেদা জিয়া। তিনি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রবাসীদেরও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
নির্বাচনকালীন প্রশাসন যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে ছবিসহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করতে হবে। যাতে কেউ জাল ভোট দিতে না পারে। যাঁদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তাঁরা যেন কোনো বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর নিযুক্ত এজেন্টকে রেখে অবাধে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোট গণনা শুরু করতে হবে। কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে দলনিরপেক্ষ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষক রাখতে হবে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া এসব বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
এ ছাড়া নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকার গঠন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে পরবর্তীকালে বিস্তারিত প্রস্তাব তুলে ধরা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

566b5bd942e6d46f0effe73bce79578e-5823f2790ea55ডেস্ক: ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের (১৯৬৭-৬৮ সালের) ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সৈয়দ মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যায় জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের জড়িত থাকার প্রমাণ্য দলিল পাওয়া গেছে। ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট ছাত্রনেতা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যার জন্য তৎকালীন চট্টগ্রাম রেডিওতে কর্মরত ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে দলীয় প্যাডে ইংরেজিতে হাতের লেখা একটি চিঠি পাঠান মকবুল। এই চিঠি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন হত্যার দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এখনও রয়ে গেছে।

এরই মধ্যে ফেনীতে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে মকবুল আহমাদের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত শাখার কাছে জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা।

অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর ফেনী মহকুমা শাখার তৎকালীন আমির ও শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা মকবুল আহমাদ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন। একাত্তরের ১০ আগস্ট তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা গেছে, মকবুল উল্লেখ করেছেন তাদের কাছে খবর রয়েছে ফেনী তাকিয়া বাড়ির মাওলানা ওয়াজ উদ্দিন ওই সপ্তাহেই চট্টগ্রাম গিয়েছেন। চিঠি লেখার আগের সপ্তাহে ওয়াজ উদ্দিন ভারত থেকে দেশে ফেরেন বলে উল্লেখ করেন মকবুল। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ‘তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন চিঠিতে।

ddc087a4961dc56278aad4628af41eb3-582ec140d2669একই চিঠিতে ওয়াজ উদ্দিনকে ‘চীনপন্থী মেনন গ্রুপের নেতা’ ও ‘চট্টগ্রাম সেক্টরের মুক্তি বাহিনীর প্রধান সহকারী’ উল্লেখ করে তার সন্ধান বের করতে ফজলুল হককে অনুরোধ করেন। তিনি এ বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের স্পেশাল ক্যাডেট শাহ জালাল ও নশেরের সহযোগিতায় যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফেনী শহর কমান্ডার হানিফ ও উপদেষ্টা মাওলানা মোস্তফাকে ওই রাতে চট্টগ্রামে পাঠানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন।

চিঠিতে মকবুল লেখেন, ‘ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যা করতে ইলিয়াছ, খালেক, জালালসহ তিনি (মকবুল ) অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এই ব্যাপারে ‘আগের চুক্তি অনুসারে সাহায্য করতে’ ফজলুলকে অনুরোধ করেন মকবুল।

সূত্র জানায়, মকবুলের সেই চিঠি অনুযায়ীই ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হাত ও চোখ বেঁধে একাত্তরের ১৭ আগস্ট চট্টগ্রামে রিয়াজ উদ্দিন বাজার এলাকায় থেকে চট্টগ্রাম জিপে (ক ২৪৬৭) করে রাজাকারেরা তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের কোনও খোঁজ পাননি তার স্বজনেরা। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু এই অভিযোগ স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিনের রাজনৈতিক সহকর্মী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জামায়াত নেতা মকবুল ও তার ভাই খবির রাজাকারসহ বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর দোসররা গা ঢাকা দেয়। ‘৭৫ এর আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মকবুলদের অর্থ ও ক্ষমতার দাপট বেড়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ফেনী-২ আসনের সংসদ নির্বাচনে মকবুল আহমাদ জামায়াতে প্রার্থী হিসেবে মাঠে আসে। এই সময় স্বাধীনতার পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি মকবুলের যুদ্ধকালীন বিতর্কিত ভূমিকা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। এই সময় মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যায় মকুবলের জড়িত থাকার বিষয় আরও স্পষ্টভাবে সামনে আসে। একই সময় আলোচিত এই চিঠিটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। নতুন প্রজন্ম মকবুলের অতীতের কলঙ্কিত অধ্যায় জানতে পারে। ফলে এই নির্বাচনে বিএনপির দুর্বল প্রার্থী দিয়ে মকবুলকে জিতিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।’

অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, ‘১৯৯৩ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে মকবুলেরও বিচার দাবি করেন। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় এই আন্দোলন না থাকায় নতুন প্রজন্ম মকবুলের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে সোচ্চার হয়নি।’

জেলা ন্যাপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাধন সরকার মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুখান, ‘৭১ স্বাধীনতা সংগ্রামে মাওলানা ওয়াজ উদ্দিন ছিলেন একজন সক্রিয় নেতা। তাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আল-বদরের ও ফেনীর ঘাতক মকবুল আহমাদ দেশকে মেধাবী নেতাশূন্য করার চেষ্টা করেন। ফেনীর মুক্তিকামী মানুষকে ওই হত্যাযজ্ঞের নেতা মকবুলের বিচার দ্রুত করার চেষ্টায় নামতে হবে।’

এদিকে, জামায়াতে আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে গত ২৩ অক্টোবর ফেনীর দাগনভূঞার খুশিপুর গ্রামের ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আহছান উল্যাহের স্ত্রী ছালেহা বেগম লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি তার স্বামীকে অপহরণ, খুন ও লাশ গুম করার অভিযোগ এনে মকবুলের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

এছাড়া ৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত দল মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল দাগনভূঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউপির লালপুর গ্রামে গেলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন জানান, তাদের ওপর ১৯৭১ সালের ১১ জুন হামলার মূলহোতা ছিলেন মকবুল আহমাদ। লালপুর গ্রামে চন্দ্রনাথ পালের বাড়িতে ১০ হিন্দুসহ ১১ জনকে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, বাড়ির ৬৫ পরিবারের নারী, শিশু ও পুরুষদের ওপর নির্যাতনে নির্মম বর্ণনা দেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

মকবুল আহমাদের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান। তিনি বলেন, ‘মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। মকবুল যে রাজাকার ছিলেন সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে কিনা সে বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।’

উল্লেখ্য, মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। জামায়াতের নতুন আমির হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হলে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ পরিবার ও স্বাধীনতার পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল নেতারা তার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6ডেস্ক: মেয়ে আমান্ডা বলেন, “বাবার সঙ্গে যৌন দৃশ্য নিজে হাতে, দাঁড়িয়ে থেকে শুট করেছেন মা”, মাথা তুলে কথা বলতে পারেননি মা জাস্টিন। চোখের পাতা যেন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মৌনতায় জড়িয়েছে নিজেকে, শুধু জল পড়ছে বৃষ্টির মত। এ কেমন মা!

আমেরিকার এক জনপ্রিয় টেলিভিশন শো’তে মুখোমুখি হন মা ও মেয়ে। এরপর আর মেয়ের চোখে চোখ মেলাতে পাড়লেন না মা। ২০ বছর পর মেয়েকে দেখেই আত্মবিলাপে ভেঙে পড়লেন মা। তিনি বলেন, “আমার নিজেকে ঘৃণা হয়।”

টেলিভিশন শো’তে মেয়ে আমান্ডা বলছেন, “আমার নির্মলতা আমার থেকে চুরি করা হয়েছে। আমি সেই পরিবারের মেয়ে যার মা বাবা তাদের সঙ্গেই যৌন কাজ করতে বাধ্য করে। আমি তখন মাত্র ১৩। সেই ঘটনার পর কেটে গেছে ২০ বছর, এখনও এটা ভাবলেই দুঃস্বপ্ন ফিরে আসে, আমার মা বাবা দুজনেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, এখন তারা দুজনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার চোখের সামনে দিয়েই।”

মেয়ের কথার পর অনুতপ্ত মা বলেন, “আমি এই পৃথিবীর সেই হতভাগ্য মা, যে নিজের স্বামীকে নিজের সন্তানের সঙ্গে সেক্স করতে দেখছি। আমার যদি সে ক্ষমতা থাকত, আমি তাহলে সব ফিরিয়ে দিতাম”।

উল্লেখ্য আমেরিকার আদালত জিম ও জাস্টিনের এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি হিসেবে ২০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয়। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জেলে থাকার পর এখন তারা দুজনেই মুক্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5ডেস্ক: বিশ্ব টয়লেট দিবস শনিবার। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘টয়লেট অ্যান্ড জবস’। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির আবাহনী মাঠের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’।

সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বাসা, বিনোদনকেন্দ্রসহ সর্বত্র নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করা হোক’—শ্লোগানকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততার ফলে জীবিকার ওপর এর প্রভাব তুলে ধরতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, পয়ঃব্যবস্থাপনা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি, স্বাস্থের উন্নতি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা বিশেষ করে নারীদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মানুষের সুস্বাস্থের জন্য কর্মস্থলে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ টয়লেট ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।

টয়লেট অপর্যাপ্ততার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ বিভিন্নরকম স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

late-monira-bishwashকলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার বামনখালী কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক ও জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভানেত্রী মনিরা বিশ্বাস (৩০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না–রাজিউন)। শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রভাষিকা। মৃত্যুকালে তিনি ১ মেয়ে ও স্বামীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরুহুম প্রভাষিকা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের স্ত্রী ও সাতক্ষীরার সদর থানার আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের মেয়ে। শনিবার স্বামীর বাড়ি উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে কবরস্থ করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাঁর এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

football-picপ্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ দিনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে গতকাল সাতক্ষীরা পৌরসভাকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয় পেয়েছে শ্যামনগর।
শুক্রবারের এ ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটের মাথায় শ্যামনগরের ১১ নম্বর জার্সি পরিহিত রিজভী ও দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মাথায় একটি গোল করেন ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত মিয়ারাজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও শেষ গোল দিতে ব্যর্থ হয় সাতক্ষীরা পৌরসভা।
এদিকে খেলা শুরুর আগে বিকেল তিনটায় শুভ উদ্বোধনের পর খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন এর সহধর্মিনী ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী সেলিনা আফরোজ।
গত ১৫ নভেম্বর শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। আজ শনিবার পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পণ্ড হয়েছে বাল্যবিয়ে। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে সাজা দেয়া হয়েছে মেয়ের পিতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে। জানা যায়, পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে পিয়ার আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুন ওরফে সোনিয়ার বিয়ে ঠিক হয় মথুরেশপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সাথে। শুক্রবার দুপুরে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিমুল কুমার সাহা অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং মেয়ের পিতাকে আটক করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত অপ্রাপ্ত বয়সের মেয়েকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে পিতা শহিদুল ইসলামকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম সাজা দিয়ে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kaligonj-pictur-18-noveকালিগঞ্জ ব্যুরো: সত্য-সুন্দর-সম্প্রীতির উৎসব কালিগঞ্জ সাহিত্য একাডেমি সম্মেলন ২০১৬ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কালিগঞ্জ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আবদুস সামাদ ফারুক। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, কবি হোসেন উদ্দীন হোসেন, মাকিদ হায়দার, ভারতীয় কবি নৃপেন চক্রবর্তী ও নলিনী বেরা প্রমুখ। এ্যাডভোকেট জাফরুল্যাহ কুতুবুদ্দিন ইব্রাহিম ও সুকুমার দাশ বাচ্চু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সাহিত্য একাডেমির সমন্বয়ক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কার জায়াদুল হক, সুশীলনের পরিচালক মোস্তফা নুরুজ্জামান, জেলা সাহিত্য একাডেমির সম্পাদক পল্টু বাসার প্রমুখ। সম্মেলনের আহবায়ক ও বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিমুল কুমার সাহা। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ফারুক অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ২২ জন ভিক্ষুককে প্রথম পর্যায়ে কর্মসংস্থানের জন্য প্রত্যেককে ভ্যান ও সেলাই মেশিন প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারাফ হোসেন, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, দক্ষিণশ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যার প্রশান্ত কুমার সরকার প্রমুখ। সম্মেলনের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কবি সাহিত্যিকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ ও মনোজ্ঞ সাংকৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest