সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

tala-picture-17-11-16
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিশু-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সকালে আল-আমীন একাডেমীর ৩৭ জন শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও একাডেমীর সভাপতি আলহাজ্জ্ব ডাঃ মাহামুদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ডাঃ আপ্তাপ উদ্দীন, গর্ভানিং বডির সদস্য সরদার আমজাদ হোসেন, এসএম আসাফার রহমান, অভিভাবকদের মধ্যে অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম,মিসেস আব্দুর সবুর, শিক্ষক আব্দুল জলিল, নরিম হোসেন,আব্দুর সবুর,আহম্মদ উল্লাহ, মাওঃ রেজাউল করিম ও তরিকুল ইসলাম। বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গালিব, সোহাগ, স্বপ্না, সাহারা, কাজী শেফা বারী বক্তব্য দেন। উক্ত অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত করেন উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের ঈমাম মাওঃ তাওহীদুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আল-আমীন একাডেমীর সিনিয়র শিক্ষক ও সাংবাদিক মোঃ নুর ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা মাতা ও একাডেমীর সকল ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

nabarun-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও শান্তিভাবে নতুন কেন্দ্র নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে জেএসসি পরীক্ষা। সাতক্ষীরায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। নতুন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষা চলাকালে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা পরিদর্শণ করেন। পরিদর্শণ শেষে প্রত্যেকেই কেন্দ্রটির অবকাঠামো, আসন বিন্যাস, নকলমুক্ত নান্দনিক পরিবেশ, কক্ষ পরিদর্শকদের আন্তরিকতা কর্তব্যপরায়নতা ও কর্মকর্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে মুগ্ধ হন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কৃষিশিক্ষা পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রটির প্রতিষ্ঠাতা সাতক্ষীরার সংরক্ষিত নারী সাংসদ মিসেস রিফাত আমীন পরিদর্শণ শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কেন্দ্রটি যাতে আগামীতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারবে সেজন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এমপি রিফাত আমীন বলেন, শহরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি এ বছর চ্যালেঞ্জ নিয়েই পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে সুনামের সাথে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। আগামীতে এটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে। তিনি কেন্দ্রটির সাফল্য কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ঝরনা খানম, কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস, সহকারি কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার, হল সুপার ও প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলাম, সহকারি হল সুপার ও সিনিয়র শিক্ষক মো. নজিবুল ইসলাম সহ অন্যরা। গত পয়লা নভেম্বর শুরু হয় জেএসসি পরীক্ষা। শেষ হয় ১৭ নভেম্বর। ১২ টি হাইস্কুলের ৭৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সোনাবাড়িয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেলী গ্রামের মোশারাফ হোসেন (২৮) নামের এক যুবক গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে একই মোঃ হারুন সরদারের (৮১) ছোট ছেলে। জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৫.৩০ মিনিট সবার অজান্তে পাশের একটি আমগাছে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ার কারনে সে কিছু দিন আগে জেল খেটে এসেছে। জেল থেকে ১৫ দিন পরে এসে সে আত্মহত্যা করে। তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এসআই মহিদুল ইসলাম ঘটনার সংবাদ পেয়ে সকাল ৮টার সময় ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ গাছ থেকে নামিয়ে মর্গে পাঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

vasani

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মজলুম জননেতা মাও: আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জজকোর্ট মোড়স্থ নুর সুপার মার্কেটের ২য় তলায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সাতক্ষীরার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি সাতক্ষীরার সভাপতি আবুল আলম। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র কেন্দ্রীয় ওলামা সভাপতি মাও. নূর মোহাম্মাদ সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ। এছাড়া সংগঠনের সাতক্ষীরার জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা জমলুম জননেতা মাও. ভাসানীর কর্মময় জীবনের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আশাশুনি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবাটায় কৃষির অধুনিক ধান কাটারযন্ত্র রিপারের মাধ্যমে ফসল কর্তনে মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১১টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে দেবহাটা সদর ক্লাবের সুশিলগাঁথী গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোক্তার আলির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিমউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকতা সাহজাহান আলী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম মোল্যা, এবাদুর রহমান, উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল, আফজাল হোসেন, আলাউর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তা মোহাম্মাদালী। এসময় আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষের ফলন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার কথা বলা হয়। তাছাড়া কৃষকদের আগ্রহ অনুযায়ী এই উন্নত প্রযুক্তি সরকারি ভাবে কম খরচে প্রদান করার হবে জানান কর্মকর্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যেনতেন ভাবে। একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে জেলা পরিষদসহ পৌরসভার জায়গা। দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। তথ্যে প্রকাশ, শিবসা নদীর অববাহিকতায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা। উক্ত শিবসা নদীটি পলি জমে চরাঞ্চলে রূপ নিয়েছে। বেড়েছে পৌরসভার সীমানাও। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও তার পরিষদ বর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পৌরসভাটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বেড়েছে পৌরসভার সরকারি বাজেট ও জনসেবা। কিন্তু পৌর এলাকার চরা ভরাটি ও বিভিন্ন এলাকার পতিত জায়গা চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের দখলে। আইনের তোয়াক্কা না করে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসকের সরকারি জায়গায় দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে, শিবসা নদীর চরা ভরাটি এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শিবসা ব্রীজ, ডিপো মার্কেট, শিববাটী ব্রীজ, পুরাতন ট্রলার ঘাট, খেয়াঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা দোকানপাট ও বাড়ি ঘর তৈরি করে দখল করে নিচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের স্বার্থে এলোপাতাড়ী চায়ের স্টলগুলো সরিয়ে চর ভরাটি জায়গায় বসানোর জন্য বাজার ইজারাদারের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। এ সুযোগে তারা চায়ের দোকানদারসহ তাদের নিজেদের পরিবারের লোকজনের নামে পজেশনের তালিকা প্রণয়ন করেন। সেখান থেকে চায়ের দোকানদাররা অদ্যাবধি পর্যন্ত তাদের দখলীয় কাগজপত্র তৈরি করতে পারেনি। এছাড়া অত্র চরভরাটি এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধ দখলে রেখেছে। জানা যায়, শিবসা নদীর চর ভরাটিয়া জায়গা পৌর অভ্যন্তরে হলেও মালিক জেলা প্রশাসক। যে কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে দো-টানায়। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, চর ভরাটিসহ পতিত জায়গা পৌরসভার অনুকুলে আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আনতে পারলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্বচ্ছ পৌরসভা গড়া হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, শিবসা চর ভরাটি এলাকা অবৈধ দখলের কথা শুনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

arr
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার সাতটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১৩ জন, তালা থানা ০৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৪ জন, শ্যামনগর থানা ০১ জন, আশাশুনি থানা ০২ জন, দেবহাটা থানা ০১ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এস,এম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু : সারাদেশের ন্যায় কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আগামী ২০ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ১২ টি কেন্দ্রের সমাপনী পরীক্ষার গ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভার পর হঠাৎ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের একটি আবেদনকে কেন্দ্র করে আসন্ন পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জনবল নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা শেষে জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হল সুপার ও সহকারী হলসুপার হিসেবে এবং যোগ্য সহকারী শিক্ষকদের সহকারী হলসুপার হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেন না কালিগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ। সহকারী শিক্ষকদের সহকারী হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব দিলে প্রধান শিক্ষকগণ হল সুপার ও সহকারী হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর উক্ত দায়িত্ব হতে অব্যহতি প্রদানের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেয়া ওই আবেদনের অনুলিপি সদয় অবগতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করা হয়েছে। গত ১৬/১১/১৬ তারিখে দাখিলকৃত আবেদনে উপজেলার গান্ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮নং মৌতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ভদ্রখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৯৭ জন প্রধান শিক্ষক সাক্ষর করেছেন। ওই আবেদনে তারা জানান, গত ০৯/০৩/২০১৪ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদ মর্যাদা প্রদান করা হয়। সেই বিবেচনায় আসন্ন পরীক্ষায় সহকারী হল সুপার হিসেবে সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দেয়া হলে প্রটোকল অনুযায়ী সাংঘর্ষিক হবে। তাই সহকারী শিক্ষকদের পরীক্ষায় সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হলে সেক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের অব্যহতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে এই আবেদনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বৃহৎ ব্যবস্থাপনার এই পরীক্ষার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে প্রধান শিক্ষকগণ এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ায় পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রধান শিক্ষকদের দাখিলকৃত আবেদনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক এস,এম গোলাম রহমান ও সদস্যসচিব বিশ্বনাথ অধিকারী শীলন জানান, উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য সহকারী শিক্ষক সুনামের সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সহকারী শিক্ষকদের সহকারী হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব দিলে প্রধান শিক্ষকগণ অব্যহতি নিবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটা হতাশাজনক। এর মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকদের প্রকারান্তরে অপমান করা হয়েছে। বড় পরিসরে আয়োজিত পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে প্রধান শিক্ষকদের এধরণের আচরণ প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়ন ও সরকারি চাকুরি বিধি লংঘনের শামিল বলে তারা মনে করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান প্রধান শিক্ষকদের হল সুপার ও সহকারী হল সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেয়ার বিষয়ে কোন আবেদন পাননি জানিয়ে বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন না করার কোন কারণ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ ফারুখ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest