সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

indexনিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়ায় স্কুল শিক্ষকের বেত্রাঘাতে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে। আহত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর তাকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুল ছাত্রের নাম আশিকুজ্জামান। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আহত স্কুল ছাত্রের খালা সাজেদা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করছেন। সাজেদা খাতুন জানান, জন্মের পর থেকে তার বোনের ছেলে আশিকুজ্জামানকে তিনি লালন পালন করে আসছেন। আশিকের মা সম্প্রতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আশিকও অসুস্থ। সে চন্দনপুর মাধমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। আশিক সকালে দেরিতে স্কুলে যায়। এসময় স্কুলের পিওন বজলুর রহমান তাকে শ্রেণি কক্ষে যেতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটি হলে পিওন বজলুর রহমান আশিককে ধরে নিয়ে প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর কাছে নিয়ে যায়। পিওনের সাথে তর্কবিতর্ক করায় প্রধান শিক্ষক আশিককে বেতের লাঠি দিয়ে বেদমভাবে মারপিট করে। লাঠির আঘাতে যন্ত্রনাকাতর আশিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে তিনি (খালা) তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী জানান, আশিকুজ্জামান প্রায় সময়ই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করে। তার বিরুদ্ধে ধুমপান করারও অভিযোগ রয়েছে। বয়োজেষ্ঠ্য পিওন বজলু রহমানের সাথে বেয়াদবি করায় আশিককে মারপিট করেছেন বলে তিনি স্বীকার করে আরো জানান, আশিক ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য আমার প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জ্ঞান হারানোর নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে যাতে কেউ বেশীকিছু বাড়াবাড়ি করতে না পারে সেজন্য জরুরী ভাবে শিক্ষকদের নিয়ে স্টাফ মিটিং করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জানান, সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesমোস্তফা কামাল : শ্যামনগর উপজেলায় ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ও ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নে দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শুরু হবে আজ ১৬ এপ্রিল। অন্ধকারে আলোর লড়াই, কে হবে জনপ্রতিনিধি! ভোটাররা অন্ধকারে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সৎ যোগ্য নেতা খুঁজে নেবেন। জয়ের মাল্য কে পরবেন তা আর কয়েক ঘন্টা পরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জানা যাবে। চেয়ারম্যান আকবর আলী জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ফলাফলে আমার ধানের শীষ প্রতীক ১৮ ভোটে জয়লাভ করে। ৪নং ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতিকে মোট ভোট পান ৫৮৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আল মামুন ঘোড়া প্রতিকে পান ১৩১১ ভোট। রিটার্নিং  অফিসার স্বাক্ষরিত রেজাল্ট শীট প্রদান করার পর রেজাল্ট শীটে ফুট মেরে ২৪ ভোট কমিয়ে আল মামুনের রেজাল্ট শীটে ২৪ ভোট যোগ করে তাকে জয়ী করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর রেজাল্ট শীট নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করলে বিজ্ঞ আদালত ঐ ৪ নং কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন। ধানের শীষ ও ঘোড়া প্রতিকের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। পূর্বের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যায় এই হিসাব মেলে। আজ সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্র দুটি হলো- ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ভামিয়া পোড়াকাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নে পূর্ব রমজাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামাল উদ্দীন আহমেদ জানান, পূর্ব রমজাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৬৬১। তন্মেধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৩৬৫ ও মহিলা ১ হাজার ২৯৬। অপরদিকে ভামিয়া পোড়াকাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪। তন্মেধ্যে পুরুষ ৫৫৭ ও মহিলা ৫৩৭। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং ভ্রাম্যমান হিসেবে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন। তিনি আরও বলেন, দুই কেন্দ্রে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনছার ও ভিডিপির সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলা হয়েছে। উল্লেখ্য বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের এ কেন্দ্রের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ডালিম কুমার ঘোরামী জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। অপর দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের ওই কেন্দ্রে গোলযোগ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বাচন স্থগিত করে দেন। এদিকে ওই দুই কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ভোটাররা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে নির্বিঘেœ ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ভোটাররা। শ্যামনগরের সর্বস্তরের মানুষ এ দুটি নির্বাচন কেন্দ্রের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছে। শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে এমনিই আশা করছেন সকলেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

987শ্যামনগর ব্যুরো : পহেলা বৈশাখে সাতক্ষীরা ৪ আসনের এম.পি. জগলুল হায়দারের পক্ষ হতে প্রতিবন্ধী ও হত দরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ, মুরগি, তরকারী ও চাউল বিতরন করেছেন। এম.পি. জগলুল হায়দারের ঐচ্ছিক তহবিল হতে নির্বাচনী এলাকার ২০টি ইউনিয়নের কয়েক শত প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৫ লক্ষ টাকার অনুদান ঘোষণা করেন এবং পরে হত দরিদ্রদের মাঝে মুরগি, তরকারী ও চাউল বিতরণ করেন। টাকা সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিরা উন্নত মানের খাবার খেয়ে নববর্ষ উদযাপন করে। কিন্তু আরও অনেক অস্বচ্ছল, গরীব, দুঃখী, অসহায় মানুষ আছে যারা বছরের বাকী সব দিনের মত সাধারণ খাবার খায় নববর্ষে। মনের তীব্র ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর্থিক অসুবিধার কারণে তারা এই দিনটিকে আলাদা ভাবে উদযাপন করতে পারে না। তাদের কষ্ট অনুভব করে জনবন্ধু এস, এম জগলুল হায়দার এমপি পহেলা বৈশাখ নববর্ষের দিনে শ্যামনগরের নকিপুর বাজার থেকে কয়েকজন অতি গরীব, অসহায় মানুষকে মাংস ও চাউল ক্রয় করে দেন। পরে প্রেসকøাবে এসে উপজেলার কালমেঘা গ্রামের হত দরিদ্র আশরাফ গাজীর পুত্র জাহিদুল ইসলামের মায়ের হাতে ৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এ সময় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য শিল্পী রানী মৃধা, শ্যামনগর প্রেসকøাবের সভাপতি জি, এম আকবর কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমনসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

0000003333আমির হোসেন খান চৌধুরী :  সরকরিভাবে বন্দোবস্তকৃত চিংড়ি ঘের জবর দখল, ভাঙচুর ও লুটপাটে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের  হাসপাতালে ভর্তি করার উদ্যোগ নেওয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় ঘেরের বাসা ভাঙচুর করে ৫০ হাজার টাকার মাছ ও মাছ ধরার সরঞ্জাম লুট করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের যুগিপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন,  ধুলিহর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের মৃত তারক মিস্ত্রির ছেলে অশ্বিনী মিস্ত্রি(৬০), তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী মিস্ত্রী (৪০), নিরঞ্জন মিস্ত্রি (৪৮), তার স্ত্রী অনিমা রানী মিস্ত্রী (৩৫) ও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিরঞ্জন মিস্ত্রি জানান, ১৯৮১ সালে তার বাবা তারক চন্দ্র মিস্ত্রী ধুলিহর মৌজার যুগিপোতা গ্রামের হাল ১৪৬২৮ দাগে ৮৯ শতক ও ১৪৮৫২ দাগে ২৭ শতক জমি বন্দোবস্ত নেন। ১৯৯২ সালে একই বয়ারবাতান গ্রামের সুদীপ সরকারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকার ওই জমি সুধান্য সরকারের মা ভদি সরকারের কাছ থেকে কোবালা দলিল মূলে কিনেছেন মৌখিকভাবে দাবি করে ওই জমি থেকে তারক মিস্ত্রীকে উচ্ছেদ করে। নিরঞ্জন মিস্ত্রী আরো জানান, গত বছরের ১৮ অক্টোবর সদর সহকারি ভূমি কমিশনারের অফিস থেকে ওই জমি তার বাবার নামে বন্দোবস্ত দলিল আছে উল্লেখ করে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে কয়েকদিন পর ওই জমি তার নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য তাকে বাবার সময়কার বন্দোবস্ত বাবদ হাঁস মুরগি ও ছাগল বিক্রি করা ৪০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ি ১৪২৩ সালের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ওই জমির বন্দোবস্তের মেয়াদ ছিল। ১৪২৪ সালের বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য তিনি গত বৃহষ্পতিবার সদর সহকারি ভূমি কমিশানারের অফিসে আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে ১৬ এপ্রিল অফিসে আসতে বলেন। প্রত্যক্ষদর্শী যুগিপোতা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ, ছাদেকুর রহমান, সঞ্জয় মিস্ত্রী, ধুলিহর সানা পাড়ার বাকির হোসেনসহ কয়েকজন জানান, সাবেক ইউপি সদস্য ভৈরব সরকার তার ভাই শৈলেন্দ্র নাথের স্ত্রী সবিতা রানী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘ ২৫ বছর তারক মিস্ত্রীর বন্দোবস্তকৃত জমি জবরদখলে রাখার পর পাঁচ মাস আগে হাতছাড়া হওয়ার বিষয়টি তিনি সহজে মেনে নিতে পারেননি। একপর্যায়ে গত ৩০ চৈত্র নিরঞ্জন মিস্ত্রীর বন্দোবস্তের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি ওই জমি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেন। এজন্য তিনি সাবেক জাপা নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সানা ওরফে বাবু সানার সঙ্গে পরামর্শ করে তারই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বহু জায়গার জবরদখলে নেতৃত্বদানকারি সানাপাড়ার এরফান, ইসমাইল, তুল্লুক, সাইফুলদের শরনাপন্ন হন। একপর্যায়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে ওই সন্ত্রাসীসহ ভৈরব সরকার , তার ভাই শৈলেন সরকার, দিবস সরকার, নিরাপদ সরকার , গনেশ মিস্ত্রীসহ উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা দা, শাবল, লোহার রড, বাঁশের  লাঠি ইত্যাদি নিয়ে নিরঞ্জন মিস্ত্রীর ওই মাছের ঘেরে হামলা চালায়। একইসাথে তারা ওই ঘেরে একটি বাসা বাঁধার প্রক্রিয়া শুরু করে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি তাতে বাঁধা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে খুব শীঘ্র সমস্যার সমাধান করে দেবেন বলে নিরঞ্জন মিস্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। এরপর ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা নিরঞ্জন মিস্ত্রীর চিংড়ি ঘেরের বাসা ভাঙচুর ও মাছ লুটপাট শুরু করলে নিরঞ্জন মিস্ত্রী, তার স্ত্রী অনিমা রানী মিস্ত্রী, অশ্বিনী কুমার মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী মিস্ত্রী বাধা দেন। এ সময় হামলাকারিরা ওই চারজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ঘটনাস্থলে এসে মোবাইল ফোনে এম্বুলেন্স আনার উদ্যোগ নিলে হামলভকারিার তাকে মারতে মারতে বেতনা নদীর বেড়িবাঁধের উপরে নিয়ে যায়। পরে আহত একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শনিবার বিকেলে হাসপাতালে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের হাতে তাকেসহ নিরঞ্জন মিস্ত্রী পরিবারের চারজন জখম হয়েছে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাসপাতাল চত্বরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদের হাসপাতাল চত্বরে চেয়ারম্যানের হাতাহাতি হয়।  হামলার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়ারম্যানের পরামশে কাল্পনিক জখম সৃষ্টি কর্রে ভৈরব সরকারের স্ত্রী কামনা সরকার ও শৈলেন সরকারের স্ত্রী সবিতা সরকারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে আব্দুল হামিদসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব সরকারের স্ত্রী কামনা সরকার জানান, তাদের জমি নিরঞ্জনরা জোর করে দখল করতে গেলে বাধা দেওয়ায় তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডাঃ শরিফুল ইসলাম জানান, অশ্বিনী মিস্ত্রীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার কারণে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বেইন সিটি স্ক্যানের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাড়ভাঙা রক্তাক্ত জখম রয়েছে। নিরঞ্জন মিস্ত্রীর ডান হাত, বাম হাত, পিঠসহ বিভিন্ন স্থানের হাড় ভারী জিনিসের আঘাতে ভেঙে গেছে। অশ্বিনী ও নিরঞ্জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তবে সন্ধ্যা রানী মিস্ত্রী ও অনিমা রানী মিস্ত্রীর জখমও আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে জানার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়ে। তবে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে থানায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

65456এম. বেলাল হোসাইন : ব্যাংদহা বাজারের সরকারি পুকুর দখল করে অবৈধ ভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্যাংদহা বাজারের সরকারি পুকুরের জায়গায় পানি নিস্কাশনের পর অবৈধ পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ চলছে স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আর বাজার কমিটি ম্যানেজ করে। প্রকাশ্যে অবৈধ নির্মাণ কাজ করলেও কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে নিশ্চুপ থাকায় জনমেন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ফিংড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মুনছুর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে ব্যাংদহা বাজারে পেরিফেরি সম্পতির নামে সরকারি পুকুর ডিসিআর দিয়ে সেখানে অবৈধ পাকা দালান নির্মাণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এর আগেও আরো একটি পুকুরের পাশে সোলাইমনের চায়ের দোকানের নারিকেল গাছ কর্তন, পুকুরে নামার ঘাট বন্ধ এবং সরকারি টিউবওয়েল বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। উক্তস্থানে দোকান ঘর হলে পুকুরে নামার কোন পথ থাকবে না। ফলে পুকুর ইজারা দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং পুকুরটি আর কোন ব্যবহারও করতে পারবে না বলে এলাকাবাসি জানায়। এলাকাবাসি আরো জানায়, ব্যাংদহা বাজারটি তিনটি ইউনিয়নের মোহনায় অবস্থিত। বাজার ঘেষে গেছে মরিচ্চাপ নদী। এ নদী দিয়ে এসব ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশিত হয়ে থাকে কিন্তু ইউনিয়ন ভুমি কর্তার সহায়তায় কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি নদীর জায়গায় মাটি ভরাট দিয়ে অবৈধ দখল করে নদীর পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করছে। এভাবে দখল করতে থাকলে এলাকায় জলাবদ্ধতায় পরিণত হবে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে বর্তমান খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আলহাজ মো. আব্দুস সামাদ জেলা প্রশাসক থাকাকালীন নিজ প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা সকল উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে খনন করেছিলেন মরিচ্চাপ নদী। ফলে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল এলাকাবাসি। কিন্তু ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তার অর্থবানিজ্যের কারণে আবারো অবৈধভাবে দখল করায় নদী বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান নদীর কোথাও ৩ হাত আবার কোথাও ১/২ হাত রয়েছে। এভাবে দখল হতে থাকলে খুব শিঘ্রই মরিচ্চাপ নদীর চিহ্ন আর পাওয়া যাবেনা। এতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে সকলকে আটকা পড়তে হবে বলে আশংকা করছে সচেতন মহল। এদিকে ব্যাংদহা বাজারের উপর দীর্ঘ দিনের পুরনো ২টি পুকুর। এ পুকুরে ইজারা নিয়ে মাছ চাষও করে আসছে স্থানীয়রা। পাশাপাশি ওই পুকুরের পানি দিয়ে রান্না এবং গোসলের প্রয়োজন মিটায় এলাকার হাজারো মানুষ। এর মধ্যে একটি পুকুরের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে পুকুরপাড় ও পুকুরের কিছু অংশ পেরিফেরির সরকারি জায়গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোনায়েম হোসেন ও জোড়দিয়া গ্রামের শেখ সাজ্জাত আলীর ছেলে শেখ আজমির হোসেন বাবু পাঁচ লক্ষ টাকায় জোড়দিয়া গ্রামের হচেন মল্লিকের ছেলে পল্লী চিকিৎসক গাওছুল মল্লিক ও শেখ নেছার উদ্দীনের ছেলে চায়ের দোকানদার শেখ সুলাইমান আলীর কাছে বিক্রি করে। কয়েকদিন আগে গাওছুল মল্লিক ও সুলাইমান আলী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মুনসুর আলীকে ম্যানেজ করে পেরিফেরি নামে ডিসিআর নিয়ে রাতের আধারে পুকুরের পানি নিস্কাশনের পর দিবালকে ঢালাই পিলার দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে ঘরের বিম নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ব্যাংদহা বাজারের কয়েকজন দোকানদার জানান, ফিংড়ী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও ব্যাংদহা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে পুকুরে নামার পথ বন্ধ করে কারো তোয়াক্কা না মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ দুই ব্যক্তি। এভাবে অবৈধ দখলমুক্ত না করা গেলে এলাকার বাকি পুকুরের জায়গা খুব শীঘ্রই বেদখল হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ এলাকাবাসী। ফিংড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মুনছুর আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আর্থিক সুবিধা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ব্যাংদহা বাজারে পুকুরের পাড় থেকে পুকরের ভিতরে ২০ ফুট সরকারি পেরিফেরি সম্পত্তি রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে খোজখবর রাখছি। প্রয়োজনে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসি বাজারের পুকুরে নামার পথ বন্ধ করে  দোকান ঘর নির্মাণ কারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

puza-picপ্রেস বিজ্ঞপ্তি : আজ রবিবার ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন(বিটিভি)-এ নবজাগরণ অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণার্থী ও পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা রাণী কর্মকারের সংগীত পরিবেশিত হবে। অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য সবাইকে আহ্বান করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

resize89620ন্যাশনাল ডেস্ক : সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাস্কর্য স্থাপন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই ভাস্কর্য রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্ত ও এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বিষয়।’
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ। শুক্রবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সর্ম্পকে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহের সামনে স্থাপিত কোনও ভাস্কর্য যেন কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করে, তা নিশ্চিত করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে যে মতামত দিয়েছেন তা হলোÑ সুপ্রিম কোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। আর এ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের স্বকীয়তা রক্ষা করা উচিত।’
আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, ‘মূর্তি ও ভাস্কর্য এক নয়। অনেক ভাস্কর্য রয়েছে যা কোনও দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য রাখা বা না রাখার সম্পূর্ণ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের। এর কারণে যেন কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এবং নামাজের সময় তা যেন না দেখা যায়, কেবল সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

541e70f693c7600f90fe4db440f15513-58f24accde29eক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নেই, করিম বেনজিমা-গ্যারেথ বেলও বাইরে। এর ওপর আবার দুই দুইবার এগিয়ে গেল প্রতিপক্ষ স্পোর্তিং গিহন। পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের মনে। যদিও অসাধারণ পারফরম্যান্সে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন ইসকো। এই মিডফিল্ডারের জোড়া লক্ষ্যভেদে গিহনকে তাদেরই মাঠে রিয়াল হারিয়েছে ৩-২ গোলে।

রোনালদো, বেনজিমা ও বেল যে থাকছেন না; সেটা আগেই নিশ্চিত করেছিলেন জিনেদিন জিদান। চমক ছিল আরও, যেটা জানা গেল তার একাদশ ঘোষণার পর। ‘বিবিসি’র সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ একাদশের বাইরে রেখেছিলেন টোনি ক্রোস, লুকা মডরিচ, মার্সেলো, কাসিমিরোর মতো খেলোয়াড়দের। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের একাদশের মাত্র দুজন-সের্হিয়ো রামোস ও নাচোকে রেখে দল সাজিয়েছিলেন জিদান। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগ ও ‘এল ক্লাসিকো’র জন্য বিশ্রাম দিয়েছেন তিনি প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়দের। স্পোর্তিং গিহনের বিপক্ষে তাই নামান দ্বিতীয় সারির দল। তবু জয় পেয়েছে রিয়াল, গিহনের মাঠ থেকে জিতেই ফিরেছে ‘লস ব্লাঙ্কোস’।

সেরা একাদশের প্রায় সব খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত একটু হলেই বিপদ ডেকে এনেছিল জিদানের জন্য। বার্সেলোনার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করা ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই যে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন দুয়ে কোপ। মিকেল আরুতির বাতাসে ভাসানো পাস বেশ খানিকটা দৌড়ে বক্সের ভেতর থেকে ভলিতে জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি রিয়াল। মিনিট তিনেক পরই দুর্দান্ত এক গোল করে মাদ্রিদের ক্লাবকে সমতায় ফেরান ম্যাচের নায়ক ইসকো। ডান প্রান্ত থেকে লুকাস ভাসকেসের পাস বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন এই মিডফিল্ডার। এরপর পায়ের জাদুতে গিহনের তিন খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শটে বল জড়ান জালে।

সমতায় ফেরার পর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বেশ কয়েকবার তৈরি করলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। প্রথামর্ধ শেষ হয় তাই ১-১ সমতায়। বিরতি থেকে ঘুরে এসে আবার এগিয়ে যায় গিহন। মিকেল আরুতির হেডে বল জালে জড়ালে উৎসবে মাতে স্বাগতিক সমর্থকরা। সেই উৎসবও স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ৫৯ মিনিটেই আবার সমতায় ফেরে রিয়াল। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন আলভারো মোরাতা। দানিলোর চমৎকার ক্রস বক্সের ভেতর লাফিয়ে হেড করে জালে জড়ান সাবেক জুভেন্টাস স্ট্রাইকার।

দুইবার ঘুরে দাঁড়ানো রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার কম চেষ্টা করেনি। সুযোগও পেয়েছিল যথেষ্ট। পোস্টেও লেগেছিল একবার। ম্যাচ গড়াচ্ছিল তাই ড্রয়ের দিকেই। যদিও সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয়নি ‘লস ব্লাঙ্কোদের’। ৯০ মিনিটে আবারও ইসকো জ্বলে উঠলে পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের নেওয়া নিচু শট ঠেকাতে পারেননি গিহন গোলরক্ষক। তাতে ৩-২ গোলের জয়ে লা লিগার শিরোপা দৌড়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল ৬ পয়েন্টের। ৩১ ম্যাচ শেষে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মাদ্রিদের ক্লাবটি, সমান ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৯। গোল ডটকম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest