সর্বশেষ সংবাদ-

65656আসাদুজ্জামান : কর্মক্ষেত্রের কক্ষ সংকট ও চালকদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোন মাঠ না থাকাসহ বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও গত তিন বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা সাতক্ষীরা শাখার রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। যা বিগত তিন বছরের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সাতক্ষীরা সার্কেলের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সাল থেকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ ভবনের মধ্যে তাদের সাতক্ষীরা শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে পলাশপোলে কালেক্টরেট ভবন নির্মিত হওয়ার পর থেকে ওই কার্যালয় জেলা পরিষদ থেকে কালেক্টরেট ভবনে স্থানান্তর করা হয়। প্রথমে একটি কক্ষে কাজ চললেও পরবর্তীতে কাজের সুবিধার্থে আরো একটি কক্ষ বাড়ানো হয়। প্রথমে পুলিশ লাইন স্কুল মাঠে ও পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মাঠে  চালকের ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে ২০১১ সাল থেকে টাইগার প্রজেক্ট আইডি’র মাধ্যমে নাম্বার প্লেট (সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে), চালক সনদপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সাতক্ষীরা সার্কেলের বর্তমানে সহকারি পরিচালক হিসেবে প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ, মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে মোঃ আমীর হোসেন, ম্যাকানিকাল এসিসট্যান্ট হিসেবে মোঃ আবু জামাল, অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে মোঃ নাসিরউদ্দিন কর্মরত রয়েছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩১১টি মোটরযান নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশন) , এক হাজার ৪০২টি উপযুক্ত সনদপত্র (ফিটনেস সার্টিফিকেট), ৫৪০টি সড়ক চলাচলের অনুমোদন (রুট পারমিট), ২৭ হাজার ৭৬৯টি সড়ক কর টোকেন (ট্যাক্স টোকেন), ১৫ হাজার ৫৭০টি চালক সনদপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স), ২৪ হাজার ৪৮৭টি চালকদের শিক্ষানবীশ সনদপত্র (লার্নার), ৭১০টি মালিকানা সনদপত্র দেওয়ার মাধ্যমে ৬৪ কোটি ৯১ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ ছাড়া ৬২৬টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তিন লাখ ১৭ হাজার ৯৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
অপরদিকে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরে পাঁচ হাজার ৩৪৩টি মোটরযান নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশান), এক হাজার ২৮৩টি উপযুক্ত সনদপত্র (ফিটনেস), ৩৭৪টি সড়ক চলাচলের অনুমোদন (রুট পারমিট), ছয় হাজার ৬২৮টি সড়ক কর টোকেন (ট্যাক্স টোকেন), তিন হাজার ৯৫১টি চালক সনদপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স), পাঁচ হাজার ১২৮টি শিক্ষানবীশ সনদপত্র (লার্নার) ও ১৫১টি মালিকানা সনদ প্রদানের মাধ্যমে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এ ছাড়া ৯৮৫টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে চার লাখ ৬ হাজার ৮৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
বাস মালিক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী জামায়াত শিবিরের সহিংসতার কারণে পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জেলাজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এ কারণে বিশেষ করে মোটর সাইকেল নিবন্ধন, চালকসনদ সংগ্রহের ব্যাপারে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। জোরদার করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম। কমে আসে দালালদের দৌরাত্ম্য। এসবের অংশ হিসেবে রাজস্ব আদায় বাড়তে থাকে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. শেলী ও অ্যাড. প্রবীর মুখার্জীসহ কয়েকজন জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা সার্কেলের কার্যালয়ে কক্ষ সংকটের কারণে গ্রাহক পরিসেবা ব্যহত হচ্ছে। এ ছাড়া চালক সনদ পরীক্ষা, চালকদের ব্যবহারিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে যথাক্রমে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের একটি কক্ষে ও কলেজ মাঠে নেওয়া হয়ে থাকে। একে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা হওয়া ছাড়াও গাড়ির মালিক ও চালকদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এজন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের জন্য শহরের একটি বিশেষ স্থানে নিজস্ব ভবন ও মাঠ দরকার। যার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ছাড়া এ কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্ণীতির উর্দ্ধে থেকে আরো বেশি সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বেশি বেশি করে ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে দালালমুক্ত করতে হবে। ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও অবৈধ যানবাহন চলাচলে ভ্রাম্যমান আদালতকে আরো বেশি কঠোর হতে হবে। সেজন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী তানভির আহম্মেদ জানান, ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তৎকালিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কাজ কয়েকগুন বেড়ে যায়। সে জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তা কর্মচারিদের হিমশিম খেতে হয়। তবে তাদের কাজের পাশাপাশি সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ায় জনদুর্ভোগ অনেকাংশেই কমেছে। এ ছাড়া মোটরযান সংক্রান্ত পরিসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন ও মাঠ পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই শহরের তিনটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাওয়ার জন্য খুব শীঘ্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491930734কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সমমর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে দাওরায়ে হাদিস ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবিতে মাস্টার্সের মর্যাদা পাবে।

মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক আলেম উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আলেমদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে। তাঁরাই এই স্বীকৃতির আইনি ভিত্তি দাঁড় করাবেন।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে তিন শতাধিক আলেম এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কওমি ঘরানার দেশের শীর্ষ প্রায় সব আলেম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491930562প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণে যা যা করা দরকার, তিনি তা করবেন।

মঙ্গলবার রাতে গণভবনে কওমি আলেমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই আশ্বাস দেন।

একই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো।’

ভাস্কর্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হলো কীভাবে আমরা জানি না। … আমি প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) ইতিমধ্যেই খবরটা দিয়েছি এবং খুব শীঘ্রই আমি ওনার সঙ্গে বসব এবং এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব এবং আমি নিজেও ব্যক্তিগত মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত না।’

‘তবে আমি আপনাদের বলব, আপনারা ধৈর্য ধরেন। কারণ এটা নিয়ে কোনো হৈ চৈ করা না। একটা কিছু যখন করে ফেলেছে, সেটাকে আমাদের সরাতে হবে। তার জন্য আমার ওপর অন্তত এইটুকু ভরসা আপনারা রাখবেন যে, এই ব্যাপারে যা যা করার, আমি তা করব।’

বক্তব্যে ভূমি আইনের অধীনে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা সরানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ১৯৮৪ সালে প্রথম উমরাহ করতে যাই মক্কা ও মদিনা শরিফে। ১৯৮৫ সালে আমি প্রথম হজ করতে যাই। তখন মক্কা-মদিনা শরিফে যে পরিমাণ ছোট ছোট মসজিদ ছিল এবং এত হোটেল-টোটেল, মসজিদ অনেক কিছু ছিল। আপনারা দেখেন, এখন কিন্তু কিছু নাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

g3qvsw_hasina20170411203826পয়লা বৈশাখে ইলিশ মাছ খাওয়া এবং ধরা থেকে বিরত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলন শেষে উঠে সাংবাদিকরা যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী কথা ‘কথা আছে’ ‘কথা আছে’বলে তাদের থামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘পয়লা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ইলিশ খাবেন না, ইলিশ ধরবেন না।’

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পয়লা বৈশাখে খিচুড়ি, সবজি, মরিচ ভাজা, ডিম ভাজা ও বেগুন ভাজা খাওয়ার পরামর্শ দেন ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক পুত্র মাহদী হাসানের বৃত্তি লাভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাংবাদিক পুত্র মাহদী হাসান প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেছে। সে সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী সমাপনী পরীক্ষা অংশ গ্রহন করে সাধারণ গ্রেডে অংশ গ্রহন করে এ বৃত্তি লাভ করেছে। বর্তমানে সে সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ে। তার পিতা জিটিভি ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি কামরুল হাসান ও সাতক্ষীরা জেলা জাপার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম সরদারের পৌত্র। মাহদী হাসান ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। সে সকলের দোয়া প্রার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

87845মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জীবিকায়ন দলের মাঝে ২য় কিস্তির নগত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদরের ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে কেয়ার বাংলাদেশ সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপনায় ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা স.ম শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ নগত অর্থ বিতরণ করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি সদস্য এস,এম রেজাউল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সোনিয়া পারভীন শাপলা, কেয়ার বাংলাদেশ সাতক্ষীরার প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. মহব্বত আলী, প্রজেক্ট অফিসার মো. ইব্রাহিম খলিল ও শিউলি চক্রবর্তী প্রমুখ। এ সময় ৫০জন জীবিকায়ন দলের মাঝে ২য় কিস্তির ৯ হাজার টাকা করে এ নগত অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

89865মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : “শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদরের ব্রক্ষ্মরাজপুর ডিবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ডিবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা -০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, আজকের এই শিক্ষার্থীরা হবে আগামী দিনের কর্ণধর। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও দেশ সম্পর্কে জ্ঞান দান করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালী জাতির ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুর ইসলাম, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর ইসলাম, ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা স.ম শহিদুল ইসলাম, সন্তোষ কুমার বোস (এসকে বোস), ডিবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমাদুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি সদস্য এস,এম রেজাউল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সোনিয়া পারভীন শাপলা, রাম প্রসাদ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মুক্তি কনস্ট্রাকশনের স্বত্তাধিকারী মাহমুদ হাসান মুক্তি প্রমুখ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ১তলা ভবন নির্মাণ করবে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক এস.এম শহিদুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1f6d7dfbb7ac56be76a5139d5ad6890e-58ec868909c3eসিলেটের সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলামসহ চার আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি ছয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে ১২ মার্চ হাইকোর্টের এই বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়।

এদিকে রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া নূর মিয়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পেলেও হাইকোর্ট তা কমিয়ে ৬ মাস করেছেন। আদালত বলেন, ‘এ মামলায় এই ভিডিও ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য। ফলে তার সাজা কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে।’ আদালত আরও বলেন, ‘তার ভিডিও ধারণ ‘ইনটেনশনাল’ ছিল না, কৌতুহলবশত সে এটি করেছে।’

২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার মূল আসামি কামরুল ইসলাম ওই হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। পরে ভিডিও দেখে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

রাজন হত্যার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে গত বছর ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।

মাত্র ১৭ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর রায় ঘোষিত হয়। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একজনের যাবজ্জীবনসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়।

যাবজ্জীবন হওয়া নূর মিয়া প্রধান আসামী কামরুলের অন্যতম সহযোগী যিনি রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন, তারপর ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে। কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর দণ্ড হয় এক বছর করে।আসামিদের মধ্যে জাকির হোসেন পাভেল এবং কামরুলের ভাই শামীম আহমদ মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে হাই কোর্টে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল ইসলাম ও নিজামুল হক নিজাম। আসামিপক্ষে ছিলেন এস এম আবুল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, মো. শাহরিয়ার ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া পলাতক দুই আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাসনা বেগম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest