news-pic-04-04-17লফিকার আলী : কলারোয়ায় দুই রাউন্ড তারা গুলিসহ একটি ওয়ান সুটার গান উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তার নেতৃত্বে থানার এসআই ইয়াছিন আলম চৌধুরী, এমদাদুল হক, শেখ নাজিবুর রহমান, সেলিম রেজা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কুটি বাড়ীর মোড় থেকে পরিতাক্ত অবস্থায় ২রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি ওয়ান সুটার গান উদ্ধার করে। এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি জিডি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জুলফিকার আলী, কলারোয়া : মঙ্গলবার বেলা ১২টার  দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ওষুধ প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যৌথ অভিযানে ৩গাজা সেবনকারী ও এক ফার্মেসী মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত চলাকালে কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট হাইস্কুলের সামনে পুকুর পাড়ে গাজা সেবনকালে যশোরের  নওপাড়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মিজানুর রহকমান (২৫) একই গ্রামের কালু ড্রাইভারের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫) ও কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে টিপু সুলতান (২৩)কে আটক করে। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ২হাজার করে মোট-৬হাজার টাকার জরিমানা করেন আদালত। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার রায় জেলা ড্রাগ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে কলারোয়া পৌর বাজারের মৌসুমি ফার্মসীতে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে কলারোয়া হাসপাতালের সরকারী ওষুধ ও কিছু ভারতীয় ওষুধ থাকায় তাকে তাৎতক্ষণিকভাবে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতা করেন কলারোয়া উপজেলার কেমিস্ট এ্যান্ড  ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী শামসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ডাঃ শামসুর রহমান, কলারোয়া থানার এসআই মাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বেঞ্চসহকারী এমএ মান্নান ও সাংবাদিক জুলফিকার আলী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesকলারোয়া ডেস্ক: জে.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর তালিকায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শীর্ষে আছে কলারোয়া পাইলট গালর্স হাইস্কুল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জি.কে.এম.কে পাইলট হাইস্কুল। গার্লস হাইস্কুল থেকে ট্যালেন্টপুলে ৮জন ও সাধারণ গ্রেডে ১৪জন এবং জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল থেকে  ট্যালেন্টপুলে ৮জন ও সাধারণ গ্রেডে ৯জন বৃত্তি পেয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ২০১৬ এর তালিকা অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ জানান, এ উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ২১ জন আর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ৫৬ জন।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে কলারোয়া পাইলট গালর্স হাইস্কুল থেকে ৮জন, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল থেকে ৮জন, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত হাইস্কুল থেকে ৩জন, ভাদিয়ালী হাইস্কুল থেকে ১জন ও বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুল থেকে ১জন।
কলারোয়া পাইলট গালর্স হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব জানান, তার স্কুল থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে যথাক্রমে রুবাইয়া তারান্নুম মৃত্তিকা, নাফিছা তাব্বাছুম, জান্নাতুল ফেরদৌস, হাজারাতুল কুবরা, নিশিত তাবাচ্ছুম লাজ, নওশীন জাহান সুবর্ণা, সুজানা আমান আবৃত্তিা ও সুলায়মা বিনতে শাহীন। এছাড়া সাধারণ গ্রেডে ১৪জন বৃত্তি পেয়েছে।
কলারোয়া জি.কে.এম.কে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব জানান, তার স্কুল থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে যথাক্রমে রশিদ মুজাহিদ, মো.হাসিবুর রহমান, শামীর আল রাফি, মো.আব্দুল ওয়াদুদ, আরাফাত ইবনে আবির, মো.নাফিজ আলম, এসএম মেশকাত কবির তৌসিফ ও ফারহা আফরিন মিম। এছাড়া সাধারণ গ্রেডে ৯জন বৃত্তি পেয়েছে।
সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজ্জামান চান্দু জানান, তার স্কুল থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে যথাক্রমে শিহাব বাবু, মো.আসিফ ইকবাল ও নিয়ামুল কবির স্বাধীন। এ স্কুল থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ৬ জন।
ভাদিয়ালী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম জানান, তার স্কুল থেকে তামান্না ইয়াসমিন সুইটি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। এখান থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ৪জন।
বি.এস.এইচ. সিংগা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরি সাধণ ঘোষ বলেন, তার স্কুল থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে মোছা. মিম। এ স্কুল থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ২ জন।
এছাড়া সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে উপজেলার কামারালী হাইস্কুল থেকে ৫জন, হঠাৎগঞ্জ হাইস্কুল থেকে ৪জন, কলারোয়া মডেল হাইস্কুল থেকে ১জন, সরসকাটি ইউনাইটেড হাইস্কুল থেকে ১, চান্দুড়িয়া কে.সি.জি ইউনাইটেড হাইস্কুল থেকে ১, দমদম হাইস্কুল থেকে ১জন, রামকৃষ্ণপুর সৈয়দ কামাল বখত গার্লস হাইস্কুল থেকে ১জন, বাটরা হাইস্কুল থেকে ১জন, চন্দনপুর হাইস্কুল থেকে ৩জন, পানিকাউরিয়া হাইস্কুল থেকে ১জন, ধানদিয়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন থেকে ১জন এবং বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুল থেকে ১জন পরীক্ষার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

unnamedমাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পলাশপোল নিউ মার্কেটের পিছনে সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে নিউ মার্কেটের পিছনে সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন  পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল আলম বাবু ও পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী। পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের  দক্ষিণ পলাশপোল নিউ মার্কেটের পিছনে আবু সানার বাড়ির সামনে থেকে মুক্তির বাড়ি পর্যন্ত ১শ’ ৬০ ফুট সিসি ঢালাই রাস্তা প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার অর্থায়ণে এ সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রকৌশলী কামরুল আখতার, সহকারী প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, শামছুর রহমান, শফিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

565656গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর: পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পাদদেশে মুন্সিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর বেড়ী বাঁধের উপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫ নং পোল্ডারটি অবস্থিত। যার যে এস নং ১৬। এটি দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত ও চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
শ্যামনগরে এই স্লুইজ গেট রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করলেন সুন্দরবন স্টুডেন্ট’স সলিডারিটি টিম। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগরের উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন অবিলম্বে স্লুইজ গেটটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের দাবিতে সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম, কলবাড়ী নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বারসিক যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইজ গেট যার পোল্ডার নং ০৫ জে এস ১৬ (ঢ়ড়ষফবৎ হড়-০৫, লং ১৬) টি দীর্ঘদিন যাবৎ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। খোলপেটুয়া নদীর ওয়াপদা বাঁধের উপর নির্মিত স্লুইজ গেটটি রাস্তা ছাড়া ছোট হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে দেদারছে। পোল্ডারটির উপরে যে হাতল (নিরাপত্তা বেষ্টনী) থাকে সেটা আজ থেকে ৫ বছর আগে ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে যানবাহন চলাচল সহ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মানববন্ধনকালীন সময়ে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, প্রধান শিক্ষক সুভাশীষ মন্ডল, শিক্ষক নিমাই চন্দ্র মন্ডল, শিক্ষক নবতারণ মন্ডল, সাংবাদিক গাজী আল ইমরান, উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, সুন্দরবন স্টুডেন্ট’স সলিডারিটি টিমের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন,সহ-সভাপতি গাজী আব্দুল আলিম,মুন্সিগঞ্জ ইউনিট সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাজার কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বারসিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
মানববন্ধনকালীন সময়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে নীলডুমূর  যাওয়ার একমাত্র  সড়কের  মাঝে নীরব কান্না যেন কেউই শুনছে না। মুন্সিগঞ্জ বাজারের উপরের স্লুইজ গেটটি  সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষদের। এটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নীরবে-নিভৃতে কাদঁছে গুরুত্বপূর্ণ এই স্লুইজ গেটটি। সংস্কারের অভাবে এটি এখন মরণ ফাদ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, উক্ত স্থানটিতে  যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। স্লুইজ গেটটির দুই সাইডের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে পথ চারিদের।এর আগে একজন পথচারি সাইকেল নিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যপকভাবে আহত হয় কিন্তু প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ব্যবহৃত সাইকেলটি উদ্ধার করতে পারেনি। স্লুইজ গেটটির  দূরাবস্থা দেখার যেন কেউ নেই? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি বিদ্যালয়, আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম, মুন্সিগঞ্জ ফাড়ি, নীলডমুর বিজিবি ক্যাম্পসহ হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। কিন্ত মুন্সিগঞ্জ বাজার পার হয়েই স্লইজ গেটটি সামনে পড়লেই ভয়ে আতকে ওঠে পথচারীরা। জ¦ালাময়ী বেহাল দশায় পতিত হয়ে আছে স্লুউজ গেটটি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। “সম্প্রতি ১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ সুন্দরবন ঘুরতে আসা একটি মটর সাইকেল রাস্তা ক্রসিংয়ের সময় স্লুইজ গেটের নিচে পড়ে একজন আরোহী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সবসময় জনদুর্ভোগ লেগেই থাকে। যাতে অতিদ্রুত এই পোল্ডারটি সংস্কার করা যায়, এবং নতুন একটি পোল্ডার তৈরি করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ উর্দ্ধতন কর্তাব্যক্তিদের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3d131fbe6a44a61ec100f6b745a636d8-58e3409137f77স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টেয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে মাশরাফি বাহিনী।  বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। তাই উত্তেজনার পারদ চড়বে দেখে ক্রিকেট ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে যাচ্ছে! তবে এর সঙ্গে ‘বৃষ্টি’ ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সোমবার রাতে কলম্বোর আকাশে মেঘ ছিল, সেই মেঘে ঘণ্টাতিনেক বৃষ্টিও হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও কলম্বোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মাঠে নামার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে দুই দলকে।

ওয়ানডে পরিসংখ্যান বাদ দিলে শ্রীলঙ্কার মাটিতে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে জয় পায়নি বাংলাদেশ। তবে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে লঙ্কানদের মাটিতে স্বাগতিকদের বধের পর এবার টাইগারদের সুযোগ টি-টোয়েন্টিতে জয় তুলে নেওয়া। অবশ্য সেটা বেশ চ্যালেঞ্জিংই। কারণ অন্য সংস্করণের চেয়ে শ্রীলঙ্কা এই সংস্করণে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে থাকে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও বলে তাদের পক্ষ হয়ে। গত বছর তারা দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল। সেই আত্মবিশ্বাসের ধারা সফরকারীদের বিপক্ষেও অব্যাহত রাখতে চাইছে স্বাগতিকরা। তাইতো বাংলাদেশের বিপক্ষে এক প্রকার হুঙ্কারই দিয়ে রাখলেন লঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা, ‘আমার টি-টোয়েন্টি ভালো দল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে আমরা তাদের মাটিতে হারিয়েছি। নিশ্চিতভাবেই আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকবে।’

যদিও প্রেমাদাসার পরিসংখ্যান মনে পড়লে কিছুটা হোচঁট খেতে পারে শ্রীলঙ্কা। ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়-এমন পরিসংখ্যান নিশ্চয়ই ভীতি ছড়াবে লঙ্কানদের মনে! মাশরাফি অবশ্য এখান থেকে প্রেরণা নেওয়ার কিছু নেই বলেই জানালেন, ‘এগুলো ম্যাচে কোনও প্রভাব ফেলে না। চট্টগ্রাম আমাদের লাকি গ্রাউন্ড। কিন্তু আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিতে সিরিজ জিততে পারিনি। সুতরাং এগুলো ম্যাচে কোনও প্রভাবক হতে পারে না।’

প্রেমাদাসার উইকেটে আগে ব্যাটিং করা দলই খানিটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারে। হিতে বিপরীত হতেও পারে। উইকেট শক্ত থাকায়, এখানে পেসাররা বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে পারে। এখানে সর্বশেষ পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দল ১৫০ প্লাস রান করেছে।

সবমিলিয়ে এখানে ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আগে ব্যাটিং করা দল। সবকিছু মিলিয়ে টসটা একটা ভাইটাল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তবে পেস শক্তি নিয়ে নামা যে কেউই চাইবে আগে বোলিং করতে। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কিছুটা প্রভাবতো থাকবেই। যদিও সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত প্রেমাদাসায় শিশির পড়তে দেখা যায়নি।

প্রেমাদাসায় খেলতে নামার আগে মাশরাফি-তামিমদের প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে গত এশিয়া কাপের একমাত্র জয়টি। সবমিলিয়ে ৫ বার মুখোমুখি হয়ে টাইগারদের জয় মাত্র এই একটিই।

টি-টোয়েন্টিতে যেমন ম্যাচ পাল্টে দেয় ব্যাটসম্যানরা, বাংলাদেশের তেমনটা নেই। এ নিয়ে প্রায়ই হাহাকার করেন মাশরাফি। তারপরও ভরসা রাখেন সেই তামিম-মুশফিক-রিয়াদদের ওপরই, ‘আমাদের দলে যারা আছে তারা হার্ডহিটার। সমস্যা হচ্ছে তাদের শুরু করতে কিছুটা সময় লাগে। তারপরও আমি মনে করি তামিম ভালো শুরু করলে বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যাবে।’

লঙ্কান স্কোয়াডে মালিঙ্গা-কাপুগেদারা-কুলাসেকারা আছেন। তাই তাদের পেয়ে লঙ্কান অধিনায়কের গলা চড়া হওয়ার যথেষ্ট কারণও এটা! মাশরাফিও তাদের টি-টোয়েন্টিতে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় মনে করেন। তাইতো তাদের নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা সাজাতে বলেছেন।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হতে পারে মেহেদি হাসান মিরাজের। এরই মধ্যে অন্য দুই ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছে এই তরুণ স্পিনারের। আরও একটি পরিবর্তন হওয়ার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। মুস্তাফিজ ও মাশরাফির সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে দেখা যেতে পারে সাইফউদ্দিনকে। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সদস্য ছিলেন এই সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর ‘শাপ’ কাটাতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে ম্যাচ হারার পর টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি হেরেছে লাল-সবুজরা। সবগুলোই নিউজিল্যান্ডের কাছে। ওই হারের বৃত্ত ভাঙতে আজ জয়টা ভীষণ প্রয়োজন মাশরাফিদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

aa6857afd30caae5565abf44b5522d0b-587479f1d5e6cখুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে পাঠানো হয়।

হাইকোর্টে আসামিপক্ষের শুনানি শেষ করেন আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল ও এসএম মোবিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা।

গত ১০ জানুয়ারি পেপারবুকের ওপর শুনানি শুরু করে হাইকোর্ট। তারপর মোট ১১ দিন আসামির পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে মামলার রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে পায়ুপথে পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে ডেথরেফারেন্স পৌঁছানোর পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। এরপরই পেপারবুক প্রস্তুত করার পর হাইকোর্টের এই বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পাঠানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আবারও শক্তিশালী নারীর চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। সৃজিত মুখার্জির ‘বেগম জান’ ছবির মূল চরিত্রে দেখা যাবে বিদ্যাকে। এটি মূলত কলকাতার রাজকাহিনী’র হিন্দি সংস্করণ।

056733b48b37e6dce20f58a85966e032-58e23cf8d634a
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় একটি পতিতালয়কে ঘিরে চলেছে ছবির কাহিনি যার পেছনে ছিল চিরাচরিত পুরুষতন্ত্র। ছবিটি নিয়ে বিদ্যা বলেন, ‘ছবিতে বেগম জান পুরুষতন্ত্রকে ছুঁড়ে ফেলতে চায়। সে খুবই ক্ষমতাবান এবং কাউকে তার প্রয়োজন নেই। রাজার (নাসিরউদ্দিন শাহ) সঙ্গে তার একটি অতীত ছিল। কিন্তু সব ছাপিয়ে চরিত্রটি দারুণ। সে ইচ্ছা করে পুরুষতন্ত্র উপড়ে ফেলতে চায় না।’

দেশভাগের সময় নারীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিদ্যা বলেন, ‘এই দেশ কখনোই নারীদের ছিল না। নারীরা বরারবরই দ্বিতীয় শ্রেনির। আপনি যেই ধর্ম, বর্ণ কিংবা শ্রেণিরই হন না কেন সিদ্ধান্ত সবসময় পুরুষই নেবে। এজন্য বেগম জান গুরুত্বপূর্ণ। এই চরিত্রটি জীবনের চেয়ে অনেক বড়।’

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest