সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

didar-01-04-17প্রেস রিলিজ : খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি’র দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মো. দিদার আহম্মদ। তিনি এসএম মনির-উজ-জামান, বিপিএম, পিপিএম এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
গত ২৮ মার্চ সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামানকে চট্রগ্রাম রেঞ্জে এবং একই আদেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. দিদার আহম্মদকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়। দিদার আহম্মদ এর আগে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার, যশোর জেলার পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। খুলনা রেঞ্জের দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই তিনি গত ২ এপ্রিল রেঞ্জের সকল জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মিলিত হন। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সমসাময়িক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির পাশাপাশি জঙ্গি, সন্ত্রাসী/চরমপন্থী, জলদস্যু/বনদস্যু, অবৈধ অস্ত্রধারী, দুস্কৃতিকারী, ওয়ারেন্ট ও মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। রেঞ্জে চলমান জঙ্গি গ্রেফতার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের অভিযানকে আরো বেগবান ও ফলপ্রসু করার লক্ষ্যে তিনি ৩ এপ্রিল থেকে ০৭ দিনব্যাপী রেঞ্জের সকল জেলায় বিশেষ পুলিশি অভিযানের নির্দেশ প্রদান করেন।
বিশেষ পুলিশি অভিযানে গতকাল সোমবার খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ০২ জন সন্দেভাজন জঙ্গিসহ নিয়মিত মামলার ৫৩ জন, বিভিন্ন পরোয়ানার ২২৫ জন সর্বমোট ৩০২ জন আসামি গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ ০৩ টি শার্টার গান, ০২ টি কার্তুজ, ০৮ টি ককটেল, ৬২ বোতল ফেনসিডিল, ১ কেজি ৯০ গ্রাম গাঁজা, ১৫৮ পিচ ইয়াবা ও ০৮ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

666প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কদমতলা রিপোর্টার্স কাবের পক্ষ থেকে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় পত্রিকা অফিসে উপস্থিত হয়ে নেতৃবৃন্দ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমকে এ শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, কদমতলা রিপোর্টার্স কাবের সভাপতি মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি শেখ সদরুল হাসানা, এস এম রায়হান রাজু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাহাজান আলী, অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,প্রচার সম্পাদক আব্দুল মোমিন, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, আবু সাঈদ, আশিকুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

f4151b642016704b85b47b0767e1316c-58e218db411faজঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ময়মনসিংহে শহরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের শহরের কালীবাড়ি এলাকার সোহাগ পার্টি সেন্টারের বিপরীত দিকে অ্যাডভোকেট আসিফ আনোয়ার মুরাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই সাতজনকে আটক করে। ময়মনসিংহের এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম একথা জানিয়েছে।

ওই বাড়ি থেকে জিহাদি বই, ইলেকট্রনিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল-আরাফা ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকার একটি চেকও পাওয়া গেছে। আটককৃতরা ময়মনসিংহ, নেত্রোকোনা ও জামালপুরের। পুলিশ এখনও বাড়ির ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম, আটককৃতরা বাড়ি থেকে বের হতো না। তারা বাড়ির ভেতরে থেকেই আজান দিতো এবং সেখানে নামাজ পড়তো। একটি সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদর আটক করে।

গত কিছুদিন ধরেই সিলেট, মৌলভীবাজার ও কুমিল্লায় জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। সিলেটের শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহল নামে একটি বাড়িতে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোর পাঁচদিন ধরে অভিযান চালায়। এ অভিযানে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। অভিযান চলাকালেই দুই দফা বিস্ফোরণে পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়। এ অভিযান শেষ হতেই মৌলভীবাজারের নাসিরপুর গ্রাম ও বড়হাট এলাকায় দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যঅন্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ টিম সোয়ট। ওই দুই অভিযানে ১০ জঙ্গি নিহত হয়। একই সময়ে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। তবে ওই আস্তানা থেকে কোনও জঙ্গিকে আটক করা হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

564654নিজস্ব প্রতিবেদক : নেশাগ্রস্তদের বেপরোয়া মটর সাইকেলে অকালে প্রাণ গেল শামসুর রহমান (৫৫) নামের এক ব্যক্তির। আর এ বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য সামছুরের পরিবারের সদস্যদের চাপ প্রয়োগ করে মাত্র ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করেদিল স্থানীয়  নেতাকর্মীরা।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের বলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে তামিম ও মুজিবর রহমানের ছেলে খালিদ প্রতিদিনের ন্যায় ভাদড়া হতে নেশা করে বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। এমতাবস্থায় আবাদের হাটে পৌছান মাত্র পিছন থেকে  আগরদাড়ী গ্রামের মৃত দুখী মোড়লের ছেলে শামছুর রহমানকে ধাক্কা দেয়। এতে সে মাটিতে পড়ে যায় এবং মারাত্মক আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে কিন্তু অবস্থা বেগতিক হওয়ায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শামছুর রহহমানকে খুলনা মেডিকেলে রিফার করে। খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় রাত ১০ টার দিকে পথিমধ্যে শামছুর মারা যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তামিম ও খালিদের পরিবার গোপনে বিষয়টি মিটানোর চেষ্টা করে। তারা ক্ষমতাশীল দলের কিছু লোককে দিয়ে সামছুরের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এতে ভীত হয়ে শামছুরের পরিবার মাত্র ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপস করতে বাধ্য হয়।
খালিদের বাবা মুজিবর রহমান বলেন, যে মারা গেছে তার বাচ্চা দুইটির ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে স্থানীয়রা আমাদেরকে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল। তাই আমরা ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি।
তবে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা হওয়ায় স্থানীয়রা অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, এ রকম নেশাগ্রস্ত ছেলেদের  অনেক বড় শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু  টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটানোর কারণে তামিম, খালিদের মতো যাদের বাবার টাকা আছে তারা সচেতনতো মোটে হবেই না বরং বুক ফুলিয়ে বেপরোয়া মটর সাইকেল চালাবে এবং পরবর্তীতে এরকম দুর্ঘটনা আবার ঘটাবে।
আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি বলেন, আমি কিছু সময় সালিশে থেকে চলে এসেছিলাম। পরে  শুনেছি উভয়পক্ষ মিমাংসা করে নিয়েছি। সদর থানার এস আই কামাল বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক ও আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তারা নিজেরাই আপস করে নিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexডেস্ক রিপোর্ট : শ্যামনগরের যমুনা পুনরুদ্ধার ও দখলমুক্ত করতে দীর্ঘদিন চলছে আন্দোলন যা কার্যত নিস্ফল হতে চলেছে। একের পর এক অবৈধভাবে দখল হতে চলেছে শ্যামনগরের আদি যমুনা যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গল্পের মাধ্যমে শুনানো ছাড়া আর কোন পথ থাকবেনা। যখনি আদি যমুনা রক্ষার্থে নকিপুর শ্বশান থেকে চন্ডিপুর ব্রিজ পর্যন্ত আদি যমুনা নদীতে দ্রুত খনন, নকিপুর শ্বশানের সামনে সওজ সড়কে ব্রিজ নির্মান,চন্ডিপুরের কালভাট ভেঙ্গে নদীর প্রসশ্বতা অনুযায়ী ব্রিজ নির্মাণ, গোডাউন মোড়ে নুরনগর সড়কে যমুনা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ, মাদার নদীর সংযোগস্থল হতে সকল বাধা অপসারণ করে ইছামতি, আদি যমুনা, মাদার নদী হয়ে সাগরের প্রবাহ পথ উম্মুক্ত করা, কমপে ১০০ ফুট প্রশস্থ খননকৃত আদি যমুনার নদীর দু’ধার দিয়ে রাস্তা তৈরি করা, সেখানে বনায়ন করা ও বৈকালিক এবং প্রাতঃকালীন চলাচলের পথ তৈরি পুর্বক একটি পরিকল্পিত ইকো-পর্যটন মুলক ব্যবস্থাপনা নির্মান এগুলো নিয়ে যখন একের পর এক মানব বন্ধন ,স্মারকলিপি প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শ্যামনগরের সচেতন মহল। ঠিক তখনি কিছু স¦ার্থনেশী মহল আদি যমুনাকে বিলিন করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। সরজমিনে দেখা গেছে শ্যামনগর টি,এন,টি অফিসের সামনে যমুনা নদীর উপর একের পর এক গজিয়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। এতদিন অল্প পরিশরে দখল হলেও বর্তমানে মেসার্স গাজী ট্রেডিং সেন্টার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ভাবে দখল বুনেছে স্থানটিতে। এ প্রসঙ্গে শ্যামনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ৪ মাস আগের একটা তালিকা আছে সে অনুযায়ী আমরা অবৈধ স্থাপনা তুলে ফেলতে নোটিশ করেছি, তবে যদি কোন ব্যক্তি সম্প্রতি সময়ে ঘর বেধে থাকে তাহলে সেটাও অবৈধভাবে বাধার কারণে উচ্ছেদ করা হবে।” অন্যদিকে এভাবে যেন আর কোন অবৈধ দখলকারী আদি যমুনার বুকে স্থাপনা না করতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শ্যামনগরের সুশীল সমাজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

66565মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের রসুলপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রসুলপুর পশ্চিম পাড়া এলাকায় ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর ও পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী। পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের রসুলপুর পশ্চিমপাড়া শীতল মেচের সামনে থেকে এড. তৌহিদুর রহমান শাহীনের বাড়ি পর্যন্ত ৫শ’ ২০ ফুট ইটের সলিং রাস্তা ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার অর্থায়নে এ ইটের সলিং নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, তারা দীর্ঘদিন মাটির রাস্তায় কাঁদা পানিতে অত্যন্ত কষ্ট স্বীকার করেছে। কোন দিন কাউকে জানায়নি। কিন্তু পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর নিজে থেকে উপলব্ধি করে এই রাস্তাটি নির্মাণ করছে বলে তাদের কাউন্সিলরকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই কাউন্সিলরদের জন্য দোয়া করেন। এ সময় ঐ এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের উচ্ছাস লক্ষ্য করা যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এড. তৌহিদুর রহমান শাহিন, আনিছুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491207966মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শর্তসাপেক্ষে অধিগ্রহণ করতে পারবে সরকার। এই বিধান যুক্ত করে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০১৭’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

আইনের খসড়া সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮২ সালে সামরিক শাসনামলের করা একটি অধ্যাদেশ দিয়ে এত দিন ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল করা হতো। সেই আইনে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের সুযোগ ছিল না। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ওই সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সংশোধনীতে শর্তসাপেক্ষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।

সচিব জানান, জনস্বার্থে বা রাষ্ট্রের বৃহত্তম প্রয়োজনে মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করতে পারবে সরকার। তবে এ বিষয়ে শর্ত হলো, অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এ ছাড়া অধিগ্রহণের আগে এলাকাবাসী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকারের ভূমি অধিগ্রহণকারী দপ্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1491207357মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) হবে।

আজ সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। একই দিন খালাস চেয়ে আবেদন করা সাঈদীর রিভিউ আবেদনের শুনানি হবে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও মির্জা হোসেইন হায়দার।

মামলাটি আজ কার্যতালিকায় ১৪৭ নম্বর ক্রমিকে রাখা ছিল।

২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। মোট ৩০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনে পাঁচটি যুক্তি দেখানো হয়।

একই বছরের ১৭ জানুয়ারি আপিলের রায় থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন সাঈদী। মোট ৯০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে আমৃত্যু কারাদণ্ড থেকে খালাস পেতে ১৬টি যুক্তি দেখানো হয়।

২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত সাঈদীর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন। নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারে রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষ। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই ৭০ জন নিহত হন।

আপিলে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। ১০ নম্বর অভিযোগ বিসাবালিকে হত্যার, ১৬ নম্বর অভিযোগে তিন নারীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের এবং ১৯ নম্বর অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে ১০০-১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করার।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। ৬ নম্বর অভিযোগ লুণ্ঠনের, ১১ নম্বর হামলা ও লুণ্ঠনের এবং ১৪ নম্বর অভিযোগ ধর্ষণের। ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস দেওয়া হয়। একই অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে তাঁকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। অষ্টম অভিযোগটি হত্যা ও অগ্নিসংযোগের।

এ ছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। সপ্তম অভিযোগ নির্যাতন ও বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ। ৮ নম্বর (ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা) ও ১০ নম্বর অভিযোগের (বিসাবালি হত্যা) দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest