সর্বশেষ সংবাদ-
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনায় সরগরম দেবহাটাতালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন

dsc00717
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় বন্ধন সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকা অফিসে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে খান বদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তণ বিটিসিএল কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, প্রাক্তণ ব্যাংক ম্যানেজার কাজী তৈয়্যেবুর রহমান, বিআরটিসির প্রাক্তণ কর্মকর্তা শেখ শামসুদ্দোহা (দুলু), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর হোসেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তণ সচিব মতলুবর রহমান, জেলা জজ এর প্রাক্তন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল ওয়াছেক, সাবেক ক্রীড়া অফিসার জিল্লুর করিম, ব্যবসায়ী মোঃ আলতাফ হোসেন, শওকত হোসেন, সাবেক বিআরডিবি কর্মকর্তা কাজী জাফর আনোয়ার, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকা’র সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আব্দুল আহাদ প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশাশুনির কুন্দড়িয়া পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নৈশ প্রহরী নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিকত অভিযোগ দায়ের করেছে বুধহাটা এলাকার মতিয়ার রহমান নামের এক ইউপি সদস্য। লিখিত অভিযোগে জানাযায়, কুন্দড়িয়া পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সে মোতাবেক ৫/৬ বছর যাবত প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামের আশ্বাসে একই এলাকার দিলীপ কুমার ঘোষ নামে একজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছে। এদিকে ওই পদে নিয়োগের জন্য উত্তম কুমার সরকারের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ওই ৬ লক্ষ টাকা বৈধ করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার কে ম্যানেজ করে ৫ নভেম্বর উক্ত পদে নিয়োগের জন্য বোর্ড গঠন করেছেন। ওই নিয়োগ বন্ধ ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান। অপরদিকে উক্ত নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এব্যাপারে ডিজির প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্থানীয় সমস্যা গুলো আমি জানা নেই। আমি ব্যস্ত থাকায় বার বার সময় পরিবর্তন করেছিলাম। তবে এ বিষয়ে আমি খেয়াল রাখবো। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে আপনি বলেছেন যখন বিষয়টি দেখবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের আমন্ত্রণে ভারত সফরে গেলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।  শুক্রবার দুপুরে তারা সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ত্যাগ করেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ক্লাব সদস্যদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ভারতের দার্জলিংসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত স্থাপনা পরিদর্শন করবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াজেদ কচি, সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম, অর্থ সম্পাদক ফারুক মাহবুবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ময়না, নির্বাহী সদস্য মোশারফ হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান ও শাহীন গোলদার। আগামী ৯ নভেম্বর তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04905-largeনিজস্ব প্রতিবেদক : রসরাজ দাস নামের এক অশিক্ষিত মৎস্যজীবির ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ইসলাম ধর্মালম্বীদের ধমীয় অনুভুতিতে আঘাত আনা হয়েছে এমন অভিযোগের যথাযথ তদন্ত না করেই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’শতাধিক ঘরবাড়ি ও ১৬টি মন্দিরে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানোর পর আগুন দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত রসরাজ দাসের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জেলেপাড়ায় হলেও সেখান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হিন্দুদের জমি দখল করে নেওয়ার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি নাসিরনগরে হিন্দুপাড়ায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা সদরের সরকারি কলেজ ও সরকারি স্কুল মাঠে যারা প্রশাসনের কাছ থেকে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে উস্কানিমূলক জোরালো বক্তব্য দিয়ে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করার কথা বলে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়িয়েছিল তাদেরসহ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দাতাদের নাম এজাহারে উল্লেখ না করে পুলিশ অজ্ঞাতনামা এক হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে নিজেদের আর্থিক বাণিজ্যের পথ হাসিল করেছে। হামলার পরবর্তী নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকার কথা বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এমনকি ঘটনার ভয়াবহতা সরেজমিনে দেখে এসে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী সাঈদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে হিন্দু সম্পদায় সম্পর্কে যে কটাক্ষ করেছেন তা মৌলবাদিদের উৎসাহিত করেছে। দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের এ ধরণের বক্তব্যের কারণে বৃহষ্পতিবার রাতে নাসিরনগরে আরো পাঁচটি হিন্দু বাড়িতে আগুণ লাগানো হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে একের পর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচার না হওয়ায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রতিমা ভাঙচুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক শক্তি এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে সাহস পেয়েছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সাতক্ষীরা  প্রেসক্লাবের সামনে  শুক্রবার সকাল ১১ টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে ক্ষতাসীন দলের নেতা কর্মী ও জামায়াত শিবির ছেড়ে আসা নব্য আওয়ামী লীগাররা যেভাবে একের পর এক হিন্দু ধর্মালম্বীদের নারী ও সম্পদ, আশাশুনির শ্রীউলা ও সদরের ধুলিহরের শালিখা মন্দিরের জমিসহ বিভিন্ন মন্দিরের জমির উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে তাদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং এ দেশকে সকল ধর্মালম্বীদের বসবাসের যোগ্য করে তুলতে বর্তমান সরকারকে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বাতিল করে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে এসে সকল ধর্মের প্রতি সহিষ্ণু সরকার বলে প্রমান করতে হবে। সবশেষে বক্তারা ঘটনার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। একইসাথে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা ছাড়াও অতি দ্রুত সরকারি খরচে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি নির্মান ও পূর্ণবাসনের দাবি জানান। তবে নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ও মন্দিরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানোর সময় যে সমস্ত মুসলিম যুবক হামলাকারিদের প্রতিহত করতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাধু। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি মঙ্গল কুমার পাল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য গোষ্ট বিহারী মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ন মজুমদার, সদর শাখার সম্পাদক নিত্যনন্দ আমিন, জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সভাপতি ডাঃ সুশান্ত ঘোষ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, আশাশুনি শাখার সভাপতি সুবোধ চক্রবর্তী, কলারোয়া শাখার সভাপতি সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, দেবহাটার সম্পাদক চন্দ্রকান্ত মল্লিক, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, অপরেশ পাল, বিকাশ দাস, সুধাংশু সরকার, প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92248332_mediaitem92248328অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রকৌশলীরা বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ এর নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।

প্রায় দুই দশক ধরে টেলিস্কোপটির কাজ চলছিলো। টেলিস্কোপটির নাম রাখা হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।

আর এই টেলিস্কোপটির কার্যক্রম শুরু হবে দু’বছর পর।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের গায়ানা থেকে একটি ইউরোপিয়া আরিয়ান রকেট এই টেলিস্কোপটি নিয়ে উৎক্ষেপিত হবে-এমনই পরিকল্পনা নাসার।

তবে এর আগে এটি ভালোভাবে কাজ করছে সেটি পরীক্ষা করে দেখা হবে।

ম্যারিলেন্ডে যে স্পেস সেন্টার আছে সেখানে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে।

সিনিয়র প্রকল্প বিজ্ঞানী জন মেথার বলেন, “আজ আমরা আমাদের টেলিস্কোপ নির্মাণ সমাপ্ত করেছি এবং প্রমাণ করতে যাচ্ছি এটা সঠিকভাবে কাজ করছে”।

এর আগে ২৬ বছর ধরে সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ ছিলো হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। জেমস ওয়েব হতে যাচ্ছে তারই উত্তরসূরী।

মাথের জানিয়েছেন, ‘এটা অনেক শক্তিশালী, এমনটি এটা হাবল টেলিস্কোপ থেকেও বেশি শক্তিশালী’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478152566অনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কক্ষে দেখা গেল ফুটফুটে এক শিশুকে। তার শরীরে কিছু ক্ষতচিহ্ন। স্পষ্টতই আঘাতের চিহ্ন। হাতে কী জানতে চাইলে শিশুটি ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে বলে, ‘আম্মু কামড়াইসে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের বল্লালবাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে কাজ করে শিশুটি। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার সিরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. ইউনুচ আলী জানান, ওই শিশু গৃহকর্মী এখন সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগ থাকা গৃহকর্ত্রী কল্পনা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, শিশুটির বাবাকে পাওয়া গেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। শিশুটিকে কার হেফাজতে দেবে, সেটি আদালতের বিষয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, মা মারা যাওয়ার পর শিশুটিকে সিরাজ মিয়ার স্ত্রী কল্পনা বেগম পালক আনেন। পরে ওই বাড়িতে সিরাজ মিয়ার বাড়ির গৃহকর্মী হয়ে ওঠে শিশুটি।

স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ, দিনের পর দিন শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে গৃহকর্ত্রী কল্পনা বেগম। তার শরীরে আগুনের ছ্যাঁকা ও চোখে-মুখে মারধর করা হয়েছে।

বুধবার অমানুষিক নির্যাতন করার একপর্যায়ে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায় শিশুকে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া দরকার। অন্যথায় সে বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারে।

নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহকর্ত্রী কল্পনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি মারব, কাটব। আপনাদের কী? হউক সুবর্ণা আমার পালক মেয়ে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92240103_mediaitem92240102অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নীল চোখের চা-ওয়ালা আরশাদ খানের পর এবার নেপালের এক সবজিওয়ালিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।

নাম না জানা এই মেয়েটির ছবি টুইটারে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

নেপালি এই মেয়েটি স্থানীয় এক বাজারে সবজি বিক্রি করেন – তার সবজি বহন করা ও বিক্রি করার ছবি এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

টুইটারে নেপালি এই মেয়েটির ছবি শেয়ার করে যারা মন্তব্য করছেন, তাদের বেশিরভাগই মূলত পুরুষ। নেপালের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে এই ছবিটি প্রচুর শেয়ার করা হচ্ছে।

অনেক পুরুষ এমন মন্তব্য করেছেন যে এই সবজিওয়ালি তার সৌন্দর্য দিয়ে ইন্টারনেট মাত করে দিয়েছেন।

সব্যসাচী পুহান নামে একজনের মন্তব্য এমন – “সৌন্দর্য আর কঠিন পরিশ্রম এই দুটোর ফসল হলো নেপালের সবজিওয়ালি। সোশ্যাল মিডিয়ার খ্যাতি জিন্দাবাদ”।

দেশী বান্দা নামে একজন তাঁর টুইটারে লিখেছেন – “কদিন আগে ইন্টারনেটে হাজার হাজার মেয়ে পাকিস্তানের চা-ওয়ালাকে নিয়ে আলোড়ন তুলেছিল, এবার সময় ছেলেদের অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী নেপালের এই সবজিওয়ালিকে নিয়ে ইন্টারনেটে আলোড়ন তোলার”।

অনেকের ভাষ্যমতে, নেপালি এই সবজিওয়ালি ইন্টারনেটের নতুন সেনসেশানে পরিণত হয়েছেন।

“মিট দ্য#নেপালি #তরকারিওয়ালি” নামে এখন টুইটারে নেপালের সবজিওয়ালির ছবি পোস্ট হচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাইরে থেকেও টুইটারে অনেকে মন্তব্য করেছেন।_92222963_mediaitem92222962

স্টুয়ার্ট ফ্রিডম্যান নামের একজন লন্ডন থেকে এই ছবিটি টুইটারে শেয়ার করে নেপালের সকল ভাইবোনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের চা-ওয়ালা আরশাদ খানকে নিয়ে ইন্টারনেটে ছিল ব্যাপক আলোচনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষাপটে পোশাক মডেলও হয়ে গেছেন সেই চা-ওয়ালা।

আর এবার নেপালি এই সবজিওয়ালিকে ইন্টারনেটে আলোড়ন তোলার পর অনেকে টুইটারে এমন আশাও প্রকাশ করেছেন যে চা-ওয়ালা ও সবজিওয়ালিকে দেখার পরে মানুষ এঁদের পেশাকে সম্মান জানাতে শিখবেন।

কেউ কেউ আবার মজা করে চা-ওয়ালা আর সবজিওয়ালির বিয়ে দিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_92243275_mediaitem92243274অনলাইন ডেস্ক: স্মিতা টান্ডি, কোনও সেলিব্রিটি নন। রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী বা বড় সরকারি আমলাও নন। তবুও ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। আর এই বিরাট সংখ্যায় ফ্যান ফলোয়িং হয়েছে দুবছরের কিছুটা কম সময়ের মধ্যে।

স্মিতা টান্ডি ছত্তিশগড় পুলিশের এক নারী কনস্টেবল। ভারতের সবথেকে বড় ইস্পাত কারখানা যে শহরে, সেই ভিলাইতে কর্মরত তিনি।

এই বিপুল ফ্যান ফলোয়িং-কে তিনি কাজে লাগান দু:স্থ মানুষকে সাহায্য করতে।

যেমন আজ সকালেই তিনি একটি পোস্ট করেছেন: ‘বিলাসপুর শহরের রাস্তায় যদি কাউকে ঠান্ডার মধ্যে লেপ-তোষক ছাড়া শুয়ে থাকতে দেখেন কেউ, তাহলে তিনি যেন মোবাইলে খবর দেন। দ্রুত পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে লেপ-কম্বল।’

এছাড়াও গরীব রোগীদের চিকিৎসা, কোনও শিশু হারিয়ে গেলে তার খোঁজ করা – সবই টান্ডি করেন ফেসবুকের মাধ্যমে।

“আমার পোস্টগুলো দেখেই সম্ভবত এত মানুষ আমাকে ফলো করে থাকেন। আমি টাকা খরচ করে লাইক বা ফলোয়ার বাড়াইনি।”- আলাপকালে বলছিলেন টান্ডি।

মাত্র দুবছরেরও কম সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমে টান্ডি সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছেন ঠিকই, তবে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তাঁর এই উদ্যোগের শুরু ২০১৩ সালে।

পুলিশের চাকরিতে ঢুকে যখন তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর বাবা মারা যান হঠাৎই।

“অর্থের অভাবে ভাল চিকিৎসা করাতে পারিনি বাবাকে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে কারও অর্থের প্রয়োজন পড়লে আমরা সবাই মিলে তা যোগাড় করে দিতাম। এখন আমি ফেসবুক ব্যবহার করে সেই কাজটাই করি। বহু মানুষের কাছে খুব দ্রুত প্রয়োজনটা জানাতে পারি। তবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমরা যাচাই করে নিই” -বলছিলেন স্মিতা টান্ডি।

টান্ডি যে জেলায় কর্মরত, সেই দূর্গ-এর পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট অমরেশ কুমার মিশ্র বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “আমি বুধবারই মাত্র জানতে পেরেছি যে ওর এত ফলোয়ার! সেটা তো ওর ব্যক্তিগত উদ্যোগ, এর সঙ্গে পুলিশের চাকরির কোনও যোগ নেই। তবে ও যে সামাজিক মাধ্যমে খুব সক্রিয় আর টেকনিক্যাল স্কিল আছে খুব ভালো, সেটা জানতাম। এরকম কাউকে আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য খুঁজছিলাম। স্মিতা নিজেই এগিয়ে আসে।”

মাস তিনেক আগে দূর্গ পুলিশ কয়েকটি নারী সুরক্ষা দল গড়েছে। সাধারণ পোষাকে, সাধারণ গাড়িতে ওই নারী পুলিশকর্মী দলগুলো শহরে ঘুরে বেড়ায়।
_92240106_mediaitem92240105
কোনও নারী বিপদে পড়লে বা ইভ টিজিংয়ের শিকার হলে পৌঁছে যায় দলটি। আর নারী সুরক্ষা দলের কাছে খবর পৌঁছানোর মাধ্যম হলো ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ বা টুইটার।

“এখনতো যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ফেসবুক – হোয়াটস্অ্যাপ। সামাজিক মাধ্যমে ভিলাই শহরের নারীরা কে কোন বিপদের কথা জানাচ্ছেন, তার ওপরে নজর রাখাটাই কনস্টেবল টান্ডির দায়িত্ব। ওর সঙ্গে আর একজন মাত্র সহকারী আছে। ওই খবর দেয় নারী সুরক্ষা দলের কর্মীদের যাতে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়”- বলছিলেন এস পি মিশ্র।

এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে বিশেষত ভিলাই শহরে ইভ টিজিং একরকম বন্ধই হয়ে গেছে বলে দাবী মি. মিশ্রর।

টান্ডিকে নিয়ে আজ কয়েকটি হিন্দী সংবাদপত্রে খবর ছাপার পরে একদিনেই তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আট হাজার।

“এদের মধ্যে কেউ কেউ অসভ্যতাও যে করে না তা না। তবে খুব বেশী খারাপ কথা লিখলে তবেই আমি নজর দিই। আর তারপরে ওই লোককে ঠিক একটাই কড়া মেসেজ পাঠাই। তাতেই অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়,” জানালেন স্মিতা টান্ডি।

হঠাৎ এই সেলিব্রিটি স্ট্যাটাস পেয়ে গিয়ে যে তিনি অভিভূত, সেটাও ফেসবুকে লিখতে ভোলেননি। তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রায় ছয় ঘন্টা অপেক্ষা করতে হলো।

সকালেই বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, “আমার কাজটা তো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমাজেন্সি ডিউটি এটা। কাজ শেষ হওয়া মাত্রই আপনাকে ফোন করবো”।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest