ক্রীড়া ডেস্ক: অবশেষে উইকেট! অবশেষে আউট হলেন দিলরুয়ান পেরেরা! তিন বল পরেই সুরঙ্গা লাকমলও গেলেন। শ্রীলঙ্কা অলআউট হলো ৩১৯ রানে। শততম টেস্ট জেতার জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৯১। ২৩৮ রানে পড়েছিল অষ্টম উইকেট। সেটি গতকাল বিকেলের কথা। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের ৯২তম ওভার ছিল সেটি। তারপর থেকেই বাংলাদেশের অপেক্ষার শুরু। যে অপেক্ষা শেষ হয়েছে আজ সকালের সেশনের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে। মিস ফিল্ডিংয়ে রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন পেরেরা। পরের ওভারেই সাকিবের দ্বিতীয় বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লাকমল। একটা লম্বা সময় বাংলাদেশের বোলারদের হতাশা উপহার দিয়ে গেছেন দিলরুয়ান পেরেরা-সুরঙ্গা লাকমল। নবম উইকেটে তারা দুজন যোগ করেছেন ৭৯ রান। তারপর গিয়ে রান আউট হলেন পেরেরা। অবশ্য এর আগেই পেয়ে গেছেন নিজের ফিফটিটাও। দিনের খেলা শুরুর আগে তামিম ইকবাল অবশ্য বলেছেন, এখনই জয়ের কথা ভাবছে না দল। আগে লঙ্কানদের শেষ দুটি উইকেট তুলে নিতে চান তাঁরা। তারপর রান তাড়া করার ভাবনা। ইতিবাচক খেলতে চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কান বোলার সান্দাকান বলেছিলেন, ১৭৫ রানের লিড পেলেই জেতার সুযোগ থাকবে তাঁদের। তাঁর প্রত্যাশার চেয়েও বেশি রান এরই মধ্যে হয়ে গেছে লঙ্কানদের। একটু কি দেরি করে ফেলল বাংলাদেশ?

এস এম আহমাদ উল্ল্যাহ বাচ্ছু : কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা এলাকার সাধারণ মানুষদের প্রলোভন ও ভবিষ্যতে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্বসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর শ্যামনগর উপজেলা ইনচার্জ কনিকা পালের বিরুদ্ধে। সে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের মৃত সুশীল চন্দ্র পালের মেয়ে। এলাকার শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কনিকা পাল বিভিন্ন সময় সরলমনা মানুষদের ভুল বুঝিয়ে মেয়াদপুর্তি ডিপোজিট পরিকল্প গ্রহণ, প্রতি মাসে লাখ প্রতি ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ, ও এক বছর মেয়াদে জমাকৃত আসল টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে ষ্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে গ্রাহকদের পলিসি করান, যা প্রচলিত বীমা আইন ও নীতিমালার পরিপন্থী। পলিসির গ্রাহকরা খবর নিয়ে জানতে পারেন বীমা পলিসি নবায়নের জাল রশিদ প্রদানের মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভারতে চলে গেছেন। গ্রাহকবৃন্দ বিষয়টি সর্ম্পকে ভালভাবে জানতে ও প্রতিকারের আশায় মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর জেলাসহ প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ জানায় উপজেলা ইনচার্জ কনিকা পালের উপস্থিতি ছাড়া কোন ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়। এদিকে কনিকা পালের বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মৃত পন্ডিত চন্দ্র মন্ডলের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সন্তোষ কুমার মন্ডল, বড়-ভেটখালী গ্রামের মৃত হারান চন্দ্র মাঝির ছেলে অনিল চন্দ্র মাঝিসহ বেশ কয়েক জনের নিকট থেকে ব্যাক্তিস্বার্থ ও প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে আতœসাৎ করেছেন এই মর্মে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর মাকেটিং এন্ড প্রশাসন বিভাগের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া নির্ভরযোগ্য সূত্র আরো জানায়, কনিকা পালের বিরুদ্ধে মেঘনা লাইফ ইন্স্যু কোম্পানী কর্তৃপক্ষ ২০ লাখ টাকা আতœসাৎ করার অভিযোগে সাতক্ষীরা আদালতে মামলাও দায়ের করেছেন। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ কানিকার গ্রাহকদের আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে তাকে পুনরায় চাকুরীতে বহাল করেন। দিকে সুচতুর কনিকা পাল কোম্পানীর টাকা নয় ছয় করে ২০১২ সালে দিকে ভারতে পাড়ি জমিয়ে ২০১৬ সালে প্রথম দিকে তার এক নিকট আত্মীয়ার ম্যাধ্যমে কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পূনরায় চাকুরীতে যোগদান করেছেন। কর্মস্থলে ফিরেই তিনি অভিযোগকারী গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ, হুমকি ধামকীসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বীমা গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা আতœসাৎ করার বিষয়ে ইনচার্জ কনিকা পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ আছে সেটা আমার জানা নেই। প্রকৃত পক্ষে এলাকায় কিছু ব্যাক্তি ও আমার অফিসের সহকর্মীরা সামাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। অর্থ আতœসাৎ এর কোন বিষয় আমার অফিসে ঘটনা ঘটেনি। শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দিন ভারতে অবস্থান করায় গ্রাহকবৃন্দ আমাকে নিয়ে এমন খবর প্রচার করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় অনুর্দ্ধ-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ এর ফাইনালে ঝিনাইদহা জেলা দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে খুলনা বিভাগীয় অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সাতক্ষীরা জেলা দল। শনিবার বিকালে গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামে ঝিনাইদহা জেলা দলকে হারিয়ে ২-০ গোলে হারিয়ে বিভাগীয় অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সব ক’টি দলকে হারিয়েছে। দলের পক্ষে ইয়াছিন আলী সাগর-১টি ও হাবিবুর ১টি গোল করে। ফলে সাতক্ষীরা জেলা দল খুলনা বিভাগীয় অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জাতীয় অনুর্দ্ধ-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ এর ফাইনালে ঝিনাইদহা জেলা দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে খুলনা বিভাগীয় অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় অনুর্দ্ধ-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ এ অংশগ্রহণকারী জেলা দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও টিম ম্যানেজারসহ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আরো আমরা বিদেশী খেলোয়াড়দের পরিহার করে দেশী খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে জেলার সকল ভালো খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভালো খেলোয়াড় সৃষ্টি করতে চাই। সে লক্ষ্যে জেলায় অনুর্দ্ধ-১৮ ফুটবল টুর্র্নামেন্টের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিম গঠন করেছি বলেই আমরা সব ক’টি দলকে হারিয়ে আজ বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আর নয় বিদেশী খেলোয়াড়। এখন আমরা দেশীয় খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে এ সব খেলোয়াড়দের কোচিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিজয় শুধু আমার একার নয়। এ বিজয় সাতক্ষীরাবাসীর। তাই এ বিজয়কে আমি সাতক্ষীরাবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম। এছাড়াও সাতক্ষীরা জেলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলীসহ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ। জেলা দলের টিমের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স.ম সেলিম রেজা। জেলা দলের হয়ে খেলছেন জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজুর, মামুন, সাইফুল, রাশেদ, মনিরুল, পারভেজ, বাবলু, বাপ্পি, সুমন, স¤্রাট, জাহিদ, সাইমুন, হাবিবুর, মিয়ারাজ ও ইদ্রিস।
আমির হোসেন খান চৌধুরী/হাসান হাদী: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানার পলাতক আসামি সাতক্ষীরার কুখ্যাত রাজাকার এম. আবদুল্লাহিল বাকি(১০৩)-কে গ্রেফতার করায় সাতক্ষীরা শহরে আনন্দ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে মুক্তিযেদ্ধা-জনতা। রাজকার বাকী গ্রেফতারের খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা জনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল শনিবার রাত ৯টার দিকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ নাজমুল সরণিস্থ রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে ও স্বপন কুমার শীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইনামুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসান উল ইসলাম ও অতিরিক্তি পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু।
ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ১৯ মার্চ রোববার, “তুমি আমার আকাশ থেকে সরাও তোমার ছায়া, তুমি বাংলা ছাড়ো”Ñপ্রখ্যাত ‘বাংলা ছাড়ো’ কবিতার জনক, তালার কৃতি সন্তান, খ্যাতিমান কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সিকান্দার আবু জাফরের ৯৮তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কবির পৈত্রিক ভিটা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে আলোচনা সভা ও কবির কবর জিয়ারতসহ নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কবির নিজ গ্রাম উপজেলার তেঁতুলিয়ায় কবি সিকান্দার আবু জাফর স্মরণে সিকান্দার মেলার উদ্বোধন করা হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী সিকান্দার মেলা চলবে।
আমির হোসেন খান চৌধুরী/হাসান হাদী: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানার পলাতক আসামি সাতক্ষীরার কুখ্যাত রাজাকার এম. আবদুল্লাহিল বাকি(১০৩)কে অবশষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ কিছুক্ষণ আগে তাকে তার নিজ বাসভবন সদর উপজেলার আলীপুরের বুলারাটী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা বাকীকে গ্রেফতারের বিষয়টি ডেইলি সাতক্ষীরাকে নিশ্চিত করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের সেহারা গ্রামে তৌফিকা খাতুন নামে স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে। সে নলতা ইউনিয়নের সেহারা গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে খানজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী তৌফিকা খাতুন (১৪)।
ধুলিহর প্রতিনিধি : দেশের উন্নয়নে সকলে এগিয়ে আসুন। দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দুর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশের মানুষ শান্তিতে রয়েছে। বিশৃঙ্খলাকারীদের কোন স্থান এদেশে হবে না। ধর্মের নামে মানুষ হত্যা এটার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মাসেতু নির্মাণ শেষ হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় উন্নয়নের মহাসড়কে দুরন্ত গতিতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে মোটেও বাকি নেই। বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছে। দেশে আজ বিদুৎ বা সারের জন্য কোন হাহাকার নেই। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের কারণেই দেশের সব উন্নয়ন সহজতর হয়েছে।