সর্বশেষ সংবাদ-
ইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণ

centranafric-peacekeepperসেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।
নিহত আব্দুর রহিমের বাড়ি সাতক্ষীরায় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক বিবৃতিতে আইএসপিআর বলছে, কর্তব্যরত অবস্থায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে রহিম গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি বিবৃতিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

eeeস্পোর্টস ডেস্ক: একটা ভালো দিন। আর তা হলেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশ দল। আর সেই ভাল দিনের প্রত্যাশাতে শুক্রবার দ্বিতীয় টি-২০ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল।

‘‘আমরা এবার জিতব,’’ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কথাগুলো বললেন অন্যতম লড়াকু ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তার মতে, আগে কী হয়েছে সেটা বড়নয়, বরং ম্যাচের দিন পরিস্থিতি অনুযায়ী যাঁরা খেলবেন, তারাই নাকি ম্যাচ জিতবে। বাংলাদেশ সময় সকাল আটটায় বে ওভাল স্টেডিয়ামে শুরু হবেদ্বিতীয় ম্যাচ।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের শুরু থেকেই নিজেদের ফর্ম খুঁজছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের যে ফর্ম্যাটটিতে সবচেয়ে বেশি সাবলীল লাল-সবুজের দল সেই ওয়ান ডেসিরিজের তিনটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। মনে করা হচ্ছিল, তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ দিয়ে আলোর দেখা পাবে টাইগাররা।

কিন্তু, প্রথমটিতে কিউইদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এমন পর পর হারে ব্ল্যাক ক্যাপদের বিপক্ষে জয়ের আশা দিন দিন যেন ফিকে হয়ে আসছে।

সেই ফিকে হয়ে যাওয়া আশা থেকে বেরিয়ে জয়ের ধারায় ফিরে দলকে আলোর মুখ দেখানোর লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাব্বির বলেন, ‘‘প্রথম টি-২০তে আমাদের ভাল একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মিস জাজমেন্টের কারণে দুটি ক্যাচ ধরতে পারিনি আমরা।’’ সৌম্যর ক্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আসলে বলটি ওর মাথার ওপর দিয়ে চলে গিয়েছিল।’’

সাব্বির জানান, তারা এর মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। ওয়ানডে ম্যাচগুলোতেও ভাল সম্ভাবনা তৈরি করে প্রতিপক্ষকে ঝাঁকুনি দিতে পেরেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জয় আসেনি। এর মানে এই নয় যে বাংলাদেশ দলের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ‘‘টি-২০ও ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব কিছুরই খেলা। সব সেক্টর মিলে ভাল খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছতে হবে। শুক্রবার আমাদের সে লক্ষ্যই থাকবে। আশা করি আমরা জিততে পারব।’’

বাংলাদেশ দলের পক্ষে বৃহস্পতিবার কিউই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। বাংলাদেশ অধিনায়কও বলেন, ‘‘আগের ম্যাচগুলোয় যে ভুলগুলো হয়েছে সে সব থেকে শিক্ষা নিয়ে জেতা সম্ভব। বাংলাদেশ দলের সেই সামর্থ্য আছে।’’ কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট এদিন এসেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। বোল্ট নিজেদের ভাল অবস্থানে থাকার উল্লেখের পাশাপাশি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ দলেও বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় আছে। তাদের পরাস্ত করেই আমাদের জিততে হবে।’’ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে এসব বলাবলির জবাব আসবে শুক্রবার। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায়)। আপাতত একটি জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেট পাগল মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

articleঅনলাইন ডেস্ক: কুঁজোর পানির ঠাণ্ডা হওয়ার কারণ অনেকেই জানেন। কিন্তু এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে রেফ্রিজারেটর তৈরির ব্যাপারটা বিস্ময়কর! তবে বিস্ময়কর কাজটাই করে দেখালেন মনসুখভাই প্রজাপতি। তার তৈরি মাটির রেফ্রিজারেটর কম আয়ের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও।

হাইস্কুলের গণ্ডিও পেরোননি ভারতের গুজরাটের মনসুখভাই। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই স্কুল ছাড়েন তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রেই জানতেন কুমোরের কাজ।আর তাই কুঁজোয় কেনো পানি ঠাণ্ডা থাকে সেটা জানতে তার বাকি ছিলো না। পেশার খাতিরে চালাতেন একটা চা দোকান। এছাড়া টালি তৈরির কাজওছিলো। তবে এসব কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। চাইছিলেন নতুন কিছু করতে। আর তাই কুঁজোর প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে একদিন তৈরি করে ফেললেন মাটিররেফ্রিজারেটর। যেটি বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতে পারে।

বাষ্পায়নে শৈত্যের সৃষ্টি হয়-বিজ্ঞানের এ সহজ নিয়মই কাজ করেছে তার রেফ্রিজারেটরে। পুরোপুরি মাটির তৈরি রেফ্রিজারেটরের পানি ভরার ব্যবস্থা রয়েছে। বাষ্পায়নেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতেই বিদ্যুৎ ছাড়াই ঠাণ্ডা থাকছে খাবার-দাবার। মাটি থেকে তৈরি বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিট্টিকুল`। দামও ৩ হাজারের মধ্যে। ফলে প্রায় সকলেই এ রেফ্রিজারেটর কিনতে পারবেন। মিট্টিকুলের চাহিদা এমনই যে, এখন তা দেশ ছাড়িয়ে পাড়ি দিচ্ছে

বিদেশেও। মিট্টিকুলকে আলাদা একটা কোম্পানির রূপ দিতে পেরেছেন মনসুখভাই। দেশটির প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে দেখিয়েও এসেছিলেন তার কীর্তি।

মনসুখভাইয়ের এ মিট্টিকুল এতদিনে সারা দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর্থ ডে-তে দাঁড়িয়ে যখন আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বিদ্যুৎ সংরক্ষণের মতো বিষয় নিয়ে কথা বলছি, তখন কীভাবে হাতেকলমে তা করতে হবে তারই একটি উদাহরণ সামনে এনে দিয়েছেন মনসুকভাই। তার মিট্টিকুলের ব্যবহার বাড়লে শুধু খাবার দাবার নয়, পরিবেশও যে উষ্ণতার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে খানিকটা শীতল হবে, তা বলাই যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

niloy-pic-coverবিনোদন ডেস্ক: ওমরা হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন তারকা দম্পতি আনিকা কবির শখ ও আলমগীর হোসেন নিলয়। তাদের সঙ্গে রয়েছেন নিলয়ের বাবা-মা। বর্তমানে নিলয়-শখ মক্কার কাছাকাছি রয়েছেন।

এমনটাই জানিয়েছেন নিলয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেখ আমিনুল হক ইমন। তিনি বলেন, ‘নিলয়, তার বাবা আওলাদ হোসেন, মা আসমা বেগম এবং স্ত্রী শখকেনিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর সকালের ফ্লাইটে ওমরা হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেখানে তারা নিরাপদে পৌঁছেছেন এবং সুস্থ আছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘চলতি মাসের ১০-১১ তারিখ তাদের ফেরার কথা রয়েছে। সবাই নিলয়-শখ এবং তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’

প্রসঙ্গত, শোবিজের আলোচিত জুটি নিলয়-শখ ভালোবেসে পরষ্পরকে বিয়ে করেন গতবছরের ৭ জানুয়ারি। এরপর দুজনেই আগের মতো মিডিয়াতে কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4এমপি লিটন হত্যা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে বেশ নাড়া দিয়েছে৷ এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ এমপিদের নিহত হওয়ার ইতিহাস উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন৷ এমপিরাও ইতিমধ্যে নিরাপত্তার জন্য গানম্যান দাবি করেছেন৷

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় কারা জড়িত তা এখনো স্পষ্ট হয়নি৷ প্রাথমিকভাবে জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে দায়ী মনে করা হলেও এর বাইরেও আরো অনেককে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন তদন্তকারীরা৷ এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, ‘‘এমপিকে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না৷ জড়িত কেউই ছাড়া পাবেনা৷’’ আর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘এটা কোনো কাঁচা কাজ নয়৷ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড৷’’

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাত জন এমপিকে হত্যা করা হয়৷ এছাড়াও পরবর্তীতে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আহসান উল্লাহ মাস্টার ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াকেও হত্যা করা হয়৷ কাজেই ষড়যন্ত্রকারীদের এ ধরনের চক্রান্ত নতুন নয়৷’’ তিনি এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত এবং ‘টার্গেট কিলিং’ বলে উল্লেখ করেন৷ এমপি লিটন হত্যায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে৷ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা লিটনের সুন্দরগঞ্জের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে৷ এই ঘটনায় তার বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন৷

এদিকে লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জামায়াত-শিবিরের লোকজনই আমার স্বামীকে খুন করেছে৷’’

তিনি জানান, ‘‘জামায়াতবিরোধিতার কারণে আমার স্বামীকে এর আগে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে৷ জামায়াত অধ্যুষিত এই এলাকায় আমার স্বামী জামায়াত বিরোধীতা করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন৷ যা জামায়াত মানতে পারেনি৷’’

তিনি জানান, ‘‘১৯৯৮ সালের ২৬ জুন সুন্দরগঞ্জ ডিডাব্লিউ ডিগ্রী কলেজ মাঠে জামায়াত-শিবির আয়োজিত জনসভায় গোলাম আজমের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল৷ সেই সময় স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের এই সভা পণ্ড করে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ লিটন তার বন্দুক হাতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসভায় প্রবেশ করেন এবং গোলাম আজমকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন৷ এতে জনসভাটি পণ্ড হয়ে যায়৷ সেই থেকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার বাহিনী লিটনকে যে কোনো মূল্যে হত্যার টার্গেট করে৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সেই সময় তাঁর গুলিতে আহত ফতেখাঁ গ্রামের জামায়াত ক্যাডার হেফজসহ আরও দুর্ধর্ষ জামায়াত ক্যাডাররা লিটনকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে এবং ফোন করে দীর্ঘদিন থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল৷’’

লিটনের স্ত্রী স্মৃতি এরই মধ্যে সুন্দরগঞ্জ থেকে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছেন৷ বুধবার তাঁকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে পারেননি৷ তার এক আত্মীয় জানান, ‘‘স্মৃতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ এখন তার পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়৷’’

তবে লিটনের বোন এবং মামলার বাদী ফাহমিদা বুলবুল কাকলী জানান, ‘‘হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকে আমরা চিনতে পারিনি৷ তাই অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে৷ তবে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে জামায়াত- শিবির জড়িত আছে বলে আমরা সন্দেহ করছি৷’’

তিনি আরো জানান, ‘‘হত্যাকাণ্ডের সময় আমার ভাই, তাঁর স্ত্রী- সন্তানরা বাসায় ছিলেন৷ আমি ছিলাম ঢাকায়৷ আমি ঢাকা থেকে গিয়ে এজাহার করি৷ জানতে পেরেছি মোটর সাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে৷ এবং দু’জন ভিতরে গিয়ে গুলি করে আমার ভাইকে হত্যা করে৷’’

আর সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, ‘‘আমরা যাদের আটক করেছি তাদের মধ্যে ২৭ জনকে এ পর্যন্ত আদালতে পাঠিয়েছি৷ আমরা হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতকে সন্দেহ করছি, তবে সন্দেহের সবগুলো দিকই তদন্ত করে দেখছি৷ আমরা মনে করি, অন্য কোনো কারণেও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে৷ ঠিক কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা আমাদের কাছে এখনো পরিস্কার নয়৷’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী তা বুঝতে আরো সময় লাগবে, কারণ, এটা কোনো কাঁচা কাজ নয়৷ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড৷’’

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত পর্যায়ে এরই মধ্যে তারা লিটনের স্ত্রী স্মৃতি এবং বাদী লিটনের বোন কাকলীর সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কাকলী জানান, ‘‘পুলিশ এখনো আমাদের স্পষ্ট করে কিছু বলছে না৷ তদন্তের কোনো অগ্রগতি আছে কিনা তা-ও আমরা জানি না৷’’

এদিকে এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর শাসক দল আওয়ামী লীগের এমপিদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ তারা তাদের নিরাপত্তায় গানম্যান দাবি করেছেন৷ শ্রম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইস্রাফিল আলম এমপি বলেন, ‘‘নানা কারণে, বিশেষ করে জঙ্গিবাদবিরোধী অবস্থানের কারণে সরকার দলীয় এমপিরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন৷ তাঁরা টার্গেট হতে পারেন৷ তাই তাঁদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন৷ এমপিদের গানম্যান দেয়া হয় না৷ আমার মনে হয়, দেয়া উচিত।’’

প্রসঙ্গত, জামায়াতবিরোধিতা ছাড়াও ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর ভোরে শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভকে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় আলোচিত ছিলেন এমপি লিটন৷ ওই ঘটনায় তিনি আটকও হয়েছিলেন৷ তখন তাঁর লাইসেন্স করা রিভলবার ও শর্টগান জব্দ করা হয়৷ ডয়চে ভেলে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি শহরের ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির পরিদর্শনে যাওয়া ভক্তরা দেবতার কৃপা পেতে মাথার সব চুল কেটে ফেলেন৷ সেই চুল দিয়ে ব্যবসা করছে মন্দির৷

শতাব্দী পুরনো প্রথা
ভক্তদের বিশ্বাস, মাথার সব চুল কেটে ফেললে হয়ত দেবতা খুশি হবেন৷ ফলে তাঁরা যা চান, দেবতা তা করে দিতে পারেন৷ সেই আশায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি শহরের ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির পরিদর্শনে যাওয়া ভক্তদের অনেকে ন্যাড়া হন৷

দিনে ৩৫ হাজার!
হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন৷ সংখ্যাটি ৩৫ হাজারই৷ সৌভাগ্যের আশায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ঐ সংখ্যক ভক্ত চুল কেটে ন্যাড়া হচ্ছেন৷ সব বয়সি মানুষই যোগ দেন এতে৷

উৎসবের সময়
অক্টোবর মাসে নয় দিনব্যাপী ব্রাহ্মোৎসবের সময় চুল কাটা ভক্তের সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫ হাজারে গিয়ে ঠেকে৷ ২০১৬ সালে ন্যাড়া হয়েছেন প্রায় ৩৪ লক্ষ ভক্ত৷ এর মধ্যে নারী ছিলেন ১৭ লাখ৷ নাপিত ছিলেন প্রায় দেড় হাজার৷ এর মধ্য নারী নাপিতের সংখ্যা ছিল ২৭৭ জন৷

সংখ্যা বাড়ছে
দেবতাকে খুশি করতে চুলত্যাগী ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ মন্দির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘২০১৬ মরসুমে এমন ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ৷’’

কর্পোরেট রূপ দান
বিশ্বব্যাপী মানুষের চুলের ব্যাপক চাহিদার কথা ভেবে বছর দুয়েক আগে পুরো বিষয়টিকে ব্যবসায়িক রূপ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়৷

বছরে আয়

পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চুল বিক্রি থেকে ২০০ কোটি রূপি আয় করে মন্দির কর্তৃপক্ষ, যা মোট আয়ের ১৫-১৮ শতাংশ৷

ভক্তদের জন্য আরামের ব্যবস্থা
চুল কাটার স্থান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে৷ এছাড়া ভক্তিমূলক সংগীত শোনা ও টিভিতে এ ধরণের মুভি দেখানো হয়৷

চুল রপ্তানি
এই খাতে ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক৷ বছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে দেশটি৷ মানুষের চুলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চীন৷ তারপর আছে ব্রাজিল, হংকং, ইটালি আর যুক্তরাষ্ট্র৷

তিরুপতির চুলের চাহিদা
ভারতের ইকোনমিকস টাইমস বলছে, তিরুপতির মন্দিরে পাওয়া চুলের মান ভালো হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে৷ পরচুলাসহ অন্যান্য জিনিস তৈরিতে এই চুল ব্যবহার করা হয়৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

mmmmmmmmmmmmmmmখুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসা এলাকায় পিকনিকের বাস উল্টে খাদে পড়ে দুই জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি সাতক্ষীরার নলতা থেকে পিকনিকের জন্য কুয়াকাটায় যাচ্ছিল।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘রূপসা নদীর ওপর থাকা খানজাহান আলী সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করার পর জাবুসা এলাকায় এসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত বসটিতে ৪২ জন যাত্রী ছিল। উল্টে যাওয়ার ফলে বাসের যাত্রীরা আঘাত পান। গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুই জন নিহত হন। তাদের মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামান নামে একজনের পরিচয় জানা গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নিহতদের তালিকায় নলতা রূপালী ব্যাংকের নলতা শাখার ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম রয়েছেন বলে জানা গেছে।’

জানা গেছে, নলতা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা একত্রে কুয়াকাটায় পিকনিকের আয়োজন করেন। সে অনুযায়ী দুটিটি বাসযোগে তারা যাত্রা করেন। জাবুসায় এসে একটি বাসটি উল্টে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যার বিচার দাবি করলেন তার  শিক্ষক সহপাঠী ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার মাহমুদপুর সীমান্ত আদর্শ কলেজের সামনে সাতক্ষীরা ভোমরা সড়কে আয়োজিত অবরোধ ও  মানববন্ধনে তারা আলটিমেটাম ঘোষণা করে বলেন ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার না করা পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে তারা স্লোগান দেন। এ সময় নিহত কলেজ ছাত্র গৌতমের বাবা ইউপি সদস্য গনেশ সরকার তার ছেলে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। সদর উপজেলার ঘোনা, আলিপুর ও ভোমরা ইউনিয়নের সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও মানববন্ধনে যোগ দেন। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সাতক্ষীরা ভোমরা ব্যস্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বলেন অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেফতার না করা হলে সাতক্ষীরা অচল করে দেওয়া হবে। সীমান্ত আদর্শ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ সম্মানের  মেধাবী ছাত্র গৌতম সরকার হত্যার পর পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি বরং গ্রামবাসীরা আসামিদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে উল্লেখ করে মানববন্ধনে বলা হয় মহাদেবনগরের চাঁদাবাজ জামশেদকে আটক করে তিনদিন পর থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ওই রাতেই  গৌতমকে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ ও পরে হত্যা করা হয়। এঘটনার পর থেকে জামশেদ পলাতক অবস্থায় ফোন করে এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছে। তা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। আসামিরা এখনও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তা নিয়েও  প্রশ্ন তোলেন তারা। মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রহমান, সীমান্ত কলেজ অধ্যক্ষ মো. আজিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আবদুর রকিব, প্রভাষক মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক মো. আবুবকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আবদুল কাদের, যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ। গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে কলেজ ছাত্র গৌতমকে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার ফোন থেকে তারা বাবা গনেশ সরকারের কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।  ১৬ ডিসেম্বর ভোরে গৌতমের লাশ তার বাড়ির কাছে একটি পুকরে বস্তায় পুরে ইট দিয়ে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest