সর্বশেষ সংবাদ-

মিজানুর রহমান,তালা: বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। অযতœ আর অবহেলায় হারিয়ে যেথে বসেছে এই নয়নাভিরাম ঝিলে ভাসা ফুল। যার বাংলা নাম শাপলা, ইংরেজী নাম হল লিলি। মনিপুরী ভাষায় থরো আংগৌবা, তামিল ভাষায় ভেলাম্বাল, সং®কৃত ভাষায় কুমুডা, আসাম ভাষায় এই শাপলা ফুলকে নাল বলা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয় শ্রীলংকারও জাতীয় ফুল এই শাপলা। শ্রীলংকায় শাপলাকে বলে নীল-মাহানেল। গ্রীক দার্শনিক প্লেটো ও এরিস্টটল এর এক শিষ্য থিউফ্রাস্টাস বলেছেন এটা একটি জলজ উদ্ভিদ যা প্রায় ৩’শ খৃষ্টপূর্ব পুরানো। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সাধারণতো পাঁচ প্রকার শাপলা ফুল দেখা যায়। সাদা, লাল, বেগুণী, হলুদ, নীল রঙ্গের। এর মধ্যে সাদা শাপলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের আনাছে কানাছে ডোবায় অহরহ দেখা যেত এই জলে ভাসা ফুল। তবে অযতœ অবহেলা আর কৃষি জমিতে অধিক পরিমানে কীট নাশক ও রাসয়নিক সার ব্যবহার করার কারণে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তালা উপজেলারসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু সাদা শাপলা দেখা গেলেও লাল, হলুদ, নীল, বেগুণী শাপলা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল জলাশয় ও নিচু জায়গায় পানি জমা থাকলে সেখানেই প্রাকৃতিক ভাবেই জন্ম নেয় আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। কিছু দিন আগেও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে শাপলা ফুল দেখা যেত। তখন পুকুর খাল বিল ও জলাশয় গুলিতে লালগোলাপী, সাদা, বেগুণী, নীল ও বিরল প্রজাতির হলুদ শাপলা ফোঁটার কারণে চারিদিকে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিণত হতো। বর্তমানে সাদা প্রজাতির শাপলাগুলি বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও দেখা যাচ্ছেনা গোলাপী, বেগুণী, নীল ও হলুদ শাপলা। এসব শাপলা হারিয়ে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে নানা জনের নানা অভিযোগ রয়েছে। কারো কারো মতে কপোতাক্ষের নাব্যতা হ্রাস খাল বিল ও জলাশয় ভরাট করে কৃষি জমি তৈরি ঘর বাড়ি তৈরি ফসলী জমিতে মাত্রতিরিক্ত কীঠনাশক ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তেনের কারণে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময়ে ঝিলে বিলে পুকুরে বর্ষা মৌসুমে নানা রঙ্গের শাপলার বাহারী রূপ মানুষের নয়ন জুড়িয়ে যেত। শাপলা ছোটদের খুব প্রিয়। শাপলার ড্যাপ বাচ্ছাদের প্রিয় খাদ্য এবং গ্রামের লোকেরা ড্যাপ দিয়ে খই ভেজে মোয়াসহ বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু খাবার তৈরী করে থাকে। গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে সব্জী হিসেবেও খুব জনপ্রিয় এই শাপলা। অনেকে আবার শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বহ করে। এছাড়া লাল শাপলার অনেক ঔষধী গুন রয়েছে। শাপলা ফুলের বিবরণ: শাপলা ফুল দিনের বেলা ফোটে এবং সরাসরি কান্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে। শাপলার পাতা আর ফুলের কা- বা ডাটি বা পুস্পদ- পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতার জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়। কিন্তু নীচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। পাতার সাইজ ২০ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার এবং এদের ব্যাপ্তি প্রায় ০.৯ থেকে ১.৮ মি। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায় গোলাপী, সাদা, নীল, বেগুনি ইত্যাদি। এই ফুলে ৪ থেকে ৫ টি বৃতি থাকে ও ১৩ থেকে ১৫ টি পাপড়ি থাকে। ফুলগুলো দেখতে তারার মত মনে হয়। কাপের সমান বৃতিগুলো ১১-১৪ সেমি হয়ে থাকে। প্রায় বছরের সব সময় শাপলা ফুটতে দেখা যায় তবে বর্ষা ও শরৎ এই উদ্ভিদ জন্মানোর শ্রেষ্ঠ সময়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

32স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বোলিং নৈপূণ্যে চিটাগং ভাইকিংসকে ৪ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটানস। খুলনার দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস। ফলে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পায় খুলনা টাইটানস।

এর আগে দিনের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয় করার সিদ্ধান্ত নেয় ভাইকিংস দলপতি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে খুলনা।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল টাইটানস বাহিনী। দলের দুই ওপেনার রিকি উইসেলস ও হাসানুজ্জামান মিলে ৩ ওভারে তুলেছিলেন ৩৪ রান। কিন্তু এরপরই দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা।

দলীয় চতুর্থ ওভারের প্রথম আর শেষ বলে হাসানুজামান (৮) ও শুভাগতকে (৩) ফিরিয়ে দেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ষষ্ঠ ওভারে উইসেলসকে বোল্ড করেন আব্দুর রাজ্জাক। ১৭ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করেন উইসেলস।

খানিক বাদে চিটাগংয়ের অধিনায়ক তামিমের তালুবন্দি হন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন আহমেদের বলে মাত্র ৬ রান করে ফিরেন তিনি।

পঞ্চম উইকেটে অলোক কাপালি ও নিকোলাস পুরাণ মিলে দলকে ৭৭ পর্যন্ত টেনে নিয়েছিলেন। তবে কাপালিকে ফিরিয়ে ২৫ রানের এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। ২৩ রান করে তাসকিনের ক্যাচে পরিণত হন কাপালি।

চট্টগ্রামের পক্ষে মোহাম্মদ নবী নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়াও তাসকিন ২টি ও রাজ্জাক নিয়েছেন ১টি উইকেট । এর আগে আজ শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর দুইটায় শুরু হয় খেলাটি।

লিগে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে একটি জয় আর একটি পরাজয় পেয়েছে তামিমের চিটাগং। এতে তাদের অর্জন দুই পয়েন্ট। অপরদিকে মাহমুদুল্লাহর টাইটানসও একটি জয় ও একটি পরাজয়ে পেয়েছে সমান পয়েন্ট। তবে, রান ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলে খুলনার অবস্থান ছয় আর চিটাগংয়ের চার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : শীতের আগমন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তালার গাছিরা। শীতের শুরু থেকেই পুরো মৌসুম জুড়ে খেজুর রস সংগ্রহ করে সুস্বাদু গুড় তৈরি করা শুরু করে দিয়েছেন। সারা বছর অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছগুলোর যতœ শুরু করে দিয়েছে গাছিরা। তারা নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে আবার কেউ কেউ নির্দিষ্ট পরিমাণ খেজুর গুড় দেয়ার চুক্তিতে পুরো মৌসুমের জন্য গাছ লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ এবং সেই রস থেকে গুড় তৈরি করছেন। তবে খেজুরগাছ সঙ্কটের কারণে এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন গাছিরা। কয়েক বছর আগেও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে, খেতের আইলের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুরগাছ। কোনো পরিচর্চা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠতো খেজুর গাছগুলো। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো গুড়। অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এলাকার চাহিদা পূরণ করে বাড়তি গুড় সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, লবণ পানির আগ্রাসন ও জ্বালানি হিসেবে ইট ও টালি পোড়ানোর কাজে অবাধে খেজুর গাছ ব্যবহারের ফলে মারাত্মকভাবে কমে যায় খেজুরগাছ। বর্তমানে বসতবাড়ি কিংবা  রাস্তাঘাটের পাশেও দেখা মিলে না খেজুরগাছের। অনেকটাই বিলপ্তির পথে পরিবেশবান্ধব গুরুত্বপূর্ণ এ গাছ। এক সময় রস সংগ্রহ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করলেও বেশির ভাগই ছেড়ে দিয়েছেন এ পেশা। দুই-একজন এখনো ধরে রেখেছেন। গাছিরা জানান, তিন-চার দিন হচ্ছে রস সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো রস বেশি মিলছে না। শীত বাড়লে রসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে তারা জানান। নভেম্বর মাসের মাঝামাছি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত এই ৪ মাস খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা যায়। এসময় রস থেকে গুড় তৈরি হয়। কনকনে শীতে বাড়ির আঙ্গিনায় রোদে বসে খেজুরের রস পান করা গ্রাম বাংলার মানুষের এতিহ্য। একইভাবে সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত ও বিএনপি ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে দেশে জঙ্গিবাদের মদদ যোগাচ্ছে। তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্য ঢাকার গুলশান, সোলাকিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। একইভাবে তারা কল্যাণপুরসহ দেশের সর্বত্র জঙ্গিদের মদদ দিয়ে আরো সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা চালালেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের জোয়ার অব্যহত রাখতে ও জঙ্গিবাদের মোকাবিলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। শনিবার সকাল ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে জেলা জাসদ আয়োজিত ‘জঙ্গীবাদ নির্মুল, জঙ্গি সঙ্গী বর্জন ও বিচারের’ দাবিতে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জজ কোর্টের পিপি অ্যাড, ওসমান গনি, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামন রাসেল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুস সোবহান বাবলু, জেলা জাসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলী, জাসদ নেতা পাপিয়া আহম্মেদ, জাসদের তালা শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, সহসভাপতি জাকির হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহসভাপতি মিজানুর রহমান, গণফোরামের সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল, জাপা নেতা মশিউর রহমান, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, বিএনপি ও জামায়াত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করার মদত যোগাচ্ছে। তাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধীদের ন্যয় জঙ্গি ও তাদের মদদদাতাদের বিচার করতে হবে। যুবসমাজ যাতে জঙ্গিবাদের শিকার না হয় সেজন্য পরিবার, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জঙ্গি ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় যাতে আসামিরা সহজে জামিন না পায় সেজন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ইচ্ছামত প্রত্যয়নপত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আসামিদের সাজা দিতে হলে তাদের বিরুদ্ধে সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

jssdপ্রেস বিজ্ঞপ্তি: ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা আলাউদ্দীন চত্বরে জেলা জাসদের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযেুাদ্ধা সরদার কাজেম আলী। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসির নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলা, হুটপাট সাংবাদিকদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পোড়ানোর চেষ্টা ও শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধাকে প্রহারের সাথে যুক্তদের অতিসত্ত্বর গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় শিক্ষা বিষয়ক অধ্যপক ইদ্রিস আলী। সদর উপজেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক, পৌর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নাসির, কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, শাহীন, পলাশ, বজলুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মুনসুর রহমান, বিপ্লব, জামানসহ আরোও নেতাকর্মীরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, সবাই সমান। এখানে ধর্মীয় উগ্রতা দেখিয়ে কাউকে হামলা বা কাও বাড়ী ঘর ভাংচুর করা দেশদ্রোহিতার সামিল। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের  দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান  নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা কিন্ডার গার্টেনের প্লে গ্র“পের শিক্ষার্থীদের বাছাই লাটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় স্কুল চত্বরে লাটারী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রফিকুল ইসলাম। স্কুলের রেজিস্ট্রার বৈদ্য নাথ কুন্ডু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর। এসময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার মুলভিত্তি তৈরি হয় এ বয়স থেকে। সুতরাং সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে যদি শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা যায় তাহলে তাদের পিছনে তাকানো লাগবে না। এছাড়া এ স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার মান্নোয়নে কঠোর পরিশ্রম করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা ব্যুরো: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নি সংযোগ, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুর এর প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা শাখার যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন সমীরণ সাধু। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এড. অজিত কুমার মন্ডল। ঐক্য পরিষদের উপজেলা সম্পাদক তৃপ্তি রঞ্জন সেন এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পূজা পরিষদের উপজেলা সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, প্রাণকৃষ্ণ দাশ, সুভাষ সানা মহিম, সন্তোষ কুমার সরদার, গুরুদাশ রায়, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, শংকর দেবনাথ, কল্লোল মল্লিক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

12-11-16বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ বছর টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ সেবা থেকে বঞ্চিত ৫লক্ষাধিক জনগণ। টেকনিশিয়ান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দক্ষিণাঞ্চলের ৫ লক্ষাধিক জনগনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়রা, দাকোপ, আশাশুনি ও তালার উপজেলার অনেকেই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। এ লক্ষ্যে  সরকার ২০০২ সালের ১০ জুলাই একটি এক্স-রে মেশিন প্রদান করেন। প্রদানের পর কয়েকদিন এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার করা হয়। তার পর টেকনিশিয়ান অন্যত্র বদলি হলেও দীর্ঘ ১৪ বছর ৪ মাস ধরে কোন টেকনিশিয়ান নেই। কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকার গত ১২ আগস্ট একটি আলট্রাসনো মেশিন প্রদান করলেও  তা ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং আলট্রাসনোর জন্য কোন বিভাগ চালু করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে অদ্যাবধি এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে মেশিনটি মেরামত করা হলে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। টেকনিশিয়ান নিয়োগের ব্যাপারে সিভিল সার্জন, খুলনা ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাক গত ৭ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ বিষয়টি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। হাসপাতালে আগত রোগী ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী গাজী বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে ও আলট্রাসনো মেশিন ব্যবহার হলে সাধারণ মানুষের উপকার হতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest