সর্বশেষ সংবাদ-

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্বাভাবিক এক ভুলের কারণে ফেসবুকের ‘রিমেম্বারিং’ সেবাটি বহু মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে স্মরণ করেছে। শুক্রবার বেশ কিছু সময়ের জন্য দেখা যায়, বিভিন্ন মানুষের প্রোফাইলের উপর একটি লেবেল সাঁটা, যেটি বলছে, এই মানুষটিকে স্মরণ করছে ফেসবুক।
পরে ব্যবহারকারীদের তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় পরিজনকে নিশ্চিত করার জন্য নতুন করে স্ট্যাটাস লিখে জানাতে হয়েছে যে ‘তারা মরেন নাই’। এটিকে একটি ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভুল শোধরানো হয়েছে। “এমন একটি ঘটনা ঘটার জন্য আমরা দুঃখিত”। মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা মানুষদের মধ্যে এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও রয়েছেন।
এই ব্যবহারকারী লিখেছেন, গুজবটি ভুল প্রমাণিত হওয়ায় এবং এ যাত্রা ‘বেঁচে যাওয়ায়’ তিনি খুব খুশী। অবশ্য এই ঘটনাটির একটি মজার দিকও খুঁজে বের করছেন অনেকে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে দ্য ভার্জ নামের প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট লিখছে, “ফেসবুক আমেরিকার ইতিহাসের দীর্ঘতম সপ্তাহটির ইতি টানল সবাইকে এই বলে যে, তারা মারা গেছে”।
বেশ কিছু ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের মৃত আত্মীয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রবেশ করার সুযোগ চাইলে গত বছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ‘মেমোরিয়াল’ সেবাটি চালু করে।
এই সেবাটি ব্যবহার করে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আগাম ঠিক করে যেতে পারবেন, তিনি কি মৃত্যুর পর তার ফেসবুক পাতাটিকে স্মারক হিসেবে বন্ধুদের জন্য রেখে দিতে চান নাকি চান যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার পাতাটিকে মুছে দিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_20161112_140813-large
আসাদুজ্জামান : অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করে দীর্ঘ দুই বছর আতœগোপনে থাকা কথিত ভিকটিম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগীডাঙ্গা গ্রামের শম্পা খাতুনকে(৩২) উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে তাকে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে আনা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সিআইডি পরিদর্শক এনামুল হক জানান, এক কাঠা জমি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে কৌশলে তা ফেরত নিতে জমিদাতা বিধবা শম্পা খাতুন প্রেমিক রিপন মোল্যা ও স্থানীয় ই¦উপি সদস্য আলি হোসেনের পরামর্শে সে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর শম্পার বাবা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামের আকবার আলী বাদী হয়ে জমি ক্রেতা একই উপজেলার মৃর্গীডাঙ্গা গ্রামের গোলাম সরোয়ারের ছেলে আজাদ হোসেন, আজাদ হোসেনের বৃদ্ধ বাবা গোলাম সরোয়ার, আজাদের স্ত্রী শাকিলা খাতুন ও প্রতিবেশি আনসার বেপারির নামে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। এরপর আদালতে বাদির নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডি’র উপর ন্যস্ত করেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সিআইডির এসআই সৈয়দ তোকাব আলী মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। সিআইডি’র পরিদর্শক ইনামুল হক জানান, তদন্তকালে ভিকটিম শম্পা খাতুন ঢাকার সাভার এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে আত্মগোপনে আছে এমন খবরের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসআই সৈয়দ তোকাব আলী শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার স্মৃতি সৌধের ১ নং গেটের নিকটে ‘তমাল পূস্পালয়’ নামের ফুলের দোকানে হানা দিয়ে তমালের বর্তমান স্ত্রী শম্পাকে উদ্ধার করেন। পরে তমালসহ তার স্ত্রী শম্পাকে শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন সিআইডি পুলিশ।
আতœগোপনে থাকা শম্পা খাতুন গনমাধ্যমকে জানান, তিনি স্ব-ইচ্ছায় জমি বিক্রয়ের দেড় লাখ টাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মাঝের মোল্যার ছেলে প্রেমিক রিপনের হাতে তুলে দিয়ে ঢাকায় যান। কিছু দিন পরে রিপনের ঢাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও সে আর ঢাকায় যাইনি। পরিস্থিতি বুঝে জীবিকা নির্বাহ করতে শম্পা গার্মেন্টসে চাকুরি নিয়ে ফুলের দোকানী তমালকে বিবাহ করেছিলেন।
উদ্ধারকৃত শম্পা ও তার স্বামী তমালকে শনিবার আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে তদন্তকারি কর্মকর্তা আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য রিপোর্ট: অনেকেরই ধারণা, ডিম খেলে গেঁটে বাত হয়। বিশেষ করে হাঁসের ডিম খেতে অনেকেই ভয় পান। ডিম হাঁসের হোক বা মুরগির, এর সঙ্গে গেঁটে বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। আর ডিমে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তবে হ্যাঁ, কারো যদি গেঁটে বাত থাকে, সে ক্ষেত্রে শুধু ডিম নয়, যেকোনো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। এই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে আছে মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি।তবে গেঁটে বাত হলে চিকিৎসকরা ডিম খেতে বারণ করেন। কারণ, ডিম খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি গেঁটে বাতের রোগীর জন্য কাম্য নয়। কিন্তু কোনো সুস্থ রোগী ডিম খেলে তার গেঁটে বাত বা অন্য কোনো বাতের রোগ হবে—এ ধারণা ঠিক নয়। তাই যাদের বাতের সমস্যা নেই, সুস্থ ব্যক্তি, তাদের ডিম খেলে বাত হওয়ার ভয় নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য রিপোর্ট: নিউমোনিয়া শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। আমাদের দেশে খুব পরিচিত। নিউমোনিয়া বললেই শিশুদের কথাই আগে আসে। কারণও আছে। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশংকা বেশি থাকে। নিউমোনিয়া একটি নিরাময়যোগ্য রোগ হলেও প্রতি ২০ সেকেন্ডে বিশ্বে একজন শিশু এ রোগে মারা যায়। বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশ আক্রান্তের হার দিয়ে পঞ্চম। প্রতি বছর ৫০ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। প্রাণঘাতী এ রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন করা হয়। আজ এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। নিউমোনিয়া হতে পারে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পরজীবী- যেকোনোটি দিয়েই। সাধারণত বেশির ভাগ নিউমোনিয়া হয় অ্যাডেনোভাইরাস, রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে। ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়ার মধ্যে স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হিমেফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস অন্যতম। জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর থেকে লক্ষণ দেখা দেয়। জ্বর জ্বর, শরীর ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া দেখা দিতে পারে। নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো হলো : জ্বর; এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার হয়ে থাকে। পাশাপাশি কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত নেওয়া, শ্বাস গ্রহণের সময় বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্টবোধ বা কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, বুকে ব্যথা, খেতে না চাওয়া বা খেতে না পারা, শিশুর চঞ্চলতা কমে যাওয়া বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, বমি করা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত হয়। দুই মাসের কম বয়সী শিশুদের মিনিটে ৬০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নিতে দেখা যায়। দুই মাস থেকে ১২ মাস বয়সী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নেয় এবং এক বছরের বড় শিশু ৪০ বার বা তার চেয়ে বেশিবার শ্বাস নেয়। দ্রুত শ্বাসের সঙ্গে বুকের খাঁচা দেবে যায়। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসককে দেখাতে হবে। মনে রাখবেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত  শিশু মৃত্যুর কারণ কিন্তু দেরি করে চিকিৎসা শুরু করা। শীতকালে নিউমোনিয়া আক্রান্তের হার অনেক বেশি। তাই শীতকালে উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দেরি করবেন না। নিউমোনিয়া মারাত্মক রোগ হলেও এটা কিন্তু প্রতিরোধ করা যায়। শিশুদের ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ালে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমে। শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়াবেন না। যেসব শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ানো হয় তাদের এ রোগে আক্রান্তের হার অন্যদের চেয়ে চার গুণ বেশি। শিশু অপুষ্টি নিউমোনিয়া আক্রান্তের কারণ। তাই শিশু পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। শীতকালে  সুস্থ শিশুকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছে যেতে না দেওয়া। হাঁচি-কাশি আক্রান্ত লোকের সামনে বাচ্চাদের যেতে না দেওয়া। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। অর্থাৎ বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা। শিশুকে ভিড়ের মধ্যে অর্থাৎ বেশি লোক সমাগমের মধ্যে যেতে না দেওয়া।ভ্যাকসিন দিয়েও এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। সরকারিভাবে এ রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। শিশুকে এ ভ্যাক্সিন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনোদন রিপোর্ট: গাজীপুরের খতিব খামার বাড়িতে চলছে ‘খাস জমিন’ ছবির শুটিং। গত ১ নভেম্বর ছবির শুটিং শুরু হয়। ছবিটি পরিচালনা করছেন সারোয়ার হোসেন। এই ছবিতে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছেন নায়ক সাইমন ও আইটেম গার্ল খ্যাত নায়িকা বিপাশা কবির। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ছবির শুটিং হবে বলে জানিয়েছেন নায়ক সাইমন।এনটিভি অনলাইনকে সাইমন বলেন, ‘এ মাসেই ছবির দৃশ্যগুলোর শুটিং শেষ হয়ে যাবে। বাকি থাকবে গানের শুটিং। কাজ করতে অনেক ভালো লাগছে। কারণ এই প্রথম সরকারি অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করছি। এই ছবিতে নায়িকা বিপাশা করিবের সঙ্গেও প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছি।’ছবিতে নিজের চরিত্র সম্পর্কে সাইমন বলেন, ‘এই ছবিতে আমি গাজীপুরের একজন ভূমি কর্মকর্তা। বদলি হয়ে এখানে এসে দেখি এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক সব খাসজমি দখল করে নিচ্ছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। খাসজমি উদ্ধার করে এলাকার গরিব মানুষকে দিয়ে দেই। এ ধরনের একটি চরিত্রে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’বিপাশার সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে কাজ করার বিষয়ে সাইমন বলেন, ‘বিপাশা এমনিতে আমার অনেক ভালো বন্ধু, যদিও আমরা জুটি হয়ে এই ছবিতে প্রথমবারের মতো কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু দৃশ্যে অভিনয় করেছি। বিপাশার অভিনয় অনেক ভালো, এই ছবিতে মফস্বলের সাধারণ একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে সে। আমার মনে হয় আইটেম গানে দর্শক তাকে যেমন পছন্দ করেছেন, নায়িকা হিসেবেও নিজের জায়গা করে নেবে বিপাশা’।ছবির একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন। পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্য করেছেন সারোয়ার হোসেন, সংলাপ লিখেছেন শেখ ডেভিড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।খুদে বার্তায় বলা হয়, দীপন ও নিলয় হত্যায় জড়িত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক নেতাকে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি ডিএমপি। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয়ও জানানো হয়নি।বিস্তারিত তথ্য জানাতে আজ ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফের আয়োজন করা হয়েছে।গত বছরের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) ওই খুনের দায় স্বীকার করে।একই বছরের ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানে নিজ বাসায় ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিনই এ হত্যার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখার নামে বিবৃতি দেওয়া হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1478832878নাথন ফ্রিডল্যান্ড ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এর একজন নিয়মিত কলামিস্ট ও লেখক। এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস-এ নিয়মিত লেখালেখি করেন এবং বিবিসি রেডিও ফোর-এর কনটেম্পোরারি হিস্ট্রি সিরিজ উপস্থাপনা করেন। ২০১৪ সালে অরওয়েল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর আটটি বই প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন নির্বাচন-পরবর্তী কলামটি তিনি লিখেছেন দ্য গার্ডিয়ানের মতামত পাতায়। কলামটির সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর করেছেন ফাহিম ইবনে সারওয়ার।

আমরা ভেবেছিলাম, অন্য রকম কিছু ঘটবে। জরিপগুলোও আমাদের সে ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন ধর্মান্ধ, যৌন নিগ্রহকারী এবং মিথ্যাবাদীর হাতেই দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অফিসের দায়িত্ব তুলে দিল মার্কিনরা। দুনিয়াজুড়ে মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন দেখেছেন, অপেক্ষা করেছেন ফলাফলের জন্য। প্রায় সবাই ভেবেছিলেন, ট্রাম্প অধ্যায়টি নির্বাচনের পরই কেটে যাবে। কিন্তু সেই ট্রাম্পই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তবতা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, যারা কি না নিজেদের ‘পৃথিবীর শেষ ভরসাস্থল’ হিসেবে দাবি করে, যে জাতি সব সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে, তারাই কি না বারাক ওবামার উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে!

আজ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাসীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎস নয়, বরং ভীতির উৎস। প্রথম নারী প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করার বদলে এমন একজনের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো, যিনি কি না পরিচিত তাঁর অজ্ঞতা, বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী মনোভাবের কারণে। যাঁরা তাঁকে ভালোমতো চেনেন, তাঁরা তাঁকে অভিহিত করেন ‘বিপজ্জনক’ ও ‘সামাজিক ব্যাধি’ হিসেবে।

তবে খুব শিগগির ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার ফল চোখের সামনে দেখতে পাবেন মার্কিনরা। ট্রাম্প যা বলেছিলেন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময়, ধীরে ধীরে তার বাস্তবায়ন শুরু হবে। বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এর ফলে এক কোটি ১০ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের জনশক্তির ৬ শতাংশ।

মুসলিমরা যুক্তরাষ্ট্রে আর ঢুকতে পারবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে অবশ্য কিছুটা নমনীয় হয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘যেসব মুসলিমপ্রধান দেশ সন্দেহের তালিকায় রয়েছে, সেসব দেশ থেকে কোনো মুসলিম যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না।’ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বড় একটি দেয়াল তুলে দেওয়া হবে। যেসব নারী গর্ভপাত করাতে চান, তাঁদের সাজা দেওয়া হবে এবং হিলারি ক্লিনটনকে জেলে পাঠানো হবে।

মানুষ হয়তো বলবে, এসবই ছিল কথার কথা। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ। কিন্তু প্রচারণাজুড়েই ট্রাম্পশিবির এই ব্যাপারগুলোতেই জোর দিয়েছে। আর তার বিজয় বলে দিচ্ছে, বিপুল পরিমাণ মার্কিনের এতে সমর্থনও রয়েছে। যে অফিসে থমাস জেফারসন, আব্রাহাম লিঙ্কন, ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও জন এফ কেনেডি বসেছেন, এখন সেখানে বসবেন ট্রাম্প! তিনি যা খুশি তা-ই করতে পারেন।

প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের সময়কাল হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন পরীক্ষা। কিন্তু সারা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়বে। একজন রিয়েলিটি শোর টিভি তারকা, যাঁর রাজনীতি বা সামরিক বিষয়ে বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা নেই, তাঁর হাতেই থাকবে পারমাণবিক বোমার চাবি। মনে করে দেখুন, ট্রাম্প সেই লোক, যিনি প্রায় সময়ই জিজ্ঞাসা করেছেন, পারমাণবিক বোমা থাকতেও কেন যুক্তরাষ্ট্র তা ব্যবহার করছে না? এই ট্রাম্পই বলেছিলেন, ‘আমি যুদ্ধ ভালোবাসি।’ আইএস জঙ্গিদের দমনে ট্রাম্পের বুদ্ধি ছিল, ‘বোমা মেরে সবাইকে উড়িয়ে দেওয়া’!

জোট নিরপেক্ষ জোট ন্যাম-এর ব্যাপারেও ট্রাম্পের মনোভাব খুব একটা ইতিবাচক নয়। একজন আক্রান্ত হলে সবাই মিলে হামলাকারীকে প্রতিহত করবে—এমন নীতিতে বিশ্বাস করেন না বলে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, ন্যাটো হচ্ছে একটি মাফিয়া জোট, যেখানে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর আশ্রয়ে সুবিধা নিচ্ছে। এই সুবিধা নিতে হলে দুর্বল দেশগুলোকে অবশ্যই অর্থ খরচ করতে হবে বলে মনে করেন ট্রাম্প।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় থেকেই ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তাঁর এই ইঙ্গিত বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রুশ এই স্বৈরশাসক অবশ্যই বাল্টিক দেশগুলোতে আগ্রাসন চালিয়ে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করবেন। এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনের এমন সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করবেন।

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য-যুদ্ধ আসন্ন। নতুন নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে, যা বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলবে। এবং এই বিশ্বের কী হবে? ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে চীনাদের তৈরি ধাপ্পাবাজি। কার্বন ডাইঅক্সাইডের নিঃসরণ কমাতে ট্রাম্প কিছুই করবেন না, কারণ তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বাসই করেন না।

এসব কিছুর পরও আরেকটি প্রেক্ষাপট আমাদের সামনে রয়েছে, যেটা বেশি ভয়ংকর। ট্রাম্পের বিজয় শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও বর্ণবাদীদের দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ৬৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ও ৫২ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ নারী ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।

ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য কাকে দোষ দেবেন? তালিকাটি দীর্ঘ। রিপাবলিকান পার্টি থেকে গণমাধ্যম, পোলস্টারস থেকে ডাটা অ্যানালিস্টরা সবাই ট্রাম্পের বিজয়ে ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি হিলারি ক্লিনটন নিজেও ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য দায়ী। কিন্তু আজকের দিনে আর দোষ দিয়ে কী হবে? বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র এখন পরিচালিত হবে সবচেয়ে ভয়ংকর নেতার দ্বারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesখুলনা টাইটানসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিততে জিততে হেরে গিয়েছিল সাব্বির রহমান, ড্যারেন স্যামিদের রাজশাহী কিংস। তবে বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আর হতাশ হতে হলো না রাজশাহী সমর্থকদের। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছেন সাব্বিররা।

১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে রাজশাহী কিংস। দারুণ বোলিং করে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার সামিত প্যাটেল। খেলেছেন ২৫ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

রাজশাহীর অন্যতম ব্যাটিং ভরসা সাব্বির রহমানও আজ জ্বলে উঠেছেন নামের প্রতি সুবিচার করে। চাপের মুখে উইকেটে এসে খেলেছেন ৩১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।

ম্যাচের একেবারে শেষপর্যায়ে যখন আউট হয়েছেন, তখন জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান।

বল হাতে শুরুটা অবশ্য ভালোভাবেই করেছিল সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। প্রথম চার ওভারের মধ্যে মাত্র ২৭ রানেই সাজঘরে ফিরিয়েছিল রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক (৯) ও রনি তালুকদারকে (১৪)। দশম ওভারে ২৭ রান করে আউট হয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার উমর আকমলও। কিন্তু এরপর সাকিবদের আর কোনো সুযোগ দেননি সাব্বির ও সামিত প্যাটেল। চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের দারুণ জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। শেষপর্যায়ে সাব্বিরের উইকেট নিয়ে হারের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছেন ঢাকার পেসার মোহাম্মদ শহীদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest