সর্বশেষ সংবাদ-
বুধহাটায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মর্নিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পসাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ

22222নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথম বারের মত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন যাবত দেশের জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হয়ে আসলেও এবারই ব্যতিক্রমভাবে জনপ্রতিনিধিদের ভোট (আমেরিকান ইলেক্ট্রোরাল) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম চালিয়ে যাচ্ছেন তার নির্বাচনী প্রচারণা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ প্রচার কার্যক্রম।
নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার মোঃ নজরুল ইসলাম সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়ন, বৈকারী ইউনিয়ন, কুশখালী ইউনিয়ন ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময় ও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নিরাপদ, আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সাতক্ষীরা গঠনে কাজ করবো। সাতক্ষীরা জেলার শুধু শহরাঞ্চল নয়, গ্রামাঞ্চলেরও উন্নয়ন ও পরিবর্তনের রুপরেখা নিয়ে কাজ করবো। বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলকভাবে দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠন করবো। আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নিরপেক্ষ এবং সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। জেলা পরিষদের কোনো সম্পদ ইজারা দেওয়া হবে না। সেসব সম্পদ উন্নয়ন কাজে লাগানো হবে। তিনি আরো বলেন, সবাইকে নিয়ে নিরাপদ, আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সাতক্ষীরা নির্মাণ করতে চাই। জঙ্গী, সংন্ত্রাসমুক্ত এবং বেকারত্বমূলক সাতক্ষীরা গড়তে আমি বদ্ধ পরিকর।’
অপরদিকে বুধবার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের  আয়োজনে বুধবার বিকাল ৪ টায় মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। আলোচনা সভায় শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ-সম্পাদক ওবায়দুর রহমান মানির সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেমের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, মো.আকবর আলী, এস.এম আবুল কালাম আজাদ, মো.শওকত আলী, আজহারুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আনোয়ার ঢালী প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, তুহিনুর রহমান তুহিন, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি প্রমুখ।
এরপর নজরুল ইসলাম ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক যুব নেতা মোস্তফিজুর রহমান নাসিমের পিতার মৃত্যুর খরব শুনে ভাড়–খালি তার বাড়িতে যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

22-12-16-narayanaganj-new-city-mayor-selina-hayat-ivy-9ন্যাশনাল ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষের ভোটের লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় পেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে টানা দুইবার নারায়নগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
১৭৪ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০০ ভোট। ৭৭ হাজার ৯০২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট উৎসব শেষ হয় বিকাল ৪টায়। গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে স্বতস্ফুর্তভাবে সাড়া দিয়েছে ভোটাররা। কিছু অভিযোগ থাকলেও সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে দেখা যায়।
মূলত নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ২০১ জন প্রার্থী। ৭টি রাজনৈতিক দলের ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থী ৫৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৩৮ জন।
নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ এবং বন্দর থানা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি। ভোটকক্ষ ১৩৪টি।
পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ভিডিপি ও কোস্টগার্ডসহ প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও ছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা, থাকেন ৪ হাজার ৮৫ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নলতা প্রতিনিধি : একটি বাইসাইকেল চুরি করে বিক্রি করার সময় হাতে-নাতে রমেশ মন্ডল (২২) নামের এক চোর আটক হয়েছে। আটক চোর রমেশ মন্ডল সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালীর তেতুলিয়া গ্রামের দুখে মন্ডলের পুত্র। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে নলতা মোবারকনগর বাজার থেকে একটি বাইসাইকেল চুরি করে নলতা হাটখোলায় বিক্রি করতে গেলে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে জিঙ্গাসাবাদ করলে সে চুরির কথা স্বীকার করলে তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে বেঁধে রেখে তার অভিভাবকদের কাছে খবর দিলে তারালী ইউপি সদস্যা ডলি খাতুন,চোরের পিতা দুখে মন্ডল ঘটনা স্থানে আসে। এসময় নলতা ইউপির সাবেক সদস্যা সালেহা খাতুন,নলতা ইউনিয়ন আ’লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ শমসের আলীসহ স্থানীয়দের সামনে সে আর কোন দিন চুরি করবেনা বলে মুচলেখা দিয়ে রেহাই পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

01-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর গৌতম হত্যা মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার বাবা ইউপি সদস্য গনেশ চন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার পুত্র হত্যার সঠিক তদন্ত  ও বিচার দাবি করে বলেন এখন পর্যন্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। হত্যার পর থেকে তিনি আতংকিত হয়ে আছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। নিহত গৌতম সরকারের বাবা গনেশ সরকার বলেন তার এলাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের মহাদেবনগর গ্রামে নুর মোহাম্মদ মুক্ত, কবিরুল ইসলাম মিঠু, জামশেদ ও সাজু হোসেনসহ কয়েক যুবক চাঁদাবাজি করতো। তারা বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস ছাড়াও নানা অপরাধ করতো। তিনি এর প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এতে তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি বলেন গত ১০ ডিসেম্বর পুলিশ চাঁদাবাজ জামশেদকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে ছাড়ানোর ব্যাপারে তিনি সহযোগিতা করতে রাজী হননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন তিন দিন পর  ১৩ ডিসেম্বর নুর মোহাম্মদ মুক্ত ও মাহমুদপুর গ্রামের আবদুর রহমান ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে  সাতক্ষীরা থানা থেকে মুক্ত করে আনে।  বাড়ি ফিরেই  জামশেদ তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে জানায়, আমার যে টাকা খরচ হয়েছে তোর কাছ থেকে তার বেশি টাকা আদায় করে ছাড়বো। গনেশ সরকার বলেন ওই রাতেই তার ছেলে মাহমুদপুর সীমান্ত কলেজের ছাত্র গৌতম সরকারকে সন্ত্রাসীরা টেলিফোনে ডেকে নিয়ে অপহরন করে। রাতভর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে গৌতমের ফোন থেকে তার কাছে ফোন করে বলা হয়, তোর ছেলেকে জীবিত পেতে হলে দশ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আয়। বিষয়টি থানা ও চেয়ারম্যানকে জানিয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করেন। তিনি বলেন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ছেলেকে নিতে তাকে সীমান্তবর্তী বেড়ি বাঁধের ওপর যেতে বলে। তিনি নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে যাননি। তিনি বলেন পরে  তাদের কথা মতো তিনি পুলিশসহ কয়েকজন ইউপি সদস্যকে নিয়ে খাসখামার বিলে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে অন্যতম ঘাতক শাহাদাত ও আলি আহমেদ শাওন আসা মাত্রই তাদের আটক করে পুলিশ। তাদের কথা অনুযায়ী সাজু হোসেনকে কোমরপুর গেট থেকে এবং নাজমুল হোসেনকে কালিগঞ্জের পাইকাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। এ সময় তারা স্বীকার করে যে ঘটনার রাতে মহসিনের বাড়িতে খাসির মাংস দিয়ে ভাত খায়। এ সময় শাহাদাত, শাওন, সাজু, নাজমুল, ওমর ফারুক, জামশেদ, মুক্ত ও মিঠুসহ ১১ জন ছিল। পরে তারা তাকে হত্যা করে। গনেশ সরকার তার লিখিত বক্তব্যে পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার উল্লেখ করে আরও বলেন সদর থানার ওসি তদন্ত আলমগীর কবির ও এস আই আসাদুজ্জামান তার দেওয়া এজাহার থেকে জামশেদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে আরও কয়েকজনের নাম দিয়ে তিনি থানায় একটি সম্পূরক এজাহার দাখিল করেন। তিনি বলেন পুলিশ এ ব্যাপারে যথার্থ কাজ করছে না। এমনকি আসামিদের কাছ থেকে ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তি পাবার পরও পুলিশ ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি নিজের ইচ্ছা মাফিক করিয়ে নিয়েছে। গনেশ সরকার ওসি তদন্ত আলমগীর কবিরসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান। গৌতমের বাবা ঘোনা ইউপি সদস্য গনেশ সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন সন্ত্রাসীরা আমার কাছে দশ লাখ টাকার বিনিময়ে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল। বিষয়টি এএসপি সার্কেল আতিকুল ইসলাম, ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লাসহ সকল কর্মকর্তাকে তার রেকর্ডকরা ভয়েস শুনিয়ে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তাদের লোকেশন খুঁজে বের করার চেষ্টাও করছিল পুলিশ। তিনি বলেন দশ লাখ টাকা দাবির ভয়েস শুনবার পরও সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কিভাবে বলেন যে গৌতমকে মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন নাজমুল পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছে যে শাহাদাত গৌতমকে খুন করে। এসব জানার পরও পুলিশ সুপার কিভাবে বললেন যে হাত পা বাঁধা ও মুখে গুলের কোটা রাখা গৌতম গড়াতে গড়াতে পুকুরে পড়ে মারা গেছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন এতে কি এই বুঝায়না যে পুলিশ এই হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং আসামিদের রক্ষার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন যে আসামিরা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছে তা পুলিশের শেখানো। গনেশ সরক্রা আরও বলেন আরও যেসব ঘাতক এখনও পালিয়ে রয়েছে পুলিশ তাদের কৌশলে আড়াল করবার চেষ্টা করছে। এমনকি জামশেদসহ কয়েকজনকে ধরবার নামই করছে না। এতোসবের পরও আসামি সাজুর মা ফজিলা খাতুনকে থানায় এনে দুদিন পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানসহ সদস্য রাবেয়া পারভিন, তাসলিমা খাতুন, নাজমিরা খাতুন, স্বপন ঘোষ, ভৈরব চন্দ্র, মোত্তাসিম বিল্লাহ নয়ন, রবিউল ইসলাম, আবুল বাসার, আবু সাঈদ মনোয়ার, আবদুল করিম, শাহীন রহমান ও নিহত গৌতমের বাবা গনেশ সরকার নিজেই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি হত্যার বর্ননা দেন। এই হত্যার বিষয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন সম্প্রতি এক প্রেসব্রিফিংয়ে যেসব কথা বলেছেন তা প্রত্যাখ্যান করতেই গনেশ সরকার এই সংবাদ সম্মেলন করেন বলে জানান।
গত ১৩ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার মাহমুদপুর সীমান্ত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ ¯œাতকের ছাত্র গৌতম সরকার অপহৃত হন। পরে তার হাত পা বেঁধে ও মুখে গুলের কৌটা গুঁজে দিয়ে ঘাতকরা হত্যা করে লাশ মহাদেবনগরের একটি পুকুরে বস্তায় পুরে ইট দিয়ে রশিতে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শাহাদাত, নাজমুল, সাজু হোসেন, আলি আহমেদ শাওন, মহসিন কবির ও ফজিলা খাতুন গ্রেফতার হয়ে আছে। াদের মধ্যে শাহাদাত ও নাজমুল হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-afsar-master
নিজস্ব প্রতিবেদক: শত শত শিক্ষার্থী ও হাজারো মানুষকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সকলের প্রিয় শিক্ষক, বিশিষ্ঠ শিক্ষা অনুরাগী, সাতক্ষীরা পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আফসার মাস্টার। গত বুধবার রাতে তিনি নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবরে সেখানে ছুটে যান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, যুবলীগ নেতা সাগর প্রমুখ। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর তার নামাজে যানাজায় মানুষের ঢল নামে। যানাযা নামাজের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, আফসার মাস্টার ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি সব সময় ঝামেলা এড়িয়ে চলতেন। কখনো কোন জটিলতার সাথে জাড়াতেন না। মানুষ গড়া ছিলো কাজ। এর বাইরে তিনি কিছুই ভাবতেন না। তিনি মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে পলাশপোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাঅবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। তার মত একজন আদর্শবান মানুষকে হারিয়ে আমরা একজন অভিভাবককে হারিয়েছি। এসময় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, সাবেক চেয়াম্যান আব্দুর রউফ, হাবিবুর রহমান হবি, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, মরহুম আফসার মাস্টারের কৃতি ছাত্র ও সীমান্ত আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব ওয়ার্সী প্রমুখ। যানাজা নামাজে ইমামতি করেন, মরহুমের ছোট ভাই হাফেজ শামসুল হুদা। যানাজা নামাজ শেষে তার পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সোনাবাড়ীয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচলিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান মাছুম গুরুতর অসুস্থ্য হওয়ায় সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সোনাবাড়ীয়া প্রতিনিধি মোঃ রাজিবুল ইসলাম, কাজীর প্রতিনিধি মোঃ লিটন হোসেন ও বাশদাহ প্রতিনিধি মোঃ জুলফিকার রহমান ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ মাহমুদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার সখিপুরের চিনেডাঙ্গা আহছানিয়া মিশনের উদ্যোগে গরীব ও অসহায় শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় চিনেডাঙ্গা আহছানিয়া মিশন চত্বরে নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উক্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় মিশনের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সাবেক হিসাবরক্ষক আবুল কাশেম, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও চন্ডিপুর আহছানিয়া মিশনের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মুজিবর রহমান, চন্ডিপুর আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী সহ মিশনের সহ-সভাপতি, সম্পাদক, ক্যাশিয়ার, উপদেষ্টা ও সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে চিনেডাঙ্গা আহছানিয়া মহিলা মিশনের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে ১৩০জন মহিলা সদস্যদের মধ্যে ২৫সদস্য বিশিষ্ঠ মুল কমিটি গঠন করা হয়। এসময় মোছাঃ শাহিদা বেগমকে সভানেত্রী ও আয়েশা আক্তারকে সাধারন সম্পাদিকা নির্বাচিত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: মানুষের দেহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হল চোখ। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও চোখের আবেদন অনস্বীকার্য। কিন্তু এই চোখকে আমরা অবহেলা করে থাকি। আজকাল কম্পিউটার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। তা কাজের জন্য হোক বা নিত্য নৈমিত্তক প্রয়োজনে হোক প্রতিনিয়ত আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়।কম্পিউটার ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে আমাদের এই চোখ জোড়ার। এই চোখের যত্নে প্রতিদিন করুন সহজ কিছু কাজ।১। কম্পিউটারে বসার অবস্থানটি ঠিক রাখুন। কম্পিউটার স্ক্রিনের অবস্থান চোখ থেকে এক হাত ব্যবধানে ২০ ডিগ্রী চোখের স্তর থেকে নিচে হতে হবে।২। অনেক মানুষ আছেন, যারা সারাক্ষণ চোখ কচলে থাকেন। হাতে থাকা ময়লা, ধুলাবালি সব চোখের ভিতরে ঢুকে যায় চোখ কচলানোর মাধ্যমে। যার কারণে চোখে ইনফেকশন হয়ে নানা রোগের দেখা দেয়। বারবার চোখ কচলানো থেকে বিরত থাকুন।৩। নিয়মিত সানগ্লাস ব্যবহার করুন। ভাল মানের সানগ্লাস সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়লেট ইউভি রশ্নির হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে থাকে। এমন সানগ্লাস ব্যবহার করুন যা ৯৯% থেকে ১০০% ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি প্রতিরোধ করে থাকে।৪। কাজের সময় আপনি ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। প্রতি ২০ মিনিট পর আপনি কম্পিউটার থেকে চোখ সরিয়ে অন্য কোন কিছুর দিকে তাকান যা আপনার দৃষ্টি থেকে ২০ ফিট দূরে অবস্থিত। কাজ করতে করতে ২০ বার চোখের পলক ফেলুন। এটি আপনার চোখকে ময়শ্চারাইজ করবে।৫। ব্যবহার করা টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে চোখের উপর ১০ মিনিট রাখুন। এটি চোখকে আরাম দিবে এর সাথে আপনার চোখের নিচের কালিও দূর করতে সাহায্য করবে।৬। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ এবং ডি যুক্ত খাবার রাখুন। সঠিক পরিমাণে এই ভিটামিনযুক্ত খাবার না খেলে রাতকানা রোগ এবং চোখের অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ‘এ’-এর প্রধান উৎস প্রাণীজ প্রোটিন যেমন যকৃত, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন, পনির ও মাছ।৭। প্রতিদিন ঠান্ডা পানি ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিস্কার করুন। এতে আপনার চোখের ময়লা সব বের হয়ে যাবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপানর চোখের মেকআপ আইলাইনার, মাশকরা,কাজল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।৮। অনেকের চোখের নিচ ফোলা থাকে। এটি হয়ে থাকে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে। লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন।৯। একটানা কাজ না করে ২০ মিনিট পর উঠে একটু হেঁটে আসুন, এটি কাজের একঘেয়েমিতা কাটানোর পাশাপাশি আপনার চোখকেও রিলাক্স করবে।১০। ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান চোখের উপর প্রভাব ফেলে। ধূমপান ম্যাকিউলার, ক্যাটার‍্যাক্ট এবং নার্ভের ক্ষতি করে থাকে। যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করে দেয়।চোখে সমস্যা দেখে দিলে বিলম্ব না করে দ্রুত চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest