press-conference000নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসারসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাতে গুষ নিয়ে সকালে ফেরত দেয়ায় পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন হালিমা নামে এক গৃহবধু। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে কলারোয়া প্রেসক্লাবে উপজেলার পাটুলিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগের সমর্থক আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হালিমা খাতুন কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই আনোয়ার হোসেন ও এএস আই সাইদুর রহমানের বিচার চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ও লিখিত অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামীসহ তার পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগের সমর্থক। তার দ্বিতীয় কন্যা বি-ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভারতে তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৩হাজার টাকা জোগাড় করে বাড়িতে রাখে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে কে বা কারা তার বাড়ির দরজায় প্রচন্ড জোরে ধাক্কা মারতে থাকে। এসময় তিনি দরজা খুলেই দেখতে পান পিস্তল হাতে ওই দুই দারোগাসহ কয়েকজন পুলিশ। কোন কিছু বলার আগেই তারা বলেন যে, বাড়িতে টাকা কত আছে? তিনি বললেন, তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক কষ্টে ২৩হাজার টাকা গুছিয়ে রেখেছি। বলা মাত্রই দুই দারোগা বলেন, টাকা গুলি নিয়ে আয়, তা নাহলে তোর স্বামীকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিব। তখনই তিনি প্রান ভয়ে ঘর থেকে ২৩হাজার টাকা এনে সাঈদ দারোগার হাতে দিয়ে দেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, এরপর দারোগা আনোয়ার আরো ২০ হাজার টাকা পাশ থেকে ধার করে নিয়ে আসতে বলেন। তখন তিনি ওই গভীর রাতে জীবনের বাজি রেখে পাশের বাড়ি রফিকুল ইসলামের নিকট ২০হাজার টাকা ধার চায়তে যান। কিন্তু ফিরে এসে যখন টাকা ধার পায়নি বলেন, তখন তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে  তাদের হাতপা ধরে অনেক অনুনয় বিনয় করায় দারোগা সাঈদ বলেন, ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছি তবে আগামিকাল শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে আরো ২০হাজার টাকা নিয়ে থানায় আসবি। এসময় তারা (দারোগা) যোগাযোগ করার জন্য একটি মোবাইল নং- ০১৭৯৯-১০০৬১২ দিয়ে আসেন। শুক্রবার সকালে হালিমা খাতুন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাতে বলেন। পরে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বাসায় গিয়ে তাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানালে তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) পুলিশের দেয়া নম্বরটিতে কল দিলে দারোগো সাঈদ ধরে বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ওসি সাহেবকে বললে ওসি সাহেব তাকে (হালিমা) থানায় পাঠিয়ে দিতে বলেন। তিনি থানায় গেলে ওসি সাহেব ওই দুই দারোগাকে ডাকেন এবং চিনেন কিনা বলেন। ওই দুই দারোগা আসার সাথে তিনি বলেন, এনাদের দুই জনের কাছে টাকা দিয়েছি। ওসি সাহেব তখন দারোগা আনোয়ার ও সাঈদকে টাকা ফের দিতে বলেন এবং ওসি সাহেবের সামনেই তারা উক্ত ২৩ হাজার টাকা তাকে (হালিমা) ফেরত দেন। টাকা নিয়ে থানা থেকে বের হওয়ার সময়- ‘টাকা নিয়ে বাড়ি যা, এক সপ্তাহের মধ্যে বুঝতে পারবি’ বলে সাঈদ দারোগা হুমকি দিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হালিমা খাতুন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, কলারোয়া থানার দারোগা আনোয়ার হোসেন ও সাঈদ হোসেন উল্লেখিত আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে ২৩হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তবে সকালে ওসি সাহেবকে বলার পর তারা টাকা গুলি ফেরত দিয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার হোসেন ও সাঈদ হোসেনেরে নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তারা ওই রাতে বাইরে কোন অভিযানে যাননি জানিয়ে বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক শেখ জানান, আব্দুস সাত্তার নামে ওই গ্রামে একজন থানায় লিস্টেট ব্যক্তি আছে। তবে ওইদিন রাতে ভুল বশত: উল্লেখিত আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা। এছাড়া টাকার লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শুক্রবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে (হালিমা) থানায় পাঠালে বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির একটা সুরাহা করে দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexআমির হোসেন খান চৌধুরী: আজ সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা। গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত দুই বছর ধরে এই সংস্থাটির বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা হচ্ছে কিছুটা লুকোচুরি করে! ১১৪১ জন আজীবন সদস্যের এই ইউনিটের সাধারণ সভা এমন এক জায়গায় আয়োজন করা হচ্ছে যেখানে একসাথে ১০০ জনকেও বসানো সম্ভব নয়! অর্থাৎ সুপরিকল্পিতভাবে সদস্যদের উপস্থিত হতে নিরুৎসাহিত করে সাজানো সাধারণ সভার আয়োজন চলছে! অন্যদিকে ডাকযোগে সকল সদস্যদের নিকট বার্ষিক সাধারণ সভার নোটিশ পাঠানোর কথা থাকলেও শত শত সদস্য কোনদিনই এ নোটিশ পান না। আবার অনেকেউ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর এ নোটিশ হাতে পান। কোরাম না পুরলেও ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে সভার উপস্থিতির কোরাম পূরণ হয়েছে দেখানো হয়।
rউল্লেখ্য, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। এ নিয়ে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্যরা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে চলছে হরিলুটের খেলা। একজন প্রভাবশালী নেতার দুই ভাই এসব হরিলুটের সাথে জড়িত বলে তারা বলছেন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি সালে সাতক্ষীরা ইউনিটের প্রকল্পের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে একরামুল লিটন নামের এক অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শামীম নামের আরো একজন অফিসারকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে। তবে ঐ দুই ভাইয়ের দুর্নীতির কারণে এ সমস্যা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়নি ওই অফিসাররা।
এদিকে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বর্তমান আজীবন সদস্য সংখ্যা প্রায় ১১৪১ জনের মত। অথচ কার্যালয়ে মানুষের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় ১০০ জনেরও।
বিগত ২০১৩ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয়। এরপর অদ্যাবদি কোন নির্বাচন হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন বিগত ২০১৫ সালের নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কোন প্রতিদ্বিন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেয়নি। যে কারণে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে ঐ দুই ভাইকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তাদের অন্তর্ভূক্তির পর থেকে ব্যাহত হতে শুরু করে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা। কিন্তু ঐ কার্যালয়ের ধারণ ক্ষমতাই নেই সহ¯্রাধিক সদস্যের। কীভাবে এত সদস্যদের জায়গা দিবেন কর্তৃপক্ষ তা জানেন না কেউ।
এদিকে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে সতক্ষীরা রেডক্রিসেন্টের সেক্রেটারি শেখ নুরুল হককে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বরে উপর্যুপরি কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি আন্তর্জাতিক সেবাদানকারী সংস্থা। তাই আজীবন সদস্যরা সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটটিকে পূর্বের ন্যায় গতিশীল ও মূল স্রোত ধারায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এর ইংরেজি নাম ডধঃবৎ পযবংঃহঁঃ এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ঞৎধঢ়ধ নরংঢ়রহড়ংধ। পানি ফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এর প্রথম দেখা পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। জানা যায় যে, প্রায় তিন হাজার বছর পূর্ব থেকেই চীনদেশে পানিফলের চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানি ফলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে। পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে এ ফলটি জন্মে। এর শেকড় থাকে পানির নিচে মাটিতে এবং পাতা পানির উপর ভাসতে থাকে। এক একটি গাছ প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানি ফলের আরেক নাম ‘শিংড়া’। ফলগুলোতে শিংয়ের মতো খাঁজকাটা থাকে বলেই এরকম নামকরণ হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। কোথাও কোথাও একে ‘পানি সিংগাড়া’ নামেও ডাকা হয়। ফলচাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ন -পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারন করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাসঁ। কাঁচা ফলের নরম শাসঁ খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রতি ১০০ গ্রাম পানিফলে ৮৪.৯ গ্রাম পানি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৯ গ্রাম চর্বি, ১১.৭ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.১১ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। তাছাড়া এ ফলে ৬৫ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। পানিফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। ফসফরাসের সহযোগিতায় শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করা ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ। লৌহ অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ লবন। লৌহের অভাবে মানবদেহে অপুষ্টিজনিত রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। ছোট ছেলেমেয়েরা এবং গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা অতি সহজে রোগের শিকার হয়। পানি ফলে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পানি ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ১৫ মিলিগ্রাম। আর শসাতে আছে ভিটামিন ‘সি’ মাত্র ৫ মিলি গ্রাম। ভিটামিন ‘সি’ শরীরে চামড়া, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’ অস্ত্রে লৌহ শোষণে সাহায্য করে। বাংলাদেশের শতকরা ৯৩ ভাগ পরিবার ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে ভুগছে। খাদ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি বিবেচনা করে এ ফলের প্রতি আমাদের অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পানি ফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। কাঁচা পানিফল বলকারক দুর্বল ও অসুস্থ মানুষের জন্য সহজপাচ্য খাবার। ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে এলার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিওপ্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটের ব্যথ্যা উপশমে পানিফল খাওয়ায় প্রচলন রয়েছে। বিছাঁ পোকা কামড়ের যন্ত্রনায় থেঁতলানো কাঁচা ফলের প্রলেপ দিলে  উপকার পাওয়া যায়। পানিফল খুব লাভজনক একটি ফসল। এর উৎপাদন খরচ খুব কম। সাতক্ষীরা জেলার সদর, কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার চাষিরা পানিফল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফলের চাষ। জানা যায়, এ বছর জেলায় ৭১ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সবার কাছে পরিচিত না হলেও ক্রমশঃ এ ফলের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের দু’ধারে চোখে পড়ে এই পানিফল। এ জেলার হাটবাজারে ও ফুটপাতে ছাড়াও ক্ষেত থেকে তুলে মহাসড়কের ধারে পানিফল বিক্রি করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। প্রতি কেজি পানিফল স্থানভেদে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হয়। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত ফলটি এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। লাভ বেশি হওয়ায় পানি ফলের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এতে জেলায় কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। অপরদিকে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এই সোনালি সম্ভাবনাকে সফল করার জন্য পানিফল চাষাবাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষনা করা আবশ্যক। সর্বোপরি সাতক্ষীরা জেলার জলাবদ্ধ পতিত জমির সদ্ব্যবহার, জনসাধারনের পুষ্টি নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে পানিফল চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উপকরণ সরবরাহ, বাজারজাতকরণ ও তত্ত্বাবধায়নের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। মোঃ আবদুর রহমান, লেখক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিস, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ফাইনাল খেলা আজ। শনিবার বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযেগিতায় ৬ষ্ঠ জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল খেলায় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হবে দেবহাটা উপজেলা দল বনাম শ্যামনগর উপজেলা দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘মাদক ও সন্ত্রাসবাদকে না বলুন, ফুটবলকে হ্যা বলুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরায় আশিক এন্টারপ্রাইজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ভোমরা পদ্মশাঁখরা কোহিনুর ক্লাব মাঠে জাকজমকপূর্ণ ফাইনাল খেলায় মৌতলা ফুটবল একাদশকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে গাজীরহাট ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন ও চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দিন, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, বিটিভি’র প্লানার সোনিয়া পারভীন শাপলা, ব্যবসায়ী আল-ফেরদৌস আলফা, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, এড. আজহারুল ইসলাম, ভোমরা পদ্মশাঁখরা কোহিনুর ক্লাবের সভাপতি মো. বাবর আলী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ভোমরা বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার ফারুক হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোনাজাত আলী, পৌরযুবলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন ভোমরা স্থল বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিবুর রহমান আলিমসহ অসংখ্য দর্শক ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন। খেলার রেফারী ছিলেন এ.কে আজাদ কানন। সহকারি রেফারী ছিলেন রফিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশের ৬১টি জেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে উৎসব মুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ। চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ভোটারদের সাথে মতবিনিময় সভা করছেন। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনমতের ঐক্যের ভিত্তিতে এবং তৃণমূল পর্যায়ের ভোটার সমর্থন নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা আবেদন করবো। যাতে পুর্বের মনোনয়নটি বাতিল করে আমাকে মনোনয়পত্র প্রদান করার হয়। জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণের জন্য আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি। আমি নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের উন্নয়নে এবং মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করবো।’ এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজান আলী, যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম মাসুম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, জেলা যুবলীগের সদস্য শেখ ছিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুলসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু রহমান মালী, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, ইউপি সদস্য শামছুর রহমান, আক্তারুল হোসেন সহ আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজনু রহমান মালী বলেন, ‘আমার আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বার ও মহিলা মেম্বারগণ আপনার পাশে আছি এবং থাকবো।’ অপরদিকে বেলা ১১টার সময় মোঃ নজরুল  ইসলাম শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে পৌছালে তাকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান ইউনিয়ন পরিষদের সকল  ইউপি সদস্য বৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুর রহমান মানি, আবুল কাশেমসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও ইউনিয়ন আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের টুঙ্গীপাড়া গ্রামের অমিয় মল্লিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্যাতন, প্রতিমা ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, লুটপাটের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কর্মসুচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় কালিগঞ্জ দক্ষিণপার খানবাহাদুর আহছানউল্লা ব্রীজ সংলগ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ পতিরাম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সরদার, যুব মহাজোটের সভাপতি গোপাল চন্দ্র ভাইয়া, সহ-সভাপতি দিনেশ সরকার, সম্পাদক দেবপ্রসাদ মন্ডল, বিজিত কুমার বর্মন, নিরঞ্জন কুমার মন্ডল, নিত্য সরকার, জয়দেব কুমার দাস, মনীন্দ্র মন্ডল, বিশ্বনাথ মন্ডল, শান্তিরঞ্জন দাস, পুলক মল্লিক, পুলক ঘোষ, সমির মোড়ল, বাপী অধিকারী, কিংকর ঘোষ, নিতাই মন্ডল, ডা: হরিদাস সরকার, গৌরপদ কুণ্ডু, সংকর দাস, নিরঞ্জন সরদার, রামপ্রসাদ, লক্ষণ চন্দ্র রায়, স্বপন শর্মা, বিল্লু বিশ^াস,মৃনাল সরকার, অবন্তি সরকার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার মন্ডল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাঁশদহা প্রতিনিধি: বাঁশদহা ইউনিয়নের ১নং হাওয়ালখালী ওয়ার্ডের সাবেক জামায়াত নেতা আজিজুল হককে আ”লীগের প্রত্যায়ন দিল ১নং ওয়ার্ড আ”লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত জোট সরকারের আমলে গাছ কাটা, রাস্তা কাটাসহ নাশকতামূলক নানা অপকর্মে সক্রীয়ভাবে জড়িত ছিল এই নেতা। আর এই অপরাধের দায়ে গত বৃহঃপতিবার রাত ১টার সময় সদর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে উক্ত ইউ,পি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সভাপতি আ”লীগের দলীয় প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়। এছাড়া আরও সূত্রে জানাযায় এই ওয়ার্ড নেতা অর্থের বিনিময়ে আ”লীগের প্রত্যয়ন পত্র দেন। যে প্রত্যয়ন পত্রে ইউ,পি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সভাপতির সীল স্বাক্ষর আছে। যা এলাকায় সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই জামায়াত নেতাকে প্রত্যয়ন দেয়ার ফলে নানা গুনজন সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই ধরনরে নেক্কার কাজ ভবিষ্যতে আর না ঘটে সেই কামনা করেন স্থানীয় আ”লীগ নেতারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest