সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন

3333নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘প্রবীণের আছে আলোর ভান্ডার বার্ধক্য পারে না আনতে আধার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সেমিনার ও পূর্নমিলনী -২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের কামালনগর তুফান কনভেনশন সেন্টারে সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আয়োজনে  সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহবায়ক ডা: সুশান্ত ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা-কলারোয়া-০১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সেরাজুল হক। প্রবীণ সমাজের ক্রমবিকাশ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিষয়ে প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন  সাবেক মন্ত্রী ডা: আফতাবুজ্জামান, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাবেক উপ-সচিব আব্দুল হামিদ, মো. হাদিউজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রবীণ বার্তা প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পল্টু বাশার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

44444নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জজকোর্টের পিছনে পবিত্র জুম্আ’র নামাজের মধ্য দিয়ে সবুজবাগ জামে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সবুজবাগ জামে মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও দন্ত চিকিৎসক ডা: মো. আবুল কালাম বাবলা, জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, এড. আব্দুল মুজিদ, সবুজবাগ জামে মসজিদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক আবুজার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য আমজাদ হোসেন লাভলু, মসজিদের জমি দাতা আব্দুল গফুর, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রনি, শাম্মু চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এপিপি এড. তামিম আহমেদ সোহাগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পারুলিয়া সাপমারা খালের জমিতে দখল করে অবৈধ স্থাপনা : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ব্রিজের পার্শ্বের সরকারি জমি দখল করে পুনরায় অবৈধ পাকা স্থাপনা শুরু হয়েছে। সরকারি খালগুলোর পানি চলাচলের বাধা অপসারণ করতে উপজেলার বিভিন্ন খালগুলো পুনরায় খনন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে পারুলিয়া ও সখিপুর দুই ইউনিয়নের মিলনস্থল সাপমারা খালের পাড়ে অবৈধ ভাবে দখলদারিত্ব ভেঙ্গে দেয় প্রশাসন। সে সময়ের অভিযান কালে কাঁচা, পাকা ও আধাকাঁচা অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণ সরিয়ে নেন দখলকারীরা। কিন্তু বর্তমানে উক্ত স্থানে পুনরায় অবৈধ ভাবে দখল করে স্থায়ী পাকা স্থাপনা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। সাপমারা খালের পশ্চিমপার্শ্বে কংক্রিটের স্থাপনা শুরু করেছে পূর্বের জয়া ডিজিটাল ফটোস্ট্যাটের মালিক দেবাশিষ এবং মাংস ব্যবসায়ী কসাই সামসুর রহমান। এ বিষয়টি নিয়ে দেবাশিষের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ইতিপূর্বে সরকারি জমিতে স্থাপনা করে নিজেদের মত ব্যবহার করতাম। কিন্তু ২০১৬ সালে যখন খাল খননের কাজ শুরু হয় তার পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল স্থাপনা ভেঙ্গে দিলে আমরা অন্যস্থানে ব্যবসা শুরু করি। তাছাড়া বর্তমান কোন ঝামেলা না থাকায় আমি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়ী সামসুর জানান, আমি কিছু জানিনা আপনি দেবাশিষের সাথে কথা বলেন। আমি তাকে মাসে ৪০০-৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে উক্ত স্থাপনার একটি অংশ ব্যবহার করি। দেবাশিষ কিভাবে এতদিন সরকারি জমি ভোগদখল করে আসছে তার উত্তর দিতে পারেনি সামসুর। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল-আসাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, দখলকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি বিষয়টি খুব দ্রুত দেখছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

298dea4e4313a4d0ae6aa7b1b115e94d-575cebb21f58eন্যাশনাল ডেস্ক: কথায়-কথায় তৃণমূল আওয়ামী লীগে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটছে অহরহই। এছাড়া কোথাও কোনও কারণ ঘটলেই জেলা কমিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও থানা কমিটি ভেঙে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ ধরনের ঘটনাকে গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী  হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতরা। তারা বলছেন, কাউকে বহিষ্কার বা কোনও কমিটি বিলুপ্ত করার এখতিয়ার একমাত্র কেন্দ্রের। কোনও জেলা কমিটির এই এখতিয়ার নেই। এ ধরনের ঘটনার লাগাম টানতে গত বুধবার (১ মার্চ) সারাদেশে কেন্দ্র থেকে লিখিত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তৃণমূল নেতাদের বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্তের ঘটনা বন্ধে জেলা কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
cfbadbdcef7a8c53cd82fbaa4a4b625f-58b820220ecdbওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোনও ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা ও জেলা শাখার কমিটি ভাঙা বা বিলুপ্ত করা যাবে না। অথচ আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, ইতোমধ্যে কোনও কোনও জেলা তাদের অধীন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা ও জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত করেছে। কোনও কোনও এলাকায় কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা দলের কেন্দ্রীয় গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
নির্দেশনা আরও বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কাউকে বহিষ্কার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। কাউকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার একমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের। সঙ্গে-সঙ্গে দলের বিভিন্ন শাখাকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

aনিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশনির শোভনালীতে মাছের ঘের দখল-পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে আশাশুনি উপজেলার শোভনালি ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা পুলিশ আহসান, আলমগীর ও বৈদ্যনাথ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহতরা হলেন, আব্দুল কাদের, আলীমুদ্দিন মোল্যা, আলমগীর হোসেন, শরিফুজ্জামান ওরফে মিলন গাজী, ওবায়দুল ও রমজান আলী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বাড়তি পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত মিলন গাজী জানান, সরকার হাজীপুরে ২৪০ বিঘা জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করেন। সেখানে ভূমিহীনরা দীর্ঘদিন উঠতে পারেনা। বশির আহমেদ জোরপূর্বক উক্ত জমি জবরদখল করে ভোগদখল করেন। বুধবার ভূমিহীনরা উক্ত জমি দখলে নেন। এরপর গভীর রাতে বশির আহমেদের সন্ত্রাসী বাহিনী ভূমিহীনদের উপর হামলা করেন ও তাদের ঘর বাড়ি জালিয়ে দেন। এতে ৭/৮ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে সালাউদ্দীন হোসেন লাল্টু জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই বশির আহমেদের দখলে থাকা ৭০ বিঘা জমি বুধবার দখলে নেয় ভূমিহীনরা। এ ঘটনায় তার ভাই বুধবার আশাশুনি থানায় একটি মামলা করেন। উক্ত মামলা দায়েরের পর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তার ভাইয়ের ঘের থেকে ভূমিহীনদের বের করে দিয়ে তার ভাইয়ের লোকজনদের ঘেরের বাসায় তুলে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ চলে গেলে ওই ভূমিহীনরা রাতে আবারও সেখানে যেয়ে ঘেরটি তাদের দখলে নিয়ে নেন। এ খবর শুনে বৃহস্পতিবার সকালে তার ভাইয়ের লোকজন ঘেরে গেলে তারা তাদের উপর হামলা চালান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। এ ঘটনায় বশির আহমেদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে ভূমিহীনদের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc03057-copyনিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সভাপতি মোশারফ হোসেন মশুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গফুর, জেলা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার প্রফেসর ডা. আব্দুল বারী, মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
এ সময় নিহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের বড় ছেলে আক্তারুল ইসলাম শিমুলসহ সকল বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2-3-17দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দাদপুর গ্রামের কাজল সরদারের পুত্র বকুল সরদারকে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে সাজানো সংবাদ সম্মেলন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে বিদ্যালয়ের দোষী শিক্ষকগণ। এঘটনায় নিজেদের দোষ ঢাকতে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ফাঁসিয়ে এলাকা ছাড়া করতে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলচলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক হাসান রেজা মুকুল ক্লাস নেয়া বাদ দিয়ে উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্র বকুলকে মারপিট করে সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু। তাদের নির্যাতনে আহত ছাত্র পায়ে ধরেও ক্ষমা পায়নি। বকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তার পরিবার।
পর দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জড়িত শিক্ষক ও ইউপি সদস্য বাবলু। এরপর থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় তার পরিবারকে। বিষয়টি বাবুলের পিতা কাজল সরদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদকে জানালে তিনি তৎক্ষণিকভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন সরোজমিনে তদন্তে গেলে স্কুল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা মেলে। এরপর থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে ঘটনার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত শিক্ষক ও ইউপি সদস্য। তাছাড়া অভিযোগকারীরা বিভিন্ন লোক মারফত বকুলের পরিবারের উপর হুমকি প্রদান করছে। কিন্তু এলাকাবসীর প্রশ্ন ছাত্র যদি অপরাধও করে থাকে তাহলেও শিক্ষক কি কোনভাবেই কোন শিক্ষার্থীকে মারতে পারেন? যেখানে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার নির্যাতন একেবারেই নিষিদ্ধ সেখানে শিক্ষকরা লাঠি নিয়ে স্কুলে ঘোরেন কিভাবে? তিনিতো ছাত্র পেটালেনই সাথে আবার ইউপি সদস্যকে ডেকে এনে ছাত্র পোটানোর দায়িত্ব দিলেন! একজন ইউপি সদস্যও বা কিভাবে স্কুলের শিক্ষার্থীকে শাসানোর দায়িত্ব নিলেন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

qwbনিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা ও অনলাইন নিউজপোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা’র বিশেষ প্রতিনিধি শেখ শরিফুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি প্রদান করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকালে ডাকযোগে এ চিঠি প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। যার নং-১৮। তারিখ-০১.০৩.২০১৭।
তিনি তার সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকায় “এনসিটিবি এর অনুমোদনহীন বই বাজারজাত করতে মরিয়া শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে সেই খবর আরো কিছু স্থানীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উল্লিখিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন অসাধু বই ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বন্ধ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশ প্রকাশিত হওয়ার পর শহরের পপুলার লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী ছফিউল্লাহ ভুইয়া, জনতা লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মিলন আহমেদ, সাতক্ষীরা বুক হাউসের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দীন ভুইয়া, বই সাগরের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রশিদ আমার নামে পর পর দুটি চিঠি বেনামিতে প্রেরণ করেছেন। উক্ত চিঠিতে আমাকে হত্যা, গুমসহ নানাবিধ হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। শেখ শরিফুল ইসলাম তার সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেছেন, “এমতাবস্থায় আমি আশঙ্কা করছি উল্লিখিত বই ব্যবসায়ীরা আমাকে যেকোন সময় যেকোন মুহুর্তে মারাতœক ক্ষতি সাধন করতে পারে।” আর এই ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা পেতে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে শেখ শরিফুল ইসলাম জানান, “এনসিটিবি এর অনুমোদনহীন বই নিয়ে এর আগেও খবর প্রকাশিত হলে পপুলার লাইব্রেরির স্বত্বাধীকারী ছফিউল্লাহ ভুইয়া, জনতা লাইব্রেরিরর স্বত্বাধীকারী মিলন আহমেদ, সাতক্ষীরা বুক হাউসের স্বত্বাধীকারী নাছির উদ্দীন ভুইয়া, বই সাগরের স্বত্বাধীকারী আব্দুর রশিদ সিন্ডিকেটের গাত্রদাহ শুরু হয়। তারা এনিয়ে আমাকে অনেকবার হুমকিও প্রদান করেছেন। তারা আমাকে বলেছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা এগুলো করি। আমাদের বিরুদ্ধে লিখেও তুই কিছু করতে পারবিনা।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest