সর্বশেষ সংবাদ-
বুধহাটায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মর্নিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পসাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ

আব্দুল জলিল: কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যার পর সাতক্ষীরার মহাদেবনগরে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের উত্তেজনা প্রমশনে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে গৌতমের মরদেহ হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসারে শনিবার রাতে মহাদেব নগর শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
এদিকে গৌতম হত্যায় গ্রেফতার সাত আসামির একজন শাহাদাত হোসেন হত্যার বিবরন দিয়ে শনিবার বিকালে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এতে হত্যার সাথে আরও কারা জড়িত আছে সে তা জানিয়েছে। কিভাবে কোথায় গৌতমকে হত্যা করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে শাহাদাত। সদর থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, রোববার আরও দুই আসামি নাজমুল হাসান ও সাজুর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি জানান হত্যার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামানকে গৌতম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হেয়ছে বলে জানান ওসি।
জামশেদ ও মিঠুর বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ: পুত্র শোকে কাতর বাবা গনেশ মন্ডল হত্যার নেপথ্য কথা জানাতে গিয়ে বলেন অনেক কথা। রোববার সকালে তিনি বলেন এবারের ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে তার প্রতিদ্ব›ন্দ্বী ছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন মধু। তাদের দুজনকে হারিয়ে তিনি সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর থেকে শহিদুল ইসলাম তার সাথে কথা বলেন না। এমনকি যেকোনো ক্ষেত্রে গনেশ মন্ডলের অবস্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি। গনেশ মন্ডল বলেন হত্যার ঘটনায় জড়িত ও গ্রেফতারকৃতরা সবাই শহিদুল ইসলামের লোক। এই হত্যায় তার ইন্ধন থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি । গনেশ মন্ডল বলেন তার গ্রামে একটি শিশুকে মারপিট করেছিল মোশাররফ মিস্ত্রির ঘর জামাই জামশেদ। এ ব্যাপারে তিনি একটি সালিশ বিচার করেছিলেন। সে সময় থেকে জামশেদ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন। গনেশ বলেন তার এলাকায় জামশেদ,সাজু ও কবিরুল ইসলাম মিঠুসহ কয়েকজন চাঁদাবাজি ছাড়াও কিছু কিছু অপরাধের সাথে জড়িত। এ সব ব্যাপারে তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি বলেন জামশেদকে পুলিশ চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে ছাড়ানোর জন্য তার ওপর চাপ দেয় আবদুর রহমান ও শহিদুলের ভাই মুক্ত। তিনি এতে রাজি হননি। এর ফলে জামশেদের শ্বশুর মোশাররফ মিস্ত্রি তাকে জানান ‘আপনার জন্য আমার জামাতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এজন্য পুলিশকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জামশেদকে থানা থেকে মুক্ত করে আনা হয়’। গনেশ সরকার জানান থানা থেকে বেরিয়ে এসে জামশেদ তার মোবাইলে দুইবার ফোন দেয়। জানায় এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তিনি জানান ওই রাতেই (১৩ ডিসেম্বর) তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। তিনি জানান অপহরনের পর ওই রাতে ঘাতকরা স্থানীয় আব্দুস সালামের বাড়ি থেকে একটি খাসি চুরি করে তারা। রাতে খাসিটি জামশেদের শ্যালক মহসিনের বাড়িতে নিয়ে জবাই করে খায় তারা। এদিকে হত্যার পর গৌতমের লাশে ভারি ইট ঝুলানোর জন্য যে রশিটি ব্যবহার করা হয় সেটি আরেক আসামি সাজুর বাড়ির ছাগলের রশি। গনেশ মন্ডল আরও জানান জামশেদ থানা থেকে মুক্ত হবার পর থেকে গাঢাকা দিয়ে রয়েছে। এই ফাঁকে তার ছেলেকে মুক্তিপণ আদায়ের নামে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
জামশেদকে গ্রেফতার ও থানা থেকে তার মুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর আবুল কালাম বলেন ‘বিষয়টি সম্পর্কে এসআই আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করতে’। এ ব্যাপারে এসআই আসাদ জানান তিনি কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারবেন না। সদর থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান ‘জামশেদকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

new-imageডেক্স রিপোর্ট: দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে পত্রিকা অফিসের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তের হাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা পান। তার পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ছুটে আসেন এন এস আই সাতক্ষীরার উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক মুরাদ, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যনার্জি, ডেইলি সাতক্ষীরার সহযোগী সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি কামরুল হাসানসহ অনেকে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নেন। চিকিৎসক সকল পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার জন্য বলেন। বর্তমানে তিনি তার বাড়িতে বিশ্রামে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা প্রতিনিধি: নীলডুমুর ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এর শাখরা ও ভাতশালা বিজিবির অভিযানে ভারতীয় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আটক করা হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানায়, বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার শেখ আতিয়ার রহমান-এর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার পূর্ব কুলিয়া এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায়-৯৩, শত টাকার বিভিন্ন প্রকার-এর আতশবাজী আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অপর অভিযানে ভাতশালা বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার নাজিম উদ্দিন-এর নেতৃত্বে উপজেলার শাহজাহানপুর এলাকায় নিয়মিত চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১,০৪,৭ শত টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার আতশবাজী  আটক করতে সক্ষম হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলায় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডে ৫শত পরিবারের ২হাজার ৬শত মানুষকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে মানববন্ধন শেষে উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড ভুক্ত টুঙ্গিপাড়া টেকের খাল ও নলবুনিয়া খাল উম্মুক্ত করার দাবিতে ওই এলাকার শত শত বাসিন্দা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন। বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল সহ ইউপি সদস্যরা। বক্তারা প্রশাসনের কাছে যতশীঘ্রই সম্ভব আইন মতে খাল উম্মুক্ত করে অধিবাসিদের  জলাবদ্ধতার হাত থেকে রেহাই দেওয়ার দাবি জানান। শেষে চেয়ারম্যান ভবোতোষ কুমারের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলমের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মালিকানা ও কোবলাকৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী গ্রামের মৃত আলহাজ্ব অমেদ আলী সরদারের ছেলে আলহাজ্ব এস এম রেজাউল করিম।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগরের ঝাপা মৌজায় ৩৩ একর ৭৭ শতক সম্পত্তি ১৯৫৭ সাল থেকে তিনিসহ ৩৩ জন ভোগ দখল করে আসছেন। ১৯৬৫ সালে ভুলবসত ওই সম্পত্তি অর্পিত গেজেট প্রকাশ করে সরকার। জানতে পেরে ২০০০ সালে সাতক্ষীরা সাব জজ ২য় আদালতে ও শ্যামনগর সহকারি জজ আদালতে পৃথক মামলা রুজু করা হয়। ২০০১ সালে আদালত সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সরকার ওই মামলায় নিম্ন আদালতে পরাজিত হয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌছালে ২০০১ সাল থেকে ওই জমির ডিসির বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে অর্পিত গেজেট প্রকাশিত হলে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে ওই সম্পত্তিতে হতে ৬ একর ৭ শতক সম্পত্তি ৩০২/৯২ নং ভিপি কেস মূলে ৯২সালের ২৮ ডিসেম্বর  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থেকে অবমুক্ত করা হয়। এই অবমুক্তি অদ্যবধী বহাল আছে। সে অনুযায়ী মাঠ জরিপ ফাইনাল প্রকাশিত হওয়ার পরও সরকার পরবর্তীতে সংশোধনী তালিকায় আনায় হাইকোর্টে ফের রিট করা হয়। রিটের প্রেক্ষিতে স্থাগিতাদেশ বজায় থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ৩৬৮ ভিপি কেসে সমুদয় সম্পত্তি ডিসিআর দেয় সরকার। অপরদিকে ৩০ মার্চ বিচারপতি রিপতি কুমার বিশ্বাস ৩১২৩ নং মামলায় ওই সম্পত্তিতে ডিসিআর স্থাগিতাদেশ দেন। এছাড়া ৩৩৫৬ নং কেসটি ট্রাইবুনালে নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টের ৮৬২৩/২০১৫ নং রিটে স্থাগিতাদেশ আদেশ বহাল হয়। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে ২০১৬ সালের ১ জুন এডিসি অরুন কুমার, ও শ্যামনগর থানা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মঞ্জুরুল আলমের আদেশে এসিল্যান্ড আহছান উল¬্যা শারিফী ওই সম্পত্তি পুনরায় ডিসিআর দেন। এরপর হাইকোর্টে সরকারের বিরুদ্ধে একটি ভাইলেশন কেস করা হলে গত ১৩ জুলাই হাইকোর্ট সমুদয় ডিসিআর স্থাগিত করে দেয় এবং এডিসি অরুন কুমার মন্ডল, এ্যসিল্যান্ড আহছান উল্যা শরিফী ও অফিস সহকারী নুরুল ইসলামকে ২৮ জুলাই সাড়ে ১০টায় সময় স্ব শরীরে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্ধারিত দিনে উল্লেখিতরা হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া তারা ১ জুনের সমুদয় ডিসিআর ৯ জুন শ্যামনগর এসিল্যান্ড অফিস থেকে স্থগিত করেন। এরপরও উল্লেখিতরা পুনরায় উক্ত সম্পত্তি ২০১৫-১৬ ডিসিআর দিয়ে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি স্বাধন করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পর পাতাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্যা, পাখিমারা গ্রামের শাহাদত হোসেন, ঝাপা গ্রামের প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল ও চিত্ত মন্ডলসহ ১২/১৪ জন তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা আমার ও অন্যান্যদের ১০৮০ ও ১২৫৯ দাগের সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছে। ওই সম্পত্তি দখলবাজদের কবল থেকে মুক্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চাম্পাফুল প্রতিনিধি : ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ আব্দুর রউফের পিতা অমেদ আলী মোল্যা নিজস্ব বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নাল্লিাহি—- রাজিউন। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮৫ বছর। তিনি ২ ছেলে ও দুই মেয়েসহ বহু আতœীয়-স্বজন রেখে গেছেন। পারিবারিক সুত্রে জানাযায় বার্ধক্য জনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ১৮ ডিসেম্বর বাদ জোহর জানাজা নামাযের পর পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাযায় দলমত নির্বিশেষে সকলেই অংশ গ্রহণ করেন। এলাকাবাসির নিকট তিনি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর জুম’আ বাদ মসজিদে মরহুমের আতœার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার অনুষ্ঠান হবে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1481972617-faruk1মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনুদানের চলচ্চিত্র ‘লাল-সবুজের সুর’। গতকাল শুক্রবার বিজয় দিবসে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ওমর সানী ও এস আই ফারুক।

পরিচালক গুলজার বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের ভেতর দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য ছবিটি নির্মাণ করেছি। এখানে তরুণদের গল্প তুলে ধরেছি। হানাদার বাহিনী আমাদের দেশের মানুষের প্রতি কত অন্যায় করেছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

হানাদার বাহিনীর এক কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এস আই ফারুক, তিনি বলেন, ‘হানাদার বাহিনীর প্রধান নয়, আমি আসলে জানোয়ারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবির পোস্টার তৈরি হওয়ার পর আমার ছবির ওপর আমি নিজেই থুতু দিয়েছি। এবং চেষ্টা করেছি চরিত্রটা এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে, যেন নতুন প্রজন্ম হানাদার বাহিনীর হিংস্রতা বুঝতে পারে।’

ফারুক যোগ করেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি, কিন্তু তাঁর নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ‘ছবি শুরু করার আগে আমি নানার কাছে অনেক ঘটনা শুনেছি। বীরাঙ্গনাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তথ্যচিত্র দেখেছি। সেখান থেকে তাদের চরিত্রটা পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমি চাই সবাই আমার অভিনয় দেখে আমার মুখে থুতু দিক, তবেই আমার অভিনয়ের সার্থকতা।’ যোগ করেন ফারুক।

‘লাল-সবুজের সুর’ ছবিটি শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনী। এতে অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি, ওমর সানী, আল-মামুন, শহীদুল আলম সাচ্চু, রাফি, এস আই ফারুক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসউদ সাঈদী

আজীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসউদ সাঈদী

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সন্তানরা নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে নতুন রূপে সমাজে ঢুকতে রাস্তা করে করে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্টদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। সেই অভিযোগ এর সত্যতা মিললো আজীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসউদ সাঈদী পিরোজপুরের জিয়ানগরের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। এমনকি বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ প্যারেড পরিদর্শন করে ছবি তিনি নিজের ফেসবুকে আপলোড করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলছেন, আমরা অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি, জামায়াতের মধ্যে চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাস্তির পর তারা পরিশুদ্ধ দল হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা যেন নতুন রূপে সমাজে ঢুকে পড়তে না পারে, তার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। তৃণমূলেও সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির নজরিদারি বাড়াতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তাদের সন্তানদের সামাজিকভাবেই রুখতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাসউদ সাঈদী। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলের সমর্থন পাওয়া মাসুদ ২১ হাজার ৭৭ ভোট পেয়েছেন। মাসউদ তখনই নির্বাচনে জয়লাভ করেন, যখন গণহত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তরের বাধ্য করার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার প্রসিকিউটর শাহেদুর রহমান বলেন, ‘একদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাজ হচ্ছে, আরেকদিকে জামায়াত নিশ্চুপ বসে আছে, এটা ভাবার কিছু নেই। তারা দলীয় মানবতাবিরোধী অপরাধী নেতাদের ফাঁসির অপেক্ষায় আছে বলা যায়। কারণ এরপর সমাজে তারা নিজেদের পরিশুদ্ধ দল হিসেবে প্রচার করে ওই মওদুদীবাদকে ছড়ানোর কাজটি করতে পারবে বলে মনে করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা একইরকম মানসিকতা লালন করেই সেই আদর্শকে সঙ্গে নিয়েই বড় হয়েছেন। ফলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজয় উৎসবের মতো জায়গায় উপস্থিত থাকার স্পর্ধা সামাজিকভাবেই রুখতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest