সর্বশেষ সংবাদ-

51b28e679be87f5b32978510ad5a179f-5824827cc4a86স্পোর্টস ডেস্ক: একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অথচ দুই দল মিলিয়েও ‘টোয়েন্টি’ ওভার খেলা হলো না! মাত্র ১৮.৪ ওভারেই খেলা শেষ! টিকিট কেটে মাঠে ঢোকা দর্শকেরা তাতে মনঃক্ষুণœ হতে পারেন, তবে তা নিয়ে ভাবতে রংপুর রাইডার্সের বয়েই গেছে। খুলনা টাইটানসকে গতকাল বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করে ‘মিনি টি-টোয়েন্টি’ ম্যাচটা রংপুর জিতে গেছে ৯ উইকেটে। একদিন আগেই যে দল দুর্দান্ত এক জয় পেল, আজ তাদের কী হতশ্রী চেহারা! ১ রানেই প্রথম উইকেট নেই। টুপটাপ করে নিমেষেই ঝরে গেল বাকি ৯টিও। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইটানস অলআউট ৪৪ রানে। বিপিএলে এটিই দলীয় সর্বনিম্ন রান। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে খুলনার স্কোরটা থাকবে আরও তিনটি দলের সঙ্গে তিনে। পাঁচজন ব্যাটসম্যানের নামের পাশে ‘শূন্য’Ñবোঝাই যাচ্ছে কী ভগ্নদশা খুলনার ব্যাটিংয়ে। শুভাগত হোম শুধু ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। বাকি পাঁচজনের রানÑ৬, ৫, ২, ৭ ও ৮!
বুধবারই রংপুর অধিনায়ক বলছিলেন, এবার বিপিএলে সেরা স্পিনাররা তাঁদের দলেই। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর স্পিনাররা উজ্জ্বল ছিলেন। খুলনার বিপক্ষে গতকাল তাঁরা ছিলেন অতি উজ্জ্বল। খুলনার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সেটির সমাপ্তিরেখা টেনেছেন আরাফাত সানি। আফ্রিদি ১২ রানে ৪ উইকেট পেলেও সানিকে তো রানই খরচ করতে হয়নি! অ্যাকশন শুদ্ধ করে আসা বাঁহাতি স্পিনার ২.৪ ওভার করে কোনো রান না দিয়েই পেয়েছেন ৩ উইকেট! শূন্য রানে ৩ উইকেটÑএমন ঘটনা এর আগে টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একবারই ঘটেছে। লক্ষ্যটাই এত ছোট। সেটি তাড়া করতে রংপুরের লাগল ৮ ওভার। উইকেট হারিয়েছে তারা শুধু মোহাম্মদ শেহজাদেরটি (১৩)। বাকি দুই ব্যাটসম্যান সৌম্য (১৩) ও মিঠুন (১৫) মিলে ম্যাচটা শেষ করে দিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a7%a8বিনোদন ডেস্ক: লাক্সচ্যানেল আই সুপারস্টার ও বর্তমান প্রজন্মের চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিন ছিল ১০ নভেম্বর।
রাত থেকেই শুভেচ্ছা-উপহারে ভেসে যাওয়া মিম জানালেন, আমার জন্মদিন ১০ নভেম্বর হলেও এবার শুরু হয়েছে নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে। তার কারণ, ফেসবুকে আমার ফ্যানরা একটি ফ্যানক্লাব খুলেছে এবং সেখানে আমাকে নিয়ে কবিতা, গল্প গান লিখেছে। সেখানে গিয়ে আমি দেখতে পাই আমাকে এতো সুন্দরভাবে বার্থ ডে উইশ করেছে। সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।
বরাবরই পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করতে পছন্দ করেন মিম। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি রাত ১২টা ১মিনিটে বাবা-মা ও বোনের সঙ্গে কেক কাটেন তিনি। তবে ছোটবেলায় কেক দেখলে নাকি কান্না করতেন এ অভিনেত্রী।
মিম বলেন, ক্লাস ওয়ান থেকে টু পর্যন্ত আমি কখনো কেক কাটেনি। কেক দেখলেই কান্না করতাম। কারণ বেশি মানুষ হৈ-হুল্লোড় আমার একদম পছন্দ ছিলো না, খুব ভয় পেতাম। আর বড় হয়ে এগুলোই সবথেকে বেশি ভালো লাগে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড যেভাবে শুরু করল তাতে বাংলাদেশের স্মৃতি অতীত। এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন ইংলিশরা। শুরু করলেন জো রুট শেষ করলেন বেন স্টোকস। ভারতীয় বোলিং সেনসেশন কোনও কাজেই লাগল না। শেষ পর্যন্ত জাদেজা, অশ্বিন, সামি, উমেশদের নামের পাশে উইকেট লেখা হলেও ততক্ষণে ইংল্যান্ডের রান ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০০র বাউন্ডারি। যখন শেষ করল তখন ইংল্যান্ড ৫৩৭। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারতের রান কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৩। ক্রিজে রয়েছেন দুই ওপেনার মুরলী বিজয় (২৫) ও গৌতম গম্ভীর (২৮)।
প্রথম দিন শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেটা যে সাময়িক ছিল তা বোঝা গেল বেলা বাড়তেই। প্রথম দিনের শেষে ১২৪ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন জো রুট। যদিও সেই আউট বিতর্কিত। প্রশ্ন উঠছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েও। এর মধ্যেই ৯৯ রান করে প্রথম দিনের শেষে অপরাজিত থেকে যান মঈন আলি। পরের ভোরের শুরুটাই যে হবে তাঁর সেঞ্চুরিতে তা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। কিন্তু তাঁর সঙ্গে ১৯ রান করে থেকে যাও বেন স্টোকসও যে তৈরি হচ্ছিলেন ভিতরে ভিতরে তা কে জানত।
দ্বিতীয় দিনমহম্মদ সামির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১১৭ রান করে যান মঈন আলি। তিনি যখন প্যাভেলিয়নে ফেরেন তখন ইংল্যান্ড ৩৪৩/৫। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ইনিংসের হাল ধরেন বেন স্টোকস। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২৮। উমেশ যাদবের বলে ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বাকি কাজটি করে যান বেয়ারস্ট ও জাফর আনসারি।
প্রথম ইনিংসে ভারতের সব বোলাররাই উইকেট পেলেন। দুটো করে উিকেট নেন মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিন উিকেট রবীন্দ্র জাদেজার। শেষ উইকেটটি নিয়ে ইংল্যান্ডের দৌঁড় থামান অমিত মিশ্রা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%a9স্পোর্টস ডেস্ক: গত ৮ নভেম্বর সাকিব আল হাসান ও শিশির দম্পতির একমাত্র রাজকন্যা আলাইনা হাসান অব্রির একবছর পূর্ণ হয়েছে। ঘরোয়াভাবে সেদিন বাবা মায়ের সঙ্গে জন্মদিন পালন করলেও তার একদিন পর বিশাল আয়োজনে পালন করা হয় আলাইনার বার্থ ডে পার্টি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেডিসনের ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে জমকালো এক পার্টির আয়োজন করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মেয়ের প্রথম জন্মদিন ঘিরে নানা অতিথির ভিড়ে ছোট পর্দার তারাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। বড় পর্দার চিত্রনায়ক শাকিব খানও এসেছিলেন আলাইনার জন্মদিনে। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন সাকিবের অনেক ক্রিকেট সহযোদ্ধারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতে ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট নিষিদ্ধ করে দেয়ায় উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বাংলাদেশের বহু মানুষকে।
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ লাখের মতো মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা এবং পর্যটনের জন্য ভারতে যায়। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রায়ই ভারতে আসা-যাওয়া করে। তাদের অনেকের কাছেই নগদ ভারতীয় রুপী জমা থাকে। শুধু বাংলাদেশীরাই নয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকরাও বেশ ঝামেলায় পড়েছেন।
মঙ্গলবার ভারতে ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট নিষিদ্ধ করার পর বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ঢাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে। কিন্তু নিজেদের কাছে থাকা সে রুপী তারা বিনিময় করতে পারেননি। কারণ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর ভারতীর নোট গ্রহণ করছে না।
ঢাকার একটি মানি এক্সচেঞ্জের কর্মী ফারুক হোসেন জানিয়েছেন তাদের কাছে প্রায় ৬৫ হাজার ভারতীয় রুপী আছে যার সবগুলোই ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট। ফারুক বলছিলেন ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
যারা বৈধভাবে এসব রুপী এনেছেন তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যাদের হাতে বৈধ রুপীর কোন কাগজ-পত্র নেই তারা এখন দিশেহারা। বাংলাদেশে যাদের হাতে নগদ ভারতীয় রুপী আছে তাদের অনেকেরই বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। ফলে তারা ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট কোথাও বিনিময় করছেন না।
বাংলাদেশ থেকে যারা প্রায়শই ভারতে যাতায়াত করেন তাদের অনেকেই কোন ঘোষণা ছাড়াই ভারতীয় মুদ্রা আনা-নেয়া করেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের সাথে যারা অবৈধভাবে ব্যবসা করেন।
সাতক্ষীরার জেলার একজন ব্যবসায়ী প্রায়ই চোরাই পথে ভারত থেকে পণ্য আনেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সে ব্যবসায়ী জানালেন, তার কাছে প্রায় দেড় লাখ ভারতীয় রুপী আছে। এগুলোর মধ্যে এক লাখেরও বেশি ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট।
এ রুপী নিয়ে তিনি এখন কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। চোরাই মার্কেটে কিছুটা লোকসান দিয়ে তিনি সেগুলো বিনিময় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।
যশোরের একজন ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানালেনÑ যারা বৈধভাবে ব্যবসা করছেন তারাও বেশ ঝামেলায় পড়েছেন। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি হয় যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
হোসেন বলেন, “ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আমাদের মাল দিতে পারছেন না। কারণ তারা জানিয়েছেন যে তারা মাল কিনতে পারছেন না নোট নিষিদ্ধ হয়ে যাবার কারণে।”
শুধু বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা নয়, যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে বসবাস করছে তারাও এখন বেশ চিন্তিত।
ঢাকায় একটি মানি এক্সচেঞ্জের সামনে দেখা হলো ভারতীয় দু’জন তরুণী মারিয়া এবং হাদিকার সাথে। তারা দু’জনেই বাংলাদেশের একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন গত কয়েক বছর ধরে।
মারিয়া জানালেন , “আমার কাছে অনেক ক্যাশ আছে। আমি একজন স্টুডেন্ট। সেজন্য আমাকে ক্যাশ রাখতেই হবে। প্রায় ৫০ হাজার রুপীর মতো আছে। কিন্তু এগুলো এক্সচেঞ্জ করতে পারছিনা।”
আরেক ভারতীয় তরুণী হাদিকা বলছিলেন সমস্যা এতটাই প্রকট যে সেটা বলে বোঝানো যাবেনা। তার কাছে প্রায় ত্রিশ হাজার রূপীর মতো আছে। হাদিকা জানালেন তিনি চারটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন কিন্তু কেউ এ রুপী বিনিময় করতে চাচ্ছে না।
হাদিকা বলেন, “কেউ এটা নিতে চাচ্ছে না। আমার তো টাকার দরকার। সেজন্য এ নগদ রুপী রেখেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে আমার সবগুলো রুপী নষ্ট হবে। এ সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরী।”
বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় কিংবা যেসব বাংলাদেশীর কাছে নগদ রুপীর বৈধ কাগজ-পত্র আছে তারা এখানকার ব্যাংকে সেগুলো জমা দিয়ে মুদ্রা বিনিময় করতে পারবে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং এক্ষেত্রে তাদের খুব বেশি কিছু করণীয় আছে বলে তারা মনে করছেন না।
তবে ৫০০ এবং ১০০০ রুপীর নোট নিষিদ্ধ হবার পর বাংলাদেশে ভারতীয় ১০০ রুপীর কদর বেশ বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে সহজে ১০০ রুপীর নোট পাওয়া যাচ্ছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পৌর আ.লীগের একাংশের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মুন্সী ইমাদ উদ্দিন। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, সহ সভাপতি মোমীন উল্লাহ মোহন, আলমগীর হাসান আলম, যুগ্ম সম্পাদক মীর মাহমুদ আলী আবীর, জয়নুল আবদীন জসী, শাহাঙ্গীর হোসেন শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কাজী ইকবাল হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মারুফ হাসান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সেলিম, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল হক চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক মোশফিকুর রহমান মিল্টন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিলন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাফীনুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী বাবু, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মির্জা প্রমুখ। এ সময় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন জেলা আওয়ামীলীগের বিগত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে আশাশুনি, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ ও পৌরসভার কমিটির সমন্বয়হীনতার কারণে স্ব স্ব ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যকে নিয়ে ৫ সদস্যেন কমিটি করে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু জেলা আ.লীগের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে পৌর আ.লীগের তথাকতিত সভায় গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে ৫নং ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করেছে। সভায় বক্তারা আরো বলেন, ‘পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ গত ৯ ডিসেম্বর পৌর আওয়ামীলীগের একতরফা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় পৌর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে। যা পৌর আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।’ প্রতিবাদ সভায় পৌর আওয়ামীলীগের সকল ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ন্যাশনাল ডেস্ক: পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার (৫৪ ধারা) ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ধারা (১৬৭ ধারা) সংশোধনে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানায়, রায়ের কপিতে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর মঙ্গলবার এ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেয়াও হবে।
এর আগে গত ২৪ মে ৫৪ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেন, ডিসমিস। তবে কিছু মডিফিকেশন থাকবে। কিছু গাইডলাইন দেব।
ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৭ মে হাইকোর্টের দেয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষ যে আপিল করেছিল, তার শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করেন তৎকালীন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার (এসি) আকরাম হোসেন। ওই বছরের ২৪ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ  কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। এ ঘটনায় রুবেলের বাবা রমনা থানায় এসি আকরামসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০২ সালে বিচারিক আদালত এসি আকরামসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন।
এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করেন। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) হাইকোর্টে একটি রিট করে। ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর আদালত সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। এরপর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা ও সুপারিশ দিয়ে রায় দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ জন্য বেঁধে দেয়া হয় ছয় মাসের সময়সীমা। আর ধারা সংশোধনের আগে এ ক্ষেত্রে কয়েক দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে সরকারকে বলা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে চারদলীয় জোট সরকার। ২০০৩ সালের ২ আগস্ট আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। তবে হাইকোর্টের ওই নির্দেশনাগুলো সে সময় স্থগিত করা হয়নি। লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর সরকার আপিল করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়ে ১৭ মে শেষ হয়।
হাইকোর্ট যেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন:
ক. আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারবে না।
খ. কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে।
গ. গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে কারণ জানাতে হবে।
ঘ. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে হবে।
ঙ. গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে।
চ. গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে কারাগারের ভেতরে কাঁচের তৈরি বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন।
ছ. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে।
জ. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দ-বিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14996502_10209592104027183_984155737_nনিজস্ব প্রতিবেদক: একজন সংবাদকর্মীকে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোন সংবাদে যদি কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয় তবে অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য থাকতে হবে। বিশেষ করে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সময় নিয়ে সঠিক তথ্য উৎঘাটন করতে হবে। আক্রোশবশত কারও বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না। সংবাদ হতে হবে নির্যাতিত, নিরীহ মানুষের পক্ষেÑ দৈনিক আজকের সাতক্ষীরাসংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা করতে হলে সাংবাদিকতার নীতি মেনে কাজ করতে হবে। ইচ্ছে হলেই কারো বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না। তথ্য যথাযথভাবে যাচাই বাছাই করে তবেই তা প্রকাশ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা কার্যালয়ে দৈনিকটির এক প্রতিনিধি সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিনিধি সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক মহসীন হোসেন বাবলু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা’র সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার মফঃস্বল বার্তা সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, কালিগঞ্জ ব্যুরো প্রধান এস. এম আহমাদ উল্যাহ বাচ্চু, বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মোমিনুর রহমান, মোঃ মাহফুজুর রহজমান তালেব, মীর দেবহাটা ব্যুরো প্রধান মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা প্রতিনিধি কে এম রেজাউল করিম, ঝাউডাঙ্গা ব্যুরো প্রধান জি. এম. আবুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক মাহাফিজুল ইসলাম আককাজসহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথমভাগে ‘সংবাদ সংগ্রহের কৌশল ও সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করার উপায়’ বিষয়টির উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলার প্রথিতযশা সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি।
দ্বিতীয়ভাগে বাংলা বানানের নিয়ম ও রীতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান মাসুম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest