full_30890997_1480490705স্বাস্থ্য ও জীবন: শাক বা পাতা, যেকোনো কারণেই হোক থানকুনি একটি পরিচিত নাম। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুণগুণি নামে পরিচিত। স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে। থানকুনি পাতার অসংখ্য উপকারী দিক-
পেটের সমস্যা: পেটের দোষ বা মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কার ভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।
আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়। বেগুন অথবা পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার, আমাশয়ে প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে: যদি মুখ মলিন বা লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন। নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে। অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
খুসখুসে কাশিতে: ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়াও ঠা-ায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়। ঠা-া লাগলে ২০-২৫ ফোঁটা থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
লিভারের সমস্যা: প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়।
ক্ষত সারাতে: মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুলে ক্ষত ভালো হয়ে যাবে। কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন। থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠা-া করে তা সাধারণ ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে। থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে। থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।
শরীরের ব্যাথা উপশমে: কোমরের ব্যাথা নিরাময়ে খান থানকুনি পাতার রস। যাদের হাতের কব্জি, পায়ের গোড়ালীতে ব্যাতা আছে তারা থানকুনি পাতার রস দিয়ে মালিশ করলে ব্যাতা উপশম হবে।
স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
চর্মরোগের সমস্যা: মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়। আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে: দৃষ্টির অস্পষ্টতা রোধে শুকনো গরুর দুধের সাথে থানকুনির গুড়া ১/২ চামচ, ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়। থানকুনি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে। এই পাতা শুকিয়ে এই গুড়া দিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।অবশ্যই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1480507087বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: টম, মার্ক আর জ্যাক। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পাড়ি জমাতে যাচ্ছে রাশিয়ায়। উদ্দেশ্যটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি রুশ পুলিশের হয়ে যোগ দেবে প্রতœতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে। অন্য দুটি কাজ করবে ইয়াকুটিয়া পুলিশের হয়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিজ্ঞানীদের হাতে গড়া এই তিন চরিত্র কিন্তু মানুষ নয়। বিজ্ঞানাগারে ক্লোন করে তৈরি করা এই পুলিশ সদস্য আসলে তিনটি কুকুর।
নতুন এই পুলিশ সদস্য শেফার্ড জাতের কুকুরের বংশধর। ক্লোন করে এই প্রজাতির সঙ্গে মেশানো হয়েছে কোরিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় কুকুর প্রজাতির জিন। গন্ধ শুঁকে কোনো জিনিস অনুসন্ধানে বেশ দক্ষ কুকুরের এই প্রজাতিটি।
রাশিয়ার পুলিশের জন্য এই কুকুরগুলোর জন্ম দেওয়া হয়েছে সাউথ কোরিয়ার সোয়াম বায়োটেক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে। আর কাজটির পুরো দায়িত্বে ছিলেন ডা. হুয়ান উ সুক ও তাঁর দল। তাঁদের দাবি, যেকোনো কুকুরের থেকে বিভিন্ন দিক থেকেই শক্তিশালী এই কুকুরগুলো।
ভ্যালেরি চুগুনভ নামে রাশিয়ান মিলিটারি রিসার্চ সোসাইটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টম, মার্ক আর জ্যাকের বয়স মাত্র এক বছর। রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন পশু বিশেষজ্ঞরা। তারা বেশ খাওয়াদাওয়া করছে, আর খেলাধুলায় মেতে আছে।
চুগুনভ আরো জানান, কুকুরগুলো সাইবেরিয়ার ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি। বাইরের ঠান্ডায় বের করলে, তারা ফিরে আসছে। তবে কিছুদিন পর ঠান্ডায় কুকুরগুলো অভ্যস্ত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
কুকুরগুলোকে এখন শুধু শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তবে শিগগিরই তারা রুশ ভাষা রপ্ত করে নেবে বলে আশা করছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexস্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে সদ্যই ঢাকায় পা রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারমুখী ব্যাটসম্যান এভিন লুইস। বিমানভ্রমণের ক্লান্তি পুরোপুরি কাটতে না কাটতেই ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সি গায়ে নেমে পড়েছিলেন বিপিএলের ম্যাচ খেলতে। কিন্তু কোনো কিছুই টের পেতে দিলেন না ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার। ৩৩ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলে জয় এনে দিলেন দলকে। লুইসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সকে ৪২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লুইস ও মেহেদী মারুফের দারুণ ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান জমা করেছিল ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৬ রানেই থেমে গেছে রংপুরের ইনিংস। দাপুটে এই জয় দিয়ে বিপিএলের পরবর্তী রাউন্ড প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছে সাকিবের দল। ১০ ম্যাচ শেষে ঢাকার সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও তারা রেখেছে নিজেদের দখলে। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইটানস। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর রাইডার্স আছে পঞ্চম স্থানে।
১৮৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল রংপুর। প্রথম ৯ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪৬ রান সংগ্রহ করতেই হারিয়েছিল ছয়টি উইকেট। তাদের হারটাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তখনই। সপ্তম উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়ে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান। কিন্তু তাঁদের এই লড়াকু জুটিটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ১৯তম ওভারে সোহাগ গাজী সাজঘরে ফিরেছিলেন ৩৬ রান করে। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে জিয়াউর করেছেন ৬০ রান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1480478663ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: দেশে ফিরবেন কিন্তু পাচ্ছেন না অনুমতি। নিরুপায় হয়ে শরণাপন্ন হলেন আদালতের।  শুরু হলো আদালতে যাওয়া-আসা। এভাবে প্রায় দুই বছরে আদালতে যাতায়াতে পাড়ি দিলেন এক হাজার কিলোমিটার। অবাক করা বিষয় হলো, এই পুরো পথটাই গেছেন হেঁটে।
প্রায় অসাধ্য সাধনকারী ওই ব্যক্তির নাম জগন্নাথান সেলভারাজ (৪৮)। বাড়ি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপ্পল্লী শহরে। জীবিকার তাড়নায় গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে।
হঠাৎ তামিলনাড়ুতে জগন্নাথানের মা মারা যান। তখন মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেশে ফেরার অনুমতি চান তিনি। কিন্তু মালিকপক্ষ তাঁকে অনুমতি দেয়নি। তারপরই এ বিষয়ে বিচার চেয়ে দুবাই আদালতে হাজির হন জগন্নাথান।
জগন্নাথানের ভাষ্য, আদালতের কাজে দুই বছরে কমপক্ষে ২০ বার সোনাপুর থেকে দুবাইয়ের কারামা জেলায় যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁকে। এই দুটি স্থানের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। আর প্রতিবারই নাকি তিনি এই পথ হেঁটেই গিয়েছিলেন। জগন্নাথান জানান, দুবাই শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত শ্রমিক আদালতে যাওয়ার জন্য বাস ভাড়া ছিল না তাঁর কাছে। তাই হেঁটেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর প্রথম সেমিফাইনালের জাঁকজমকপূর্ণ খেলায় আশাশুনি উপজেলা দল নিয়ম বহিভূতভাবে ৩টি বহিরাগত খেলোয়ার দিয়ে খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য শ্যামনগর উপজেলা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করে টুর্নামেন্ট কমিটি। বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযেগিতায় ৬ষ্ঠ জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টর প্রথম সেমিফাইনাল খেলা উপভোগ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, ডিএস’র আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী, নির্বাহী সদস্য ইমাদুল হক খান, ফারহা দিবা খান সাথিসহ অসংখ্য ক্রীড়ামোদি দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখো মুখি হবে সদর উপজেলা দল বনাম দেবহাটা উপজেলা দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পারিক লিখন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসন ও দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) সহায়তায় ও বেকিং দ্য সাইলেন্স ও সেভ দ্য চিলড্রেন সহযোগি সংস্থার সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ ঘোষ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ আসিফ ইকবাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, অনিমা মন্ডল প্রমুখ। ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, প্রজেক্ট অফিসার মনিরুজ্জামান টিটু প্রমুখ। কর্মশালায় সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে ভালো শিখন হিসেবে প্রস্তাব আসে : সাতক্ষীরা পৌরসভার পানির বিল মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করা, শিশুদের জন্য বাজেটে বরাদ্ধ রাখা, কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল কার্য সম্পন্ন করা, নারী ও শিশু কর্ণার স্থাপন, তিন মাস পর পর শিশুদের সাথে ডায়ালগ মিটিং করা। কর্মশালায় সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে ভালো শিখন হিসেবে প্রস্তাব আসে : শিশুদের জন্য পৃথক বাজেট রাখা, প্রতি ওয়ার্ডে শিশু ফোরাম গঠন ও প্রতি মাসে শিশুদের নিয়ে মিটিং করা, অভিযোগ গ্রহণ ও সাড়া প্রদান প্রক্রিয়া, শিশুদের সাথে প্রতি তিন মাস অন্তর ডায়ালগ মিটিং, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন লেভে রেডকার্ড টিম গঠন করা। দেবহাটা উপজেলা থেকে ভালো শিখন হিসেবে প্রস্তাব আসে : শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক ও লেক নির্মান, স্কুলের কিশোরিদের মাঝে স্যানিটারী ন্যাপকিন বিতরণ, শিশু পাঁচার রোধে কমিটি গঠন ও বাস্তবায়নম সৌর বিদ্যুদের মাধ্যমে আলোকিত গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা। কর্মশালায় সদর উপজেলা ও দেবহাটা উপজেলার চেয়ারম্যান, সচিব, মহিলা মেম্বার, পৌর কাউন্সিলর, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সমাজসেবা অফিসার, শিক্ষা অফিসার, শিশু প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনআইএলজি’র এইচএলসি ন্যাশনাল কো অর্ডিনেটর মোঃ সেলিম হোসন ভূইয়া ও লিয়াজো অফিসার তাহসিন ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুারো: শ্যামনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের নববধু দিপালী হালদার (১৯)। ২৯শে নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরের পর শ্বশুর বাড়িতে গলায় বেডসীড দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। মৃত দিপালী হালদার এর বাবার বাড়ি সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়নে। পিতা জয়দেব বাছাড় মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে। এসে দেখেন তার আদরের মেয়ে শুয়ে আছে চির নিদ্রায়। দিপালীর পিতা জয়দেব বাছাড় বলেন- আমার মেয়েকে ৭ মাস আগে বিয়ে দিয়েছি। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি শ্বশুর বাড়ি থেকে মেরে ফেলেছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন জামাইয়ের বড় ভাই গোবিন্দ হালদারের স্ত্রী সাথে চিত্তরঞ্জন এর অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এটা আমার মেয়ে জেনে ফেলে। এবং এটা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝামেলা হতো। তাই আমার মেয়েকে এরা মেরে ফেলেছে। চিত্তরঞ্জন এর বৌদির সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে এর আগে দুই, দুই স্ত্রী চিত্তরঞ্জনকে ছেড়ে চলে গেছে। আরো জানা যায় যে, দিপালীরও আগে একটা বিয়ে ছিলো। জয়দেব বাছাড়কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে আপনি জেনে শুনে মেয়ে বিয়ে দিলেন কেন? তখন তিনি বলেন জানলে কি আর বিয়ে দিতাম, পরে জেনেছি। দিপালীকে মেরে গলায় বেডছিড দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে এই মর্মে শ্যামনগর থানায় নারী শিশু নির্যাতন সহ হত্যা মামলা হয়েছে মামলা নং ২৬। এ ঘটনার পর থেকে চিত্তরঞ্জন ও তার ভাই, ভাই বৌ পলাতক আছে। শ্যামনগর থানার এস,আই মইনুল আহসান কবির সন্ধ্যার পরে লাশ থানায় নিয়ে আসেন। এস,আই মইনুল আহসান কবিরের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন লাশের গায়ে ও কপালে দাগ পাওয়া গেছে। কিন্তু ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছু জানা যাচ্ছেনা। লাশ  ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে মনে হয় মৃত্যুটা রহস্য জনক। এ মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ৩৩০ জন অভিভাবকের মধ্যে ৩০৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে একই প্যানেলের আব্দুল সালাম ১৮০ ভোট, নুরুল হক গাজী ১৭৮ ভোট, ভবেষ ঘোষ ১৭৪ ভোট, মুজিবুল ১৭০ ভোট এবং কোহিনুর পারভীন ১৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপর প্যানেলের প্রার্থী জাকির হোসেন ১০৯ ভোট, নুর ইসলাম কারিকর ১২০ ভোট, মনিরুজ্জামান ১২২ ভোট, শংকর কুমার সরকার ১২১ ও জেবুন্নাহার পেয়েছেন ১২১ ভোট। বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মাহবুবর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest