সর্বশেষ সংবাদ-

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী শিক্ষার বিকল্প নেই। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে, নারীর ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে হবে বলে বক্তব্য দেন বর্তমান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম. এ মান্নান। তিনি আরও বলেন আওয়ামী সরকারের কাছে কিছু চাওয়া লাগে না, এমনিতেই দিয়ে দেয়। দেশে ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি করণ করেছে আওয়ামী সরকার। বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে তীক্ষ্ম নজর রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি উন্নত জাতি হিসাবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে দাঁড় করাতে হলে শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প নাই। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পাটকেলঘাটার কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ ও কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন তিনি। কুমিরা মহিলা কলেজটি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় তিনি কলেজের গভার্নিং বডি, শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের ভুয়সী প্রশংসা করেন। প্রভাষক আলমগীর হোসেনের সঞ্চলনায় ও গর্ভানিং বডির সভাপতি সাবেক এম.পি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তালা কলারোয়ার আসনের সংসাদ এ্যাড. লুৎফুল্লাহ মোস্তফা বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মহিলা কলেজকে সরকারি করণের পদক্ষেপ নিয়েছেন। পাটকেলঘাটা থানা যখন উপজেলায় পরিণত হবে তখন মহিলা কলেজকে জাতীয় করণ করা হবে। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ রিফাত আমিন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দীন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনছুর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কামাল শুভ্র, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বাবু বিশ্বজিৎ সাধু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা চেয়াম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সনৎ কুমার ঘোষ, যুবলীগ তালা উপজেলার সভাপতি সরদার জাকির হোসেন, ছাত্রলীগ উপজেলা সভাপতি সরদার মশিয়ার, এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুর আরা জামান। অনুষ্ঠানের শেষে মাননীয় মন্ত্রী ১৭ জন কৃর্তি ছাত্রীদের হাতে সম্মননা স্মারক তুলে দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ করেছেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নিচে দাঁড়ানো শারীরিক প্রতিবন্ধী সীমা আক্তার। বাবার ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে নিচ থেকে ইউএনওকে খবর দিলেন। সীমার ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে আসেন ইউএনও মো. ফরিদ হোসেন। এরপর সীমার পাশে দাঁড়িয়ে লেখাপড়ার খরচ বাবদ চার হাজার টাকার চেক দিলেন ইউএনও। চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধী সীমা আক্তারের সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন বের হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসে ইউএনও মো. ফরিদ হোসেনের। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সীমাকে সহায়তার ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সীমাকে দেওয়া হয় চার হাজার টাকার একটি চেক। আবেগ কন্ঠে সীমা বলেন, ‘স্যার আমার বাবার মতো। তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খবর দিলেই আমার ডাকে সাড়া দেন তিনি। তার কথা ভোলার নয়।’ সীমা আক্তার তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। দরিদ্র বাবার একার উপার্জনের সংসারে থেকেও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৪ দশমিক ০৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সীমা। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের প্রসাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ গোলদারের মেয়ে সীমা আক্তার। তিন বোনের মধ্যে সীমা ও রেহানা প্রতিবন্ধী। সীমার বাবা আব্দুল আজিজ গোলদার নসিমন (ইঞ্জিনভ্যান) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তালার ইউএনও মো. ফরিদ হোসেন বলেন, সংবাদটি পড়েই আমার নজরে আসে সীমার কথা। ওই সময় ঘোষণা দিয়েছিলাম সীমার পাশে দাঁড়ানোর। তা বাস্তবায়ন করলাম। তার পাশে আমি সব সময় থাকব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষির্কী আজ শুক্রবার। দিনটি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে জেলা যুবলীগের আয়োজনে এবং সদর ও পৌরযুবলীগের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও বিকাল ৪টায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষির্কীর র‌্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভার সকল অনুষ্ঠানে যুবলীগের সকল সদস্যদেরকে অংশগ্রহনের আহবান জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে মানবতা তরুন সংস্থা নামের একটি স্থানীয় সংগঠন। মানবতা তরুণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলাউদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মানবতার তরুণ সংস্থার সদস্য রাসেল মোল্লা,নাজমুলহাসান, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা এ সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ ৭ দফা দাবি জানান সরকারের কাছে। ৭ দফা দাবি সমুহ হল,  গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সকল গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবি, মিথ্যা পরিকল্পনা করে নিরপেক্ষ গণমাধ্যমকে বন্ধকরা চলবে না, সত্যপ্রকাশে গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, সত্যপ্রকাশে গণমাধ্যম কর্মিদের নিরাপত্তা, গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যা বন্ধ এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। কলারোয়া উপজেলা শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন আমিনূর রহমান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছার ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায় সহ স্থানীয়দের সাথে গণসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে কপিলমুনি, হরিঢালী, শামুকপোতায় পৃথক পৃথক সচেতনমূলক সভায় স্থানীয় মন্দির কমিটির সভাপতি, পুরোহিতসহ জনসাধারণের সাথে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন, ওসি মারুফ আহম্মদ, এস,আই রবীন চক্রবর্তী ও স্থানীয় পুলিশিং ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানপ্রার্থী খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে পাইকগাছা-কয়রা সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ নূরুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মাসুদুর রহমান, জেলা যুগ্ম সম্পাদক গাজী আব্দুল হাদী, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, নূর আলী খান পল্টু, নূরে আলম খন্দকার, জয়ন্তী রাণী, সরদার জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান স.ম. বাবর আলী, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা গাজী রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, আবুল বাশার বাবুল সরদার, রতন কুমার ভদ্র, শেখ মনিরুল ইসলাম, আনিছুর রহমান মুক্ত, জামিল খান, মুশফিকুর রহমান সাগর, বিধান চন্দ্র রায়, এস,এম, সামছুর রহমান, শহিদ হোসেন বাবুল, চেয়ারম্যান জুনায়েদুর রহমান, জোয়াদুর রসুল বাবু, এস,এম, এনামুল হক, রুহুল আমিন বিশ্বাস, রিপন কুমার মন্ডল, দিবাকর বিশ্বাস, আব্দুল হামিদ প্রমুখ। এর পূর্বে জেলা পরিষদের প্রশাসক মধুমিতা পার্কের জেলা পরিষদের জায়গায় নির্মিত আ’লীগের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: “যুব অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হও, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ মোকাবেলা করো, ঘুষ দুর্নীতিমুক্ত চাকরির নিশ্চয়তা চাই” শ্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ১০টায় পুরাতন আইনজীবী সমিতি ভবনে সাতক্ষীরা  জেলা শাখার ৫ম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত কাউন্সিল অধিবেশনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বাহ্ আলী খান কলিন্স। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি। সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি স্বপন কুমার শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মফিজুল হক জাহাঙ্গীর।  উক্ত কাউন্সিল অধিবেশনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলা, শহর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photos-6
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় মানববর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নত মানের জৈব সার। এই সার ব্যবহারে জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশন দূষনরোধ এবং কর্ম সংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভা ও প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মানববর্জ্য শোধনের জন্য গড়ে ওঠা একটি প্লান্ট প্রতিদিনের বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন করে আসছে। সাতক্ষীরা পৌরসভায় বসবাসকারী জনসংখ্যা এখন দেড় লাখ। প্রতিদিন তাদের পরিত্যক্ত বর্জ্যরে পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০  টন। পরিবার অথবা প্রতিষ্ঠান সমূহের এই বর্জ্য অপসারণ অনেকটাই ঝামেলার বিষয়। যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধযুক্ত এই বর্জ্যরে  কারণে পরিবেশ দূষনের সুযোগ থেকেই যায়। দুর্যোগকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এতে নানা ধরনের রোগ বালাই  ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। বর্জ্য অপসারনে আর্থিক ব্যয়ও কম নয়। বিশেষ করে বস্তিতে বসবাসকারীদের পরিত্যক্ত মল এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির কাজে ব্যবহৃত পুকুরের পানিতেও তা মিশে যায়। পারিবারিক মানববর্জ্য অনেক সময় নিকটস্থ খালে অথবা নদীতে কোনো না কোনোভাবে মিশে যায়। শহরের ড্রেনে পৌঁছে পরিবেশগত দূষনও সৃষ্টি করে। এতে জনস্বাস্থ্যহানিরও সম্ভাবনা রয়ে যায়। সাতক্ষীরা পৌরসভার কুখরালিতে পয়ঃব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই প্লান্টের মাধ্যমে মানব বর্জ্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০০০ লিটার মানববর্জ্য এখানে ফেলা হয়। এ থেকে ২০০ কেজি কমপোস্ট সার তৈরি হচ্ছে। কৃষিতে এই সার ব্যবহার করে যেমন রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরতা কমছে, তেমনি জমির ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পয়ঃবর্জ্য প্লান্টে মানববর্জ্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের  আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। পরিবেশ দূষনের সুযোগ থাকছে না।  একজনের দেখাদেখি অন্যরাও এই সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পাচ্ছে। সাতক্ষীরার হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সনাতন পদ্ধতিতে মানব বর্জ্য অপসারণ করে আসছেন। এখন তারা  স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নতুন পদ্ধতিতে পয়ঃ অপসারণ করে লাভবান হচ্ছেন। এজন্য তারা প্রশিক্ষনও গ্রহণ করেছেন। শহরের সেপটিক ট্যাংক থেকে সরাসরি নর্দমায় মানববর্জ্য ঠেলে দেওয়ার কারণে পরিবেশগত নানা সমস্যা রোধ হচ্ছে পয়ঃবর্জ্যব্যবস্থাপনার কারণে। কর্মকর্তারা বলেন মানববর্জ্যের ব্যবহার এভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দিলে কৃষি ও পরিবেশে একটি বড় পরিবর্তন আনা যায়। তাছাড়া সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে মানববর্জ্যের সার ব্যবসায়িকভাবে উৎপাদন করাও সম্ভব বলে জানালেন তারা। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জন স্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। তিনি আরো জানান, সুস্বাস্থ্যের জন্য স্যানিটেশন কভারেজ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগের বিকল্প নেই। সাতক্ষীরার পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি জানান, পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পয়ঃবর্জ্য প্লান্টে মানববর্জ্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। অপরদিকে, পরিবেশ দূষনের সুযোগও থাকছে না। একজনের দেখাদেখি অন্যরাও এই সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পাচ্ছে।
মানববর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পাচ্ছে কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় মানববর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নত মানের জৈব সার। এই সার ব্যবহারে জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশন দূষনরোধ এবং কর্ম সংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভা ও প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মানববর্জ্য শোধনের জন্য গড়ে ওঠা একটি প্লান্ট প্রতিদিনের বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন করে আসছে। সাতক্ষীরা পৌরসভায় বসবাসকারী জনসংখ্যা এখন দেড় লাখ। প্রতিদিন তাদের পরিত্যক্ত বর্জ্যরে পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০  টন। পরিবার অথবা প্রতিষ্ঠান সমূহের এই বর্জ্য অপসারণ অনেকটাই ঝামেলার বিষয়। যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধযুক্ত এই বর্জ্যরে  কারণে পরিবেশ দূষনের সুযোগ থেকেই যায়। দুর্যোগকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এতে নানা ধরনের রোগ বালাই  ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। বর্জ্য অপসারনে আর্থিক ব্যয়ও কম নয়। বিশেষ করে বস্তিতে বসবাসকারীদের পরিত্যক্ত মল এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির কাজে ব্যবহৃত পুকুরের পানিতেও তা মিশে যায়। পারিবারিক মানববর্জ্য অনেক সময় নিকটস্থ খালে অথবা নদীতে কোনো না কোনোভাবে মিশে যায়। শহরের ড্রেনে পৌঁছে পরিবেশগত দূষনও সৃষ্টি করে। এতে জনস্বাস্থ্যহানিরও সম্ভাবনা রয়ে যায়। সাতক্ষীরা পৌরসভার কুখরালিতে পয়ঃব্যবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই প্লান্টের মাধ্যমে মানব বর্জ্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০০০ লিটার মানববর্জ্য এখানে ফেলা হয়। এ থেকে ২০০ কেজি কমপোস্ট সার তৈরি হচ্ছে। কৃষিতে এই সার ব্যবহার করে যেমন রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরতা কমছে, তেমনি জমির ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পয়ঃবর্জ্য প্লান্টে মানববর্জ্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের  আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। পরিবেশ দূষনের সুযোগ থাকছে না।  একজনের দেখাদেখি অন্যরাও এই সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পাচ্ছে। সাতক্ষীরার হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সনাতন পদ্ধতিতে মানব বর্জ্য অপসারণ করে আসছেন। এখন তারা  স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নতুন পদ্ধতিতে পয়ঃ অপসারণ করে লাভবান হচ্ছেন। এজন্য তারা প্রশিক্ষনও গ্রহণ করেছেন। শহরের সেপটিক ট্যাংক থেকে সরাসরি নর্দমায় মানববর্জ্য ঠেলে দেওয়ার কারণে পরিবেশগত নানা সমস্যা রোধ হচ্ছে পয়ঃবর্জ্যব্যবস্থাপনার কারণে। কর্মকর্তারা বলেন মানববর্জ্যের ব্যবহার এভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দিলে কৃষি ও পরিবেশে একটি বড় পরিবর্তন আনা যায়। তাছাড়া সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে মানববর্জ্যের সার ব্যবসায়িকভাবে উৎপাদন করাও সম্ভব বলে জানালেন তারা। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জন স্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। তিনি আরো জানান, সুস্বাস্থ্যের জন্য স্যানিটেশন কভারেজ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগের বিকল্প নেই। সাতক্ষীরার পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি জানান, পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পয়ঃবর্জ্য প্লান্টে মানববর্জ্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। অপরদিকে, পরিবেশ দূষনের সুযোগও থাকছে না। একজনের দেখাদেখি অন্যরাও এই সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest