সর্বশেষ সংবাদ-
বুধহাটায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মর্নিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পসাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ায় তরুনি আফরোজা আতœহত্যা প্ররোচনা মামলায় কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামসহ কারাগারে আটক দুই জনের জামিন না’মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত-৪ এর বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ মামলার আসামি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ও হাসান এই দুইজনের জামিন না’মঞ্জুর করেন। এর আগে গত শনিবার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের তরুনী আফরোজা খাতুনের আতœহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার হন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, চৌকিদার ইসমাইল হোসেন ও দোকানদার হাসান। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ জামিন না’মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্যঃ গত ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছোট মেয়ে আফরোজা খাতুন একটি দোকানে মোবাইলে ফ্ল্যাক্সি লোড দিতে যায়। এ সময় দোকানদার হাসানের সাথে পলাশ নামের এক বহিরাগত যুবকের লেনদেন নিয়ে বাক বিতন্ডা হয়। পলাশকে শায়েস্তা করতে হাসান ও তার সহযোগীরা অফরোজা ও পলাশকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তোলে। পরে সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল ইসলামের নির্দেশে তাদের দড়ি দিয়ে বেধে গ্রাম ঘুরানো হয়। আর এসব ছবি ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেয় এক বখাটে। এতে চরম অপমান ও লজ্জায় শনিবার সন্ধ্যায় আফরোজা আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামসহ সাত জনের নামে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আফরোজার বড় ভাই ইব্রাহীম খলিল। ইতিমধ্যে এজাহার ভূক্ত আসামি সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তারা এদেশের সূর্য সন্তান। তারা মরেও চির অমর হয়ে থাকবেন। তাদের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের এই চেতনা বুকে ধরে রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিচার বাস্তবায়ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন মুক্তিযুদ্ধ শেষে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ঘাতকরা দেশের বুদ্ধিজীবী সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশুন্য করতে চেয়েছিল। তারা বেছে বেছে নিরাপরাধ বাঙ্গালিকে হত্যা করে পাকিস্তানি শাসন শোষণ অব্যাহত রাখার শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। বাঙ্গালি জাতিকে বীর সন্তানদের এই আত্মত্যাগ চিরস্মরণে রাখতে হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। প্রেসক্লাব সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন সারাদেশই তো বধ্যভূমিতে পরিনত হয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও এদেশের ঘাতক দালাল রাজাকার ও আল বদররা মিলিতভাবে নিরস্ত্র বাঙ্গালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তারপরও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ১৬ ডিসেম্বর তারা মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্ম সমর্পন করে নিজেরাই প্রমান করে যে গণহত্যা চালিয়ে তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকালিন বিভিন্ন স্মৃতিকথা তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ধারনের আহবান জানান। একই সাথে সাতক্ষীরার  সবগুলি বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করে শহীদ স্মৃতি গড়ে তোলার আহবান জানান। এর আগে শহীদ সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সাংবাদিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী ও অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মমতাজ আহমেদ বাপী, এম কামরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, ইয়ারব হোসেন, মো. আমিনুর রশীদ, মো: রবিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, সেলিম রেজা মুকুল, শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, মো. আবদুল জলিল প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেসবিজ্ঞপ্তি : শ্যামনগর উপজেলার আইলা দুর্গত পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে স্থানীয় জনগণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাঠি একতা যুব সংঘ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের কাছে এই স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের জরিপে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সর্বাধিক দুর্যোগ ঝূঁকিপূর্ণ জনপদ শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়ন। সম্প্রতি পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি ও খুঁটিকাটা নামক স্থানে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাঁধ সংলগ্ন ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ঝূঁকিতে বসবাস করছে। কামালকাটি বেড়িবাঁধ যে কোন সময় ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। স্মারকলিপিতে পদ্মপুকুরবাসীর জীবন ও জনপদ বাঁচাতে অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, একতা যুব সংঘের সভাপতি উত্তম কুমার, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত মন্ডল, গোপাল মন্ডল,তরুন কুমার, প্রতিত মন্ডল, শশাংক মন্ডল, জাকির হোসেন, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান, বারসিক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ও রামকৃষ্ণ জোয়ারদার। এসময় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বাধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে শিশুদের মাঝে জাতীয় পতাকা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সদর উপজেলার রাজার বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এই পতাকা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহানা আফরোজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুন্সী এমাদ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিলকিস খাতুন, সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের আহবায়ক আসাদুল ইসলাম, রাসেল মাহমুদ সোহাগ, কাদের সিদ্দিকী, সাঈদুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, নাহিদ হাসান, বাহলুল করিম, শামছুন্নাহার মুন্নি, আব্দুর রহিম প্রমুখ। বক্তারা মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বিজয় আমাদের অহংকার। বিজয় আমাদের গর্ব। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। বিজয়ের আনন্দে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এর আগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4a8e73764b81282fa1c9fd6c1969e2d4-585159b10280cসিরিয়ার আলেপ্পো নগরীতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগেই উভয় পক্ষে ফের প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর)-এর বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চারকিন বলেন, পূর্ব আলেপ্পোতে সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদ্রোহীরা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে পূর্ব আলেপ্পো ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা আসে।

আলেপ্পোর অধিবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরুর কথা ছিল স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৫টা থেকে। কিন্তু তা শুরু হয়নি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হয় প্রচণ্ড গোলাগুলি। এসওএইচআর-এর মুখপাত্র রামি আবদুলরহমান বলেন, ‘ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ চলছে, প্রচণ্ড মাত্রায় বোমা হামলা চলছে। এতে মনে হচ্ছে যুদ্ধ বিরতির সব কিছুই ভেস্তে গেছে।’

এসওএইচআর জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস-এর মুখপাত্র ইব্রাহিম আবু-লেইথ জানিয়েছেন, নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো বাসও পৌঁছেছিল। কিন্তু বুধবার হঠাৎ করেই আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।

সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি স্তেফান ডি মিস্তুরা জানিয়েছেন, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আটকা পড়া মানুষের সংখ্যা এক লাখেরও বেশি।

মিস্তুরা আরও বলেন, এসব অঞ্চলে অন্তত দেড় হাজার বিদ্রোহী রয়েছেন। এদের ৩০ শতাংশই জঙ্গি সংগঠন ফাতেহ আল শাম (প্রাক্তন নুসরা ফ্রন্ট)-এর সঙ্গে জড়িত।

২০১২ সাল থেকে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পূর্ব আলেপ্পো। সম্প্রতি সরকারি বাহিনী অঞ্চলটির অধিকাংশ জায়গা দখল করে নেওয়ায় বিদ্রোহীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1481690992খুশকি দূর করতে কত কিছুই তো ব্যবহার করেছেন। এবার আদার রস ব্যবহার করে দেখুন। এতে জিঞ্জারোল উপাদান রয়েছে, যা শক্তিশালী অ্যন্টিঅক্সিডেন্টস হিসেবে কাজ করে। আর এর অ্যামিনো এসিড ও ফ্যাটি এসিড মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ত্বকে শুষ্ক হতে দেয় না এবং চুল পড়া রোধ করে। এ ছাড়া এর মাইক্রোবিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে ও খুশকির জীবাণু ধ্বংস করে। অন্যদিকে আদার ভিটামিন ও মিনারেল চুল নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।

খুশকি দূর করতে আদার রস কীভাবে চুলে ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে। এক নজরে ধাপগুলো দেখে নিন।

প্রথম ধাপ

বড় এক টুকরা আদা ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাতলা সুতির কাপড়ে এই মিশ্রণ নিয়ে চেপে ভালো করে এর রস বের করে নিন। অন্তত দুই টেবিল চামচ রস যেন হয় এই পরিমাণ আদা নিন।

দ্বিতীয় ধাপ

আধা কাপ নারকেল তেল ৩০ সেকেন্ডের জন্য গরম করে নিন। এবার তেল অল্প ঠান্ডা করে নিন। নারকেল তেলে লিউরিক এসিড রয়েছে যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এবার নারকেল তেলের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে নিন।

তৃতীয় ধাপ

এই মিশ্রণের মধ্যে পাঁচ ফোটা রোজমেরি অয়েল দিন। এই তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

চতুর্থ ধাপ

এবার এর মধ্যে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে সব উপাদান কাটা চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং চুলের তেলতেলে ভাব দূর করে।

পঞ্চম ধাপ

একটি মোটা চিড়ুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন। কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল হাতে নিয়ে চুলে লাগান। এতে জট সহজে ছাড়াতে পারবেন।

ষষ্ঠ ধাপ

চুল ছোট ছোট ভাগ করে মাথার তালুতে এই মিশ্রণ লাগান। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আঙুল দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। হাত দিয়ে চিপে চুল থেকে বাড়তি প্যাক ঝরিয়ে ফেলুন। এবার একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে নিন।

সপ্তম ধাপ

সারারাত এভাবে রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সুতির কাপড় কিংবা পাতলা তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিন। এবার চুল বাতাসে শুকিয়ে ফেলুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1481718170দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেড়েই চলেছে যুদ্ধবিগ্রহ ও সহিংসতা। যুদ্ধের বাজারে নিজেদের ভার বজিয়ে রাখতে পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রতিরক্ষা খাতে খরচে কোন কোন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে আইএইচএস জেন প্রকাশ করেছে বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেটের এক প্রতিবেদন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর সারা বিশ্বে প্রতিরক্ষা খরচ বেড়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষা কাজে খরচ হয়েছে ১ দশমিক ৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই খরচের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন ডলার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মহাদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা খরচের পরিমাণ।

এশিয়া

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা খরচে এগিয়ে রয়েছে চীন। ২০১০ সালে চীনের প্রতিরক্ষা খরচ ছিল ১২৩ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা খরচের চারগুণ। এমনকি পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মোট প্রতিরক্ষা খরচের থেকেও বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৩ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যয় সৌদি আরব ও রাশিয়াকে পেছনে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। জরিপ অনুযায়ী ২০১৮ সাল নাগাদ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যয় যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ইউরোপ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যয় এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্রেক্সিট ও বিভিন্ন চলমান আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা আলোচনায় আনলে এই সামরিক ব্যয় ভবিষ্যতে কতটুকু বাড়বে তা নিতে শঙ্কিত বিশ্লেষকরা। এদিকে সামরিক ব্যয় কমিয়ে এনেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। এ বছর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯০ সালের পর থেকেই প্রতিরক্ষা খাতে এত কম বাজেট আনল রাশিয়া।

আমেরিকা

বরাবরের মতো সারা বিশ্বের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর তাদের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৬২২ বিলিয়ন ডলার, যা কিনা পুরো বিশ্বের মোট প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ৪০ শতাংশ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন চেয়েছিল এই খরচ ১ দশমিক ১ শতাংশ কমিয়ে আনতে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এই খরচ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1481733531‘ওরা আমাদের ধর্ষণ করত। যতক্ষণ না আমরা অজ্ঞান না হয়ে পড়তাম, ততক্ষণ পর্যন্ত চলত এসব কাজ।’ ইরাকের উত্তরাঞ্চলের দুই নারী লামিয়া আজি বাশার ও নাদিয়া মুরাদ এভাবেই নিজেদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানান।

২০১৪ সালের আগস্টে লামিয়া ও নাদিয়াকে ইরাকের সিনজার এলাকা থেকে অপহরণ করে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা। এর পর থেকে উভয়ে ছিল আইএসের যৌনদাসী। অপহরণের তিন মাস পর নাদিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অন্যদিকে চারবার চেষ্টার পর গত মার্চে আইএসের কবল থেকে পালাতে সক্ষম হয় লামিয়া।

লামিয়া ও নাদিয়াকে সম্মানে ভূষিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংস্থার পক্ষ থেকে স্ট্রাসবুর্গে মানবাধিকার পুরস্কার ‘শাখারভ’ তুলে দেওয়া হয়। মেইল অনলাইন জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন লামিয়া ও নাদিয়া। লামিয়ার বয়স এখন ১৮ ও নাদিয়ার বয়স ২৩।

মেইল অনলাইনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে আইএস। এর মধ্যে ওই দুজন প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন।

লামিয়া মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। আইএসের যোদ্ধারা জোর করে তাঁকে মাইন বিস্ফোরণের কাজে পাঠায়। আহত হওয়ার পর থেকে লামিয়া এক চোখে দেখতে পান না। লামিয়ার সঙ্গে ছিল আট বছর বয়সী আলমাস ও ২০ বছর বয়সী ক্যাথেরিন। উভয়ই মাইন বিস্ফোরণে মারা যায়।

লামিয়া বলেন, ‘আমি চলে আসতে পেরেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমার দুই চোখ চলে গেলেও সমস্যা নেই। কারণ আমি ওদের থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছি।’

নাদিয়া জানান, দিনের বিভিন্ন সময়ে অগণিত পুরুষ তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ নারী ও মেয়েদের ধ্বংস করে দেয়। একই সঙ্গে নিশ্চিত করে দেয়, ওই মেয়ে আর কখনোই স্বাভাবিক হতে পারবে না। আইএস ইয়াজিদি নারীদের কেবল পাচার করার মাংসে পরিণত করেছে।’

নাদিয়া ও লামিয়া বিষয়টিকে যুদ্ধাপরাধ বলে এর বিচার চেয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest