সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

suronjit-sen-guptaবিশিষ্ট পার্লামেন্টিরিয়ান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি পরলোকগমন করেছেন। ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ শুক্রবার অসুস্থতাবোধ করায় তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম। প্রথম জীবনে বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া আওয়ামী লীগের এ নেতা  দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সুরঞ্জিত রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তবে নিজের সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। যদিও তা গ্রহণ না করে সে সময় তাকে মন্ত্রী হিসাবে রাখেন শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sam_5080-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের নলকুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নলকুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রতি বছরের ন্যায় নলকুড়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কমিটির আয়োজনে নলকুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. সাইফুল হাসান খোকনের সভাপতিত্বে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে সারা জীবন কাজ করেছি বলেই জেলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বানিয়েছে। যারা আমাকে জেলার উন্নয়নে চেয়ারম্যান পদে তাদের মহা মূল্যবান ভোট দিয়ে ঐ আসনে বসিয়েছেন। তাদের আশার প্রতিফলন ঘটিয়ে জেলার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করবো। আমার চাওয়া পাওয়ার আর কিছুই নাই। আমি শুধু মানুষের ভালবাসা ও দোয়া চাই।
ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন ও হাদিস থেকে তাফসির বয়ান করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মোফাচ্ছিরে কোরআন চ্যানেল আরটিভি’র ইসলামী আলোচক হযরত মাওলানা মো. মাসউদুর রহমান নাটোর, বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ মাহফিলে পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন ও হাদিস থেকে তাফসির বয়ান করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মোফাচ্ছিরে কোরআন বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির ঢাকা মহানগর দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক ও চ্যানেল আরটিভি’র নিয়মিত ইসলামী আলোচক হাফেজ মাওলানা মো. মনোয়ার হোসাইন মোমিন নলকুড়া। এছাড়াও স্থানীয় ওলামায়েকেরাম গন তাফসির বয়ান করেন। এ সময় ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মুস্তাফিজুর রহমান শাহনওয়াজ, এড. সিরাজুল ইসলাম, লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু, জেলা যুবলীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, ইউছুফ সুলতান মিলন, নলকুড়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সাবেক সভাপতি মো. জিয়াদ আলী, শেখ শফিকুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।  এ সময় নলকুড়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ২ জন হাফেজকে পাগড়ি প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। মাহফিলের সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নলকুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1486181660আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ১৩ ব্যক্তি ও ১২টি কোম্পানি। তারা বিভিন্নভাবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান আগুন নিয়ে খেলছে। তারা বুঝতে পারেনি প্রেসিডেন্ট ওবামা তাদের প্রতি কতটা দয়া দেখিয়েছিলেন। আমি দেখাতে পারব না।’

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে একটুও টলেনি ইরান। তারা জানিয়েছে, ‘এক অনভিজ্ঞ ব্যক্তি’ হুমকি দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত রোববার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় ইরান। তখন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে শুরু করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ইরানের নেতাদের চাপে রাখতে হবে।’

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফিন হোয়াইট হাউসে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা  অনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3অনলাইন ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে প্রেমিকার নাম লিখে দেওয়ার কথা বলিউডি প্রেমিকদের মুখে শোনা গিয়েছে বহু হিন্দি গানেই। কিন্তু এই বার সেই প্রতিশ্রুতি সত্যি করে তোলার সুযোগ মিলছে। তবে সেটা শুধু ভারতীয়দের জন্য। একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে শুরু হয়েছে একটি বিশেষ প্রকল্প, যার অধীনে নামমাত্র মূল্যে যে কেউ চাঁদের মাটিতে নাম লিখিয়ে নিতে পারেন।

বেঙ্গালুরু-নির্ভর এরোস্পেস স্টার্টআপ টিম ‘ইন্ডাস’ ভারতের প্রথম বেসরকারি সংস্থা হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর প্রোজেক্ট নিয়েছে। গুগল লুনার-এক্স প্রাইজের অন্তর্গত এই স্টার্টআপ নিজেদের প্রোজেক্টের জন্য অর্থসংগ্রহের উদ্দেশ্যে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে চাঁদের মাটিতে নিজের নাম লেখানোর সুযোগ খুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষের সামনে।

কী ভাবে সুযোগ নেওয়া যাবে এই প্রোজেক্টের? ২০১৭-র ২৮ ডিসেম্বর ইসরোর পিএসএলভি রকেট পাড়ি দেবে চাঁদের উদ্দেশে। এই রকেট যাত্রার মাধ্যমেই সূচনা হবে ইন্ডাস প্রোজেক্টের। ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২০১৮ সালের ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে, অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি সেই মহাকাশযান অবতরণ করবে চাঁদে। যাঁরা ৫০০ টাকা দিয়ে চাঁদের মাটিতে নাম লেখাতে আগ্রহী, খুদে খুদে অক্ষরে তাঁদের নাম খোদাই করা একটি অ্যালুমিনিয়াম পাত রাখা থাকবে সেই মহাকাশযানে। সেই পাতটিই রেখে আসা হবে চাঁদের মাটিতে।

এই প্রোজেক্টে ইতিমধ্যেই হাজার দশেক ভারতীয় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করিয়ে ফেলেছেন। সংস্থার আশা, প্রায় ১৪ লক্ষের মতো মানুষ এই প্রোজেক্টে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন, এবং এর ফলে ৭০ কোটি টাকা তুলে ফেলতে পারবে তারা। কিন্তু এত মানুষ হঠাৎ চাঁদের মাটিতে নাম লেখাতে আগ্রহী হচ্ছেন কেন?

বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, হুজুগে মানুষ এমনিতেই কিছু রয়েছেন। তা ছাড়া সংস্থাটির তরফে এমন ভাবে এই প্রোজেক্টের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে যে, অনেকেরই ধারণা হচ্ছে যে, ৫০০ টাকা দিয়ে বুঝি চাঁদের মাটিতে জমি কেনা যাচ্ছে। কারণ চাঁদের কোনও প্লটে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলা মানেই সেই জমি আমার হয়ে গেল, এমন ভুল ধারণায় ভুগছেন অনেকেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

744আশরাফুল ইসলাম মিলন (৩৫) ১৮ পারা কুরআনে হাফেজ। কিন্তু নিজেকে মিলন চক্রবর্তী পরিচয় দিয়ে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন এক হিন্দু মেয়েকে।

হাফেজ মিলন সদর উপজেলা চেঙ্গারডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গলায় ব্রাহ্মণের পৈতা পরে পুরোহিত সেজে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে পূজা-অর্চনা করছিলেন। এ পর্যন্ত তিনি এক ডজনেরও বেশি হিন্দু বিয়ে পড়িয়েছেন। এভাবে প্রতারণা ও অর্থ হাতানোর ব্যবসা করায় মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করেছে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিলন এসব তথ্য স্বীকার করা ছাড়াও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। ডিবি জানায়, আটক মিলনের কাছ থেকে মোবাইলের একাধিক সিম ও সেট পাওয়া গেছে। তিনি পুলিশের কাছে ইসলাম ও সনাতন ধর্মের দুধরনের পরিচয় ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন।

মাগুরা ডিবি পুলিশের এস আই সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, আটক মিলন চেঙ্গারডঙ্গী গ্রামের চয়ন বিশ্বাস নামের এক যুবককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা নেন। পরে চাকরি না পেয়ে চয়ন বিশ্বাস ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে মিলনকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এক মামলায় মিলনকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আপাতত তার বিরুদ্ধে একটা মামলা দেওয়া হয়েছে। গভীর তদন্তের জন্য রবিবার তাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিলন ১৮ পারা কুরআনে হাফেজ। তার আসল নাম আশরাফুল ইসলাম মিলন। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চন নগর গ্রামের মৃত লুত্ফর রহমানের ছেলে তিনি। সেখানে তার আগের স্ত্রী ও এক সন্তানও রয়েছে। ভারতে যাতায়াতের সূত্র ধরেই মাগুরা সদরের চেঙ্গারডাঙ্গা গ্রামের বিকাশ বিশ্বাসের সঙ্গে তার পরিচয় ও তাদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়। পরে ২০১৩ সালে হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিচয়ে তার মেয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতা বিশ্বাসকে বিয়ে করে তিনি শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

আটক মিলনের পাসপোর্ট উদ্ধার করে দেখা গেছে, গত তিন বছরে তিনি ৫০ বার ভারতে গেছেন। তাছাড়া ভারত ও বাংলাদেশে তার নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এস আই সালাহউদ্দিন বলেন, তিনি বড় কোনো অপরাধী চক্রের সদস্য কিনা, কোনো অপরাধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন বা কোনো অপরাধ সংগঠনের জন্য এখানে অবস্থান কিনা- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

75তাকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কখনও বলা হয়, সে নাকি গুরুতর অসুস্থ, মৃত্যু নাকি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আবার পরক্ষণেই জানা যায়, করাচিতে পাকিস্তান সরকারের আতিথ্যে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম।

তাকে নিয়ে কৌতূহল এমন পর্যায়ে, যে রেহাই নেই তার পুত্র-কন্যাদেরও। তারা কী করছে, সে দিকেও রয়েছে নজর। দাউদের আনুষ্ঠানিক স্ত্রী একজনই। যদিও তার একাধিক রক্ষিতা রয়েছে। বৈধ স্ত্রীর ঘরে তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে।

মেয়েদের নাম মাহরুখ ইব্রাহিম, মেহরিন ইব্রাহিম এবং মারিয়া ইব্রাহিম। ছেলের নাম মইন ইব্রাহিম। ২০০৫ সালে দাউদের বড় মেয়ে মাহরুখের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলে জুনেইদের বিয়ে হয়। তারপরই ভারতে মিয়াঁদাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

দাউদের দ্বিতীয় মেয়ে মেহরিন ২০১১ সালে বিয়ে করেন পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পপতি আয়ুবকে। সংবাদমাধ্যমকে এই বিয়েতে নিমন্ত্রণও করেছিল দাউদ। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢোকার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল কোনো ছবি তোলা যাবে না। দাউদের ছেলে মইনের বিয়েও মেহরিনের বিয়ের কয়েকদিন পরই হয়।

দাউদের ছেলে মইন লন্ডনের পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এক শিল্পপতির কন্যাকে বিয়ে করেন। পাত্রীর নাম ছিল সোনিয়া। সবচেয়ে রহস্যময়ী দাউদের আর এক মেয়ে মারিয়া। তার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। দাউদের বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকলে মারিয়া সামনে আসেন ঠিকই, তবে সেই অনুষ্ঠানে কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না। তিনি কী করেন, তা নিয়েও কেউ বিশেষ কিছু জানেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6বন্ধু বা সঙ্গী নির্বাচনে নারীদের সব সময় সতর্কতা প্রয়োজন। নইলে বিপদে পড়তে হতে পারে। অথবা জীবন হয়ে উঠতে পারে ঝামেলাপূর্ণ। চোখের সামনে যে টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম পুরুষটি দেখছেন তা সত্যি নাও হতে পারে। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পুরুষের ৬ বৈশিষ্ট্য খতিয়ে দেখুন। এসব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পুরুষদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জেনে নিন-

১. ক্ষণে ক্ষণে মনবদল
এই দেখলেন বন্ধু বা সঙ্গী আপনার খুব যত্ন নিচ্ছেন। নিমেষেই বদলে গেল আচরণ। আপনার খোঁজই নিলেন না তিনি। ক্ষণে ক্ষণে মন বদলানো পুরুষের সঙ্গে তাল মেলানো দায়। তাই তাঁদের এড়িয়ে চলাই নারীদের পক্ষে মঙ্গলজনক।

২. আমি শুধুই আমি
হয়তো আপনি সঙ্গীর সঙ্গে কোনো রেস্তোরাঁয় গেছেন। তিনি আপনাকে খাবারের তালিকা দেখতে দিলেন। কিন্তু নিজের পছন্দ অনুযায়ীই খাবারের ফরমাশ দিলেন। ফোনে কথা বলছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি কেবল নিজের কথাই বলে গেলেন। তাঁর দিন কেমন কাটল, জীবনের লক্ষ্য কী—এসব শুনতে শুনতেই কেটে গেল সময়। এ রকম আত্মসর্বস্ব পুরুষকে সঙ্গী করলে বাকি জীবনটা অসুখীই হবেন।

৩. শিশুসুলভ
সঙ্গী পুরুষ সব সময় শৈশবের গল্প করছেন। আশা করছেন, মায়ের মতো তাঁর জুতো-কাপড় আপনি নির্বাচন করবেন। তাঁর খাবার আপনি রান্না করবেন। তাঁকে খাইয়ে দেবেন। এ ধরনের শিশুসুলভ পরনির্ভরশীলতা যেসব পুরুষের রয়েছে, তাঁদের ত্যাগ করাই শ্রেয়।

৪. গায়ে পড়া
সব নারীর সঙ্গেই আপনার পুরুষ সঙ্গীটি মাখামাখি করতে পছন্দ করেন। অযথা বেশি বেশি গায়ে পড়া ভাব দেখান। অভ্যর্থনাকারী, পরিচারিকা, অপরিচিত, এমনকি প্রিয় বন্ধুটিও বাদ যান না আপনার সঙ্গীর এই আচরণ থেকে। কেবল যৌন বিষয়েই আগ্রহ থাকে এ ধরনের পুরুষদের। নারীদের তাঁরা ভাবেন ভোগ্যবস্তু। এ রকম সঙ্গী থেকে দূরে থাকুন।

৫. অতি আবেগ
কোনো কিছুর বাড়াবাড়ি ভালো নয়। আপনার পুরুষ সঙ্গী কি সব সময়ই অনিরাপদ বোধ করেন? সন্দেহে ভোগেন? আবেগে ডগমগ করেন? এ রকম পুরুষ সব সময়ই আপনাকে খড়কুটো হিসেবে আঁকড়ে ধরতে চাইবেন। সব ক্ষেত্রে সেটি হওয়া আপনার জন্য বিরক্তিকর। তাই তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬. একঘেয়ে
এ ধরনের পুরুষের কাজকর্ম ছকবাঁধা রুটিনে বাঁধা থাকে। কোনো বৈচিত্র্য বা চমক নেই। তিনি আগে পরিকল্পনা করেন এবং সে মাফিক চলেন। তাই কখন কী করবেন, আপনি সহজেই আঁচ করতে পারবেন। নিয়ম মেনে তাঁদের সঙ্গে জীবন কাটানোও বিরক্তিকর। তাই এড়িয়ে চলুন তাঁদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু: সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে সমকালের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলকে গুলি করে হত্যা এবং সারা দেশে aaaaসাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটি(এসআরইউ) জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। শনিবার সকাল ১১ টায়  সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটের সামনে শহিদ আলাউদ্দীন চত্ত্বরে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার হলেও এই সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সন্ত্রাসী, গডফাদারের কুকর্মের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এদেরকে দল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করে দিতে হবে। তারা শাহাজাদপুরের পৌর মেয়রকে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সম্প্রতি সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর বিচার হচ্ছে না। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। নহিলে এদের কারণে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক শিমুল আওয়ামীলীগের কোন নেতা বা কর্মী নয়। তিনি শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু ওই সন্ত্রাসী মেয়র শর্ট গান দিয়ে শিমুলকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। যা অত্যন্ত নাক্কারজনক ঘটনা। এঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা ও কার্তুজ উদ্ধার করলেও হত্যাকারী মেয়রকে এখনও পর্যন্ত আটক করেনি। যা সাংবাদিক সমাজকে হতাশ করেছে। বর্তমান সরকার মিডিয়া বান্ধব সরকার। কিন্তু কিছু কুচক্রী ব্যক্তি দলের ভিতরে প্রবেশ করে দেশকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে ওই সন্ত্রাসী মেয়র হালিমুল হক মিরুকে বহিষ্কার ও তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেয়। এছাড়া প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরা জেলা শাখা, সাতক্ষীরার সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এর সদস্যরাও এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা শহিদ আলাউদ্দিন চত্বরে সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র আহবায়ক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জি এম নূর ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক মহসীন হোসেন বাবলু, সময় টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, দৈনিক সমকাল ও এটিএন বাংলার নিজস্ব  প্রতিনিধি, ভয়েস অব সাতক্ষীরা সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, একাত্তর টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বরুন ব্যানার্জী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, সাতক্ষীরা ক্রাইম রিপোর্টার্স ক্লাব এর সভাপতি আসাদুজ্জামান, মোহনা টিভি’র জেলা প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি পলাশ চৌধুরী, উন্নয়নকর্মী মাধব দত্ত, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আহম্মাদ উল্লাহ বাচ্চু, দেবহাটা সাংবাদিকদের পক্ষে থেকে শরিফুল ইসলাম, ধুলিহরে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে হাসান হাদী, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে রানা, প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরার সভাপতি হাসান ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, শেখ মাসুদ হোসেন, কামরুল হাসান, শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, কাজী জামাল উদ্দীন মামুনসহ ডেইলি সাতক্ষীরার সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার মফস্বল বার্তা সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক এম বেলাল হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি শেখ শরিফুল ইসলাম, নতুন দিনের জেলা প্রতিনিধি শেখ আমিনুর রশিদ সুজন প্রমুখ।

aaaa2
মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকরা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest