সর্বশেষ সংবাদ-
সাংবাদিক রাহাত রাজার সুস্থতা কামনায় দোয়া১৬ বছর পর সাতক্ষীরায় জামায়াতের রুকন সম্মেলনকলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩ সেতুজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকি

imranডেস্ক রিপোর্ট:পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির আদালত।

পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি) কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইমরানসহ মোট ৭০ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়।

আদালত অনেক দিন আগেই তাদের গ্রেফতার করতে বলার পরও পুলিশ এতদিন কেন ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি সে প্রশ্ন তুলে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এরপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আবারও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

কেন গ্রেফতারের নির্দেশ
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নাম জড়ানোর ফলে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল ইমরান খানের দল পিটিআই এবং তাহিরুল কাদরির দল পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক (পিএটি)। সেসময় ইসলামাবাদে তুমুল বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

২০১৪ সালে আন্দোলন চলার সময় পাকিস্তান সচিবালয়ের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পাকিস্তান টেলিভিশনের অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। ওই সময় পিটিভি’র কর্মীদের অফিস থেকে বের করে দেয়ার ফলে কিছুক্ষণের জন্য পিটিভি নিউজ ও পিটিভি ওয়ার্ল্ডের সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে যায়।

ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাতেই ইমরান খান, তাহিরুল কাদরিসহ মোট ৭০ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের আদালত। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ইমরান খান, তাহিরুল কাদরি এবং আরও ৬৮ জনকে গ্রেফতার করতে হবে। ওইদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিsakib5পোর্ট: সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট শিকারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়ের আশা জাগালেও তৃতীয় দিনশেষে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৮ রানে সফরকারীদের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগার বোলাররা। তবে ২ উইকেট হাতে রেখে ইংলিশদের লিড দাঁড়িয়েছে ২৭৩ রানে।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ২৯৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৪৮ রানে। ২৭৩ রানের লিড নিয়ে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন ক্রিস উকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড।

তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে বাংলাদেশ ধসে পড়লেও বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। শুরুতেই ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেয় তারা।

৪৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের বিপর্যয়ের শুরু প্রথম ইনিংসের নায়ক অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ।

অধিনায়ক কুককে ফেরান মিরাজ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়ার আগে কুক করেন ১২ রান। তিন নম্বরে নামা জো রুটকে এলবির ফাঁদে ফেলে দ্রুতই ফিরিয়ে দেন সাকিব।

আর এই উইকেটের মধ্য দিয়ে সাদা পোশাকে ১৫০ উইকেট স্পর্শ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে সাজঘরে ফেরেন বেন ডাকেট। মুমিনুল হকের তালুবন্দি হন ১৫ রান করা ইংলিশ ওপেনার।

৬২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ইংল্যান্ড ইনিংসে প্রাণ ফেরান বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্ট্রো। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৭ রান তুলে খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেন তারা। বাংলাদেশের সামনে দেয়া হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। বেয়ারস্ট্রোকে(৪৭) সরাসরি বোল্ড করে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর স্টোকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ফেরার আগে দল বাঁচানো ৮৫ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি।

স্টোকসের পর আদিল রশিদকে আউট করে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫তম বার ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। দিনশেষে সাকিবের  বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৭৯ রানে ৫ উইকেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Diet soda

Diet soda

ডেস্ক রিপোর্ট: অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়া বা ডায়াবেটিসের ভয়ে পছন্দের চিনিযুক্ত কোমল পানীয়টি ছেড়ে চিনিমুক্ত বিকল্পটি বেছে নেন। তাদের অনেকেই মনে করেন, এতেই ডায়াবেটিস ও স্থূলতা থেকে অনেকটা বেঁচে যাওয়া সম্ভব।

কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, এই ‘ডায়েট’ পানীয় তার চিনিযুক্ত জাতভাইয়ের মতো একইরকম ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন এই পানীয় মাত্র দু’গ্লাস করে পান করলেই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যায়।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ডায়েট কোক, ডায়েট পেপসি, ফ্যান্টা জিরোর মতো ক্যালরিবিহীন কোমল পানীয়গুলো মানুষকে আরও ক্ষুধার্ত করে তোলে; যার ফলে মানুষ আরও বেশি চিনিযুক্ত স্ন্যাক্স খেতে অস্থির হয়ে উঠে।

আরও সন্দেহ করা হচ্ছে, আর্টিফিশিয়াল সুইটনার বা কৃত্রিম উপায়ে খাবার মিষ্টি করার উপাদানগুলো পাকস্থলিতে থাকা উপকারি ব্যাক্টেরিয়ার কার্যকলাপ ব্যাহত করে। এ কারণে মানবদেহে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের প্রধান গবেষক জোসেফিন লফেনবর্গ বলেন, ডায়েট পানীয় ‘ক্ষুধাকে ত্বরান্বিত করে’, যার ফলে ওজন

বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল সুইটনার দেহের ফ্যাট টিস্যু ও পাকস্থলির ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে। এর ফলে মানবদেহের গ্লুকোজ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষণাদলটি ২ হাজার ৮৭৪ জন ব্যক্তির ওপর পরীক্ষা চালান। গবেষণার জন্য এক বছর ধরে তাদের পানীয় গ্রহণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, যারা দিনে দুই বা তার চেয়ে বেশি মিষ্টি পানীয় গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা অন্যদের থেকে প্রায় আড়াই (২.৪) গুণ বেশি। এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে চিনিযুক্ত প্রচলিত কোমল পানীয় এবং ডায়েট কোকের মতো কৃত্রিমভাবে মিষ্টি পানীয়।

অন্যদিকে, দিনে ৫টি বা তার বেশি চিনিমুক্ত কোমল পানীয় এ ধরণের ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে সাড়ে ৪ গুণ।

গবেষণাটি থেকে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন, কৃত্রিম উপায়ে মিষ্টি পানীয় চিনিযুক্ত পানীয়ের মতোই ক্ষতিকর। কেননা, প্রতিদিন ২শ’ এমএল চিনিযুক্ত পানীয় পান ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আর ডায়েট পানীয়ের ক্ষেত্রে তা ১৮ শতাংশ।

‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব এন্ডোক্রাইনোলজি’তে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pmডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে এখন পুরোপুরি দারিদ্রমুক্ত করতে চাই। আগে দেশে দারিদ্রের হার ছিলো ৯৭ ভাগ, আজ আমরা সেটাকে ২২ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এমন পর্যায়ে দেশকে নিয়ে যেতে চাই যে সেখানে দরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ১৪৬৬ ডলার। এই আয় এত বাড়াবো যেন এদেশে আর কেউ কখনো দরিদ্র না হয়।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলে।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীদের আমি আহবান জানাবো, আপনারা স্ব স্ব এলাকায় কতজন নি:স্ব-রিক্ত মানুষ আছে তাদের তালিকা দিন। আমরা তাদের জন্য বিনা পয়সায় ঘর করে দিবো। তাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। বাংলাদেশ থেকে আমরা পুষ্টিহীনতা দূর করবো। সমগ্র দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় সেই চেষ্টা করবো। সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।’

অতীতের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম সংগঠনগুলোর একটি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জন্যই আজ আমরা বাঙালি হিসেবে পরিচয় পেয়েছি। বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আওয়ামী লীগই বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই অর্জন এনে দিয়েছে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। সব সমস্যার মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে মুক্তি এনে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।’

“এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বাংলার মানুষ তার কথা মেনে নিয়েছিলো। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেরই মিত্র শক্তির কাছে পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পন করেই। সবাই সহযোগিতা করেছিলো বলেই বিজয় অর্জন সহজ হয়েছিলো। ৮১ সালে আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। জনসমর্থনে আমি দেশে ফিরে আসি। আমি আওয়ামী লীগের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশে ফিরে সেই সময় দেশের আনাচে কানাচে আমি ঘুরে বেড়াই। আমি দেখেছি মানুষ না খেয়ে থাকে। কুড়েঘরে থাকে। বাবার কাছে যে শিক্ষা আমি পেয়েছিলাম, সেই শিক্ষা নিয়েই আমি কাজ শুরু করি। গ্রামের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে মায়ের স্নেহ, বাবার স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ।”

আওয়ামী লীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি মানুষও যেন না খেয়ে না থাকে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি আমরা। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে মাইক্রোক্রেডিট নয় মাইক্রো সেভিংস কার্যক্রম শুরু করছি। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন না। বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারছে যুবকরা। যেন তারা কিছু করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। দেশব্যাপি ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। কৃষিকাজকে যান্ত্রিকীকরণ করছি যেন আবার সবাই কৃষিতে ফিরে। নারী অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  প্রতিটি নির্বাচনে নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশই বিশ্বের একমাত্র সংসদ যেখানে স্পিকার, দলীয় প্রধান, বিরোধী দলীয় প্রধান নারী।’

ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা তুলে তিনি বলেন, ‘দ্রুত পদক্ষেপের কারণে দেশে ৭ ভাগ থেকে বনায়ন ১৩ ভাগে উন্নয়ন করা হয়েছে। সেটাকে বিশ ভাগে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। সেজন্য বলেছি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এই ভূখণ্ড কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে পারবে না। দক্ষিণ এশিয়া হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন। সেটাই হবে বাংলাদেশও। তাই উন্নয়ন ব্যবস্থায় নজর দিয়েছি।’

“কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য থাকবে না। রাজধানী থেকে একেবারে গ্রামের ঘর পর্যন্ত যোগাযোগ থাকবে সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকেও নজর দিচ্ছি আমরা। আমরা চাই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। তার প্রমাণ পেয়েছেন আজকের সম্মেলনেও। বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো আজকের এই আয়োজনে এসেছে এবং তাদের বক্তব্য দিয়েছেন।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
Exif_JPEG_420

Exif_JPEG_420

প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় ছেলে মাকছুদুর রহমান তোতার (২৪) সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা সাজিদা বেগম। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা গ্রামের জুম্মান আলী সরদারের স্ত্রী সাজিদা বেগম বলেন, তার সাত মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে সবার ছোট মাকছুদুর রহমান তোতা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পাশ করেছে। গত ১৬ অক্টোবর‘১৬ তারিখে বাড়ি থেকে এশার নামায পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। এরপর তার ফোনে বারবার কল করা হলেও রিসিভ করেনি। পরদিন থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনায় তারা সাতক্ষীরা সদর থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরি নম্বর ৭৯৫/১৬। মাকছুদুর রহমান তোতার মা বলেন, তার ছেলের কোন সাংগঠনিক যোগাযোগ নেই। খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চায়ও তার অংশ গ্রহণ ছিল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছেলের সন্ধান পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেদিন থেকে সে নিখোঁজ হয়, সেদিন থেকেই তার কোন ছবি বা পরিচয়পত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তোতার বাবা মো: জুম্মান আলী সরদার, বড়ভাই ওহিদুল ইসলাম, মেঝ ভাই ইদোল ইসলাম, সেঝ বোন আছমা খাতুন ও ভগ্নিপতি ফারুখ হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

11-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় শহরের সিলভার জুবিলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়রের প্রতিনিধি ছিলেন পৌর সচিব সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস। সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফুজ্জামান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী, সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়ার স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার শাহিনুর খাতুন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক জগদ্বীশ কুমার হালদার, জেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর রথীন্দ্রন্থা সরকার, পৌর সভার টিকাদান সুপারভাইজার। এসময় ৫ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের ১ টি করে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী কৃষকের স্বীকৃতি ও খাদ্য অধিকার আইনের দাবিতে সাতক্ষীরায় গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রেড ফর দ্যা ওয়াল্ড একশন এইড বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করেন বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, প্রগতি, ও খানি, বাংলাদেশ। প্রগতির নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-০১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি  অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, আনিসুর রহিম ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান। গোলটেবিল বৈঠকে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আমজাদ হোসেন, ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃষি ও পরিবেশ রক্ষায় নারীরা মূখ্য ভূমিকা পালন করলেও পুরুষ শাসিত সমাজ তা কখনই স্বীকৃতি দিতে চায়না। নারী তার ঘরের, বাহিরের কাজের মূল্যয়ন ও কাজের সঠিক শ্রম মূল্য পায়না। নারীর অবস্থা পরিবর্তনে প্রয়োজন নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা। তাই পুরুষ শাসিত সমাজে নারীর বৈষম্য দূর করতে সবার আগে পুরুষের এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে ৭১ শতাংশ নারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষিতে নিয়োজিত। তারপরও নারী শ্রমিকের কোন স্বীকৃতি নেই। নেই রাষ্টীয় কোন নীতি। গোলটেবিল বেঠক থেকে এ সময় নারী কৃষকের স্বীকৃতি দাবি করা হয় ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

hosniara
নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগরে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু পথের যাত্রী এক গৃহবধু। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা ফারজানা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছিজারের সাড়ে ৩ মাস পরে পেটের ভিতরে পাওয়া গেছে গজ। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিসুর রহমানের দায়িত্বহীনতার কারণে এ ধরনের সমস্যা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগির স্বাজনরা দাবি করেছেন। ওই গৃহবধু শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী হোসনে আরা(২০)। তবে খুলনা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন অপারেশনের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে গজ বের করার পর কিছুটা সুস্থ্য রয়েছেন হোসনে আরা। ভুক্তভোগির মা তাছলিমা খাতুন জানান, গত ২১ রমজানে আমার মেয়ের ডেলিভারীর সময় হলে শ্যামনরগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ডা: আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি করি। ডা: আমার মেয়ের অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর থেকে আমার মেয়ে পেটে প্রচন্ড ব্যাথ্যা অনুভব করতো। এবিষয়ে ডা: আনিসুর রহমানের কাছে গেলে কোন সমস্যা নেই বলে জানান। এদিকে মেয়ের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকলে সাতক্ষীরায় এসে ডা: সংকর কুমারের পরামর্শ গ্রহণ করি। তিনি বলেন ইনফেকশন হয়েছে। অপারেশন করা লাগবে। এখবর ডা: আনিসুর জানতে পেরে আমাদের ফোন করে বলেন, আমার কাছে আসেন আমি ঠিক করে দেব। এরপর তিনি পুনরায় অপারেশন করেন। কিন্তু মেয়ের কোন উন্নতি না হলে খুলনা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক ডা: মনোয়ার হোসেনের কাছে নিয়ে যাই। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন অপারেশন করতে হবে। সে মোতাবেক গত ১৪ অক্টোবর সাতক্ষীরার ফারজানা ক্লিনিকে আমার মেয়ের অপারেশন করেন ডা: মনোয়ার হোসেন। অপারেশনের পর তিনি জানান পেটের ভিতরে গজ ছিলো যে কারণে আপনার মেয়ের এই অবস্থা হয়েছিল। তবে আর কিছুদিন এভাবে থাকলে হয়ত তাকে আর বাঁচানো যেত না। অপারেশনের মাধ্যমে গজ বের করা হয়েছে। সুস্থ্যহতে একটু সময় লাগবে। বিষয়টি শোনার পর আমরা হতাশ হয়েছিলাম। আমার মেয়ে যাতে সুষ্ঠু থাকে আর তার নবজাতকের কোন সমস্যা না হয় কারণে ওই চিকিৎসক আনিসুরের সকল শর্ত মেনে তার কাছে ছিজার করেছি। অথচ এ কি। আর কিছুদিন থাকলে হইতে আমার মেয়ের লাশ আমাকেই দফন করতে হতো। তিনি ওই চিকিৎসক আনিসুর রহমানের দায়িত্বহীনতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এব্যাপারে ওই চিকিৎসক আনিসুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার পেটের ভিতর থেকে গজ পাওয়া যায়নি। যেটা হয়েছে তার পেটের নাড়ী মোটা হওয়ার কারণে তার সমস্যা হয়েছিল। ওই চিকিৎসকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তবে রোগির কথামত নিউজ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার(টিএইসও) ডা. হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এধরনের ঘটনা ঘটনার কথা না। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে হতে পারে। আর যদি হয়ে থাকে আমরা তদন্ত করে তার ব্যবস্থা নেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest