333333নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে সফ্টরক প্রিমিয়ার ও ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০১৭ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার সকালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও সফ্টরক গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা কলেজ মাঠে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সফ্টরক প্রিমিয়ার ও ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০১৭ এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, মাঠে খেলা না থাকলে খেলোয়াড় তৈরি হবেনা। তাই সকল মাঠে যত বেশি বেশি খেলার আয়োজন করা যাবে ততই জেলায় ভাল খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে। এ জন্য জেলার বিত্তবানদের খেলা-ধুলার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা চাই জাতীয় দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই যেন এ জেলার হয়। খেলোয়ার সুলভ আচরন ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে খেললে একদিন ভাল নামী খেলোয়াড়ের পরিচিতি পাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবির উদ্দিন আহম্মেদ, ক্রিকেট সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, নির্বাহী সদস্য কাজী কামরুজ্জামান কাজী, আ.ম.আক্তারুজ্জামান মুকুল, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ইদ্রিস বাবু, ফারহা দীবা খান সাথি, স.ম সেলিম রেজা, মো. আলতাপ হোসেন, হাফিজুর রহমান খান বিটু, মনিরুজ্জামান কাকনসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ ও অসংখ্য ক্রিকেট প্রেমী দর্শক শ্রোতা। সফ্টরক প্রিমিয়ার ও ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০১৭ এ মোট ৬টি অংশ গ্রহন করছে। উদ্বোধনী দিনের খেলায় গণমূখী সংঘ টসে জয়লাভ করে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং রসুলপুর ক্রীড়া সংস্থাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায়। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন লুৎফর রহমান সৈকত ও সামিউল মনির এবং স্কোরার ছিলেন বিসিবির কোচ মুফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল। ২৭শে ফেব্রুয়ারি সফ্টরক প্রিমিয়ার ও ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০১৭ এর দ্বিতীয় দিনের খেলায় মুখোমুখি হবে মুন্সিপাড়া যুব সংঘ বনাম পিকে ইউনিয়ন ক্লাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2110918347_1488088645ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনে একটি বাড়ি একটি খামার (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সাত ধরনের পদে চার হাজার ৮৪৩ জনকে এই অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা জেলার প্রার্থীরাই কেবল আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

পদসমূহ
সহকারী প্রকল্প পরিচালক পদে পাঁচজন, জেলা সমন্বয়কারী ৬৪ জন, উপজেলা সমন্বয়কারী ১৮ জন, ফিল্ড সুপারভাইজার ১১৯ জন, কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী পদে ২৯ জন, মাঠ সহকারী পদে চার হাজার ৬০৩ জন এবং নৈশপ্রহরী পদে পাঁচজনসহ মোট চার হাজার ৮৪৩ জনকে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগ্যতা
পদগুলোতে আবেদনের জন্য পদমর্যাদা অনুযায়ী প্রার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাস থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী পদের জন্য কম্পিউটার  জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।

বয়স
সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৮ ফেব্রুয়ারি-২০১৭ পর্যন্ত বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটাধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিল করা যাবে। এ ছাড়া পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ বা এর আওতাধীন কোনো সংস্থার দারিদ্র্য বিমোচন বা পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পে কর্মরত বা কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন
পদমর্যাদা অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে প্রতি মাসে ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীরা টেলিটকের ওয়েবসাইট (ebek.teletalk.com.bd) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আবেদন করা যাবে ১৫ মার্চ, ২০১৭ রাত ১২টা পর্যন্ত।

বিস্তারিত দেখুন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি1488017851-%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1407808497_1488091567রাজধানীর শাহজাহানপুরে গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। রায়ে দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার দিকে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা নলকূপের পাশে খেলতে খেলতে পাইপের ভেতর পড়ে শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

জিহাদের পাইপে পড়ে যাওয়ার খবর দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়। পরের দিন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে।

অভিযান স্থগিত করার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার করেন তিনজন স্বেচ্ছাসেবী। তাদের নিজস্ব তৈরি বিশেষ ধরনের জাল বা স্ক্যাচার ব্যবহার করে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তারা। ঘটনার পরের দিন জিহাদের বাবা মো. নাসির ফকির বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলমগণ শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের পূর্ব দক্ষিণ কোণে একটি পানির পাম্পের ঠিকাদারি নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে আনুমানিক ৬০০ ফুট কূপ খনন করে। যাতে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করে কূপের মুখ খোলা রেখে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। এতে অজ্ঞাতসারে পাইপের ভেতর পড়ে শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

মামলার ছয় আসামি হলেন- মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ক্রীড়া ডেস্ক: গত বছর আগস্টে সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি লিগে খেলতে গিয়ে চোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর জন্য অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করাতে হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘ পুনর্বাসন শেষে নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে ফিরলেও পুরোপুরি ফিট হননি বলে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারেননি। কাটার-মাস্টার খেলতে পারেননি ভারত সফরে একমাত্র টেস্টেও। শেষ পর্যন্ত পরোপুরি ফিট হয়েই শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আশার কথা, এখন আর আগের মতো অস্বস্তি নেই তাঁর। ফিরে পেয়েছেন আত্মবিশ্বাসও। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুস্তাফিজ বলেন, ‘এখন সব কিছুই আমার ভালোভাবে যাচ্ছে। বল করতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। নেই অস্বস্তিও। বলা যায় আমার আত্মবিশ্বাসটা এখন অনেক ভালো জায়গায় আছে।’ তবে চারদিনের ম্যাচে তাঁর কাটার এখন খুব বেশি কার্যকরী হয় না বলে জানান এই বাঁহাতি পেসার, ‘কয়েকদিন আগের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দুটি ম্যাচ খেলেছি। সেখানে কিছুটা বুঝতে পেরেছি আমার কাটার বা স্লোয়ার, চারদিনের ম্যাচে খুব একটা কার্যকর হয়নি। তবে চেষ্টা করছি ভালো জায়গায় বল ফেলতে। আশা করছি দ্রুত ছন্দে ফিরতে পারব।’তবে শ্রীলঙ্কা সফরে ভালো কিছু করার আশাবাদী কাটার মাস্টার, ‘শ্রীলঙ্কায় চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার। সে জন্য পরিশ্রমও করে যাচ্ছি। আশা করছি সাফল্য পাব।’আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। সে লক্ষ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দলের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা।৭-১১ মার্চ গলে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট ১৫-১৯ মার্চ, কলম্বোতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশের শততম টেস্ট।অবশ্য প্রথম টেস্টের আগে ২-৩ ফেব্রুয়ারি দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অতিথি বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজের পরই ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ওয়ানডে ২৫ মার্চ (দিবা-রাত্রি), দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৮ মার্চ ( দিবা-রাত্রি) এবং তৃতীয় ওয়ানডে ১ এপ্রিল। আর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ৪ ও ৬ এপ্রিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্বাস্থ্য ডেস্ক: দুইদিন ধরে সোমার জ্বর। অন্য সবার মতো সোমারও মাঝেমধ্যে জ্বর হয়। জ্বর হলে কিছুটা কষ্ট তো হয়ই। কিন্তু সে কষ্ট মেনে নেওয়া খুব একটা কঠিন নয় সোমার কাছে। জ্বরের কারণে সৃষ্ট শারীরিক কষ্টের চেয়ে বেশি কষ্ট হয় জ্বরের সময়কার খাবারের মেনু নিয়ে। এ অবস্থায় সোমাকে সাগু, বার্লি, দুধ, পাউরুটি ছাড়া কোনো কিছুই খেতে দেওয়া হয় না। সাধারণ খাবার যেমন, ভাত- মাছ থাকে নিষিদ্ধ খাবারের তালিকায়। মূলত ভাত খাওয়ার ব্যাপারে থাকে বিশেষ আপত্তি। সোমার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। ভাত খেতে দেওয়ার বিষয়টি যে শুধু জ্বরের সময় বন্ধ থাকে তা কিন্তু নয়। জ্বর সেরে ওঠার দুই তিন দিন পর হয়তো ভাত খেতে দেওয়া হয়। জ্বরে ভাত খাওয়া নিয়ে এ ধরনের ঘটনা অনেক পুরোনো। জ্বর হলে ভাত খাওয়া যাবে না, ভাত খেলে জ্বর বেড়ে যাবে- এমন একটি  ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে অনেক দিন থেকে। আর এই ভুল বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে জ্বরের রোগীকে খেতে দেওয়া হয় রুটি কিংবা কিছু স্বাদহীন খাবার।  দেখা যায়, সুস্থ অবস্থাতেই যে খাবারগুলো মানুষের মুখে রোচে না, অসুখের সময় বিস্বাদ মুখে সেই খাবারগুলো কষ্ট করে অযথা পেট পুরতে হয়। অথচ যেকোনো সাধারণ খাবার এবং ভাত চাইলেই কিন্তু রোগী খেতে পারে। কিন্তু ভুলের বশবর্তী হয়ে রোগীকে ভাত খাওয়া থেকে বিরত রাখা হয় অথবা রোগী নিজেই ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকে। জ্বরের সময় রোগীর পথ্য বলে বিবেচিত সাগু, বার্লি, রুটি ইত্যাদি খেলে যে জ্বর উপশমে বিশেষ কোনো সম্পর্কই নেই। ভাত খেলে জ্বর বাড়ে এ ধারণাও ভুল। রোগজীবাণু আক্রমণে  কিংবা শারীরিক কোনো অসুবিধায় অস্থিমজ্জা থেকে পাইরোজেন নামক এক ধরনের পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই পাইরোজেন রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে তাপ নিয়ন্ত্রক হাইপোথ্যালামাসে পৌঁছে। সাধারণভাবে হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। অসুস্থ অবস্থায় পাইরোজেন হাইপোথেলামাস এর তাপ নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে বেড়ে যায়। এটাই হচ্ছে জ্বর। অনেক রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় এই জ্বর। জ্বরে শরীরের বিপাক ক্রিয়া বেড়ে যায়। প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রার জন্য বিপাকক্রিয়া শতকরা সাত ভাগ বেড়ে যায়। বিপাক ক্রিয়া বেড়ে গেলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদাও বেড়ে যায়। শক্তির এই চাহিদা পূরণের জন্য চাই পুষ্টিকর খাবার। জ্বর হলে শুধু ভাত কেন, অন্য সব পুষ্টিকর খাবারও রোগীকে দেওয়া উচিত। তবে কয়েকটি রোগে বিশেষ করে লিভার, কিডনি, হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিসে কিছু কিছু খাবার গ্রহণের ব্যাপারে খানিকটা বিধিনিষেধ রয়েছে। এ ছাড়া টাইফয়েড জ্বরে কম করে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণের ব্যাপারে খানিকটা বিধিনিষেধ রয়েছে। এ ছাড়া টাইফয়েড জ্বরে কম করে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণের কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সাধারণ জ্বরে ভাত খেতে কোনো সমস্যা নেই। এভাবে জ্বর হলেই ভাত খেতে না দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। জ্বরে ভাত খেলে কোনো ক্ষতিও হয় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : শহরের কাটিয়ায় পৌরসভার জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাটিয়া এলাকার শেখ আজিজুর রহমান টনির স্ত্রী ২৩নং রাজার বাগান শান্তি নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রেহেনা খাতুন কাজল পৌরসভার জন বহুল, কর্মচঞ্চল, জনগুরুত্বপূর্ণ, পৌরসভার তিন রাস্তার মোড়ের জায়গা তড়িঘড়ি করে অতি দ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। যা সম্পূর্ণ বে-আইনী, অবৈধ। ইতোমধ্যে তারা তাদের বসত: ঘরের বে-আইনি ভাবে পায়খানা ঘরের ছুপ ট্যাংক ও ঘরের বাড়তি সান সেট নির্মাণ করেছে। এই বে আইনিভাবে বহুতল ভবন নির্মাণে, বাড়ীর বাড়তি সানসেট ও পায়খানা ঘরের ছুপ ট্যাংক তৈরির কারণে, তিন রাস্তার মোড়ে টার্নিং পয়েন্টে যান বাহন ও লোকজন চলাচলের জন্য সব সময় দূর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। রেহেনা খাতুন কাজল, তিনি একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল শিক্ষক হয়ে, কিভাবে পৌরসভার জমি দখল ও আত্মসাৎ করে? কিভাবে আইন লংঘন করেঃ বেআইনি, আইন বহির্ভূত জন সাধারণের চলাচলের রাস্তার উপরে বহুতল ভবন নির্মাণ করে? এই দুর্নীতিবাজ লোভী রেহেনা খাতুন কাজল শিক্ষিকার নিকট থেকে কোমলমতি শিশুরা কি শিক্ষা পাইবে? জাতী কি পাইবে? তার আচারনে মনে হয় তিনি আইনের উর্দ্ধে। তার খুটির জোর নাকি খুবই শক্ত। এই সব বিষয় আমাদের বোধগম্য নয়। সেই কারণে তা এক্ষুনি সম্পূর্ণ ভাবে এই নির্মাণ কাজ জনস্বার্থে বন্ধ করিতে হইবে। নিরাপদে মানুষ জন ও যানবাহন চলাচলের জন্য পৌরসভার রাস্তার উপর থেকে অবৈধ নির্মাণ, পায়খানা ঘরের ছুপ ট্যাংক ভেঙে ফেলতে হবে। অপসারণ করতে হইবে। অবাধে সরকারি রাস্তার মোড়ের মাথায় টার্নিং পয়েন্ট দিয়ে এ্যম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেড, সাধারণ যানবাহন ও জন সাধারণের নিরাপদে চলাচলে ব্যবস্থা করিতে হইবে। সঠিক ও পুঙ্খনোপুঙ্খভাবে পৌরসভার রাস্তার জমি মানচিত্র অনুযায়ী সঠিক মাপ জরিপের মাধ্যমে, পৌরসভার সঠিক সীমানা নির্দ্ধারণ করে, জন সাধারণের অবাধে চলাচলের জন্য, আপনার একান্ত আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি। এক্ষুনি অবিলম্বে জনসাধারণের নিরাপদে ও যান বাহন চলাচলের জন্য এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষিকা রেহেনা খাতুন কাজল ও তার স্বামী শেখ আজিজুর রহমান টনির পৌরসভার জমি অবৈধ দখলবন্ধ করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছার গজালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বিষপান করে হাসপাতালে। সহকারী শিক্ষিকা কোহিনুরের তিরস্কার বিষপানের কারণ। এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। প্রধান শিক্ষকের অদক্ষতার কারণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ঘটনায় বিদ্যালয়টি পাইকগাছার লাইম লাইটে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার গজালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিপিএড শারীরিক বিষয়ের শিক্ষিকা কোহিনুর খাতুন দশম শ্রেণীর জনৈকা ছাত্রীকে প্রতিদিন একটি বিষয় নিয়ে তিরস্কার করে আসছে। ছাত্রীটি কাকুতি-মিনতি করেও কোহিনুরের তিরস্কার থেকে রেহাই পায়নি। পরিশেষে ছাত্রীটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ করেও ফল পায়নি। প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ প্ররোক্ষ ইন্ধনে ইতিপূর্বে বিদ্যালয়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ছাত্রীটি যথা সময়ে বিদ্যালয় গেলে কোহিনুর তাকে পুনরায় তিরস্কারসহ শ্রেণি কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিলে লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে সে বাড়ী গিয়ে বিষপান করে। বর্তমানে মেধাবী ছাত্রীটি পাইকগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে শারীরিক বিষয়ের শিক্ষিকা কোহিনুর বলেন, আমি মাঝে-মধ্যে তাকে বলেছি, কিন্তু তিরস্কার করিনি। সে বিষ খেলে আমার কিছু যায় আসে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার বলেন, কোহিনুর ম্যাডামের তিরস্কার সম্পর্কে শুনেছি। কিন্তু ছাত্রীটি আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথমবারের মতো হ্যাচারিতে কাঁকড়া পোনা উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ হ্যাচারিতে বছরে ৪০লাখ কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন হবে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হ্যাচারিতে উৎপাদিত পোনা থেকে কৃষকরা বছরে ৩৯ কোটি টাকার কাঁকড়া রপ্তানি করতে পারবেন। গতকাল শনিবার  সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনি ইউপির কলবাড়িতে স্থাপিত নতুন এ কাঁকড়ার হ্যাচারিতে উৎপাদিত কাঁকড়ার পোনা পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। এ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিকাশমান কাঁকড়া চাষ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর বাস্তবায়নে এবং শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কাঁকড়ার হ্যাচারিট স্থাপন করা হয়। শ্যামনগরের কলবাড়িতে হ্যাচারি কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিকেএসএফ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কার্যক্রম) মোঃ ফজলুল কাদের এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপক আকন্দ মোঃ রফিকুল ইসলাম, নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ ইকরামুল কবির ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমানসহ কাঁকড়া চাষী ও স্থানীয় সুধীজন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে কাঁকড়ার পোনার চাহিদা বর্তমানে তিন কোটি। এসব পোনা চাহিদা মিটাতে হয় সুন্দরবনের নদ-নদী থেকে।  সুন্দরবন হতে বিপুল পরিমাণে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করার ফলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে হ্যাচারি স্থাপনের মাধ্যমে দেশে কাঁকড়ার পোনা উৎপাদনের এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। পরবর্তী পর্যায়ে ছোট আকারের হ্যাচারি স্থাপনের প্রক্রিয়া করা হবে, যাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নিজেরাই পোনা উৎপাদন করে কাঁকড়ার পোনার চাহিদা পূরণে সক্ষম হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest